Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




আজকের যুদ্ধের জন্য প্রার্থনার যোদ্ধাগণ !

PRAYER WARRIORS FOR TODAY’S BATTLE!
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনিয়র।
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৫ সালের, ৯ই অগাষ্ট, সদাপ্রভুর দিনের সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Evening, August 9, 2015

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়টি ছিল যা আমি এতদিন ধরে শিখেছি? আমি বলব যে যখন আমি শিখেছিলাম খ্রীষ্টধর্ম্ম হচ্ছে প্রকৃত! লস্ এঞ্জেল্সের প্রথম চিনা ব্যপটিষ্ট মন্ডলীর ডঃ তিমথী লিন এর কাছ থেকে আমি প্রথম একথা শিখেছিলাম যে, খ্রীষ্টধর্ম্মই হল প্রকৃত ধর্ম্ম| তিনি ছিলেন এক দূর্লভ প্রচারক, যিনি প্রকৃতই ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেন| যখন কোন মানুষ প্রকৃতভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন তখন সেই বিশ্বাস তাকে একটু আলাদা করে দেয়| সেটা তাকে অন্য প্রচারকদের থেকে পৃথক করে, এবং অনেক উচ্চে স্থান করে দেয়|

ডঃ তিমথী লিন চিনদেশ থেকে আগত এক পালক ছিলেন| যতদিন না তিনি একজন পূর্ণবয়স্ক লোক হয়ে উঠেছিলেন ততদিন তিনি আমেরিকায় আসেননি| যা তিনি বিশ্বাস ও প্রচার করতেন সেগুলি ছিল সেগুলিকে আমি বলি “জীবন্ত খ্রীষ্টধর্ম্ম|” না, লোকেরা একজন পেন্টাকোষ্টাল বা ক্যারিস্মেটিককে যা বলতেন তিনি তা ছিলেন না – তবুও তিনি বিশ্বাস করতেন আত্মার পরিপূর্ণতায়, শয়তানে, স্বর্গদূতে, ঈশ্বর থেকে প্রাপ্ত “বার্তা”য়, প্রকৃত প্রার্থনার প্রকৃত উত্তরে, এবং উদ্দীপনায় পবিত্র আত্মার প্রবহণে| সংক্ষেপে বলা যায় যে, তিনি “জীবন্ত” খ্রীষ্টধর্ম্মে বিশ্বাস করেছিলেন| চিনদেশের একজন যুবক হিসাবে তিনি এটা শিখেছিলেন| তার বাবা একজন পালক হিসাবে সেখানে নিজের সারাজীবন অতিবাহিত করেছিলেন|

অনেক লোক আমাকে বলতেন, “যে সমস্ত চিনা প্রচারক ডঃ লিনের মন্ডলী থেকে বেরিয়ে এসেছেন তাদের তুলনায় আপনি অনেক বেশি পরিমানে ডঃ লিনের সমতুল্য|” ডঃ কেগান সেই কথাটিই গত বৃহস্পতিবারে আমাকে আবার বলেছিলেন| আমি এটাকে একটা প্রশংসা বলেই বিবেচনা করছি কারণ ডঃ লিন “জীবন্ত” খ্রীষ্টধর্ম্মে বিশ্বাস করতেন|

সেই বছরগুলিতে সেখানে বসবাস করা বাস্তবিকপক্ষে আমার কাছে খুব কষ্টসাধ্য ছিল, কারণ বেশির ভাগ সময়ে আমিই সেখানে একমাত্র সাদা চামড়ার বালক হিসাবে থাকতাম| কিন্তু আমি জানতাম যে আমাকে থাকতেই হবে এইজন্য যে, সেটাই ছিল ঈশ্বরের ইচ্ছা যে আমি সেখানে থাকি| এবং আমি যা কিছু জেনেছি তা সবই সেইখানে, ডঃ তিমথী লিনের কাছ থেকে| আমি তার সঙ্গে প্রত্যেকটি বিষয়ে সহমত হই না, কিন্তু আমি তার মত করে চিন্তা করি| আমি জীবন্ত খ্রীষ্টধর্ম্মে বিশ্বাস করি!

আপনাকেও প্রকৃতপক্ষে ডঃ লিনের অনুরূপ চিন্তা করতে হবে যদি আপনি ইফিষীয়, ষষ্ঠ অধ্যায়ের দ্বিতীয় অর্ধাংশটি বুঝতে চান| আমি একাধিক টীকাকারের লেখা টীকা পড়েছি যারা গ্রন্থের এই অংশটি পাঠ করে বিভ্রান্ত হয়েছিলেন| পরের কয়েক মিনিটে আমি আপনাদের জন্য এই অংশটি ব্যাখ্যা করে দেব| অনুগ্রহ করে ইফিষীয় ৬:১০ পদটি খুলুন| এটা স্কোফিল্ড স্টাডি বাইবেলের ১২৫৫ পৃষ্ঠায় আছে| অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়াবেন যখন আমি ষষ্ঠ অধ্যায়ের, পদগুলির ১০ থেকে ১২ পর্যন্ত পড়ব|

ইফিষীয় খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের প্রতি এটাই ছিল প্রেরিত পৌলের সর্বশেষ বিবৃতি| সেই সমস্ত প্রাচীন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের তিনি সেদিন যা যা বলেছিলেন তার সবই বর্তমানে আমাদের জন্যেও ব্যপকভাবে প্রযোজ্য|

১| প্রথমত, প্রেরিত আত্মিক যুদ্ধের বিষয়ে বলছেন |

“শেষ কথা এই, তোমরা, প্রভুতে ও তাঁহার শক্তির পরাক্রমে, বলবান্ হও| ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান কর, যেন দিয়াবলের নানাবিধ চাতুরীর সন্মুখে দাঁড়াইতে পার| কেননা রক্তমাংসের সহিত নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, কত্তৃর্ত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে” (ইফিষীয় ৬:১০-১২)|

আপনারা এখন বসতে পারেন| প্রেরিত আমাদের বলছেন যে আমরা একটি যুদ্ধক্ষেত্রে বসবাস করি| খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের জীবন হচ্ছে একটি যুদ্ধের জীবন| আমরা দিয়াবল এবং তার আত্মাগণের সঙ্গে যুদ্ধে নিযুক্ত আছি| ডঃ এ. ডব্লিউ. টোজার একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন যার নাম হচ্ছে, This World: Playaground or Battleground? (Christian Publications, 1988, pp. 1-4)| ডঃ টোজার বলেছিলেন,

     পূর্বকালে…মানুষেরা কল্পনা করিয়াছিলেন যে জগৎ হইতেছে যেন একটি যুদ্ধক্ষেত্র| আমাদের পিতাগণ বিশ্বাস করিতেন পাপ এবং শয়তান এবং নরককে একটি গঠনকারী শক্তি হিসাবে, এবং তাহারা বিশ্বাস করিতেন ঈশ্বর এবং ধার্ম্মিকতা এবং স্বর্গকে অপর একটি শক্তি হিসাবে| তাহাদের একান্ত নিজস্ব স্বভাবের দ্বারা, এই শক্তিগুলি চিরকাল ধরিয়া গভীর, ধ্বংসাত্মক এবং শত্রুভাবাপন্ন প্রতিকূলতায়, মীমাংসাহীনভাবে একে অপরের প্রতি বিরোধিতা করিয়া চলিতেছে| আমাদের পিতাগণ, ধরিয়া নিয়াছিলেন যে, মনুষ্যগণকে কোন একটি পক্ষ অবলম্বন করিতে হইয়াছিল – সে নিরপেক্ষ থাকিতে পারে নাই| অবশ্যই তাহার জন্য ইহা হইতেছে জীবন অথবা মৃত্যু, স্বর্গ অথবা নরক, এবং যদি সে ঈশ্বরের পক্ষ অবলম্বন করিতে ইচ্ছুক থাকে, তাহা হইলে সে ঈশ্বরের শত্রুদের সহিত খোলাখুলি যুদ্ধ প্রত্যাশা করিতে পারে| যুদ্ধ হইবে প্রকৃত এবং মৃত্যুজনক বা প্রাননাশক এবং ইহা ততদিন স্থায়ী হইবে যতদিন এই স্থানে [এই পৃথিবীতে] জীবন থাকিবে, ibid., p.2 |

কিন্তু ডঃ টোজার বলেছেন যে আমাদের সময়ে এই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে| তিনি বলেছিলেন, “এই জগত একটি যুদ্ধক্ষেত্র এই ধারণার পরিবর্তে জগত হইতেছে একটি বৃহৎ খেলার মাঠ এই ধারণা বর্তমানে অন্ধবিশ্বাসযুক্ত খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের একটি বিশাল অংশ কার্যকরভাবে গ্রহণ করিয়াছে” (ibid., p.4)|

আমার মনে হয় যে ডঃ টোজার যে সঠিক বলেছিলেন সেকথা আমাদের মেনে নিতে হবে| আজকের সুসমাচারমূলক খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা দিয়াবল এবং শয়তানের বিষয়ে শুনতেই চায় না| তারা চিন্তা করতে চায় না যে তারা হলেন মন্দশক্তির সঙ্গে মহাজাগতিক যুদ্ধের সৈনিক| আমি মনে করি এর প্রধান কারণ হল এই যে তাদের মধ্যে বেশির ভাগই পরিত্রাণ প্রাপ্ত ছিলেন না| আত্মিক যুদ্ধে তাদের চোখ অন্ধ হয়ে আছে| যখন তারা শোনে যে প্রেরিত বলছেন, “প্রভুতে দৃঢ় হও” তখন তারা বুঝতে পারে না যে তিনি কি বোঝাতে চাইছেন| কেন তারা বোঝে না? কারণ তারা “প্রভুর মধ্যে” নাই – এবং যেহেতু তারা যীশুর “মধ্যে” নাই, তারা সম্ভবত তাঁর থেকে শক্তি সঞ্চয় করতে পারেন না! ডঃ এস. ডি. এফ. সালমন্ড বলেছিলেন যে শক্তিশালী হওয়া “কার্য্যকারী হতে পারে কেবল খ্রীষ্টের সঙ্গে মিলিত হলে” (“The Epistle to the Ephesians,” The Expositor’s Greek New Testament, volume III, Eerdmans, n.d., p. 382)|

ডঃ জে. ভারন্ন ম্যাকগী বলেছেন, “আপনার নিজের শক্তিতে এবং নিজের ক্ষমতায় আপনি শয়তানের উপর বিজয়লাভ করিতে পারেন না| পৌল নিশ্চয়ই দুইটি গ্রীক শব্দ লইয়া খেলা করিয়াছেন: ঈশ্বরের সেই panoplian [যুদ্ধাস্ত্র] প্রয়োজন এবং তাহা শয়তানের methodias [কৌশল, ছলনা, বা প্রণালী] এইসবের সন্মুখীন হইবার জন্য উপলভ্য আছে| ‘প্রভুর মধ্যে দৃঢ়কৃত হও’ – উহাই হইতেছে একমাত্র স্থান যেস্থানে আপনি এবং আমি শক্তি পাইব” (J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, volume 5, Thomas Nelson Publishers, 1983, pp. 278, 279; note on Ephesians 6:10, 11)|

প্রথম স্থানে থেকে পরিত্রাত হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিশ্বাসের দ্বারা খ্রীষ্টের কাছে আসতে হবে| এবং আপনাকে অবশ্যই বার বার তাঁর কাছে আসতে হবে প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে, ক্রুশের এক সৈনিক হিসাবে “তাঁহার শক্তির ক্ষমতা” পাওয়ার জন্য!

২| দ্বিতীয়ত, প্রেরিত আমাদের শত্রুর বিষয়ে বলছেন |

অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়ান যখন আমি ইফিষীয় ৬:১২ পড়ি|

“কেননা রক্তমাংসের সহিত নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, কত্তৃর্ত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে” (ইফিষীয় ৬:১০-১২)|

আপনারা এখন বসতে পারেন|

এই পদে প্রেরিত যে দিয়াবলদের কথা বলেছেন তাদের সম্বন্ধে প্রথম এবং দ্বিতীয় শতাব্দীর খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা খুব সচেতন ছিলেন| ডঃ মাইকেল গ্রীন তার Evangelism in the Early Church নামের বইয়ে বলেছেন যে সেই প্রাচীন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করতেন যে

সমস্ত জগত এবং ইহার পরিবেষ্টিত বায়ুমন্ডল দিয়াবলে পরিপূর্ণ; কেবলমাত্র প্রতিমাপূজা নয়, কিন্তু জীবনের প্রতিটি ধাপ এবং ধরন তাহাদের দ্বারা পরিচালিত| তাহারা সিংহাসনে বসিয়া থাকিত, তাহারা বৃত্তাকার দোলনায় ইতঃস্তত ঘোরাফেরা করিত| জগত হইয়াছিল আক্ষরিক অর্থে নরক, যদিও তাহা অবিরামভাবে ঈশ্বরের সৃষ্টি হইয়াই চলিতেছিল| এই নরক এবং ইহার সমস্ত দিয়াবলদের সন্মুখীন হইবার জন্য খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণকে অস্ত্রের আদেশ করা হইয়াছিল যাহা ছিল অজেয়…খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণ ওঝা বা গুণিন হিসাবে জগতে বাহির হইয়াছিলেন…যাহা সমর্থন করিয়াছিল খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণের সেই দাবি যে যীশু ক্রুশের উপরে দানবিক শক্তিসকল জয় করিয়াছেন, তিনি পরিত্রাণ আনয়ণ করিবার জন্য আসিয়াছেন (Michael Green, Ph.D., Evangelism in the Early Church, Eerdmans, 2003, pp. 263, 264)|

আমাদের সময়ে, ডঃ জে. ভারন্ন ম্যাকগী বলেছেন

শত্রু হইল আত্মিক| ইহা হইতেছে সেই শয়তান যিনি নিজের দানবিক শক্তিগুলি আগাইয়া দেন| এক্ষণে আমাদিগকে চিহ্নিত করিতে হইবে যে কোথায় যুদ্ধ| আমি মনে করি যে মন্ডলী আত্মিক যুদ্ধ দেখিবার দৃষ্টিশক্তি হারাইয়াছে (ibid., p. 280; note on Ephesians 6:12)|

ডঃ মার্টিন লয়েড-জোন্স এই একই কথা বলেছিলেন| তিনি বলেছিলেন, “বর্তমানে মন্ডলীর অসুস্থ [মন্দ] অবস্থায় থাকিবার প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি হইল সেই সত্য যে ইহা দিয়াবলের সত্ত্বাকে ভুলিয়া গিয়াছে…মন্ডলী এখন মাদকাসক্ত এবং প্রবঞ্চিত; সে কোনপ্রকার সংঘর্ষের বিষয়ে আদৌ সচেতন নয়” (The Christian Warfare, The Banner of Truth Trust, 1976, pp. 292, 106)|

কোন আশ্চর্যের কিছু নেই যে সাউদার্ণ ব্যাপটিষ্ট মন্ডলী গত বছরে ২০০,০০০ জন সদস্য হারিয়েছে| এবং তারা এই বছরে আরও বেশি সংখ্যায় সদস্য হারাচ্ছেন| এই সমস্ত তথাকথিত ধর্মপ্রচারকেরা দলবেঁধে মন্ডলী থেকে দৌড়ে পালাচ্ছেন| তারা ISIS কে ভয় পায়, তারা যৌন আন্দোলনকে ভয় পায়, তারা ইরানকে ভয় পায়, তারা ওবামা থেকে ভীত, তারা সমস্ত কিছুতেই ভয় পায়! কিন্তু যদি আমরা খ্রীষ্টের শক্তি পরিধান করে থাকি তাহলে আমাদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই!

৩| তৃতীয়ত, প্রেরিত আমাদের যুদ্ধসজ্জার বিষয়ে বলছেন |

অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়ান যেহেতু আমি ১৩ থেকে ১৭ তম পদগুলি পড়ছি,

“এইজন্য তোমরা ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা গ্রহণ কর, যেন সেই কুদিনে প্রতিরোধ করিতে, এবং সকলই সম্পন্ন করিয়া, দাঁড়াইয়া থাকিতে পার| অতএব, সত্যের কটিবন্ধনীতে বদ্ধকটি হইয়া, ধার্ম্মিকতার বুকপাটা পরিয়া; এবং শান্তির সুসমাচারের সুসজ্জতার পাদুকা চরণে দিয়া দাঁড়াইয়া থাক; এই সকল ছাড়া, বিশ্বাসের ঢালও গ্রহণ কর, যাহার দ্বারা তোমরা সেই পাপাত্মার সমস্ত অগ্নিবাণ নির্ব্বাণ করিতে পারিবে| এবং পরিত্রাণের শিরস্ত্রাণ, ও আত্মার খড়্গ, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ কর” (ইফিষীয় ৬:১৩-১৭)|

আপনারা বসতে পারেন|

লক্ষ্য করুন যে প্রেরিত বলছেন, “তোমরা ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা গ্রহণ কর” প্রস্তুত কর নয়, কিন্তু গ্রহণ কর| গ্রহণ করার জন্য সমগ্র যুদ্ধসজ্জা মুক্ত করা আছে| ডঃ ম্যাকগী বলেছিলেন, “যুদ্ধসজ্জার প্রত্যেকটি টুকরো প্রকৃতপক্ষে খ্রীষ্টের কথা বলিতেছে|” তিনি হলেন সেই সত্য (১৪ক পদ)| তিনিই আমাদের ধার্ম্মিকতা (১৪খ পদ)| তিনিই আমাদের পাদুটিকে ধার্ম্মিকতার পথে হাঁটার জন্য পরিচালিত করেন (১৫ পদ)| তিনি আমাদের ঢাল| তিনি আমাদের পরিত্রাণের শিরস্ত্রাণ (১৬ পদ)| এইগুলি সবই প্রতিরোধ করে| এটা আমাদের বলছে যে খ্রীষ্টই হলেন আমাদের প্রতিরোধক| যখন আপনি তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন আপনার মন পরিবর্তন ঘটে| যেহেতু আপনি তাঁর উপস্থিতি মান্য করছেন সেহেতু খ্রীষ্ট এই প্রতিরোধকগুলি আপনাকে পরিধান করিয়ে দেন| খ্রীষ্টই হলেন আমাদের প্রতিরোধক| যখন আপনি তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন আপনার মন পরিবর্তন ঘটে, এবং যেহেতু আপনি তাঁর উপস্থিতি মান্য করছেন সেহেতু খ্রীষ্ট এই প্রতিরোধকগুলি আপনাকে পরিধান করিয়ে দেন|

এরপরে প্রেরিত বলছেন, গ্রহণ কর “আত্মার খড়্গ, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য” (১৭ পদ)| সেই কারণে আপনাকে অবশ্যই বাইবেল অধ্যয়ণ করতে হবে এবং যত বেশি করে পারেন তার পদগুলিকে মুখস্থ করে রাখতে হবে| আমার জীবনে একটা সময় ছিল যখন বাইবেলের একটি পদ যা আমি বহুদিন আগে থেকে মুখস্থ করে রেখেছিলাম, আমার কাছে আবার ফিরে এসেছিল এবং শয়তানকে পরাস্ত করতে আমায় সাহায্য করেছিল| আমি সেই রাত্রিটা কখনও ভুলব না যখন সেই বাক্য “তিনি আমাদিগকে সেই প্রিয়তমে অনুগৃহীত করিয়াছেন” (ইফিষীয় ১:৬) আমার কাছে এসেছিল এবং আমাকে সম্পূর্ণ হতাশা থেকে উদ্ধার করেছিল| আপনি যত বেশি করে বাইবেলের পদ মুখস্থ করবেন তত বেশি করে জানবেন যে আত্মার খড়্গ হচ্ছে ঈশ্বরের বাক্য| আমার জীবনের পদটি হল ফিলিপীয় ৪:১৩,

“যিনি আমাকে শক্তি দেন তাঁহাতে আমি সকলই করিতে পারি|”

পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই পদটি হয়ে আছে ভয় এবং দূর্বলতার বিরুদ্ধে আমার খড়্গ| যখন আমি একটা বেপরোয়া অবস্থানে ছিলাম তখন গীতসংহিতা সাতাশ, বিশেষ করে এর শেষ দুটি পদ বহুবার আমার খড়্গ হয়েছে| সেগুলি আপনার মুখস্থ করা উচিৎ| বিশ্বাসের যুদ্ধে সেগুলো আপনাকে সাহায্য করবে|

৪| চতুর্থত, সবশেষে, প্রেরিত বলছেন, যুদ্ধে দক্ষ যোদ্ধাদের বিষয় |

অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়ান যেহেতু আমি ১৮ এবং ১৯ পদদুটি পড়ছি|

“সর্ব্ববিধ প্রার্থনা ও বিনতি সহকারে সর্ব্বসময়ে আত্মাতে প্রার্থনা কর, এবং ইহার নিমিত্ত সম্পূর্ণ অভিনিবেশ ও বিনতিসহ জাগিয়া থাক; সমস্ত পবিত্র লোকের জন্য এবং আমার পক্ষে বিনতি কর, যেন মুখ খুলিবার উপযুক্ত বক্তৃতা আমাকে দেওয়া যায়, যাহাতে আমি সাহস পূর্ব্বক, সেই সুসমাচারের নিগূঢ়তত্ত্ব জ্ঞাত করিতে পারি” (ইফিষীয় ৬:১৮, ১৯)|

আপনারা এখন বসতে পারেন|

লিওনার্ড রেভেনহিল যা বলেছেন তার কিছুটা আমার মনে আছে| আমি মনে করতে পারছি না যে তিনি এটা ঠিক কোথায় বলেছিলেন, তবে সেটা আমার মনে গেঁথে গিয়েছিল| রেভেনহিল বলেছিলেন, “প্রার্থনাই হল সেই যুদ্ধ|” এটা এমন নয় যে প্রার্থনা আমাদেরকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে দেয়| না! প্রার্থনা হচ্ছে যুদ্ধ!

ডঃ মেরিল এফ. আঙ্গার দীর্ঘ-দিন ধরে ডালাস থিয়োলজিক্যাল সেমিনারীতে নিযুক্ত একজন অধ্যাপক ছিলেন| তিনি একটি অসামান্য বই লিখেছিলেন, যার নাম Biblical Demonology (Kregel Publications, 1994 reprint)| আমি শুনেছি যে কিছু জাগতিক প্রচারক এই বইটাকে বিপদজনক বলেন| আমি মনে করি যে সেই প্রচারকরাই বড় বিপদজনক! দিয়াবল, পবিত্র আত্মা এবং প্রার্থনার শক্তির বিষয়ে সচেতন না হয়ে, কিভাবে সেই প্রচারকরা দিনের পর দিন প্রচার করতে পারতেন? কোন আশ্চর্যের বিষয় নয় যে ২০০,০০০ জন সাউদার্ণ ব্যাপটিষ্ট গত বছরে তাদের মন্ডলী ছেড়ে চলে গিয়েছিল! আশ্চর্যের কিছুই নেই যে এতগুলি স্বাধীন ব্যাপটিষ্ট মন্ডলী তাদের রবিবারের সন্ধ্যার সেবাকাজ বন্ধ করে দিয়েছে! আশ্চর্যের কিছু নয় যে আমাদের ব্যাপটিষ্ট মন্ডলী তাদের নিজেদের ৮৮% যুবককে জগতের মাঝে হারিয়ে দিয়েছে! সেই সমস্ত প্রচারক, যারা দিয়াবল এবং প্রার্থনার শক্তির সম্বন্ধে চিন্তা করেন না, প্রকৃতপক্ষে তারা আমাদের মন্ডলীতে এই অবাধ স্বধর্ম্মত্যাগ বন্ধ করার জন্য কিছুই করতে পারেন না| কিন্তু পিশাচ তত্ত্বের উপর লেখা আঙ্গারের বইটির বিষয়ে খ্যাতনামা পন্ডিত ডঃ উইলবার এম. স্মিথ গভীরভাবে চিন্তা করেছিলেন| ডঃ স্মিথ বলেছিলেন, “আমি অনুভব করিয়াছি যে [ইহা] বর্তমানে সমস্ত সুসমাচার প্রচারকদের হস্তে থাকা উচিৎ” (Introduction to Dr. Unger’s book, p. xi)| আমি মনে করি ডঃ উইলবার এম. স্মিথ একেবারে সঠিক কথা বলেছিলেন| আপনি যদি এই প্রচারটি পড়ছেন, অথবা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেখছেন, তাহলে আমি আপনাকে উৎসাহিত করছি যে আঙ্গারের এই বইটির একটি কপি কিনুন এবং একজন পালককে সেই বইটা দিন যার কাছে এটা নেই|

ডঃ আঙ্গার সঠিকভাবে বলেছিলেন, “প্রার্থনার বিধানকে [যাহা ইফিষীয় ৬:১৮, ১৯ পদের অন্তর্ভূক্ত আছে] যোদ্ধার ব্যবহারযোগ্য সম্পদের একটি অংশ…অথবা অন্য একটি যুদ্ধাস্ত্র হিসাবে বিবেচনা করিতে হয় না…ইফিষীয় ৬ অধ্যায়ের অন্তর্ভূক্ত প্রার্থনাই হইতেছে যথার্থ বিরোধীতা যাহাতে শত্রু [শয়তান] পরভূত [পরাজিত] হয় এবং বিজয় লাভ হইয়া থাকে, শুধুমাত্র আমাদের জন্য নয়, কিন্তু মধ্যস্থতার দ্বারা অপরের জন্যও” (ibid., p. 223; comments on Ephesians 6:19, 20; emphasis mine)|

পল কুক নামের একজন বৃটিশ পালক একটা বই লিখেছিলেন যার নাম হল Fire From Heaven (Evangelical Press Books, 2009)| প্রত্যেকের এই বইটি পড়া উচিৎ| সেই বইতে তিনি বলেছেন, “পবিত্র আত্মার টাটকা যোগান পাইবার জন্য আমাদের অবশ্যই পুনঃ পুনঃ প্রার্থনা করিতে হয়…ইহার অর্থ এই যে আমাদের ক্রমাগত প্রার্থনা এবং যাচ্ঞা করিয়া যাইতে হইবে| প্রাচীন মন্ডলীর লোকেরা ইহা করিত, এবং সেইজন্য আমাদেরও করিতে হইবে| ঈশ্বরের সমগ্র কার্য ইহার উপর নির্ভর করিতেছে…পবিত্র আত্মা হইতে টাটকা অনুলেপন [শক্তি]…[আমাদের অবশ্যই] আত্মার শক্তির টাটকা যোগান অন্বেষণ করিতে হইবে” (Rev. Paul E. Cook, Fire From Heaven: Times of Extraordinary Revival, ibid., pp. 120, 121)|

সমস্ত মূল বিষয়গুলির মধ্যে এটাই হল একটা যার জন্য আপনার প্রতিদিন প্রার্থনা করা উচিৎ - এবং বিশেষ করে আমাদের উপবাসের দিনে, শনিবারে| ডঃ জন্ আর. রাইস বলেছেন, “উপবাস এবং প্রার্থনার উত্তরে পবিত্র আত্মার শক্তি নামিয়া আসে” (John R. Rice, D.D., Prayer: Asking and Receiving, Sword of the Lord Publishers, 1970, p. 225)|

“সর্ব্ববিধ প্রার্থনা ও বিনতি সহকারে সর্ব্বসময়ে আত্মাতে প্রার্থনা কর, এবং ইহার নিমিত্ত সম্পূর্ণ অভিনিবেশ ও বিনতিসহ জাগিয়া থাক” (ইফিষীয় ৬:১৮)|

আপনি দেখছেন, প্রার্থনা হল যুদ্ধ| আমি চাই যে আপনি বিস্তারিতভাবে এবং নাম ধরে ধরে (যদি সম্ভব হয়) তাদের জন্য প্রার্থনা করুন যারা হারিয়ে গেছে| আমি চাই যে আপনি প্রার্থনা করুন যেন ঈশ্বরের আত্মা তাদের আমাদের মন্ডলীর প্রতি আকর্ষণ করেন, তাদের মন আলোকিত করেন সুসমাচারের সত্যের প্রতি, তাদের মধ্যে পাপের চেতনার উন্মেষ ঘটান, তাঁর বহুমূল্য রক্তের দ্বারা তাদের কৃত পাপ থেকে শুচী হওয়ার জন্য তাদের খ্রীষ্টের প্রতি আকর্ষণ করেন| প্রার্থনা হল যুদ্ধ| আমি এটাও চাই যে আপনি প্রার্থনা করুন যে আমাকে কি প্রচার করতে হবে তা ঈশ্বর যেন আমাকে দেখান, ঈশ্বর যেন অবিশ্বাসীদের অন্তরে প্রচারকে ব্যবহার করেন, সহভাগিতার সময়টিকে শক্তিশালী করেন| সাধারন প্রার্থনার সময়, এই বিষয়ে নিশ্চিত হন যে যখন কোন একজন পরিচালনা করছেন তখন আপনি সেখানে গুরুত্ব আরোপ করছেন| সেই লোকটি কি প্রার্থনা করছে তার প্রতি আপনার মনকে সজাগ রাখার ব্যাপারে নিশ্চিত হন – এবং প্রত্যেকটি আবেদনের শেষে “আমেন” বলুন| এছাড়া, শনিবারে আমাদের উপবাসের দিনে অনেকবার করে প্রার্থনা করার ব্যাপারে নিশ্চিত হন| যেদিন আপনি উপবাস করছেন, সেই শনিবার দিনের প্রার্থনার জন্য মূল বিষয়গুলি পুনরায় আমি এখানে বলে দিচ্ছি| আমেন| শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আপনি হলেন একজন প্রার্থনা যোদ্ধা! আপনি হলেন একজন মহান ব্যক্তি! ঈশ্বর আপনাকে আশীর্ব্বাদ করুন!

আপনাদের যারা এখনও হারিয়ে আছেন তাদের উদ্দেশ্যে দু-একটি কথা না বলে বাস্তবিকেই আমি শেষ করতে পারছি না| ঈশ্বরের ক্রোধের হাত থেকে পাপীদের রক্ষা করার জন্য যীশু ক্রুশের উপর মৃত্যুবরণ করেছেন| পাপীদের নূতন জন্ম এবং অনন্ত জীবন দান করার জন্যে যীশু মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন| কিন্তু ঈশ্বরের আত্মার কার্য ব্যতীত এই সমস্ত বিষয়গুলি আপনার কাছে সত্য হয়ে উঠবে না|

সেইজন্যে, গোটা সপ্তাহ ধরে, যখন আমরা প্রার্থনা করি, সবসময়ে পাপীদের রুটির জন্য প্রার্থনা করব| পাপীদের অন্ধকারাচ্ছন্ন মনকে আলোকিত করার জন্য, এবং তাদের মধ্যে পাপের চেতনার উপলব্ধি এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্টের জন্য তাদের অন্তরে বিশাল চাহিদার উপলব্ধি আনার জন্য, আমাদের কৃত সেবাকাজে ঈশ্বর যেন সেই পবিত্র আত্মাকে প্রেরণ করেন তার জন্য প্রার্থনা করুন! এখন লূক ১১:১৩ পদটির দিকে দেখুন| এটা স্কোফিল্ড স্টাডি বাইবেলের ১০৯০ পৃষ্ঠায় আছে| অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়ান যেহেতু আমি এটা পাঠ করব|

“অতএব তোমরা, মন্দ হইয়াও, যদি তোমাদের সন্তানদিগকে উত্তম উত্তম দ্রব্য দান করিতে জান: তবে ইহা কত অধিক নিশ্চয় যে স্বর্গস্থ পিতা যাহারা তাঁহার কাছে যাচ্ঞা করে তাহাদিগকে পবিত্র আত্মা দান করিবেন” (লূক ১১:১৩)|

এখন এই সপ্তাহের প্রার্থনার বিষয়ে একটি তালিকা দেওয়া হল, এবং বিশেষ করে শনিবারে|


(১)  আপনার উপবাস গোপন করে রাখুন (যতটা সম্ভব)| লোকদের বলে বেড়াবেন না যে আপনি উপবাস করছেন|

(২)  বাইবেল পাঠে কিছুটা সময়দিন| প্রেরিত পুস্তকের কিছু অংশ পড়ুন (বিশেষ করে শুরুর দিকটি)|

(৩)  শনিবারের উপবাসকালে যিশাইয় ৫৮:৬ মুখস্থ করুন|

(৪)  প্রার্থনা করুন যেন ঈশ্বর আমাদের মন্ডলীতে দশজন অথবা তার চেয়েও বেশি নতুন যুবকদের এনে দেন যারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন|

(৫) আমাদের অপরিত্রাত যুবকদের মনপরিবর্তনের জন্য প্রার্থনা করুন| প্রার্থনা করুন ঈশ্বর যেন তাদের জন্য তাই করেন যেমন তিনি যিশাইয় ৫৮:৬ পদে বলেছেন|

(৬) প্রার্থনা করুন যে আজকের দিনের (রবিবার) যিনি প্রথম সাক্ষাৎকারী তিনি পুনরায় আকর্ষিত হবেন পরের রবিবারেও| যদি সম্ভব হয় তো নাম ধরে ধরে তাদের জন্য প্রার্থনা করুন|

(৭) পরের রবিবারে – সকালে এবং সন্ধ্যায় আমি কি প্রচার করবো তা ঈশ্বর যেন আমাকে দেখান তার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন|

(৮) প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন| প্রত্যেক ঘন্টায় প্রায় এক গ্লাস| শুরুতে আপনি পান করতে পারেন বড় কাপের এক কাপ কফি যদি আপনার প্রতিদিন সেটা পান করার অভ্যাস থাকে তাহলে| নরম পানীয়, উদ্দীপক পানীয়, ইত্যাদি গ্রহণ করবেন না|

(৯) যদি আপনার স্বাস্থ্য সম্বন্ধিত কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে উপবাসের আগে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করুন| (আপনি আমাদের মন্ডলীর ডঃ ক্রেইগটন চ্যান অথবা ডঃ জুডিথ ক্যাগন’এর সঙ্গে দেখা করতে পারেন|) উপবাস করবেন না যদি আপনার সঙ্কটজনক কোন রোগ থাকে, যেমন বহুমূত্র বা উচ্চ রক্তচাপ| এই সমস্ত প্রার্থনার জন্য খালি শনিবারের দিনটি ব্যবহার করুন|

(১০) শুক্রবারের সন্ধ্যার খাবারের পর আপনার উপবাস শুরু করুন| শুক্রবারের রাতের খাবারের পর আর কিছু খাবেন না যতক্ষণ না শনিবার সন্ধ্যা ৫.৩০ মিনিটে আমাদের মন্ডলীতে একটি আহার গ্রহণ করা হচ্ছে|

(১১) মনে রাখবেন যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা প্রার্থনা করতে হয় তা হল আমাদের মন্ডলীর হারানো যুবকদের মন পরিবর্তনের জন্য প্রার্থনা - এবং এই সময়কালের মধ্যে এসেছেন, এমন নতুন যুবকদের আমাদের সাথে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য প্রার্থনা|

যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে অনুগ্রহ করে ডঃ হাইমার্সকে
একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে বলুন| অনুগ্রহ করে তাকে এটাও বলুন যে কোন
দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল
rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন)| আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে
চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মে: ইফিষীয় ৬:১০-১৯ |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“I Am Praying For You” (S. O’Malley Clough, 1837-1910) |


খসড়া চিত্র

আজকের যুদ্ধের জন্য প্রার্থনার যোদ্ধাগণ !

PRAYER WARRIORS FOR TODAY’S BATTLE!

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র।

“শেষ কথা এই, তোমরা, প্রভুতে ও তাঁহার শক্তির পরাক্রমে, বলবান্ হও| ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান কর, যেন দিয়াবলের নানাবিধ চাতুরীর সন্মুখে দাঁড়াইতে পার| কেননা রক্তমাংসের সহিত নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, কত্তৃর্ত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে” (ইফিষীয় ৬:১০-১২)|

১|         প্রথমত, প্রেরিত আত্মিক যুদ্ধের বিষয়ে বলছেন, ইফিষীয় ৬:১০ |

২|        দ্বিতীয়ত, প্রেরিত আমাদের শত্রুর বিষয়ে বলছেন, ইফিষীয় ৬:১২ |

৩|        তৃতীয়ত, প্রেরিত আমাদের যুদ্ধ সজ্জার বিষয়ে বলছেন, ইফিষীয় ৬:১৩-১৭;
ইফিষীয় ১:৬; ফিলিপীয় ৪:১৩ |

৪|        চতুর্থত, সবশেষে, প্রেরিত বলছেন, যুদ্ধে দক্ষ যোদ্ধাদের কথা,
ইফিষীয় ৬:১৮, ১৯; লূক ১১:১৩ |