এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
উদ্দীপনার জন্য আন্তরিক ক্রন্দন !HEARTCRY FOR REVIVAL ! লেখক : ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র 2017 সালের, 16ই জুলাই, প্রভুর দিনের সকালবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের ‘‘তুমি আমাকে আহ্বান কর, আর আমি তোমাকে উত্তর দিব, এবং এমন মহৎ ও দুরূহ নানা বিষয় তোমাকে জানাইব, যাহা তুমি জান না’’ (যিরমিয় 33:3)| |
যিরমিয় কারাগারে বন্দি ছিলেন| তিনি কারাগারে আবদ্ধ হয়েছিলেন এই প্রচার করার জন্যে যে যিহুদী লোকেরা দাসত্ব প্রাপ্ত হবে| যিরমিয় হতাশা অনুভব করছিলেন| তিনি মনে করেছিলেন যে তার লোকেরা ঈশ্বরের দ্বারা পরিত্যক্ত হয়েছেন| তিনি তার সমস্ত আশা ত্যাগ করেছিলেন এবং তাকে কারাগারের বন্ধ করে রাখা হয়েছিল| এখন সদাপ্রভু তার অন্তরে কথা বলেছেন| ঈশ্বর তাকে বলেছেন, ‘‘তুমি আমাকে আহ্বান কর, আর আমি তোমাকে উত্তর দিব, এবং এমন মহৎ ও দুরূহ নানা বিষয় তোমাকে জানাইব, যাহা তুমি জান না’’ (যিরমিয় 33:3)| গত রবিবারের রাত্রে আমি একটি ধর্ম্মোপদেশ প্রচার করেছিলাম যার শিরোনাম ছিল ‘‘উদ্দীপনায় প্রার্থনার যুদ্ধ!’’ আমি বলেছিলাম যে আমরা জড়বাদের এক মস্তবড় দিয়াবলের অধীনে বাস করছি| আমি বলেছিলাম, ‘‘ঈশ্বর চলে গেছেন! তিনি আমাদের সব মন্ডলী ত্যাগ করে গেছেন| তিনি আমাদের মন্ডলী ত্যাগ করেছেন...কিন্তু ঈশ্বর নেমে আসুন সেটা আমরা চাইছি না| আমাদের উদ্যমহীন তন্দ্রাচ্ছন্নতা এবং অলসতা বরং একটা পবিত্র আত্মা ব্যতীত মন্ডলী পাবে| শুধু গতানুগতিক কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে চলুন| আলোড়ন তোলার কি দরকার? কেন আমাদের বিরক্ত করা? আসুন ঝিমুনির সাথে ঘুমাই| ঈশ্বরের উপস্থিতি এবং ক্ষমতা লাভের জন্যে প্রার্থনা এবং উপবাসের মত কঠিন কাজে আমরা আর ফিরে যেতে চাই না|’’ মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমরা সতেরোজন লোক পরিত্রাণ পেয়েছেন| ড: চেন পুন:স্থাপিত এবং পুনর্জীবিত হয়েছেন| জন শ্যমূয়েল কেগান সুসমাচার প্রচারে আত্মসমর্পণ করেছেন| এ্যারন ইয়ানসি এবং জ্যাক নগানন ডিকন সদস্যে পরিণত হয়েছেন| খীস্টিনি নগ্যুয়েন এবং মিসেস লী প্রার্থনা যোদ্ধায় পরিণত হয়েছেন| আমাদের কাছে উদ্দীপনার একটা ‘স্পর্শ’ ছিল| সেই দিনগুলিতে ড: কেগান এবং আমি শিক্ষালাভ করেছিলাম যে ঈশ্বর যখন উপস্থিত ছিলেন লোকেরা মন পরিবর্তন করেছিলেন, কিন্তু যখন ঈশ্বর উপস্থিত ছিলেন না তখন কিছুই হয়নি| এ্যারন এবং জ্যাক নগানন অন্য কিছু শিখেছিলেন| তারা শিখেছিলেন যে কিভাবে দিয়াবলীয় শক্তির বিরুদ্ধে প্রার্থনায় মল্লযুদ্ধ করতে হয়| জ্যাক বলেছিলেন, ‘ঈশ্বরের উপস্থিতির জন্যে আমরা প্রার্থনা করিতে শুরু করিয়াছিলাম| যখন আমি আমার দ্বিতীয় প্রার্থনা শুরু করিলাম, আমি মস্তিষ্কে ঝিমধরার অনুভূতি পাইতে শুরু করিলাম এবং হতচেতন হইবার উপক্রম হইল| প্রার্থনা পরিচালনা করিতে আমার অসুবিধা হইতেছিল| আমরা অনুভব করিতেছিলাম যে তথায় দিয়াবল সংক্রান্ত এক বিশাল বাধা আছে এবং আমি আর প্রার্থনা চালাইতে সক্ষম ছিলাম না| খ্রীষ্টের রক্ত যাচ্ঞা করিবার সহিত সেই দিয়াবলীয় উপস্থিতি উঠাইয়া লওয়ার জন্যেও আমরা নতজানু হইয়া উভয়েই প্রার্থনা করিতে শুরু করিয়াছিলাম| আমার মুখমন্ডল নিম্নমুখী করিয়া ভূমিতে উপুড় হইয়া শুইয়া আমি প্রার্থনা শেষ করিলাম| এই অবস্থাতেই থাকিয়া আমরা আমাদের প্রার্থনার তৃতীয় চক্র শুরু করিলাম এবং আমরা অনুভব করিতে লাগিলাম যে ঈশ্বর সেই তিমির ভেদ করিলেন এবং দিয়াবলীয় উপস্থিতি উঠাইয়া লওয়া হইল| আমরা জানিতাম যে সেই সভা [সান্ধ্যকালীন সেবাকার্য] পরীক্ষাতুল্য হইতে চলিয়াছে| বৈকাল প্রায় 4 ঘটিকার সময় এই ঘটনাটি ঘটিয়াছিল|’ দুই ঘন্টা পরে, সন্ধ্যাবেলার সেবাকাজে, মি: ভিরগেল নিককেল সজল চোখে এগিয়ে এসেছিলেন, এবং ড: কেগান তাকে খ্রীষ্টের প্রতি পরিচালনা করেছিলেন| তখন আমরা জেনেছিলাম যে কেন দুই ঘন্টা আগে এ্যারন এবং জ্যাক’কে প্রার্থনায় শয়তানের সঙ্গে ওইরকম একটা লড়াই করতে হয়েছিল!’’ ‘‘কেননা রক্তমাংসের সহিত নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে’’ (ইফিষীয় 6:12)| প্রার্থনার মাধ্যমে আত্মিক যুদ্ধ জয় করা হয়! ‘‘তুমি আমাকে আহ্বান কর, আর আমি তোমাকে উত্তর দিব, এবং এমন মহৎ ও দুরূহ নানা বিষয় তোমাকে জানাইব, যাহা তুমি জান না’’ (যিরমিয় 33:3)| উঠে দাঁড়ান এবং ‘‘প্রার্থনায় শক্তি,’’ এই গানটি করুন! প্রার্থনায় শক্তি, প্রভু, প্রার্থনায় শক্তি, আপনারা বসতে পারেন| উদ্দীপনা আনার জন্যে প্রার্থনা করা থেকে শয়তান আপনাদের অনেককেই আটকে দিয়েছে| গত বৃহস্পতিবার রাত্রে আমি একটা নির্বাচন পরিচালনা করেছিলাম| আমি বলেছিলাম, ‘‘আমি যখন আপনাদেরকে উদ্দীপনার জন্যে প্রার্থনা করতে বলি তখন আপনাদের মধ্যে কতজন মনে করেন যে আমি আমাদের মন্ডলীতে আরও বেশি লোক চাইছি?’’ সেখানে উপস্থিত আমাদের লোকদের মধ্যে প্রায় অর্দ্ধেক লোক তাদের হাত তুলেছিলেন| তখন আমি বলেছিলাম, ‘‘আমি যখন আপনাদেরকে উদ্দীপনার জন্যে প্রার্থনা করতে বলি তখন আপনাদের মধ্যে কতজন মনে করেন যে আমি আপনাদের দিয়ে আরও বেশি কাজ করাতে চাইছি?’’ আপনাদের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ আপনাদের হাত তুলেছিলেন| এটা খুবই বেদনাদায়ক হয়েছিল| অনেক, অনেকবার আমি আপনাদের বলেছি, ‘‘এটা আরও বেশি লোক আনার জন্যে নয়!’’ অনেক, অনেকবার আমি আপনাদের বলেছি, ‘‘এটা আরও বেশি করে কাজ করানোর জন্যে নয়!’’ অনেক, অনেকবার আমি আপনাদের বলেছি, ‘‘যখন উদ্দীপনা আসে, তখন সেখানে খুব কম কাজ থাকবে!’’ এখন একজন দর্শক পেতে চাইলে আপনাকে আমাদের জন্যে শত শত নাম সংগ্রহ করতে হচ্ছে| আর সেই একজন দর্শকও আর ফিরে আসছেন না! উদ্দীপনাতে আপনি অপেক্ষাকৃত অনেক কম নাম পেতে পারেন কিন্তু দর্শকদের বেশির ভাগই আবার ফিরে আসবেন| আমরা হয়তো এমনকী সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে এবং আরও অনেক বেশি লোক ভিতরে আনতে আর তাদের পরিত্রাণ লাভ করাতে সক্ষম হব! চীনা মন্ডলীতে তাদের কোন সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচার ছিল না| তারা ভ্রমণের কোন ব্যবস্থা রাখেননি| আর তাতেও 2,000 লোক এসেছিলেন এবং থেকে গেছিলেন| কেন? কারণ তাদের উদ্দীপনা ছিল! সেই হল কারণ! আমি এর আগেও এই কথা বলেছি, কিন্তু আপনারা আমাকে বিশ্বাস করেননি| আপনারা আমাকে বিশ্বাস করেননি কারণ আপনারা তা নিজের চোখে দেখেননি| আমাদের পাঠ্যাংশটি আবার শুনুন| ‘‘তুমি আমাকে আহ্বান কর, আর আমি তোমাকে উত্তর দিব, এবং এমন মহৎ ও দুরূহ নানা বিষয় তোমাকে জানাইব, যাহা তুমি জান না’’ (যিরমিয় 33:3)| ‘‘এমন মহৎ ও দুরূহ নানা বিষয় তোমাকে জানাইব, যাহা তুমি জান না|’’ আপনি কি ওই কথা বিশ্বাস করতে পারেন? আপনি কি যথেষ্ট বিনম্র হতে পারেন এই বিশ্বাস করতে যে ঈশ্বর সেই জিনিষ করতে পারেন যা আপনি এর আগে কখনও দেখেননি? আপনি কি বিশ্বাস করতে পারেন যে প্রার্থনার উত্তরে ঈশ্বর সেই জিনিষ করতে পারেন ‘‘যাহা তুমি জান না’’? উঠে দাঁড়ান আর গানটি করুন! প্রার্থনায় শক্তি, প্রভু, প্রার্থনায় শক্তি, দিশাহারা শিশুদের আমাদের মন্ডলীতে আনতে আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করি| কিন্তু যখন এখানে আসে তারা ঈশ্বরকে অনুভব করতে পারে না| কেন পারে না? কারণ এখানে সে কোন ক্ষমতার মধ্যে নেই| ঈশ্বর সর্বতোভাবে পবিত্র| তিনি জানেন যে আপনাদের অনেকেই প্রকৃতভাবে বিশ্বাস করেন না যে তিনি ‘‘মহৎ ও দুরূহ নানা বিষয়, যাহা তুমি জান না’’ করতে পারেন| আপনি কেবল সেটা বিশ্বাস করেন না| আপনি ভাবেন যে এই সব হচ্ছে একটা রূপকথার গল্প| আপনি মনে করেন আমি একজন বৃদ্ধ মানুষ, বকবক করে চলেছি অলৌকিক একটা বিষয় নিয়ে, একটা অলৌকিক বিষয় যা আপনি এর আগে কখনও দেখেননি, কাজেই আপনি বিশ্বাস করেন না| আমরা অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটতে দেখেছি, কিন্তু এখনও আপনি সেটা বিশ্বাস করেন না! এই মন্ডলীর দালানটিকে রক্ষা করার জন্যে উনচল্লিশ জন লোক মিলে দুই মিলিয়ন ডলার দান করেছিলেন| যতজন প্রচারকের সঙ্গে আমি কথা বলেছি তাদের একজনও ভাবতে পারেননি যে এটা করতে পারা যাবে| কিন্তু এটা করা গেছে! এটা একটা বিশাল অলৌকিক কাজ! কিন্তু আপনি এটা দেখছেন না! আপনি এটা বিশ্বাস করছেন না! গত বছরে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের 17 জন লোক পরিত্রাণ পেয়েছেন| কিন্তু আপনি এটা দেখছেন না! আপনি বিশ্বাস করেন না যে এটা একটা অলৌকিক কাজ! জন কেগানকে আমরা আমাদের প্রচারক হিসাবে, নতুন পালক হিসাবে পেয়েছি, এমনকী যদিও তিনি একদিন নিজের দাঁত কড়মড় করছিলেন আর বলেছিলেন, ‘‘আমি কক্ষনো এটা করবো না!’’ এটা একটা অলৌকিক কাজ| কিন্তু আপনি এটা দেখছেন না! আপনি এটা বিশ্বাস করছেন না! 35টি ভাষাতে আমাদের বিশ্বব্যাপী সেবাকাজ চলছে - এই ধর্ম্মোপদেশগুলি আমরা সমগ্র বিশ্বের দরবারে পাঠাচ্ছি| কিন্তু আপনি এটা দেখছেন না! আপনি এটা বিশ্বাস করছেন না! ওহ, আমি প্রার্থনা করি আপনি জাগ্রত হবেন এবং উদ্দীপনার অলৌকিক কাজের জন্যে প্রার্থনা করবেন! ওহ, আপনি যেন সেই ফরীশীয়দের মতন না হন, যাদের সম্বন্ধে বলা হয়েছিল, ‘‘কিন্তু যদিও তিনি তাহাদের সাক্ষাতে এত চিহ্ন-কার্য্য করিয়াছিলেন, তথাপি তাহারা তাঁহাতে বিশ্বাস করিল না’’ (যোহন 12:37)| আর আমি জানি যে আপনার ধর্মে এখন কোন আনন্দ নেই, এবং কোন কোন সময়ে আপনার জন্যে আমার হৃদয় কেঁদে ওঠে| আপনার মনে কোন আনন্দ নেই| আপনার কোন আশা নেই| হতভাগ্য শিমশোনের মতন আপনি কেবল ক্রীতদাস হিসাবে কারাগারে যাঁতা পিষে চলেছেন| হ্যাঁ! আপনাদের মধ্যে কিছু লোকের কাছে এই মন্ডলী হল একটি জেলখানা, একটা কারাগার যেখানে সেবাকাজের মাধ্যমে আপনি যাঁতা পেষাই করে চলেছেন, যেখানে সুসমাচার সংক্রান্ত কাজকর্মের ক্রীতদাস হওয়ার মাধ্যমে আপনি যাঁতা পেষাই করে চলেছেন| আপনি এইভাবে একে ঘৃণা করছেন! কিন্তু আপনি জানেন না যে কিভাবে নিষ্কৃতি পাবেন! আধ্যাত্মিক শিকল দিয়ে আপনি বাঁধা রয়েছেন, কেবল যাঁতা পেষাই করে চলেছেন, যাঁতা পেষাই করে চলেছেন, যাঁতা পেষাই করে চলেছেন কোন আশা ছাড়াই| কোন কোন সময় আপনি এইসব কিছু ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভাবেন| আমি জানি আপনাদের কেউ কেউ এটা করেন| কিন্তু আপনি ছেড়ে যেতে পারেন না| আপনার একমাত্র যেসব বন্ধুরা আছেন তারা এখানে থাকেন| আপনার একমাত্র আত্মীয়স্বজনেরা এখানে থাকেন! এই অন্তহীন পেষাই, যে মন্ডলী আপনার কাছে কারাগার বলে মনে হয়, তার কাজ এবং এই ঘৃণাপূর্ণ গোলামি থেকে কিভাবে আপনি কখনো মুক্তি পেতে পারেন? আমি আপনাকে সাহায্য করতে চাই! ঈশ্বর জানেন আমি করি! সেখানে মুক্তি লাভের একটাই মাত্র পথ রয়েছে| কিভাবে আপনি তা জানলেন, প্রচারক? কারণ আপনি এখন যেখানে আছেন আমিও একদিন সেই একই জায়গায় ছিলাম! একটা মন্ডলীতে আমাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে, যেখানে যাঁতা পিষছি, পিষছি, একে ঘৃণা করছি - কিন্তু মুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না! মুক্তির একমাত্র পথ হল যীশু! আপনার সব পাপ স্বীকার করুন! না করছেন কেন? আপনার পাপগুলিই হচ্ছে সেই শিকল যা আপনাকে বেঁধে রেখেছে! তাদের হাত ছেড়ে বেরিয়ে আসুন! অনুতাপ করুন এবং রক্তের দ্বারা শুচি হন, এইজন্যে যে একমাত্র যীশুই আপনার শিকলের বাঁধন শিথিল করতে এবং আবার আপনাকে মুক্ত করতে পারেন| ‘‘অতএব তোমরা এক জন অন্য জনের কাছে আপন আপন পাপ স্বীকার কর, ও এক জন অন্য জনের নিমিত্ত প্রার্থনা কর, যেন সুস্থ হইতে পার’’ (যাকোব 5:16)| আপনার সব ভয়, আপনার সব সন্দেহ, আপনার সব পাপ, আপনার সব ক্রোধ, আপনার সব তিক্ততা, আপনার সব ঈর্ষা স্বীকার করুন| ‘‘অতএব তোমরা এক জন অন্য জনের কাছে আপন আপন পাপ স্বীকার কর, ও এক জন অন্য জনের নিমিত্ত প্রার্থনা কর, যেন সুস্থ হইতে পার’’ (যাকোব 5:16)| একজন স্ত্রীলোক এরকম করেছিলেন! আর যীশু তাকে সুস্থ করেছিলেন| একজন পুরুষ এরকম করেছিলেন, আর যীশু তাকে সুস্থ করেছিলেন| ঠিক এখনই একটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে| আপনি ভাবছেন, ‘‘এটা কি সত্যি হতে পারে?’’ হ্যাঁ! এটা সত্যি! তাদের ত্রুটি স্বীকার করাতে কোন একজনের জন্য প্রার্থনা করুন আর যীশুর দ্বারা সুস্থ হন| ‘‘খ্রীষ্ট বলিয়াছিলেন, ‘ধন্য যাহারা শোক করে’ (মথি 5:4) যাহা নির্দেশ করিতেছে তাহাদের প্রতি যাহারা তাহাদের পাপ অনুভব করিতেছে এবং উহার জন্যে ক্রন্দন করিতেছে| পাপ সেই খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর নিকটে সর্বদা একটি সমস্যা, যিনি উদ্দীপনার জন্যে অপেক্ষারত এবং উদ্দীপনা সর্বদা অস্বস্তিকরভাবে সেই সমস্ত বিষয়ের সহিত কারবার করে যাহা জগৎ দেখিতে পায় না| উদ্দীপনা অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থানে জ্যোতির বিচ্ছুরণ ঘটায়...উদ্দীপনার জন্যে প্রস্তুত হইতে, ইভান রবার্টস তাহাদের স্মরণ করাইবেন যে সেই [পবিত্র] আত্মা আসিবেন না য্তক্ষণে না জনগণ প্রস্তুত হইয়াছেন: ‘আমাদের [মন্ডলীকে] অবশ্যই - সমস্ত মন্দ অনুভূতি, সমস্ত বিদ্বেষ, ঈর্ষা, কুসংস্কার এবং ভুল বোঝাবুঝি হইতে মুক্ত থাকিতে হইবে| [প্রার্থনা করিবেন না] যতক্ষণে না সব অপরাধ মার্জনা করা হইতেছে: কিন্তু যদি আপনি অনুভব করেন যে আপনি ক্ষমা করিতে পারিতেছেন না, ধূলিতে আনত হন, এবং ক্ষমাদানকারী আত্মার জন্য যাচ্ঞা করুন| তখন আপনি তাহা পাইবেন’’’...একমাত্র শুচি খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণ ঈশ্বরের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে বাস করতে পারেন (Brian H. Edwards, Revival, Evangelical Press, 2004, p. 113)... ‘‘প্রত্যেক ব্যক্তি অন্যান্য প্রত্যেককে ভুলিয়া যাইতেছেন| প্রত্যেকেই ঈশ্বরের সহিত মুখামুখি অবস্থানে ছিলেন [যেহেতু তাহারা তাহাদের পাপ স্বীকার করিয়াছেন]... [ইহা হইতেছে] প্রায় প্রত্যেক নথিবদ্ধ উদ্দীপনার আদর্শস্বরূপ| গভীর, অস্বস্তিকর এবং বিনম্রতার সহিত পাপ স্বীকার ব্যতীত কোন উদ্দীপনা হয় না’’ (আইবিড., পৃ.116)... ‘‘বর্তমানে আমাদের একটি অপবিত্র মন্ডলী রহিয়াছে কারণ খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা পাপ অনুভব করিতেছেন না অথবা ইহাকে ভয় পাইতেছেন না... যাহারা উদ্দীপনার জন্য দীর্ঘ আকাঙ্খা করিতেছেন তাহাদের এক পবিত্র ঈশ্বরের সম্মুখে নিজেদের হৃদয় এবং জীবন পরীক্ষা দ্বারা শুরু করা উচিৎ| যদি আমরা আমাদের পাপসকল আবৃত করিয়া রাখি এবং এখনই ইহা স্বীকার না করি তাহা হইলে [আমাদের উদ্দীপনা হইবে না]... এমনকী নূন্যতম পাপের বিষয়েও এক পবিত্র ঈশ্বর খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের সচেতন করান... যাহারা জানেন যে নিজেরা স্বয়ং এক পবিত্র ঈশ্বরের উপস্থিতিতে বর্তমান আছেন তাহারা সর্বদা নিজেদের ব্যক্তিগত পাপের বিষয়ে সতর্ক থাকেন... অনুতাপের এই গভীর কার্য্য সর্বদা ক্ষমার নবলব্ধ অভিজ্ঞতার মধ্যে মুক্তি এবং আনন্দ লাভের প্রতি পরিচালিত হয়| ‘হৃদয়ের যন্ত্রণা’ অনুসরণ করিয়া পরিত্রাণের আনন্দের বিস্ফোরণ ঘটে’’ (আইবিড., পৃ.120)| ‘‘তুমিই কি আবার আমাদিগকে সঞ্জীবিত করিবে না, যেন তোমার প্রজাগণ তোমাতে আনন্দ করে’’ (গীতসংহিতা 85:6)| আমাদের অন্তরে আমরা আনন্দ লাভ করতে পারি না যতক্ষণে না আমরা চোখের জলে নিজেদের কৃত সমস্ত পাপ স্বীকার করছি! চীনে এইরকম ঘটছে| আমাদের মন্ডলীতে কেন হচ্ছে না? আমরা একে অন্যের কাছে আমাদের পাপ স্বীকার করতে, এবং একে অন্যের জন্যে প্রার্থনা করতে ভয় পাই, যাতে আমরা সুস্থ হতে পারি| অন্যেরা কি ভাববে সেই ভয় স্বীকারোক্তি থেকে আমাদের বিরত করে| যিশাইয় বলেছিলেন, ‘‘তুমি কে যে মর্ত্ত্যকে ভয় করিতেছ, সে ত মরিয়া যাইবে...আর তোমার নির্ম্মাতা সদা প্রভুকে ভুলিয়া গিয়াছ...’’ (যিশাইয় 51:12, 13)| 10 নম্বর গানটি করুন! ‘‘হে ঈশ্বর, আমাকে অনুসন্ধান কর, আমার অন্ত:করণ জ্ঞাত হও; 17 নম্বর গানটি করুন! পাপের ধ্বংস হউক, আমার সকল দর্শন পূর্ণ কর আপনি আগে স্বীকার করেননি| আপনি জানতেন আপনার উচিৎ, কিন্তু আপনি ভয় পেয়েছিলেন| এক মহিলা ফোন করে আমাকে বলেছিলেন যে তিনি ভয়ঙ্করভাবে পিছিয়ে পড়েছেন| রবিবারের সকালে আমি তার দিকে তাকিয়েছিলাম আর তিনিও আমার দিকে তাকিয়েছিলেন| আমি দেখতে পেলাম যে তিনি আমার কাছে আসতে চাইছেন| আমি তার হাত ধরে বললাম, ‘‘আসুন|’’ তিনি আসলেন| তিনি আমাকে ভয় পাচ্ছিলেন| সর্বোপরি, তিনি ছিলেন একজন ডিকনের স্ত্রী! লোকেরা কি ভাববে যদি তিনি তার দোষগুলি সকলের সামনে স্বীকার করেন? অন্যেরা কি মনে করছেন সেকথা ভুলে যান! যখন আমরা উঠে দাঁড়াই আর গান করি, তখন এখানে আসুন আর নতজানু হন এবং আপনার দোষ স্বীকার করুন! ঈশ্বর আপনাকে পাপে দোষী সাব্যস্ত করেছেন, এবং তারপরে ক্রুশের উপরে খ্রীষ্টের ঝরানো রক্ত আপনাকে নতুনভাবে শুচি করেছে| 17 নম্বর গানটি করুন! পাপের ধ্বংস হউক, আমার সকল দর্শন পূর্ণ কর যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মি: নোহ সং: I যোহন 1:5-10 | |