এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
কুমারীর গর্ভে জন্মের প্রমাণসমূহPROOFS OF THE VIRGIN BIRTH লেখক : ডঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনিয়র| ২০১৫ সালের, ১৩ই ডিসেম্বর, প্রভুর দিনের সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাক্ল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল ‘‘দেখ, এক কন্যা গর্ভবতী হইয়া, পুত্র প্রসব করিবে, ও তাঁহার নাম ইম্মানূয়েল [আমাদের সহিত ঈশ্বর] রাখিবে’’ (যিশাইয় 7:14)| |
পুরানো নিয়মের শাস্ত্রে বর্ণিত - এটা হল কুমারীর গর্ভে খ্রীষ্টের জন্মগ্রহণ করার একটি সুস্পষ্ট ভাববাণী| কোন কোন লোকের এই মহান খ্রীষ্টীয় মতবাদের প্রতি কিছু সমস্যা আছে| কিন্তু তাদের প্রকৃত সমস্যা হল এই যে তারা কোন রকমের অলৌকিক কাজে বিশ্বাস করে না| জাগতিক মানুষ সম্পর্কিত বিদ্যা তাদের থেকে অলৌকিক কাজের সম্ভাবনাকে অপহরণ করেছে - এবং তাদের থেকে স্বয়ং ঈশ্বরকেও অপহরণ করেছে! কিছুদিন আগে আমরা আমাদের মন্ডলীতে বেন স্টাইনের ‘‘এক্সপেল্ড’’ নামের একটি চলচ্চিত্র দেখিয়েছিলাম| আমার কাছে, সেই চলচ্চিত্রটির সবথেকে কৌতুহল উদ্দীপক অংশ ছিল, ডঃ রিচার্ড ডাউকিন্সের সঙ্গে মিঃ স্টাইনের সাক্ষাৎকারের অংশটি| ডঃ ডাউকিন্স ছিলেন আমাদের সময়ের বিখ্যাত বিবর্তন তত্ত্বানুরাগী ব্যক্তি| তিনি বিবর্তনমূলক পদ্ধতির একটি দৃষ্টান্ত পেয়েছিলেন সময়ের সঙ্গে পেছিয়ে গিয়ে| কিন্তু, অন্য সমস্ত বিবর্তন তত্ত্বানুরাগীদের মতন তাকেও, জীবনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছিল তার ব্যাখ্যা করার উভয়সঙ্কটের সন্মুখীন হতে হয়েছিল| এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য মিঃ স্টেইন তাকে খুব চাপ দিয়েছিলেন| খুব কাছ থেকে দেখলে আপনি ডাউকিন্সের ঠোঁটের শিহরণ দেখতে পেতেন| স্টেইন এই ব্যাপারে চাপ দিচ্ছিলেন যে - ‘‘প্রথম অবস্থায় প্রাণ কোথা হইতে আসিয়াছিল?’’ ডাউকিন্সের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে গিয়েছিল| শেষ পর্যন্ত ডাউকিন্স বলেছিলেন যে ভিন্ন গ্রহ থেকে সেই গ্রহবাসীরা হয়তো এসেছিলেন এবং পৃথিবীতে প্রাণের ‘‘বীজ বপন’’ করেছিলেন| মিঃ স্টেইন এই উত্তরে প্রায় লাফিয়ে উঠেছিলেন| ‘‘আপনি কি এই বলতে চাইছেন যে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভিনগ্রহবাসীরা পৃথিবীতে প্রাণ বহন করে নিয়ে আসতে পারে?’’ আমার মনে হয় যে ডাউকিন্স ভুলে গিয়েছিলেন যে সাক্ষাৎকারটি চলচ্চিত্রায়িত করা হচ্ছিল যখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘‘হ্যাঁ|’’ পরবর্তীতে তিনি চলচ্চিত্র থেকে এই অংশটি বাদ দেওয়ার জন্যে স্টেইনের বিরুদ্ধে মামলা করার চেষ্টাও করেছিলেন| কিন্তু তার পূর্ব স্বাক্ষরিত চুক্তিটি তাকে এই মামলাটি জেতা থেকে বিরত করেছিল| কতটা অবিশ্বাস্য! ছোট্ট মানুষেরা একটি মহাকাশযানে করে আমাদের গ্রহে প্রথম প্রাণটি নিয়ে আসছে! এটা বাচ্চাদের জন্য বলা কল্পবিজ্ঞানের কাহিনীর মতন শোনাচ্ছে! এমনকী যদি ডাউকিন্সের অর্থহীন ধারনা সত্যিও হত, তবুও সেটা অন্য গ্রহে কিভাবে প্রাণের সঞ্চার ঘটেছিল সেটা ব্যাখ্যা করতে পারত না! কাজেই আমরা, মিঃ স্টেইনের চলচ্চিত্রে দেখেছি সেই অস্বাভাবিক এবং অদ্ভূত বিস্তারকে, আমাদের গ্রহে ঈশ্বরের প্রাণ সৃষ্টি করার অলৌকিক কাজকে অস্বীকার করার জন্যে যার প্রতি জাগতিক মানুষ সংক্রান্ত বিদ্যাযুক্ত লোকেরা বা মানবতাবাদীরা অবশ্যই ছুটে যায়| সি. এস. ল্যুইস বলেছিলেন, ‘‘অতি-মানবিক ক্ষমতার দ্বারা প্রকৃতির সহিত একটি প্রতিবন্ধন বুঝাইবার জন্যে আমি অলৌকিক কার্য্য শব্দটি ব্যবহার করিতেছি|’’ আবার, সি. এস. ল্যুইস এও বলেছিলেন, ‘‘যদি আমাদের ঈশ্বরকে স্বীকার করিতে হয়, তাহা হইলে আমাদেরকে কী অলৌকিক কার্য্য স্বীকার করিতে হইবে? অবশ্যই, অবশ্যই|’’ (Miracles, pp. 105, 9)| সি. এস. ল্যুইস বোঝাতে চেয়েছেন যে যদি সেখানে একজন ঈশ্বর থাকেন তবে অলৌকিক কাজ সম্ভব| পৃথিবীতে আসার এবং প্রাণ আনার জন্য ছোট্ট সবুজ মানুষদের কোন প্রয়োজন আপনাদের নাই| যদি সেখানে ঈশ্বর থাকেন তবে তিনি প্রাণ সৃষ্টি করতে যথেষ্ট সক্ষম কোন কিছুর সাহায্য ছাড়াই (কোন কিছুই না নিয়ে)| যীশু বলেছেন, ‘‘কারণ ঈশ্বরের সকলই সাধ্য’’ (মার্ক 10:27)| ৮০ বছর বয়সে আমার মা মন পরিবর্তন করেছিলেন| তিনি কোনদিন মন পরিবর্তন করবেন এইরকম ভেবে নেওয়ার সামান্যতম কোন কারণ সেখানে ছিল না| একটিও নয়| আমি এই বিষয়টিতে যেতে পারতাম এবং আপনাদের বলতে পারতাম যে কেন আমি জানি যে তার মন পরিবর্তন ছিল একটা অলৌকিক কাজ, কিন্তু আজ রাত্রে আমি সেটা করছি না| আমি সেই অলৌকিক কান্ডের কথা আপনাদের বলব যা তার মন পরিবর্তনের আগে ঘটেছিল| আমি আমার পরিবারের সঙ্গে নিউ ইয়র্ক শহরে ছিলাম| আমার মা তিন হাজার মাইল দূরে, এই লস্ এঞ্জেল্সে ছিলেল| আমি প্রার্থনা করছিলাম তখন হঠাৎ, আমার প্রার্থনার মাঝে, আমি জানতে পেরেছিলাম যে আমার মা পরিত্রাত হবেন| আমি ডঃ কেগানকে ফোন করে তাকে আমার মায়ের কাছে যেতে বলেছিলাম এবং তাকে খ্রীষ্টের প্রতি পরিচালিত করতে বলেছিলাম| তিনি যেতে ভয় পাচ্ছিলেন কারণ এর আগে তিনি যখন একবার আমার মায়ের কাছে গিয়েছিলেন তখন মা তার প্রতি চিৎকার করে উঠেছিলেন| কিন্তু আমি জোর দিয়ে বলেছিলাম যে ঈশ্বর আমাকে বলেছেন যে আমার মা পরিত্রাত হবেন| সুতরাং তিনি আমার মায়ের বাসস্থানে গিয়েছিলেন, এবং খুব সহজেই, তাকে খ্রীষ্টের প্রতি পরিচালিত করেছিলেন - এবং মায়ের সমস্ত জীবনটাই পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল| হ্যাঁ, সেটা ছিল একটা অলৌকিক কাজ| কিন্তু এটাই একমাত্র ঘটনা নয় যা আমি এখানে জোর দিয়ে বলতে চাচ্ছি| হঠাৎ কিভাবে আমি জেনেছিলাম যে আমার মা মন পরিবর্তন করবেন? আমি তার থেকে তিন হাজার মাইল দূরে ছিলাম| আমি তার সঙ্গে টেলিফোনের মাধ্যমেও কোন কথা বলিনি| কিন্তু আমি জেনেছিলাম| কিভাবে? সেটা ছিল এক অলৌকিক ঘটনা| ঈশ্বর এক অলৌকিক উপায়ে সেটা আমাকে বলেছিলেন| এটা ছিল সেই রকমেরই সাধারন একটা ব্যাপার| আমার মা স্বয়ং অলৌকিকত্বে বিশ্বাস করতেন না| তিনি ছিলেন একজন জাগতিক মানুষ সংক্রান্ত বিদ্যানুরাগী এবং বিবর্তন তত্ত্বানুরাগী মহিলা| আর এখানেই আসে সেই তৃতীয় অলৌকিক ঘটনা| প্রথম, ঈশ্বর আমাকে বলেছিলেন যে মা মন পরিবর্তন করবেন| দ্বিতীয়, তার মন পরিবর্তন করানো গিয়েছিল| কিন্তু সেই তৃতীয় অলৌকিক ঘটনাটি ছিল, অনেক দিক থেকে দেখতে গেলে, বৃহত্তম একটি ঘটনা - অন্ততপক্ষে আমার কাছে| মায়ের মন পরিবর্তনের অল্প কয়েকমাস পরে, এলিনা এবং আমার ছেলেদের সঙ্গে তাকে নিয়ে আমি আমার মামাতো ভাই এর বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম| তার অনেক বন্ধুবান্ধব ছিল যারা ছিলেন ঘোর মদ্যপায়ী| তাদের মধ্যে একজনের স্ত্রী প্রায় অর্ধ মাতাল অবস্থায় ছিলেন| তিনি জেনেছিলেন যে আমি একজন প্রচারক, সুতরাং তিনি টেবিলে, ঠিক আমার উল্টোদিকে বসেছিলেন, এবং আমাকে প্রশ্ন করতে শুরু করেছিলেন| ‘‘কিভাবে সেই অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল? অল্প কয়েকটি মাত্র মাছ দিয়ে তিনি কিভাবে ৫,০০০ লোককে খাইয়েছিলেন? কিভাবে তিনি মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন? কিভাবে লোহিত সমুদ্র ভাগ হয়ে গিয়েছিল? হাঃ, হাঃ, হাঃ!’’ আমি একটাও কথা বলিনি| আমার ভাইয়ের বাড়িতে একটা ঝগড়া বেধে যাক সেটা আমি চাইনি| আমার মা আমার পাশে বসেছিলেন| হঠাৎ একসময় আমি দেখলাম তার চোখদুটি ঝিলিক দিয়ে উঠল| যখন তার চোখ ঐরকম ঝিলিক দিয়ে উঠেছিল তখন কেউই তার প্রতি ফিরে কোন কথা বলেনি! মা সেই মাতাল মহিলার দিকে তাকালেন, এবং খুব উঁচু এবং জোরালো স্বরে বলে উঠলেন, ‘‘আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন, নাকি করেন না?’’ সেই বেচারী মহিলা চমকে গিয়েছিলেন| তার মুখ ভয়ে সাদা হয়ে গিয়েছিল| খুব মিন্মিনে গলায় তিনি বলেছিলেন, ‘‘ভাল, ওহ...হ্যাঁ|’’ আমার মা তার দিকে জ্বলন্ত দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলেন, এবং এমনকী আরও জোরালো কন্ঠস্বরে, বলে উঠেছিলেন, ‘‘তাহলে আপনার সমস্যাটা কী?’’ সমস্ত বাড়িতে তখন এক সম্পূর্ণ নিস্তব্ধতা বিরাজ করছিল| অলৌকিক ঘটনার উপরে যুক্তিতর্কের সেখানেই অবসান হয়েছিল! দেখুন, আপনি যদি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন তাহলে - যেমন সি. এস. ল্যুইস নির্দেশ করেছিলেন যে - অলৌকিক ঘটনার উপরে কোন প্রশ্ন করা যায় না! যেমন যীশু বলেছিলেন, ‘‘কারণ ঈশ্বরের সকলই সাধ্য|’’ এবং তা আমাদের সামনে নিয়ে আসে কুমারীর গর্ভে খ্রীষ্টের জন্মকে| আমি আপনাদের কাছে কুমারীর গর্ভে খ্রীষ্টের জন্মের বিষয়ে দুটি ‘‘প্রমাণ’’ দিতে চলেছি| কিন্তু যদি আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন তবেই এই ‘‘প্রমাণ’’ সকল আপনাকে দৃঢ় নিশ্চিত করবে| তারা এমন কোন লোকদের দৃঢ় নিশ্চিত করবে না যারা ঈশ্বরের অস্তিত্ত্বে বিশ্বাস করাকে অস্বীকার করেন| ১| প্রথমত, কুমারীর গর্ভে খ্রীষ্টের জন্ম পুরানো নিয়মের দ্বারা প্রমাণিত | কুমারীর গর্ভে যীশুর জন্ম বিষয়ক প্রথম ভাববাণী হয়েছিল এদনের উদ্যানে, ঈশ্বরের বিরুদ্ধে আমাদের প্রথম পিতামাতার পাপ করার কিছু সময় পরে| শয়তান তাদের প্রলোভিত করছে বলে তারা জেনেছিলেন, এবং পাপ করেছিলেন| এবং ঈশ্বর শয়তানকে বলেছিলেন, ‘‘আমি তোমাতে ও নারীতে, এবং তোমার বংশে ও তাহার বংশে পরস্পর শত্রুতা জন্মাইব; সে তোমার মস্তক চূর্ণ করিবে, এবং তুমি তাহার পাদমূল চূর্ণ করিবে’’ (আদিপুস্তক 3:15)| ঈশ্বর এখানে কুমারীর গর্ভে জন্মের বিষয়ে প্রথম ভাববাণী দিয়েছেন| স্ত্রীর বীজ সাপের মাথা চুর্ণ করবে| পুরানো নিয়মের লুথারেন পন্ডিত ডঃ ক্লজ ওয়েস্টারমান (1909-2000) বলেছিলেন, ‘‘ইরেনিয়াসের (130-202) সময় হইতে খ্রীষ্টীয় ঐতিহ্য এই অধ্যায়টিকে খ্রীষ্ট (এবং মরিয়ম) বিষয়ক ভাববাণী বলিয়া বুঝিয়া আসিতেছে| সেই ‘স্ত্রীর বীজ’ বলিতে বুঝাইতেছে এক স্বতন্ত্র বংশধারককে [খ্রীষ্টকে] যিনি সর্পের [শয়্তানের] মস্তক চূর্ণ করিয়াছিলেন...এই ব্যাখ্যা ইরেনিয়াসের সময় হইতে ক্যাথলিক এবং সুসমাচার প্রচারকদের ঐতিহ্যে বাইবেলের সমালোচনা এবং ভাষ্যের ইতিহাসের মাধ্যমে সমানে প্রবাহিত হইতেছে’’ (Claus Westermann, Ph.D., Genesis 1-11: A Commentary, Augsburg, 1984, p. 260)| ডঃ হেনরি এম. মরিস বলেছিলেন, ‘‘সেই ‘স্ত্রীজাতির বীজ’ শুধুমাত্র হইতে পারে হবার ভাবী বংশধরের [প্রতি বিবেচ্য] যাহাদের কোন মনুষ্য পিতা ছিল না| জীববিজ্ঞান অনুসারে, কোন স্ত্রীলোক বীজ উৎপন্ন করিতে পারে না...বাইবেল অনুযায়ী সর্বদা শুধুমাত্র পুরুষদের বীজের কথাই বলা হইয়া থাকে| এই প্রতিজ্ঞাত বীজ, তাহা হইলে, হয়তো অলৌকিকভাবে [মরিয়মের] গর্ভে রোপিত হইয়াছিল| এই উপায়ে, তিনি [খ্রীষ্ট] উত্তরাধিকার সূত্রে পাপী স্বভাব পান নাই যাহা আদমের অন্য সকল পুত্রদের পাপ হইতে পরিত্রাত হইবার অযোগ্য করিয়াছিল| এই ভাববাণী সেইহেতু স্পষ্টভাবে কুমারীর গর্ভে যীশুর ভাবী জন্মের উপলব্ধি করিতেছে’’ (Henry M. Morris, Ph.D., The Defender’s Study Bible, World Publishing, 1995, p. 13; note on Genesis 3:15)| আমাদের শুরুর পাঠ্যাংশটিও পুরানো নিয়মের থেকে| ভাববাদী যিশাইয় বলেছিলেন, ‘‘দেখ, এক কন্যা গর্ভবতী হইয়া, পুত্র প্রসব করিবে, ও তাঁহার নাম ইম্মানূয়েল রাখিবে’’ (যিশাইয় 7:14)| ইংরাজি শব্দ ‘‘ভার্জিন’’ এখানে অনুবাদিত হয়েছে ইব্রীয় শব্দ ‘‘আলমাহ’’ শব্দটি থেকে| পুরানো নিয়মে অবিবাহিতা যুবতী স্ত্রীলোককে বোঝানোর জন্য এই শব্দটি সাতবার ব্যবহৃত হয়েছে| এড্ওয়ার্ড ই. হিন্ডসন বলেছিলেন, ‘‘ইহা [ইহার ব্যবহার] সর্বদা একজন কুমারীকে বোঝায়| আলমাহ এর বাইবেলীয় ব্যবহার স্পষ্টত কখনই কোন বিবাহিত স্ত্রীলোকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, কিন্তু সর্বদা একজন অবিবাহিতা স্ত্রীলোকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য’’ (Edward E. Hindson, “Isaiah’s Immanuel,” Grace Journal 10, Fall, 1969, p. 7)| বিখ্যাত পন্ডিত জে. গ্রেশহাম ম্যাকেন বলেছিলেন, ‘‘পুরাতন নিয়মে আলমাহ শব্দের সাতবার উল্লেখের মধ্যে কোন একবারেও সেই শব্দটি স্থান পায় নাই যেখানে সেই শব্দটি একজন স্ত্রীলোকের সম্বন্ধে ব্যবহার করা হইয়াছে যিনি একজন কুমারী ছিলেন না’’ (J. Gresham Machen, Ph.D., The Virgin Birth of Christ, Baker Book House, 1965, p. 288)| কিন্তু ‘‘আলমাহ’’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘‘কুমারী’’ তার সব চাইতে বড় প্রমাণ পাওয়া যায় খ্রীষ্ট জন্মের ২০০ বছর আগে রাব্বিদের কাছ থেকে| পৃথিবীর বিখ্যাত রাব্বিদের মধ্যে সত্তরজন ইব্রীয় বাইবেলকে গ্রীক ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন, যা হল সেই ভাষা যাতে রোমীয় জগতের অধিকাংশ যিহূদীরা কথা বলে থাকেন| খ্রীষ্টের জন্মের ২০০ বছর আগের সেই সময়ে, এই রাব্বিদের জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইব্রীয় পন্ডিত বলে ধরে নেওয়া হত| এই যিহূদী রাব্বিরা যিশাইয় 7:14 পদে ইব্রীয় শব্দ ‘‘আলমাহ’’কে অনুবাদ করেছিলেন ‘‘পার্থেনোজ’’ হিসাবে - যা শুধুমাত্র একজন কুমারীকে বোঝাতে পারে - অর্থাৎ একজন মহিলা যিনি কখনও কোন পুরুষের সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হননি| সেই ৭০ জন রাব্বি পুরানো নিয়মকে গ্রীক ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন| এটাকে সেপ্টুয়াজিন্ট বলা হয়ে থাকে| ডঃ বেন উইদারিংটন তৃতীয় বলেছিলেন যে যদি ‘‘আলমাহ’’ বলতে ‘‘কুমারী’’ না বোঝাত, তাহলে ‘‘অসম্ভব না হলেও এটা বোঝা খুব কঠিন যে কেন LXX এর [রাব্বি] অনুবাদকেরা [সেই সেপ্টুয়াজিন্ট] ‘পার্থেনোজ’ শব্দটিকে গ্রীক সমতুল্য হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন’’ (Ben Witherington III, Ph.D., “The Birth of Jesus,” Dictionary of Jesus and the Gospels, InterVarsity Press, 1992, p. 64) । এই সমস্ত প্রমাণ দেখাচ্ছে যে রাব্বিরা সঠিক কাজ করেছিলেন যখন তারা যিশাইয় 7:14 পদের অনুবাদ করেছিলেন এইভাবে যে ‘‘দেখ, এক কন্যা গর্ভবতী হইয়া, পুত্র প্রসব করিবে, ও তাঁহার নাম ইম্মানূয়েল রাখিবে’’ (যিশাইয় 7:14)| ইতিহাসের একমাত্র স্ত্রীলোক যিনি কুমারী ছিলেন, এবং অতিপ্রাকৃতিক উপায়ে গর্ভবতী হয়েছিলেন, তিনি হলেন মরিয়ম, খ্রীষ্টের মাতা| ২| দ্বিতীয়ত, কুমারীর গর্ভে খ্রীষ্টের জন্ম নতুন নিয়মের দ্বারা প্রমাণিত | অনুগ্রহ করে আপনার বাইবেলের মথি 1:23 পদটি খুলুন| ‘‘দেখ, সেই কন্যা গর্ভবতী হইবে, এবং পুত্র প্রসব করিবে, আর তাঁহার নাম রাখা হইবে ইম্মানূয়েল, অনুবাদ করিলে ইহার অর্থ, আমাদের সহিত ঈশ্বর’’ (মথি 1:23)| মরিয়ম যোষেফের প্রতি বাগদত্তা ছিলেন| তাদের বিয়ে হওয়ার আগেই ‘‘জানা গেল পবিত্র আত্মা হইতে তাঁহার গর্ভ হইয়াছে’’ (মথি 1:18)| স্বাভাবিকভাবেই যোষেফ ভেবে নিয়েছিলেন যে মরিয়ম ব্যভিচার করেছিলেন| তিনি চাননি মরিয়মকে দূরে ঠেলে দিয়ে এবং তাকে বিয়ে না করে সে নিন্দার পাত্র হোক| তিনি এই সমস্যার কথা ঘুমের মধ্যেও চিন্তা করছিলেন| প্রভুর এক স্বর্গদূত স্বপ্নে তাকে দেখা দেন এবং বলেন, ‘‘ভয় করিও না তোমার স্ত্রী মরিয়মকে গ্রহণ করিতে: কেননা তাঁহার গর্ভে যাহা জন্মিয়াছে তাহা পবিত্র আত্মা [হইতে] হইয়াছে|’’ তারপরে সেই স্বর্গদূত যোষেফের প্রতি যিশাইয় 7:14 পদটি উল্লেখ করেছিলেন, ‘‘দেখ, সেই কন্যা গর্ভবতী হইবে, এবং পুত্র প্রসব করিবে, আর তাঁহার নাম রাখা হইবে ইম্মানূয়েল, অনুবাদ করিলে ইহার অর্থ, আমাদের সহিত ঈশ্বর’’ (মথি 1:23)| প্রসঙ্গত, সত্তরী অনুবাদ পবিত্র আত্মার দ্বারা মথি 1:23 পদে বাহিত হয়েছিল| সুতরাং ‘‘পার্থেনোজ’’ ঈশ্বরের নিঃশ্বাসিত বাক্যে পরিনত হয়েছিল| সেই সমস্ত লোক যারা যীশুকে খুব ভাল করে জানতেন তারা কুমারীর গর্ভে তাঁর জন্মের এই বিষয়টি সম্বন্ধে কি ভাবতেন সেটা দেখার জন্যে আমি নতুন নিয়ম পাঠের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম| সেই সমস্ত লোক যারা তাঁর সঙ্গে বসবাস করতেন তারা কি চিন্তা করেছিলেন আমি সেটাই শুধু এক টুকরো কাগজে লিখেছিলাম| আমি তার সৎপিতা, যোষেফকে দিয়ে শুরু করেছিলাম| কুমারীর গর্ভে তাঁর জন্মের বিষয়টিকে যোষেফ বিশ্বাস করতেন| ‘‘পরে যোষেফ নিদ্রা হইতে উঠিয়া প্রভুর দূত তাঁহাকে যেরূপ আদেশ করিয়াছিলেন সেইরূপ করিলেন, আপন স্ত্রীকে গ্রহণ করিলেন: আর যে পর্যন্ত ইনি পুত্র প্রসব না করিলেন সেই পর্যন্ত যোষেফ তাঁহার পরিচয় লইলেন না: আর তিনি পুত্রের নাম যীশু রাখিলেন’’ (মথি 1:24-25)| তারপরে, মরিয়মের বিষয় আসছে| যোষেফের মতন, তিনিও কুমারীর গর্ভে জন্মের বিষয়টিকে বিশ্বাস না করা শুরু করেছিলেন| তিনি বলেছিলেন, ‘‘ইহা কিরূপে হইবে, আমি ত পুরুষকে জানি না?’’ (লূক 1:34)| ‘‘দূত উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, পবিত্র আত্মা তোমার উপরে আসিবেন, এবং পরাৎপারের শক্তি তোমার উপরে ছায়া করিবে: এই কারণ যে পবিত্র সন্তান জন্মিবেন তাঁহাকে ঈশ্বরের পুত্র বলা যাইবে’’ (লূক 1:35)| ‘‘কেননা ঈশ্বরের কোন বাক্য শক্তিহীন হইবে না’’ (লূক 1:37)| তখন মরিয়ম স্বয়ং কুমারীর গর্ভে জন্মের বিষয়টিকে বিশ্বাস করা শুরু করেছিলেন, কেননা তিনি বলেছিলেন, ‘‘দেখুন প্রভুর হস্তনির্মিত, ইহা আমার নিকট তোমার বাক্যানুসারেই হোউক|’’ ‘‘এই কারণ যে পবিত্র সন্তান জন্মিবেন তাঁহাকে ঈশ্বরের পুত্র বলা যাইবে’’ (লূক 1:35)| এরপরে, স্বয়ং যীশুর বিষয়| যীশু স্বয়ং বলেছিলেন, ‘‘কারণ ঈশ্বর জগতকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়’’ (যোহন 3:16)| যীশু বলেছিলেন যে তিনিই ঈশ্বরের ‘‘একজাত পুত্র’’ ছিলেন| তারপরে, সেখানে স্বয়ং ঈশ্বরের কথা আসছে| যোহন ব্যাপ্তাইজক যীশুকে যর্দন নদীর জলে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন তাকে ব্যাপ্তিষ্ম দিতে| তখন স্বর্গ থেকে ঈশ্বরের বাণী শোনা গেছিল এবং তা বলেছিল, ‘‘ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, ইহাতেই আমি প্রীত’’ (মথি 3:17)| তখন যোহন ব্যাপ্তাইজক বলেছিলেন, ‘‘আমি দেখিয়াছি, ও সাক্ষ্য দিয়াছি যে ইনিই ঈশ্বরের পুত্র’’ (যোহন 1:34)| যোষেফ, মরিয়ম, যীশু স্বয়ং, ব্যাপটিষ্ট যোহন, এবং পিতা ঈশ্বর - সকলেই বলেছিলেন যে তিনি ছিলেন ঈশ্বরের পুত্র - এটাই জানিয়ে যে তিনি কুমারীর গর্ভ থেকে জন্মেছেন| ‘‘এই কারনে যে পবিত্র সন্তান জন্মিবেন তাঁহাকে ঈশ্বরের পুত্র বলা যাইবে’’ (লূক 1:35)| আমি নতুন নিয়ম পাঠ করেছি| আমি দেখেছি যে দিয়াবলেরা ‘‘উচ্চস্বরে, বলিতেছে, আমরা তাঁহার সহিত কি করিব, যীশু, তুমিই ঈশ্বরের পুত্র? তুমি কি এখানে সময়ের পূর্বে এখানে আমাদের যন্ত্রণা দিতে আসিয়াছ?’’ হ্যা, এমনকী দিয়াবলেরাও জানত যে তিনিই ছিলেন কুমারীর গর্ভ-জাত ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র! যখন যীশু তাঁর শিষ্যদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘‘তোমরা কি বল আমি কে?’’ পিতর উত্তর দিয়েছিলেন, ‘‘আপনি সেই খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র’’ (মথি 16:16)| প্রেরিত যোহনও সেইরকমই করেছিলেন, যিনি সকলের চাইতে ভালভাবে তাঁকে চিনতেন| প্রেরিত যোহন বলেছিলেন, ‘‘কিন্তু এই সকল লেখা হইয়াছে, যেন তোমরা বিশ্বাস কর যে যীশুই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র’’ (যোহন 20:31)| আবার যোহন এটাও বলেছিলেন, ‘‘আর আমাদের যে সহভাগিতা তাহা পিতার, এবং তাঁহার পুত্র যীশু খ্রীষ্টের সহিত’’ (১ম যোহন 1:3)| হ্যাঁ, প্রেরিত যোহন, যিনি তাঁকে সবথেকে ভালভাবে জেনেছিলেন, বলেছিলেন যে যীশু ছিলেন কুমারীর গর্ভ-জাত ঈশ্বরের পুত্র| তিনি যীশুকে বলতেন ঈশ্বরের ‘‘একজাত পুত্র’’ (যোহন 1:18)| যখন প্রেরিত পৌল মন পরিবর্তন করেছিলেন, তখন তিনি ‘‘অমনি সমাজগৃহে খ্রীষ্টকে এই বলিয়া প্রচার করিতে লাগিলেন যে, তিনিই ঈশ্বরের পুত্র’’ (প্রেরিত 9:20)| এবং তাঁর সব শিষ্যরাও এইরকম প্রচার করেছিল, কারণ তারা সকলেই জানত যে ‘‘সেই পবিত্র সন্তান’’ যিনি কুমারী মরিয়মের গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন তাঁকে ‘‘ঈশ্বরের পুত্র বলা যাইবে’’ (লূক 1:35)| ক্রুশের উপর থেকে যীশুর শেষ বাণী এটাকে সমর্থন করে, কারণ তিনি ‘‘উচ্চ রবে চীৎকার করিয়া, [এবং] কহিলেন, পিতঃ, তোমার হস্তে আমার আত্মা সমর্পণ করি’’ (লূক 23:46)| তখন যিনি তাঁকে ক্রুশের উপরে পেরেক বিদ্ধ করেছিলেন সেই শতপতি তাঁর জানুদেশে পতিত হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘‘সত্যই ইনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন’’ (মার্ক 15:39)| একমাত্র তারাই তাঁর পুত্রত্বের বিষয়ে বিদ্রুপ করেছিল যারা ছিল সেই মন্দ লোকেরা যারা তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করেছিল| ঐ মন্দ লোকেরা চেয়েছিলেন ‘‘তাঁহাকে বধ করিতে, কেননা তিনি কেবল বিশ্রামবার লঙ্ঘন করিতেন তাহা নয়, কিন্তু আবার ঈশ্বরকে নিজ পিতা বলিতেন’’ (যোহন 5:18)| যখন তিনি যন্ত্রণা ভোগ করছিলেন তখন তারা তাঁর প্রতি তীব্র আর্তনাদ করছিল, ‘‘যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, ক্রুশ হইতে নামিয়া আইস’’ (মথি 27:40)| কিন্তু তিনি যদি সেই ক্রুশ থেকে নেমে আসতেন তাহলে হয়ত সেটা ঠিক বিপরীত দেখাত| সেটা হয়ত দেখাত যে তিনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন না! সেই পবিত্র, কুমারীর গর্ভজাত ঈশ্বরের পুত্র স্বর্গ থেকে নেমে এসেছিলেন, মরিয়মের গর্ভে, আমাদের পাপের দেনা শোধ করার জন্য ক্রুশের উপরে মৃত্যুবরণ করতে জন্ম নিয়েছিলেন| তিনি আমাদের মতন হতভাগ্য পাপীদের সঙ্গে বসবাস করেছিলেন, এবং আমাদের সমস্ত পাপ ধৌত করার জন্যে ক্রুশের উপরে তাঁর পবিত্র রক্ত বইয়ে দিয়েছিলেন| কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমি আমাদের পাঠ্যাংশের শেষ অংশের উপরে কোন মন্তব্য করিনি| আমি যিশাইয় 7:14 পদের কথা বলব যেহেতু সেটা মথি 1:23 পদের মধ্যে সেপ্টুয়াজিন্টের থেকে উল্লেখিত হয়েছে, ‘‘দেখ, সেই কন্যা গর্ভবতী হইবে, এবং পুত্র প্রসব করিবে, আর তাঁহার নাম রাখা হইবে ইম্মানূয়েল, অনুবাদ করিলে ইহার অর্থ, আমাদের সহিত ঈশ্বর’’ (মথি 1:23)| এটাই হচ্ছে ইম্মানূয়েল শব্দের অর্থ| এর মানে ‘‘ঈশ্বর আমাদের সহিত|’’ অর্থাৎ যিনি হলেন কুমারীর গর্ভজাত শিশু| তিনি হলেন ‘‘ঈশ্বর আমাদের সহিত|’’ যখন আমি খুব ছোট্ট এক শিশু ছিলাম তখন আমি জানতাম যে সেখানে একজন ঈশ্বর ছিলেন, যিনি লুকিয়ে থাকতেন আমার মাতামহীর বাড়ির পিছনের বাগানের ফুলগাছের ঝোপের ভিতরে| আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলতাম, কিন্তু আমি তাঁকে চিনতাম না| আমি শুধু এটাই জানতাম যে সেখানে অবশ্যই একজন ঈশ্বর আছেন যিনি এই সব শ্বাসরোধকারী সৌন্দর্য্যবিশিষ্ট ফুলগুলির সৃষ্টি করেছেন! যখন আমি একাকী দাঁড়িয়ে থাকতাম, আরিজোনার মরুভূমির প্রান্তরে - তপ্ত পৃথিবীর মাটিতে ঝরে পড়া বৃষ্টির সঙ্গে - বৃষ্টির জল পান করার ফলে মাটি থেকে বের হওয়া অদ্ভূত ও তীব্র গন্ধের সঙ্গে, তখন আমি জানতাম যে সেখানে ঈশ্বর রয়েছেন| সেখানে একজন ঈশ্বরকে থাকতেই হয় যিনি এই সব বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন| কিন্তু আমি তাঁকে চিনতাম না| যেদিন আমার মাতামহীকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল, সেইদিন যখন আমি ঘাসের উপরে লুটিয়ে পড়েছিলাম, ঘেমে গেছিলাম এবং কাঁদছিলাম, তখন আমি জেনেছিলাম যে সেখানে একজন ঈশ্বর ছিলেন| আমি অনুভব করতে পারতাম যে ঈশ্বর নেমে এসেছেন| সেখানে একজন ঈশ্বর থাকতেই হবে| কিন্তু আমি তাঁকে জানতাম না| কিন্তু সেই সময় একদিন সকালে যীশু আমার কাছে নেমে এসেছিলেন এবং আমার আত্মাকে উদ্ধার করেছিলেন| সেটাই হচ্ছে পার্থক্য! তাঁর নাম হল ইম্মানূয়েল - ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে! তাঁর রক্ত আমাদের শুচি করে| তাঁর বাক্য আমাদের সান্ত্বনা দেয়| তাঁর উপস্থিতি আমাদের ভয়কে শান্ত করে| যীশু - আমাদের ইম্মানূয়েল - আমাদের সঙ্গে ঈশ্বর! আমি চার্লস ওয়েস্লীর (1707-1788) মনোমুগ্ধকর সুন্দর খ্রীষ্ট জন্মোৎসবের গানটি শুনতে ভালবাসি! খ্রীষ্ট, যিনি স্বর্গে পূজিত; আমি প্রার্থনা করছি যেন আপনি যীশুতে বিশ্বাস করেন এবং পাপ ও শাস্তি থেকে মুক্তি পান, তাঁর পবিত্র রক্তের দ্বারা সমস্ত দোষ থেকে শুচি হন| স্বর্গীয় পিতা, আমি প্রার্থনা করছি যে কোন একজন তোমার পুত্রের কাছে আসবে এবং আজ রাত্রেই তাঁর দ্বারা উদ্ধার লাভ করবে| আমেন! যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রুধোম্মে: মথি 1:18-25 | |
খসড়া চিত্র কুমারীর গর্ভে জন্মের প্রমাণসমূহ PROOFS OF THE VIRGIN BIRTH লেখক : ডঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনিয়র| ‘‘দেখ, এক কন্যা গর্ভবতী হইয়া, পুত্র প্রসব করিবে, ও তাঁহার নাম ইম্মানূয়েল রাখিবে’’ (যিশাইয় 7:14)| (মার্ক 10:27) ১| প্রথমত, কুমারীর গর্ভে খ্রীষ্টের জন্ম পুরানো নিয়মের দ্বারা প্রমাণিত, ২| দ্বিতীয়ত, কুমারীর গর্ভে খ্রীষ্টের জন্ম নতুন নিয়মের দ্বারা প্রমাণিত, |