এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
কায়াফা - সেই ব্যক্তি যিনি
|
এটা ঘটেছিল খ্রীষ্টের সেবাকাজের শেষের দিকে| লাসারকে মৃত্যু থেকে উঠানোর পরে যীশু নগরের বাইরে চলে গিয়েছিলেন| তাঁর ক্রুশারোপনের আগের সপ্তাহ অবধি তিনি আর যিরূশালেমে ফিরে আসেননি| কেউ হয়তো ভাববেন যে লাসারকে মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত করার ঘটনাটি বোধহয় ধার্মিক নেতাদের বিশ্বাস উৎপন্ন করে থাকবে, কিন্তু তা হয়নি| এর আগে যীশু বলেছিলেন, ‘‘তাহারা যদি মোশির ও ভাববাদিগণের কথা না শুনে, তবে মৃতগণের মধ্য হইতে কেহ উঠিলেও তাহারা মানিবে না’’ (লূক 16:31)| অলৌকিক ঘটনা দেখার মাধ্যমে প্রায়ই লোকেরা সন্দেহহীন হন না| যে অলৌকিক ঘটনা তাদের দরকার তা হল ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা তাদের আত্মায় চেতনা উদ্রেককারী কাজ, যা "অপরাধে ও পাপে মৃত" (ইফিষীয় 2:1)| যদি একজন মানুষ অলৌকিকভাবে তার পাপের জন্য দোষী সাব্যস্ত না হন, তিনি মন পরিবর্তন করতে পারবেন না| এমনকী "মৃতগণের মধ্য হইতে কেহ উঠিলেও" (ইফিষীয় 16:31) তার মন পরিবর্তন হবে না| ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা পাপের চেতনার জাগরণ, মানুষকে তার পাপ অনুভব করতে বাধ্য করানো হচ্ছে সেই অলৌকিক কাজ, প্রকৃত মন পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা লাভ করতে হলে যা তাদেরকে অবশ্যই পেতে হবে| অলৌকিক ঘটনা এমনকী লোকদের তাদের হৃদয়কে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে আরও শক্ত করিয়ে দিতে পারে| এখন, যখন প্রধান যাজক এবং ফরিশীরা দেখেছিলেন যে যীশু "বহু অলৌকিক কার্য্য" করছেন, তারা সবাই মিলে স্যানহেড্রিনের কমিটির "একটা মন্ত্রণা-সভা" আহ্বান করেছিলেন (যোহন 11:47)| সেই মন্ত্রণা সভাতে, একটা অদ্ভূত ব্যাপার হয়েছিল| প্রধান যাজক কায়াফা খ্রীষ্টের সম্পর্কে একটা সঠিক ভাববাণীর উল্লেখ করেছিলেন| নতুন নিয়মের ভাষ্য এই দৃশ্যপট বর্ণনা করছে: কায়াফা ছিলেন "নিজ উদ্দেশ্য সাধনে এক নিপুণ ব্যক্তি, একজন সুবিধাবাদী, যিনি সততা বা সুবিচারের অর্থ জানিতেন না...নির্দোষ রক্ত ঝরাইতে তিনি কুন্ঠিত হইতেন না| [তিনি যাহা করিতেন তাহাই করাইতেন] দেখাইতেন যেন জনগণের মঙ্গলের জন্য ইহাই হইতেছে সেই বিষয় যাহার প্রয়োজন ছিল| কায়াফা যীশুকে ঈর্ষা করিতেন| নিজ স্বার্থপর অভীষ্ট পূর্ণ করিতে কায়াফা যীশুকে মৃত্যু প্রদান করিতে চাহিয়াছিলেন| যীশুর উপরে দোষারোপ কার্যকর করাইবার উদ্দেশ্যে, তিনি সেই কৌশলগুলি অবলম্বন করিতে চলিয়াছিলেন যেগুলি ছিল তাহার চতুর গণনার ফসল...চূড়ান্ত বিচারটির জন্যে, তিনি একজন কপট ছিলেন...তখন তিনি আভ্যন্তরীন উল্লাসে পরিপূর্ণ ছিলেন কারণ খ্রীষ্টের দন্ডাদেশের যে ভিত্তি তিনি বিবেচনা করিয়াছিলেন তাহা তিনি খুঁজিয়া পাইয়াছিলেন, তিনি তাহার যাজকীয় বস্ত্র ছিঁড়িয়া ফেলিয়াছিলেন যেন তিনি নিগূঢ় দুঃখের দ্বারা বিজয় লাভ করিতেছেন! কায়াফা এইরূপ ছিলেন| আরও দেখুন যোষেফের, এন্টিক্যুইটিস, XVIII, 4:3” (William Hendriksen, Th.D., New Testament Commentary, Baker Book House, 1981 edition, volume I, p. 163; note on John 11:49-50) | এখন দেখুন যে এই দুষ্ট মহাযাজক একটি ভাববাণী দিয়েছিলেন| পুরানো নিয়মের বিলিয়মের মতন, এই পাজি মানুষটি প্রকৃতপক্ষে একটি সত্যিকারের ভাববাণী দিয়েছিলেন, ‘‘কিন্তু তাহাদের মধ্যে একজন, কায়াফা, সেই বৎসরের মহাযাজক, তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরা কিছুই বুঝ না, আর বিবেচনাও কর না যে, তোমাদের পক্ষে এটী ভাল, যেন প্রজাগণের জন্য একব্যক্তি মরে, আর সমস্ত জাতি বিনষ্ট না হয়| এই কথা যে তিনি আপনা হইতে বলিলেন, তাহা নয়, কিন্তু সেই বৎসরের মহাযাজক হওয়াতে তিনি এই ভাববাণী বলিলেন যে, সেই জাতির জন্য যীশু মরিবেন| আর কেবল সেই জাতির জন্য নয়, কিন্তু ঈশ্বরের যে সকল সন্তান ছিন্ন ভিন্ন হইয়াছিল, সেই সকলকে যেন একত্র করিয়া এক করেন, এই জন্য’’ (যোহন 11:49-52)| কিন্তু বাইবেল বলছে, ‘‘অতএব সেই দিন অবধি তাহারা তাঁহাকে বধ করিবার মন্ত্রণা করিতে লাগিল’’ (যোহন 11:53)| এক সপ্তাহ পরে, কায়াফ মন্দিরের কয়েকজন প্রহরীকে যীশুকে গ্রেপ্তার করে আনতে পাঠিয়েছিলেন যখন যীশু গেৎশিমানির বাগানে প্রার্থনা করছিলেন| সেই প্রহরীরা তাঁকে সমর্পণ করেছিল সেই কায়াফার সামনে, যে তাঁকে বলেছিল, "আমাদিগকে বল দেখি, তুমি কি সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র" (মথি 26:63)| যখন যীশু ইতিবাচক বাক্যে উত্তর করেছিলেন, ‘‘তখন মহাযাজক আপন বস্ত্র ছিঁড়িয়া কহিলেন এ ঈশ্বর-নিন্দা করিল, আর সাক্ষীতে আমাদের কি প্রয়োজন? দেখ, এখন তোমরা ঈশ্বর-নিন্দা শুনিলে; তোমাদের কি বিবেচনা হয়? তাহারা উত্তর করিয়া কহিল, এ মরিবার যোগ্য| তখন তাহারা তাঁহার মুখে থুথু দিল ও তাঁহাকে ঘুসি মারিল; আর কেহ কেহ তাঁহাকে প্রহার করিয়া কহিল, রে খ্রীষ্ট, আমাদের কাছে ভাববাণী বল্, কে তোকে মারিল’’ (মথি 26:65-68)| লোকদের দন্ড দেওয়ার অধিকার মহাযাজকের ছিল না| সেইজন্যে কায়াফা যীশুকে টেনে হিঁচড়ে রোমীয় শাসক, পন্তিয় পীলাতের কাছে নিয়ে গেলেন - এবং তাঁকে ক্রুশারোপিত করার জন্য রোমীয়দের আহ্বান করলেন| এই ধরনের জীবনীমূলক ধর্ম্মোপদেশ প্রস্তুত করা খুবই অসুবিধাজনক, কিন্তু এই মহাযাজক যোষেফ কায়াফার, যিনি যীশুর ক্রুশারোপনের পরিকল্পনা করেছিলেন, কথা এবং কাজ থেকে দুটি সাধারণ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়াটা খুব উচিৎ কাজ হবে| I. প্রথমত, কায়াফা খুব ধার্মিক ছিলেন, এবং এমনকী খ্রীষ্টের প্রতিকল্প উৎসর্গের বিষয়ে একটা নিগূঢ় সত্য বলেছিলেন | কায়াফা বৃদ্ধ মহাযাজক অননিয়ের জামাই ছিলেন| সেইসময়কার যে কোন ব্যক্তির তুলনায় দীর্ঘ সময়, 18 বছর ধরে তিনি প্রধান যাজকের পদ ধরে রেখেছিলেন| দূর্ভাগ্যবশতঃ, আমরা জানতে পেরেছি যে তিনি কেমন লোক ছিলেন| উদাহরনত, বহুবার, যখন ডঃ হেইমারস যুবক ছিলেন, তাকে বলা হয়েছিল, "আপনি ঐটা প্রচার করতে পারেন না," অথবা "আপনি এই ধরনের প্রচার করতে পারেন না|" যেমন যেমন বছর অতিক্রান্ত হয়েছে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে এই উপদেশ ভুল ছিল| যে লোকেরা তাকে এই কথা বলতেন তারা সত্যের তুলনায় নিজেদের পদমর্যাদার বিষয়েই বেশী সচেতন ছিলেন, যেমন বাইবেলে বলা হয়েছে| একজন প্রচারক সেই সমস্ত লোকদের সন্তুষ্ট করতে পারেন না যারা শুধু নিজেদের চাকরি রক্ষা করতেই ব্যস্ত থাকেন, এবং অন্য কাউকে চটান না| কায়াফা ছিলেন সেই ধরনের মানুষ| তিনি জানতেন যে যীশু "অনেক চিহ্ন-কার্য্য" (যোহন 11:47) করছেন, কিন্তু রাজনৈতিক সুবিধার জন্য তিনি শুধু যীশুকে আটকাতে আগ্রহী ছিলেন| তিনি ভেছিলেন, "যদি আমরা তাঁহাকে একা ছাড়িয়া দিই তাহা হইলে আমরা কিছু হারাইব|" ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসায় ও বাধ্যতায় যীশু যা কিছু বলেছিলেন ও করেছিলেন তাই তিনি বলেছেন এবং করেছেন| ঐশ্বরিক কোন চিন্তা ছাড়াই কায়াফা যা বলেছিলেন ও করেছিলেন তাই তিনি বলেছেন এবং করেছেন| আমাদের মন্ডলীতে বর্তমানে তার মতন অনেক লোক আছেন| তিনি খুব ধার্মিক ছিলেন| এটা অনুভব না করেও, তিনি এমনকী খ্রীষ্টের পরার্থ প্রায়শ্চিত্ত বিষয়ক সত্য প্রকাশ করেছিলেন এই বলে যে, ‘‘তোমাদের পক্ষে এটী ভাল, যেন প্রজাগণের জন্য একব্যক্তি মরে’’ তাহলে, পাপীদের প্রতিনিধি হিসাবে খ্রীষ্টের মৃত্যু বিষয়ক নিগূঢ় সত্যটি তিনি বলে দিয়েছিলেন, যিশাইয়র বাক্যের প্রতিধ্বনি করে, ‘‘কিন্তু তিনি আমাদের অধর্ম্মের নিমিত্ত বিদ্ধ, আমাদের অপরাধের নিমিত্ত চূর্ণ হইলেন; আমাদের শান্তিজনক শাস্তি তাঁহার উপরে বর্ত্তিল, এবং তাঁহার ক্ষত সকল দ্বারা আমাদের আরোগ্য হইল’’ (যিশাইয় 53:5)| কিন্তু সাবধান! তাদের কাছ থেকে কোন সুবিধা না পেয়েও আপনি ঐ বাক্যগুলি গ্রহণ করতে পারেন! কায়াফার বেলাতেও সেইরকম হয়েছিল| তিনি সঠিক বাক্যটি জেনেছিলেন, কিন্তু তার জীবনে সেগুলির কোন চরম কার্যকারিতাছিল না| ইনি হলেন সেই একই মহা যাজক যিনি পিতরকে হুমকি দিয়েছিলেন যখন পিতর মৃত্যু থেকে যীশুর পুনরুত্থানের বিষয়ে প্রচার করছিলেন| কিন্তু জনতাকে ভয় পাওয়ার কারণে, তিনি পিতরকে শুধু ভয় দেখান এবং ছেড়ে দেন (প্রেরিত 4:21)| আবার, কায়াফা ছিলেন সেই একই মহাযাজক যিনি প্রেরিতদের সাধারণ কারাগারে বদ্ধ করেছিলেন (প্রেরিত 5:17-18)| কিন্তু ঈশ্বর কারাগারের দরজা খুলে দিতে তাঁর একজন দূতকে পাঠান এবং তাদের মুক্ত করেন| তখন কায়াফা পিতরকে স্যানহেড্রিনের সামনে আনতে সেনাপতি পদাতিকদের পাঠিয়েছিলেন "বলের সহিত নয়...পাছে লোকে তাঁহাদিগকে পাথর মারে" (প্রেরিত 5:26)| এত এত লোক প্রেরিতদের কথা শুনছিলেন যে কায়াফা ভয় পেয়েছিলেন যে যদি তিনি তাদের ক্ষতি করেন তাহলে সেই লোকেরা তাকে পাথর ছুঁড়েই মেরে ফেলবে! স্যানহেড্রিনের সদস্যদের একজন, যার নাম ছিল গমলীয়েল, কায়াফা এবং অন্য সদস্যদের বলেছিলেন ‘‘এক্ষণে আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমরা এই লোকদের হইতে ক্ষান্ত হও, তাহাদিগকে থাকিতে দেও; কেননা এই মন্ত্রণা কিম্বা এই ব্যাপার যদি মনুষ্য হইতে হইয়া থাকে, তবে লোপ পাইবে, কিন্তু যদি ঈশ্বর হইতে হইয়া থাকে, তবে তাহাদিগকে লোপ করা তোমাদের সাধ্য নয়, কি জানি, দেখা যাইবে যে, তোমরা ঈশ্বরের সহিত যুদ্ধ করিতেছ’’ (প্রেরিত 5:38-39)| কায়াফা এবং অন্যান্যরা গমলীয়েলের কথায় সম্মত হয়েছিলেন| কিন্তু তারা কি করেছিলেন? তারা কি ঈশ্বরের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন? না! তারা প্রেরিতদের প্রহার করেছিলেন এবং "যীশুর নামে কোন কথা না কহিতে নিষেধ করিয়া ছাড়িয়া দিলেন" (প্রেরিত 5:40)| ‘‘আর তাহারা প্রতিদিন ধর্ম্মধামে ও বাটীতে উপদেশ দিতেন, এবং যীশুই যে খ্রীষ্ট, এই সুসমাচার প্রচার করিতেন, ক্ষান্ত হইতেন না’’ (প্রেরিত 5:42)| অতএব, আমরা কায়াফাকে ত্যাগ করছি - নির্বল, সুসমাচার প্রচার বন্ধ করতে এবং খ্রীষ্টধর্মের বিস্তার রোধ করতে অক্ষম অবস্থায়| ঈশ্বরের বিষয়ে চিন্তা এবং নিজের পাপের জন্য অনুশোচনা করার কথা কখনও তার মনে প্রবেশ করেনি| তিনি সরাসরি রাজনীতির খেলা খেলে চলেছিলেন - ধার্মিকতায় পরিপূর্ণ হয়ে, ঈশ্বরের ভয় না পেয়ে - যতক্ষণ না কয়েক বছর পরে পীলাতের উত্তরসূরী ভিটেলাসের দ্বারা তাকে যাজকত্বের পদ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, যোষেফাসের মতে 36 খ্রীষ্টাব্দে (Antiquities, XVIII:4, 2)| তাকে ছুঁড়ে ফেলার পরে তার কি হয়েছিল সেটা জানা যায় না| 1991 সালে যিরূশালেমে চুনাপাথরে তৈরী একটা হাড়-গোড় ভর্তি সিন্দুক (অস্থি-আধার) পাওয়া গেছিল যার গায়ে কায়াফা নামটি খোদাই করে লেখা ছিল - প্রত্নতাত্বিকেরা যাকে কায়াফার আসল কফিন বলে বিশ্বাস করেন (Archaeological Study Bible, Zondervan, 2005, p. 1609; note on Matthew 26:3)| "অপরাধহীন বন্দির [যীশুর] বিচারবিভাগীয় হত্যার জন্যে গভীরভাবে দায়ী" হওয়ার জন্যেই কেবল কায়াফাকে স্মরণ করা হয় (John D. Davis, D.D., Davis Dictionary of the Bible, Baker Book House,1978 edition, p. 114)| II. দ্বিতীয়ত, কয়িনের মতন, কায়াফা কখনও অনুতাপ করেননি - এবং কখনও উদ্ধার পাননি | সেখানে কায়াফা এবং কয়িনের মধ্যে প্রকৃতই একটা সাদৃশ্য আছে| কয়িন জানতেন যে, যেমন হেবল করেছিলেন সেইরকমে তারও একটা রক্ত আত্মাহুতি নিয়ে আনার দরকার রয়েছে| কিন্তু কয়িন অনুতাপ করেননি| তার পরিবর্তে, ‘‘কয়িন আপন ভ্রাতা হেবলের বিরুদ্ধে উঠিয়া তাহাকে বধ করিল’’ কয়িন এবং কায়াফার মতন মানুষের মধ্যে একটা নূতন নিয়ম সংক্রান্ত যোগাযোগ রয়েছে| প্রেরিত যোহন বলেছিলেন, ‘‘কয়িন যেমন সেই পাপাত্মার লোক, এবং আপন ভ্রাতাকে বধ করিয়াছিল, তেমন যেন না হই| আর সে কেন তাঁহাকে বধ করিয়াছিল? কারণ এই যে, তাহার নিজের কার্য্য মন্দ, কিন্তু তাহার ভ্রাতার কার্য্য ধর্ম্মানুযায়ী ছিল| ভ্রাতৃগণ, জগৎ যদি তোমাদিগকে ঘৃণা করে, তবে আশ্চর্য্য জ্ঞান করিও না’’ (I যোহন 3:12-13)| কায়াফা, কয়িনের মতন, শয়তানের দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন, "সেই মন্দ একজন" এর দ্বারা| কয়িনের মতন, কায়াফা "জাগতিক" ছিলেন| শয়তানের থেকে পরামর্শ গ্রহণ করা তিনি কখনও বন্ধ করেননি| ঈশ্বরের সেবা করার জন্যে তিনি কখনও "জগৎ" ত্যাগ করেননি| যিহুদী কুমরান গোষ্ঠীর সত্তা, যা মৃত সাগর পুঁথির উৎপত্তি করেছিল, কায়াফার বিষয়ে খুবই সমালোচনামূলক ছিল, যাকে তারা বলতেন "পাজি পুরোহিত" (Archaeological Study Bible, ibid.)| কয়িন এবং কায়াফা তাদের প্রতি একটা ভয়াবহ সতর্কবাণী দেন যারা ধার্ম্মিক কিন্তু দিশাহারা হয়ে রয়েছেন| কয়িন এবং কায়াফা দুজনেই রক্ত আত্মাহুতির বিষয় জানতেন| ঈশ্বরের দ্বারা কয়িন এবং কায়াফা দুইজনের সঙ্গেই সরাসরি কথা বলা হত| ঈশ্বর পুত্র সরাসরি কায়াফার সঙ্গে কথা বলেছিলেন - যেমন তিনি কয়িনের সঙ্গেও বলতেন (আদিপুস্তক 4:6-7)| কয়িন এবং কায়াফা উভয়েই, তাদের বিবেকের উদ্দেশ্যে উচ্চারিত, ঈশ্বরের বাণী কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়েছিলেন এবং আত্ম-কেন্দ্রিক জীবনের মধ্যে আকন্ঠ নিমজ্জিত হয়েছিলেন| কয়িন এবং কায়াফা দুজনেই শেষ বিচারকালে খ্রীষ্টের সামনে দাঁড়াবেন, আর তিনি তাদের প্রতি বলবেন, ‘‘আমি কখনও তোমাদিগকে জানি নাই; হে অধর্ম্মাচারীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও’’ (মথি 7:23)| তখন তাদের "বাহিরের অন্ধকারে ফেলিয়া দেওয়া যাইবে; সেই স্থানে রোদন ও দন্তঘর্ষণ হইবে" (মথি 8:12)| আজকের সকালে আমি আপনাদের সতর্ক করছি - আপনি যে ঈশ্বরের বিষয়ে চিন্তা করছেন, তা নিশ্চিত করুন! আপনি যে নিজের পাপের বিষয়ে চিন্তা করছেন, তা নিশ্চিত করুন! আপনি যে শুধু শুধুই "সঠিক বাক্য" উচ্চারণ করছেন না সেটা নিশ্চিত করুন| আপনি নিজের সব পাপ স্বীকার করে নেন সেই বিষয়টি নিশ্চিত করুন! ‘‘তাপিত ও শোকার্ত্ত হও, এবং রোদন কর; তোমাদের হাস্য শোকে, এবং আনন্দ বিষাদে পরিণত হউক’’ (যাকোব 4:9)| নিশ্চিত করুন যে আপনার একটা প্রকৃত মন পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা লাভ হচ্ছে - যে আপনি প্রকৃতভাবে যীশু খ্রীষ্টের সামনা সামনি আসছেন এবং তিনি "নিজ রক্তে আমাদের পাপ" (প্রকাশিত বাক্য 1:5) থেকে ধৌত করছেন| অপেক্ষা করবেন না! যীশুর কাছে আসতে আপত্তি করবেন না! যতক্ষণে ঈশ্বর আপনাকে ত্যাগ করেন এবং আপনাকে একটি দুশ্চরিত্র মনের অধীনে দিয়ে দেন, ততক্ষণ দেরী করবেন না! বিস্তীর্ণকাল আমি পরিত্রাতাকে অবহেলা করেছি| ডঃ হেইমারস, অনুগ্রহ করে আসুন এবং এই সেবা সমাপ্ত করুন| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত: |
খসড়া চিত্র কায়াফা - সেই ব্যক্তি যিনি CAIAPHAS – THE MAN WHO ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র দ্বারা লিখিত ‘‘কিন্তু তাহাদের মধ্যে একজন, কায়াফা, সেই বৎসরের মহাযাজক, তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরা কিছুই বুঝ না, আর বিবেচনাও কর না যে, তোমাদের পক্ষে এটী ভাল, যেন প্রজাগণের জন্য একব্যক্তি মরে, আর সমস্ত জাতি বিনষ্ট না হয়| এই কথা যে তিনি আপনা হইতে বলিলেন, তাহা নয়, কিন্তু সেই বৎসরের মহাযাজক হওয়াতে তিনি এই ভাববাণী বলিলেন যে, সেই জাতির জন্য যীশু মরিবেন| আর কেবল সেই জাতির জন্য নয়, কিন্তু ঈশ্বরের যে সকল সন্তান ছিন্ন ভিন্ন হইয়াছিল, সেই সকলকে যেন একত্র করিয়া এক করেন, এই জন্য| অতএব সেই দিন অবধি তাহারা তাঁহাকে বধ করিবার মন্ত্রণা করিতে লাগিল’’ (যোহন 11:49-53)| (লূক 16:31; ইফিষীয় 2:1; যোহন 11:47-48, 49-52, 53; I. প্রথমত, কায়াফা খুব ধার্মিক ছিলেন, এবং এমনকী খ্রীষ্টের প্রতিকল্প উৎসর্গের II. দ্বিতীয়ত, কয়িনের মতন, কায়াফা কখনও অনুতাপ করেননি - এবং কখনও |