Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




কেন উদ্দীপনা নয়? সঠিক উত্তরটা!

(উদ্দীপনা সভার দশম প্রচার)
WHY NO REVIVAL? THE TRUE ANSWER!
(SERMON NUMBER 10 ON REVIVAL)
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র।
By Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৪ সালের, ৫ই অক্টোবর, সদাপ্রভুর একটি দিনে সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেলসের ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord's Day Evening, October 5, 2014

“তিনি তাহাদের নিকট হইতে চলিয়া গিয়াছেন” (হোশেয় ৫:৬)|

“আমি আপন স্থানে ফিরিয়া যাইব, যে পর্যন্ত তাহারা দোষ স্বীকার না করে, ও আমার শ্রীমুখের অণ্বেষণ…” (হোশেয় ৫:১৫)|


হোশেয় পুস্তকে পঞ্চম অধ্যায়ের বিষয়বস্তু হচ্ছে ঈশ্বরের উপস্থিতি চলে গেছে – যেমন দেওয়া আছে স্কোফিল্ড বাইবেলের বর্ণনায় অধ্যায়ের শুরুতেই| ঈশ্বর ইস্রায়েল থেকে তাদের গর্বের কারনে এবং তাদের পাপের কারনে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন|

আমি জানি আমেরিকার সঙ্গে ঈশ্বরের কোন চুক্তি নাই| তাঁর ইস্রায়েলের সঙ্গে পার্থিব চুক্তি আছে, কিন্তু অন্য কোন জাতির সঙ্গে কোন চুক্তি নাই| কিন্তু লক্ষ্য করুন যে, আমাদের পাঠ্যাংশে, ঈশ্বর বলেছেন তিনি তাঁর চুক্তিগ্রাহ্য লোকেদের দিক থেকে তাদের গর্বের এবং তাদের পাপের কারনে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন| যদি তিনি তাঁর চুক্তিগ্রাহ্য লোকদের ইস্রায়েলকে পরিত্যাগ করতে পারেন, তবে ভাবুন যে তিনি আরও কত বেশি পরিমানে আমেরিকা, এবং পাশ্চাত্য জগতকে পরিত্যাগ করবেন! ডঃ জে. ভার্ণন ম্যাকগী বলেছেন,

ইহা আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আজকে ইউনাইটেড স্টেটস অনুভব করিতেছে আমাদের উপরে ঈশ্বরের বিচারের বাস্তবতা…আমরা উপলব্ধি করিতেছি আমাদের উপরে তাঁহার বিচারের বাস্তবতা, ঠিক যেমন ইস্রায়েল করিয়াছিলেন (J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, volume III, Thomas Nelson Publishers, 1982, p. 633; note on Hosea 5:2)|

এখন আমরা আমাদের পাঠ্যাংশের প্রতি আসি,

“আমি আপন স্থানে ফিরিয়া যাইব, যে পর্যন্ত তাহারা দোষ স্বীকার না করে, ও আমার শ্রীমুখের অণ্বেষণ…” (হোশেয় ৫:১৫)|

এখানে ঈশ্বর পাপপূর্ণ জাতিকে বলেন যে তিনি নিজেকে তাদের থেকে সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে তাদের শাস্তি দেবেন, “আমি যাইব [আপনাদের মধ্য হইতে] এবং আমার স্থানে ফিরিয়া যাইব…” আমাদের পাঠ্যাংশের উপরে বিখ্যাত পুরিটান টীকাকার যিরমিয় বুরোস (১৬০০-১৬৪৬) এই মন্তব্যগুলি করেছিলেন,

‘আমি আপন স্থানে ফিরিয়া যাইব,’ ইহার অর্থ, আমি পুনরায় স্বর্গে যাইব…আমি স্বর্গে চলিয়া যাইব যখন আমি তাহাদের হইতে যন্ত্রনাগ্রস্ত হইব, এবং সেইস্থানে আমি বসিব…যেন আমি তাহাদের নিরীক্ষণ করি না (Jeremiah Burroughs, An Exposition of the Prophecy of Hosea, Reformation Heritage Books, 2006, p. 305; note on Hosea 5:15)|

আমি নিশ্চিত যে এই কারনেই শতাধিক বছর ধরে পাশ্চাত্য জগতে কোন বড় উদ্দীপনা আমরা দেখতে পাই না| ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে চলে গিয়েছেন| ঈশ্বর বলেছেন, “আমি আপন স্থানে ফিরিয়া যাইব, যে পর্যন্ত তাহারা দোষ স্বীকার না করে…” আপনি হয়তো অসম্মত হবেন, এবং বলবেন যে আমি শুধুমাত্র একজন মিশনারী, আপনার মনোযোগ আকর্ষণের উপযোগী নই| তাহলে, এবার, আপনি কী মহান প্রচারক, ডঃ মার্টিন লয়েড-জোনস্ এর কথা শুনবেন? তিনি এরকম বলেছেন,

ঈশ্বর জানেন যে খ্রীষ্টিয় মন্ডলী বহু বৎসর ধরিয়া প্রান্তরের মধ্য দিয়া যাইতেছে| যদি আপনি ১৮৩০ অথবা ১৮৪০ সালের পূর্বের মন্ডলীর ইতিহাস পড়িয়া থাকেন, তাহা হইলে আপনি দেখিবেন যে বিগত বহু শতাব্দী ধরিয়া অনেক দেশেই প্রত্যেক দশ অথবা সেইরূপ কয়েক বৎসর অন্তর নিয়মিত উদ্দীপনা হইত| ইহা এখন সেইরূপ হইতেছে না| ১৮৫৯ সাল পর্যন্ত সেখানে শুধু একটিই বড় উদ্দীপনা হইয়াছে| ওহ, আমরা এক ব্যর্থ যুগের মধ্য দিয়া যাইতেছি…লোকেরা এই জীবন্ত ঈশ্বরের উপর হইতে তাহাদের বিশ্বাস এবং তাহার প্রায়শ্চিত্ত এবং তাঁহার মিলনসাধন হারাইয়াছেন এবং তাহারা প্রজ্ঞার প্রতি, দর্শনের প্রতি এবং শিক্ষার প্রতি ফিরিয়াছেন| আমরা খ্রীষ্টিয় মন্ডলীর দীর্ঘ ইতিহাসের এক অতি ব্যর্থ যুগ অতিক্রম করিয়া আসিতেছি…আমরা এখনও প্রান্তরেই রহিয়াছি| কোন কিছুই বিশ্বাস করিও না যাহা স্মরণ করায় যে আমরা ইহার বাহিরে রহিয়াছি, আমরা বাহিরে নহে ভিতরেই রহিয়াছি (D. Martyn Lloyd-Jones, M.D., Revival, 1987, Crossway Books, p. 129) |

সেখানে এই কথাগুলি আপনি শুনছেন, আমার মতন একজন ছোট মিশনারীর কাছ থেকে নয়, কিন্তু বিংশশতাব্দীর বিখ্যাত দুই বা তিনজন মহান প্রচারকদের মধ্যে, একজন মহা বিখ্যাত পন্ডিতের কাছ থেকে! ঈশ্বর নিজেকে ফিরিয়ে নিয়েছেন, আর সেইজন্য, “১৮৫৯ সাল পর্যন্ত সেখানে শুধু একটিই বড় উদ্দীপনা হইয়াছে,” যদিও, “১৮৩০ অথবা ১৮৪০ সালের পূর্বে…সেখানে প্রায় প্রত্যেক দশ অথবা সেইরূপ কয়েক বৎসর অন্তর নিয়মিত উদ্দীপনা হইত” (ibid.)|

যদি আমরা সত্যি সত্যিই উদ্দীপনার বিষয়ে কৌতুহলী হই তবে অবশ্যই আমাদের পিছনের বছরগুলিতে ফিরে যেতে হবে এবং যত্ন করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে ১৮৩০ এবং ১৮৪০ সালের মধ্যে কি ঘটেছিল| তার আগে প্রায় প্রতি দশ বছর অন্তর আমাদের মন্ডলীগুলিতে উদ্দীপনা হত| তারপর থেকে ১৮৫৯ সাল পর্যন্ত - শুধু একটাই বড় উদ্দীপনা হয়েছে! সুতরাং ১৮৩০ এবং ১৮৪০ সালের মধ্যে নিশ্চয়ই এমন কিছু ঘটেছিল যে কারনে ঈশ্বর “নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন” (হোশেয় ৫:৬) এবং “জায়্গায় [তাঁর নিজের জায়্গায়] ফিরিয়া যান” (হোশেয় ৫:১৫)|

যদি আপনি সুসমাচারমূলক খ্রীষ্টিয় বিশ্বাসের ইতিহাস জানেন, তবে এটা পরিষ্কার হয়ে যাওয়া উচিৎ যে কি ঘটেছিল! চার্লস জি. ফিন্নি! তার কী ঘটেছিল! ঐতিহাসিক ডঃ উইলিয়াম ম্যাকলাওলিন, জুনিয়র লিখেছিলেন,

তিনি আমরিকান উদ্দীপনাবাদের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছেন…তিনি সুসমাচার প্রচারের দর্শন এবং প্রনালীর সম্পূর্ণ রূপান্ত করেছেন (William G. McLoughlin, Jr., Ph.D., Modern Revivalism: Charles G. Finney to Billy Graham, The Ronald Press, 1959, p. 11)|

ফিন্নির আগে, প্রচারকেরা বিশ্বাস করতেন যে উদ্দীপনা ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে, এবং ঐ সময়ে প্রত্যেকটি ব্যক্তিগত মন পরিবর্তন এক অলৌকিক কাজ যা ঈশ্বর থেকে এসেছে| ১৭৩৫ সালে যোনাথান এডওয়ার্ডস্ উদ্দীপনাকে “ঈশ্বরের বিষ্ময়কর কাজ” হিসাবে অভিহিত করেন| ১৮৩৫ সাল থেকেই ফিন্নি বলে আসছিলেন যে একটি উদ্দীপনা “কোনভাবেই অলৌকিক কার্য্য নহে| ইহা শুধুমাত্র বিধানের সঠিক ব্যবহারের খাঁটি দার্শনিক ফল|” এর মানে, “উদ্দীপনা একটি অলৌকিক কাজ নয়| এটা শুধুমাত্র সঠিক পদ্ধতি ব্যবহারের স্বাভাবিক ফল|” এটাকেই তিনি আধুনিক ইংরাজীতে বলেছেন|

যোনাথান এডওয়ার্ডস্ এবং ফিন্নির মধ্যে পার্থক্য হল এই যে এডওয়ার্ডস্ ছিলেন একজন প্রোটেস্টান্ট, যেখানে ফিন্নি ছিলেন এক ভ্রান্ত মতবাদী, এক পেলেজিয়ান যিনি বিশ্বাস করতেন যে ঈশ্বরের নিজ অনুগ্রহ ও ক্ষমতার দ্বারা নয়, বরং মানুষ নিজের কঠোর প্রচেষ্টা দ্বারাই পরিত্রাণ পায়| এটা বলা ঠিক নয় যে ফিন্নী একজন আর্মিনিয়ান মেথডিষ্টের মতন ছিলেন| সেকেলে মেথডিষ্টদের আর্মিনিয়ানবাদের চাইতে ফিন্নীর বিশ্বাসগুলি অনেকটাই আলাদা রকমের ছিল| ফিন্নীর বিখ্যাত একটি প্রচারের শিরোনাম ছিল, “পাপীরা বাধ্য তাদের 1নিজেদের হৃদয় পরিবর্তন করতে” (১৮৩১ সাল)| ঈশ্বরকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে, একজন মানুষ, তার নিজস্ব কঠোর প্রচেষ্টা এবং মানবোচিত সিদ্ধান্তের দ্বারা, নিজের মন পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে| ফিন্নির আগে, সেই মেথডিষ্টরা, এই ধরনের কথা বিশ্বাস করতেন না| ইয়ান এইচ. ম্যুরে চূড়ান্তভাবে দেখিয়েছেন যে ফিন্নির এই ধরনের ধারনা এসেছে নাথানিয়েল টেলরের মতন নতুন ইংল্যান্ড উদারপন্থীদের কাছ থেকে, আগেকার মেথডিষ্টদের কাছ থেকে নয় (Iain H. Murray, Revival and Revivalism, Banner of Truth, 2009 edition, pp. 259-261)| মেথোডিষ্টরা কখনওই এরকম বলেন নি, “পাপীরা বাধ্য তাদের নিজেদের হৃদয় পরিবর্তন করতে”! জর্জ স্মিথ, তার লেখা মেথডিষ্ট ওয়েসলেয়ানের ইতিহাস নামের বইতে উদ্দীপনার নিম্নোক্ত সংজ্ঞা দিয়েছেন,

এক উদ্দীপনা, তাহা হইলে, হইল অনুগ্রহের কার্য্য ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা আরোপিত মনুষ্যের আত্মার উপর প্রভাব; এবং, শুধু পবিত্র আত্মার স্বাভাবিক কার্য্য হইতে, ইহার প্রকৃতির পার্থক্য, মনুষ্যের জ্ঞানালোকে এবং মনপরিবর্তনে, ইহার প্রশস্ত সাফল্য এবং মহত্তর প্রগাঢ়তার বৃদ্ধি (George Smith, Revival, volume 2, 1858, p. 617)|

এটাই ছিল আগের দিনের উদ্দীপনা এবং মন পরিবর্তনের মেথডিষ্ট সংজ্ঞা| ফিন্নির ভ্রান্ত সংজ্ঞা জনপ্রিয়তা অর্জন করার আগে এবং ঈশ্বরকে চিত্র থেকে সমূলে বাদ দেওয়ার আগেই কোন প্রোটেস্টান্ট বা ব্যপটিস্ট সম্প্রদায় দ্বারা এইরকমের সংজ্ঞা দেওয়া যেতে পারত| ফিন্নির পরে, তারা জানত না যে তারা ছিল “দূর্ভাগ্যগ্রস্ত, এবং কৃপাপাত্র, এবং দরিদ্র, এবং অন্ধ, এবং উলঙ্গ” (প্রকাশিত বাক্য ৩:১৭)| ফিন্নির পরে, তারা এমনকি এটাও জানত না যে ঈশ্বর “নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন” এবং ফিরে গিয়েছেন “তাঁর নিজের জায়্গায়|”

জর্জ স্মিথ থেকে নেওয়া নির্দ্দিষ্ট অংশের উদ্ধৃতি দেখায় যে সেকেলে মেথডিষ্টরা বিশ্বাস করতেন যে ব্যক্তিগত মন পরিবর্তন এবং উদ্দীপনা দু’টিই সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করত এককভাবে পবিত্র আত্মার কাজের মাধ্যমে, ঈশ্বরের অনুগ্রহের উপর| সেই কারনে সমস্ত প্রোটেস্টান্ট এবং ব্যপটিস্টরা বিশ্বাস করতেন যে ফিন্নির আগে সুসমাচার ধ্বংস হয়ে গেছে| বড় সম্প্রদায়গুলির পুরানো চিন্তাধারা থেকে ফিন্নির পেল্যাজিয়ান চিন্তাধারার অনেক পার্থক্য রয়েছে, যা তিনি তার বিখ্যাত প্রচারের শিরোনাম, “পাপীরা বাধ্য তাদের নিজেদের হৃদয় পরিবর্তন করতে” এর মধ্যে ব্যক্ত করেছেন| আপনি কি ভাবে সেটা করবেন? আমি সাত বছর ধরে চেষ্টা করেছিলাম! সেটা করা যায় নি| আমি আমার অভিজ্ঞতার থেকে সেটা জানি!

ফিন্নি ছিলেন সেই মানুষ যিনি বেদীর কাছে আহ্বানের সূত্রপাত করেন, আর হারানো পাপীদের বলেন যে তারা একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং “সেই মূহুর্তেই” তাদের নিজেদের ইচ্ছার সাহায্যে পরিত্রাণ পেয়ে যেতে পারে| যেমন ডঃ ম্যাকলাফলীন বলেছিলেন, ফিন্নি “সুসমাচার প্রচারের দর্শন এবং পদ্ধতির সম্পূর্ণ পরিবর্তন করেছেন” (ibid.)| বর্তমানে, বেশির ভাগ সুসমাচার প্রচারমূলক শাখাগুলি শিক্ষা দেয় যে হারানো পাপীরা মানুষের কাজের মতন তাদের হাত তুলে, “পাপ স্বীকারের প্রার্থনা” উচ্চারণ করে অথবা বেদীর সামনে হেঁটে গিয়ে যাকে বলা হয়ে থাকে, “সিদ্ধান্তের সময়,” পরিত্রাণ লাভ করতে পারে| তাহলে “সিদ্ধান্তমূলক মতবাদ” হচ্ছে চার্লস জি. ফিন্নির ভ্রান্ত পেল্যাজিয়ান মতবাদ শিক্ষার এক সরাসরি গুনগত ফল!

সিদ্ধান্তমূলক মতবাদ খুব তাড়াতাড়ি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল কারন সেটা ছিল “খুবই সত্বর এবং সহজতর|” হারানো লোকেদের পাপের চেতনার জন্য, এবং তারপর তাদের খ্রীষ্টের প্রতি আকর্ষণ করার জন্য আপনার আর পবিত্র আত্মার জন্য অপেক্ষা করার প্র্য়োজন ছিল না| ফিন্নি সুসমাচার প্রচার পদ্ধতি ঘুরিয়ে ফেলেছেন “খ্রীষ্ট বিশ্বাসী”দের একত্রিকরনের ফসল হিসাবে এক নতুন দলে| কিন্তু এই দলের “উৎপাদন” বেশির ভাগটাই মোটেও খ্রীষ্টবিশ্বাসী নয়! এই কারনে প্রোটেস্টান্ট এবং ব্যপটিস্ট সম্প্রদায়গুলি ধ্বংস হয়ে গেছে! “উদারপন্থী”দের প্রত্যেকেই পরিত্রাণ না পেয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল! এইভাবেই প্রোটেস্টান্ট উদারপন্থীর অভ্যুদয় হয়!

ইয়ান এইচ. ম্যুরে বলেছেন যে, “মন পরিবর্তন মনুষ্যের কার্য্য এমন ধারনা দেশগতভাবে সুসমাচার প্রচারে [অংশরূপে] পরিনত হইয়াছে এবং, ঠিক যেমন মানুষেরা যথাযথভাবে ভুলিয়া গিয়াছে যে পুনরুৎপত্তি ঈশ্বরের কার্য্য, সেইজন্য ঈশ্বরের আত্মার কার্য্য উদ্দীপনায় তাহাদের বিশ্বাস অদৃশ্য হইয়া গিয়াছে| [ইহা] ছিল ফিন্নির মতবাদের সরাসরি ফল” (Revival and Revivalism, Banner of Truth, 1994, pp. 412-13)|

“দ্রুততর এবং সহজতর” পথকে ঈশ্বর আশীর্বাদ করেন না| পরিবর্তে, এটা আমাদের প্রোটেস্টান্ট এবং ব্যপটিষ্ট মন্ডলীকে হারানো লোক দিয়ে পূর্ণ করে দেয়| এখনই আমাদের ব্যপটিষ্ট মন্ডলীতে এত বেশি হারানো লোক রয়েছে যে অনেক প্রচারক মনে করেন যে তাদের অবশ্যই রবিবারের সান্ধ্য উপাসনা বন্ধ করা উচিৎ|

আমি একজন পালকের স্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলাম যে কেন তার স্বামী সান্ধ্য উপাসনা বন্ধ করে দিলেন| তিনি বলেন, “তাহারা তাহাকে বলিয়াছে যে তাহারা আসিবে না|” এটা শুধুমাত্র মন্ডলীগুলিকে অপরিত্রাণপ্রাপ্ত সদস্য দিয়ে তৈরী করার একটি দুঃখদায়ক ফলাফল যার সাধারন কারন হল যে সেই ধরনের সদস্যরা মানবোচিত “সিদ্ধান্ত” নিয়ে থাকে| ঈশ্বর আমাদের ক্ষমা করুন! প্রাচীন, বাইবেলভিত্তিক মন পরিবর্তন ছাড়া, আমরা দন্ডপ্রাপ্ত হই! আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি না| শুধুমাত্র ঈশ্বরই উদ্দীপনা পাঠাতে পারেন| সিদ্ধান্তমূলক মতবাদ ঈশ্বরকে অস্বীকার করে এবং মানুষকে সিংহাসনের উপরে বসায়| এবং ঈশ্বর বলেছেন,

“আমি আপন স্থানে ফিরিয়া যাইব, যে পর্যন্ত তাহারা দোষ স্বীকার না করে, ও আমার শ্রীমুখের অণ্বেষণ…” (হোশেয় ৫:১৫)|

আমেরিকা অথবা ইউনাইটেড কিংডমে গত একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে উদ্দীপনা না আসার এটাই হল প্রকৃত কারন!

পাপীরা অবশ্যই ঈশ্বরের সামনে নত হবে| সিদ্ধান্তবাদীরা কেউই নম্র নয়| পাপীরা “এগিয়ে” আসে যেন মনে হয় এটা খুবই বীরত্বপূর্ণ, সাহসিকতার কাজ ছিল| আমরা দেখতে পাই কোন অশ্রুজল নেই, কোন দুঃখ নেই, কোন অনুশোচনা নেই, পাপের কোন চেতনা নেই| ২০০৪ সালের, নভেম্বর মাসে, ক্যালিফোরনিয়ার পাসাডিনাতে বিলি গ্রাহামের শেষ ধর্ম্মসভায় আমি ও আমার স্ত্রী দেখেছি যে, জমায়েত লোকেরা হাসতে হাসতে এবং আনন্দের সঙ্গে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে “এগিয়ে” যাচ্ছিল| ফিন্নির আগে, পুরানো দিনের উদ্দীপনার থেকে এর কতটাই না পার্থক্য| ১৮১৪ সালের এক মেথডিষ্ট সভার বিবরণ শুনুন|

পরবর্তী রাত্রে, একটি অন্য প্রার্থনা সভায়, অনেকে পাপের চেতনায় আবদ্ধ হইয়াছিলেন, এবং বহুল পরিমানে আত্মার আর্তনাদ এবং উচ্চস্বরে [প্রসারিত] প্রার্থনার পর তাহারা খ্রীষ্টতে আশ্রয় পাইয়াছিলেন…পুরুষ এবং মহিলারা আর যুবকেরা যাহারা ঈশ্বরহীন জীবনযাপন করিতেন তাহাদের আনা হইয়াছিল আত্মার নিদারুণ যন্ত্রনার মধ্যে [এবং তখন] তাহারা সাক্ষ্য দিতে শুরু করিলেন মহানিশ্চয়্তার সহিত যে ঈশ্বর তাহাদের পরিদর্শন করিয়াছেন এবং যীশু খ্রীষ্টের নিজগুণের মাধ্যমে তাহাদের পাপের ক্ষমা দিয়াছেন (Paul G. Cook, Fire From Heaven, EP Books, 2009, p. 79)|

আপনি কী কখনও “পাপের চেতনার দ্বারা আবদ্ধ হয়েছেন”? আপনি কী কখনও “আত্মার গভীর নিদারুণ যন্ত্রনা” অনুভব করেছেন এবং তারপর “খ্রীষ্টে আশ্রয় পেয়েছেন”? রেভাঃ ব্রিয়ান এইচ. এডওয়ার্ডস্ বলেছেন,

ইহা শুরু হয় বিভিষৎ পাপের চেতনার সহিত…লোকেরা অনিয়ন্ত্রিতভাবে ক্রন্দন করে..কিন্তু উদ্দীপনায় এই প্রকারের অশ্রুবিহীন পাপের চেতনা এবং দুঃখ থাকে না…গভীর, অস্বস্তিপূর্ণ এবং অবনমিত পাপের চেতনা ব্যতীত উদ্দীপনা হয় না… একজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী [১৯৬০ সালের চীনা উদ্দীপনার] বর্ণনা করিয়াছেন: “আমার চতুর্দিকের জমি যুদ্ধক্ষেত্রের ন্যায় অনুগ্রহের জন্য আত্মার ক্রন্দনে ভরিয়া উঠিয়াছিল” (Brian H. Edwards, Revival: A People Saturated With God, Evangelical Press, 1991 edition, pp. 115, 116)|

আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ “শিখতে” চেষ্টা করছেন যে কেমন করে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে| পরিত্রাণ শিক্ষার মধ্যে দিয়ে পাওয়া যায় না! এর জন্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হয়, এবং একে অবশ্যই অনুভব করতে হয়, এটা অবশ্যই আপনার মধ্যে ঘটবে এবং আপনি তা জানতে পারবেন| এখন আপনি এই বিষয়ে জানেন, কিন্তু আপনাকে অবশ্যই পরিত্রাণ অনুভব করতে হবে নিজের জন্যই| এবং প্রথমেই আপনার অবশ্যই গভীর চেতনার অনুভূতি হওয়া উচিৎ যে আপনি পাপী| আপনি অবশ্যই নিজেকে অনুতাপের মধ্যে নিয়ে আসুন,

“দুর্ভাগ্য মনুষ্য আমি! এই মৃত্যুর দেহ হইতে কে আমাকে নিস্তার করিবে?” (রোমীয় ৭:২৪)|

ডঃ লয়েড-জোনস্ বলেছেন যে এটাই চেতনাপ্রাপ্ত পাপীর ক্রন্দন – এবং আমি তার সঙ্গে একমত! আমি আমার নিজের চোখে এই ঘটনা দেখেছি যখন ঈশ্বর উদ্দীপনায় তাঁর আত্মাকে পাঠান|

১৯৬০ সালের শেষের দিকে প্রথম চীনা ব্যপটিষ্ট মন্ডলীর উদ্দীপনায়, ডঃ তীমথি লিন আমাদের সঙ্গে বারে বারে এই গানটি গেয়েছিলেন,

“হে ঈশ্বর, আমাকে অনুসন্ধান কর, এবং আমার অন্তঃকরণ জ্ঞাত হও:
আমার পরীক্ষা কর এবং আমার চিন্তাসকল জ্ঞাত হও:
আর আমার অন্তঃকরণ জ্ঞাত হও;
আমার পরীক্ষা কর এবং আমার চিন্তাসকল জ্ঞাত হও;
আর দেখ আমাতে দুষ্টতার পথ পাওয়া যায় কি না,
এবং সনাতন পথে আমাকে গমন করাও|”
   (গীতসংহিতা ১৩৯:২৩,২৪, প্র্সারিত)|

উঠে দাঁড়ান এবং গানটি করুন| এটা আপনার গানের পাতার ৮ নং গান| শুধুমাত্র যখন আপনি আপনার মনের গভীর পাপের জন্য অনুতপ্ত হবেন তখন আপনার মন ও অন্তঃকরণ খ্রীষ্টের রক্তে পরিষ্কৃত হবে এবং আপনি তার গুরুত্ব অনুভব করতে পারবেন! ডঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনায় পরিচালিত করুন| আমেন|


যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটে www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়তে পারেন| ক্লিক করুন “প্রচার পান্ডুলিপি|”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মে: হোশেয় ৫:৬-১৫ |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“O For a Closer Walk With God” (by William Cowper, 1731-1800) |