এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
উদ্দীপনার ভাববাদী - যোনা !JONAH – THE PROPHET OF REVIVAL! লেখক: ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র, “সদাপ্রভুর এই বাক্য অমিত্তয়ের পুত্ত্র যোনার কাছে উপস্থিত হইল, তুমি উঠ, নীনবীতে, সেই মহানগরে যাও, আর নগরের বিরুদ্ধে ঘোষণা কর, কেননা তাহাদের দুষ্টতা আমার সম্মুখে উঠিয়াছে” (যোনা 1:1, 2)| |
যোনার পুস্তক স্বয়ং যোনা ভাববাদীর দ্বারা লেখা হয়েছিল| আমি সেটা বলছি তার কারণ এটা যোনার চিন্তাভাবনা এবং প্রার্থনা প্রকাশ করেছে, যা স্বয়ং যোনা ছাড়া আর অন্য কেউই জানতে পারেননি| যোনার একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তি হয়ে ওঠার পিছনে থাকা আসল সত্যটি II রাজাবলী 14:24-25 পদসমূহে দেওয়া হয়েছে যখন প্রাচীন গুরু তাকে এইভাবে আহ্বান করেছিলেন, “গাৎ-হেফরীয়, অমিত্তয়ের পুত্ত্র, যোনা, ভাববাদী” (II রাজাবলী 14:25)| যীশু খ্রীষ্ট স্বয়ং যোনা সম্পর্কে বলেছেন তিনি হলেন একজন প্রকৃত, ঐতিহাসিক ভাববাদী| অনুগ্রহ করে মথি 12:39-41 পদগুলি বের করুন| যোনা সম্পর্কে যীশু যা বলেছেন আমি তা পড়ার সময়ে উঠে দাঁড়ান, “তিনি উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, এই কালের দুষ্ট ও ব্যভিচারী লোকে চিহ্নের অন্বেষণ করে, কিন্তু যোনা ভাববাদীর চিহ্ন ছাড়া আর কোন চিহ্ন ইহাদিগকে দেওয়া যাইবে না| কারণ যোনা যেমন তিন দিবারাত্র বৃহৎ মৎস্যের উদরে ছিলেন, তেমনি মনুষ্যপুত্ত্রও তিন দিবারাত্র পৃথিবীর গর্ব্ভে থাকিবেন| নীনবীয় লোকেরা বিচারে এই কালের লোকদের সহিত দাঁড়াইয়া ইহাদিগকে দোষী করিবে, কেননা তাহারা যোনার প্রচারে মন ফিরাইয়াছিল, আর দেখ, যোনা হইতে মহান্ এক ব্যক্তি এখানে আছেন” (মথি 12:39-41)| দাঁড়িয়ে থাকুন এবং লূক 11:29, 30 পদ খুলুন| “পরে তাঁহার নিকটে উত্তর উত্তর অনেক লোকের সমাগম হইলে তিনি বলিতে লাগিলেন, এই কালের লোকেরা দুষ্ট, ইহারা চিহ্নের অন্বেষণ করে, কিন্তু যোনার চিহ্ন ছাড়া আর কোন চিহ্ন তাহাদিগকে দেওয়া যাইবে না| কারণ যোনা যেমন নীনবীয়দের কাছে চিহ্নস্বরূপ হইয়াছিলেন, তেমনি মনুষ্যপুত্ত্রও এই কালের লোকদের নিকটে হইবেন” (লূক 11:29-30)| আপনারা বসতে পারেন| কাজেই II রাজাবলী 14:25 পদটি যোনা সম্বন্ধিত ঐতিহাসিক তথ্য প্রদান করছে| এবং লূক 11:29-30 পদদ্বয় চিহ্ন হিসাবে যীশু খ্রীষ্টের যোনার উল্লেখ করার বিষয়ে বলছে| এবং যোনার পুনরুত্থানকে মথি 12:39-41 পদসমূহ তাঁর নিজের কবরে যাওয়া এবং কবরস্থ হওয়ার পরে তৃতীয় দিনে তাঁর পুনরুত্থিত হওয়ার চিহ্নস্বরূপ দেখিয়েছে| অতএব, পুরানো নিয়মের নথিতে যোনা হলেন প্রকৃত একজন ব্যক্তি এবং খ্রীষ্ট স্বয়ং আমাদের বলছেন যে যোনার মৃত্যু ও পুনরুত্থান, খ্রীষ্ট স্বয়ং এর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের ভাববাণী ছিল| স্যর উইনস্টোন চার্চিল ভাল বলেছিলেন, “আমরা অধ্যাপক গ্রেডগিন্ড এবং ডঃ ড্রায়াসডাস্ট এর [উদারপন্থী] টোম-এর দ্বারা অপ্রত্যায়িত অবস্থায় আছি| আমরা হয়ত নিশ্চিত হইতে পারি যে এই বিষয়গুলির সবই ঘটিয়াছিল ঠিক যেমন পবিত্র রচনা [বাইবেল] অনুসারে তাহাদের প্রস্তুতি ছিল|” (ডঃ জে. ভারন্ন ম্যাকগী দ্বারা উদ্ধৃত, থ্রু দ্য বাইবেল, ভলিউম III, যোনার উপরে দেওয়া টীকা, ভূমিকা, পৃ. 738)|
+ + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + +
I. প্রথম, যোনার আহ্বান| “সদাপ্রভুর এই বাক্য অমিত্তয়ের পুত্ত্র যোনার কাছে উপস্থিত হইল, তুমি উঠ, নীনবীতে, সেই মহানগরে যাও, আর নগরের বিরুদ্ধে ঘোষণা কর…” (যোনা 1:1, 2)| পদ 3, “কিন্তু যোনা সদাপ্রভুর সম্মুখ হইতে… পলাইয়া যাইবার নিমিত্ত উঠিলেন” (যোনা 1:3)| আমি এই ব্যক্তি যোনাকে বুঝেছি| সেই কারণে যোনার ক্ষুদ্র পুস্তকটি আমার প্রিয় পুরানো নিয়মের পুস্তকগুলির মধ্যে একটি| যোনা সদাপ্রভুর সামনে থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন| আমি সেটা করিনি| আমাকে একজন মিশনারি হওয়ার প্রতি আহ্বান করা হয়েছিল এবং আমি এটা জেনেছিলাম| কিন্তু আমি এতটাই হতভাগ্য ছাত্র ছিলাম যে আমি জানতাম আমি কলেজ থেকে স্নাতক হতে পারব না| একজন সাউদার্ন ব্যাপটিস্ট মিশনারিতে পরিণত হতে হলে আমাকে অবশ্যই কলেজ ও সেমিনারীর একজন স্নাতক হতে হবে| কিন্তু যে কোনভাবেই হোক আমি নিজেকে যোনার মতন অনুভব করতাম| আমি জানতাম যে আমি আহুত হয়েছি, কিন্তু কলেজে অকৃতকার্য্য হওয়ার ভয়ে আমি ঈশ্বরের উপস্থিতি থেকে দূরে পালানোর চেষ্টা করেছিলাম| ঈশ্বর আমাকে অসম্ভব কিছু একটা করতে বলছেন| সেমিনারীর একজন যুবক ছাত্র আমাকে বলেছিলেন, “আমি সেবাকাজে যেতে পারি না কেননা আমি জানি যে আমি চূর্ণ ও দগ্ধ হব|” তিনি সেবাকার্য্যে অকৃতকার্য্য হওয়ার ভয়ে ভীত ছিলেন| আমি ঐ বিষয়ে ভেবেছিলাম| আর তখন আমি বলেছিলাম, “আমি ইতিমধ্যেই এতবার চূর্ণ ও দগ্ধ হয়েছি যে আমি আর এর ভয় করি না|” এটা হল ভয় যা একজন ঈশ্বর-আহুত মানুষকে সেবাকার্য্য থেকে দূরে রাখে| একদিক থেকে অথবা অন্য যেকোন দিক থেকে সবসময়েই এটা হল ভয়| এই বিশেষ যুবাব্যক্তি যা করতেন তাতেই তিনি জয়ী হতেন – কিন্তু তিনি সেবাকাজের ভয়ে ভীত ছিলেন| তার ছোট ভাই তার সম্বন্ধে বলেছিলেন, “আমার দাদা সব কিছু করতে পারে|” কিন্তু তিনি কিছুতেই “চূর্ণ ও দগ্ধ” হওয়ার ভয় থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেননি| তিনি ছিলেন ছয় ফুট লম্বা, একজন বলিষ্ঠ “এ” মার্কা ছাত্র, এবং একজন প্রতিভাধর প্রচারক| কিন্তু তিনি সদাপ্রভুর সামনে থেকে পালিয়ে গেছিলেন কারণ তিনি ভীত ছিলেন! এখন, হে যুবকবৃন্দ, জীবনে আমি যা শিখেছি তার থেকে কিছু আপনাকে বলছি শুনুন, “আপনি যেকোন কিছু করতে পারেন যা ঈশ্বর আপনাকে করতে আহ্বান করেছেন – যেকোন কিছু!” বাইবেল বলছে, “যিনি আমাকে শক্তি দেন, তাঁহাতে আমি সকলই করিতে পারি” (ফিলিপীয় 4:13)| কারণ আমি ঐ পদটি প্রমাণ করেছি, আমি জানি এটা সত্য| আমার হাঁটুতে রিউমাটোয়েড আরথ্রাইটিস নিয়ে, এখানে আমি আমার 80তম বছরের জীবনে অবস্থান করছি, ক্যানসার থেকে বেঁচে ফিরে আসা এক মানুষ, কিন্তু আমি ভীত নই, এমনকী দুইজন দুষ্ট লোক একটি ভয়ঙ্কর মন্ডলী ভাঙ্গনে আমাদের মন্ডলীর তিন চতুর্থাংশ সদস্য নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও| তথাপি আমার মাতৃক্রোড়ে ছোট্ট শিশুর মতনই আমি শান্ত| আমি কি ভয় পেয়েছি? সত্যি বলতে কি আমি বিন্দুমাত্র ভয় পাইনি! আমার দিদিমা আমাকে বলতেন, “তোমার কোন কিছুতেই ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নাই কিন্তু নিজেকে ছাড়া,” যা তিনি রাষ্ট্রপতি ফ্র্যাঙ্কলিন রুজভেল্টকে সেই মহা হতাশার দিনে বলতে শুনেছিলেন| আর আমি দেখেছি যে আমার বৃদ্ধা দিদিমা সঠিক ছিলেন! আমি এও অনুসন্ধান করে দেখেছি যে আপনি কখনো “প্রভুর সম্মুখ হইতে” পালাতে পারেন না| কেন? কারণ আপনি যেখানেই থাকুন ঈশ্বর আপনার সাথে সেখানে থাকেন – সেটাই হল কারণ! আপনি যেতে পারেন, যেমন যোনা করেছিলেন, তর্শীশে পালানোর জন্য| কিন্তু ঈশ্বর সেখানেও ততটাই ছিলেন যেমন তিনি গৃহে থাকেন! এবং একটি মহা সংগ্রাম করা ব্যাতীত ঈশ্বর একজন প্রচারককে যেতে দেবেন না| একবার আমি একটি লোকের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম যিনি এক মদ্যপ ছিলেন| পরে আমি খোঁজ করে জানলাম যে ঈশ্বর তাকে আহ্বান করেছিলেন, কিন্তু তিনি ঈশ্বরের আহ্বানের বাধ্য হতে খুবই ভয় পেয়েছিলেন এবং সেসব বিষয় মন থেকে ঝেড়ে ফেলতেই তিনি মদ্যপান করতেন| সুতরাং, ভীত হওয়া থেকে দূরে থাকার জন্য এখন তিনি প্রতি রাত্রে মদ্যপান করেন| তার নাম ছিল জন বির্চ (ঠাট্টা করবেন না!) এবং সেখানে সেমিনারীতে তিনি আমার সাথে ছিলেন এবং সকলের অলক্ষ্যে ডর্মিটরিতে তিনি ঢুকতেন, বের হতেন কারণ তিনি মত্ত অবস্থাতে থাকতেন! আলান নামের আর একজন মানুষকে আমি জানতাম| আমি আলানকে যীশুর প্রতি চালিত করেছিলাম, কিন্তু এটা খুব কঠিন কাজ ছিল| কেন? আলান ভীত ছিলেন যে যদি তিনি উদ্ধার লাভ করেন তাকে তো স্বর্গে যেতে হবে! স্বর্গে যেতে তিনি এত ভীত ছিলেন কেন? একদিন আমাকে তিনি বলেছিলেন, “আমাকে আমার পিতার সাথে আবার সাক্ষাৎ করতে হবে এবং আমি সেমিনারীতে না যাওয়ার এবং পিতার মতন একজন প্রেসবাইটেরিয়ান প্রচারক না হওয়ার কারণে তিনি আমার উপরে খুব রেগে আছেন|” আলান ষাট বছরের বেশি বয়সী ছিলেন| তিনি রবিবারে একটি প্রেসবাইটেরিয়ান মন্ডলীতে বসে ছিলেন, উদ্ধার পেতে ভয় পাচ্ছিলেন কারণ তার মৃত পিতা স্বর্গেও তার উপরে ক্রোধান্বিত হবেন! চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি সেই চিন্তা দ্বারা নির্যাতিত হয়ে আসছিলেন| কিন্তু আমি তাকে উপলব্ধি করাতে পেরেছিলাম যে তার পিতা [রেভা. মিঃ ব্ল্যাক] স্মিত হাসি দিবেন এবং তাকে জড়িয়ে ধরবেন, যেমন অপব্যয়ী পুত্রের পিতা, তার ছেলে ঘরে ফেরার পরে করেছিলেন| আলান ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যাকে আমি কখনো খ্রীষ্টের প্রতি চালিত করতে পেরেছিলাম! যখন আমি সেমিনারীতে ছিলাম, কলেজ-বয়সী একটি মেয়ে আমাদের সভায় পরিত্রাণ লাভ করেছিল| সে ছিল এক মুখ-চোরা মেয়ে, কিন্তু আমি লক্ষ করেছিলাম যে সে সমস্যার মধ্যে আছে, কাজেই আমি তার সাথে কথা বলতে গিয়েছিলাম| সে বলেছিল, “আমার মাকে বলতে আমি ভয় পাচ্ছি যে আমি পরিত্রাণ লাভ করেছি|” আমি বলেছিলাম, “যাও এবং তোমার মাকে বল| তিনি পাগল হয়ে যাবেন না|” কিন্তু আমি ভুল ছিলাম| যখন তার মা জানলেন যে তিনি পরিত্রাণ লাভ করেছেন, তিনি লাথি মেরে সেই মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন| আমি দেখলাম মেয়েটি কাঁদছে| কাজেই আমি বলেছিলাম, “আমাকে যেতে এবং তোমার মায়ের সাথে কথা বলতে দাও|” আমি একটা স্যুট ও টাই পরে সুন্দরভাবে সাজগোজ করলাম, এবং সেই মহিলার সাথে দেখা করতে গেলাম| যখন তিনি বুঝতে পারলেন যে আমি কে, তিনি আমার প্রতি চিৎকার করতে লাগলেন| শেষ পর্যন্ত আমি মহিলার শোয়ার ঘরে প্রবেশ করতে সক্ষম হলাম| আমি বলেছিলাম, “আপনি কি আপনার মেয়েকে বাড়িতে আসতে দিতে চান না?” তিনি বলেছিলেন, “সে যখন যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হয় আর ড্রাগ নেয় আমি সেটা সহ্য করতে পারি| কিন্তু এখন সে একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসী! এবং আমি কখনো তাকে আমার বাড়িতে আর থাকতে দেবো না|” অসহায় মেয়েটি মন্ডলীর কোন একজনের বাড়ীতে চলে গেল এবং একটি চাকরীও পেল, এবং তার কলেজ পড়া শেষ করল| শেষ পর্যন্ত মেয়েটি একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসী সুন্দর যুবককে বিয়ে করেছিল| আমি বুঝতে পারলাম যে তার মা তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেননি| সেই যুবক দম্পতি মিশনারি হিসাবে ইউরোপের কয়েকটি দেশে গিয়েছিলেন| তাদের সাহায্য করতে আমরা নিয়মিত প্রতি মাসে তাদের টাকা পাঠাতাম| তারপরে একদিন আমি শুনলাম যে ঐ মেয়েটির মায়ের বাড়ীর দরজার সামনে খবরের কাগজ ডাঁই করে রাখা আছে| পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে ঢোকে এবং তার মাকে দেখতে পায় – মেঝেতে মৃত পড়ে আছেন – তার হাতে একটি আধাখালি ভদকার বোতল ধরা ছিল! আহা, খ্রীষ্ট বিশ্বাসী ও মিশনারি হয়ে সেই মেয়েটিকে কি পরিমান অশ্রুজল ও বেদনার মধ্যে দিয়েই না যেতে হয়েছিল! কিন্তু তার ভয় অতিক্রম করতে এবং মিশন ফিল্ডে প্রভুকে অনুসরণ করার জন্যে সেই মেয়েটি যীশুকে যথেষ্ট ভালবাসত! আর সেইসঙ্গে যীশু যা বলেছেন তা শোনার প্রতি, এবং তিনি যা বলেছেন তার প্রতি বাধ্য থাকতে সেই মেয়েটি যথেষ্ট আত্মিক ছিল| উঠে দাঁড়ান এবং আপনার বাইবেলের মথি 10:34-39 পদ দেখুন| “মনে করিও না যে, আমি পৃথিবীতে শান্তি দিতে আসিয়াছি; শান্তি দিতে আসি নাই, কিন্তু খড়্গ দিতে আসিয়াছি| কেননা আমি পিতার সহিত পুত্ত্রের, মাতার সহিত কন্যার, এবং শাশুড়ীর সহিত বধূর বিচ্ছেদ জন্মাইতে আসিয়াছি; আর আপন আপন পরিজনই মনুষ্যের শত্রু হইবে| যে কেহ পিতা কি মাতাকে আমা হইতে অধিক ভাল বাসে, সে আমার যোগ্য নয়; এবং যে কেহ পুত্ত্র কি কন্যাকে আমা হইতে অধিক ভাল বাসে, সে আমার যোগ্য নয়| আর যে কেহ আপন ক্রুশ তুলিয়া লইয়া আমার পশ্চাৎ না আইসে, সে আমার যোগ্য নয়| যে কেহ আপন প্রাণ রক্ষা করে, সে তাহা হারাইবে; এবং যে কেহ আমার নিমিত্ত আপন প্রাণ হারায়, সে তাহা রক্ষা করিবে|” (মথি 10:34-39)| আপনারা বসতে পারেন| আমি জানি যে আপনাদের মধ্যে কারও কারও পিতামাতা আছেন যারা আমাদের মন্ডলী থেকে আপনাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে তাদের যথাসাধ্য করবেন| অনুগ্রহ করে এই মেয়েটির সাহসিকতার কথা স্মরণ করুন এবং তার উদাহরণ অনুসরণ করুন| যদি আপনি তা করেন, তারা আপনার উপরে ক্রোধান্বিত হবেন - কিছু সময়ের জন্য| কিন্তু যখন তারা আপনার সুন্দর জীবন দেখবেন, তারা শেষ পর্যন্ত - ভবিষ্যতে - আপনার সাথে আমাদের মন্ডলীতে আসবেন| কিন্তু খ্রীষ্টকে অনুসরণ করার বিশ্বাস আপনাকে অবশ্যই রাখতে হবে, এমনকী যদি আপনার পিতামাতা আর কখনও আপনাকে গ্রহণ না করেন তাহলেও! যোনার মতন হবেন না এবং সদাপ্রভুর সামনে থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না!!! চিনা মন্ডলীতে, আমার দুইজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল – তাদের নাম বেন ও জ্যাক| বেন ছিলেন ডাঃ লীন এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী| শেষে একদিন তিনি তার বান্ধবীর সাথে গোপনে উধাও হয়ে যান| আমি আর কখনও তাকে দেখিনি| কিন্তু জ্যাক ফার্মাসিস্ট হওয়ার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন| যদিও তার এটা পছন্দ ছিল না, সেইজন্যে তিনি টালবট সেমিনারীতে চলে যান এবং একজন প্রচারক হন| তিনি আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু ছিলেন| তার বিয়ের অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম অতি প্রয়োজনীয় ব্যক্তি| আমাদের সভার একটিতে তিনি যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন| তখন তিনি লিখেছিলেন, “বেশ কয়েক বছর পরে ইহা আমার নিজের পিতা ও মাতার পরিত্রাণের ফল উৎপন্ন করিয়াছিল…আমি প্রত্যক্ষ করিয়াছিলাম আমার পিতা প্রশিক্ষণ দিতেছেন এবং সান্ডে স্কুল শিক্ষক হিসাবে সেবা করিতেছেন, তাহার ছাত্রদের জীবন প্রভাবিত করিতেছেন এবং মন্ডলীর বিকাশের প্রতি অবদান রাখিতেছেন|” II. দ্বিতীয়, যোনা’র দুর্দশা| “কিন্তু যোনা সদাপ্রভুর সম্মুখ হইতে তর্শীশে পলাইয়া যাইবার নিমিত্ত উঠিলেন; তিনি যাফোতে নামিয়া গিয়া, তর্শীশে যাইবে এমন এক জাহাজ পাইলেন; তখন জাহাজের ভাড়া দিয়া সদাপ্রভুর সম্মুখ হইতে নাবিকদের সহিত তর্শীশে যাইবার জন্য সেই জাহাজে প্রবেশ করিলেন| কিন্তু সদাপ্রভু সমুদ্রে প্রচন্ড বায়ু পাঠাইয়া দিলেন, সমুদ্রে ভারী ঝড় উঠিল, এমন কি, জাহাজ ভাঙ্গিয়া যাইবার উপক্রম হইল” (যোনা 1:3-4;)| দেখুন| যোনা জানতেন যে ঈশ্বরের থেকেই ঝড় এসেছিল| “তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, আমাকে ধরিয়া সমুদ্রে ফেলিয়া দেও, তাহাতে সমুদ্র তোমাদের পক্ষে ক্ষান্ত হইবে; কেননা আমি জানি আমারই দোষে তোমাদের উপরে এই ভারী ঝড় উপস্থিত হইয়াছে” (যোনা 1:12)| শেষ পর্যন্ত নাবিকেরা যোনাকে তুললেন এবং তাকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলেন, এবং সমুদ্র তার ক্রোধ থেকে ক্ষান্তি দিল| “আর সদাপ্রভু যোনাকে গ্রাস করণার্থে একটা বৃহৎ মৎস্য নিরূপন করিয়াছিলেন; সেই মৎস্যের উদরে যোনা তিন দিন ও তিন রাত্রি যাপন করিলেন| তখন যোনা ঐ মৎস্যের উদরে থাকিয়া আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিকটে প্রার্থনা করিলেন” (যোনা 1:17-2:1)| প্রথমে আমার এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছিল| কিন্তু পরে আমি দেখলাম যে এই ঘটনাটি হল যীশুর একটি নমুনা, যিনি ক্রুশের উপরে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, তাঁকে কবরে শায়িত করা হয়েছিল, আর তারপরে তিনি মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন| যোনা এবং সেই বিশাল মাছটির সম্পর্কে ডঃ এম. আর. ডিহান যা বলেছেন সেসব আমি পরবর্তীতে পড়েছিলাম| ডঃ ডিহান বলেছেন যে সেই বিশাল মাছের পেটের ভিতরে যোনা মারা গেছিলেন| ডঃ জে. ভারন্ন ম্যাকগী বলেছেন, এই পুস্তক প্রকৃতপক্ষে পুনরুত্থাপন এর ভবিষ্যবাণী বিষয়ক| প্রভু যীশু স্বয়ং বলিয়াছেন যে ঠিক যেরূপ নীনবীয়দের নিকটে যোনা একটি চিহ্ন ছিলেন, তদ্রুপে তাহার পুনরুত্থানের মধ্য দিয়া তাহার প্রজন্মের প্রতি যোনা হইবেন এক চিহ্নস্বরূপ… যোনার ক্ষুদ্র পুস্তকটি প্রভু যীশুর পুনরুত্থানের বর্ণনা ও শিক্ষা দিতেছে (থ্রু দ্য বাইবেল, মৃত্যু থেকে যোনা’র পুনরুত্থান বিষয়ক টীকা, ভলিউম III, পৃ. 739)| যোনা 1:17 পদ দেখুন| “আর সদাপ্রভু যোনাকে গ্রাস করণার্থে একটা বৃহৎ মৎস্য নিরূপন করিয়াছিলেন; সেই মৎস্যের উদরে যোনা তিন দিন ও তিন রাত্রি যাপন করিলেন” (যোনা 1:17)| এখন যোনার পুস্তকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলি দেখুন, যোনা 2:9 পদের শেষ পাঁচটি শব্দ, “পরিত্রাণ সদাপ্রভুরই কাছে” (যোনা 2:9খ)| আসুন আমি এখানেই থেমে যাই এবং সেই বিশাল মৎস্যের উদরে যোনার চরম যন্ত্রণা সম্বন্ধে আমার নিজের চিন্তাধারা ব্যক্ত করি| অন্য এক রাত্রে আমি যখন যোনার বইটি পড়ছিলাম, আমি কিছু বিষয়ে আটকে গেলাম যা আমি এর আগে কখনও চিন্তা করিনি| এটা চিন্তা করা স্বাভাবিক যে বাহ্যিক পরিস্থিতির “স্ফুলিঙ্গ” দ্বারা উদ্দীপনা হয়| সু-পরিচিত অনেক প্রচারকই বলছেন যে করোনা ভাইরাস হল উদ্দীপনার একটি “স্ফুলিঙ্গ|” আমি এটা কোনভাবেই বিশ্বাস করি না!!! এটা ফিন্নির থেকে আসা একটি চিন্তাধারা, এবং এটা একেবারেই সত্য নয়| কিন্তু এখানে উদ্দীপনার প্রকৃত সত্যটি হল – এটা “প্রজ্জ্বলিত হয়েছে” (আধুনিক নব্য-সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারকদের দ্বারা ব্যবহৃত শব্দগুলিকে আমি ঘৃণা করি) – স্বয়ং ঈশ্বরের দ্বারা উদ্দীপনা “প্রজ্জ্বলিত” হয়, “পরিত্রাণ সদাপ্রভুরই কাছে” (যোনা 2:9খ)| কিন্তু সেই রাত্রে স্পষ্টতঃ আমি যা দেখেছি তাই এখানে বলছি – ইতিহাসে মহা উদ্দীপনার বিষয়ে পড়তে গিয়ে, আমরা আবিষ্কার করছি যে সমস্ত বৃহৎ উদ্দীপনাগুলি শুরু হয়েছে নেতৃবৃন্দের চরম যন্ত্রণা ভোগের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে| তাদের মধ্যে আমার মনে আসছে এমন কয়েকজনের নাম আমি বলছি| জন ওয়েসলী –তার যন্ত্রণা ভোগের মাত্র কয়েকটি আমি তুলে ধরছি যা প্রথম মহা জাগরণের আগে তিনি অনুভব করেছিলেন| একজন মিশনারি হিসাবে জর্জিয়াতে তিনি অকৃতকার্য ছিলেন| দিয়াবলের সাথে তার সংঘর্ষের অভিজ্ঞতা হয়েছিল| প্রতিকৃতিতে তাকে দগ্ধ করা হয়েছিল| তিনি প্রায় মারা যেতে বসেছিলেন| তার বন্ধু জর্জ হোয়াইটফিল্ড তার সাথে সহভাগিতা ভগ্ন করেছিলেন| তার নিজ সম্প্রদায়ের লোকেরাই তাকে অপবাদ দিয়েছিলেন| তার পিতার মন্ডলীতে তিনি নিন্দিত হয়েছিলেন এবং পালকের দ্বারা প্রভুর ভোজে তাকে আমন্ত্রণ জানাতে অস্বীকার করা হয়েছিল| তিনি এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন যিনি তার মাথার চুল উপড়ে নিয়েছিলেন এবং শেষে তাকে ছেড়ে চলে যান| এরপরে ওয়েসলী তার নিজ আত্মার অভিষেকের অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন| একমাত্র তার পরেই কি তিনি তার নিজ আত্মার অভিষেকের অভিজ্ঞতা পান! হিমশীতল আবহাওয়াতেও হাজার হাজার লোক তার প্রচার শোনার জন্যে দাঁড়িয়ে থাকতেন| রাজার এটর্নীর দ্বারা তার জীবন ও কর্মের বিষয়ে বলা হয়েছে: “কোন একক ব্যক্তিত্ব এত বেশি সংখ্যক মন প্রভাবিত করে নাই| কোন একক কন্ঠস্বর এত বেশি হৃদয় স্পর্শ করে নাই| অন্য কোন মানুষ এমন একটি জীবনের কর্ম ইংল্যান্ডের জন্য করেন নাই|” একটি প্রকাশনা সংস্থা সম্প্রতি বলেছে যে, জন ওয়েসলী ছিলেন “প্রেরিত ব্যক্তিদের সময় থেকেই সর্বাধিক শক্তিশালী প্রচারকদের মধ্যে একজন|” মেরী মোনসেন – চীনে উদ্দীপনার জন্যে তিনি উপবাস ও প্রার্থনা আরম্ভ করেছিলেন| দিয়াবল তাকে টেনে মাটিতে নামিয়েছিল এবং বিশাল সাপের মতন তার শরীর কুন্ডলী পাকিয়ে ধরেছিল| কোন সাহায্য ও সমর্থন ছাড়াই তিনি এগিয়ে যেতেন, একজন একাকী, একক মহিলা মিশনারি হিসাবে যিনি প্রার্থনায় মহা উদ্দীপনা নামিয়েছিলেন যা চিনের গৃহস্থ মন্ডলীতে আজও হয়ে চলেছে| যোনাথান গোফোর্থ – তিনি এবং তার স্ত্রী চিন গেছিলেন যেখানে তারা ভীষন দুঃখভোগ করেন| তাদের সন্তানদের চারজনই সেখানে মারা যায়| মিঃ গোফোর্থ নিজেও দুইবারের মতন প্রায় মারা যেতে বসেছিলেন| তার মৃত সন্তানদের নিয়ে একটি ঠেলা-গাড়ি করে তিনি 12 ঘন্টা ধরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন শুধু তাদের একটি খ্রীষ্টিয় সমাধিক্ষেত্র সমাধিস্থ করার জন্যে| আমার ইচ্ছা আছে আমি সময় করে একদিন আপনাদের বলব যে কিভাবে মিসেস গোফোর্থ ও তার সন্তানরা দুঃখভোগ করেছিলেন| যখন তাদের শিশু কনস্টান্স মারা যায়, “আমাদের ছোট্ট কনস্টান্সের দেহ তার বোনের সমাধির পাশে শায়িত করা হয়েছিল তার জন্মদিনে, 1902 সালের 13 অক্টোবর এর দিনটিতে|” আমাদের আগের মন্ডলীতে কয়েকটি সভা হয়েছিল যা চিনে ডঃ গোফোর্থের সাথে করা সভাগুলির মতন বহির্মুখী বলে মনে হয়েছিল| আমি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই “বহির্মূখী” শব্দটি বলেছি| কিন্তু আমাদের মন্ডলীর অধিকাংশ “নেতা” ঈশ্বরের প্রতি মিথ্যা বলেছেন যখন তারা নিজেদের পাপের স্বীকারোক্তি করেছিলেন| সেই অনুসারে, যেমন ডঃ টোজার বলেছেন, তারা দুইটি পাপ সংঘটিত করেছেন – মিথ্যাভাষণের পাপ, এবং ঈশ্বরের নামে মিথ্যাভাষণের পাপ! ডঃ কেগানের কাছে ক্রেইগটন মিথ্যা বলেছিলেন যখন তিনি বলেন যে “পরিপূর্ণতা” লাভের জন্যে তার “প্রচার” করার দরকার নেই| অতএব এই দুঃখী ছোট্ট মানুষটি পিতরের মতন, যিনি আন্তরিকভাবেই অনুশোচনা করেছিলেন, হওয়ার তুলনায় বরং আরও বেশি করে যিনি খ্রীষ্টের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন সেই যিহুদার মতন হয়ে পড়েছিলেন| যোনাথান গোফোর্থের অধীনে এই প্রকৃত উদ্দীপনা ছিল খুব বেশি করে সেই প্রকৃত উদ্দীপনার মতনই যা আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখেছিলাম ডঃ তিমথী লিন এর অধীনে, 1960 সালের শেষভাগে প্রথম চিনা ব্যাপটিস্ট মন্ডলীতে, যেখানে “আত্মার বরদান” এর উপরে কোন জোর ছিল না – কিন্তু শুধুমাত্র আন্তরিক অনুতাপ ও প্রার্থনা ছিল| দুঃখজনকভাবে, এটা আমার কাছে মনে হয়, যে সেই “দৃঢ়প্রত্যয় এবং অনুতাপ” শুধুমাত্র আবেগপূর্ণ ছিল – কিন্তু আন্তরিক নয়| এটা আমাকে এখনও আশ্চর্যান্বিত করে যে ক্রেইগটন ও গ্রিফিথের মতন মানুষ মনে করেছিলেন যে তারা ঈশ্বরকে বোকা বানাতে পারবেন!!! কি পরিমাণ অন্ধত্ব!!! কয়েক রাত আগে আমাদের বাথরুমে যখন আমি এই ধর্মোপদেশটি লিখছিলাম, আমি আমার বাথটবের কিনারার উপরে বসে ছিলাম| একটা সময় আমি পিছনে বাথটবের মধ্যে পড়ে গেলাম, আর আমাদের টবের তলায় আমার মাথা ঠুকে গেল| আমার দুই পা সোজা উপরের দিকে করে সেখানে আমি পড়ে থাকলাম| আমি একটু এপাশ-ওপাশ নড়াচড়া করে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করলাম, কিন্তু পারলাম না| যখন আমি সেখানে পড়ে ছিলাম, টাবের মধ্যে আটক হয়ে, আমি ভাবলাম আমার ঘাড়টাই বুঝি আমি ভেঙ্গে ফেলেছি| কিন্তু আমার পায়ের পাতার আঙুলগুলি আমি নাড়াচাড়া করতে পারছিলাম, কাজেই আমি জানতাম যে আমি আমার মেরুদন্ড ভেঙ্গে ফেলিনি| সেই ভয়ানক অবস্থাতে যখন আমি সেখানে শুয়ে ছিলাম, দিয়াবল আমাকে বলেছিল যে আমাদের কখনই প্রকৃত উদ্দীপনা হবে না| সেটাই হল যখন ঈশ্বর আমাকে দেখিয়ে দিলেন যে ইতিহাসে মহানতম উদ্দীপনা এসেছে ওয়েসলী, মেরী মোনসেন, এবং যোনাথান গোফোর্থ, এবং জন সাং এর মতন অন্যান্য মানুষেরা, যেমন যোনা সেই বিশাল মাছের পেটের ভিতরে ছিলেন, সেরকম একটি মহা পরীক্ষার অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পরে, ঐ ধরণের একটি উদ্দীপনা সহ ঈশ্বর তাদের বিশ্বাস করতে পারার আগে| আমাদের কি এখন একটি প্রকৃত উদ্দীপনা হতে পারে? সম্ভবত| কিন্তু আমাদের অবশ্যই খুব আন্তরিক এবং খুব বিশ্বস্ত হতে হবে অথবা ঈশ্বর সেই প্রকৃত উদ্দীপনা পাঠাবেন না, যা এতগুলি বছর ধরে আমাদের কয়েকজন প্রার্থনা করে আসছেন! যোনার মতন, পালক রিচার্ড উর্মব্রান্ডও মাছের পেটে ছিলেন 14 বছরের জন্যে একটি কম্যুনিস্ট কারাগারে বন্দী হয়ে| ঐ 14 বছরের মধ্যে তিন বছর তিনি অতিবাহিত করেছিলেন নির্জন কারাবাসে, তার কম্যুনিস্ট অত্যাচারীদের ছাড়া আর একজনও কাউকে না দেখে| ঈশ্বর কেন ঐসবের মধ্যে দিয়ে উর্মব্রান্ডকে যেতে দিয়েছিলেন? যদি আপনি তার লেখা বই পড়েন আপনি দেখবেন যে তাকে প্রেমময় ও আন্তরিক হওয়ার শিক্ষা দিতে ঈশ্বর কারাগারের ঐ কক্ষটি ব্যবহার করেছিলেন| রিচার্ড উর্মব্রান্ড এর মতন এমন আন্তরিক আর কোন মানুষের সাক্ষাৎ আমি কখনও পাইনি| সমগ্র বিশ্বের প্রতি আন্তরিকভাবে কথা বলা তিনি শিখেছিলেন ঐ নির্জন কারাকক্ষে বসেই যা প্রকাশ পেয়েছিল তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পরে| ক্রেইগটন এবং গ্রিফিথ এর মতন ক্ষুদ্র মানুষেরা কখনই আন্তরিক মানুষ ছিলেন না| এমনকী তারা ঈশ্বরের প্রতি মিথ্যা বলেছিলেন| এমনকী তারা পাপের “স্বীকারোক্তি” করেছিলেন যার মূল্যের কোন বোধ তাদের কাছে কখনই ছিল না| এটা দেখা যথেষ্ট সহজ যে জন ওয়েসলী, মেরী মোনসেন, এবং যোনাথান গোফোর্থ ছিলেন আন্তরিক মানুষ, তুচ্ছতাচ্ছিল্যের মানুষ ছিলেন না| যেমন ছিলেন যোনা! ডঃ এ. ডব্লিউ. টোজার বলেছিলেন, “যদি ইহা করিবার পক্ষে আমরা যথেষ্ট নির্বোধ হই, তাহা হইলে আমরা হয়তো উদ্দীপনা প্রেরনের প্রতি ঈশ্বরের নিকটে অসারভাবে ভিক্ষা করিয়া বছরগুলি অতিবাহিত করিব, যেখানে আমরা অন্ধভাবে তাঁহার প্রয়োজনীয়তাসমূহ অবজ্ঞা করি এবং ক্রমাগতভাবে তাঁহার নিয়ম লঙ্ঘন করিতে থাকি| অথবা এখন হইতে আমরা বাধ্য হওয়া এবং আনুগত্যের আশীর্বাদ শিক্ষা আরম্ভ করিতে পারি| আমাদের সম্মুখে ঈশ্বরের বাক্য রহিয়াছে| আমাদের কেবলমাত্র পাঠ করিতে এবং সেখানে যাহা লিখিত আছে উহা করিতে হইবে এবং উদ্দীপনা…স্বাভাবিকভাবেই আসিবে যেমন বীজ বপনের এবং চারা স্থাপনের পরে শষ্য-চয়ন আসে” (“হোয়াট এবাউট রিভাইভাল? – পার্ট I”)| আন্তরিকতাই হল সেই জিনিস যা ঈশ্বর অন্বেষণ করেন! যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা |
খসড়া চিত্র উদ্দীপনার ভাববাদী - যোনা ! JONAH –THE PROPHET OF REVIVAL! লেখক: ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র “সদাপ্রভুর এই বাক্য অমিত্তয়ের পুত্ত্র যোনার কাছে উপস্থিত হইল, তুমি উঠ, নীনবীতে, সেই মহানগরে যাও, আর নগরের বিরুদ্ধে ঘোষণা কর, কেননা তাহাদের দুষ্টতা আমার সম্মুখে উঠিয়াছে” (যোনা 1:1, 2) | (II রাজাবলী 14:25; মথি 12:39-41; লূক 11:29-30) I. প্রথম, যোনার আহ্বান, যোনা 1:1, 2, 3; ফিলিপীয় 4:13; মথি 10:34-39 | II. দ্বিতীয়, যোনা’র দুর্দশা, যোনা 1:3-4, 12; 1:17-2:1; 1:17; 2:9খ | |