এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
মন পরিবর্তন এবং যিশাইয়ের আহ্বানTHE CONVERSION AND CALL OF ISAIAH লেখক : ডঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনিয়র| ২০১৫ সালের, ১লা নভেম্বর, প্রভুর দিনের সকালবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের “যে বৎসর উষীয় রাজার মৃত্যু হয় আমি প্রভুকে এক উচ্চ ও উন্নত সিংহাসনে, উপবিষ্ট দেখিলাম, তাঁহার রাজবস্ত্রের অঞ্চলে মন্দির পূর্ণ হইয়াছিল” (যিশাইয় ৬:১)| |
প্রকৃতপক্ষে যিশাইয়ের পুস্তক এই অধ্যায় থেকে শুরু হয়েছিল| বহু টীকা লেখক বলেন যে এটা হল ভাববাদী হিসাবে যিশাইয়ের আহ্বান - এবং এটা তাই| কিন্তু এটা তার চাইতেও বেশি| আমি নিশ্চিত এটা হল যিশাইয়ের মন পরিবর্তন এবং আর সেই সঙ্গে ভাববাদী হওয়ার জন্যে তার আহ্বান| অতীতে সেইরকম ঘটনা প্রচারকদের ক্ষেত্রে প্রায়ই ঘটেছিল| যখন তারা মন পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন, তখন তারা অনুভব করেছিলেন যে ঈশ্বর চেয়েছিলেন যেন তারা অন্যদের কাছে প্রচার করেন| কিন্তু আমি মনে করি সবার থেকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল এই যে এই পদগুলি আমাদের দেখায় যে কিভাবে যিশাইয় মন পরিবর্তন করেছিলেন| এবং, আপনি যদি মন পরিবর্তন করতে চলেছেন, তাহলে আপনাকেও সেই সমস্ত কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে যেসবের মধ্যে দিয়ে যিশাইয় গিয়েছিলেন| ১| প্রথমত, সেখানে অবশ্যই ঈশ্বরের বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিৎ | বছরের পর বছর ধরে আপনি মন্ডলীতে উপস্থিত হতে পারেন এবং ঈশ্বরের বিষয়ে সচেতনতা পেতে পারেন না| আপনি বাইবেল অধ্যয়ণ করে যেতে পারেন এবং ঈশ্বরের সম্পর্কে সচেতনতা ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে প্রার্থনার বাক্যগুলি উচ্চারণ করে যেতে পারেন| আমার জীবনে বহুবার আমি এই ধরণের চিন্তা দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলাম| চীনা ব্যাপটিষ্ট মন্ডলীতে যাওয়ার আগে আমি অনেকদিন যাবৎ একটি ককেশীয় (সাদা) ব্যাপটিষ্ট মন্ডলীর সদস্য ছিলাম| যদিও আমি ছিলাম এক কিশোর, আমি আমার সেই ভাবনাটি মনে করতে পারি যে সেখানে যে সমস্ত যুবকেরা ছিলেন, তাদের প্রায় কারোরই, ঈশ্বরের সঙ্গে আদৌ কোন সম্পর্ক ছিল না| সানডে স্কুলে তারা শুধু সেটাই করতো যা তাদের করতে দেওয়া হত এবং কিছু প্রশ্নের উত্তর দিত| তারপরে প্রচারের সময় তারা এদিকে ওদিকে ঘুরে বেড়াতো এবং একে অন্যের প্রতি মন্তব্য চালাচালি করতো| তাদের কোন জীবন ছিল না| তাদের কোন বোধবুদ্ধি ছিল না| তাদের সম্পর্কে গুরুতর কিছুই ছিল না| আমি কল্পনাও করতে পারি না যে তাদের মধ্যে কেউ একা একা কোন শান্ত ও নিরিবিলি জায়গায় যাবে এবং প্রার্থনা করবে| তারা ছিলেন "ঈশ্বরের জীবনের বহির্ভূত" (ইফিষীয় ৪:১৮)| তাদের কী ভুল ছিল? রসকষহীনভাবে বলতে গেলে, তাদের কাছে ঈশ্বর ছিলেন না| তারা কী কোন সময়ে ঈশ্বরের সম্পর্কে ভাবতেন না? ওহ, আমি নিশ্চিত যে তারা ভাবতেন| কিন্তু ঈশ্বর সম্পর্কে তাদের ধারণা ছিল শুধু একটি বিমূর্ত মতবাদ, অথবা একটি আভ্যন্তরীন অনুভূতি| আমাদের কাছে এখানে এই মন্ডলীতে অনেক লোক আছেন যাদের কাছে ঈশ্বর নাই| আপনি জানেন, এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়| এই আধুনিক পরবর্তী সংষ্কৃতিতে, শেষের দিনগুলিতে প্রায় সমস্ত লোকেদের ক্ষেত্রে এইরকমটাই হবে| যদি আপনি বলেন, "ঈশ্বর আমার কাছে খুবই বাস্তব| আমার জীবনে ঈশ্বর হলেন সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি," তাহলে আপনার স্কুলের বন্ধুরা কি ভাববে? আপনার কাজের জায়গার লোকেরা কি ভাববে? তারা কি আপনার দিকে উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে না? তারা কি ভাববে না যে আপনি হলেন এক আজব লোক? এখন, আমরা বাস্তবের মাটিতে নেমে আসছি! তারা ঈশ্বরকে জানেন না - এবং আপনিও ঈশ্বরকে জানেন না! আজকের সকালে এখানে এমন যুবকেরা আছেন যাদের ঈশ্বর সম্বন্ধে সচেতনতা ততটা নয় যতটা আপনি প্রত্যেকদিন আপনার স্কুলে বা আপনার কর্মক্ষেত্রে বলে থাকেন| ঈশ্বর আমাদের মধ্যে নেই| এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার| যদি আপনি আপনার সহপাঠীদের বলে থাকেন যে আপনি আধ্যাত্মিক, তাহলে তা তাদের বিচলিত করবে না| যদি আপনি তাদের বলেছেন যে আপনি রবিবারে মন্ডলীতে ঈশ্বরের সম্পর্কে শুনেছেন, তাহলেও তা তাদের বিচলিত করে না| কিন্তু আপনি যদি তাদের চোখে চোখ রেখে তাকাতেন এবং বলতেন, "যিনি সমগ্র জগৎ সৃষ্টি করেছেন সেই ঈশ্বর হলেন আপনার জীবনে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রকৃত ব্যক্তি," তাহলে তারা হয়তো আপনার দিকে দৃষ্টি দিত এবং ভাবতো যে আপনি অপার্থিব| কেন? কারণ বাইবেল বলছে, "বুঝে এমন কেহই নাই, ঈশ্বরের অন্বেষণ করে এমন কেহই নাই" (রোমীয় ৩:১১)| আবার, বাইবেল বলছে, "জগৎ [নিজ] জ্ঞান দ্বারা ঈশ্বরকে জানিতে পায় নাই" (১ম করিন্থীয় ১:২১)| বেশির ভাগ নতুন সুসমাচার প্রচারকেরা হারানো জগতের অবশিষ্ট অংশের চেয়ে খুব একটা ভাল নেই| তারা আপনার কলেজে এমনকী একটা বাইবেল অধ্যয়ণকারী দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারে, কিন্তু আপনি কখনও শুনবেন না যে তারা ঈশ্বরের সম্পর্কে গুরুতর কোন কথা বলছে| মেয়েরা সাধারনত সেখানে যায় গল্প করতে এবং এটা সেটা সম্বন্ধে বক্বক্ করতে| যদি সেখানে কোন ছেলে থাকে, তারা সেখানে সাধারনত থাকে মেয়েদের "পরীক্ষা করে" দেখতে| কিন্ত তারা ঈশ্বরের সম্বন্ধে চিন্তা করে না - কমপক্ষে বাইবেলের ঈশ্বরের বিষয়ে নয়! যদি আপনি বলতেন যে আপনি একজন মুসলমান, অথবা একজন ক্যাথলিক, অথবা যিহুদী, অথবা এমনকী ব্যাপটিষ্ট, তাহলে সেটা তাদের বিব্রত করতো না| যদি আপনি বলতেন, "ঈশ্বর আমার মধ্যে আছেন, এবং ঈশ্বর আপনার মধ্যেও আছেন," তাহলে তা তাদের আদৌ বিচলিত করতো না| এটা হল নতুন যুগের চিন্তাধারা| কিন্তু যদি আপনি বলতেন, "ঈশ্বর সেখানে উপরে, আমাদের উপরে দৃষ্টি করেন| তিনি আমাদের পাপগুলিকে দেখেন এবং আমাদের বিচার করেন," তাহলে কী ঘটতো? তারা সবাই ভাবতো যে আপনি অপার্থিব, ভাবতো না কী? এখন, আসুন আমরা এটাকে আর এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাই| আসুন আমরা আপনার সম্বন্ধে কথা বলি| আপনি এখানে উপস্থিত আছেন এবং আপনার এখনও মন পরিবর্তন হয়নি| ঈশ্বর সম্বন্ধে আপনি কী ভাবেন? আপনি তাঁর সম্বন্ধে কখনো কখনো ভাবেন, ভাবেন না কী? যদি আপনার মন পরিবর্তন না হয় তাহলে আপনি নিশ্চয় তাঁর সম্বন্ধে ভুলভাল চিন্তা করে চলবেন| যিশাইয়ের প্রতি যখন এটা ঘটেছিল তখন তিনি ছিলেন যুবক| তিনি বাইবেল অধ্যয়ণ করেছিলেন| তিনি মন্দিরের সভায় যোগদান করে চলেছিলেন| কিন্তু তিনি নিজের জন্য ঈশ্বরকে জানতেন না| তিনি ঈশ্বরের বিষয়গুলি সম্বন্ধে জেনেছিলেন, কিন্তু তিনি অভিজ্ঞতার দ্বারা ঈশ্বরকে জানতেন না| তিনি কুলপতি ইয়োবের মতন ছিলেন| ইয়োব ঈশ্বরকে বলেছিলেন, "পূর্ব্বে তোমার বিষয় কর্ণে শুনিয়াছিলাম: কিন্তু সম্প্রতি আমার চক্ষু তোমাকে দেখিল| এই নিমিত্ত আমি আপনাকে ঘৃণা করিতেছি, ধূলায় ও ভস্মে বসিয়া অনুতাপ করিতেছি" (ইয়োব ৪২:৫, ৬)| ইয়োব ঈশ্বরের সম্বন্ধে শুনেছিলেন| কিন্তু এখন ঈশ্বর উত্তর দিচ্ছেন "ঘূর্ণবায়ুর মধ্য হইতে ইয়োবকে" (ইয়োব ৩৮:১; ৪০:৬)| "তাহার পর সদাপ্রভু ঘূর্ণবায়ুর মধ্যে ইয়োবকে কহিলেন" (এনআইভি)| আমি জানি না কিভাবে মানুষের ভাষায় এটা বর্ণনা করা যায়| হয়তো সব থেকে ভাল হবে কয়েকটি সত্যি ঘটনার মাধ্যমে আপনার কাছে বর্ণনা করা| ডঃ কেগান একজন নাস্তিক ছিলেন| তিনি ঈশ্বরে আদৌ বিশ্বাস করতেন না| তারপরে এক গভীর রাত্রে ডঃ কেগান খুব আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন| সকালে UCLA তে তার একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ছিল| কিন্তু তিনি কোনভাবেই পাঠ্য বিষয়বস্তুটি বুঝতে পারছিলেন না| তিনি বুঝেছিলেন যে পরের দিন তিনি পরীক্ষায় অকৃতকার্য্য হবেন| হঠাৎ ডঃ কেগান তার জীবনে প্রথমবার প্রার্থনা করা শুরু করলেন| তিনি বলেছিলেন, "ঈশ্বর, আমায় ক্ষমা করুন|" তারপরে তিনি গভীর ঘুমে তলিয়ে গিয়েছিলেন| পরীক্ষায় অকৃতকার্য্য হবেন তা জেনেই, তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলেন| যখন তিনি ক্লাসে গিয়েছিলেন এবং প্রশ্নপত্র দেখেছিলেন তখন খুব সহজেই তিনি সেগুলির উত্তর করতে পেরেছিলেন এবং ক্লাসে সর্ব্বোচ্চ গ্রেড অর্জন করেছিলেন| তখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে বাস্তবিকপক্ষে ঈশ্বর আছেন| শেষ পর্য্যন্ত, সেখানে প্রকৃতই একজন ঈশ্বর আছেন| যখন আমার পনের বছর বয়স ছিল সেইসময়ে আমার ঠাকুমা মারা যাওয়ার ঘটনা, এবং সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা যা তার আগের রাত্রে ঘটেছিল, এবং তার অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার সময়কার ঘটনার দ্বারা আমি গভীর মানসিক আঘাত পেয়েছিলাম| আমি ছুটে পালিয়ে গিয়েছিলাম, দূরে অনেক দূরে, গ্লেনডেনের, ফরেষ্ট লনের পাহাড়ের উপরে| আমি মাটিতে পড়ে গিয়েছিলাম, হাঁফাচ্ছিলাম এবং ঘামে আমার সারা শরীর ভিজে গিয়েছিল| তখন ঈশ্বর আমার উপরে নেমে এসেছিলেন| ঈশ্বর সেখানে ছিলেন এবং আমি সেটা উপলব্ধি করেছিলাম| এই ঘটনা আমাকে সব সময়ে যাকোবের কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন ঈশ্বর তার কাছে একরাত্রে এসেছিলেন, "পরে নিদ্রাভগ্ন হইলে, যাকোব কহিলেন, অবশ্য এইস্থানে সদাপ্রভু আছেন; আর আমি তাহা জ্ঞাত ছিলাম না| আর তিনি ভীত হইয়া, কহিলেন, এ কেমন ভয়াবহ স্থান!" (আদিপুস্তক ২৮:১৬, ১৭)| ডঃ কেগান অথবা আমি নিজে, আমরা কেউই এইরকমের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে মন পরিবর্তন করিনি কিন্তু আমরা ইয়োবের মতন করে বলতে পারতাম, "পূর্ব্বে তোমার বিষয় কর্ণে শুনিয়াছিলাম: কিন্তু সম্প্রতি আমার চক্ষু তোমাকে দেখিল" (ইয়োব ৪২:৫)| এর অর্থ এই নয় যে তিনি প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বরকে দর্শন করেছিলেন| এটা হল এইরকম বলার একটা লৈখিক পদ্ধতি যে তিনি ঈশ্বরের বিষয়ে শুনেছিলেন, কিন্তু এখন তিনি জানেন যে ঈশ্বর হচ্ছেন বাস্তব এবং তিনি ছিলেন একজন পাপী, কাজেই তিনি বলেছিলেন, "কোন কারণে আমি নিজেকে ঘৃণা সহকারে পরিহার করি, এবং অনুতাপ করি" (ibid.)| এবং যিশাইয়র অভিজ্ঞতাও ছিল যাকোব এবং ইয়োবের অভিজ্ঞতার অনুরূপ - এবং ডঃ কেগান ও আমার নিজের অভিজ্ঞতার অনুরূপ - যখন আমি পনের বছর বয়সী ছিলাম, আমার ঠাকুমার ভয়ানক অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার পরে| যিশাইয় বলেছিলেন, “যে বৎসর উষীয় রাজার মৃত্যু হয় আমি প্রভুকে এক উচ্চ ও উন্নত সিংহাসনে, উপবিষ্ট দেখিলাম, তাঁহার রাজবস্ত্রের [তাঁহার বস্ত্রের] অঞ্চলে মন্দির পূর্ণ হইয়াছিল” (যিশাইয় ৬:১)| ডঃ জে. ভারন্ন ম্যাকগী বলেছিলেন, যে বৎসরে রাজা উষীয়ের মৃত্যু হইয়াছিল, যিশাইয় চিন্তা করিতেছিলেন, "উত্তম রাজা উষীয় মৃত, এবং সমস্ত কিছুই এখন [মন্দ] চলিতেছে| ইস্রায়েলকে বন্দী করা হইবে| সাফল্যের নিবৃত্তি হইবে| একটি হতাশা আসিবে, এবং ইহা অনুসরণ করিয়া দূর্ভিক্ষ আসিবে|" সেইরূপ মানসিক কাঠামো লইয়া যাহা প্রত্যেক ব্যক্তি করিতে বাধ্য যিশাইয় তাহাই করিয়াছিলেন - তিনি মন্দিরে যাইতেন... ঈশ্বরের মন্দিরে যিশাইয় আবিষ্কার করিলেন যে জাতির প্রকৃত রাজা মৃত হন নাই| "আমি দেখিয়াছিলাম যে প্রভু একটি সিংহাসনের উপরে উপবিষ্ট আছেন, উচ্চ ও উন্নত, এবং তাঁহার রাজবস্ত্র মন্দির পূর্ণ করিয়াছে" - ঈশ্বর সিংহাসনে উপবিষ্ট...ঈশ্বর উচ্চ এবং উন্নত, এবং তিনি পাপের সহিত কোন সমঝোতা করিবেন না (J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, vol. III, Thomas Nelson Publishers, 1982; note on Isaiah 6:1)| এখন যিশাইয় ৬:৩ পদটির দিকে দেখুন| সেখানে সরাফগণ, স্বর্গদূতেরা ছিলেন, "আর তাঁহারা পরস্পর ডাকিয়া, বলিতে লাগিলেন, পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র, বাহিনীগণের সদাপ্রভু: সমস্ত পৃথিবী তাঁহার প্রতাপে পরিপূর্ণ" (যিশাইয় ৬:৩)| তারা কেঁদে উঠেছিল এই বলে যে, "পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র বাহিনীগণের সদাপ্রভু|" টেক্সাসের, ডালাসে প্রায় ষাট বছর ধরে থাকা সেই বিখ্যাত পালক, ডঃ ডব্লিউ. এ. ক্রিস্ওয়েল, বলেছিলেন, ত্রিত্বের মধ্যে, "আমি চিন্তা করিব যে ইহা ঈশ্বরের তিনটি বৈভবের সহিত সম্পর্কযুক্ত" (W. A. Criswell, Ph.D., Isaiah: An Exposition, Zondervan Publishing House, 1977, p. 53)| পুণ্য, পুণ্য, পুণ্য! যদি আপনার ঈশ্বর সম্বন্ধে কোন সচেতনতা না থাকে - শাস্ত্রের সেই পবিত্র ত্রিত্ব ঈশ্বরের বিষয়ে সচেতনতা - যদি তাঁর পবিত্রতা, ন্যায়পরায়ণতা, এবং ক্ষমার বিষয়ে কোন সচেতনতা আপনার না থাকে - তবে কিভাবে আপনি কখনও প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হওয়ার আশা করতে পারেন? ২| দ্বিতীয়ত, সেখানে অবশ্যই পাপের চেতনা হবে | যিশাইয় ৬:৫ পদটি দেখুন, "তখন আমি কহিলাম, হায়! আমি নষ্ট হইলাম; কেননা আমি অশুচি-ওষ্ঠাধর মনুষ্য, এবং অশুচি-ওষ্ঠাধর জাতির মধ্যে বাস করিতেছি: আর আমার চক্ষু রাজাকে, বাহিনীগণের সদাপ্রভুকে দেখিতে পাইতেছে" (যিশাইয় ৬:৫)| ত্রিত্ব পবিত্র ঈশ্বরের সচেতনতা ভাববাদীদের তাদের পাপ দেখিয়েছিল, "আমি অশুচি-ওষ্ঠাধর মনুষ্য|" ঈশ্বর আপনার সামনে যদি "জগতের বিচারকর্তা" হিসাবে নিজেকে প্রকাশ না করেন তাহলে আপনি সেই ধরনের মন পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা কখনই লাভ করতে পারেন না| ডঃ ডেভিড ওয়েলস্ হলেন একজন পুনঃজাগরিত ঈশ্বর তত্ত্ববিদ| তিনি বলেছিলেন, সেই ভাববাদী ভয়ঙ্করভাবে [বিপদের] জন্য সচেতন হইয়াছিলেন যাহাতে ঈশ্বরের চরিত্র মানুষে স্থান পায়| তাঁহার জ্যোতির সন্মুখে কেহ দাঁড়াইতে পারে না| প্রত্যেকেই ইহার দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হন কারণ ইহা হইতেছে সেই ধরনের জ্যোতি যাহা স্বয়ং দৃঢ়ভাবে ভ্রান্ত, বিপথগামী, স্বার্থপর, অবিশ্বাস, অকৃতজ্ঞ, এবং অবাধ্যতার বিরুদ্ধে নিজে সরাসরি ঘোষণা করেন...যিশাইয় তাহার দর্শনে ইহা দেখিয়াছিলেন এবং তৎক্ষণাৎ ঈশ্বরকে সেই আলোকে, ঘোষণা করিয়াছিলেন, 'হায়! আমি নষ্ট হইলাম; কেননা আমি অশুচি-ওষ্ঠাধর মনুষ্য, এবং অশুচি ওষ্ঠাধর জাতির মধ্যে বাস করিতেছি; আর আমার চক্ষু রাজাকে, বাহিনীগণের সদাপ্রভুকে দেখিতে পাইতেছে!' (যিশা. ৬:৫)| ইহা অনেক পাঠ্যাংশের মধ্যে একটি যথাযথ পাঠ্যাংশ যাহা বেদনা এবং আতঙ্কের মধ্যে ঈশ্বরের প্রকৃত পবিত্রতার কথা বলে (David F. Wells, Ph.D., The Courage to Be Protestant, Eerdmans Publishing Company, 2008, p. 125)| ডঃ ডব্লিউ. এ. ক্রিস্ওয়েল বলেছিলেন, ইহা ঈশ্বরকে দেখিবার জন্য আত্মার চক্ষু গ্রহণ করে, হৃদয়ের কর্ণকে গ্রহণ করে ঈশ্বরকে শুনিবার জন্য| যাহারা অন্ধ, তাহাদের প্রতি তিনি বিদ্যমান হন না| যাহারা বধির, তাহাদের প্রতি তিনি কথা বলেন না| যাহাদের দেখিবার চক্ষু রহিয়াছে, শুনিবার কর্ণ রহিয়াছে, অনুভব করিবার মতন একটি হৃদয় আছে, ঈশ্বর গৌরবে চিরকালের জন্য আমাদের সন্মুখে উপস্থিত থাকেন| যিশাইয় এর দর্শনে, তিনি নিজেকে পাপপূর্ণ এবং অযোগ্য বলিয়া অনুভব করিয়াছিলেন| যে কোন ব্যক্তি যিনি ঈশ্বরের উপস্থিতিতে সন্মুখে দাড়াইয়া আছেন তিনি তাহার উপরে প্রসারিত অযোগ্যতা এবং অশুচিতার প্লাবনকে অতিক্রম করিতে দেখিবেন (Criswell, ibid., p. 54)| কোন একদিন আপনি সামনা সামনি ঈশ্বরের সাক্ষাৎ পাবেন| আপনার মৃত্যুর সময়ে আপনি তাঁর বিচার পাবেন যদি, এই জীবনে আপনি এখনও পরিত্রাণ প্রাপ্ত না হয়ে থাকেন| আপনি যে ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হবেন সেই ঈশ্বর আপনার নিজের মানসিক কল্পনার ঈশ্বর নন| এবং ইনি জগতের যে কোন ধর্মের ঈশ্বর নন| আপনি বাইবেলের ঈশ্বরের সন্মুখীন হবেন| এবং তিনি আপনার পাপের জন্য, বিশেষ করে আপনার হৃদয় এবং মনের পাপের জন্য আপনার বিচার করবেন| আপনার কৃত পাপ থেকে ক্ষমা পাওয়ার মতন সেখানে শুধু একটিই মাত্র রাস্তা আছে, আর সেটা হল আপনার পরিবর্তে - ক্রুশের উপরে খ্রীষ্টের মৃত্যুর মাধ্যমে| আপনার পাপ থেকে শুচি হওয়ার একটাই পথ এবং সেটা হল ক্রুশের উপরে খ্রীষ্টের প্রবাহিত রক্তের মাধ্যমে| ডঃ মার্টিন লয়েড-জোন্স বলেছিলেন, "আমাদের সুসমাচার হইতেছে রক্তের সুসমাচার; রক্তই হইতেছে ভিত্তি; ইহা ব্যতীত সেস্থানে আর কিছুই নাই" (God’s Way of Reconciliation, Ephesians 2, The Banner of Truth Trust, 1981, p. 240)| এখন ৮ নং পদটির দিকে দেখুন| "পরে আমি প্রভুর রব শুনিতে পাইলাম, তিনি বলিলেন, আমি কাহাকে পাঠাইব, আমাদের পক্ষে কে যাইবে? আমি কহিলাম, এই আমি; আমাকে পাঠাও" (যিশাইয় ৬:৮)| এখন যিশাইয় প্রচারের জন্য আহুত| "এই আমি| আমাকে পাঠাও|" এবং তিনি যাবেন এবং তিনি নিজে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তা অন্যদের মধ্যে প্রচার করবেন| আপনি একমাত্র পরিত্রাত হবেন যদি আপনি যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করেন এবং তাঁর পবিত্র রক্তের দ্বারা শুচি হন| আপনি ঈশ্বরের সন্মুখীন হতে সক্ষম হবেন একমাত্র যদি আপনি তাঁর পুত্র, যীশুর রক্তের দ্বারা নিজের কৃত পাপ থেকে শুচি হতে পারেন| স্বর্গে আমরা একটি নতুন গান গাইব, "আপনার রক্ত দ্বারা সমুদয় বংশ ও ভাষা ও জাতি ও লোকবৃন্দ হইতে ঈশ্বরের নিমিত্ত, লোকদের ক্রয় করিয়াছ" (প্রকাশিত বাক্য ৫:৯)| আমি আজ সকালে আপনাদের কাছে বিনতি করছি যে যীশুতে বিশ্বাস করুন এবং তাঁর রক্তের দ্বারা ঈশ্বরের দৃষ্টিতে শুচি হন! আমেন| ডঃ চান, অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনায় পরিচালনা করুন| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রুধোম্মে: যিশাইয় ৬:১-৮ | |
খসড়া চিত্র মন পরিবর্তন এবং যিশাইয়ের আহ্বান THE CONVERSION AND CALL OF ISAIAH লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র। “যে বৎসর উষীয় রাজার মৃত্যু হয় আমি প্রভুকে এক উচ্চ ও উন্নত সিংহাসনে, উপবিষ্ট দেখিলাম, তাঁহার রাজবস্ত্রের অঞ্চলে মন্দির পূর্ণ হইয়াছিল” (যিশাইয় ৬:১)| ১| প্রথমত, সেখানে অবশ্যই ঈশ্বরের বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিৎ, ইফিষীয় ৪:১৮;
২| দ্বিতীয়ত, সেখানে অবশ্যই পাপের চেতনা হবে, যিশাইয় ৬:৫, ৮;
|