এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
অশ্রুপাতে প্রার্থনাTEARS IN PRAYER ডঃ ক্রিস্টোফার এল. কেগান ‘‘ইনি মাংসে প্রবাসকালে প্রবল আর্ত্তনাদ ও অশ্রুপাত সহকারে তাঁহারই নিকটে প্রার্থনা ও বিনতি উৎসর্গ করিয়াছিলেন, যিনি মৃত্যু হইতে তাঁহাকে রক্ষা করিতে সমর্থ, এবং আপন ভক্তি প্রযুক্ত উত্তর পাইলেন’’ (ইব্রীয় 5:7)| |
আমাদের পাঠ্যাংশ, যীশুর ক্রুশারোপনের পূর্বরাত্রে গেৎশিমানী উদ্যানে তাঁর করা প্রার্থনার সম্বন্ধে বলছে| তিনি অত্যধিক চাপের অধীনে ছিলেন কেননা আমাদের পাপসকল সেখানে তাঁর উপরে চাপানো হয়েছিল, যেন পরের দিন তাঁর দেহে তিনি সেগুলি বহন করে ক্রুশের প্রতি নিয়ে যেতে পারেন| লূকের সুসমাচার আমাদের বলছে, ‘‘পরে তিনি মর্ম্মভেদী দুঃখে মগ্ন হইয়া আরও একাগ্র ভাবে প্রার্থনা করিলেন; আর তাঁহার ঘর্ম্ম যেন যেন রক্তের ঘনীভূত বড় বড় ফোঁটা হইয়া ভূমিতে পড়িতে লাগিল’’ (লূক 22:44)| সেই রাত্রে খ্রীষ্ট “মর্ম্মভেদী দুঃখে” প্রার্থনা করেছিলেন| আমাদের পাঠ্যাংশ বলছে যে তিনি “প্রবল আর্ত্তনাদ ও অশ্রুপাত সহকারে প্রার্থনা ও বিনতি উৎসর্গ করিয়াছিলেন|” যীশুর প্রার্থনা ছিল আবেগ এবং অনুভূতি, প্রবল আর্ত্তনাদ এবং অশ্রুপাতে পরিপূর্ণ| আজ রাত্রে আমি প্রার্থনায় আবেগ ও অনুভূতির বিষয়ে কিছু বলতে চাই| + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + I. প্রথম, অনুভূতির সঙ্গে ভ্রান্ত প্রার্থনা | অনেক পেন্টিকোস্টাল এবং ক্যারিসম্যাটিকগণ মনে করেন যে চিৎকার ও ক্রন্দন, আবেগ ও অনুভূতি হচ্ছে প্রার্থনার অপরিহার্য অংশ| তারা মনে করেন যে আর্ত্তনাদ ও ক্রন্দনের অর্থ হল প্রার্থনায় পবিত্র আত্মা অবস্থান করছেন, এবং যদি সেখানে কোন কম্পন ও আর্ত্তনাদ না থাকে তবে সেখানে পবিত্র আত্মা নেই| তারা শুধুমাত্র প্রার্থনার বিষয়ে এটা বলছেন না, কিন্তু যখন লোকেরা গান করেন, যখন প্রচার শোনেন এবং যখন তারা অন্য কোন কিছু করেন যা মন্ডলীতে ঘটছে তখন লোকেরা যে উপায়ে ক্রিয়া করেন, সেই বিষয়েও তারা এটা বলছেন| কিন্তু তারা ভুল করছেন| আবেগ এর বশে নিজে কম্পিত হওয়ার কোন অর্থ হয় না| এটা প্রার্থনা থেকে দূরে সরিয়ে নিতে পারে| এটা এমনকী শয়তানসুলভ ক্রিয়াও হতে পারে| বাইবেল থেকে আপনাকে প্রার্থনায় ভ্রান্ত আবেগের একটা উদাহরণ আমাকে দিতে দিন| এলিয় বাল-এর ভাববাদীগণের সম্মুখীন হয়েছিলেন| তিনি তাদের বলেছিলেন যে যখন তিনি ইস্রায়েল-এর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানাবেন, তখন তারা যেন একটা গোটা দিন ক্রন্দন করে কাটায়| যিনি অগ্নিধারার মাধ্যমে প্রার্থনার উত্তর দিয়েছিলেন সেই ঈশ্বর প্রমান দিয়েছিলেন যে তিনিই ছিলেন প্রকৃত ঈশ্বর| বাল এর ভাববাদীগণ তাদের প্রার্থনায় উগ্র এবং আবেগপূর্ণ হয়ে পড়েছিলেন| এটা আজকের দিনে বহু মন্ডলীর কাছে দেখতে ভাল মনে হবে! তারা “প্রাতঃকাল হইতে মধ্যহ্নকাল পর্য্যন্ত এই বলিয়া বালের নামে ডাকিতে লাগিল, হে বাল, আমাদিগকে উত্তর দেও| কিন্তু কোন বাণী হইল না, এবং কেহই উত্তর দিল না| আর তাহারা নির্ম্মিত যজ্ঞবেদির কাছে খোঁড়ার ন্যায় নাচিতে লাগিল” (I রাজাবলি 18:26)| পরে অপরাহ্নকালে “তাহারা উচ্চৈঃস্বরে ডাকিল, এবং আপনাদের ব্যবহারানুসারে গাত্রে রক্তের ধারা বহন পর্য্যন্ত ছুরিকা ও শলাকা দ্বারা আপনাদিগকে ক্ষতবিক্ষত করিল” (I রাজাবলি 18:28)| কিন্তু “তথাপি কোন বাণীও হইল না, কেহ উত্তরও দিল না” (I রাজাবলি 18:29)| তখন এলিয় ঈশ্বরের প্রতি একটি সরল প্রার্থনা করলেন এবং ঈশ্বর স্বর্গ থেকে অগ্নি প্রেরণ করলেন| শয়তানসুলভ ভাবাবেগ, উপর নীচে লাফালাফি করা, চিৎকার এবং ক্রন্দন এবং বাকি সবকিছু, ভ্রান্ত ভাববাদীগণের ভাল করেনি| অনুভূতি স্বয়ং এর অর্থ কিছুই হয় না| আমি বহুবার এর নিজের স্বার্থের জন্য ভাবাবেগ দেখেছি| সেটা কখনও ভাল কিছু করেনি| একবার আমি একটি মেয়েকে অনুসন্ধান কক্ষে পরামর্শ দান করছিলাম, তাকে ঈশ্বরের প্রতি চালিত করতে চেষ্টা করছিলাম| তিনি ক্রমাগত কেঁদেই চলেছিলেন এবং কাঁপছিলেন| আমি তাকে প্রশ্ন না করা পর্য্যন্ত তিনি থামছিলেন না| তিনি বলছিলেন যে নিজের পাপের বিষয়ে তিনি কাঁদছেন, কিন্তু কখনও ঐ কান্না ছেড়ে তিনি খ্রীষ্টের প্রতি সরে আসেননি| তিনি কখনও তার মনোযোগ খ্রীষ্টের প্রতি কেন্দ্রীভূত করেননি| তিনি কখনও পরিত্রাণ লাভ করেননি| এরপরে তিনি মন্ডলী ত্যাগ করেছিলেন এবং গভীর পাপের এক জীবনে চলে গিয়েছিলেন| কোন কোন লোক অতি ভাবাবেগসম্পন্ন হয়ে থাকেন| যেকোন কিছুর বিষয়েই তারা ভেঙ্গে পড়েন এবং কাঁদেন| আমার মনে পড়ছে আর একটি মেয়েকে যিনিও ঠিক এইরকমই করেছিলেন| এটা ঠিক একটা ধর্ম্মোপদেশের পরে অথবা সেইসময়ে হয়নি, যখন তাকে খ্রীষ্টে বিশ্বাস করার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছিল| মোটের ওপর যেকোন সময়ে এটা হয়েছিল| তিনি চোখের জলে ভেসে যেতেন এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়তেন| তিনি তার মন খ্রীষ্টের উপরে, অথবা মন্ডলীর উপরে, অথবা বাইবেলের উপরে নিবদ্ধ করতে পারেননি| একদিন তিনি দুঃখ অনুভব করলেন| তিনি নিজের অনুভূতিকে অনুসরণ করলেন এবং মন্ডলী ছেড়ে চলে গেলেন| আমি আর কখনও তাকে দেখতে পাইনি| ক্রন্দন এবং চিৎকার কোন কিছুকেই “বাস্তব” করায় না| এটা প্রার্থনাকে বাস্তবে পরিণত করতে পারে না| স্বয়ং নিজেকে দিয়ে কাঁদানোর এবং চিৎকার করানোর চেষ্টা করানো কোন কাজ করে না| যখন আপনি প্রার্থনা করেন, কিসের জন্য প্রার্থনা করছেন সেই বিষয়ে চিন্তা করুন| আপনি অশ্রুপাত সহ প্রার্থনা করতে পারেন অথবা তা নাও করতে পারেন| গেৎশিমানী উদ্যানে যীশু ভাবাবেগ প্রদর্শন করেছিলেন| তিনি “প্রবল ক্রন্দন এবং অশ্রুপাতের সহিত” প্রার্থনা করেছিলেন| কিন্তু এটা তাঁর নিজের জন্য ক্রন্দন ছিল না| তাঁর ক্রন্দন প্রার্থনাকে উত্তমে পরিণত করায়নি| তাঁর প্রার্থনা থেকে তাঁর অশ্রু নির্গত হয়েছিল| সেগুলি জাগ্রত হয়েছিল তাঁর প্রার্থনা থেকে| তিনি ঈশ্বরের কাছে ভেঙ্গে পড়েছিলেন নিজের হতাশায়, নিজের বোঝা এবং যন্ত্রণায়, যেহেতু মানব জাতির পাপের বোঝা তাঁর উপরে চাপানো হয়েছিল| তাঁর আন্তরিকতা, তাঁর উদ্বেগ, তাঁর চাহিদা, তাঁর বোঝা, তাঁর দুঃখভোগ থেকে তাঁর ক্রন্দন নির্গত হয়েছিল| এবং আপনারও সেইরকম হওয়ার দরকার রয়েছে| ক্রন্দনের চেষ্টা করবেন না| ক্রন্দনের পরিকল্পনা করবেন না অথবা প্রস্তুতি নেবেন না| শুধুমাত্র প্রার্থনা করুন| ঈশ্বর হয়তো আপনাকে ক্রন্দনে পরিচালিত করতে পারেন, অথবা তিনি নাও পারেন, কিন্তু যেকোন উপায়েই এটা হবে একটি প্রকৃত প্রার্থনা| II. দ্বিতীয়, অনুভূতিহীন ভ্রান্ত প্রার্থনা | বর্তমানে যাকে “প্রার্থনা” বলে সেই বিষয়ে একটা বৃহৎ আচরন আদৌ একটা প্রার্থনা নয়| এটা শুধুমাত্র কোন একটি কিছু যা এক ব্যক্তি বলে থাকেন, এটা ঈশ্বরের প্রতি প্রকৃত প্রার্থনা নয়| এর বাক্যগুলি হলো সেইসব, যা শুনতে ভাল লাগে, যা ধর্ম্মীয় শোনায় কিন্তু সেগুলি শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার্থে, অর্থহীনভাবে, ঈশ্বরের প্রতি মুখ না করে এবং তাঁর থেকে কিছু যাচ্ঞা করা ছাড়াই উচ্চারিত হচ্ছে| আমি অনেক স্নাতক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছি| অনুষ্ঠানের গোড়ার দিকে সেখানে কিছু একটা থাকতো যাকে বলা হতো “সাহায্য প্রার্থনা|” এটা একটা প্রার্থনা হওয়া উচিৎ, কিন্তু এটা সেরকম নয়| সেখানে এক ব্যক্তি দ্রুত কয়েকটি বাক্যের দ্বারা স্নাতক অনুষ্ঠান ভাল হওয়ার এবং ছাত্রদের সুন্দর জীবন লাভের জন্য যাচ্ঞা করেন| কিন্তু ঈশ্বরের উত্তর দেওয়ার প্রতি এবং প্রকৃতপক্ষে কিছু করার বা কিছু পরিবর্তন করার প্রতি কেউই আশা করেন না – যারা “প্রার্থনা” করছেন তাদের সামান্য কয়েকজনও নয়| এই ধরণের একটি সাহায্য প্রার্থনায় কখনও অন্তরের কোন অনুভূতি অথবা অভিব্যক্তি থাকে না| একবার আমি ওয়াশিংটন, ডিসি., আমাদের রাষ্ট্রের রাজধানীতে গিয়েছিলাম| সেখানে আমি ন্যাশনাল ক্যাথিড্রাল দেখতে গিয়েছিলাম| রাষ্ট্রপতি রেগান তখন সদ্য মারা গিয়েছেন, এবং তারা তাঁর সমাধি সভা পরিচালনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন| সেখানে আমি একজন এপিসকোপাল যাজকের “প্রার্থনা” শুনেছিলাম| কিন্তু তিনি মোটেও প্রার্থনা করছিলেন না| তিনি শুধু একটা বই থেকে কিছু পড়ে যাচ্ছিলেন| শুধুমাত্র সেটুকুই ছিল সব| তিনি কিছু করার জন্য ঈশ্বরের কাছে যাচ্ঞা করছিলেন না| তিনি কোন উত্তরের আশা করছিলেন না| তিনি শুধু কিছু বাক্য পড়ে চলেছিলেন কারণ সেটাই তার দায়িত্ব ছিল| হৃদয়ের কোন অনুভূতি সেখানে ছিল না| যীশু একজন ফরীশীর সম্বন্ধে বলেছিলেন যিনি মন্দিরে প্রার্থনা করতে গিয়েছিলেন| সেই লোকটি বলেছিলেন, “হে ঈশ্বর, আমি তোমার ধন্যবাদ করি যে, আমি অন্য সকল লোকের - উপদ্রবী, অন্যায়ী ও ব্যাভিচারীদের – মত কিম্বা ঐ করগ্রাহীর মত নহি; আমি সপ্তাহের মধ্যে দুই বার উপবাস করি, সমস্ত আয়ের দশমাংশ দান করি” (লূক 18:11, 12)| তিনি মোটেও প্রার্থনা করছিলেন না| কোন কিছুর জন্য তিনি ঈশ্বরের কাছে যাচ্ঞা করেননি| এর পরিবর্তে তিনি ঈশ্বরকে বলেছেন যে তিনি কত ভাল| খ্রীষ্ট বলেছেন যে তিনি প্রার্থনা করেছিলেন শুধু “আপনা আপনি” (লূক 18:11)| তিনি নিজের অনুভূতি প্রদর্শন করেননি| নিজের অন্তর থেকে তিনি প্রার্থনা করেননি| খ্রীষ্ট ফরীশীদের তীব্র তিরস্কার করেছিলেন তাদের ভ্রান্ত প্রার্থনার জন্য| তিনি বলেছিলেন, “হা অধ্যাপক ও ফরীশীগণ, কপটীরা, ধিক্ তোমাদিগকে! তোমরা বিধবার সম্পত্তি গ্রাস কর এবং লোকদের সম্মুখে লম্বা প্রার্থনা কর” (মথি 23:14)| তারা নিজেরা পবিত্র এই দেখাতে তারা দীর্ঘ সময় নিয়ে প্রার্থনা করে যেতেন| কিন্তু বাস্তবে তারা যেটা চাইতেন সেটা ছিল বৃদ্ধা মহিলাদের থেকে তাদের বাড়ি এবং অর্থ আত্মসাৎ করা| এটা যেমন সাধারণ তেমনই সত্য ছিল| যা কিছু অনুভূতি তারা প্রদর্শন করতেন সেগুলি ছিল বাইরের দিকে নকল যাতে করে তাদের ভাল দেখায়| অন্তর থেকে তারা প্রার্থনা করতেন না| তাদের হৃদয়গুলি সঠিক ছিল না| আপনি হয়তো বলতে পারেন, “আমি তাদের মতন নই|” কিন্তু আপনি কি ভ্রান্তভাবে প্রার্থনা করেন, শুধুমাত্র বাক্যগুলি পাঠ করার দ্বারা? আমি এটা করেছি| আপনার ব্যক্তিগত প্রার্থনার সময়ে, যার জন্য আপনি প্রার্থনা করছেন সেইসব বিষয়ে চিন্তা করা ছাড়াই, উত্তরের জন্য ঈশ্বরের প্রতি বাস্তবিকেই অনুরোধ করা ছাড়াই, আপনি কি শুধুমাত্র সেই লোক এবং বস্তুর উল্লেখ করেন? মন্ডলীতে অনুষ্ঠিত প্রার্থনা সভাতেও কি আপনি সেরকম করেছেন? আমি এরকমটা করেছি| কারণ আপনাকে কিছু একটা প্রার্থনা করতে হবে – কারণ আপনার প্রার্থনার পালা এসে গেছে শুধুমাত্র এইজন্যেই কি আপনি প্রার্থনা করেছেন? আপনি আনন্দিত হয়েছিলেন যে সভা সমাপ্ত হয়েছে এবং আপনাকে আর প্রার্থনা করতে হবে না| সেটা প্রকৃত প্রার্থনা ছিল না| এটা ছিল শুধুমাত্র কিছু একটা যার মধ্যে দিয়ে আপনি গিয়েছিলেন| অন্য কাউকে প্রভাবিত করতে কি আপনি “উত্তম প্রার্থনা” করার চেষ্টা করেছিলেন? আমি এমন একজনকে জানি যিনি আগে ভাগেই নিজের প্রার্থনার পরিকল্পনা করে রাখতেন| বাস্তবিকে সেটা কোন প্রার্থনাই ছিল না, এটা ছিল একটা ভাষ্য, একটা বক্তৃতা| আমি বলছি, “আপনার প্রার্থনার পরিকল্পনা করবেন না, তাদের জন্য প্রার্থনা করুন!” প্রার্থনা সভার আগে, আপনাকে প্রার্থনায় সাহায্য করার জন্যে ঈশ্বরকে অনুরোধ জানাতে কয়েক মিনিট সময় ব্যয় করুন| এবং যখন আপনি একটি সভায় অথবা স্বয়ং একটি প্রার্থনা করেন, আপনি যে বিষয়ে প্রার্থনা করছেন সেই বিষয়ে চিন্তা করুন| ঈশ্বর সাহায্য না করলে পরিস্থিতি কতটা খারাপ হয় সেই বিষয়ে চিন্তা করুন| ঈশ্বরের উত্তর আপনার কাছে কতটা প্রয়োজনীয় সেই বিষয়ে চিন্তা করুন| এই সমস্ত প্রার্থনাগুলিতে উপবাস আপনাকে সাহায্য করবে, কেননা এটা আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে এবং আপনি যে আন্তরিক সেটা ঈশ্বরকে দেখায়| আপনার প্রার্থনায় ঈশ্বরের প্রতি দৃষ্টি ফেরান এবং আপনি যা চাইছেন সেটা আপনাকে দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে ভিক্ষা করুন| অনভূতির সঙ্গে আপনি খুব ভাল করে ক্রন্দন করতে পারেন| নিজে নিজে থেমে যাবেন না| ঈশ্বর আপনাকে এর প্রতি চালিত করেছেন| কোন কোন সময়ে আপনি নাও কাঁদতে পারেন| কান্নার জন্যে নিজের প্রতি বল প্রয়োগ করবেন না| একটি প্রার্থনা উত্তম নয় কারণ এতে ক্রন্দন আছে – এবং এটা উত্তম নয় কারণ এতে ক্রন্দন নেই| একটা প্রার্থনা উত্তম হয় যখন ঈশ্বর এর মধ্যে থাকেন! III. তৃতীয়, অনুভূতিসহ অথবা অনুভূতিহীন প্রকৃত প্রার্থনা | আমাদের পাঠ্যাংশ বলছে যে খ্রীষ্ট উদ্যানে “প্রবল আর্ত্তনাদ ও অশ্রুপাত সহকারে” প্রার্থনা করেছিলেন| কিন্তু প্রকৃত প্রার্থনা যা উত্তর পেয়ে থাকে সেগুলি কোন কোন সময়ে সামান্য অথবা কোন অনুভূতি ছাড়াই ঘটে থাকে| আমি আপনাদের এর আগে বলেছি যে কিভাবে বাল-এর ভাববাদীগণ তাদের ভ্রান্ত ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন| এখন আমাকে আপনাদের বলতে দিন যে কিভাবে এলিয় প্রার্থনা করেছিলেন| তিনি বলেছিলেন, ‘‘হে সদাপ্রভু, অব্রাহামের, ইস্হাকের ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর, অদ্য জানাইয়া দেও যে, ইস্রায়েলের মধ্যে তুমিই ঈশ্বর, এবং আমি তোমার দাস, ও তোমার বাক্যানুসারেই এই সকল কর্ম্ম করিলাম| হে সদাপ্রভু, আমাকে উত্তর দেও, আমাকে উত্তর দেও; যেন এই লোকেরা জানিতে পারে যে, হে সদাপ্রভু, তুমিই ঈশ্বর’’ (I রাজাবলী 18:36, 37)| সেখানে কোন তথ্য নেই যে এলিয় ক্রন্দন করেছিলেন| সেখানে কোন তথ্য নেই যে তিনি লাফালাফি করেছিলেন| নিশ্চিতভাবে তিনি নিজেকে কেটে ফেলেননি! তিনি ঈশ্বরের কাছে শুধুমাত্র একটি আন্তরিক প্রার্থনা করেছিলেন| তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন যে লোকদের দেখাও যে তুমিই প্রকৃত ঈশ্বর| এবং ঈশ্বর সেই প্রার্থনার উত্তর দিয়েছিলেন এবং এলিয়র যজ্ঞাগ্নি প্র্রজ্বলিত করার জন্য স্বর্গ থেকে অগ্নি প্রেরণ করেছিলেন| লোকেরা বলেছিলেন, “সদাপ্রভুই ঈশ্বর, সদাপ্রভুই ঈশ্বর” (I রাজাবলি 18:39)| ভাবাবেগ এর তথ্য না থাকা সহ, এলিয়র আন্তরিক প্রার্থনা, বাল এর ভাববাদীগণের উন্মত্ততার তুলনায় বৈষম্য প্রদর্শন করেছিল| প্রকৃত প্রার্থনায় অনুভূতির উপস্থিতির প্রয়োজন নেই| ঈশ্বরের উপস্থিতি লাভ করাই এর প্রয়োজন| কিন্তু অধিকাংশ সময়ে, প্রকৃত প্রার্থনার সঙ্গে অনুভূতি, এমনকী অশ্রুও চলে আসে| যদি আপনি আপনার চাহিদা অনুভব করেন, তবে আপনার অনুভূতি থাকাই আপনার জন্য একমাত্র স্বাভাবিক হয়| আপনি আবেগ, গরজ এবং কান্নার সঙ্গে ঈশ্বরকে ডাকতে পারেন| আপনি ভেঙ্গে পড়তে পারেন এবং অশ্রুসজল চোখে ঈশ্বরের কাছে বিনতি করতে পারেন| প্রার্থনার সঙ্গে অশ্রুজলকে বাইবেল বার বার সংযুক্ত করেছে| গীতরচনাকারী প্রার্থনা করেছিলেন, “হে সদাপ্রভু, আমার প্রার্থনা শ্রবণ কর, আমার আর্ত্তনাদে কর্ণ দেও, আমার অশ্রুপাতে নীরব থাকিও না” (গীতসংহিতা 39:12)| রাজা হিষ্কিয় তার মৃত্যু পর্য্যন্ত অসুস্থ ছিলেন| হিষ্কিয় ঈশ্বরের প্রতি প্রার্থনা করেছিলেন| কিভাবে তিনি প্রার্থনা করেছিলেন? বাইবেল বলছে, “আর হিষ্কিয় অতিশয় রোদন করিতে লাগিলেন” (II রাজাবলি 20:3)| অবশ্যই তিনি রোদন করেছিলেন| তিনি মৃত্যুপথ যাত্রী হতে চলেছিলেন| তিনি গভীরভাবে রোদন করেছিলেন| তিনি তার প্রার্থনায় ক্রন্দন করেছিলেন| তখন ঈশ্বরের বাক্য ভাববাদী যিশায়াহ এর কাছে পৌঁছিয়েছিল| যিশায়াহ বলেছিলেন, “তুমি ফিরিয়া গিয়া আমার প্রজাদের অধ্যক্ষ হিষ্কিয়কে বল, তোমার পিতৃপুরুষ দায়ূদের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমি তোমার প্রার্থনা শুনিলাম, আমি তোমার নেত্রজল দেখিলাম; দেখ, আমি তোমাকে সুস্থ করিব” (II রাজাবলি 20:5)| “আমি তোমার নেত্রজল দেখিলাম|” ঈশ্বর হিষ্কিয়ের সহায়হীন, বিনতিযুক্ত প্রার্থনার চোখের জল দেখেছিলেন এবং অনুভব করেছিলেন| এবং ঈশ্বর উত্তর দিয়েছিলেন এবং রাজার প্রাণ রক্ষা করেছিলেন| নতুন নিয়মে, এক ব্যক্তি যীশুর কাছে এসেছিলেন| তার পুত্র ভূতগ্রস্ত ছিল| খ্রীষ্ট তাকে বলেছিলেন যদি তিনি বিশ্বাস করেন তাহলে তার পুত্রকে সুস্থ করা যেতে পারে| এবং “অমনি সেই বালকের পিতা চেঁচাইয়া অশ্রুপাতপূর্ব্বক বলিয়া উঠিল, বিশ্বাস করিতেছি, আমার অবিশ্বাসের প্রতীকার করুন” (মার্ক 9:24)| যীশু সেই বালকের মধ্যে থেকে ভূত বাইরে বের করে দিলেন| এই অনুচ্ছেদটিকে প্রায়ই ব্যবহার করা হয় এই দেখাতে যে একজন যিনি বিশ্বাসে দুর্বল তিনিও উত্তর পেতে পারেন| “আমার অবিশ্বাসের প্রতীকার করুন|” কিন্তু অনুচ্ছেদটি এও বলছে যে সেই পিতা “চেঁচাইয়া” রোদন করেছিলেন এবং “অশ্রুপাতপূর্ব্বক” খ্রীষ্টকে অনুরোধ করেছিলেন| এই ব্যক্তিটি শিষ্যদের মধ্যে একজন ছিলেন না| এমনকী তিনি পরিত্রাণপ্রাপ্ত মানুষও ছিলেন না| তিনি ছিলেন শুধুমাত্র “লোকদের মধ্যে একজন,” লোকের ভীড়ে মিশে থাকা শুধু এক ব্যক্তি (মার্ক 9:17)| কিন্তু তিনি তার পুত্রকে যীশুর কাছে নিয়ে এসেছিলেন এবং চোখে জল নিয়ে তাঁর কাছে চিৎকার করে কেঁদে উঠেছিলেন| কেন লোকটি অশ্রুপাতসহ যীশুর প্রতি চিৎকার করে কেঁদে উঠেছিলেন? তিনি একজন প্রার্থনার যোদ্ধা ছিলেন না| এমনকী তিনি পরিত্রাণপ্রাপ্তও ছিলেন না| সেইভাবে যীশুর প্রতি বলা তার পক্ষে স্বাভাবিক ছিল, কেননা তিনি নিজের বেপরোয়া চাহিদা দেখেছিলেন| তার পুত্র ভূতগ্রস্ত ছিল এবং যীশু ছাড়া তাকে মুক্ত করার আর কোন উপায় সেখানে ছিল না| সেই মানুষটি নিজেই নিজেকে কাঁদাননি| তার প্রয়োজন থেকে, তার হতাশা থেকেই, তার অশ্রুপাত হয়েছিল| প্রয়োজন অনুভব করা, হতাশা এবং আশাহীনতার বিষয়ে সচেতনতা, প্রায়শই মানুষকে রোদন এবং অশ্রুপাতের প্রতি চালিত করে| তিনি অনুভূতিসহ, প্রকৃত প্রার্থনার সুরে কথা বলেছিলেন| এবং সেটা আমাদের আবার পাঠ্যাংশের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসছে| যীশু “প্রবল আর্ত্তনাদ ও অশ্রুপাত” সহ বাগানে প্রার্থনা করেছিলেন| তিনি একটি কাঁদুনে শিশু ছিলেন না| তিনি একটি আবেগপ্রবণ মেয়ে ছিলেন না যার সবকিছুতেই কান্না পেত| তিনি ছিলেন, ত্রিশ বছরের বেশী বয়সী একজন বৃদ্ধিপ্রাপ্ত মানুষ| তিনি কেন রোদন করেছিলেন? কারণ তিনি তাঁর হৃদয়ের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিলেন| তিনি তাঁর উপরে স্থাপিত প্রতিটি পুরুষ ও মহিলার পাপ অনুভব করেছিলেন| তিনি সেই ভয়ঙ্কর দুঃখভোগের বিষয়ে চিন্তা করেছিলেন যা তাকে পরের দিন ক্রুশের উপরে অবশ্যই সহ্য করতে হবে, নাহলে একজনকেও উদ্ধার করা যাবে না| তবুও মানবজাতির পাপের বোঝা তাঁকে প্রায় মেরে ফেলছিল| ঈশ্বরের অনুগ্রহ ছাড়া, তিনি সেই রাত্রে বাগানেই মারা যেতেন এবং কখনও এটা পরের দিন ক্রুশে নিয়ে যেতে পারতেন না| খ্রীষ্ট তাঁর হৃদয়ে সম্পূর্ণভাবে নিমজ্জিত হয়েছিলেন| এবং সেইজন্যে তিনি “প্রবল আর্ত্তনাদ ও অশ্রুপাত” সহ প্রার্থনা করেছিলেন| ঐ পরিস্থিতিতে এটা সাধারণ এবং স্বাভাবিক ছিল| এটা খুব বিস্ময়কর হতো যদি তিনি অনুভূতিসহ প্রার্থনা না করতেন | যীশু প্রার্থনা করেছিলেন “প্রবল আর্ত্তনাদ এবং অশ্রুপাত সহকারে|” এবং আমাদের পাঠ্যাংশ আমাদের বলছে যে তাঁর প্রার্থনা “শোনা হয়েছিল|” ঈশ্বর তাঁর প্রার্থনার উত্তর দিয়েছিলেন এবং পরের দিনে ক্রুশের প্রতি যাওয়ার জন্য তাঁকে জীবিত রেখেছিলেন| ঈশ্বর তাঁর “প্রবল আর্ত্তনাদ এবং অশ্রুপাত” এর উত্তর দিয়েছিলেন| খ্রীষ্ট বিশ্বাসী, আমি আপনাকে প্রশ্ন করছি, “আপনি কি রোদন এবং অশ্রুপাত সহ প্রার্থনা করেন?” আমি আপনার বলা প্রতিটি প্রার্থনার বিষয়ে বলছি না| কিন্তু আবার আমি আপনাকে প্রশ্ন করছি, “আপনি কি কখনও রোদন এবং অশ্রুপাত সহ প্রার্থনা করেছেন?” আমি করিনি, যে হিসাবে আমার করা উচিৎ তার কাছাকাছিও না| আপনি কি কোন কোন সময়ে একটা প্রয়োজনের বোঝা নিয়ে প্রার্থনা করেছেন, ঈশ্বরের থেকে উত্তর ভিক্ষা করেছেন – কোন কোন সময়ে রোদন এবং অশ্রুপাত সহ প্রার্থনা করেছেন? যদি আপনি কখনও না করে থাকেন, তবে আপনার প্রার্থনার জীবন উত্তম নয়| যদি আপনি ঐ পথে আছেন, তবে প্রার্থনা বন্ধ করবেন না এবং যতক্ষণে না আপনার প্রার্থনাগুলি অপেক্ষাকৃত উত্তম হচ্ছে অপেক্ষা করতে থাকুন| ঈশ্বর যা চাইছেন তা ঐটা নয়| কিন্তু প্রার্থনা করুন যেন ঈশ্বর আপনার প্রয়োজনের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস দেন, এবং তখন আপনি অনুভূতির সঙ্গে প্রার্থনা করবেন| যদি আপনি উপবাস করেন, তবে যখনই আপনি ক্ষুধা অনুভব করবেন, তখন সেই চিন্তা করুন যে কিসের জন্য আপনি প্রার্থনা করছেন| ঈশ্বরের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখুন এবং প্রার্থনা করুন| আপনাদের মধ্যে কয়েকজন দিশা হারিয়েছেন| আপনারা যীশুকে বিশ্বাস করেননি| আমি আপনাকে প্রশ্ন করছি, “রোদন এবং অশ্রুপাত সহ কি আপনি আপনার পাপ অনুভব করেছেন – কমপক্ষে কোন কোন সময়ে?” আপনি কি কখনও আপনার পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়েছেন? রোদন আমাদের লক্ষ্য নয় – আমাদের লক্ষ্য হলেন যীশু| আপনি ক্রন্দন করুন অথবা না করুন তাঁকে বিশ্বাস করুন| কিন্তু আমি বলছি, “আপনার অন্তরের পাপের জন্য আপনি কি কোন বিষন্নতা অনুভব করেন?” আপনার সেটা করা উচিৎ, কেননা আপনার অন্তঃকরণ “সর্ব্বাপেক্ষা বঞ্চক” (যিরমিয় 17:9)| প্রার্থনা করুন যেন ঈশ্বর আপনার অন্তঃকরণের ভয়ঙ্কর পাপ আপনাকে প্রদর্শন করান| তারপরে প্রার্থনা করুন যেন ঈশ্বর খ্রীষ্টের প্রতি আপনাকে আকর্ষণ করেন| যীশু হলেন আপনার প্রয়োজনের উত্তর| তিনি হলেন আপনার পাপের দেনা শোধ এবং প্রতিকার করবেন| প্রতিটি পাপের, এমনকী আপনার অন্তরের পাপ এরও দেনা শোধ করতে তিনি ক্রুশের উপরে মৃত্যুবরণ করেছেন| আপনার পাপকে চাপা দিতে এবং চিরকালের জন্য ধুয়ে দূরে সরিয়ে দিতে তিনি তাঁর রক্ত ঝরিয়েছেন| জীবন দিয়ে মৃত্যু জয় করতে তিনি মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন, কেবলমাত্র তাঁর নিজের জন্যে নয় বরং আপনার জন্যেও| যদি আপনি যীশুতে বিশ্বাস করেন, চিরকালের জন্যে আপনি পরিত্রাণ লাভ করবেন| খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করার বিষয়ে যদি আপনি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান, অনুগ্রহ করে আসুন এবং প্রথম দুই সারিতে বসুন| আমেন| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা ধর্ম্মোপদেশের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ জ্যাক নগান্ন: |
খসড়া চিত্র অশ্রুপাতে প্রার্থনা TEARS IN PRAYER ডঃ ক্রিস্টোফার এল. কেগান ‘‘ইনি মাংসে প্রবাসকালে প্রবল আর্ত্তনাদ ও অশ্রুপাত সহকারে তাঁহারই নিকটে প্রার্থনা ও বিনতি উৎসর্গ করিয়াছিলেন, যিনি মৃত্যু হইতে তাঁহাকে রক্ষা করিতে সমর্থ, এবং আপন ভক্তি প্রযুক্ত উত্তর পাইলেন’’ (ইব্রীয় 5:7)| (লূক 22:44) I. প্রথম, অনুভূতির সঙ্গে ভ্রান্ত প্রার্থনা, I রাজাবলি 18:26, 28, 29 | II. দ্বিতীয়, অনুভূতিহীন ভ্রান্ত প্রার্থনা, লূক 18:11, 12; মথি 23:14 | III. তৃতীয়, অনুভূতিসহ অথবা অনুভূতিহীন প্রকৃত প্রার্থনা, |