এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
ডাঃ জন সাং এর প্রকৃত মন পরিবর্তন
|
2018 সালের, 4ঠা জুন তারিখটি "তিয়ানানমেন স্কোয়ার ম্যাসাকার"-এর উনত্রিশতম বার্ষিক উদযাপন দিবস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে| 1989 সালে ছয় সপ্তাহ ধরে, হাজার হাজার চীনা ছাত্রছাত্রী, চিন্তাভাবনায় আরও স্বাধীনতা অর্জনের আহ্বান জানিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন| তারপরে 4ঠা জুন সকালের দিকে, সরকারি ফৌজ সেই অনামা বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের উপরে গুলি চালিয়ে, হাজার-এর বেশি জমায়েতকারীদের হত্যা করে ও আরও হাজার খানেক লোককে আহত করে| হন ইউজিয়ান নামে এক ছাত্র বেজিং শহরে ঘটে যাওয়া এই হিংসাত্মক ঘটনা টেলিভিশনে দেখেছিলেন সেইসময়ে যখন তিনি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন এক্সচেঞ্জ স্টুডেন্ট ছিলেন| তিনি বলেছিলেন যে তিয়ানানমেন স্কোয়ার ম্যাসাকার বিজ্ঞান ও রাজনীতির উপরে থাকা তার আশাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে এবং তাকে খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হওয়ার প্রতি চালিত করছে| তিনি বলছেন যে তিয়ানানমেনের ঘটনা তাকে এবং আরও অনেককে তাদের নিজস্ব পাপ প্রত্যক্ষ করতে এবং খ্রীষ্টের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে সাহায্য করেছে: "আমি মনে করি পথ প্রস্তুত করতে এবং চীনা লোকদের হৃদয় প্রস্তুত করতে ঈশ্বর এর ব্যবহার করেছেন" (World Magazine, June 6, 2009, p. 38)| সমবেতভাবে “সবই যীশুর জন্য|” গানটি করুন! সবই যীশুর জন্য! সবই যীশুর জন্য! আমার দিনসকল ও আমার দন্ডসকল; ওয়ার্ল্ড পত্রিকাতে বলা হয়েছে, গত 20 বছর ধরে চীনে খ্রীষ্টধর্ম বৃদ্ধির হারে এক মহা বিস্ফোরণ হয়েছে| বিশেষজ্ঞরা দ্রুত শহরায়ন এবং সাগ্রহে খ্রীষ্ট গ্রহণকারী প্রভাবশালী চিন্তাবিদদের একটা ক্রমবর্ধমান সংখ্যার উল্লেখ করেছেন (ibid.)| 1949 সালে, যখন কম্যুনিস্টরা চীনদেশ দখল করে, সেই সময়ে সেখানে 1 মিলিয়নের কম দেশীয় চীনা খ্রীষ্ট বিশ্বাসী ছিলেন| বর্তমানে অনুমান করা যায় যে সেখানে 160 মিলিয়নেরও বেশি খ্রীষ্ট বিশ্বাসী রয়েছেন! আমেরিকা, কানাডা, গ্রেট ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলীয়ায় সমবেতভাবে যতসংখ্যক খ্রীষ্ট বিশ্বাসী মানুষ আছেন তার চাইতেও বেশি মানুষ চীনের মন্ডলীতে রবিবারে উপস্থিত হন! ডাঃ সি. এল. কেগান, একজন সংখ্যাতত্ত্ববিদ, পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়েছেন যে চীনদেশে বর্তমানে এক দিনের 24 ঘন্টার, প্রতি ঘন্টাতে খ্রীষ্টধর্মের অনুকূলে, প্রায় 700 এর বেশি মন পরিবর্তন ঘটছে| সমবেতভাবে আবার “সবই যীশুর জন্য|” গানটি করুন! সবই যীশুর জন্য! সবই যীশুর জন্য! আমার দিনসকল ও আমার দন্ডসকল; চীনে খ্রীষ্টধর্মের ইতিহাস সব জায়গার খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের কাছে খুবই আকর্ষনীয় হয়ে ওঠা উচিৎ| চীনে আধুনিক মিশনারি আন্দোলন রবার্ট মরিসনের (1782-1834) সঙ্গে শুরু হয়েছিল| 1807 সালে লন্ডন মিশনারি সোসাইটি দ্বারা মরিসনকে চীনে পাঠানো হয়েছিল| তার সহকর্মী, উইলিয়াম মিল্নেʼর দ্বারা সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে, 1821 সালের মধ্যে তিনি গোটা বাইবেল চীনা ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন| চীন দেশে তার 27 বছর অতিবাহিত করার সময়ে মাত্র কয়েকজন চীনা ব্যক্তিকে ব্যাপ্তিস্ম দেওয়া হয়েছিল - যদিও তাদের সকলেই খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হিসাবে বিশ্বস্ত ছিলেন| মরিসনের বাইবেলের চীনা ভাষায় অনুবাদ, এবং সুসমাচার পত্রিকার প্রকাশই, চীন দেশে সুসমাচার সংক্রান্ত খ্রীষ্টধর্ম্মের ভিত্তি ছিল| 1853 সালে এক ইংরেজ চিকিৎসক, জেমস হাডসন টেলর, চীনের উদ্দেশ্যে সমুদ্র পাড়ি দিয়েছিলেন| 1860 সালে তিনি চায়না ইনল্যান্ড মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, বর্তমানে যা ওভারসিজ মিশনারি ফেলোশিপ নামে পরিচিত| ডাঃ টেলর-এর সহযোগীরা অবশেষে চীনের সমগ্র প্রত্যন্ত অঞ্চলে খ্রীষ্টধর্ম্ম ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন| 1905 সালে চেনশা নামক স্থানে হাডসন টেলর মারা যান| 1901 সালে জন সাং জন্মগ্রহণ করেছিলেন| চীনদেশের ইতিহাসে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারক হিসাবে সর্বজন বিদিত ছিলেন| তার প্রচারের প্রভাবে যারা মন পরিবর্তন করেছিলেন তাদের মধ্য সহস্রাধিক লোক 1949 সালে কম্যুনিস্টরা চীনদেশ অধিগ্রহণ করা পরেও খ্রীষ্টের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে গেছেন| আধুনিক ইতিহাসে বিগত 60 বছরে খ্রীষ্টধর্ম্মের মহা উদ্দীপনায় চীনদেশে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের সংখ্যায় একটা বিস্ফোরণ ঘটেছে| আজ সকালে আমি ডাঃ জন সাং এর অবিস্মরণীয় কাহিনী আপনাদের শোনাতে চলেছি| ডঃ এলগিন এস. মোয়ার-এর রচনা থেকে ডাঃ সাং-এর জীবনের একটা রূপরেখা দিয়ে আমি সেই কাহিনী শুরু করব| এক মেথডিস্ট পালকের পুত্র, জন সাং (1901-1944); রাষ্ট্রীয় স্তরে বিখ্যাত চীনা সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারক; চীন দেশের, ফুকিয়েন প্রদেশের, হিনঝাওয়া নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন| [আনুমানিক নয় বছর বয়সে তার ভ্রান্ত "মন পরিবর্তনʼ ঘটেছিল|] ছাত্র হিসাবে তিনি ছিলেন মেধাবী ও বুদ্ধিমান; ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটি, ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি, এবং ইউনিয়ন থিয়োলজিকাল সেমিনারিতে অধ্যয়ন করেছিলেন| রসায়নে পিএইচ.ডি. ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন| বিজ্ঞান শেখানোর পরিবর্তে বরং সুসমাচার প্রচারের জন্য চীনে ফিরে এসেছিলেন| একক ক্ষমতায় ও প্রভাবে সমগ্র চীন এবং সংলগ্ন দেশসমূহে সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারের কাজে 15 বছর ব্যয় করেছিলেন (Elgin S. Moyer, Ph.D., Who Was Who in Church History, Moody Press, 1968 edition, p. 394) | “সবই যীশুর জন্য|” সমবেতভাবে আবার গানটি করুন! সবই যীশুর জন্য! সবই যীশুর জন্য! আমার দিনসকল ও আমার দন্ডসকল; ডাঃ জন সাং-এর জীবনের এটা একটা সংক্ষিপ্ত নকশা| আমি বিশ্বাস করি না যে তিনি নয় বছর বয়সে মন পরিবর্তন করেছিলেন| আমি বিশ্বাস করি না যে ফেব্রুয়ারী, 1927 এর আগে তার মন পরিবর্তন হয়েছিল| স্বয়ং ডাঃ সাং বলেছেন যে তখনও পর্য্যন্ত তার মন পরিবর্তন হয়নি, য্তক্ষণে তিনি 26 বছর বয়সে আমেরিকার একটি আত্মিক সংকটের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন| যখন তিনি নয় বছর বয়সী ছিলেন সেইসময়ে চীনের হিনঝাওয়াতে একটা উদ্দীপনা হয়েছিল| এক মাসের মধ্যে সেখানে প্রায় 3,000 লোক খ্রীষ্টে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন। গুড ফ্রাইডের দিন সকালে তিনি "গেৎশিমানী উদ্যানে যীশু" নামে একটি ধর্ম্মোপদেশের প্রচার শুনেছিলেন| প্রচারক ঘুমন্ত শিষ্যদের সঙ্গে যীশুর নির্ভীকতার তুলনামূলক বৈষম্য প্রদর্শন করে দেখাচ্ছিলেন| ধর্ম্মোপদেশের শেষে অনেকে দুঃখে কেঁদে ফেলেছিলেন| চীনা মেথডিস্ট প্রচারকের নয় বছরের পুত্র জন সাং, সেই শোক পালনকারীদের একজন ছিলেন| এটা মনে হচ্ছে যে জন সাং সেইসময়ে তার জীবন খ্রীষ্টের প্রতি "উৎসর্গ" করেছিলেন কিন্তু তখন তার প্রকৃত মন পরিবর্তন হয়নি| চীনা ব্যাপটিস্ট মন্ডলীতে আমার পূর্বতন পালক, ডঃ তিমথী লিন (তার পিতাও একজন প্রচারক ছিলেন) এর মতন, জন সাংও প্রচারের কাজ শুরু করেছিলেন এবং তার তের বছর বয়স অবধি পিতাকে সাহায্য করতে থেকেছিলেন| এছাড়া তিনি কিন্তু, ডং লিন-এর মতন, তখনও প্রকৃত মন পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা লাভ করেননি| জন সাং ছিলেন একজন অধ্যবসায়ী ছাত্র এবং তার শ্রেনীতে প্রথম হয়ে তিনি উচ্চ বিদ্যালয়ের গন্ডী পার করেছিলেন| এই সময় থেকেই তিনি "ছোট পালক" হিসাবে পরিচিতি পেতে শুরু করেছিলেন| কিন্তু তার এত প্রবল আগ্রহ এবং সক্রিয়তা সত্ত্বেও তার হৃদয় সম্পূর্ণভাবে সন্তুষ্ট হয়নি| মিনিস্ট্রিতে যে কাজ তিনি করতেন তার বর্ণনা হিসাবে তিনি বলেছেন সেগুলি "মাছরাঙ্গা পাখির নীল পালকের ন্যায় দর্শনীয়, গ্রীষ্মের পর্ণরাজির ন্যায় অঢেল, কিন্তু একটিও তাজা ফল তুলিয়া প্রভু যীশুর প্রতি উৎসর্গ করা ব্যতীত" (Leslie T. Lyall, A Biography of John Sung, China Inland Mission, 1965 edition, p. 15) | তার 18 বছর বয়সে, 1919 সালে, সাং আমেরিকা যাওয়া মনস্থ করেছিলেন, এবং ওহিও ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটিতে নিখরচায় টিউশন পাওয়ার সুবিধা সমেত সেখানে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন| তিনি একটা প্রাক-মেডিকাল এবং প্রাক-থিয়োলজিকাল পাঠক্রম শুরু করেছিলেন, কিন্তু প্রাক-থিয়োলজিকাল পাঠক্রম ছেড়ে দেন এবং অঙ্ক ও রসায়নে বিশেষ পাঠগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন| তিনি নিয়মিত মন্ডলীতে যেতেন এবং ছাত্রদের মধ্যে সুসমাচার সংক্রান্ত সঙ্গীতের দল গঠনের উদ্যোগ নিতেন| কিন্তু তার সবশেষ পরীক্ষার সময়ে তিনি বাইবেল অধ্যয়ন এবং প্রার্থনায় অবহেলা করা শুরু করেছিলেন, এবং তার পরীক্ষার বিষয়গুলির একটিতে অসদুপায় অবলম্বন করেছিলেন| একটি শ্রেনীর অন্তর্গত তিনশ ছাত্রের মধ্যে প্রথম চারজনের একজন হয়ে প্রশংসার সঙ্গে তিনি 1923 সালে স্নাতক হন| পদার্থবিদ্যা ও রসায়নশাস্ত্রে ব্যুৎপত্তির জন্যে তাকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়েছিল এবং নগদ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল| তাকে Phi Beta Kappa Fraternity-র (ফাই বিটা কাপ্পা ভ্রাতৃসংঘ), শীর্ষস্থানীয় পন্ডিতদের একটি একচেটিয়া সমিতি, সদস্য মনোনীত করা হয়েছিল এবং বৃত্তিতে স্বতন্ত্র পরিচয়জ্ঞাপক চিহ্ন স্বরূপ, তাকে একটি সোনার চাবি দেওয়া হয়েছিল| হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় সমেত, অন্যান্য আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেইসময়ে তাকে বৃত্তি প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছিল| তিনি ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার অফ সায়েন্স ডিগ্রী পাঠক্রম চালানোর জন্য একটি বৃত্তি গ্রহণ করলেন| মাত্র নয় মাসে তিনি এই ডিগ্রী অর্জন করেন! তারপরে হার্ভার্ডে চিকিৎসাশাস্ত্র পড়ার জন্য তাকে একটি বৃত্তি গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল| একটি সেমিনারিতে পড়ার জন্যেও তার কাছে একটি বৃত্তি গ্রহণের প্রস্তাব এসেছিল| তিনি অনুভব করেছিলেন যে তার ঈশ্বরতত্ত্ব পড়াই উচিৎ হবে, কিন্তু সেই খ্যাতি যা তার সেইসময়ে হয়েছিল তা তার একজন সেবাব্রতী হওয়ার ইচ্ছাকে ভোঁতা করে দিয়েছিল| কাজেই এর পরিবর্তে তিনি ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটিতে রসায়নে ডক্টর উপাধি লাভের এক কর্মসূচিতে প্রবেশ করলেন| ঠিক একুশ মাসে তিনি পিএইচ.ডি সম্পূর্ণ করেন! সেই কারণে তিনি হয়েছিলেন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচ.ডি উপাধি অর্জনকারী প্রথম চীনা নাগরিক| "ওহিওর সর্বাধিক বিখ্যাত ছাত্র" হিসাবে তাকে তৎকালীন সংবাদপত্রে বর্ণনা করা হয়েছিল| "কিন্তু তার অন্তরের গভীরে সেখানে কোন শান্তি ছিল না| গভীর অবসাদের পর্য্যায়ে এক ক্রমবর্ধমান আত্মিক অস্থিরতা নিজেকে প্রকাশ করছিল" (Lyall, ibid., p. 22) | এই সময়ে তিনি উদারপন্থীদের ঈশ্বরতত্ত্বের প্রভাবের অধীনে আসেন, এবং তাদের "সামাজিক সুসমাচার" শিক্ষাদানের সম্মুখীন হন| উদারপন্থী ঈশ্বরতত্ত্ব এই শিক্ষা দেয় যে যীশু হলেন এক মহৎ উদাহরণ, কিন্তু তিনি পরিত্রাতা নন| আমার কাছে এই মনে হয় যে তার নয় বছর বয়সে জন সাং যীশুর সম্বন্ধে এই হিসাবেই ভেবেছিলেন যে তিনি হলেন শুধুই এক "মহৎ উদাহরণ," সেই কারণে সেইসময়ে তার মন পরিবর্তন ভ্রান্ত ছিল| কিন্তু তখনও ঈশ্বর তাকে আহ্বান করছিলেন| এক সন্ধ্যায় তিনি যখন একাকী ছিলেন সেই সময়ে তার মনে হল তিনি যেন ঈশ্বরের স্বর শুনতে পাচ্ছেন যা তাকে বলছে, “বস্তুত মনুষ্য যদি সমুদয় জগৎ লাভ করিয়া আপন প্রাণ খোয়ায়, তবে তাহার কি লাভ হইবে?” এর পরের দিন তার সঙ্গে একজন উদারপন্থী মেথডিস্ট অধ্যাপকের বাক্যালাপ হয়েছিল| তিনি সেই অধ্যাপককে বলেছিলেন যে তিনি মূলত ঈশ্বরতত্ত্ব পড়ার জন্যেই আমেরিকাতে এসেছেন| সেই অধ্যাপক তাকে ধর্ম বিষয়ক পাঠের জন্য নিউইয়র্কের ইউনিয়ন থিয়োলজিকাল সেমিনারিতে যেতে বলেছিলেন যা ছিল চরমভাবে ঈশ্বরতাত্ত্বিক উদারপন্থী| মাত্র কয়েক মুহূর্তের দ্বিধা কাটিয়ে তিনি সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন| ইউনিয়ন সেমিনারিতে তাকে পূর্ণ-বৃত্তি এবং সম্মানজনক জীবনধারণ ভাতা প্রদান করা হয়েছিল| পরে তিনি বলেছিলেন যে তিনি মিনিস্ট্রিতে আগ্রহী নন, কিন্তু বাবাকে সন্তুষ্ট করতে শুধু এক বছরের জন্য ঈশ্বরতত্ত্ব পড়তে, এবং তারপরে একটি বৈজ্ঞানিক কর্মজীবনে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন| তার হৃদয় অস্থিরতা এবং অন্ধকারে পরিপূর্ণ ছিল| 1926 সালের বসন্তকালে ডাঃ জন সাং ইউনিয়ন থিয়োলজিকাল সেমিনারিতে অন্তর্ভূক্ত হয়েছিলেন| চরমভাবে উদারপন্থী ডঃ হেনরী স্লোন কফিন তখন সবেমাত্র প্রেসিডেন্ট হিসাবে অভিষিক্ত হয়েছেন| অধ্যাপকদের মধ্যে রয়েছেন, বাইবেল-বিশ্বাসী খ্রীষ্টধর্ম্মের বিরুদ্ধে লেখা বেশ কয়েকটি বইয়ের লেখক ডঃ হ্যারী এমারসন ফোসডিক-এর মতন কঠিন-হৃদয়ের চরম উদারপন্থী| তিনি “The Modern Use of the Bible” (মডার্ণ ইউজ অফ দ্য বাইবেল) এবং “The Manhood of the Master” (দ্য ম্যানহুড অফ দ্য মাস্টার) এর মতন বই তিনি লিখেছিলেন| ফোসডিকের সবথেকে বিখ্যাত বক্তৃতা ছিল "মৌলবাদীরা কি জয়লাভ করবে?" (1922)| প্রতি সপ্তাহে ফোসডিক তার রেডিও অনুষ্ঠানে স্বশরীরে খ্রীষ্টের পুনরুত্থান এবং বাইবেলের সত্যনিষ্ঠতার বিরুদ্ধে প্রচার করতেন| সেমিনারিটি ছিল বাইবেলের সমালোচনা এবং সুসমাচার সংক্রান্ত ঈশ্বরতত্ত্বের প্রত্যাখ্যান দ্রুত প্রসারের একটি কেন্দ্র| "বাইবেলের অন্তর্গত যেকোন কিছু যার সত্যতা বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রতিপাদন করা যাচ্ছেনা সেটাকেই মূল্যহীন বলে প্রত্যাখ্যান করা হত! আদিপুস্তক ইতিহাস সম্মত নয় এবং অবৈজ্ঞানিক অলৌকিকের প্রতি বিশ্বাস বলে ধরে নেওয়া হত| ঐতিহাসিক যীশুকে নকল করার পক্ষে আদর্শ হিসাবে উপস্থাপিত করা হত, যেখানে প্রতিকল্প হিসাবে ক্রুশের উপরে তাঁর মৃত্যু, এবং শারীরিকভাবে তাঁর পুনরুত্থান উভয়কেই অস্বীকার করা হত| প্রার্থনা করাকে সময়ের অপচয় বলে গণ্য করা হত| এই ধরণের ধারণা [অসম্মতির সঙ্গে] পোষণ করলে করুণা ও উপহাসের পাত্রে পরিণত হতে হতো" (Lyall, ibid., pp. 29-30) | ডাঃ সাং তার প্রতিভার সব ক্ষমতার ব্যবহারে উদারপন্থী ঈশ্বরতত্ত্বের বিষয়ে তার অধ্যয়নের মধ্যে ডুবে থাকতেন| সেই বছরে তিনি পড়াশোনায় খুব উচ্চমান বজায় রেখেছিলেন, কিন্তু বৌদ্ধধর্ম্ম এবং তাও মতবাদ সম্বন্ধে অধ্যয়ন করার ফলে সেটা তাকে খ্রীষ্টধর্ম্ম থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিল| তিনি তার ঘরের নির্জনতায় বৌদ্ধ-ধর্মশাস্ত্র সুর করে আওড়াতে থাকতেন, এই আশা করে যে আত্মত্যাগ তাকে শান্তি এনে দেবে, কিন্তু তা হয়নি| তিনি লিখেছিলেন, "আমার আত্মা এক প্রান্তরের মধ্যে পরিভ্রমণ করিতেছে|" তার জীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছিল| তিনি লিখেছিলেন, "আমি না পারিতাম ঘুমাইতে না পারিতাম খাইতে... গভীরতম নিরানন্দে আমার হৃদয় পূর্ণ হইয়াছিল|" সেমিনারিতে আধিকারিকগণ লক্ষ্য করেছিলেন যে তিনি একটি হতাশাগ্রস্ত অবস্থাতে ক্রমাগত থাকছেন| এটা ছিল এমন এক আবেগপ্রবণ অবস্থা যে তিনি অন্য কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে, নিউ ইয়র্ক শহরের প্রথম ব্যাপটিস্ট মন্ডলীর পালক, মৌলবাদী, ডঃ আই. এম. হ্যালডিম্যান-এর বক্তৃতা শুনতে চলে গেলেন| ডঃ হ্যালডিম্যান তার এই উক্তি যে, "যিনি কুমারীর গর্ভে জন্ম অস্বীকার করেন তিনি বাইবেলের খ্রীষ্টধর্ম্ম অস্বীকার করছেন" করার জন্যে বিখ্যাত হয়েছিলেন| হ্যারী এমারসন ফোসডিক এবং ইউনিয়ন থিয়োলজিকাল সেমিনারির সঙ্গে হ্যালডিম্যান সরাসরি সংঘাতে লিপ্ত হতেন| কৌতুহলের বশেই জন সাং তার প্রচার শুনতে গিয়েছিলেন| কিন্তু ডঃ হ্যালডিম্যান সেই রাত্রে প্রচার করেননি| তার পরিবর্তে পনের বছর বয়সের একটি ছোট মেয়ে তার সাক্ষ্য দিয়েছিল| সে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছিল এবং ক্রুশের উপরে খ্রীষ্টের প্রতিকল্প মৃত্যুর উপরে কিছু বলেছিল| সাং বলেছিলেন যে তিনি সেই সেবাকাজে ঈশ্বরের উপস্থিতি অনুভব করতে সক্ষম হয়েছিলেন| সেমিনারিতে থাকা তার অন্য সঙ্গীরা তাকে উপহাস করেছিলেন এবং হেসেছিলেন, কিন্তু তিনি নিজে উপর্যুপরি আরও চারটি সন্ধ্যায় সেই সুসমাচার সংক্রান্ত সেবাকাজে উপস্থিত হয়েছিলেন| “সবই যীশুর জন্য|” গানটি আবার করুন! সবই যীশুর জন্য! সবই যীশুর জন্য! আমার দিনসকল ও আমার দন্ডসকল; প্রথম ব্যাপটিস্ট মন্ডলীর ঐসব সুসমাচার সংক্রান্ত সভায় যে শক্তি তিনি অনুভব করেছিলেন, তা আবিষ্কার করতে তিনি জন্ ওয়েস্লী, জর্জ হোয়াইটফিল্ড-এর মতন ব্যক্তি এবং অন্যান্য বিখ্যাত প্রচারকদের খ্রীষ্টিয় জীবনী পড়া শুরু করেছিলেন| একদিন সেমিনারির একটা ক্লাস চলাকালীন কোন এক লেকচারার ক্রুশের উপরে খ্রীষ্টের প্রতিকল্প মৃত্যুবরণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী বক্তব্য রাখছিলেন| বক্তৃতা শেষে জন সাং উঠে দাঁড়িয়েছিলেন এবং বিস্ময়াপন্ন ছাত্রদলের সামনে তাকে উত্তর দিয়েছিলেন| অবশেষে, 1927 সালের ফেব্রুয়ারী মাসের, 10 তারিখ, তিনি একটি প্রকৃত মন পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা লাভ করেন| "তিনি প্রত্যক্ষ করলেন যে তার জীবনের সব পাপ তার সামনে ছড়িয়ে রয়েছে| প্রথমে এই মনে হয়েছিল যে তার পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার বোধহয় কোন পথ নাই এবং তাকে অবশ্যই নরকে যেতে হবে| তিনি তার সমস্ত পাপ ভোলার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তিনি পারেননি| পাপগুলি তার হৃদয় বিদীর্ণ করে দিয়েছিল| তখন তিনি লূক xxiii অধ্যায়ের ক্রুশের কাহিনীর প্রতি ঘুরে দাঁড়ালেন, এবং যেমন তিনি পড়েছিলেন সেইভাবে কাহিনী জীবন্ত হয়ে উঠেছিল...তার মনে হয়েছিল তিনি যেন সেই ক্রুশের পাদদেশে দাঁড়িয়ে আছেন এবং [খ্রীষ্টের] বহুমূল্য রক্তে তার সব পাপ ধৌত হওয়ার জন্যে বিনতি করছেন...তিনি ক্রমান্বয়ে কাঁদতে থেকেছিলেন এবং মধ্যরাত্রি অবধি প্রার্থনা করেছিলেন| তখন তিনি একটি গলার স্বর শুনতে পেলেন [মনে হল যেন শুনছেন] তাকে বলছে, 'পুত্র, তোমার পাপ ক্ষমা হইয়াছে,' এবং তার পাপের সমস্ত বোঝা মনে হয়েছিল যেন তার ঘাড় থেকে নেমে গেল...'হালেল্লুইয়া' চিৎকারের সঙ্গে তিনি তার পায়ের উপর লাফিয়ে উঠলেন!" (Lyall, ibid., pp. 33-34)| চিৎকার করে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে করতে তিনি ডর্মিটরির হল ঘরের মধ্যে ছুটতে লাগলেন| তিনি তার সহপাঠী ও সেমিনারির শিক্ষক সহ, প্রত্যেককে তাদের জীবনে খ্রীষ্টের প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে শুরু করেছিলেন| এমনকী তিনি হ্যারী এমারসন ফোসডিককে পর্যন্ত বলেছিলেন যে তার পরিত্রাণের প্রয়োজন রয়েছে| “সবই যীশুর জন্য|” গানটি আবার করুন! সবই যীশুর জন্য! সবই যীশুর জন্য! আমার দিনসকল ও আমার দন্ডসকল; সেমিনারির প্রেসিডেন্ট ভেবে নিলেন যে চরম পান্ডিত্যপূর্ণ প্রয়াস চালানোর কারণে তার মন দিশাহারা হয়েছে, এবং তাকে এক উন্মাদ আশ্রমের সাইকোপ্যাথি বিভাগে ভর্তি করে দিলেন| তিনি ছয় মাস ঐ আশ্রমের চৌহদ্দীর মধ্যে বন্দী জীবন কাটালেন| তারা তাকে একটা শক্ত আঁটো পোষাক পরতে দিয়েছিল| সেই সময়ে তিনি বাইবেলের প্রথম থেকে শেষ অবধি চল্লিশ বার পাঠ করেছিলেন| "এই অনুসারে মানসিক হাসপাতাল জন সাং এর নিকটে প্রকৃত বাইবেল কলেজে পরিণত হইয়াছিল!" (Lyall, p. 38)| অবশেষে তাকে এই শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয় যে তিনি চীনে ফিরে যাবেন - এবং আর আমেরিকায় আসবেন না| জন সাং ইউনিয়ন সেমিনারির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন আর উদারপন্থী থিয়োলজিকাল বইপত্রকে, "শয়তানের বই" বলে আখ্যা দিয়ে, সব পুড়িয়ে দিলেন| চীন দেশের ফেরার উদ্দেশ্যে করা সমুদ্রযাত্রার সময়েই তিনি জানতেন যে রসায়নের অধ্যাপক হিসাবে চীনের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সহজেই একটা স্থান করে নিতে পারবেন| "একদিন, যখন জাহাজ তার সমুদ্রযাত্রা প্রায় শেষ করতে চলেছে, সেইসময় জন সাং নিচে তার কেবিনে গেলেন, ট্রাঙ্ক থেকে তার অর্জিত সব ডিপ্লোমা, তার সব পদক এবং তার ভ্রাতৃসংঘের সোনার চাবি বের করলেন, এবং বাইরে এনে জাহাজের ওভারবোর্ডে [সমুদ্রের জলে] ফেলে দিলেন| সব ফেলে দিয়েছিলেন, একমাত্র তার ডাক্তারির ডিপ্লোমাটি ছাড়া যা তিনি তার বাবাকে সন্তুষ্ট করবেন বলে রেখেছিলেন" (Lyall, p. 40)| চীনা ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারকে পরিণত হওয়ার জন্যই, 1927 এর গোড়ার দিকে ডাঃ জন সাং নৌকা থেকে সাংহাই বন্দরে নেমেছিলেন| তাকে প্রায়শই "চীনের ওয়েস্লী" নামে অভিহিত করা হত| জন সাং একজন অতীব ক্ষমতাসম্পন্ন সুসমাচার প্রচারকে পরিণত হয়েছিলেন| মাত্র তিন বছরে তার প্রচারের অধীনে চীনের প্রায় 100,000 লোক মন পরিবর্তন করেছিলেন! ছাড়া বার্মা, কাম্বোডিয়া, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনস-এও তিনি প্রচার করতেন| তিনি সবসময়ে একজন অনুবাদক সঙ্গে নিয়ে প্রচারে যেতেন, এমনকী চীন দেশের মধ্যেও, কারণ তার কথ্য ভাষা বা উচ্চারণ প্রণালী বিস্তারিতভাবে সকলের জানা ছিল না| যারা তার প্রচারে সাড়া দিতেন, জর্জ হোয়াইটফিল্ডের মতনই জন সাং ব্যক্তিগতভাবে তাদের বেশির ভাগকে পরামর্শ দিতেন| "বর্তমানে চীন এবং তাইওয়ানে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা জন সাং এর সেবাকাজের কাছে ঋণী হয়ে আছেন; বিংশ শতাব্দীতে সুদূর প্রাচ্যে তিনি ছিলেন ঈশ্বরের দেওয়া সর্বাপেক্ষা মূল্যবান উপহারগুলির মধ্যে একটি উপহার" (T. Farak, in J. D. Douglas, Ph.D., Who’s Who in Christian History, Tyndale House, 1992, p. 650)| "I remember John Sung" শিরোনামের বইটি হল রেভাঃ উইলিয়াম ই. শ্যুবার্ট রচিত ডাঃ সাং এর সর্বশ্রেষ্ঠ সংক্ষিপ্ত জীবনী, যা www.strategicpress.org ওয়েবসাইটে উপলব্ধ| রেভাঃ শ্যুবার্ট-এর লেখা জীবনী কিনতে হলে এখানে ক্লিক করুন| Click লেসলী লাইঅল-এর লেখা ডাঃ জন সাং এর জীবনী কিনতে হলে এখানে ক্লিক করুন (শ্যুবার্টের মতন অতটা ভাল না কিন্তু আকর্ষনীয় যদিও কিছুটা সমালোচনামূলক)| ডাঃ জন সাং এর ডায়েরি “The Journal Once Lost” কিনতে হলে এখানে ক্লিক করুন| ডাঃ সাং এর উপরে লেখাএকটা উইকিপিডিয়া প্রবন্ধ পড়তে হলে এখানে ক্লিক করুন| বিয়াল্লিশ বছর বয়সে, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে 1944 সালে তিনি মারা যান| “বস্তুত মনুষ্য যদি সমুদয় জগৎ লাভ করিয়া আপন প্রাণ খোয়ায়, তবে তাহার কি লাভ হইবে?” (মার্ক 8:36)| এটাই আমার প্রার্থনা যে আপনিও একটা প্রকৃত মন পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন, যেমন ডাঃ সাং করেছিলেন| আমি প্রার্থনা করি যে ঈশ্বর আপনাকে এই জীবনের সারশূন্যতা উপলব্ধি করাবেন; এবং ঈশ্বর আপনাকে পাপের গভীর চেতনার অধীনে নিয়ে আনবেন; এবং খ্রীষ্টের প্রায়শ্চিত্তকারী রক্তের মাধ্যমে শুচি হওয়ার জন্যে ঈশ্বর আপনাকে খ্রীষ্টের প্রতি আকর্ষণ করবেন| যখন আপনি খ্রীষ্টে বিশ্বাস স্থাপন করবেন তখন আপনার নবজন্ম হবে, এবং তাঁর মধ্যে আপনি একটা বিস্ময়কর নতুন জীবন পাবেন| আর আমি প্রার্থনা করি যে “With Dr. John Sung at a Liberal Seminary” (এটা পড়তে এখানে ক্লিক করুন) শিরোনামের একটি প্রচার শুনতে আজ রাত্রি 6:15 মিনিটে আপনি নিশ্চয়ই ফিরে আসবেন| আমেন| দয়া করে উঠে দাঁড়ান এবং আপনার গানের পাতার 1 নম্বর গান “Jesus Paid It All” (যীশু সকলই প্রদান করেছেন), এই গানটি করুন| আমি শুনি পরিত্রাতা বলছে, "তোমার শক্তি বাস্তবিক অল্প, যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা প্রচারের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত: |