এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
যিহূদার ভ্রান্ত অনুশোচনাTHE FALSE REPENTANCE OF JUDAS লেখক : ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র 2017 সালের, 2রা এপ্রিল, প্রভুর দিনের সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের ‘‘তখন যিহূদা, যে তাঁহাকে সমর্পণ করিয়াছিল, সে যখন বুঝিতে পারিল যে, তাঁহার দন্ডাজ্ঞা হইয়াছে, তখন অনুশোচনা করিয়া সেই ত্রিশ রৌপ্যমুদ্রা প্রধান যাজক ও প্রাচীনবর্গের নিকটে ফিরাইয়া দিল, আর কহিল, নির্দ্দোষ রক্ত সমর্পণ করিয়া আমি পাপ করিয়াছি| তাহারা বলিল, আমাদের কি? তুমি তাহা বুঝিবে| তখন সে ঐ মুদ্রা সকল মন্দিরের মধ্যে ফেলিয়া দিয়া চলিয়া গেল, গিয়া গলায় দড়ি দিয়া মরিল’’ (মথি 27:3-5)| |
মথি 27 অধ্যায়টি খুব সকালে শুরু হয়েছিল, গেৎশিমানীর বাগানে যীশু গ্রেপ্তার হওয়ার পরে, স্যানহেড্রিন এবং প্রধান যাজকের সামনে তাঁকে আনীত হওয়ার পরে, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার পরে, তাঁর মুখে প্রহার করা এবং তাঁকে উপহাস করার পরে, এবং পিতর তাঁকে অস্বীকার করার পরে| ‘‘প্রভাত হইলে প্রধান যাজকেরা এবং লোকদের প্রাচীনবর্গ সকলে যীশুকে বধ করিবার নিমিত্ত তাঁহার বিপক্ষে মন্ত্রণা করিল; আর তাঁহাকে বাঁধিয়া লইয়া গিয়া দেশাধ্যক্ষ পীলাতের নিকটে সমর্পণ করিল’’ (মথি 27:1-2)| তারা যীশুকে মহাযাজকের প্রসাদের ভিতর দিয়ে নিয়ে গেছিলেন| যিহূদা বেরিয়ে এসেছিলেন এবং যীশুর কাছে দাঁড়িয়েছিলেন| কিন্তু যিহূদা যীশুর দিকে ঘুরে তাকাননি বা ক্ষমা যাচ্ঞা করেননি| এমনকী এই শেষ দন্ডেও, যীশুর দিকে ফিরে তাকালে, তিনি উদ্ধার পেতে পারতেন| ক্রুশে যীশুর পাশে থাকা সেই দস্যু মারা যাওয়ার ঠিক আগে উদ্ধার পেয়েছিলেন| ক্ষমা লাভ করার জন্য যিহূদা যীশুর প্রতি ফেরার পরিবর্তে কেন মহা যাজকের দিকে তাকিয়েছিলেন? আমি বিশ্বাস করি এর দুটি কারণ রয়েছে, I. প্রথমত, যিহূদা ইতিমধ্যেই ক্ষমার অযোগ্য পাপ করেছিলেন | যীশু বলেছিলেন, ‘‘এই কারণ আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, মনুষ্যদের সকল পাপ ও নিন্দার ক্ষমা হইবে, কিন্তু পবিত্র আত্মার নিন্দার ক্ষমা হইবে না| আর যে কেহ মনুষ্যপুত্রের বিরুদ্ধে কোন কথা কহে, সে ক্ষমা পাইবে; কিন্তু যে কেহ পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে কথা কহে, সে ক্ষমা পাইবে না, ইহকালেও নয়, পরকালেও নয়’’ (মথি 12:31-32)| ডঃ জন্ আর. রাইস বলেছিলেন যে মনে হয় ‘‘যিহূদা ক্ষমার অযোগ্য পাপ করিয়া থাকিবেন,’’ এর মানে, ইতিমধ্যেই তাকে তিরস্কার করা হয়েছিল| ডঃ জন্ আর. রাইস বলেছেন, ক্ষমার অযোগ্য পাপ হইল খ্রীষ্টের প্রতি এতই নিশ্চিত একটি সম্পূর্ণ এবং চূড়ান্ত প্রত্যাখ্যান...যে ইহা চিরকালের জন্য পবিত্র আত্মাকে অপমান করে ও তাড়াইয়া দেয়| তখন [পবিত্র আত্মা] আর হৃদয় আন্দোলিত, পাপের চেতনা আনয়ণ অথবা মুক্তির ইচ্ছা জাগ্রত করেন না...একজন [যিনি ক্ষমার অযোগ্য পাপ করিয়াছেন] এই বিষয়ে উদাসীন যেহেতু পবিত্র আত্মা তার থেকে অপসৃত হয়েছেন| ঈশ্বরের প্রতি সব প্রকৃত মুখ ফেরান অবশ্যই হৃদয়ে পবিত্র আত্মার সক্রিয় কার্য্যের কারণে সম্ভব| যদি [পবিত্র আত্মা] স্বয়ং অপসৃত হন, তাহা হইলে ঈশ্বরের নিকটে আর অন্য কোন প্রতিনিধি নাই যাহার দ্বারা পাপীর চেতনা সঞ্চার এবং উদ্ধার করা যাইবে (John R. Rice, D.D., A Verse-by-Verse Commentary on the Gospel According to Matthew, Sword of the Lord Publishers, 1980 edition, p. 183; comments on Matthew 12:31-32) | ডঃ রাইসের ‘‘If You Linger too Long’’ গানটি, যিহূদার বর্ণনা করছে! তুমি অপেক্ষারত ছিলে এবং পরিত্রাতাকে প্রত্যাখ্যানে বিলম্বিত ছিলে, ‘‘আত্মা যাওয়া অবধি’’ যিহূদা অপেক্ষা করেছিলেন| তিনি ক্ষমার অযোগ্য পাপ করেছিলেন| সেইদিন সকালে তিনি যীশুর প্রতি ফিরে তাকাননি| উদ্ধার পাওয়ার পক্ষে সেখানে খুব দেরী হয়ে গিয়েছিল| খুব দেরী! খুব দেরী! অনন্তকালীনভাবে খুব দেরী! সেখানে প্রভুকে প্রত্যাখ্যান করে একটি সীমা রেখা ছিল, আমি আপনার কাছে বিনতি করছি, য্তক্ষণে না পবিত্র আত্মা চিরকালের জন্য আপনাকে ছেড়ে দেন ততক্ষণ অপেক্ষা করবেন না! যখন তিনি আপনাকে পাপের বিষয়ে দোষী সাব্যস্ত করবেন - তখন খ্রীষ্টের কাছে আসুন| আপনার কাছে অন্য একটি সুযোগ নাও আসতে পারে! আমি আপনার কাছে বিনতি করি, চিরদিনের জন্য খুব দেরী হয়ে যাওয়ার আগেই খ্রীষ্টের কাছে আসুন! II. দ্বিতীয়ত, যিহূদার ‘‘অনুশোচনা’’ ছিল শুধুমাত্র ‘‘জগতের দুঃখ |’’ পাঠ্যাংশ বলছে, ‘‘তখন যিহূদা, যে তাঁহাকে সমর্পণ করিয়াছিল, সে যখন বুঝিতে পারিল যে, তাঁহার দন্ডাজ্ঞা হইয়াছে, তখন অনুশোচনা করিয়া...’’ (মথি 27:3)| এখানে ‘‘অনুশোচনা’’ শব্দটি গ্রীক শব্দ ‘‘metamelomai’’ থেকে অনুবাদ করা হয়েছে যার মানে হল ‘‘দুঃখ প্রকাশ করা’’ (স্ট্রং), ‘‘দুঃখ অনুভব করা’’ (জর্জ রেকার বেরী)| কিন্তু ‘‘metamelomai’’ মুক্তির দিকে নিয়ে যায় না| এ হল খালি ‘‘দুঃখ প্রকাশ’’ করা, পবিত্র আত্মার দ্বারা পাপের চেতনা লাভ করা নয়| এটা হল একটা পাপ করাকালীন ধরা পড়ার পরে পাওয়া শুধু দুঃখ| এই ধরনের দুঃখ এবং দুঃখ প্রকাশ কেবলমাত্র অবসাদ, আত্ম-করুণা, এবং আশাহীনতার দিকে ঠেলে দেয়| প্রেরিত পৌল বলেছিলেন, ‘‘কারণ ঈশ্বরের মতানুযায়ী যে মনোদুঃখ, তাহা পরিত্রাণজনক এমন মন পরিবর্ত্তন উৎপন্ন করে, যাহা অনুশোচনীয় নয়; কিন্তু জগতের মনোদুঃখ মৃত্যুসাধন করে’’ (II করিন্থীয় 7:10)| ঐশ্বরিক দুঃখ প্রকৃত অনুশোচনা উৎপন্ন করে, যা খ্রীষ্টের মধ্যে মুক্তির দিকে চালিত হয়| সেই শব্দ যাকে II করিন্থীয় 7:10 পদে ‘‘অনুশোচনা’’ বলে অনুবাদ করা হয়েছে সেটা মথি 27:3 পদে ব্যবহৃত শব্দটি থেকে আলাদা, যেখানে যিহূদা ‘‘নিজে অনুশোচনা’’ করেছেন| II করিন্থীয় 7:10 পদের গ্রীক শব্দ হল ‘‘metanoia’’ র একটা রূপ - যার অর্থ ‘‘মনের পরিবর্তন’’ (ভাইন)| আমার চীনা পালক ডঃ তিমথী লিন (1911-2009) হিব্রু ও গ্রীক ভাষায় পন্ডিত ছিলেন| ডঃ লিন বলেছিলেন, ‘‘ইহা হইতেছে একটি ‘নূতন বুদ্ধি,’ একটি নূতন মন|’’ এটা হচ্ছে কোন একজনের হৃদয় এবং মনের একটি আমূল পরিবর্ত যা কেবল ঈশ্বরই উৎপন্ন করতে পারেন| ডঃ জর্জ রিকার বেরী (1865-1945) বলেছিলেন যে ‘‘metanoia’’ হল একটি ‘‘অপেক্ষাকৃত মহৎ শব্দ [শুধুমাত্র metamelomai অপেক্ষা], সর্বাঙ্গীন অনুশোচনার জন্য একটি প্রাত্যহিক অভিব্যক্তি’’ (Greek-English New Testament Lexicon)| পিউরিটান লেখক রিচার্ড ব্যাক্সটার (1615-1691) একে বলেছেন ‘‘অনুভূতির পরিবর্তন’’ - ঈশ্বর এবং পাপের বিষয়ে মনের একটি পরিবর্তন, যা আপনি ভালবাসেন আর যা ঘৃণা করেন তার একটি পরিবর্তন| ‘‘কারণ ঈশ্বরের মতানুযায়ী যে মনোদুঃখ, তাহা পরিত্রাণজনক এমন মন পরিবর্ত্তন উৎপন্ন করে, যাহা অনুশোচনীয় নয়; কিন্তু জগতের মনোদুঃখ মৃত্যুসাধন করে’’ (II করিন্থীয় 7:10)| ঐশ্বরিক দুঃখ পবিত্র আত্মার দ্বারা উৎপন্ন হয়| তারপরে আত্মা উৎপন্ন করে অনুশোচনা, একটা নতুন মন, যা খ্রীষ্টের মধ্যে মুক্তির দিকে চালিত করে| ধরা পড়ে যাওয়ার জন্যে যিহূদা শুধু দুঃখ অনুভবের মিথ্যা অনুশোচনার অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন| ‘‘সে যখন বুঝিতে পারিল যে, তাঁহার দন্ডাজ্ঞা হইয়াছে, তখন [তিনি] অনুশোচনা করিয়াছিলেন|’’ কিং জেম্স বাইবেল এর একটা উপলব্ধি দিয়েছে| তিনি ‘‘নিজে অনুশোচিত হয়েছিলেন|’’ ঈশ্বর এটি উৎপন্ন করেননি| এটা ছিল বিশুদ্ধ মানবীয় দুঃখ| এটা সেই ‘‘ঐশ্বরিক দুঃখ [যাহা] অনুশোচনায় কার্য্য করে|’’ এটা সেই ‘‘ঐশ্বরিক দুঃখ’’ নয় যা মনের একটি প্রকৃত পরিবর্তন ঘটায়| এটা কেবল আত্ম-করুণা মাত্র! শুধুমাত্র ‘‘জাগতিক দুঃখ যা মৃত্যু [উৎপন্ন] করে|’’ কাজেই যিহূদা ‘‘ফেলিয়া দিয়া চলিয়া গেল, গিয়া গলায় দড়ি দিয়া মরিল’’ (মথি 27:5)| কয়িন যিহূদার প্রতীক (বা প্রতিচ্ছবি) ছিলেন | খ্রীষ্ট যিহূদাকে বলতেন ‘‘বিনাশ-সন্তান’’ (যোহন 17:12)| খ্রীষ্টের মৃত্যুর জন্য যিহূদা মনুষ্যোচিত ভাবে দায়ী ছিলেন| ‘‘কয়িন আপন ভ্রাতা হেবলের বিরুদ্ধে উঠিয়া তাহাকে বধ করিল’’ (আদিপুস্তক 4:8)| কয়িনের বিষয়ে স্কোফিল্ডের টীকা বলে, ‘‘কয়িন...কেবলমাত্র জগতের মানুষের প্রতিরূপ ছিলেন...পাপের, অথবা প্রায়শ্চিত্তের প্রয়োজনের যে কোন উপযুক্ত অনুভূতিতে পরিত্যক্ত’’ (স্কোফিল্ড স্টাডি বাইবেল; আদিপুস্তক 4:1 পদের টীকা)| কয়িন কখনও ‘‘ঐশ্বরিক দুঃখ’’ পাননি| কয়িন কখনও ‘‘মুক্তির প্রতি অনুশোচনা’’ অনুভব করেননি| তিনি কেবল নিজের জন্য দুঃখ অনুভব করেছিলেন| কয়িন বলেছিলেন, ‘‘আমার অপরাধের ভার অসহ্য’’ (আদিপুস্তক 4:13)| আত্ম-দরদ! সর্বসাকুল্যে যা তিনি অনুভব করেছিলেন| তিনি কেবল ‘‘জগতের দুঃখ’’ অনুভব করেছিলেন| ধরা পড়ে যাওয়ার দুঃখের চেয়ে বেশী আর কিছুই নয়| এটা আত্ম-করুণা দিকে এগিয়ে দেয়, এবং তার বেশী কিছু নয়| এটা কয়িনকে একটা আশাহীন অবস্থার মধ্যে ফেলেছিল| আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ ভাবছেন যে আপনারা পাপের চেতনার অধীনে রয়েছেন, কিন্তু আপনি তা নেই| কয়িনের মত, আপনারাও শুধু নিজেদের জন্যে দুঃখ অনুভব করছেন| আত্ম-করুণা পাপের চেতনা নয়! এটা হল ‘‘জগতের দুঃখ যা মৃত্যুসাধন করে|’’ এষৌ যিহূদার মত আর এক প্রতীক (বা প্রতিচ্ছবি) ছিলেন | খ্রীষ্টের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্যে যিহূদার তিরিশটি রজতমুদ্রা নেওয়ার মতন, এষৌ একবাটি ডালের বদলে নিজের জন্মের অধিকার বিক্রী করে দিয়েছিলেন| স্কোফিল্ডের টীকা বলছে, ‘‘এষৌ জগতের সামান্য মনুষ্যের নিদর্শন’’ (আইবিড., আদিপুস্তক 25:25 এর টীকা)| যখন এষৌ অনুভব করলেন যে তিনি আশীর্ব্বাদ হারিয়েছেন তখন তিনি, ‘‘সাতিশয় ব্যাকুলচিত্তে মহাচীৎকার শব্দ করিতে লাগিলেন, এবং আপন পিতাকে কহিলেন, হে পিতঃ, আমাকে, আমাকেও আশীর্ব্বাদ করুন’’ (আদিপুস্তক 27:34)| কয়িন এবং যিহূদার মতন, এষৌ, ‘‘জগতের দুঃখ’’ দ্বারা পরিপূর্ণ ছিলেন| তিনি কখনও অনুভব করেননি ‘‘ঈশ্বরের মতানুযায়ী যে মনোদুঃখ, [যাহা] পরিত্রাণজনক এমন মন পরিবর্ত্তন উৎপন্ন করে|" যিহূদার মত, তিনিও শুধু আত্ম-করুণা এবং মনস্তাপ অনুভব করেছিলেন| এছাড়া, যিহূদার মতন, এষৌ বলেছিলেন, ‘‘তৎপরে আমার ভাই যাকোবকে বধ করিব’’ (আদিপুস্তক 27:41)| ইব্রীয় বইতে এষৌকে বলা হয়েছে একজন ‘‘ধর্ম্মবিরূপক...সে ত এক বারের খাদ্যের নিমিত্ত আপন জ্যেষ্ঠাধিকার বিক্রয় করিয়াছিল| তোমরা ত জান, তৎপরে যখন সে আশীর্ব্বাদের অধিকারী হইতে বাঞ্ছা করিল, তখন সজল নয়নে সযত্নে তাহার চেষ্টা করিলেও অগ্রাহ্য হইল, কারণ সে মনপরিবর্ত্তনের স্থান পাইল না’’ (ইব্রীয় 12:16-17)| তিনি কখনও প্রকৃত ‘‘অনুশোচনা পান নাই, যদিও তিনি সজল নয়নে সযত্নে ইহার জন্য চেষ্টা করিয়াছিলেন|’’ হ্যাঁ, এষৌ অশ্রুমোচন করেছিলেন| কিন্তু তা চেতনাজনিত অশ্রু ছিল না| সেগুলি ছিল তার নিজের জন্যে দুঃখ অনুভূত হওয়ার অশ্রু| যদি নিজের জন্যে আপনি সর্বসাকুল্যে কেবল দুঃখ অনুভব করেন, তাহলে আপনি পাপের চেতনার অধীনে আসবেন না| আপনি শুধু পাবেন ‘‘জগতের দুঃখ যা মৃত্যুসাধন করে|’’ এবং আপনি কখনও পরিত্রাণ লাভ করবেন না! আমি আশা করি আপনি কয়িন, এষৌ এবং যিহূদার মত নন| আমি আশা করি আপনি পাপের গভীর চেতনার অধীনস্থ হবেন| আমি আশা করি আপনি কয়িনের মতন হবেন না, একজন ‘‘কেবলমাত্র জগতের মানুষ...পাপের, অথবা প্রায়শ্চিত্তের প্রয়োজনের যে কোন উপযুক্ত অনুভূতিতে পরিত্যক্ত|’’ আমি আশা করি আপনি এষৌ এর মতন, একজন অপবিত্র লোক হবেন না| আমি আশা করি যে জাগতিক বিষয়সমূহের বিনিময়ে আপনি নিজের আত্মাকে দূরে সরিয়ে দেবেন না| আমি আশা করছি যে আপনি হবেন না যিহূদার মতন, যিনি খ্রীষ্টের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন মাত্র কয়েকটি রূপার টুকরোর জন্যে! জাগতিক বিষয় থেকে দূরে সরে আসুন| এর পাপ এবং মিথ্যা ধনসম্পদ থেকে সরে আসুন! পাপ থেকে দূরে সরে আসুন, এবং খ্রীষ্টের কাছে আসুন| যখন ঈশ্বরের আত্মা আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছে, এবং আপনার হৃদয় আপনার পাপের বোঝা এবং ভার অনুভব করছে, তখন যীশুর কাছে আসুন এবং তাঁর রক্তের দ্বারা আপনার নিজের পাপ থেকে ধৌত হয়ে শুচি হোন! চিরকালের জন্যে খুব দেরী হওয়ার আগে, এখনই যীশুর কাছে আসুন! তখন দন্ডের সম্মুখীন কত দুঃখদায়ক, করুণাবিহীন তোমাকে স্মরণ করান হবে একজন যুবক একবার আমার সহকর্মী, ডঃ কেগানকে বলেছিলেন, ‘‘এই মানদন্ডে আমি কখনও খ্রীষ্ট বিশ্বাসীতে পরিণত হব না|’’ তিনি ঠিক বলেছিলেন! আপনার সমস্ত শিক্ষা ও প্রার্থনা আপনাকে সাহায্য করতে পারে না যদি না আপনি পাপের চেতনার অধীনে না আসেন| একমাত্র তখনই আপনি যীশুর প্রতি ঘুরে দাঁড়ান| যেমন এক মহিলা বলেছিলেন, ‘‘আমি নিজের প্রতি নিজেই পুরোদস্তুর বীতশ্রদ্ধ হয়েছিলাম|’’ সেটা ছিল, ‘‘ঐশ্বরিক দুঃখ [যা] অনুশোচনায় পরিত্রাণের প্রতি কাজ করে|’’ তার পাপপূর্ণ হৃদয়ের প্রতি ‘‘বীতশ্রদ্ধ’’ অনুভব করার পরে খুব দ্রুত, সেই মহিলা খ্রীষ্টের প্রতি আকর্ষিত হয়েছিলেন এবং পরিত্রাণ লাভ করেছিলেন| ঈশ্বরের আত্মা আপনার নিজের প্রতি আপনাকেও ‘‘পুরোদস্তুর বীতশ্রদ্ধ’’ করুন, যেন আপনার ‘‘মুখ বদ্ধ এবং সমস্ত জগৎ [আপনি] ঈশ্বরের বিচারের অধীন হন’’ (রোমীয় 3:19)| তাঁর রক্তে প্রায়শ্চিত্ত করার মাধ্যমে পরিত্রাণ লাভের জন্যে ঈশ্বরের আত্মা আপনাকে যীশুর প্রতি আকর্ষণ করুন| আমেন| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ নোহ সং: মথি 27:3-5 | |
খসড়া চিত্র যিহূদার ভ্রান্ত অনুশোচনা THE FALSE REPENTANCE OF JUDAS লেখক : ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র ‘‘তখন যিহূদা, যে তাঁহাকে সমর্পণ করিয়াছিল, সে যখন বুঝিতে পারিল যে, তাঁহার দন্ডাজ্ঞা হইয়াছে, তখন অনুশোচনা করিয়া সেই ত্রিশ রৌপ্যমুদ্রা প্রধান যাজক ও প্রাচীনবর্গের নিকটে ফিরাইয়া দিল, আর কহিল, নির্দ্দোষ রক্ত সমর্পণ করিয়া আমি পাপ করিয়াছি| তাহারা বলিল, আমাদের কি? তুমি তাহা বুঝিবে| তখন সে ঐ মুদ্রা সকল মন্দিরের মধ্যে ফেলিয়া দিয়া চলিয়া গেল, গিয়া গলায় দড়ি দিয়া মরিল’’ (মথি 27:3-5)| (মথি 27:1-2)
I. প্রথমত, যিহূদা ইতিমধ্যেই ক্ষমার অযোগ্য পাপ করেছিলেন,
II. দ্বিতীয়ত, যিহূদার "অনুশোচনা" ছিল শুধুমাত্র "জগতের দুঃখ," |