Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




পিতর কিভাবে একজন শিষ্যে পরিণত হয়েছিলেন

HOW PETER BECAME A DISCIPLE
(Bengali)

পাঠ্যাংশটি ডঃ ক্রিস্টোফার এল. কেগান দ্বারা রচিত;
2019 সালের, 1লা সেপ্টেম্বর, প্রভুর দিনের সন্ধ্যাবেলায়
লস্‍ এঞ্জেল্‍সের ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাক্‍ল মন্ডলীতে
ডঃ আর. এল. হেইমার্‌স, জুনিয়র দ্বারা প্রচারিত
Text by Dr. Christopher L. Cagan;
preached by Dr. R. L. Hymers, Jr.
at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Evening, September 1, 2019

‘‘যোহনের কথা শুনিয়া যে দুই জন যীশুর পশ্চাৎ গমন করিয়াছিলেন, তাঁহাদের মধ্যে একজন শিমোন পিতরের ভ্রাতা আন্দ্রিয়| তিনি প্রথমে আপন ভ্রাতা শিমোনের দেখা পান, আর তাঁহাকে বলেন, আমরা মশীহের দেখা পাইয়াছি – অনুবাদ করিলে ইহার অর্থ খ্রীষ্ট [অভিষিক্ত]| তিনি তাঁহাকে যীশুর নিকটে আনিলেন| যীশু তাঁহার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কহিলেন, তুমি যোহনের পুত্ত্র শিমোন, তোমাকে কৈফা বলা হইবে, - অনুবাদ করিলে ইহার অর্থ পিতর [পাথর]| (যোহন 1:40-42; পৃষ্ঠা 1116 স্কোফিল্ড)|


এই ছিল যীশুর সঙ্গে পিতরের হওয়া প্রথম সাক্ষাৎ| তার আদি নাম ছিল শিমোন| যীশু তার নাম দিয়েছিলেন “পিতর,” যার অর্থ “একটি পাথর|” আন্দ্রিয় ছিলেন তার ভাই| পিতর ছিলেন একজন মৎস্যধারী| আন্দ্রিয় এবং পিতর একটি গ্রামে বাস করতেন যেটা গালীল সমুদ্র থেকে খুব দূরে অবস্থিত নয়, যেখানে তারা মাছ ধরতেন| সেখানে জীবনধারণ ছিল কঠিন, যেহেতু মাছ ধরা ছিল শারীরিকভাবে খুব শ্রমসাধ্য, এবং কঠিন একটি কাজ| পিতর ছিলেন বিবাহিত কারণ যীশু তার শাশুড়ির রোগ উপশম করেছিলেন| যীশুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার সময়ে পিতরের বয়স ছিল প্রায় 30 বছর| তিনি ছিলেন শিষ্যদের মধ্যে বয়ঃজেষ্ঠ্য|

গালীল সমুদ্রের মৎস্যধারীরা খুব বলিষ্ঠ হতেন| মাছ ধরা ছিল শারীরিক চাহিদাযুক্ত অত্যন্ত পরিশ্রমের কাজ| ভয়ের সঙ্গে তাদের অনবরত মোকাবিলা করতে হতো, কেননা গালীল সমুদ্রে প্রায়শই হঠাৎ করে প্রচন্ড ঝড়ঝঞ্ঝা এসে পড়ত| ঐসব ঝড়ঝঞ্ঝা তাদের ছোট নৌকাকে উল্টিয়ে দিতে এবং মানুষদের ডুবিয়ে দিতে পারত|

পিতর ফরীশী ছিলেন না| যেহেতু তিনি যিহূদী ছিলেন তাই কোন কোন সময়ে তিনি সমাজগৃহে যেতেন| তিনি অত কঠোর গোঁড়া ছিলেন না, ফরীশীদের মতন| কিন্তু অন্যান্য মৎস্যধারীদের মতন না হয়ে, পিতর নিজের অন্তঃকরণে জানতেন যে তিনি একজন পাপী ছিলেন| পরে একসময়ে তিনি যীশুকে বলেছিলেন, “আমার নিকট হইতে প্রস্থান করুন, কেননা, হে প্রভু, আমি পাপী” (লূক 5:8; পৃষ্ঠা 1078)|

এতদানুসারে, একজন ধার্মিক ব্যক্তি হিসাবে, অথবা একজন উত্তম খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হিসাবে পিতর জীবন শুরু করেননি| তিনি কর্কশ চরিত্রের ছিলেন| একজন মৎস্যধারী হতে গিয়ে তাকে কর্কশ হতে হয়েছিল| তিনি পূর্ণ ভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এক “মন্ডলী ব্যক্তির” মতন ছিলেন না| তিনি মন্দ ভাষা ব্যবহার করতেন এবং তার মেজাজ ছিল রুক্ষ প্রকৃতির| তিনি ছিলেন একজন পাপী যিনি বহু ভুল করেছিলেন|

+ + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + +

এখন আপনার সেল ফোনেই আমাদের ধর্ম্মোপদেশগুলি পাওয়া যাবে|
WWW.SERMONSFORTHEWORLD.COM ওয়েবসাইটে যান|
“অ্যাপ” লেখা সবুজ বোতামটি ক্লিক্‌ করুন|
যে নির্দেশগুলি আসবে সেগুলি অনুসরণ করুন|

+ + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + +

এখন আপনি সেই ব্যক্তির বিষয়ে চিন্তা করুন যাকে আপনি খ্রীষ্টের জন্য জয় করার চেষ্টা করছেন| পিতরের মতন, তিনিও একজন সম্পূর্ণভাবে দক্ষ এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত “মন্ডলী ব্যক্তি” নন| মন্ডলীর সভায় কেন তার আসা উচিৎ তা তিনি বোঝেন না| তিনি মনে করেন ঘন্টার পর ঘন্টা ভিডিও গেমস এর পিছনে সময় ব্যয় করা অথবা দিশাহারা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোটাই ঠিক আছে| তিনি জানেন বাকি প্রত্যেকেই ঠিক তার মতনই| তার নিজের পাপ আছে| তার নিজের ভ্রান্ত ধারণাগুলি তিনি জানেন| তিনি তার নিজের সমস্যাগুলি জানেন| তার সঙ্গে যুক্তিতর্কের দ্বারা আপনি তাকে খ্রীষ্টের প্রতি জয় করতে পারবেন না| এর পরিবর্তে, আপনি তাকে যীশুর সম্বন্ধে বলুন| তাকে বলুন যে যীশু তার জন্য কি করেছেন| তার সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করুন| আপনার সঙ্গে তাকে মন্ডলীতে আনতে আপনাকে মনোযোগী হতে হবে| পিতর প্রশিক্ষিত ছিলেন না, এবং জগতের এক দিশাহারা ব্যক্তিও ছিলেন না|

তার ভাই আন্দ্রিয় পিতরকে যীশুর সম্পর্কে বলেছিলেন| “তিনি প্রথমে আপন ভ্রাতা শিমোনের [পিতর] দেখা পান, আর তাঁহাকে বলেন, আমরা মশীহের [মশীহা] দেখা পাইয়াছি – অনুবাদ করিলে ইহার অর্থ খ্রীষ্ট” (যোহন 1:41; পৃষ্ঠা 1116)| প্রথমবার যীশুর বিষয়ে শুনেই পিতর তাঁর শিষ্য হয়ে যাননি|

এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ| “সিদ্ধান্তবাদ” এর উপরে লেখা একটি রচনাতে, ডঃ এ. ডব্লিউ. টোজার স্পষ্ট করে বলেছেন যে জোর করে লোকদের দিয়ে একটা “পাপীর প্রার্থনা” বলিয়ে সাধারণত প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী, প্রকৃত শিষ্য তৈরী করা যায় না| পিতর কোন “সিদ্ধান্ত” নেননি যখন প্রথমবার তিনি যীশুর বিষয়ে শুনেছিলেন| হ্যাঁ, তিনি আগ্রহী ছিলেন| তিনি আরও বেশী কিছু শুনতে চেয়েছিলেন| কিন্তু এটা পরবর্তী পর্যন্ত ছিল না, যোহন ব্যাপ্তাইজক গ্রেপ্তার হওয়ার পরে, পিতর শিষ্য হিসাবে যীশুকে অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন|

‘‘আর যোহন কারাগারে সমর্পিত হইলে পর যীশু গালীলে আসিয়া ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচার করিয়া বলিতে লাগিলেন, ‘কাল সম্পূর্ণ হইল, ঈশ্বরের রাজ্য সন্নিকট হইল; তোমরা মন ফিরাও, ও সুসমাচারে বিশ্বাস কর|’ পরে গালীল সমুদ্রের তীর দিয়া যাইতে যাইতে তিনি দেখিলেন, শিমোন ও তাঁহার ভ্রাতা আন্দ্রিয় সমুদ্রে জাল ফেলিতেছেন, কেননা তাঁহারা মৎস্যধারী ছিলেন| যীশু তাঁহাদিগকে কহিলেন, আমার পশ্চাৎ আইস, আমি তোমাদিগকে মনুষ্যধারী করিব| আর তৎক্ষণাৎ তাঁহারা জাল পরিত্যাগ করিয়া তাঁহার পশ্চাদগামী হইলেন’’ (মার্ক 1:14-18; পৃষ্ঠা 1046)|

প্রত্যেক ব্যক্তি যাদের আপনি যীশুর দিকে চালিত করার চেষ্টা করছেন – কোন এক সময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন যে তিনি খ্রীষ্টের শিষ্যে পরিণত হবেন বা হবেন না| এটাই হচ্ছে সেই সংগ্রাম| এটাই হচ্ছে সেই যুদ্ধ| এটা তখনই শেষ হয় না যখন তিনি কয়েক সপ্তাহ বা মাসের জন্য আপনার সঙ্গে মন্ডলীতে আসতে থাকেন| এটা হল একটা ক্রমাগত চলতে থাকা যুদ্ধ যা মাস অথবা এমনকী বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে|

এটা না জানাই ক্রেইগটন চেনকে সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারে এতটা অকার্যকর করে তুলেছিল| তিনি, অন্য অনেক সিদ্ধান্তবাদীদের মতন, মনে করেন যে তারা “অভ্যন্তরে” আছেন যখন তারা সুসমাচারের অরূপান্তরিত “প্রকৃত সত্য” উপলব্ধি করেন| চেন এবং ওয়ালড্রিপ এর মতন সিদ্ধান্তবাদীগণ নতুন লোকদের অনেক “দূরে” চলে যেতে দেন| তারা উপলব্ধি করেন না যে প্রকৃত আত্মা-জয় হল একটি ক্রমাগত চলমান সংগ্রাম| সেই কারণে প্রকৃত আত্মা জয়ে প্রয়োজন হয় প্রজ্ঞা: “জ্ঞানবান [অপরদের] প্রাণ লাভ করে” (হিতোপদেশ 11:30; পৃষ্ঠা 680)| এই পদটি এইভাবেও অনুবাদ করা যেতে পারে, “যিনি জ্ঞানবান তিনি আত্মা জয় করেন|” ডঃ এ. ডব্লিউ. টোজার জ্ঞানপূর্বক বলেছিলেন,

‘‘দুটি অভিজ্ঞতার একটিতে সমস্ত পরিত্রাণকে ঠেলিয়া দিবার প্রচেষ্টার দ্বারা তাৎক্ষণিক খ্রীষ্টধর্মের সমর্থনকারীগণ সম্প্রসারণের নিয়মকে জাঁকালোভাবে প্রদর্শন করেন, যাহা সমগ্র প্রকৃতির মধ্যে নিরন্তর প্রবাহিত হইতেছে| দুঃখভোগের পবিত্রতা, ক্রুশ বহন এবং ব্যবহারিক আনুগত্যের প্রভাবকে তাহারা অবজ্ঞা করেন| তাহারা আত্মিক প্রশিক্ষণের আবশ্যকতা, সঠিক ধর্মীয় অভ্যাস গঠনের অপরিহার্যতা এবং জগৎ, দিয়াবল ও মাংসের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেন” (The Inadequacy of ‘Instant Christianity’) |

একটি বিশাল “মন্ডলী বিভাজন” হওয়ার সময়ে পিতর পরীক্ষিত হয়েছিলেন| অন্যেরা মন্ডলী ত্যাগ করে চলে যাচ্ছিলেন| পিতর মন্ডলী পরিত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন| তিনি অন্যদের সঙ্গে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন|

‘‘ইহাতে তাঁহার অনেক শিষ্য পিছাইয়া পড়িল, তাঁহার সঙ্গে আর যাতায়াত করিল না| অতএব যীশু সেই বারো জনকে কহিলেন, তোমরাও কি চলিয়া যাইতে ইচ্ছা করিতেছ? শিমোন পিতর তাঁহাকে উত্তর করিলেন, প্রভু, কাহার কাছে যাইব? আপনার নিকটে অনন্ত জীবনের কথা আছে; আর আমরা বিশ্বাস করিয়াছি এবং জ্ঞাত হইয়াছি যে, আপনিই ঈশ্বরের সেই পবিত্র ব্যক্তি’’ (যোহন 6:66-69; পৃষ্ঠা 1124)|

যীশু সেই বারো জনকে বলেছিলেন, “তোমরাও কি চলিয়া যাইতে ইচ্ছা করিতেছ?” “শিমোন পিতর তাঁহাকে উত্তর করিলেন, প্রভু, কাহার কাছে যাইব? আপনার নিকটে অনন্ত জীবনের কথা আছে” (যোহন 6:67, 68)| এই অধ্যয়ে দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ|

1.  যারা পরিত্যাগ করেছিলেন তারা এর আগে কখনও তাঁর থেকে শোনেননি! আমি দেখেছি, আমার 61 বছরের সেবাকাজের সময়ে, যে একটি মন্ডলী বিভাজনের সময়ে যারা চলে গিয়েছেন তারা কখনও দৃঢ় শিষ্যে পরিণত হননি| আমি কখনও একজনকেও দেখিনি যিনি হয়েছেন!

2.  যদি পিতর “বিভাজন” এর সময়ে চলে যেতেন তাহলে তিনিও সম্ভবত আর কখনও মন পরিবর্তন করতেন না|

‘‘তাহারা আমাদের হইতে বাহির হইয়াছে; কিন্তু আমাদের ছিল না; কেননা যদি আমাদের হইত, তবে আমাদের সঙ্গে থাকিত; কিন্তু তাহারা বাহির হইয়াছে, যেন প্রকাশ হইয়া পড়ে যে, সকলে আমাদের নয়’’ (I যোহন 2:19; পৃষ্ঠা 1322)|

‘‘তাহারা ত তোমাদিগকে বলিতেন, শেষকালে, উপহাসকেরা উপস্থিত হইবে, তাহারা আপন আপন ভক্তিবিরুদ্ধ অভিলাষ অনুসারে চলিবে| উহারা দলভেদকারী, প্রাণিক, আত্মাবিহীন’’ (যিহূদা 18, 19; পৃষ্ঠা 1329)|

যারা ছেড়ে চলে যান তারা দেখিয়ে দেন যে তারা খ্রীষ্টিয় শিষ্যত্বের বাস্তবতা দেখেননি| বাইবেলের কয়েকটি পদ মুখস্থ করার, অথবা কয়েকটি মতবাদে বিশ্বাস করার তুলনায় একজন শিষ্য হওয়া, একজন প্রকৃত মন পরিবর্তনকারী হওয়া অনেক বেশী কিছু| স্থিতিশীল থাকার একটি সিদ্ধান্তের সঙ্গে শিষ্যত্ব সংশ্লিষ্ট; এবং ছেড়ে চলে যাওয়ার কোন মনোভাব সেখানে নেই, কেননা সেখানে “বাহিরে” অর্থবহ কিছুই নেই| পিতর এটা দেখেছিলেন – কিন্তু তিনি তখনও মন পরিবর্তনকারী ছিলেন না!

আমার মনে হয় আপনি উপলব্ধি করতে পারেন যে আত্মা জয় করা হলো বিরাট এক প্রকল্প! এটা শুধুমাত্র একটা নাম সংগ্রহ করা অথবা একটি প্রার্থনা প্রার্থনা করার জন্য কাউকে অর্জন করা নয়| এক জীবন্ত ব্যক্তির আত্মার জন্য এটা একটা জীবন্ত সংগ্রাম!

কে এই যীশু সেই সম্পর্কে আলোকপাত করার তুলনায় মন পরিবর্তন এবং শিষ্যত্ব অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ!

‘‘তিনি তাঁহাদিগকে বলিলেন, কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কে? শিমোন পিতর উত্তর করিয়া কহিলেন, আপনি সেই খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্ত্র| যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, হে যোনার পুত্ত্র শিমোন, ধন্য তুমি! কেননা রক্তমাংস তোমার নিকটে ইহা প্রকাশ করে নাই, কিন্তু আমার স্বর্গস্থ পিতা প্রকাশ করিয়াছেন’’ (মথি 16:15-17; পৃষ্ঠা 1021)|

পিতা ঈশ্বর পিতরকে দেখিয়েছিলেন (আলোকিত করেছিলেন) যে যীশু কে ছিলেন| যীশু প্রকৃতই কে ছিলেন সেটা ঈশ্বর পিতরকে দেখিয়েছিলেন| কিন্তু পিতর তখনও মন পরিবর্তন করেননি!!! অনেক লোক মনে করে যে তিনি তখন মন পরিবর্তনকারী ছিলেন| কিন্তু তারা ভুল করেন!

যীশু প্রকৃতই কে সেটা যোহন পিতরকে দেখানোর ঠিক পরে – তখন পিতর সুসমাচার অস্বীকার করতে শুরু করেন!!!

‘‘সেই সময় অবধি যীশু আপন শিষ্যদিগকে স্পষ্টই বলিতে লাগিলেন যে, তাঁহাকে যিরূশালেমে যাইতে হইবে, এবং প্রাচীনবর্গের, প্রধান যাজকদের ও অধ্যাপকদের হইতে অনেক দুঃখ ভোগ করিতে হইবে, ও হত হইতে হইবে, আর তৃতীয় দিবসে উঠিতে হইবে| ইহাতে পিতর তাঁহাকে কাছে লইয়া অনুযোগ করিতে লাগিলেন, বলিলেন, প্রভু, ইহা আপনা হইতে দূরে থাকুক, ইহা আপনার প্রতি কখনও ঘটিবে না| কিন্তু তিনি মুখ ফিরাইয়া পিতরকে কহিলেন, আমার সম্মুখ হইতে দূর হও, শয়তান, তুমি আমার বিঘ্নস্বরূপ; কেননা যাহা ঈশ্বরের, তাহা নয়, কিন্তু যাহা মনুষ্যের, তাহাই তুমি ভাবিতেছ’’ (মথি 16:21-23; পৃষ্ঠা 1022)|

পিতর সুসমাচারের প্রতিরোধ করেছিলেন| তিনি ক্রুশে যাবেন এবং মৃতগণের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হবেন এমন কথা বলার জন্য, তিনি এমনকী যীশুকে তিরষ্কারও করেছিলেন| তিনি সুসমাচার প্রত্যাখান করেছিলেন! কাজেই, কোন এক ব্যক্তি বহু বছর যাবৎ যীশুর অনুসরণকারী হতে পারেন এবং তখনও লিখতে এবং যুদ্ধ করতে পারেন| নির্বিকল্পভাবে!

তিনি কত দৃঢ় খ্রীষ্ট বিশ্বাসী ছিলেন সেই বিষয়ে পিতর বড়াই করতেন| খ্রীষ্ট ক্রুশারোপিত হওয়ার আগের রাত্রে, পিতর তার প্রতি বলেছিলেন, “যদি আপনার সহিত মরিতেও হয়, কোন মতে আপনাকে অস্বীকার করিব না” (মথি 26:35; পৃষ্ঠা 1038)| তবুও মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই পিতর যীশুকে তিন বার অস্বীকার করেছিলেন!

তখনও পিতর জয়ী হননি! যীশুর থেকে তিনি পারতপক্ষে ছুটে পালিয়ে গিয়েছিলেন যখন গেৎশিমানী উদ্যানে যীশুকে বন্দী করা হয়| তিনি তিন বার উচ্চস্বরে যীশুকে অস্বীকার করেছিলেন| অন্যদের সাথে পিতর একজন শিষ্য ছিলেন – কিন্তু তার সংগ্রাম তখনও শেষ হয়নি| তিনি তখনও জয়ী হননি| এমনকী এখনও পর্যন্ত তিনি “অভ্যন্তরে” ছিলেন না!

এটা হয়নি যতক্ষণে না যীশু মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন যখন পিতর শেষ পর্যন্ত মন পরিবর্তন করেছিলেন| যোহন 20:22 পদে এটা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে,

‘‘ইহা বলিয়া তিনি [যীশু] তাঁহাদের [পিতর এবং অন্যদের] উপরে ফুঁ দিলেন, আর তাঁহাদিগকে কহিলেন, পবিত্র আত্মা গ্রহণ কর’’ (যোহন 20:19-22; পৃষ্ঠা 1144)|

টীকাকার জন এলিকট আমাদের বলেছেন যে প্রেরিত যোহন “স্মরণ করিয়াছিলেন যে কেমন করিয়া সেই মুহূর্তের প্রভাব তাহাদের ভবিষ্যৎ জীবনে একটি নতুন আত্মা সৃষ্টি করে, যাহার দ্বারা তাহারা মৃত্যু হইতে জীবনের প্রতি আহুত হইয়াছিলেন” (Ellicott’s Commentary on the Whole Bible)| এবং অবশ্যই, ডঃ জে. ভারন্‌ন ম্যাকগী বলেছিলেন যে এটাই সেই সময় যখন পিতর পুনঃসৃষ্ট হয়েছিলেন, পুনর্জন্ম লাভ করেছিলেন, সেই রাত্রে যখন যীশু মৃতগণের থেকে উঠেছিলেন! (See Thru the Bible on John 20:22)|

সেই ছিল সময় যখন পিতর সম্পূর্ণভাবে যীশুকে বিশ্বাস করেছিলেন| শীঘ্রই তিনি একজন বলিষ্ঠ প্রেরিত-তে পরিণত হয়েছিলেন যিনি পঞ্চসপ্তমীতে প্রচার করেছিলেন যেখানে তিন হাজার লোক পরিত্রাণ লাভ করেছিলেন| খ্রীষ্টকে অস্বীকার করার চাইতে বরং এরপরে তিনি খ্রীষ্টের জন্যে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন| কিন্তু সেই সবের আগে, পিতর ভ্রান্ত সূচনা এবং ব্যর্থতা এবং সংগ্রাম এবং অন্তর্দৃষ্টির মধ্যে দিয়ে গেছিলেন|

আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন যে আত্মা জয় করা হলো একটি তীব্র এবং মুখ্য সংগ্রাম? একটা ফোন কল অথবা একটা প্রার্থনা দিয়ে এটা করা যায় না| একজন পুরুষ বা মহিলার জীবন-আত্মার জন্য এটা হলো একটি জীবন-সংগ্রাম| এতে আপনার প্রার্থনার দরকার হবে| এতে আপনার জ্ঞানের দরকার হবে| এতে আপনার প্রচেষ্টা লাগবে| এতে আপনার সময় লাগবে| যদি আপনি আপনার সমগ্র জীবনে একটি আত্মা জয় করে থাকেন, আপনি আশীর্বাদিত| আপনি অনেক কিছু করেছেন| আপনি খুব ভাল করেছেন| আমি প্রার্থনা করছি যেন আপনি এটা করতে সক্ষম হন|

অনুসরণ করার পক্ষে এটা কি একটা সুদীর্ঘ পথ বলে মনে হচ্ছে? এটা কি খুব কঠিন আর দীর্ঘ বলে মনে হচ্ছে? যীশু বলেছেন, “কেননা জীবনে যাইবার দ্বার সঙ্কীর্ণ ও পথ দুর্গম, এবং অল্প লোকেই তাহা পায়” (মথি 7:14; পৃষ্ঠা 1004)|

কিন্তু আসুন এই বার্তার উপরে শেষ বাক্যটি পিতর স্বয়ংকে আমরা বলতে দিই| এগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ শেষ বাক্য যা পিতর লিখেছিলেন তিনি ক্রুশারোপিত হওয়ার আগে,

‘‘কিন্তু আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্ত্তা যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও জ্ঞানে বর্দ্ধিষ্ণু হও| এখন ও অনন্তকাল পর্য্যন্ত তাঁহার গৌরব হউক” (II পিতর 3:18; পৃষ্ঠা 1320)|


যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটে www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়তে পারেন| ক্লিক করুন “প্রচার পান্ডুলিপি|”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।