এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
চীনে সাফল্যের রহস্য
|
চীনা খ্রীষ্ট বিশ্বাসী পিতৃতান্ত্রিক পালক ওয়াং মিংডাও এর একজন জীবনীকার বলেছিলেন, চীন সরকারের অনুসৃত নীতি নির্বিশেষে চীনের মন্ডলী, আগত প্রজন্মের জন্য খ্রীষ্ট ধর্ম্মের আকারকে গোটা বিশ্বে গভীরভাবে প্রভাবিত করিবে| [প্রায়] সত্তর মিলিয়ন [বর্তমানে 160 মিলিয়ন] আত্মা এবং বছরে 7 শতাংশ বৃদ্ধির হার-এর সহিত, চীনে এখন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর সংখ্যা পৃথিবীর বেশির ভাগ রাষ্ট্রের খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর সংখ্যাকে খর্ব করিয়াছে| একবিংশ শতাব্দীতে বিকাশশীল জগতের সর্বত্র খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণের ন্যায়, চীনা খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণ মন্ডলীর অগ্রদূতের [সামনের সারির] প্রতিনিধিত্ব করিতেছেন (Thomas Alan Harvey, Acquainted With Grief, Brazos Press, 2002, p. 159)| ডেভিড আইক্ম্যান, তার লেখা Jesus in Beijing (যীসাস ইন বেজিং), বইতে বলেছেন, সেই সম্ভাবনা বিবেচনার যোগ্য যে শুধুমাত্র সংখ্যায় নয়, কিন্তু বুদ্ধিগত কেন্দ্র...খ্রীষ্টধর্মের জন্য ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার বাহিরে চলিয়া যাইতে পারে যেহেতু চীনে খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণ বজায় রহিয়াছে এবং যেহেতু চীন বিশ্বের এক মহাশক্তিতে পরিণত হইয়াছে...এই প্রক্রিয়াটি হয়তো ইতিমধ্যেই চীনের গৃহস্থ মন্ডলীর নেতাদের আশা ও কার্য্যের মধ্য দিয়া শুরু হইয়া গিয়াছে (David Aikman, Jesus in Beijing, Regnery Publishing, 2003, pp. 291, 292)| স্মুর্ণা শহরের মন্ডলীতে খ্রীষ্টের বিবরণ চিত্রিত করছে যে বর্তমানে চীনের "গৃহস্থ মন্ডলী" আন্দোলনে কি ঘটছে| ‘‘আমি জানি তোমার কার্য্যসকল, ক্লেশ ও দীনতা, (তথাপি, তুমি ধনবান্)...’’ (প্রকাশিত বাক্য 2:9)| স্মুর্ণা শহরের মন্ডলীর বিষয় উল্লেখ করে, ডঃ জেমস ও. কোম্বস বলেছিলেন, ইফেসাসের উত্তরে অবস্থিত, স্মুর্ণা শহর, বহু দশক যাবৎ পলিকার্প-এর পালকত্বের অধীনস্ত একটি সমাজগৃহ, যিনি তাহার 90 বছর বয়সে 155 A.D.-তে শহীদের ন্যায় মৃত্যুবরণ করিয়াছিলেন...তাহারা অনেক দুঃখ এবং জাগতিক সম্পদসমূহের বাজেয়াপ্তকরণ সহ্য করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহারা ছিলেন আত্মিকভাবে ধনবান (James O. Combs, D.Min., Litt.D., Rainbows From Revelation, Tribune Publishers, 1994, p. 33)| স্মুর্ণাতে স্থিত মন্ডলীর মতন, চীনের গৃহস্থ মন্ডলীর বিশ্বস্ত খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণ অতীব তাড়না এবং কঠোর "যন্ত্রণা" সহ্য করেছিলেন তা সত্ত্বেও তারা আত্মিকভাবে এত "ধনবান" যে তাদের সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচার "বাৎসরিক 7 শতাংশ" হারে বৃদ্ধি উৎপন্ন করেছে (Thomas Alan Harvey, ibid.) | এতদানুসারে, চীনে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর সংখ্যা ইতিমধ্যেই "পৃথিবীর বেশির ভাগ রাষ্ট্রের খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর সংখ্যাকে খর্ব করিয়াছে|" আমি মনে করি যে চীনে 160 মিলিয়নেরও বেশি খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের বেশির ভাগই প্রকৃত মন পরিবর্তনকারী, এবং ইউনাইটেড স্টেট্সে যত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী রয়েছেন তার তুলনায় চীনে ইতিমধ্যেই অনেক বেশি সংখ্যায় প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী আছেন| সেটা বিচলিত করছে! আমাদের উচিৎ নিজেদের প্রশ্ন করা, ‘‘তাদের সাফল্যের কারণ কি? তাদের সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারের রহস্যটি কি?’’ কেন তাদের সম্পর্কে এইকথা বলা যেতে পারে, ‘‘আমি জানি তোমার কার্য্যসকল, ক্লেশ ও দীনতা, (তথাপি, তুমি ধনবান্)...’’ (প্রকাশিত বাক্য 2:9)| যখন আমরা সেই সত্য ঘটনা বিবেচনা করি যে সুসমাচার প্রচার সংক্রান্ত খ্রীষ্টধর্ম্ম আমেরিকাতে বৃদ্ধি পাচ্ছে না, এবং সেই সত্য যে এমনকী অনেকেই বলছেন এইখানে সুসমাচার প্রচার সংক্রান্ত খ্রীষ্টধর্ম্ম মৃতপ্রায়, তখন এই আমেরিকাতে বসে আমাদের গভীরভাবে এই বিষয়ে চিন্তা করা উচিৎ যে তাদের কাছে কি নেই যা আমাদের কাছে আছে, এবং তাদের কাছে কি আছে যা আমাদের কাছে নেই| I. প্রথম, তাদের কাছে কি নেই যা আমাদের কাছে আছে | তাদের কাছে মন্ডলীর গৃহ নাই! একমাত্র "Three-Self" (থ্রী-সেল্ফ) মন্ডলীর গৃহ রয়েছে| কিন্তু "গৃহস্থ মন্ডলী" হল একমাত্র যেগুলি বৃদ্ধি পাচ্ছে; এবং তাদের কাছে খুব অল্প সংখ্যক মন্ডলী গৃহ রয়েছে| তাদের অধিকাংশের কাছেই মন্ডলী গৃহ নেই যেমন আমাদের রয়েছে! তাদের কাছে সরকারী অনুমোদন নেই| চীন সরকার দ্বারা তারা ক্রমাগতভাবে তাড়িত হয়ে চলেছেন| তাদের ধর্ম্মের স্বাধীনতা নেই যেমন আমাদের রয়েছে! যেমন আমরা করি সেরকমভাবে পালকদের প্রতি শিক্ষাদান করতে তাদের কোন সেমিনারি নেই| চীনে থাকা পালকদের তারা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন একমাত্র কারও বাড়িতে বসে - আর এটা সংক্ষিপ্ত এবং খুব একটা বিস্তারিত নয়| তারা সেই সামান্য প্রশিক্ষণ পান যতটুকু তারা "পলায়নরত অবস্থায়" দিতে পারেন| তাদের কাছে সানডে স্কুলের গৃহ নেই| "বাস মিনিস্ট্রি"-র জন্য তাদের কাছে বাস নেই| তাদের কাছে "খ্রীষ্ট ধর্ম্মীয় দূরদর্শন" নেই| তাদের "খ্রীষ্ট ধর্ম্মীয় রেডিও" নেই| খ্রীষ্ট ধর্ম্মীয় প্রকাশনা সংস্থা তাদের কাছে নেই| "পাওয়ার পয়েন্টস" এর জন্য কোন যন্ত্র তাদের নেই| প্রচারকদের একটা বড় মাপের পর্দায় দেখানোর জন্য তাদের কাছে টিভি প্রোজেক্টর নেই| তাদের কাছে "খ্রীষ্ট ধর্মীয় রক ব্যান্ড" নেই| তাদের কাছে অর্গ্যান নেই এবং সাধারণত তাদের কাছে এমনকী পিয়ানোও নেই| তাদের কাছে প্রিন্ট করা সানডে স্কুলের উপকরণ নেই| এমনকী তাদের প্রত্যেকের জন্য একটা করে বাইবেল, বা গানের বইও থাকে না| না, তাদের এসব নেই যা আমাদের আছে! এর পরিবর্তে, তাদের রয়েছে সরকারের থেকে পাওয়া বিক্ষিপ্ত তাড়না এবং চরম দুর্দশা| শুধুমাত্র খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হওয়ার কারণে কোন কোন সময়ে তাদের কারাগারে যেতে হয়| সেখানে সর্বদা সেই হুমকি থাকে যে কারও প্রতি যিনি আন্তরিক খ্রীষ্ট বিশ্বাসীতে পরিণত হন! চীনের খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের তাড়নার বিষয়ে পড়তে হলে www.persecution.com ওয়েবসাইট দেখুন| এবং তবুও চীনে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা হারানো আত্মা জয় করতে ব্যাপকভাবে সফল হচ্ছেন| আধুনিক ইতিহাসের বৃহত্তম উদ্দীপনায়, চীনের সর্বত্র খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর সংখ্যায় বিস্ফোরন ঘটছে! ‘‘আমি জানি তোমার কার্য্যসকল, ক্লেশ ও দীনতা, (তথাপি, তুমি ধনবান্)...’’ (প্রকাশিত বাক্য 2:9)| আমি এই আশঙ্কা করি যে লাওডিসিয়ায় অবস্থিত মন্ডলীর প্রতি যীশু যা বলেছিলেন তার দ্বারা আমেরিকায় অবস্থিত আমাদের মন্ডলীর অনেকগুলি আরও ভালভাবে বর্ণিত হয়, ‘‘তুমি কহিতেছ, আমি ধনবান্, ধন সঞ্চয় করিয়াছি, আমার কিছুরই অভাব নাই; কিন্তু জান না যে, তুমিই দুর্ভাগ্য, কৃপাপাত্র, দরিদ্র, অন্ধ ও উলঙ্গ’’ (প্রকাশিত বাক্য 3:17)| II. দ্বিতীয়, তাদের কাছে কি আছে যা আমাদের কাছে নেই | এখানে বলছি কি তাদের আছে যা আমাদের নেই| এবং এইখানে পড়ে আছে তাদের সাফল্যের রহস্য - এবং আমাদের ব্যর্থতার কারণ! তাদের দুঃখভোগ আছে - এবং সেইজন্যে তারা ক্রুশ বহন করতে শিখেছেন! প্রার্থনা সভায় যাওয়ার জন্য সপ্তাহে একটা সন্ধ্যা হারানোর দুঃখভোগ করতে বেশির ভাগ আমেরিকাবাসী খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণ অনিচ্ছুক থাকেন| আত্মা জয় করতে সপ্তাহে একটা সন্ধ্যা হারানোর দুঃখভোগ করতে বেশির ভাগ আমেরিকাবাসী খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণ অনিচ্ছুক হন| মন্ডলীতে থাকার জন্য রবিবারের সন্ধ্যার আরাম ত্যাগ করতে বেশির ভাগ আমেরিকাবাসী খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণ অনিচ্ছুক! আমেরিকার অনেক পালকদের দেহের ওজন কমানোর প্রয়োজন আছে| কিছুটা ক্যালোরি হারানোর দুঃখভোগ করা আমাদের দরকার| কিন্তু চীনের প্রচারকগণ রোগা| সেইজন্যে তারা শক্তি ও ক্ষমতার সঙ্গে প্রচার করতে পারেন| আমাদেরও ওজন কমানো দরকার, নয়তো আমরা সক্রিয় শক্তি নিয়ে প্রচার করতে পারি না| চীনে তাদের রয়েছে অপেক্ষাকৃত পাতলা ব্যক্তিগণ রয়েছেন যারা প্রচার করার সময়ে আত্মায় পরিপূর্ণ থাকেন| আমি কখনও "গৃহস্থ মন্ডলীতে" এমন কোন প্রচারক দেখিনি যিনি মাত্রাতিরিক্ত ওজনের| আশ্চর্যের কিছু নেই যে চীনের লোকেরা মহা উদ্দীপনা লাভ করেছেন, যেখানে এই আমেরিকা এবং সমগ্র পাশ্চাত্য জগতব্যাপী খ্রীষ্টধর্ম্ম শুষ্ক হয়ে পড়ছে, এবং ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে! অনুশীলন করতে দুঃখভোগের নির্দ্দিষ্ট কিছু পরিমাণ লাগে| যতক্ষণে না আপনি ওজন হারাচ্ছেন একটা নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং কম খাওয়ার মধ্যে থাকার দুঃখভোগ করতে হয়! ঈশ্বর আপনাকে যে ধরণের মানুষে পরিণত করতে চান আপনাকে সেরকম মানুষ হতে হলে কিছু দুঃখভোগ লাগে! বিখ্যাত চীনা সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারক ডাঃ জন সাং বলেছিলেন, মহা দুঃখভোগ মহান উদ্দীপনা আনয়ন করে...ঈশ্বর বৃহত্তম ব্যবহার অন্বেষণ করেন তাহাদের জন্য...যাহারা সবচেয়ে কঠিন পরিবেশে নিজেকে প্রস্তুত রাখিতে পারেন...অধিক দুঃখভোগ অধিক লাভ আনয়ন করে...শিষ্যগণের জীবন জলপাই তুল্য: আমাদের যতই কঠিনভাবে নিস্পেষন করা হয়, আমাদের ভিতর হইতে ততই অধিক তৈল বাহির হইয়া আসে| শুধুমাত্র উহারাই অন্যদের প্রতি সহানুভূতি দর্শাইতে এবং সান্ত্বনা প্রদান করিতে পারেন যাহারা দুঃখভোগের মধ্য দিয়া গিয়াছেন (John Sung, Ph.D., The Journal Once Lost, Genesis Books, 2008, p. 534)| যীশু বলেছেন, ‘‘কেহ যদি আমার পশ্চাৎ আসিতে ইচ্ছা করে, তবে সে আপনাকে অস্বীকার করুক, আপন ক্রুশ তুলিয়া লউক, এবং আমার পশ্চাদগামী হউক’’ (মথি 16:24)| পুনরায়, যীশু বলেছিলেন, ‘‘আমি জানি তোমার কার্য্যসকল, ক্লেশ ও দীনতা, (তথাপি, তুমি ধনবান্)...’’ (প্রকাশিত বাক্য 2:9)| চীনে তাদের কাছে দুঃখভোগ ছিল! সেইজন্যে উদ্দীপনায় ঈশ্বরের আশীর্ব্বাদের ধন তাদের রয়েছে! আসুন এখানে আমাদের মন্ডলীতে আমরাও নিজেদের অস্বীকার করি, এবং খ্রীষ্টকে অনুসরণ করতে আমাদের ক্রুশ তুলে নিই - মূল্য যাই দিতে হোক সেটা কোন বিষয় নয়! দ্বিতীয়, তাদের কাছে থাকতো অশ্রুজল যখন তারা হারানোদের জন্য প্রার্থনা করতেন! এক ভাই, যিনি জানেন, আমাকে বলেছিলেন, "চীনে অনেক চোখের জল আছে|" তিনি একেবারে সঠিক কথাটি বলেছিলেন! যখন তারা হারানোদের জন্য প্রার্থনা করেন তারা কাঁদেন| সেখানে যে এত বেশি করে খ্রীষ্টের প্রতি মন পরিবর্তন ঘটবে তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই! বাইবেল বলছে, ‘‘যাহারা সজল নয়নে বীজ বপন করে, তাহারা আনন্দগান-সহ শস্য কাটিবে’’ (গীতসংহিতা 126:5)| প্রার্থনা করুন যেন ঈশ্বর হারানো আত্মাদের জন্য আপনাকে একটি ভগ্ন হৃদয় দান করেন! (সবাই প্রার্থনা করুন)| তৃতীয়, হারানো আত্মাকে তাদের "গৃহস্থ মন্ডলীর" ভিতরে নিয়ে আনতে তাদের ক্ষমতায় যা কুলায় সবই তারা করেন| ডি. এল. মুডি বলেছিলেন, "তাহাদের ভালবাসুন|" চীনে সেই উপায়েই তারা গৃহস্থ মন্ডলীতে লোকদের পাচ্ছেন - আর সেটা আমাদেরকে অবশ্যই করতে হবে! "তাহাদের ভালবাসুন|" আত্মা জয় প্রধানত হচ্ছে খ্রীষ্টে - এবং স্থানীয় মন্ডলীতে লোকদের প্রেম করা| "তাহাদের ভালবাসুন|" সেটা উদারপন্থীবাদ নয়! সেটা "জীবনধারায়" সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচার নয়! সেটা হল ডি. এল. মুডি! আমি মনে করি তিনি যথাযথভাবে সঠিক ছিলেন| এটা চীনে কাজ করছে - এবং এটা এখানেও কাজ করবে! "তাহাদের ভালবাসুন|" যদি আমরা সেবাকাজ থেকে পালিয়ে বেড়াই তাহলে আমরা আত্মা জয় করব না| শুধুমাত্র যারা বিলম্ব করেন তারাই আত্মা জয় করতে পারেন| সেবাকাজের আগে এবং পরে যারা হারানোদের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন একমাত্র তারাই আত্মা জয় করতে পারেন| একটা মন্ডলীতে হারানো আত্মা যোগ করার জন্য সেখানে আর অন্য কোন উপায় নেই! আমাদের অবশ্যই "তাহাদের ভালবেসে" ভিতরে আনতে হবে - যেমন চীনে তারা করছেন! “Make Me a Channel of Blessing” (মেক মি এ চ্যানেল অফ ব্লেসিং) গানটি করুন! এটা আপনার গানের পাতার 4 নম্বর গান| আজ আমাকে আশীর্ব্বাদের উৎস কর, আপনারা যারা এখনও মন পরিবর্তন করেননি তাদের উদ্দেশ্যে দুই একটি কথা না বলে আমি অবশ্যই এই সেবাকাজ শেষ করব না| মন্ডলীতে আসা বোঝায় না যে আপনি পরিত্রাণ প্রাপ্ত| বাইবেল অধ্যয়ন আপনাকে পরিত্রাণ করবে না| আপনার পাপের সম্বন্ধে আপনাকে অবশ্যই অনুতাপ করতে হবে| আপনাকে অবশ্যই যীশু খ্রীষ্টের প্রতি ফিরতে হবে এবং তাঁর কাছে আসতে হবে| আপনার আত্মাকে উদ্ধার করতে তিনি ক্রুশের উপরে নিদারুণ যন্ত্রণা এবং রক্তসহ মৃত্যু বরণ করেছেন| তাঁর রক্তের দ্বারা আপনাকে অবশ্যই ধৌত হয়ে শুচি হতে হবে| যীশুর কাছে আসুন এবং পাপ, মৃত্যু এবং নরকের হাত থেকে উদ্ধার লাভ করুন| সেটাই হোক আপনার অভিজ্ঞতা, তাই আমার প্রার্থনা| আমেন| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা প্রচারের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন্কেড গ্রিফিথ: |
খসড়া চিত্র চীনে সাফল্যের রহস্য ( চাইনিস মধ্য-শরৎকালীন উৎসবে প্রচারিত একটি ধর্ম্মোপদেশ ) লেখক : ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র ‘‘আমি জানি তোমার কার্য্যসকল, ক্লেশ ও দীনতা, (তথাপি, তুমি ধনবান্)...’’ (প্রকাশিত বাক্য 2:9)| I. প্রথম, তাদের কাছে কি নেই যা আমাদের কাছে আছে, প্রকাশিত বাক্য 3:17 | II. দ্বিতীয়, তাদের কাছে কি আছে যা আমাদের কাছে নেই, মথি 16:24; গীতসংহিতা 126:5 | |