এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
উদ্ধার অথবা নরকভোগDELIVERANCE OR DAMNATION লেখক : ডঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনিয়র। ২০১৫ সালের, ৩রা মে, সদাপ্রভুর দিনে সকালবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের “ইহাতে জানি প্রভু ভক্তদিগকে পরীক্ষা হইতে উদ্ধার করিতে, এবং অধার্ম্মিকদিগকে দন্ডাধীনে বিচার দিনের জন্য রাখিতে জানেন” (২ পিতর ২:৯)| |
সম্রাট নিরো ৬৪ খ্রীষ্টাব্দে রোম নগরে অগ্নিসংযোগ করেছিলেন| নিরো (৫৪–৬৮ খ্রীষ্টাব্দ) নিষ্ঠুর এবং খুনি প্রকৃতির মানুষ ছিলেন| তিনি নিজের পরিবারের বহু সদস্যকে হ্ত্যা করেছিলেন| যখন রোম শহর জ্বলছিল তখন লোকেরা নিরোকে সন্দেহ করেছিলেন যে তিনিই শহরে আগুন লাগিয়েছিলেন| দোষারোপ করার জন্য নিরোকে অন্য কোন একজনকে খুঁজে নিতে হয়েছিল| তিনি আগুন লাগানোর জন্যে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের দোষারোপ করেছিলেন! দ্বিতীয় শতাব্দীর প্রথমভাগে টেসিটাস (৫৬-১১৭) বলেছিলেন, “যাহারা খ্রীষ্ট বিশ্বাসী বলিয়া নিজেদের প্রকাশ করিয়াছিলেন তাহাদের গ্রেফতার করা হইয়াছিল…তাহাদের মৃত্যুতে তাহাদের…হিংস্র পশুর চামড়া দ্বারা আবৃত করিয়া রাখা হইত, কুকুরদের দ্বারা ছিন্নভিন্ন করিয়া, ক্রুশবিদ্ধ করিয়া অথবা আগুনে নিক্ষেপ করিয়া তাহাদের মারা হইত – যাহাতে অন্ধকার নামিয়া আসিলে তাহাদের মশালের ন্যায় রাত্রির আলোক হিসাবে জ্বালানো যায়” (Tacitus, Annals 15:44, early second century)| এর কয়েক মাস পরে প্রেরিত পিতর পিতরের ২য় পত্র লিখেছিলেন| তারপর কিংবদন্তী আমাদের বলছে যে পিতরকে তার নিজেরই অনুরোধে তার মাথা নিচু করে ও পা উঁচুতে তুলে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল – কারণ তিনি অনুভব করেছিলেন যে যীশুর প্রতি যা করা হয়েছিল তার যোগ্য তিনি নন| এই হিংস্র এবং বিভীষৎ তাড়নায়, শতাধিক খ্রীষ্ট বিশ্বাসী মারা গিয়েছিলেন| নিরো তার বাগান আলোকিত করার জন্য খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের খুঁটির উপরে বাঁধতেন এবং জ্বালিয়ে দিতেন! পিতর গ্রেফতার হওয়ার এবং ক্রুশারোপিত হওয়ার ঠিক আগেই তিনি দ্বিতীয় পিতরের পত্রটি লিখেছিলেন| দ্বিতীয় পিতরের পত্রে প্রেরিত বাইবেলের অনুপ্রেরণা এবং অধিকারের বিষয়ে বলেছেন (২ পিতর ১:১৯-২১)| তিনি আমাদের সতর্ক করছেন যে সেখানে “তোমাদের মধ্যেও ভাক্ত গুরুরা উপস্থিত হইবে” (২ পিতর ২:১-৩)| তিনি আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে ঈশ্বর বিচার করেছেন “পাপে পতিত দূতগণদেরও” (২:৪), সাবধান করছেন যে ঈশ্বর “সদোম ও ঘমোরা নগর ভস্মীভূত করিয়াছিলেন” (২:৬)| কিন্তু তিনি উদ্ধার করেছিলেন “শুধু ধার্ম্মিক লোটকে, যিনি ধর্ম্মহীনদের স্বৈরাচারে (নোংরা ইন্দ্রিয়গত আচরণের দ্বারা) ক্লিষ্ট হইতেন” (২:৭)| আর তখন প্রেরিত আমাদের এই পাঠ্যাংশ দিলেন, “ইহাতে জানি প্রভু ভক্তদিগকে পরীক্ষা হইতে উদ্ধার করিতে, এবং অধার্ম্মিকদিগকে দন্ডাধীনে বিচার দিনের জন্য রাখিতে জানেন” (২ পিতর ২:৯)| এই পাঠ্যাংশের উপরে প্রচার করার আগে আমি চাই যে আপনারা জানুন শয়তান ২য় পিতরকে কতটা ঘৃণা করত| নতুন নিয়মের প্রায় যে কোন পুস্তকের তুলনায় এই পুস্তকটিকে শয়তান অনেক বেশি ঘৃণা করত| শয়তান নিজের কাজ করছে এটা জানার জন্য আপনার হলিউড বা লা ভেগাসে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নাই| আপনাকে শুধু গাড়ি চালিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার, পাসাডেনায় অবস্থিত ফ্যুলার সেমিনারীতে গেলেই চলবে| বর্তমানে আমেরিকার প্রায় সমস্ত প্রধান সেমিনারীগুলিই বাইবেলকে আক্রমণ করছে| এবং সম্ভবত তারা নতুন নিয়মের অন্যান্য পুস্তকগুলির তুলনায় ২য় পিতরের পুস্তকটিকে আরও বেশি করে ঘৃণা করছে| সানফ্রান্সিস্কোর উত্তরে অবস্থিত সাউদার্ণ ব্যাপটিষ্ট সেমিনারীতে আমি যখন পড়াশোনা করছিলাম, সেখানকার শিক্ষকেরা ২য় পিতরের পুস্তককে “একটি জালিয়াতি” বলে অভিহিত করতেন| বাইবেল-অস্বীকারকারী উদারপন্থী শিক্ষকেরা এই কথা বেশ কয়েক বছর ধরে বলে আসছিলেন| কিন্তু ডঃ এ. টি. রবার্টসন, যিনি ছিলেন নতুন নিয়মের একজন মহান গ্রীক পন্ডিত, ২য় পিতরের পুস্তকের সমর্থনে কথা বলেছিলেন| তিনি দেখিয়েছিলেন যে এরিস্টাইড্স (১৩৪ খ্রীষ্টাব্দে মৃত), জাষ্টিন মার্টিয়ার (১৬৫ খৄষ্টাব্দে মৃত), আইরেনিউয়াস (১৩০-২০২), ইগ্নাসিয়াস (৩৫-১০৭), রোমের ক্লীমেন্ট (৯৯ খৄষ্টাব্দে মৃত), আথেনাসিয়াস (২৯৬-৩৭৩), অগাস্টাইন (৩৫৪-৪৩০) এবং সেই মহান পুনঃজাগরণের নেতা মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬) প্রভৃতি ব্যক্তিবর্গের লেখাতে ২য় পিতরের পুস্তক থেকে উদ্ধৃতি এবং সম্পর্ক স্থাপনমূলক উদাহরন দেওয়া হয়েছে, (A. T. Robertson, D.D., Litt.D., Word Pictures in the New Testament, volume VI, Broadman Press, 1933, pp. 139-146 – Dr. Robertson’s defence of II Peter)| ডঃ রবার্টসন উল্লেখ করেছিলেন যে, “সেখানে এই পত্রে, কোন নতুন চমকপ্রদ ধারণা নাই…ইহা বরঞ্চ প্রচুর উপদেশমূলক এবং গোঁড়া শিক্ষা দ্বারা পরিপূর্ণ” (ibid., p. 140)| আমেরিকার সর্বাপেক্ষা সুপরিচিত এবং সর্বপ্রিয় বাইবেল শিক্ষক, ডঃ জে. ভারন্ন ম্যাকগী, ২য় পিতরের বিষয়ে বলেছিলেন যে, “বর্তমানে ইহা অতি সুপ্রতিষ্ঠিত যে পিতর এই পত্র লিখিয়াছিলেন” (J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, volume V, Thomas Nelson Publishers, 1983, p. 714)| কিন্তু ফ্যুলার সেমিনারীর মতন বিদ্যালয়গুলিতে উদারপন্থীরা এই ধারণাকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে! ডঃ হেন্রী এম. মরিস বলেছেন, “এই বিরোধীতা [হইল] এই কারণে যে মন্ডলীতে ভ্রান্ত শিক্ষকগণের [২য় পিতরের প্রতি] কঠোর দোষারোপ… [২য়] পিতর ‘কৌশল কল্পিত গল্প’ (২য় পিতর ১:১৬), কুটিলব্যক্তি, খ্রীষ্ট অস্বীকারকারী শিক্ষক (২য় পিতর ২:১), মুনাফা অর্জনকারী [অর্থলিপ্সু] ধর্মযাজক (২য় পিতর ২:৩, ১৫), পরস্পর বিরোধী শিক্ষক (২য় পিতর ২:১৩, ১৯) এই সকলের বিরুদ্ধে, এবং বিশেষ করিয়া অভিব্যক্তিবাদ ও একরূপত্ববাদের বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক করিয়াছিলেন (২য় পিতর ৩:৩-৬)” (Henry M. Morris, Ph.D., The Defender’s Study Bible, World Publishing, 1995, p. 1401)| আশ্চর্যের কিছুই নাই যে শয়তান এবং তার ভ্রান্ত শিক্ষকেরা দ্বিতীয় পিতরকে আক্রমণ করে! দিয়াবল ২য় পিতরকে ঘৃণা করে আরও একটি কারণে যে, বাইবেলের অনুপ্রেরণা এবং ভ্রমশূণ্যতার বিষয়ে দুটি বলিষ্ঠতম বিবৃতির মধ্যে একটি দেওয়া আছে ২য় পিতরের ১:১৯-২১ পদগুলিতে (অন্য বিবৃতিটি আছে ২য় তিমথীয় ৩:১৫-১৭ পদগুলিতে)| কাজেই এটা কোন আশ্চর্যের বিষয় নয় যে দিয়াবল দ্বিতীয় পিতরকে ঘৃণা করে! দ্বিতীয় পিতর ধারণ করছে শক্তিশালী সারপদার্থ! ১৯৬১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমি বাইওলা মহাবিদ্যালয়ে (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়) আমার নাম নথিভূক্ত করেছিলাম| শীতকালীন সেমিস্টার চলাকালীন সময়ে সেই মহবিদ্যালয়ে সপ্তাহব্যপী শ্রেণিবদ্ধ চ্যাপেল সেবানুষ্ঠান প্রতিদিন সকালে অনুষ্ঠিত হত| সেই বছরের বিশেষ বক্তা ছিলেন ডঃ চার্লস্ জে. উডব্রীজ| ডঃ উডব্রীজ ছিলেন ফ্যুলার সেমিনারীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে একজন| তিনি বেশ কয়েক বছর আগেই সেই সেমিনারীর সদস্যপদে ইস্তফা দিয়েছিলেন কারণ তিনি বলতে সমর্থ হয়েছিলেন যে ফ্যুলার সেমিনারী ক্রমশঃ উদারপন্থী মতবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে, যা হল বাইবেলের অধিকারকে অস্বীকার করা| ফ্যুলার সেমিনারীর পরিচালকবর্গ অবশ্যই এইকথা অস্বীকার করেছিলেন| তারা উডব্রীজকে সমস্যাসৃষ্টিকারী, এবং আরও নানা খারাপ খারাপ কথা বলেছিলেন| কিন্তু কেউ কখনও ফিরে যায়নি এবং তার কাছে ক্ষমা চাননি – কমপক্ষে নতুন সুসমাচার প্রচারকদের মধ্যেও কেউ এইরকম করেননি| ৫০ বছরেরও বেশি অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে, আর ডঃ উডব্রীজ যা যা ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন তার সবটাই আক্ষরিক অর্থে সত্যে পরিণত হয়েছে| বর্তমানে ফ্যুলার সেমিনারী রব বেলের মতন প্রচারক তৈরী করছে| রব বেল একটি বই লিখেছিলেন যাতে বলা হয়েছে প্রত্যেকে (এমনকী হিটলারও) স্বর্গে যাবেন| খুব সম্প্রতি ইনি অন্য আর একটি বই লিখেছেন যার মধ্যে তিনি সর্বাপেক্ষা নীচ এবং অশ্লীল যৌন অনুশীলনকে সমর্থন করেছেন| ১৯৫০ সালের শেষের দিকে ডঃ উডব্রীজ এই বইটা দেখেছিলেন যখন তিনি কোথাও থেকে ফিরে আসছিলেন| ডঃ চার্লস্ জে. উডব্রীজের জন্য একবার হাততালি দিন! (সহর্ষ প্রশংসা ধ্বনি)| ডঃ উডব্রীজ বাইওলাতে এসেছিলেন এবং এক সপ্তাহের জন্য প্রত্যেকদিন সকালে চ্যাপেল সভাতে আমাদের জন্য প্রচার করেছিলেন| তিনি সরাসরি ২য় পিতরের থেকে প্রচার করতেন! সেই প্রথম আমি এই ধরনের প্রচার শুনেছিলাম! আমি এতদিন শুধুমাত্র খুব বেশি “সারবস্তু” বিহীন, প্রাসঙ্গিক প্রচারই শুনে আসছিলাম| কি অবস্থা! ডঃ উডব্রীজ দ্বিতীয় পিতরের বিষয়্গুলি যখন চষে ফেলছিলেন যেমন প্রথম অধ্যায়ে লেখা বাইবেলের ভ্রমশূণ্যতা; দ্বিতীয় অধ্যায়ে লেখা ভ্রান্ত ভাববাদি; পাপে লিপ্ত স্বর্গদূতের নিক্ষেপ; মহা জলপ্লাবন এবং সদোম ও ঘমোরা নগরীর অগ্নি দ্বারা প্রজ্বলন ইত্যাদি - তখন তিনি আমার সমস্ত মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন! তিনি মসৃনভাবে এটা প্রয়োগ করেছিলেন এবং মহা ক্ষমতার সঙ্গে এর সবটাই প্রচার করেছিলেন| সেই সপ্তাহের বৃহস্পতিবারে আমি মন পরিবর্তন করেছিলাম – সেদিনটা ছিল ২৮শে সেপ্টেম্বর, ১৯৬১ সাল – যীশুর নামের প্রশংসা হোক!! সেই দিন থেকেই আমার জীবনপথ স্থিরীকৃত হয়েছিল! যেদিন আমি মন পরিবর্তন করেছিলাম সেদিন থেকেই আমি জানতাম যে আমি বাইবেলের উপরে, পরিত্রাণের উপরে, এবং পাপের উপরে উদারপন্থীদের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রচার করব! আমি সেদিনও এটা জানতাম, এবং আজকে এই সকালেও সেটাই জানি! যীশুর নামের প্রশংসা করুন! পিতর বলেছিলেন বাইবেল হচ্ছে “একটি দৃঢ়তর ভাববাণীর বাক্য” (২য় পিতর ১:১৯)| পিতর বলেছিলেন যে মন্ডলীতে ভ্রান্ত শিক্ষকদের উদয় হবে এবং তারা ধর্ম্মভ্রষ্টতা আর ধ্বংস নিয়ে আসবে (২য় পিতর ২:১-৩)| পিতর বলেছিলেন যে ঈশ্বর মহা জলপ্লাবনের সময়ে সমগ্র জগতের বিচার করেছিলেন, “কিন্তু অষ্টম ব্যক্তি নোহকে রক্ষা করিয়াছিলেন” (২য় পিতর ২:৫)| পিতর বলেছিলেন যে ঈশ্বর আগুন প্রেরণ করে “সদোম ও ঘমোরা নগরীদ্বয়কে ভস্মীভূত করিয়াছিলেন” (২য় পিতর ২:৬)| পিতর বলেছিলেন ঈশ্বর সদোমের প্রজ্বলিত অগ্নি থেকে “শুধুমাত্র ধার্ম্মিক লোটকে উদ্ধার করিলেন” (২য় পিতর ২:৭)| এবং এখন পিতর আমাদের এই পাঠ্যাংশ প্রদান করছেন, “ইহাতে জানি প্রভু ভক্তদিগকে পরীক্ষা হইতে উদ্ধার করিতে, এবং অধার্ম্মিকদিগকে দন্ডাধীনে বিচারদিনের জন্য রাখিতে জানেন” (২ পিতর ২:৯)| হ্যাঁ, মহাশয়! পিতর তার আসল বিষয়বস্তুকে প্রমাণ করেছিলেন! প্রভু জানতেন যে কিভাবে নোহকে উদ্ধার করতে হবে এবং প্লাবনের জলের মধ্যে কিভাবে হারানো জগতকে নিমজ্জিত করতে হবে| প্রভু জানতেন যে কিভাবে শুধু লোটকে উদ্ধার করতে হবে, এবং সদোম নগরীকে পুড়িয়ে ছাই করে দিতে হবে! সুতরাং, “ইহাতে জানি প্রভু ভক্তদিগকে পরীক্ষা হইতে উদ্ধার করিতে, এবং অধার্ম্মিকদিগকে দন্ডাধীনে বিচারদিনের জন্য রাখিতে জানেন” (২ পিতর ২:৯)| অন্যভাবে বলা যায়, অতীত দিনে ঈশ্বরের যে ক্ষমতা ছিল সেই একই ক্ষমতা ঈশ্বরের আজও আছে! ১| প্রথম, প্রলোভনের মধ্যে থেকে ধার্ম্মিকদের উদ্ধার করার ক্ষমতা ঈশ্বরের আছে| “প্রভু ভক্তদিগকে পরীক্ষা হইতে উদ্ধার করিতে জানেন…” ঈশ্বর জানেন যে তিনি কি করতে চলেছেন – এবং তিনি তা করতে পারেন! যখন আমি শুধুমাত্র এক বালক ছিলাম আমি জর্জ বেভার্লী সেহার সেই মহান কন্ঠস্বর শুনতে ভালবাসতাম যা এই কথাগুলি উচ্চারণ করত, গায় আমার প্রাণ, ঈশ্বরের স্তুতিগান, ঈশ্বর হলেন সর্বশক্তিমান! সবই ঈশ্বরের অধীন| হ্যাঁ, এই পৃথিবীতে এক মহা অনিষ্টকর বস্তু রয়েছে| কিন্তু অনিষ্টকর বস্তু এখানে আছে শুধু এই কারণে যে ঈশ্বর সেটার অনুমোদন দিয়েছেন| ঈশ্বর এইরকম অনুমোদন কেন দিয়েছেন? আমি জানি না| এটা সেইরকমই সহজ বা সরল| আমি জানি না| কিন্তু ঈশ্বরের সেই অবোধগম্য, অজ্ঞেয় মনে, তিনি অনিষ্টকর বস্তুকে থাকার অনুমতি দেন| “তাঁহার বিচার সকল কেমন বোধাতীত, তাঁহার পথ সকল কেমন অননুসন্ধেয়!” (রোমীয় ১১:৩৩)| “ঈশ্বর জানেন কিভাবে ধার্ম্মিকদের প্রলোভন হইতে উদ্ধার করিতে হয়!” রোম শহরেরে প্রথম খ্রীষ্ট বিশ্বাসীকে নিশ্চয়ই বিশাল এবং ভয়ানক প্রলোভন ও পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল| যেমন আমি বলেছি যে, নিরো তাদের খুঁটির আগায় বেঁধে দিয়ে, জীবন্ত অবস্থায় জ্বালিয়ে দিতেন| প্রত্যেক রাত্রে তিনি খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের জ্বালিয়ে তার বাগানকে আলোকিত করতেন| কেউ কেউ বলেন, “এটা একটা অসঙ্গতি| তিনি তাদের উদ্ধার করেননি|” আপনি ভুল করছেন| তিনি তাদের উদ্ধার করেছিলেন “প্রলোভন থেকে|” তিনি তাদের শক্তি দিয়েছিলেন যাতে তারা সেই পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে পারে, তিনি তাদের সেই অগ্নিশিখার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা দিয়েছিলেন! একটি মহান প্রাচীন স্তুতিগানে এই সমস্ত বলা হয়েছে! অগ্নিময় তাড়নার মধ্যে তোমার পথ অবস্থান করছে, আমার বিশেষ সুবিধা ছিল একজনকে ব্যক্তিগতভাবে জানার যাকে বলা হত এক জীবন্ত শহীদ| তার নাম রিচার্ড উমব্রান্ড| আমি এতদিন ধরে যে সব খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের জেনে এসেছি তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ, এবং আমি তাকে খুব ভালভাবে চিনতাম| সুসমাচার প্রচার করার অপরাধে পালক উমব্রান্ডকে একটি কম্যুনিষ্ট জেলখানায় চোদ্দ বছর বন্দী করে রাখা হয়েছিল| কম্যুনিষ্ট প্রহরীরা তার উপরে মধ্যযুগীয় অত্যাচার চালাত| তার শরীরে আঠারোটি আগুন-গরম লোহার শলাকা-সৃষ্ট ক্ষত ছিল| তার দুঃখভোগের সেই বছরগুলির মধ্যেও তিনি অন্যান্য বহু যাতনা ভোগকারী কয়েদিদের সঙ্গে সুসমাচার প্রচারে অংশ নিতেন, এবং তাদের মধ্যে অনেকেই পরিত্রাণ পেয়েছিলেন| দুই বছরের জন্য তাকে নির্জন স্থানে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল| তিনি সেখানে কখনও কোন মানুষের কন্ঠস্বর শুনতে পেতেন না| তার খাবারের মধ্যে প্রহরীদের মিশিয়ে দেওয়া ওষুধের প্রভাবে তিনি প্রায় পাগল হয়ে যেতে বসেছিলেন| অন্যান্য কয়েদিদের মধ্যে যারা সময় সময়ে তার কারাকক্ষের পাশাপাশি কোন কক্ষে থাকত তাদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত তিনি সুসমাচার প্রচার শুরু করেছিলেন| তিনি মর্স কোড বা মর্সের সাঙ্কেতিক শব্দের সাহায্যে বাইবেলের পদ এবং প্রার্থনা সেই কয়েদিদের কাছে পাঠাতেন| অবশেষে তাকে রাখা হয়েছিল “চার নম্বর কক্ষে” – সেটা ছিল “মৃত্যু কক্ষ|” তারা তাকে সেখানে ফেলে রেখেছিল, যক্ষারোগগ্রস্ত অবস্থায় মারা যাওয়ার জন্য| “চার নম্বর কক্ষ” থেকে কেউ কখনও জীবিত অবস্থায় ফিরে আসেনি| মারা যাওয়ার জন্য কয়েদিদের সেই কক্ষে পাঠান হত| কিন্তু পালক উমব্রান্ড সেখানে জীবিত অবস্থায় ছিলেন| সেই “মৃত্যু কক্ষে” তিনি একের পর এক মৃত্যুপথযাত্রী কয়েদিদের যীশু খ্রীষ্টের দিকে পরিচালনা করতেন| তিনি বলতেন, “মনে হইতেছে যেন এই কক্ষ আত্ম-উৎসর্গের আত্মা এবং পুনরুজ্জীবিত বিশ্বাসের দ্বারা বহ্নিমান| এই ধরনের মুহূর্তগুলিতে মনে হইত যেন স্বর্গদূতেরা আমাদিগের চারিপার্শ্বে রহিয়াছেন|” যখন আমি নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ি অথবা দুঃখ অনুভব করি তখনই আমি রিচার্ড উমব্রাণ্ডের Tortured for Christ নামের বইটি হাতে তুলে নিই এবং তার কয়েকটি পাতা পাঠ করি| মাত্র গত সপ্তাহে আমি আবার তার লেখা অন্য আর একটি বই পড়েছি যার নাম হল, In God’s Underground (Living Sacrifice Book Company, 2004)| এই বইগুলি বড়ই ভয়ানক| খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের নিদারুন যন্ত্রনার বা অত্যাচারের বিষয়ে বিশদ বর্ণনা এতে দেওয়া আছে| কিন্তু এইগুলি সবসময়ে আমাকে উৎসাহিত করে| আমি উৎসাহিত হয়েছিলাম, রিচার্ড উমব্রান্ড, নামের এই ব্যক্তিকে জানার মাধ্যমে যিনি আমাদের এই পাঠ্যাংশের অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন| এটা হল একটি পাঠ্যাংশ যা প্রদান করে গভীর উৎসাহ, “প্রভু ভক্তদিগকে পরীক্ষা হইতে উদ্ধার করিতে জানেন…” (২য় পিতর ২:৯)| আমাদের সময়ে, এই মুহূর্তে দশলক্ষ খ্রীষ্ট বিশ্বাসী অত্যাচারিত এবং নিহত হচ্ছেন মুসলমানদের দ্বারা| মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে তাদেরকে কেবল যা করতে হত তা হল এই কথাগুলি উচ্চারণ করা যে: “সেখানে ঈশ্বরের পরিবর্তে আল্লাহ এবং মহম্মদ হলেন তার নবী|” কিন্তু খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা এই কথা বলতে এবং মুসলমান হতে অস্বীকার করেছিলেন| তাদের মন্ডলীগুলি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল| তাদের বাড়িঘর সব জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল| অনেকেরই মাথা কেটে ফেলা হয়েছিল| অন্য অনেককে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হয়েছিল| তবুও তারা যীশুর প্রতি তাদের বিশ্বাস বিসর্জন দিতে অস্বীকার করেছিলেন| এবং মুসলিম জগতের হাজার হাজার লোক খ্রীষ্টের দিকে মুখ ফিরিয়েছিলেন, এমনকী যদিও এই কাজ সেই লোকেদের পক্ষে খুব বিপদজনক ছিল| আপনার কমপিউটারের মাধ্যমে www.persecution.com সাইটে গিয়ে আপনি এদের কিছু গল্প পড়তে পারেন| তারা অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যা জেনেছে সেগুলি বেশির ভাগ পাশ্চাত্য মন্ডলীর সদস্যেরাই জানেন না – “প্রভু ভক্তদিগকে পরীক্ষা হইতে উদ্ধার করিতে জানেন…”| যখন গভীর জলের মধ্যে আমি তোমার নিকটে যাইবার জন্য আহ্বান করি, তিন সপ্তাহ আগে আমরা এই মন্ডলীর ৪০তম বার্ষিক অনুষ্ঠান উদ্যাপন করেছি| আমাদের একটা ভাল সময় কেটেছিল প্রশংসা করে, এবং এমনকী অট্টহাস্য করে! যে সমস্ত লোকেরা ভিডিওটি দেখেছিলেন তারা সবাই আমাকে বলেছিলেন যে কি বিশাল আমাদের এই মন্ডলী! কিন্তু তারা জানেন না যে এই মন্ডলীর জন্ম দেওয়ার জন্য কত দুঃখভোগের মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছিল| তারা এটা জানেন না যে “সেই ৩৯ জন,” যারা মন্ডলীর জন্যে অর্থ প্রদান করেছিলেন, প্রায়শই মানসিক-তিক্ততাপূর্ণ যন্ত্রণা এবং সমস্যার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন, যেহেতু ৪০০ জন লোক আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল| “সেই উনচল্লিশ জন” অর্থ প্রদান করেছিলেন এই আড়াই মিলিয়ন ডলার দামের দালানটির জন্য| এখন সেই সমস্যা কেটে গিয়েছে| ঈশ্বর আমাদের এইরকম সব সমস্যার মধ্যে দিয়ে নিয়ে এসেছেন| কিন্তু ভবিষ্যতে সেখানে অন্য অনেক রকমের সমস্যা হতে পারে, যার মধ্যে কোন কোনটা হয়ত এমনকী আরও মন্দতর হবে| কিন্তু আমরা ভীত হচ্ছি না কারণ “প্রভু ভক্তদিগকে পরীক্ষা হইতে উদ্ধার করিতে জানেন…” (২য় পিতর ২:৯)| ২| দ্বিতীয়, প্রভু অধার্ম্মিকদের দন্ডাধীনে বিচার দিনের জন্য রাখতে জানেন | “ইহাতে জানি প্রভু ভক্তদিগকে পরীক্ষা হইতে উদ্ধার করিতে, এবং অধার্ম্মিকদিগকে দন্ডাধীনে বিচারদিনের জন্য রাখিতে জানেন” (২ পিতর ২:৯)| মহান লেখক ডঃ উইলবার এম. স্মিথ তার লেখা Therefore Stand বা অতএব অটল হও, নামের উচ্চ মানের একটি কৈফিয়তদানমূলক বইতে, আগত বিচারের বিষয়ে এই কথাগুলি বলেছিলেন, শাস্ত্রসকল নিশ্চিতভাবে একটি মহান ঘটনার বিষয়ে বলিয়া থাকে তাহা হইল এই যে বিচার আসিবে, এবং আমরা আমাদের দিনের এই ভয়ঙ্কর কিন্তু ঐশ্বরিকভাবে উদ্ঘাটিত সত্যের প্রচার প্রায় অপহরন করিয়া পাপ করিতেছি… আমাদের মধ্যে অনেক লোকই…দৃঢ়ভাবে দাঁড়াইতে এবং বিচারের দিন সম্পর্কিত বিষয়ের শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা ব্যবহার করিতে ভীত হইয়া আসিতেছেন| আমাদের মহিমাণ্বিত প্রভু “বিচারের দিন” এই উক্তিটি পুনঃ পুনঃ ব্যবহার করিয়াছেন… প্রেরিত পিতর “বিচারের দিন,” এবং “বিচারের দিন আর অধার্ম্মিক লোকেদের ধ্বংস” এই উভয় বিষয়ের সম্পর্কে বলিয়াছেন| প্রেরিত যোহন “বিচারের দিন,” এবং “মৃত্যুর সময়ে বিচার হইবে” এই উভয় বিষয়ে বলিয়াছেন (Wilbur M. Smith, D.D., Therefore Stand, W. A. Wilde Co., 1945, p. 443)| প্রেরিত যোহন শেষ বিচার সম্বন্ধে বলেছিলেন| তিনি বলেছিলেন, “আমি দেখিয়াছি, ক্ষুদ্র এবং মহান, সমস্ত মৃত লোক সেই সিংহাসনের সন্মুখে দাঁড়াইয়া আছে; পরে কয়েকখানি পুস্তক খোলা গেল: এবং আর একখানি পুস্তক, অর্থাৎ জীবন পুস্তক খোলা গেল: এবং মৃতেরা পুস্তক সমূহে লিখিত প্রমাণে, আপন আপন কার্য্যানুসারে বিচারিত হইল| আর সমুদ্র আপনার মধ্যবর্তী মৃতগণকে সমর্পণ করিল; এবং মৃত্যু ও পাতাল আপনাদের মধ্যবর্তী মৃতগণকে সমর্পণ করিল: এবং তাহারা প্রত্যেকে আপন আপন কার্য্যানুসারে বিচারিত হইল| পরে মৃত্যু ও পাতাল অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল| তাহাই অর্থাৎ সেই অগ্নিহ্রদ হইল দ্বিতীয় মৃত্যু| আর জীবন পুস্তকে যে কাহারও নাম লিখিত পাওয়া গেল না সে অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল” (প্রকাশিত বাক্য ২০:১২-১৫)| সেই “অগ্নিহ্রদে” বিচারের দন্ড থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে অনুতাপ করা এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস স্থাপন করা| তিনি আপনার কৃত পাপের পূর্ণ মূল্য দেওয়ার জন্য ক্রুশের উপরে মৃত্যু বরণ করেছিলেন| আপনাকে সমস্ত পাপ থেকে শুচি করার জন্য তিনি ক্রুশের উপরে তাঁর বহুমূল্য রক্ত ঝরিয়েছেন| আপনাকে অনন্ত জীবন দান করার জন্য, তিনি স্বশরীরে, মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন| কিন্তু আপনার এই জীবন থাকাকালীন সময়ে, আপনাকে নিশ্চিতভাবে এই মুহূর্তেই যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে| মারা যাওয়ার পরে, পরিত্রাণ পাওয়ার পক্ষে, আপনার খুব দেরী হয়ে যাবে| “ইহাতে জানি প্রভু ভক্তদিগকে পরীক্ষা হইতে উদ্ধার করিতে, এবং অধার্ম্মিকদিগকে দন্ডাধীনে বিচার দিনের জন্য রাখিতে জানেন” (২ পিতর ২:৯)| সেই লোকেরাই হলেন “ধার্ম্মিক” যারা অনুতাপ করেন এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্টের উপরে বিশ্বাস স্থাপন করেন| তারা হলেন “অধার্ম্মিক” যারা তাঁকে বিশ্বাস করতে অস্বীকার করেন| আমি প্রার্থনা করি যেন খুব বেশি দেরী হওয়ার আগেই আপনি যীশুর প্রতি ফিরে আসেন! আমেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মে: ২য় পিতর ২:১-৯ | |
খসড়া চিত্র উদ্ধার অথবা নরকভোগ DELIVERANCE OR DAMNATION লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র। “ইহাতে জানি প্রভু ভক্তদিগকে পরীক্ষা হইতে উদ্ধার করিতে, এবং অধার্ম্মিকদিগকে দন্ডাধীনে বিচার দিনের জন্য রাখিতে জানেন” (২ পিতর ২:৯)| (২য় পিতর ১:১৯-২১; ২:১-৩, ৪, ৬, ৭; ১:১৬; ২:১, ৩, ১৫, ১৩, ১৯; ৩:৩-৬;
১| প্রথম, প্রলোভনের মধ্যে থেকে ধার্ম্মিকদের উদ্ধার করার ক্ষমতা ঈশ্বরের আছে,
২| দ্বিতীয়, প্রভু অধার্ম্মিকদের দন্ডাধীনে বিচার দিনের জন্য রাখতে জানেন,
|