এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
উদ্দীপনার একটি দর্শনA VISION OF REVIVAL লেখক : ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র 2016 সালের, 3রা জুলাই, প্রভুর দিনের সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের |
আমার সঙ্গে সঙ্গে যিশাইয় 64:1 পদটি খুলুন| এটা স্কোফিল্ড স্টাডি বাইবেলের 768 পৃষ্ঠাতে আছে| ‘‘আহা, তুমি আকাশমন্ডল বিদীর্ণ করিয়া নামিয়া আইস, পর্ব্বতগণ তোমার সাক্ষাতে কম্পিত হউক; যেমন অগ্নি ঝোপ প্রজ্জ্বলিত করে, যেমন অগ্নি জল ফুটায় [তদ্রূপ হউক]; তোমার বিপক্ষদিগকে তোমার নাম জ্ঞাত কর; তোমার সাক্ষাতে জাতিগণ কম্পমান হউক| যখন তুমি ভয়ানক কার্য্য করিয়াছিলে, যাহার অপেক্ষা আমরা করি নাই, তখন তুমি নামিয়া আসিয়াছিলে, তোমার সাক্ষাতে পর্ব্বতগণ কম্পিত হইয়াছিল| কারণ, পুরাকাল অবধি লোকে শুনে নাই, কর্ণে অনুভব করে নাই, চক্ষুতে দেখে নাই যে, তোমা ভিন্ন আর কোন ঈশ্বর আছেন, যিনি তাঁহার অপেক্ষাকারীর পক্ষে কার্য্য সাধন করেন’’ (যিশাইয় 64:1-4)| আমেন| আপনারা বসতে পারেন| সাধারনত উদ্দীপনা তাদের মধ্যেই প্রথমে আসে যারা ইতিমধ্যেই মন পরিবর্তন করেছেন| কিন্তু তাদের জীবনে ঈশ্বরের উপস্থিতির সম্বন্ধে তাদের প্রকৃত সচেতনতা থাকে না| তারা অভ্যাসের বশে মন্ডলীতে আসেন, কিন্তু ঈশ্বরের উপস্থিতির জীবন্ত অনুভূতি তাদের নেই| তারা প্রার্থনা করেন, কিন্তু মনে হয় যেন তারা বাক্যগুলি শুধুমাত্র উচ্চারন করছেন| তাদের সেই অনুভূতি নেই যে ঈশ্বর যথার্থভাবেই তাদের কথা শুনছেন| তারা এটা অনুভব করে না যে তাদের প্রার্থনার উত্তর দেওয়া হবে| ঈশ্বর তাদের কথা শুনছেন এই অনুভূতি তাদের হয় না| এমনকী প্রার্থনা সভাতে তারা অতীব সুন্দরভাবে প্রার্থনাও করেন| তাদের প্রার্থনা শুনতে খুব শক্তিশালী বলে মনে হতে পারে| কিন্তু ঈশ্বরের সাথে তাদের গভীর অন্তরঙ্গ আলাপচারীতা নেই| উদ্দীপনায় প্রায়শই দেখা যায় যে মহা ক্ষমতার সঙ্গে প্রার্থনা পরিচালনা করছেন বলে যাদের মনে করা হচ্ছে তারাই সর্বপ্রথমে অনুভব করছেন যে তাদের ‘‘পাপসকল তোমাদের [তাহাদের] হইতে তাঁহার শ্রীমুখ আচ্ছাদন করিয়াছে, এইজন্য তিনি শুনেন না’’ (যিশাইয় 59:2)| প্রায়ই উদ্দীপনা সেই সময়ে শুরু হয় যখন কোন একজন উত্তম খ্রীষ্ট বিশ্বাসী নেতা অনুভব করেন যে ঈশ্বরের উপস্থিতির সেই পবিত্র এবং কোমল অনুভূতি হারানোর জন্য তার নিজের কৃত পাপই দায়ী| কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি একটি মহান উদ্দীপনার বর্ণনা পড়ব| কিভাবে তা শুরু হয়েছিল? এক শনিবারের রাত্রের প্রার্থনা সভায় সেটা শুরু হয়েছিল| সেখানে রোজকারের মতন সাধারন প্রার্থনা চলছিল, এবং সেই সভায় ঈশ্বরের উপস্থিতির কোন অনুভূতি ছিল না| ‘‘তাহার পর একজন পালক ভাঙ্গিয়া পড়িলেন এবং ক্রন্দন করিতে লাগিলেন| ইহা খুব অস্বাভাবিক একটি বিষয় ছিল|’’ তিনি মুক্তকন্ঠে সেই জমায়েতের সামনে স্বীকার করলেন যে ‘‘তাহার হৃদয় কঠিন ছিল|’’ যখন তিনি দুইচোখে জল নিয়ে তা বলছেন, সেই সময় অনুতাপ ‘‘বিস্তার লাভ করিল যতক্ষণ না সভার সর্বস্থান হইতে ফোঁপাইয়া ক্রন্দন, হাহাকার, গভীর আর্তনাদ...আসিতে লাগিল|’’ এরা সকলেই উদ্ধারপ্রাপ্ত ছিলেন, কিন্তু পালকের উন্মুক্ত স্বীকারোক্তি তাদের অনুভব করিয়েছিল যে তাদেরও ছিল সেই হৃদয়সমূহ যা শক্ত হয়ে গিয়েছিল| ‘‘সেই সভা সকাল 2 ঘটিকা অবধি চলিয়াছিল...এবং ইহাই ছিল সেই সময় যখন পবিত্র আত্মা সভায় নামিয়া আসিয়াছিলেন|’’ যখন আমি উদ্দীপনার উল্লেখ করি তখন আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ, যারা বহু বছর ধরে এখানে আছেন, সেটা শুনতে চান না| এর কারণ আপনি কখনও কোন উদ্দীপনা দেখেননি এবং জানেন না যে আমরা কি হারাচ্ছি| জন কেগান আমাকে বলেছিলেন যে আমি উদ্দীপনা চাই এই কারণে যাতে আমি তা ‘‘আস্বাদন’’ করতে পারি| আমি একটি উদ্দীপনা দেখেছি এবং তার ‘‘স্বাদ’’ আমার ভাল লেগেছিল এবং আমি আবার তা গ্রহণ করতে চেয়েছিলাম| আপনি কখনও এর স্বাদ গ্রহণ করেননি তাই ভাবছেন, ‘‘পালক এইসব কি বলছেন? কেন তিনি উদ্দীপনার বিষয়ে ক্রমাগত বলে চলেছেন?’’ যদি আপনি কখনও এর স্বাদ পেতেন, তাহলে আপনিও এটাই চাইবেন| আপনিও এর জন্যে প্রকৃতই আকাঙ্খিত হবেন| ঈশ্বরের উপস্থিতি আমাদের মধ্যে নেমে আসুক তার জন্যেও আপনি আকাঙ্খিত হবেন| আজ সকালে আমি ‘‘দ্য নিউ ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাক্ল’’ বিষয়ে আমি প্রচার করেছি| কিন্তু সামান্য কয়েকটি বিষয়ের পরিবর্তন এবং মন্ডলীর ‘‘প্রশাসনিক ব্যবস্থাপত্রের’’ রদবদল ঘটিয়ে, আমরা একটি নূতন মন্ডলী সৃষ্টি করতে পারি না| আমাদের অবশ্যই নূতন জীবন পেতে হবে! এবং নূতন জীবন একমাত্র ঈশ্বরের কাছ থেকেই আসতে পারে| ডঃ এ. ডব্লিউ. টোজার বলেছিলেন, ‘‘ঈশ্বর জীবন উৎসর্গ করেন, কিন্তু কোন উন্নত পুরানো জীবন দেন না| তিনি মৃত্যু থেকে জীবন উৎসর্গ করেন...সমস্ত জীবনভর আমরা সম্পূর্ণভাবে এবং ক্রমাগতভাবে ঈশ্বরের উপরে নির্ভরশীল থাকি, কারণ তিনিই হলেন জীবনের উৎস এবং ধারা|’’ যতক্ষণ না আমাদের হৃদয়গুলি ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার দ্বারা সংস্কারকৃত, নবজীবনপ্রাপ্ত, পুনঃস্থাপিত এবং পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে ততক্ষণ আমরা ‘‘নূতন’’ ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাক্ল পেতে পারি না| একটাই শব্দ সেখানে আছে যা এটা ব্যাখ্যা করে| সেই শব্দটি হল উদ্দীপনা! সেটাই হল উদ্দীপনা যার জন্যে যিশাইয় প্রার্থনা করেছেন যেটা আমাদের পাঠ্যাংশে রয়েছে, ‘‘আহা, তুমি আকাশমন্ডল বিদীর্ণ করিয়া নামিয়া আইস, পর্ব্বতগণ তোমার সাক্ষাতে কম্পিত হউক; যেমন অগ্নি ঝোপ প্রজ্জ্বলিত করে, যেমন অগ্নি জল ফুটায় [তদ্রূপ হউক]; তোমার বিপক্ষদিগকে তোমার নাম জ্ঞাত কর; তোমার সাক্ষাতে জাতিগণ কম্পমান হউক| যখন তুমি ভয়ানক কার্য্য করিয়াছিলে, যাহার অপেক্ষা আমরা করি নাই, তখন তুমি নামিয়া আসিয়াছিলে, তোমার সাক্ষাতে পর্ব্বতগণ কম্পিত হইয়াছিল| কারণ, পুরাকাল অবধি লোকে শুনে নাই, কর্ণে অনুভব করে নাই, চক্ষুতে দেখে নাই যে, তোমা ভিন্ন আর কোন ঈশ্বর আছেন, যিনি তাঁহার অপেক্ষাকারীর পক্ষে কার্য্য সাধন করেন’’ (যিশাইয় 64:1-4)| ‘‘আমার সমস্ত দর্শন পূর্ণ কর’’ গানটি না করে আমি থামতে পারছি না| যখন আমি পার্কে বেড়াতে যাই এবং প্রার্থনা করি, তখন আমি গানটি করি| যখন আমি একটি প্রচার প্রস্তুত করি, তখন আমি গানটি করি| আমি দেখি সবসময় এই গানটি আমি নিজে গুনগুন করে গেয়ে চলেছি| রাত্রে বিছানায় যাওয়ার আগে এই গান গাওয়াটাই হচ্ছে আমার শেষ কাজ| আমার সমস্ত দর্শন পূর্ণ কর, স্বর্গীয় পরিত্রাতা, উঠে দাঁড়ান এবং আমার সাথে এই কোরাসটি করুন| আমার সমস্ত দর্শন পূর্ণ কর, স্বর্গীয় পরিত্রাতা, আপনারা এখন বসতে পারেন| যিশাইয় প্রার্থনা করেছিলেন, ‘‘আহা, তুমি আকাশমন্ডল বিদীর্ণ [ছিঁড়িয়া সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করিয়া] করিয়া, নামিয়া আইস, পর্ব্বতগণ তোমার সাক্ষাতে কম্পিত হউক’’ (যিশাইয় 64:1)| ডঃ লয়েড জোন্স একে বলেছেন ‘‘উদ্দীপনার [জন্য] চূড়ান্ত প্রার্থনা’’ (Martyn Lloyd-Jones, M.D., Revival, Crossway Books, 1992 edition, page 305)| আমি গভীরভাবে দুঃখিত যে আমি সেই উদ্দীপনার বিষয়ে একটি পত্রিকা সংগ্রহ করে রাখিনি, যা আমার মন্ডলীতে অর্থাৎ লস এঞ্জেল্সের প্রথম চীনা ব্যাপটিষ্ট মন্ডলীতে ঘটেছিল| কি প্রার্থনা করতে হয় সেই বিষয়ে সেটা আপনাকে একটা আভাস দিতে পারত| কিন্তু, হায়, আমি তার কোন লিখিত বিবরণ রাখিনি| সবথেকে ভাল আমি যা করতে পারি তা হল আপনাকে অন্য একটা উদ্দীপনার বিবরণ দেওয়া, যা হুবহু সেই মহা উদ্দীপনারই মতন যেটা আমি 1960 সালের শেষের দিকে চীনা মন্ডলীতে প্রত্যক্ষ করেছিলাম| রেভাঃ ডেভিড ডেভিস 1989 সালে এর বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছিলেন| আমি তা থেকে আপনাকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি| রেভাঃ ডেভিস বলেছিলেন, ...ইহা একটি সুসমাচার প্রচারমূলক অভিযান নয়, এবং ইহা কিছু ঘুরিয়া ঘুরিয়া জমায়েত করিবার বিষয়ও নয়| উদ্দীপনা হইল যখন ঈশ্বর তাঁহার উপস্থিতির সহিত নামিয়া আসেন| তিনি বলেছিলেন, আমাদের এলাকার মধ্যে আমি অনেকগুলি মন্ডলীর নেতা ছিলাম| মন্ডলীগুলি তাহাদের প্রচুর পরিমান কার্য্যকলাপ লইয়া ব্যস্ত থাকিত| আমাদের অনেক সভা হইত...কিন্তু লোকেরা শীতল হইয়া গিয়াছিল; যেরূপে তাহারা পূর্ব্বে আসিতে অভ্যস্ত ছিল সেইরূপে প্রার্থনা সভায় যোগদান করিতে তাহারা আর আগ্রহী ছিল না| কোনরূপ সন্দেহ ব্যতীত সেখানে পরিত্রাণ হইত এবং লোকেরা মন পরিবর্তন করিতেন, কিন্তু কোন একটি কিছুর অভাব সেইস্থানে ছিল| একজন প্রচারক আমাকে বলিয়াছিলেন, ‘‘বহিরাগতদের নিকটে আমরা উত্তম প্রতিপন্ন হইতেছি|’’ [আমার মন্তব্য: কোন কোন সময়ে আপনিও কি অনুভব করছেন না যে আমাদের সেবাতেও কোন কিছু একটার অভাব আছে?] রেভাঃ ডেভিস বলেছিলেন, এখন ইহা আমার সন্দেহ করিবার সময় ছিল| আমি বিব্রত হইয়াছিলাম যখন আমার ভ্রাতা কি ঘটিতেছিল তাহার বিবরণ প্রদান করিবার জন্য চরম ভাষা ব্যবহার করিতেছিলেন| কিন্তু, তাহার পর, উদ্দীপনা সকল সময়েই বিভিন্ন হইয়া থাকে কারণ ইহা মনুষ্যের দ্বারা পরিচালিত নয়| উদ্দীপনা শত শত মাইল ব্যাপিয়া দাবানলের ন্যায় বিস্তার লাভ করে, এবং অন্যান্য মন্ডলীগুলিও ইহার স্পর্শ পাইয়া থাকে| রেভাঃ ডেভিস বলেছিলেন, শেষ অবধি আমি ইহা করিয়াছিলাম? আঠারো মাস ধরিয়া আমি একটি ডায়েরী রাখিয়াছিলাম, এবং সেই সময় শেষ হইবার পরেও ঈশ্বরের শক্তি সেইস্থানে তখনও বর্তমান ছিল| তিরিশ বছর পরেও মন্ডলীর নেতৃবৃন্দ তাহারাই ছিলেন যাহারা উদ্দীপনার দ্বারা আশীর্বাদিত হইয়াছিলেন| কিন্তু সেইস্থানে একটি নূতন প্রজন্ম আছে যাহাদের নিজস্ব উদ্দীপনার প্রয়োজন হয় - কারণ, ‘‘তাহাদের পরে নূতন বংশ উৎপন্ন হইল, ইহারা সদাপ্রভুকে জানিত না এবং ইস্রায়েলের জন্য তাঁহার কৃত কার্য্য জ্ঞাত ছিল না’’ (বিচারকর্ত্তৃগণ 2:10)| কিন্তু আপনি আপনার মন্ডলীতে উদ্দীপনা আসিবার জন্য প্রার্থনা করিতে পারেন না যদি না আপনি ব্যক্তিগতভাবে ইহাকে নিজের প্রতি আনয়নের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেন - যদি না আমরা ‘‘একজন অন্যজনের কাছে [আমাদের] আপন আপন পাপ স্বীকার করি, ও একজন অন্যজনের নিমিত্ত প্রার্থনা করি’’ (যাকোব 5:16)| এই বিবরণ ডেভিড ডেভিসের লেখা থেকে দেওয়া হয়েছে| আমি কিছু জায়গায় শব্দান্তর করেছি, আর বোঝার সুবিধার জন্যে কিছু শব্দ বাদ দিয়েছি, ব্রায়ান এইচ. এডওয়ার্ড এর বই, Revival! A People Saturated With God, Evangelical Press, 1991 edition, pp. 258-262 থেকে উদ্ধৃত| রেভাঃ ডেভিস বলেছিলেন, ‘‘যখন ঈশ্বর উদ্দীপনার শক্তি লইয়া নামিয়া আসেন তখন আপনি যাহা কল্পনা করিতে পারেন তাহার তুলনায় উহা পৃথক হয়...উদ্দীপনা হইল যখন ঈশ্বর তাঁহার উপস্থিতির সহিত নামিয়া আসেন| ইহা শুরু হইয়াছিল যখন একজন মন্ডলী নেতা ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছিলেন এবং ক্রন্দন করিয়াছিলেন| তিনি ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন যে তাহার হৃদয়ে কঠোরতা ছিল এবং যখন তিনি উহা বলিলেন সেই অনুতাপ তাহাদের মধ্যে বিস্তার লাভ করিল যাহারা ইতিমধ্যেই পরিত্রাণপ্রাপ্ত ছিলেন, যতক্ষণ না সেইস্থানে ফোঁপাইয়া ক্রন্দন, হাহাকার ও গভীর আর্তনাদ হইতে লাগিল| লোকেরা ক্রন্দন এবং প্রার্থনা করিতেছিল, সেই সভা সকাল 2 ঘটিকা অবধি চলিয়াছিল|’’ 1960 সালের শেষের দিকে চীনা ব্যাপটিষ্ট মন্ডলীতে যে উদ্দীপনা আমি দেখেছিলাম এই উদ্দীপনা প্রায় সেইরকমই ছিল| উদ্দীপনার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি ছিল অশ্রুজল, প্রার্থনা, এবং খোলাখুলিভাবে সমগ্র মন্ডলীর সামনে পাপের স্বীকারোক্তি দান| এটা একটা ক্যারিস্মেটিক বা পঞ্চসপ্তমীর সভার থেকে একেবারেই আলাদা ছিল| সেখানে কোন ‘‘পরভাষা’’ বা আরোগ্য, অথবা বিশেষ সঙ্গীত ছিল না| সেখানে কোন ‘‘আরাধনা’’ ছিল না| ছিল শুধুমাত্র খোলাখুলিভাবে পাপের স্বীকারোক্তি, কান্না, এবং লোকেরা একে অন্যের কাছে তাদের ক্ষমা যাচ্ঞা করছিল| বেশ কয়েক সপ্তাহ পরে অনেক মন্ডলীবিহীন লোক এসেছিলেন এবং পরিত্রাণ পেয়েছিলেন| জন্ কেগান আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন যে কিভাবে হারানো লোকেরা সেখানে এসেছিলেন| এর উত্তর দেওয়াটা আমার পক্ষে খুব কঠিন হয়েছিল| লোকেরা খালি তাদের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে আসতেন| কোন গাড়ির ব্যবস্থা করা হত না| এটা শুধুমাত্র ঘটত| সবশেষে সেই চীনা মন্ডলীতে প্রায় 2,000 লোক এসেছিলেন এবং তাদের উদ্ধার ও ব্যাপ্তাইজিত করা হয়েছিল, এবং তারা মন্ডলীর দৃঢ় সদস্য হয়েছিলেন| তাদের মধ্যে একশʼর বেশি লোক এখনও সেখানে আছেন! পবিত্র আত্মার সেই বর্ষণে আরও চারটি নূতন মন্ডলীর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল| ‘‘আহা, তুমি আকাশমন্ডল বিদীর্ণ করিয়া নামিয়া আইস, পর্ব্বতগণ তোমার সাক্ষাতে কম্পিত হউক; যেমন অগ্নি ঝোপ প্রজ্জ্বলিত করে, যেমন অগ্নি জল ফুটায় [তদ্রূপ হউক]; তোমার বিপক্ষদিগকে তোমার নাম জ্ঞাত কর; তোমার সাক্ষাতে জাতিগণ কম্পমান হউক| যখন তুমি ভয়ানক কার্য্য করিয়াছিলে, যাহার অপেক্ষা আমরা করি নাই, তখন তুমি নামিয়া আসিয়াছিলে, তোমার সাক্ষাতে পর্ব্বতগণ কম্পিত হইয়াছিল|’’ (যিশাইয় 64:1-3)| অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়ান এবং আট নম্বর গানটি করুন| পরিত্রাতা, প্রার্থনা করি, আমার সকল দর্শন পূর্ণ কর, উদ্দীপনা পাঠানোর জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা বন্ধ করবেন না| ঈশ্বর আকাশমন্ডল বিদীর্ণ করে আমাদের মধ্যে নেমে আসবেন এর জন্যে প্রার্থনা করা বন্ধ করবেন না! ঈশ্বর আমাদের দিয়ে সেটা করিয়ে নেবেন যাতে আমরা ‘‘একজন অন্যজনের কাছে [আমাদের] আপন আপন পাপ স্বীকার করি, ও একজন অন্যজনের নিমিত্ত প্রার্থনা করি, যেন [আমরা] সুস্থ হইতে পারি’’ আমাদের শীতলতা এবং আমাদের পাপ থেকে, এর জন্যে প্রার্থনা করা বন্ধ করবেন না (যাকোব 5:16)| এটাই হল একটি উদ্দীপনার বৈশিষ্ট্য যা বর্তমানে চীন এবং তৃতীয় বিশ্বের অন্যান্য অংশে ঘটছে| আমাদের হৃদয়ের আরোগ্য দিতে এবং আমাদের নূতন এবং আরও প্রেমময় এবং আরও শক্তিশালী একটি ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারনাক্ল দান করার প্রতি ঈশ্বরের নেমে আসার জন্য প্রার্থনা করা বন্ধ করবেন না! ঈশ্বর যাতে আমাদের মধ্যে নেমে আসেন তার জন্যে আমি চাইছি এ্যরন ইয়ান্সি এবং জন্ কেগান উঠে দাঁড়ান এবং এই প্রার্থনা পরিচালনা করুন| প্রথমে এ্যরন, তারপরে জন্| আর কেউ কি আছেন? অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়ান এবং প্রার্থনা করুন! যীশু খ্রীষ্ট জগতে এসেছিলেন দুঃখভোগ করতে এবং পাপীদের পরিবর্তে নিজে ক্রুশের উপরে মৃত্যুবরণ করতে| যদি আপনি এখনও পরিত্রাত না হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার পাপপূর্ণ এবং স্বার্থপর জীবনধারা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে| আপনি অবশ্যই অনুতাপ করুন এবং ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র, যীশুর উপরে বিশ্বাস স্থাপন করুন| একমাত্র তিনিই পারেন তাঁর রক্তের দ্বারা আপনার সমস্ত পাপ ধুয়ে দিতে| কেবলমাত্র তিনিই আপনাকে নরকের অগ্নিশিখা থেকে রক্ষা করতে পারেন| আপনার সমস্ত পাপ থেকে একমাত্র যীশুই আপনাকে উদ্ধার করতে পারেন| যদি আপনি পরামর্শ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক হন তাহলে আপনি অবশ্যই ডঃ কেগানের সঙ্গে বৃহস্পতিবারের সন্ধ্যায় সাক্ষাৎ করার অনুমতি নিন| সাক্ষাৎ করার জন্য আপনি তাকে ফোন করতে পারেন অথবা এই সভার পরে তার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে পারেন| আমেন| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রুধোম্মে: যিশাইয় 64:1-3 | |