এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
খ্রীষ্টের পুত্ত্রত্বের প্রমাণ !THE PROOF OF CHRIST’S SONSHIP! লেখক : ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র 2017 সালের, 15ই এপ্রিল, শনিবার সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের ‘‘তাহা তাঁহার পুত্ত্র বিষয়ক, যিনি মাংসের সম্বন্ধে দায়ূদের বংশজাত, যিনি পবিত্রতার আত্মার সম্বন্ধে মৃতগণের পুনরুত্থান দ্বারা সপরাক্রমে ঈশ্বরের পুত্ত্র বলিয়া নির্দ্দিষ্ট’’ (রোমীয় 1:3-4)| |
ড: উইলবার এম. স্মিথ’কে আমি গভীরভাবে শ্রদ্ধা করতাম, খ্রীষ্টিয়ান সাহিত্যে তার অপরিমেয় জ্ঞান এবং 1963 সালে ফ্যুলার সেমিনারী ত্যাগ করা বিষয়ে তার ন্যায়পরায়ণতার জন্যে, যেহেতু সেটা বাইবেলের অভ্রান্ততা সমর্থন করা থেকে সরে গিয়েছিল এবং উদারতাবাদকে গ্রহণ করতে শুরু করেছিল (দেখুন Harold Lindsell, Ph.D., The Battle for the Bible, 1978 edition, pp. 110-112)| রোমীয় 1:4 সম্বন্ধে ড: স্মিথ একটা তীক্ষ্ণ প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘আমি আশ্চর্য্য হই যে আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রচারকগণ কেন এই বিশ্বাস-নিশ্চিতকারী পাঠ্যাংশটির বিষয়ে কখনও প্রচার, বা নিদেনপক্ষে একটি ধর্ম্মোপদেশ প্রকাশ করেন নাই?’’ (Wilbur M. Smith, D.D., Therefore, Stand, Keats Publishing, 1981 edition, p. 583)| আমি মনে করি এর কারণ হয়তো সেই সত্যের মধ্যে লুকিয়ে আছে যে বিগত 125 বছরে খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের বিষয়ে মোটের উপর খুব বেশী প্রচার হয়নি, বিশেষ করে ‘‘সিদ্ধান্তবাদের’’ উত্থানের সময় থেকে| সি. জি. ফিন্নের সময় থেকেই ধর্ম্মোপদেশগুলি ক্রমবর্দ্ধিতভাবে, মানুষ এবং মানুষের কাজের প্রতি, উৎসর্গীকৃত হত| আজকের দিনগুলিতে, প্রচারকেরা ঈশ্বরের বিষয়গুলিকে পর্দার অন্তরালে যেতে দিচ্ছেন| তার পরিবর্তে, প্রচারকরা মানুষের কাজের প্রতি আলোকপাত করছেন| কাজেই সুসমাচার সংক্রান্ত খ্রীষ্টধর্ম বর্তমানে প্রধানত, ঈশ্বরতাত্ত্বিক হওয়ার পরিবর্তে নৃতত্ত্ব বিষয়ক হয়েছে, খ্রীষ্টতত্ত্ব বিষয়ক হওয়ার পরিবর্তে মনস্তাত্ত্বিক হয়েছে, খ্রীষ্ট কেন্দ্রিক হওয়ার পরিবর্তে হয়েছে মানব কেন্দ্রিক| প্রেরিতদের বইতে নথিভূক্ত থাকা ধর্ম্মোপদেশগুলির মধ্যে, একটি ছাড়া, বাকি প্রত্যেকটিতে খ্রীষ্টের পুনরুত্থানকে কেন্দ্রীয় বিষয় করা হয়েছে| খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের কথা না বলে প্রেরিতরা প্রচার করতে পারতেন না! যেসব সুসমাচার তারা প্রচার করতেন সেগুলির কেন্দ্রস্থলে এই বিষয়টি অবস্থান করতো| যাই হোক, বর্তমানে যদি খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের উল্লেখ করতেই হয়, তবে সেই বিষয়কে ইস্টার রবিবারের সকালে নির্বাসিত করা হয়| এমনকী তখনও, সেবকরা প্রায়শই এর মতবাদমূলক দৃষ্টিভঙ্গীর কথাই প্রচার করে থাকেন| ড: মাইকেল হর্টন, তার বই Christless Christianity তে, নির্দেশ করেছেন যে বহু রক্ষণশীল মন্ডলীতে ইস্টারের প্রচার প্রায়ই ‘‘কিভাবে যীশু তাঁহার অন্তরায়গুলি জয় করিয়াছিলেন উহার বিষয়েই কিছু একটা হইয়া থাকে এবং ইহাতে আমরা সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারকগণ বর্তমানে সুসমাচার প্রচারের পরিবর্তে উহাদের [উদারপন্থীগণের] ন্যায় পপ মনস্তত্ব, রাজনীতি, অথবা স্বাভাবিক নৈতিকতার বিষয় [দেখাইতে] পারি’’ (Michael Horton, Ph.D., Christless Christianity: The Alternative Gospel of the American Church, Baker Books, 2008, p. 30)| আশ্চর্য্যজনকভাবে, ড: আর. এ. টোরী, যাকে আমি খুব শ্রদ্ধা করি, এর লেখা How to Work for Christ (Fleming H. Revell, n.d.) নামক বিখ্যাত বইতে খ্রীষ্টের পুনরুত্থান সম্পর্কিত একটিও ধর্ম্মোপদেশ নেই| প্রচারকদের জন্য ড: টোরী 156 পাতা ভর্তি ধর্ম্মোপদেশের রূপরেখা দিয়েছেন, কিন্তু সেই রূপরেখাগুলির এমনকী একটিও সম্পূর্ণভাবে যীশুর পুনরুত্থানের প্রতি নিবেদিত হয়নি! অবশ্যই, বর্তমানে পরিস্থিতি আরও খারাপ! বর্তমানের গানের বইগুলি পরীক্ষা করতে গিয়ে আমি দেখছি খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের উপরে সেখানে প্রায় দশটি মাত্র গান রয়েছে| সেগুলির মধ্যে একটি ব্যাতীত বাকি সব কয়টি বিংশ শতাব্দীর আগে লেখা হয়েছিল| অষ্টাদশ শতাব্দীতে দুটি, উনবিংশ শতাব্দীতে তিনটি, ষোড়শ শতাব্দীতে একটি, একটি সপ্তদশ শতাব্দীতে, একটি পঞ্চদশ শতাব্দীতে, এবং অষ্টম শতাব্দীতে দুটি লেখা হয়েছিল! পুনরুত্থানের উপরে একমাত্র সুন্দর যে গানটি বিংশ শতাব্দীতে লেখা হয়েছে তা হল পল রেডারের লেখা ‘‘Alive Again’’ (পুনর্জীবিত হউন) গানটি, কিন্তু আমার জানা কোন গানের বইতে এটা পাওয়া যায় না| উঠে দাঁড়ান আর আমার সঙ্গে একসাথে গানটি করুন! যিনি মৃত ছিলেন তিনি পুনরায় জীবিত, আপনারা এখন বসতে পারেন| আপনারা আমাকে P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 এই ঠিকানায় চিঠি লিখতে এবং পল রেডারের গানটির কথা ও স্বরলিপি পাঠানোর অনুরোধ করতে পারেন| আবার, আমি মনে করি পুনরুত্থানের উপরে আধুনিক কালে লেখা গানের অভাব আমাদের দেখিয়ে দেয় যে বহুদিন ধরে এই সর্বৈব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি অবহেলিত হয়েছে, ফিন্নের সময় থেকেই| খ্রীষ্ট হলেন, ‘‘পবিত্রতার আত্মার সম্বন্ধে মৃতগণের পুনরুত্থান দ্বারা সপরাক্রমে ঈশ্বরের পুত্ত্র বলিয়া নির্দ্দিষ্ট’’ (রোমীয় 1:4), কিন্তু অনেক কষ্ট করে কেউ কেউ এটা প্রচার করেন, এবং আমরা প্রায় কখনো এই বিষয়ে গান করি না! আশ্চর্য্যের কিছু নেই যে পাশ্চাত্য জগতের মন্ডলীগুলি শুকিয়ে যাচ্ছে এবং ক্রমশ অস্পষ্ট হয়ে পড়ছে! উত্থিত খ্রীষ্টে বিশ্বাস করা ছাড়া, সেখানে উদ্দীপনার কোন আশা এবং প্রাণবন্ত বার্তা নাই - কারণ সুসমাচারের অর্দ্ধেকটাই ভুলে যাওয়া হয়েছে - আমাদের প্রচার থেকে মূলত অপসারিত হয়েছে! ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করুন! আমি দেখছি যে ইউরোপ ও আমেরিকাতে বসবাসরত আমাদের তুলনায় তৃতীয় বিশ্বের লোকরা খ্রীষ্টের উত্থানের উপরে অনেক বেশী গুরুত্ব আরোপ করতে আগ্রহী হচ্ছেন| বিস্ময়ের কিছু নেই যে সেখানে খ্রীষ্ট ধর্ম্ম বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু এখানে স্থবির হয়ে পড়ছে! আমি একবার একজন কুড়ি বছর বয়সী যুবকের সঙ্গে ইমেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিলাম যিনি তৃতীয় বিশ্বের কোন এক দেশ থেকে এসেছিলেন| তিনি তাঁর কষ্ট সহ্যের অভিজ্ঞতার বিষয়ে বলেছিলেন ‘‘আমার শৈশবে খ্রীষ্ট ধর্ম্মে বিশ্বাস ত্যাগ করাইবার জন্যে [আমাকে ঐরূপ করাইতে] নিদারূণ অত্যাচার সহ্য করিতে হইত| সাহায্য পাইবার জন্য আমি আর্তনাদ করিতাম, কিন্তু কেহই আসিত না, এবং আমি অনেককে [খ্রীষ্ট বিশ্বাসীকে] প্রাণ হারাইতে দেখিতাম...ভারতবর্ষ, মায়নামার, সর্বত্র শিশুদের নিগ্রহ [করা] হইত এবং তাহাদের উন্মাদাগারে রাখা হইত ও যীশুকে ত্যাগ করাইবার জন্য বৈদ্যুতিক ছেঁকার দ্বারা বারংবার অত্যাচার করা হইত...আমি হইতেছি সেই উত্তরজীবিদের একজন|’’ যখন আমি এটা পড়লাম আমি কেঁদে ফেলেছিলাম| সাধারণভাবে আমরা আমেরিকা বা পাশ্চাত্যে, এই ধরনের শিশু বা যুবকদের কোথায় খুঁজে পাব? এই যুবক বলেছিলেন যে তিনি এবং অন্যান্য শিশুরা মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত খ্রীষ্টের সম্মুখীন হয়েছিলেন| যখন তারা পুনরুত্থিত খ্রীষ্টকে অনুভব করেছিলেন তারা বুঝেছিলেন যে তিনি ছিলেন সেই ঈশ্বরের পুত্র| তখন যে কোন পরিমান বৈদ্যুতিক ছেঁকা বা প্রহারের মতন কোন নির্যাতনই তাদের দিয়ে যীশুকে ত্যাগ করাতে পারেনি| তারা জানতেন যে যীশু জীবিত রয়েছেন - মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন! সেটা তাদের প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসীতে পরিণত করেছিল! আর প্রেরিত পৌল সেটাই আমাদের পাঠ্যাংশে বলেছেন| খ্রীষ্ট হলেন, ‘‘পবিত্রতার আত্মার সম্বন্ধে মৃতগণের পুনরুত্থান দ্বারা সপরাক্রমে ঈশ্বরের পুত্ত্র বলিয়া নির্দ্দিষ্ট’’ (রোমীয় 1:4)| ঐ সমবেত সঙ্গীতটি আবার করুন! যিনি মৃত ছিলেন তিনি পুনরায় জীবিত, গ্রীক অনুবাদিত শব্দ ‘‘declared’’ (প্রকাশ করান) এর অর্থ হচ্ছে ‘‘স্বতন্ত্র করা,’’ ‘‘নির্দ্দিষ্ট করা’’ (স্ট্রং #3724)| মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের দ্বারা যীশুকে স্বতন্ত্র করা হয়েছিল, নির্দ্দিষ্ট করা হয়েছিল, ঈশ্বরের পুত্র হিসাবে| 1599 সালের জেনিভা বাইবেল বলছে ‘‘দর্শান হইয়াছিল এবং প্রকাশ করান হইয়াছিল’’ (রোমীয় 1:4 পদের উপরে টীকা #1)| মৃত্যু থেকে তাঁর পুনরুত্থানের দ্বারা খ্রীষ্টকে ঈশ্বরের পুত্র হিসাবে ‘‘দর্শন এবং প্রকাশ’’ করানো হয়েছিল, ‘‘যিনি পবিত্রতার আত্মার সম্বন্ধে মৃতগণের পুনরুত্থান দ্বারা সপরাক্রমে ঈশ্বরের পুত্ত্র বলিয়া নির্দ্দিষ্ট’’ (রোমীয় 1:4)| I. প্রথমত, কিভাবে যীশু ঈশ্বরের পুত্র হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিলেন | প্রাথমিকভাবে এটা তাঁর শিক্ষার দ্বারা হয়নি| পাহাড়ের উপরে দেওয়া ধর্ম্মোপদেশ সমেত, তিনি অনেক আশ্চর্য্যজনক বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছিলেন| কিন্তু শুধুমাত্র তাঁর শিক্ষা প্রমাণ করে না যে তিনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন| তাঁর অলৌকিক কাজকর্ম তা করেনি, এমনকী তিন জন লোককে মৃত্যু থেকে জীবিত করেও সেটা প্রমাণিত হয়নি| পুরানো নিয়মের সময়ে ভাববাদি এলিয় একটি ছেলেকে মৃত্যু থেকে পুনর্জীবিত করেছিলেন এবং তিনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন না (I রাজাবলী 17:17-24)| ইলিশায়ও একটি শিশুকে মৃত্যু থেকে পুনর্জীবিত করেছিলেন (II রাজাবলী 4:32-37) কিন্তু ইলিশায় ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন না| লোহিত সাগরকে দ্বিখন্ডিত করা সমেত, মোশিও অনেক অলৌকিক কাজ সম্পাদন করেছিলেন, কিন্তু তিনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন না| একমাত্র যে চিহ্নটি যীশুকে ঈশ্বরের পুত্র বলে প্রকাশ করেছিল সেটা ছিল তাঁর নিজের দেহের পুনরুত্থান| যীশু স্বয়ং বলেছিলেন যে তাঁর পুনরুত্থান ছিল সেই চিহ্ন যা তিনি একটি মন্দ প্রজন্মের প্রতি দেবেন, ‘‘তিনি উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, এই কালের দুষ্ট ও ব্যভিচারী লোকে চিহ্নের অন্বেষণ করে, কিন্তু যোনা ভাববাদীর চিহ্ন ছাড়া আর কোন চিহ্ন ইহাদিগকে দেওয়া যাইবে না| কারণ যোনা যেমন তিন দিবারাত্র বৃহৎ মৎস্যের উদরে ছিলেন, তেমনি মনুষ্যপুত্রও তিন দিবারাত্র পৃথিবীর গর্ব্ভে থাকিবেন’’ (মথি 12:39-40)| তিনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন এই কথা প্রধান যাজকের কাছে মেনে নেওয়ার জন্য যীশুকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল (মথি 26:63-66)| যেহেতু তিনি ক্রুশে ঝুলছিলেন, মহাযাজক তাঁকে বিদ্রুপ করে বলেছিলেন, ‘‘ও ঈশ্বরে ভরসা রাখে, এখন তিনি নিস্তার করুন, যদি উহাকে চান; কেননা ও বলিয়াছে, আমি ঈশ্বরের পুত্ত্র’’ (মথি 27:43)| কিন্তু মৃত্যু থেকে তাঁর পুনরুত্থান ঘটিয়ে ঈশ্বর তাঁর পুত্র হিসাবে যীশুর অনুমোদন প্রদর্শন করেছিলেন| যীশু ছিলেন, ‘‘পবিত্রতার আত্মার সম্বন্ধে মৃতগণের পুনরুত্থান দ্বারা সপরাক্রমে ঈশ্বরের পুত্ত্র বলিয়া নির্দ্দিষ্ট’’ (রোমীয় 1:4)| তৃতীয় দিনে তাঁর মৃতদেহের পুনরুত্থান ঘটিয়ে ঈশ্বর তাকে নিজের পুত্র বলে প্রকাশ করেছিলেন! এই গানটি করুন! যিনি মৃত ছিলেন তিনি পুনরায় জীবিত, II. দ্বিতীয়ত, কেন যীশুকে ঈশ্বরের পুত্র বলে প্রকাশ করা হয়েছিল | প্রিন্সটন থিয়োলজিক্যাল সেমিনারীতে, নতুন নিয়মের দীর্ঘদিনের অধ্যাপক, ড: চার্লস হজ (1797-1878) বলেছিলেন, যতক্ষণ খ্রীষ্ট উত্থিত হইয়াছিলেন ততক্ষণ ইহা হয় নাই যে তাঁহার পুত্রত্বের প্রমাণ সম্পূর্ণ হইয়াছিল, অথবা প্রেরিত পৌলগণের নিকট ইহার গুরুত্ব জানা ছিল...পুনরুত্থানের দ্বারা ইহা হইয়াছিল যে তিনি ঈশ্বরের পুত্র বলিয়া প্রমাণিত হইয়াছিলেন...[বহু] অধ্যায়ে [শাস্ত্রের] খ্রীষ্টের পুনরুত্থান সেই সকল মহৎ সিদ্ধান্তমূলক সত্যের প্রমাণ হিসাবে বর্ণিত হইয়াছে, যাহার বিষয়ে খ্রীষ্ট শিক্ষা দিয়াছিলেন এবং তাঁহার সকল ন্যায্য দাবির বিষয়ে...যেহেতু খ্রীষ্ট সর্বসমক্ষে নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র বলিয়া প্রকাশ করিয়াছিলেন, সেহেতু মৃত্যু হইতে তাঁহার পুনরুত্থান ছিল তাঁহার প্রকাশের সত্যতার স্বপক্ষে ঈশ্বরের প্রদত্ত শিলমোহর| তিনি যদি ক্রমাগতভাবে মৃত্যুর ক্ষমতার অধীন হইয়া থাকিতেন, তাহা হইলে তাঁহার পুত্রত্বের দাবি হয়ত ঈশ্বর অগ্রাহ্য [অস্বীকার] করিতেন; কিন্তু যেহেতু তিনি মৃত্যু হইতে নিজেকে পুনরুত্থিত করিয়াছিলেন, ঈশ্বর জনসমক্ষে তাঁহাকে স্বীকার করিয়াছিলেন, ইহা বলিয়া যে, তুমি আমার পুত্র, এইদিনে আমি কি এইরূপ প্রকাশ করিতেছি না (Charles Hodge, Ph.D., A Commentary on Romans, The Banner of Truth Trust, 1997 edition, pp. 20-21; notes on Romans 1:4) | অতএব খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের দ্বারা, তিনি যে ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন সেই প্রমাণ দেওয়া হয়েছিল, এবং তিনি যা যা শিক্ষা দিয়েছিলেন তার সবগুলি যাচাই করা হয়েছিল| ড: উইলবার এম. স্মিথ বলেছিলেন যে খ্রীষ্টের পুনরুত্থান প্রতিশ্রুতি দেয় ...খ্রীষ্টের উচ্চারিত সকল বাক্যের সত্যতা, এবং নির্ভরযোগ্যতার| যখন পুনরায় [তিনি উত্থিত হইয়াছেন] কবর হইতে [যাহা তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করিয়াছিলেন] এবং এই ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হইয়াছিল, তখন আমার নিকট সর্বদা মনে হইত যে সমস্ত কিছু যাহা আমাদের প্রভু কখনো বলিয়াছিলেন সেগুলি অবশ্যই সত্য হয়... যখন আমাদের প্রভু বলিয়াছিলেন যে যাহারা তাঁহার উপরে বিশ্বাস স্থাপন করিবে তাহারা অনন্তজীবন পাইবে, এবং যাহারা তাঁহার উপরে বিশ্বাস স্থাপন করিতে অস্বীকার করে তাহারা অনন্তকালের নিমিত্ত দোষী সাব্যস্ত হইবে, তিনি সেই সত্য বলিয়াছিলেন...আমরা খ্রীষ্টের পুনরুত্থানকে কখনও গ্রহণ করিতে পারি না, এবং যে কোন বাক্যের সত্যতা সম্বন্ধে কোন সন্দেহ করিতে পারি না যাহা কখনো তাহার মুখ হইতে নি:সৃত হইয়াছিল (Smith, Therefore Stand, ibid., pp. 418-419) | যীশু তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন, ‘‘পরে তিনি সেই বারোজনকে কাছে লইয়া তাঁহাদিগকে কহিলেন, দেখ, আমরা যিরূশালেমে যাইতেছি; আর ভাববাদিগণ দ্বারা যাহা যাহা লিখিত হইয়াছে, সে সমস্ত মনুষ্যপুত্ত্রে সিদ্ধ হইবে| কারণ তিনি পরজাতীয়দের হস্তে সমর্পিত হইবেন, এবং লোকেরা তাঁহাকে বিদ্রূপ করিবে, তাঁহার অপমান করিবে, তাঁহার গায়ে থুথু দিবে; এবং কোড়া প্রহার করিয়া তাঁহাকে বধ করিবে; পরে তিনি তৃতীয় দিবসে তিনি পুনরায় উঠিবেন’’ (লূক 18:31-33)| লূক 18:31-33 পদে যীশু যা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তা আক্ষরিক অর্থে সত্যিকারেই ঘটেছিল| তাঁকে বিদ্রূপ করা হয়েছিল, তাঁর মুখে ঘুষি মারা হয়েছিল, মুখে থুথু দেওয়া হয়েছিল, কোড়া প্রহার করে তাঁকে ক্রুশের উপরে বধ করা হয়েছিল| কিন্তু তাঁর ক্রুশারোপনের পরবর্তী তৃতীয় দিনটিতে তিনি মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন| যীশুর নিজের সম্বন্ধে কৃত ভবিষ্যদ্বাণীর সঠিক পরিপূর্ণতা, তিনি যা যা বলেছিলেন তার সবগুলির সত্যতা নিশ্চিত করে এই কারণে যে তিনি ছিলেন ‘‘পবিত্রতার আত্মার সম্বন্ধে মৃতগণের পুনরুত্থান দ্বারা সপরাক্রমে ঈশ্বরের পুত্ত্র বলিয়া নির্দ্দিষ্ট’’ (রোমীয় 1:4)| ‘‘যিনি মৃত ছিলেন তিনি পুনরায় জীবিত|’’ গানটি করুন! যিনি মৃত ছিলেন তিনি পুনরায় জীবিত, যেমন তিনি বলেছিলেন একেবারে সঠিক সেইভাবে মৃত্যু থেকে যেহেতু তিনি পুনরুত্থিত হয়েছিলেন, তাতে আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে তিনি তখন সত্যি কথাই বলেছিলেন, যখন বলেছিলেন যে, ‘‘তোমরা যদি না ফির...তবে কোন মতে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করিতে পাইবে না’’ (মথি 18:3)| আমাদের উচিৎ খুব আন্তরিকতার সঙ্গে এই বাক্যগুলিকে গ্রহণ করা কারণ সেগুলি ঈশ্বরের পুনরুত্থিত পুত্রের মুখ থেকে উচ্চারিত| আপনি কি মন পরিবর্তন করেছেন? আপনি কি নিশ্চিত যে আপনার মন পরিবর্তন হয়েছে? ঈশ্বরের পুত্র বলেছেন যে আপনি ‘‘ঈশ্বরের স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে’’ পারেন না যদি না আপনি মন পরিবর্তন করেন| আহা, কত গুরুত্ব দিয়েই না আপনাকে আপনার মন পরিবর্তনের বিষয়ে ভাবা উচিৎ! কতটা যত্ন নিয়ে আপনার নিশ্চিত করা উচিৎ ছিল যে আপনার মন পরিবর্তন হয়েছে! পুনরুত্থিত ঈশ্বর পুত্র এটাও বলেছিলেন, ‘‘আমিই পথ ও সত্য ও জীবন; আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে আইসে না’’ (যোহন 14:6)| কত আন্তরিকতার সঙ্গে তিনি যা বলেছিলেন তা আপনার শোনা উচিৎ! তাঁর কাছে আসতে এবং উদ্ধার পেতে আপনার কত উদ্বিগ্ন হওয়া উচিৎ! আপনার মন থেকে সমস্ত কুসংস্কার এবং ভ্রান্ত ধর্মীয় ধারণা ঝেড়ে ফেলে দিতে, এবং তাঁর উপরে নির্ভর করতে আপনাকে কত যত্নবান হতে হবে - কারণ তিনি বলেছেন, ‘‘আমা দিয়া না আসিলে, কেহ পিতার নিকটে আইসে না|’’ আবার, পুনরুত্থিত ঈশ্বর পুত্র বলেছেন, ‘‘যে আমার কাছে আসিবে, তাহাকে আমি কোনমতে বাহিরে ফেলিয়া দিব না’’ (যোহন 6:37)| ওহ, আপনার উচিৎ তাঁর মধ্যে ‘‘প্রবেশের জন্যে প্রাণপণ করা!’’ (লূক 13:24)| যীশুর কাছে আসার জন্য আপনাকে কত যত্নশীল এবং চিন্তাশীল হতে হয়| মনে রাখবেন তিনি বলেছিলেন যে, ‘‘হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোকসকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব’’ (মথি 11:28)| আমরা প্রার্থনা করছি যাতে আপনি ঈশ্বরের পুনরুত্থিত পুত্রের কথা শোনেন| আমরা প্রার্থনা করছি যাতে আপনি সরাসরি তাঁর কাছে আসবেন, ক্রুশের উপরে তিনি যে রক্ত ঝরিয়েছিলেন তার দ্বারা আপনি নিজের পাপ ধুয়ে দিয়ে শুচি হবেন - এবং তাঁর পুনরুত্থিত জীবনের দ্বারা উদ্ধার পাবেন| তাঁর কথা শুনুন! তিনি যা বলেছেন তা বিশ্বাস করুন! সরাসরি তাঁর কাছে চলে আসুন এবং উদ্ধারপ্রাপ্ত হন, ঠিক যেমন তিনি আপনাকে করতে বলেছিলেন - কারণ তিনি হলেন ‘‘পবিত্রতার আত্মার সম্বন্ধে মৃতগণের পুনরুত্থান দ্বারা সপরাক্রমে ঈশ্বরের পুত্ত্র বলিয়া নির্দ্দিষ্ট’’ (রোমীয় 1:4)| যিনি মৃত ছিলেন তিনি পুনরায় জীবিত, যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ নোহ সং: লূক 18:31-34 | |
খসড়া চিত্র খ্রীষ্টের পুত্ত্রত্বের প্রমাণ ! THE PROOF OF CHRIST’S SONSHIP! লেখক : ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র| ‘‘তাহা তাঁহার পুত্ত্র বিষয়ক, যিনি মাংসের সম্বন্ধে দায়ূদের বংশজাত, যিনি পবিত্রতার আত্মার সম্বন্ধে মৃতগণের পুনরুত্থান দ্বারা সপরাক্রমে ঈশ্বরের পুত্ত্র বলিয়া নির্দ্দিষ্ট’’ (রোমীয় 1:3-4)|
I. প্রথমত, কিভাবে যীশু ঈশ্বরের পুত্র হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিলেন,
II. দ্বিতীয়ত, কেন যীশুকে ঈশ্বরের পুত্র বলে প্রকাশ করা হয়েছিল, |