এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
উদ্দীপনা মনোনয়ন হয় না !REVIVAL IS NO OPTION ! লেখক : ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র 2017 সালের, 1লা অক্টোবর, প্রভুর দিনের সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের ‘‘তথাচ তোমার বিরুদ্ধে আমার কথা আছে, তুমি আপন প্রথম প্রেম পরিত্যাগ করিয়াছ| অতএব স্মরণ কর, কোথা হইতে পতিত হইয়াছ, এবং মন ফিরাও ও প্রথম কর্ম্ম সকল কর; নতুবা যদি মন না ফিরাও, আমি তোমার নিকটে আসিব ও তোমার দীপবৃক্ষ স্বস্থান হইতে দূর করিব’’ (প্রকাশিত বাক্য 2:4, 5)| |
ইফিষীয় মন্ডলী ছিল এক বিখ্যাত মন্ডলী| এটা অতি উত্তম এক মন্ডলী| এটা একটা ভিত্তিস্বরূপ মন্ডলী ছিল যা ভ্রান্ত মতবাদকে ঘৃণা করত| কিন্তু এর একটা ত্রুটি ছিল| এই মন্ডলী আত্ম পরিতৃপ্ত ছিল| মন্ডলী গৃহের মূল্য দেওয়া হয়ে গেছিল| লোকেরা বরং আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছল ছিলেন| তাদের প্রচুর পরিমানে অর্থ ছিল| তাদের কোন কিছুরই প্রয়োজন ছিল না| কিন্তু খ্রীষ্ট বলেছিলেন যে তাদের বিরুদ্ধে তাঁর একটা বিষয় বলার রয়েছে| তারা নিজেদের প্রথম প্রেম ত্যাগ করেছেন| তিনি তাদেরকে অনুতাপ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন| তিনি তাদের ফিরে গিয়ে সেই ভালবাসা এবং উৎসাহ যা তারা বহু বছর ধরে হারিয়ে ফেলেছেন তার খোঁজ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন| যদি তারা অস্বীকার করেন, তার জন্যে খ্রীষ্ট তাদের আসন্ন বিচারের সম্বন্ধে সতর্ক করে দিয়েছিলেন| সেই মন্ডলী ছিল দীপবৃক্ষের মতন| অন্ধকারাচ্ছন্ন জগতে তা আলোর যোগান দিত| তা সত্ত্বেও, সেই মন্ডলী যদি অনুতাপ না করত, খ্রীষ্ট বলেছিলেন, “নতুবা যদি মন না ফিরাও, আমি তোমার নিকটে আসিব, ও তোমার দীপবৃক্ষ স্বস্থান হইতে দূর করিব|’’ আর তারপরে খ্রীষ্ট বলেছিলেন, “যাহার কর্ণ আছে, সে শুনুক, আত্মা মন্ডলীগণকে কি কহিতেছেন’’ (প্রকাশিত বাক্য 2:7)| কিন্তু সেই মন্ডলী অনুতাপ করেনি এবং নিজেকে রক্ষা করার জন্যে যথেষ্ট পরিমানে উদ্দীপনার অভিজ্ঞতা লাভ করেনি| প্রথম শতাব্দীর প্রায় শেষের দিকে ডমিনিশিয়ান সম্রাটের অধীনস্ত সৈন্যদের দ্বারা, এককালের বিখ্যাত এই মন্ডলী ধ্বংস হয়ে গেছিল| অন্য আর একটা মন্ডলী গৃহ তৈরী করা হয়েছিল কিন্তু শেষ অবধি গোটা শহরটিই মুসলিমদের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল| আমাদের মন্ডলীতে সেই জিনিষটির প্রয়োগের প্রয়োজন আমার আছে কি? প্রাচীনকালে, ইফিষীয়তে অবস্থিত মন্ডলীতে পরিপূর্ণ জীবন ও খ্রীষ্টিয় ভালবাসা ছিল| এটা ছিল একটা উদ্দীপ্ত এবং প্রেমময় মন্ডলী| আমাদের মন্ডলী এককালে যেরকম ছিল এটা সেইরকম ছিল| আমাদের মন্ডলী বিভাজন ছিল| কিন্তু তারা সবসময়ে আত্মোৎসর্গ ও অঙ্গীকারের বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন| যারা ছেড়ে চলে গেছেন তারা সর্বদা গিয়েছেন এই কারণে যে তারা ঐকান্তিক খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হতে চাননি| যতবার আমি তাদের খ্রীষ্টের জন্যে ভালবাসার প্রতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি, এদের দলটি চলে গেছে| আমি ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করছিলাম এই কারণে তারা কখনও যাননি| তারা সব সময়ে ছেড়ে গিয়েছেন এই কারণে যে উদ্দীপনা হোক তারা সেটা চাননি| তারা যীশুর শিষ্য হতে চাননি| রিচার্ড ওলিভাস সব থেকে খারাপ বিভাজনটি ঘটিয়েছিলেন| তিনি বলেছিলেন যে মহান আজ্ঞা শুধুমাত্র প্রেরিতদের জন্যে, তারা ছাড়া আর অন্য কারোর আত্মা জয় করতে হয় না| সেটা ছিল তার প্রথম অভিযোগ| তিনি আক্ষরিক অর্থে ঘৃণা করতেন যীশুর এই বাক্য, “কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্ম্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর” (মথি 6:33)| তিনি লোকদের বলেছিলেন ঈশ্বরের রাজত্বের অন্বেষণ না করে বরং তারা সাফল্য ও অর্থের অনুসন্ধান করুক| সেই লোকেরা যাতে আত্মা জয় ও প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করে তার জন্যে আমি প্রার্থনা করে চলেছিলাম| তিনশ লোক তাকে অনুসরণ করেছিলেন| মাত্র 15 জন বাকি ছিলেন| আমাদের লোকেরা খ্রীষ্টকে কেন্দ্রে রেখেছিলেন এবং তার লোকেদের তুলনায় অনেক বেশি সফল হয়েছিলেন! অনেক বেশি! আমাদের সন্তানদের প্রায় সকলেই কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছিলেন| আমাদের মন্ডলীর মূল লোকদের বেশির ভাগই নিজেদের বাড়ি বা কনডমিনিয়াম কিনেছেন| তার লোকেরা চারিধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছেন| আমাদের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যক বিবাহ-বিচ্ছেদি আছেন| তাদের লোকদের একে অপরকে বিবাহবিচ্ছেদ দেওয়ার তর সইছে না! তাহলে কারা ভাল আছেন? অবশ্যই, এই গৃহের দেনা পরিশোধ করতে আমরা কষ্ট স্বীকার করেছি| কিন্তু সেই কষ্ট আমাদেরকে যীশুর শক্তিশালী শিষ্য হিসাবে তৈরী করে দিয়েছে| তার ছোট্ট দল খুব দ্রুত একটি দুর্বল নতুন সুসমাচার সংক্রান্তে পরিণত হয়েছে| আমরা যীশুর জন্যে সামান্য কষ্ট স্বীকার করেছি এবং আশীর্বাদিত হয়েছি| তারা জাগতিকতা এবং এবং অর্থের পিছনে ছুটেছিলেন এবং দিয়াবলের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছেন! যীশু বলেছিলেন, “তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না” (মথি 6:24)| ঈশ্বর সঠিক ছিলেন এবং তারা ছিলেন ভ্রান্ত! “মনস্থ করিয়াছি যীশুতে চলিব|” উঠে দাঁড়ান আর এই গানটি করুন! মনস্থ করিয়াছি যীশুতে চলিব; আমেন! আপনারা বসতে পারেন| কিন্তু ইফিষীয়ের মন্ডলীতে অপ্রীতিকর কিছু বিষয় ছিল| যীশু তাদের বলেছিলেন, ‘‘তথাচ তোমার বিরুদ্ধে আমার কথা আছে, তুমি আপন প্রথম প্রেম পরিত্যাগ করিয়াছ’’ (প্রকাশিত বাক্য 2:4)| তিনি তাদের বলেননি যে তারা প্রথম প্রেম থেকে ‘‘পতিত’’ হয়েছিলেন| তিনি বলেছিলেন তারা প্রথম প্রেম ‘‘পরিত্যাগ’’ করেছিলেন| ‘‘তথাচ তোমার বিরুদ্ধে আমার কথা আছে, তুমি আপন প্রথম প্রেম পরিত্যাগ করিয়াছ’’ (প্রকাশিত বাক্য 2:4)| ডঃ জন্ এফ. ওয়ালভোর্ড এর কারণ দেখিয়েছেন| তিনি বলেছিলেন, ‘‘ইফিষীয় মন্ডলী এই সময়ে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের দ্বিতীয় প্রজন্মের মধ্যে ছিল|’’ এর চেয়ে বেশি কিছু কি আমার বলার দরকার আছে? ‘‘ইফিষীয় মন্ডলী এখন দ্বিতীয় প্রজন্মের মধ্যে|’’ তাতেই সব কিছু বলা হয়ে গেছে! তারপরে ডঃ ওয়ালভোর্ড বলেছিলেন, ‘‘ঈশ্বরের প্রেম যাহা প্রথম প্রজন্মের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল তাহা হারাইয়া গিয়াছে’’ (জন্ এফ. ওয়ালভোর্ড, টিএইচ.ডি, দ্য রেভেলেশন অফ যীসাস খ্রাইষ্ট, মুডি প্রেস, 1973, পৃ.56)| যুবকগণ, আপনারা হলেন আমাদের মন্ডলীর দ্বিতীয় প্রজন্ম! আপনার ‘‘সেই 39’’ দের থেকে আসেননি যারা এই মন্ডলী গৃহকে রক্ষা করেছিলেন| তারাই হলেন প্রথম প্রজন্ম, আপনারা নন! ডঃ চান বলেছিলেন যে কিভাবে প্রথম প্রজন্মের, ‘‘সেই 39,’’ খ্রীষ্টকে ভালবেসেছিলেন এবং তাঁর সেবা করেছিলেন| কিশোর অবস্থাতে তিনি আমাদের মন্ডলীতে এসেছিলেন| তিনি বলেছিলেন, যখন আমি খ্রীষ্টে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছিলাম আমার জীবন চিরকালের ন্যায় পরিবর্তিত হইয়াছিল, তাঁহার রক্তের দ্বারা আমার সমস্ত পাপ ধৌত হইয়াছিল, এবং সেই সময়ে এই মন্ডলী হইয়াছিল আমার দ্বিতীয় গৃহ! খ্রীষ্টের জন্যে কর্ম করিতে আমি অবিলম্বে আমার জীবন সমর্পণ করিয়াছিলাম| খ্রীষ্টের শিষ্য হইবার জন্যে, তাঁকে [খ্রীষ্ট] এবং মন্ডলীকে অগ্রধিকার দিবার জন্যে, নিজেকে অস্বীকার করিবার জন্যে, এবং আত্মা জয় করিবার জন্যে ডঃ হেইমার্স ক্রমাগত প্রচার করিতেছিলেন| ‘‘এন্টিনমিয়ানিজ্ম’’ এর বিরুদ্ধে - একজন অরাজক ‘‘খ্রীষ্ট বিশ্বাসী’’তে পরিণত হইবার বিরুদ্ধে তিনি প্রচার করিতেন| আমি জানিতাম যে তিনি যাহা প্রচার করিতেছেন তাহা সব সত্য| ঐগুলি সবই আমার জন্যে প্রচারিত হইতেছে!... আমরা একত্রে প্রার্থনা ও গান করিতাম| এই সময়ের মহান সব স্মৃতি আমার মধ্যে সঞ্চিত আছে| সপ্তাহে বেশ কয়েকবার আমরা সুসমাচার প্রচার করিতাম| আমরা অডিটোরিয়াম পূর্ণ করিয়া দিতাম| আমি মন্ডলীতে আনিয়াছিলাম জুডি কেগান, মেলিসা স্যান্ডার্স এবং উইনি ইয়েউংকে, যিনি আমার স্ত্রী হইয়াছিলেন| UCLA ক্যাম্পাসের সুসমাচার প্রচার হইতে তাহাদের এইস্থানে আনিতে ঈশ্বর আমাকে সাহায্য করিয়াছিলেন... মিসেস হেইমার্স [কিশোরী থাকাকালীন] এই মন্ডলীর সেবাকার্য্যে তাহার নিজের জীবন সমর্পন করিয়াছিলেন এবং কোন কোন অনিচ্ছা প্রকাশ করেন নাই| যখন তিনি আমাদের মন্ডলীতে প্রথম আসিয়াছিলেন আমি তাহাকে চিনিয়াছিলাম যে সময়ে আমরা উভয়েই যুবক বয়সী ছিলাম| খ্রীষ্টের প্রতি বিশাল ভালবাসা ও হারানো আত্মা জয়ের আকাঙ্খা, সেই সময় হইতেই তাহার মধ্যে অন্তর্নিহিত ছিল এবং ক্রমাগতভাবে তাহা থাকিয়া গিয়াছিল... এমনকী উচ্চ বিদ্যালয় হইতে স্নাতক হইবার পূর্বেই, আমাদের মন্ডলীতে তিনি দুইজন লোকের কার্য্য একাই সম্পন্ন করিয়া আসিতেছিলেন... বর্তমানে তিনি স্বতন্ত্রভাবে চীনা যুবক এবং এশিয়ার অন্যান্য অল্পবয়স্ক যুবতীদের সহিত একযোগে কার্য্য করিতেছেন... তিনি হইতেছেন অদ্যবধি আমার কখনো জানা (সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে) সর্বাপেক্ষা ফলপ্রসূ মিশ্র-সংস্কৃতি সম্পন্ন মিশনারি| ইদানিং এলিনা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, কিন্তু তিনি কখনো প্রার্থনা সভা বা সুসমাচার শোনাতে হারানো লোকদের ভিতরে আনার জন্যে - বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাতে টেলিফোন করা থেকে বিরত থাকেন না| আর একজন বিখ্যাত মহিলা হলেন মিসেস সালাজার| তিনি মাদার টেরেসার মতন এক মহিলা! তিনি একজন ব্যাপটিষ্ট সাধু! যুবকগণ, ইফিষীয়তে দ্বিতীয় প্রজন্ম যেমন করেছিলেন সেই রকম এই মন্ডলীকে নিচে নেমে যেতে দেবেন না! আপনারা আমাদের মন্ডলীর ভবিষ্যৎ! অনুগ্রহ করে - যীশুর প্রতি প্রথম ভালবাসা পরিত্যাগ করবেন না! এরপরে, এখন, প্রকাশিত বাক্য 2:3 পদটি দেখুন| এটা স্কোফিল্ড স্টাডি বাইবেলের 1332 পাতাতে আছে| ‘‘এবং তোমার ধৈর্য্য আছে, আর তুমি আমার নামের জন্য ভার বহন করিয়াছ, ক্লান্ত হও নাই’’ (প্রকাশিত বাক্য 2:3)| আধুনিক এক অনুবাদে এইরকম বলা হয়েছে, “তুমি উদ্যমশীল হইয়াছ এবং আমার নামের জন্য কষ্ট স্বীকার করিয়াছ, এবং ক্লান্ত বা উদ্বিগ্ন হও নাই” (NIV)| লক্ষ করুন অতীতে তারা কি ধরনের ছিলেন তা এখানে দেখা যাচ্ছে - তুমি উদ্যমশীল হয়েছ| তুমি কষ্ট সহ্য করেছ, এবং তুমি উদ্বিগ্ন হওনি| অতীতে যে পথে তারা থাকতেন এটা তারই একটা বিবরণ| ডঃ ওয়ালভোর্ড বলেছিলেন, “মন্ডলী এই সময়ে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের দ্বিতীয় প্রজন্মের মধ্যে ছিল... ঈশ্বরের প্রেম যাহা প্রথম প্রজন্মের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল তাহা হারাইয়া গিয়াছিল| হৃদয়ের এই শীতল হইয়া যাওয়া... ছিল আত্মিক অনীহার [উদ্যমের অভাব] এক বিপদজনক অগ্রদূত যাহা পরবর্তীতে ঐ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ [মন্ডলীতে] খ্রীষ্টীয় সাক্ষ্য মুছিয়া ফেলিয়াছিল| এতদনুসারে মন্ডলীর ইতিহাসে সর্বদা এইরূপ উল্লেখিত হইয়াছে: প্রথমে আত্মিক ভালবাসায় শীতলতা, তাহার পরে জাগতিক বস্তুসমূহ ভালবাসার দ্বারা ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসার প্রতিস্থাপন... ইহার পরিণতিতে বিশ্বাস হইতে সরিয়া আসা এবং কার্যকরী সাক্ষ্য হারাইয়া যায়” (ওয়ালভোর্ড, আইবিড.)| আমি নিশ্চিত হয়েছি যে আমাদের মন্ডলীতেও এইরকম হচ্ছে| প্রথম প্রজন্মের আমরা যেমন ছিলাম তার তুলনায় বর্তমান মন্ডলীর দ্বিতীয় প্রজন্ম অনেক বেশি শীতলতর এবং উদ্যম অভাবী| ডঃ চান, মিঃ গ্রিফিথ, ডঃ জুডি কেগান, মিসেস হেইমার্স - এই সব মুখ্য লোক যারা 1970 এর দশকে আমাদের মন্ডলীতে এসেছিলেন - তারা ছিলেন প্রাণবন্ত, উৎসাহে পরিপূর্ণ, ভালবাসা ও গভীর সহভাগিতা - এবং খ্রীষ্টের প্রতি কঠোর প্রতিশ্রুতিতে পরিপূর্ণ| অন্য কথায়, ইফিষীয় মন্ডলীর প্রথম প্রজন্মের খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের মতন সেখানে অনেক লোক ছিলেন| কিন্তু এই উষ্ণতা ও উৎসাহ সঞ্চালিত হয়নি মন্ডলীর বেশির ভাগ শিশুদের মধ্যে - যারা দ্বিতীয় প্রজন্মের মধ্যে বড় হয়ে উঠেছে| দ্বিতীয় প্রজন্ম এখানে তাদের গোটা জীবন ধরেই ছিলেন| তারা গতিময়তার মধ্যে কাটিয়েছেন| তারা প্রার্থনা সভাতে উপস্থিত থেকেছেন, কিন্তু তারা হয় প্রার্থনা করেননি নয়তো উৎসাহ ছাড়াই নিরস প্রার্থনা করেছেন| “ঈশ্বরের প্রেম যাহা প্রথম প্রজন্মের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল উহা তাহাদের বেশির ভাগের জীবন হইতে হারাইয়া গিয়াছিল|” একমাত্র জন্ কেগান বেরিয়ে এসেছেন এবং প্রথম প্রজন্মের মতন হয়েছেন| এর কারণ যে তাঁর একটা জীবন-পরিবর্তনকারী মন পরিবর্তন হয়েছিল যা তার ভিতরে উৎপন্ন করেছিল সেই ভালবাসা ও উৎসাহ যেসব প্রাচীন প্রজন্মের মধ্যে থাকত| যদি তিনি একজন প্রাণবন্ত মানুষ বা স্বাভাবিক নেতা না হতেন, তাহলে তিনি নিজেকে মন্ডলীর অন্যান্য শীতল শিশুদের সঙ্গে মিশিয়ে দিতেন| তার বয়সী শিশুদের কয়েকজন মন্ডলী ছেড়ে দিয়েছিলেন| বাকিরা ছিলেন শীতল ও মানব-বিদ্বেষী স্বভাবের| তাদের মধ্যে অল্প কয়েকজন এখনও সেইরকমই আছেন| এমনকী জন্ নিজেও কোন কোন সময়ে বিভ্রান্ত হয়েছেন, বিস্মিত হয়েছেন এই ভেবে যে কেন তার প্রজন্ম এতটা শীতল ও জাগতিক| এই জায়গাতে এসে আমি অনুভব করতে আরম্ভ করছি যে আমাদের অবশ্যই উদ্দীপনা পেতে হবে| দ্বিতীয় প্রজন্ম কখনই আমাদের মন্ডলীকে প্রাণ এবং ভালবাসা এবং ক্ষমতায় পূর্ণ করে রাখতে পারবে না যদি না শক্তিশালী মনপরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে খ্রীষ্টে উপনীত হওয়ার একটা বাস্তব অভিজ্ঞতার দ্বারা তাদের রূপান্তর না করানো হয়| কিন্তু দ্বিতীয় প্রজন্মের অধিকাংশই হয় বিদ্রোহ করেছেন এবং মন্ডলী ছেড়ে চলে গেছেন নয়ত শীতল মানব-বিদ্বেষী হিসাবে স্থায়ী হয়ে বাস করছেন| যারা খ্রীষ্টকে প্রত্যাখ্যান করেন খানিকটা তাদের মতন| এমনকী যদিও তারা বসবাস করছেন তবুও তারা মন পরিবর্তন করতে অস্বীকার করেছেন| তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভাবতে আরম্ভ করে দেন যে মন পরিবর্তন প্রকৃতপক্ষে ছিল না| খ্রীষ্ট যে প্রকৃতই ছিলেন তা প্রমাণ করতে অন্যেরা আবার কিছু আভ্যন্তরীন পরিবর্তন দাবি করতেন| এক এক করে আমরা তাদের সামনা সামনি হয়েছিলাম যতক্ষণে তারা প্রকৃতভাবে মন পরিবর্তন করেছিলেন বা মন্ডলী ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন| সবশেষে, তাদের সিংহভাগ মন পরিবর্তন করেছিলেন - যদিও প্রথম প্রজন্মের মতন হওয়ার জন্যে তাদেরকে একটা বেশ বড় সংগ্রাম করতে হয়েছিল| তা করতে গিয়ে তাদের “স্মরণ করিতে হইয়াছিল যে কোথা হইতে তাহারা পতিত হইয়াছিলেন|” জন্ কেগানের মতন তাদেরকেও অনুভব করতে হয়েছিল যে “সেই উনচল্লিশ” - তাদের পিতামাতা এবং পুরানো প্রজন্মের বিশ্বাসের তুলনায় তাদের বিশ্বাস ছিল মৃত| দ্বিতীয়ত, তাদের অবশ্যই “মন ফিরাইতে হইবে এবং প্রথম কর্মসকল করিতে হইবে|” তাদের মন ও হৃদয়ের পরিবর্তন অবশ্যই করতে হয়েছিল| তাদেরকে ফিরে যেতে হয়েছিল এবং একটি প্রকৃত মন পরিবর্তন (প্রথম কর্ম্ম সকল) করতে হয়েছিল| ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই যে তাদের মধ্যে কয়েকজন তা করেছিলেন - যেমন এমি এবং এয়কো করেছিলেন, যেমন ফিলিপ এবং তীমথি করেছিলেন, যেমন ওয়েস্লী এবং নোহ - ও অন্যান্য কয়েকজন করেছিলেন| এরপরে ঈশ্বর আমাদের মধ্যে উদ্দীপনা পাঠানোর কাজ আরম্ভ করেছিলেন! ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই যে তাঁর আত্মা প্রেরণ করতে, শেষ অবধি তিনি আমাদেরকে যথেষ্ট বিশ্বাস করতে পেরেছেন| গত অল্প কয়েকমাসের মধ্যে প্রায় 20 জন নতুন লোক ভিতরে এসেছেন এবং পরিত্রাণ লাভ করেছেন| এই সব নতুন যুবকদের বিশ্বাসের ভূমিতে স্থাপন করে রাখতে এই সভাগুলি ক্রমাগত চালিয়ে যেতে হবে! এখন জন্ কেগান বলেছিলেন যে “উদ্দীপনা হইতেছে সেই বিহ্বলতার পরবর্তী খন্ড|” আমাদের মন্ডলীকে অবশ্যই বারে বারে উদ্দীপনার উপরে জোর দিতে হবে নয়তো আমাদের মন্ডলীর পুরানো সদস্যদের মতন প্রবল উৎসাহী মন পরিবর্তন দেখতে আমরা সক্ষম হব না| ইফিষীয় মন্ডলীতে তাদের সেটার দরকার হয়েছিল - এবং বর্তমানে আমাদের মন্ডলীর সেটার দরকার আছে| আমি একে বলছি “বেঁচে থাকার জন্যে উদ্দীপনা!” ভাই ও বোনেরা, আমাদের নিজেদের কৃত পাপ আমরা অবশ্যই বার বার স্বীকার করব এবং আমাদের মধ্যে উদ্দীপনার ঢেউ এর পরে ঢেউ আসার মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরের উপস্থিতিও যেন আরও বেশি করে নেমে আসে তার জন্যে প্রার্থনা করব| এটা করুন! এটা করুন! এটা করুন! উঠে দাঁড়ান এবং 15 নং গানটি করুন, “আমি তাঁর জন্যে বাঁচব|” আমার জীবন, প্রেম আমি তোমাকে দিই, তুমি ঈশ্বরের মেষশাবক যে আমার জন্যে মরেছ; এবার 19 নং গানটি করুন, “সাগরের ন্যায় প্রেম|” সাগরের ন্যায়, অসীম প্রেম, জোয়ারের ন্যায় দয়া, ডঃ চান, অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনা এবং অনুগ্রহে চালিত করুন| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত: |