Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




ধর্ম্মভ্রষ্টতার কালে বাস করিতেছি

LIVING IN A TIME OF APOSTASY
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র।
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৫ সালের, ২৬শে এপ্রিল, সদাপ্রভুর দিনে সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Evening, April 26, 2015

“আর তিনি [ঈশ্বর] পুরাতন জগতের প্রতি মমতা করেন নাই, কিন্তু যখন ভক্তিহীনদের জগতে জলপ্লাবন আনিলেন, তখন আর সাত জনের সহিত ধার্ম্মিকতার প্রচারক, নোহকে রক্ষা করিলেন; আর সদোম ও ঘমোরা নগর ভস্মীভূত করিয়া উৎপাটনরূপ দন্ড দিলেন, যাহারা ভক্তিবিরুদ্ধ আচরণ করিবে তাহাদের দৃষ্টান্তস্বরূপ করিলেন; আর সেই ধার্ম্মিক লোটকে উদ্ধার করিলেন, যিনি ধর্ম্মহীনদের স্বৈরাচারে ক্লিষ্ট হইতেন: (কেননা সেই ধার্ম্মিক ব্যক্তি তাহাদের মধ্যে বাস করিতে করিতে, দেখিয়া শুনিয়া, তাহাদের অধর্ম্মকার্য্য প্রযুক্ত দিন দিন আপন ধর্ম্মশীল প্রাণকে যাতনা দিতেন;)” (২ পিতর ২:৫-৮)|


এই অধ্যায়ে প্রেরিত পিতর একজন ভাববাদীর মতন বলছেন| ১-৩ পদে, তিনি আমাদের বলেছেন যে ভ্রান্ত শিক্ষকেরা আসবেন এবং ক্ষতিকারক ভ্রান্ত শিক্ষা আনবে| তিনি আমাদের বলেন যে সেই শিক্ষকেরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে অস্বীকার করবে| তিনি বলেছেন অনেক লোক তাদেরকে অনুসরন করবে| ফলস্বরূপ বাইবেলে উল্লিখিত খ্রীষ্ট বিশ্বাস অশুভ হিসাবে আখ্যাত হবে| তিনি বলেন যে এই ভ্রান্ত শিক্ষকেরা অর্থ লাভের জন্য কাজ করবে, ঈশ্বর লাভের জন্যে নয়| আমাদের নিজেদের সময়ের কি এক প্রতিকৃতি! আমরা ঠিক এই মুহূর্তে বাস করছি এক ভয়ানক ধর্ম্মভ্রষ্টতা, ভ্রান্ত শিক্ষা – এবং নব-পৌত্তলিক মতবাদ উদয়ের যুগে|

আমাকে স্বীকার করতেই হচ্ছে যে আমি কার্ল এফ. এইচ. হেনরীকে (১৯১৩-২০০৩) খুব একটা পছন্দ করি না| তিনি হচ্ছেন একজন নব-সুসমাচার প্রচারমূলক ঈশ্বরতত্ত্ববিদ| কিন্তু আমার কাছে এটা মনে হয়েছিল যে তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে তিনি কত “পান্ডিত্যসুলভ” ছিলেন| আমার মতে তিনি যথেষ্ট ক্ষমতার সঙ্গে সত্যকে প্রচার করেননি| তবুও বর্তমান যুগের ধর্ম্মভ্রষ্টতার বিষয়ে তিনি যে বিবরণ দিয়েছেন তার চাইতে স্বচ্ছতর কোন বর্ণনা আমি কখনও পড়িনি| ডঃ হেনরী বলেছেন,

         আমাদিগের প্রজন্ম ঈশ্বরের সত্যতা হইতে হারাইয়া গিয়াছে…এই ক্ষতির জন্য ইহা পৌত্তলিকতা স্থাপনে পুনরায় লিপ্ত হওয়াকে অতি ক্ষিপ্রবেগে প্রদান করিতেছে| বর্বরতা পুনরায় সক্রিয় হইয়া উঠিতেছে; আমাদিগের বর্তমান কালে আপনি তাহাদের গর্জন ও মর্মরধ্বনি শুনিতে পাইতেছেন [মধ্য প্রাচ্যে, আফ্রিকার উত্তরাঞ্চল, ইউরোপের সর্বত্র – মুসলমানেরা আগাইয়া আসিতেছে| হোয়াইট হাউস হইতে শুরু করিয়া আমাদিগের নেতৃবর্গ পর্যন্ত সকলেই বিভ্রান্ত, দূর্বল এবং ঈশ্বরবিহীন হইয়়া পড়িয়াছে]…
         বর্বরতা সক্রিয় হইতেছে সভ্যতার অধঃপতিত ধূলিকণায় এবং অক্ষম মন্ডলীর ছায়া গুপ্তভাবে ইতিমধ্যেই বিরাজমান হইতেছে (Carl F. H. Henry, Ph.D., Twilight of a Great Civilization: The Drift Toward Neo-Paganism, Crossway Books, 1988; my comments in brackets)|

বিখ্যাত জনমত সমীক্ষক জর্জ বার্ণা আমাদের বলছেন যে, প্রকৃতপক্ষে, আমাদের মন্ডলীগুলির কোন ভবিষ্যত নেই| তিনি বলছেন যে ৮০% এরও বেশি যুবক ব্যক্তি – তাদের বয়্স তিরিশ পার করা আগেই, “আর কখনও ফিরে না আসার জন্য” মন্ডলী ছেড়ে চলে যাবে| এবং আমাদের মন্ডলীগুলির মনে হচ্ছে কোন ধারণা নেই যে কিভাবে জগত থেকে হারিয়ে যাওয়া যুবকদের মন পরিবর্তন করতে হবে! মন্ডলীগুলিকে দেখা যাচ্ছে যে তারা শুধু কোন ব্যক্তিকে এই প্ররোচনা দিতে সক্ষম যে নিজের মন্ডলী ছেড়ে দাও আর তাদের সঙ্গে যোগদান কর| প্রচারকেরা নিজেদের গলাবন্ধ খুলে ফেলে এবং “শান্ত” ও “সমসাময়িক” হওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টায় রবিবারের সকালের সেবাকার্যে রক সঙ্গীত নিয়ে বসে থাকে| এত দিনে তাদের জেনে ফেলা উচিৎ যে এইসব কোন কাজ করে না! হারানো জগত তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে আর হাসে! এটা খুবই দুঃখদায়ক! ঈশ্বর জানেন যে আমি আমাদের মন্ডলীগুলির জন্য কেমন করে কাঁদি!

ফ্যুলার সেমিনারীর মতন কিছু উদারপন্থী বিদ্যালয়ের দ্বারা এই প্রচারকদের মধ্যে অনেকেই নীতিভ্রষ্ট হয়েছেন| আরও বেশি করে রক্ষণশীল পরিমন্ডলের মধ্যে রেখে দিয়ে তাদের ক্ষমতাশূন্য করে দেওয়া হত সেই বিদ্যালয়গুলির দ্বারা, যেখানে তাদের শেখান হত কিভাবে গ্রীক শব্দগুলির প্রকারভেদ করতে হবে কিন্তু কখনও তাদের প্রচার করার অনুপ্রেরণা দেওয়া হত না| ডঃ মাইকেল হর্টন এই দুঃখদায়ক ঘটনার বিষয়ে লিখেছিলেন| তার বইয়ের নাম হল, খ্রীষ্টবিহীন খ্রীষ্টবিশ্বাস: আমেরিকান মন্ডলীর বিকল্প সুসমাচার (Baker Books, 2008)| মুডি প্রেস The Coming Evangelical Crisis, নামে একটি বই প্রকাশ (১৯৯৬) করেছিল| এই বইটা উনিশ বছর আগে লেখা হয়েছিল| এখন সেই সঙ্কট উপস্থিত হয়েছে, ঠিক এই সময়েই সেটা রয়েছে! আমাদের মন্ডলীগুলি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে, আর প্রত্যেকেই সেটা জানে! আমাদের প্রায় সমস্ত মন্ডলীতে রবিবারের সন্ধ্যাবেলার উপাসনা সভা বন্ধ হয়ে গিয়েছে| এটা মৃত্যুর একটা লক্ষণ! অনেক আগে থেকেই বেশির ভাগ মন্ডলীর দ্বারা প্রার্থনা সভা পরিত্যক্ত হয়েছে| সেটা মৃত্যুর একটা চিহ্ন! আজকাল কদাচিৎ কোন মন্ডলীতে সক্রিয় শক্তিসম্পন্ন আত্মা-জয়কারী কার্যক্রম হয়| সেটা মৃত্যুর একটা চিহ্ন! তথাকথিত “প্রচার” এর অর্থ হল শুধুমাত্র শুকনোভাবে পদের পর পদ বাইবেল অধ্যয়ণ| এটাও মৃত্যুর একটা চিহ্ন! এমনকী যদি অন্য কেউ অভিযোগ না করে – আমি করব! এমনকী যদি অন্য কেউ এইরকম না বলে, আমি বলব| পরিস্কার করে এবং উচ্চস্বরে, এই কথাগুলি বলার প্রয়োজন আছে! আমরা এক গভীর ধর্ম্মভ্রষ্টতার কালে বসবাস করছি! আমরা এমন একটি সময়ের মধ্যে বাস করছি যার বর্ণনা ২ পিতর ২:১-৩ পদগুলির মধ্যে দেওয়া হয়েছে!

আপনি হয়ত জিজ্ঞাসা করতে পারেন, “কেন আপনি এই বিষয়ে কথা বলছেন? এগুলি আপনার যুবক ব্যক্তিদের বিভ্রান্ত করতে চলেছে!” আবার ভুল! সত্যি কথা লোকেদের বলাটা তাদের বিভ্রান্ত করে না! বাস্তবিকপক্ষে, আমি যদি তাদের এই সত্যগুলি না বলি তবে তারা প্রকৃতই বিভ্রান্ত হবে – বিভ্রান্ত হবে মরণাপন্ন নব-ধর্ম্মপ্রচারক, এবং বাইবেল অধ্যয়ণকারী সম্প্রদায়গুলির দ্বারা! তারা খুবই বিভ্রান্ত হয়ে পড়বে যদি তারা না জানতে পারে যে আমরা এক অবিশ্বাস ও গভীর ধর্ম্মভ্রষ্টতার কালে বাস করছি – সেই চরম মন্দ ধর্ম্মভ্রষ্টতা যার অভিজ্ঞতা পুনঃজাগরণের পর থেকেই মন্ডলীগুলি অর্জন করে চলেছে! গত ৫০০ বছরের সেই গভীরতম ধর্ম্মভ্রষ্টতা! এটাই হচ্ছে ঠিক! আমরা এমন একটি কালে বসবাস করছি যা ২য় পিতর ২:১-৩ পদগুলিতে, প্রেরিত পিতরের দ্বারা বর্ণিত হয়েছে| সুতরাং, উত্তরটা কী হল? অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়ান এবং ২য় পিতর ২:৫-৮ পদগুলি পড়ুন| এটা স্কোফিল্ড স্টাডি বাইবেলের ১৩১৮ পৃষ্ঠায় রয়েছে|

“আর তিনি [ঈশ্বর] পুরাতন জগতের প্রতি মমতা করেন নাই, কিন্তু যখন ভক্তিহীনদের জগতে জলপ্লাবন আনিলেন, তখন আর সাত জনের সহিত ধার্ম্মিকতার প্রচারক, নোহকে রক্ষা করিলেন; আর সদোম ও ঘমোরা নগর ভস্মীভূত করিয়া উৎপাটনরূপ দন্ড দিলেন, যাহারা ভক্তিবিরুদ্ধ আচরণ করিবে তাহাদের দৃষ্টান্তস্বরূপ করিলেন; আর সেই ধার্ম্মিক লোটকে উদ্ধার করিলেন, যিনি ধর্ম্মহীনদের স্বৈরাচারে ক্লিষ্ট হইতেন: (কেননা সেই ধার্ম্মিক ব্যক্তি তাহাদের মধ্যে বাস করিতে করিতে, দেখিয়া শুনিয়া, তাহাদের অধর্ম্মকার্য্য প্রযুক্ত দিন দিন আপন ধর্ম্মশীল প্রাণকে যাতনা দিতেন;)” (২ পিতর ২:৫-৮)|

আপনারা এখন বসতে পারেন|

কিভাবে আমরা এই ধর্ম্মভ্রষ্টতা, পাপ, এবং বিভ্রান্তির কালে জীবনযাপন করব সেটা আমাদের দেখানোর জন্য পাঠ্যাংশের এই বাক্যগুলি ঈশ্বর দ্বারা প্রদত্ত হয়েছে| এই হচ্ছে আমাদের পাঠ্যাংশের বিষয়বস্তু| প্রেরিত পিতর আমাদের নোহ এবং লোট, এই দুইজন ব্যক্তির উদাহরন দিয়েছেন| এই দুই ব্যক্তির সম্বন্ধে আমাদেরকে বলার মাধ্যমে, তিনি আমাদেরকে দেখিয়েছেন যে এই আত্মিক বিভ্রান্তির কালে কিভাবে খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হিসাবে জীবনযাপন করতে হয়| নোহ এবং লোটের কাছ থেকে একটা বড় শিক্ষা আমাদের অর্জন করার আছে|

বিশেষতঃ এই ধরনের ধর্ম্মভ্রষ্টতার যুগে, খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা সবসময় জাগতিক আত্মার দ্বারা পরীক্ষিত হয়| আমরা পরীক্ষিত হই এই সত্য ঘটনা দ্বারা যে আমরা সংখ্যায় অতি অল্প| সেটা একটা খুবই কঠিন পরীক্ষা| যদি আমরা অষ্টাদশ শতাব্দীতে বসবাস করতাম তবে আমরা অংশীদার হতাম এক মহা উদ্দীপনার, এমন এক উদ্দীপনা যা গোটা ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ এবং সেই সঙ্গে সমগ্র উত্তর আমেরিকাকে অন্তর্ভূক্ত করেছিল| আমাদের চারিদিকে প্রচুর সংখ্যায় এমন লোকেরা থাকত যারা প্রকৃত প্রচার, প্রকৃত মন পরিবর্তন, এবং প্রকৃত প্রার্থনায় বিশ্বাস করত| সেটা এমনকী উনবিংশ শতাব্দীতে - এবং কমের দিকে হলেও বিংশ শতাব্দী শুরুর ৭০ বা ৮০ বছর অবধি অনেকাংশে সত্যি ছিল|

এটা খুব বিস্ময়কর যে সময় কত দ্রুত চলে যায়| যখন আপনি আমার বয়সী ৩৫ বছরের ছিলেন তখন আমার সেটাকে খুব কম বয়স বলে মনে হত| আজ থেকে ঠিক ৩৫ বছর আগের অবস্থা একেবারে অন্যরকম ছিল| রোনাল্ড রেগান ছিলেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট| একমাত্র বিলি গ্রাহামের বয়স ছিল ৬০ বছরের কয়েক মাস বেশি, এবং তখনও তিনি বিশাল ধর্ম্মযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন| প্রত্যেক রবিবারের রাত্রে দূরদর্শনের পর্দায় জেরী ফালওয়েল দেখা দিতেন, লক্ষ লক্ষ ডলার উপার্জন করতেন, আর আপাতদৃষ্টিতে দেখাতেন যেন “নৈতিক সংখ্যাগরিষ্ঠ”দের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গর্ভপাত বন্ধ করার পক্ষে| ১৯৮০ সালের বসন্তকালে ডঃ জন্ আর. রাইস তখনও প্রচার করে যাচ্ছিলেন| ডঃ মার্টিন লয়েড-জোন্স তখনও বেঁচে ছিলেন| তখন ডঃ ফ্রান্সিস স্কাফারও জীবিত ছিলেন| কোন অর্থেই সেটা সঠিক সময় ছিল না| কিন্তু ২০১৫ সালের সঙ্গে তুলনা করলে সেই সময়টি খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের পক্ষে এখন যা আছে তার চাইতে অনেক ভাল সময় ছিল| এখন আমরা হয়েছি অতি অপছন্দের সংখ্যালঘু! আমি বোঝাতে চাই যে – লোকেরা আমাদের ঘৃণা করে! তারা আমাদের ভয় পায় এবং ঘৄণা করে! প্রতিটি ব্যাপটিষ্ট, প্রতিটি ধর্ম্মপ্রচারক, প্রত্যেকটি পেন্টিকোষ্টাল, এমনকী রোমান ক্যাথলিকেরা – যারাই খ্রীষ্ট বিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত তারাই এটা অনুভব করে| বাইরের জগত আমাদের ঘৃণা করে| যেটা আমাদের ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার ব্যাপারটিকে আরও কঠিন করে তোলে, অন্য শতাব্দী বা অন্য কোন সময়ে সেটা যতটা কঠিন ছিল তার চাইতে কঠিনতর|

নিশ্চিতভাবে নোহ সেই পরীক্ষা অনুভব করেছিলেন – একাকী দাঁড়িয়ে থাকার পরীক্ষা| আমাদের পাঠ্যাংশে আমাদের প্রতি বলা হয়েছে যে ঈশ্বর “নোহ সহ আটজনকে রক্ষা করিয়াছিলেন” (২ পিতর ২:৫)| মহাপ্লাবনের আগে নোহ ধর্ম্মভ্রষ্টতা এবং নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়ঙ্কর এক সময়ে বসবাস করতেন| সেই সময়টি ছিল চূড়ান্ত পাপাচার এবং মহা শয়তানীয় ক্রিয়াকর্মের সময়| সেই সময়টা এতটাই খারাপ ছিল যে মানবজাতির “কল্পনা নিরন্তর মন্দ ছিল” (আদিপুস্তক ৬:৫)| আর ঈশ্বর বলেছিলেন,

“আমার আত্মা মনুষ্যদের মধ্যে নিত্য অধিষ্ঠান করিবেন না” (আদিপুস্তক ৬:৩)|

সেই সময়ে জগতে অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে প্রায় কেউই রক্ষা পায়নি| স্মরণ করুন ঈশ্বর “নোহ সহ আটজনকে রক্ষা করিয়াছিলেন|” যার অর্থ হল একমাত্র নোহ, তার স্ত্রী – এবং তাদের তিন পুত্র ও তাদের স্ত্রীদের রক্ষা করা হয়েছিল| সমগ্র জগতে মাত্র আটজন লোক রক্ষা পেয়েছিলেন! এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা চিন্তা করব এই নোহ লোকটি সেই রকম সমস্ত অশুভ শক্তি পরিবেষ্টিত অবস্থায় থেকেও কিভাবে তার নিজের জীবনযাত্রা নির্বাহ করেছিলেন যাতে তিনি মহাপ্লাবনের বিচারকে নেতৃত্ব দিতে পেরেছিলেন|

তারপর, সেখানে লোট ছিলেন| আদিপুস্তক বইটিতে আপনি যেমন যেমন লোটের বিষয়ে পড়বেন আপনি হয়ত আশ্চর্য্য হবেন এই জেনে যে কেন আমাদের পাঠ্যাংশের মধ্যে (২ পিতর ২:৭ পদে) পিতর তাকে “ধার্ম্মিক লোট” বলে অভিহিত করেছিলেন| লোটের সদোমে চলে যাওয়ার ভুলটির বিষয়ে কোন কথা পিতর কিন্তু বলছেন না| প্রেরিত আমাদের বলছেন লোট কি রকম অনুভব করেছিলেন এবং সদোমে চলে যাওয়ার পরে তিনি কি করেছিলেন| আমাদের পাঠ্যাংশ বলছে যে তিনি ছিলেন “ধর্ম্মহীনদের স্বৈরাচারে ক্লিষ্ট” (২:৭খ)| আপনি যদি আদিপুস্তকের নবম অধ্যায়টি পড়েন তবে জানতে পারবেন সেই নগরটি দেখতে কেমন ছিল – অধঃপতিত, কুৎসিত, লজ্জাজনক| আর এই পাপপূর্ণ নগরীতে লোট এবং তার পরিবার বসবাস করতেন|

নোহ এবং তার পরিবারের লোকেদের মতন তারাও একই অবস্থার মধ্যে ছিলেন| আদিপুস্তকের অষ্টাদশ অধ্যায়ে আমরা পড়ি যে ঈশ্বর সেই সদোম নগরকে হয়ত ধ্বংস করতেন না যদি সেখানে দশ জন ধার্ম্মিক লোক বসবাস করতেন| কিন্তু সেখানে দশজন ধার্ম্মিক লোক ছিলেন না – শুধুমাত্র লোট এবং তার সন্তানেরা ছাড়া| এমনকী এরাই ছিলেন একমাত্র লোক যারা ঐশ্বরিক জীবনযাপন করার প্রচেষ্টায় রত ছিলেন| এরা ছাড়া সেই বিশাল নগরের আর সকলেই ছিল ঈশ্বরবিহীন এবং পাপের প্রতি আসক্ত|

নোহ এবং লোটের উদাহরন থেকে, আমরা দেখছি যে, খুব অল্প সংখ্যক খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের অংশীদার হওয়ার জন্য এই পরীক্ষা দেওয়াটা অতি কঠিন| এমনকী একটা পরিবারের একজন সদস্যের পক্ষে খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হিসাবে বসবাস করাটা আরও বেশি কঠিন| আমি খুব ভালভাবে মনে করতে পারি যে কিভাবে আমার আত্মীয়েরা আমাকে বিদ্রূপ করত, আমাকে উপহাস করত, এবং খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হিসাবে জীবনযাপনের চেষ্টা করার জন্য আমাকে নিয়ে তামাশা করত| আপনার বিদ্যালয়ে, আপনার অফিসে, বা কলেজে, বা আপনার বাড়িতে যদি আপনি একমাত্র খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হন, তবে আপনি ক্রমাগতভাবে উপহাসের পাত্র হতে থাকবেন| যদি আপনি একজন যথেষ্ট ভাল খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হন তবে লোকে আপনাকে বোকা ভাববে| আপনি যত আরও বেশি ভাল খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হবেন, ততই আরও বেশি করে হারানো জগত আপনার বিরুদ্ধে যাবে| এটা একটা খুব কষ্টসাধ্য পরীক্ষা| বেশির ভাগ যুবকেরাই এই পরীক্ষায় অকৃতকার্য্য হয়ে থাকে| তারা অনুভব করে যে বিদ্যালয়ে বা কর্মক্ষেত্রে অবশ্যই তাদেরকে নিজেদের “বন্ধুদের” কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে| যারা হারানো জগতের কাছে “আত্মসমর্পণ” করে তাদের প্রতি দুটি জিনিষ ঘটে|

১| যদি তাদেরকে আদৌ রক্ষা করা যায়, তারা তাদের আনন্দ হারায়| আপনি জগতের একজন বন্ধু হতে পারেন না এবং খ্রীষ্টের আনন্দ নিতে পারেন না, এবং তারা আগত খ্রীষ্টের রাজ্যের পুরস্কার হারায়|

২| যদি হারানো জগতের মধ্যে তাদের কোন ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকে, তারা আদৌ মন পরিবর্তন করবে না| বাইবেল বলছে, “যে কেহ জগতের মিত্র হইতে বাসনা করে সে আপনাকে ঈশ্বরের শত্রু করিয়া তুলে” (যাকোব ৪:৪)|


ডঃ জন্ আর. রাইস বলেছেন, “আপনি কী কখনও…ঈশ্বরের জন্য কোন বন্ধুকে হারিয়েছেন? যদি আপনার খ্রীষ্ট ধর্ম্ম আপনার কাছ থেকে কখনও মূল্য হিসাবে না নিয়ে থাকে…কোন বন্ধুকে…তাহলে আপনি কী প্রকৃতভাবে বলতে পারেন যে আপনি সদাপ্রভুকে খুব বেশি ভালবাসেন? একজন প্রকৃত ভাল খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হতে চাইলে আপনাকে তার মূল্য হিসাবে বন্ধুদের হারাতে হবে” (John R. Rice, D.D., What It Costs to Be a Good Christian, Sword of the Lord Publishers, 1952, p. 28)| বাইবেল বলছে,

“ধন্য সেই ব্যক্তি যে দুষ্টদের মন্ত্রণায় চলে না, পাপীদের পথে দাঁড়ায় না, নিন্দকদের সভায় বসে না” (গীতসংহিতা ১:১)|

আপনি যদি খ্রীষ্ট ধর্ম্মের ইতিহাসের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন যে সেই সমস্ত প্রকৃত মহান খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা ছিলেন সেই পুরুষ এবং মহিলারা যারা জাগতিক সব লোকদের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন| উদাহরন হিসাবে, সেই মহান ব্যক্তি টারটুলিয়ানের কথাই ধরুন| তিনি বেঁচে ছিলেন ১৬০ খ্রীষ্টাব্দ থেকে প্রায় ২২০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত| তিনি দেখেছিলেন অখ্রীষ্টান রোমীয়দের দ্বারা খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের বধ করা হয়েছিল| তিনি দেখেছিলেন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের নির্যাতিত এবং শিরশ্ছেদিত হতে, এবং রঙ্গভূমিতে নিক্ষিপ্ত হতে যাতে সিংহেরা তাদেরকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারে| তাদের বীরত্বের দ্বারা তিনি গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন| তিনি বলেছিলেন, “খ্রীষ্ট ধর্ম্মের মধ্যে নিশ্চিতভাবে এমন কিছু একটা আছে যা লোকেদের প্রস্তুত করে দেয় এইরকম করতে| তারা নিজেদের সবকিছু, এমনকী নিজেদের জীবন পর্যন্ত ত্যাগ করার জন্য প্রস্তুত থাকে|” এছাড়া তিনি তাদের নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা দেখেও খুবই প্রভাবিত হয়েছিলেন| যখন তিনি প্রায় ৩৫ বছর বয়সী ছিলেন, তখন একদিন তিনি হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, খ্রীষ্টের প্রতি আমূল মন পরিবর্তনের| তিনি বেড়িয়ে পড়েছিলেন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের অবজ্ঞা করা এবং প্রতারিত করা প্রতিহত করতে| প্রচলিত মতের বিরুদ্ধে প্রাথমিক মন্ডলীর বিভিন্ন রকমের বিশ্বাসের বিপক্ষে তিনি বই লিখেছিলেন| শেষ পর্যন্ত তিনি ক্যাথলিক মন্ডলী ছেড়ে দিয়েছিলেন কারণ এগুলি ক্রমশঃ জাগতিক বা জগত-সর্বস্ব হয়ে উঠছিল| প্রথমে তিনি মন্টানিষ্টদের সঙ্গে গিয়েছিলেন, যারা ছিল আধুনিক পেন্টিকোষ্টালদের মতন| শেষ পর্যন্ত তিনি তাদেরকেও ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং নিজের গঠন করা একটি মন্ডলীতে পালকত্ব করেছিলেন| সেইজন্য তিনি হয়েছিলেন প্রথম প্রোটেষ্টান্ট| আমি একজন কোরীয় যুবককে জানি যিনি টার্টুলিয়ানের ক্ষমতাপন্ন ধর্ম্মোপদেশ অধ্যয়ণ করার পর মন পরিবর্তন করেছিলেন| যুবকবৃন্দ, আপনারা টার্টুলিয়ানের মতন হন! কারণ তিনি ছিলেন নোহ ও লোটের মতন!

এরপর চিন্তা করুন সেই মহান পিতর ওয়ালডোর কথা| তিনি প্রায় ১১৪০ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ১২০৫ খ্রীষ্টাব্দ অবধি ফ্রান্সে বসবাস করেছিলেন| তিনি একজন সম্পদশালী ব্যবসায়ী ছিলেন| কিন্তু এক রাত্রে তার রাত্রিকালীন ভোজের টেবিলে তার এক বন্ধু পড়ে গিয়ে মারা যান| এই ঘটনা পিতর ওয়ালডোর মনকে গভীরভাবে নাড়া দেয়, এবং তিনি একজন প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসীতে পরিণত হন| তিনি প্রচার করতে শুরু করেছিলেন, এবং তার অনেক অনুগামী ছিল| তিনি বাইবেল অধ্যয়ণ এবং আত্মা জয়ের উপর জোর দিয়েছিলেন| যারা ওয়ালডোকে অনুসরন করত তাদের বলা হত ওয়ালডোনেসিয়ান বা ওয়ালডোপন্থী| তিনি ক্যাথলিক মন্ডলী দ্বারা বহিষ্কৃত হয়েছিলেন, কিন্ত, কোন এক অলৌকিক উপায়ে, তিনি সুসমাচার প্রচার চালিয়ে গিয়েছিলেন তার মৃত্যু পর্যন্ত| এর প্রায় ৩০০ বছর পরে ওয়ালডোর অনুগামীরা সকলেই সুইজারল্যান্ডের, জেনেভায় অবস্থিত প্রোটেষ্টান্ট মন্ডলীতে যোগদান করেছিলেন| যুবকবৃন্দ, আপনারা সবাই পিতর ওয়ালডোর মতন হন! কারণ তিনি ছিলেন নোহ এবং লোটের মতন!

তারপর চিন্তা করেন সেই মহান কুমারী লোট্টি মুনের কথা| তিনি ১৮৪০ সাল থেকে ১৯১২ সাল অবধি জীবিত ছিলেন| ১৮৭৩ সালে তিনি একজন ব্যাপটিষ্ট মিশনারি হিসাবে চিন দেশে গিয়েছিলেন| অতদিন আগের চিন দেশ বড় ভয়ঙ্কর ছিল| তিনি ক্রফোর্ড টয় নামে এক পুরান নিয়মের অধ্যাপকের প্রেমে পড়েন| তিনি বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন| কিন্তু লোট্টি মুন আবিস্কার করলেন যে সেই অধ্যাপক বাইবেলের বেশির ভাগ অংশকেই বিশ্বাস করেন না| তখন লোট্টির হৃদয় বিদির্ণ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তিনি সেই বিবাহ চুক্তি ভেঙ্গে দেন কারণ সেই অধ্যাপক ছিলেন একজন উদারপন্থী অবিশ্বাসী| লোট্টি মুন চিন দেশেই থেকে গিয়েছিলেন| তিনি আর কোনদিন বিয়ে করেননি| তার নিজের জন্য রাখা খাবার নিজে না খেয়ে অন্য মিশনারি এবং চিনা লোকেদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার ফলে ১৯১২ সাল নাগাদ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন| তার ওজন কমে গিয়ে হয়েছিল মাত্র ৫০ পাউন্ড, এবং তাকে তখন আমেরিকায় ফেরত পাঠান হয়েছিল| ফেরত যাওয়ার সময় রাস্তাতেই তিনি মারা যান| সেইদিন থেকে আজকের দিন অবধি তাকে সাউদার্ণ ব্যাপটিষ্ট কনভেনশনের সৃষ্ট মিশনারিদের মধ্যে একজন শ্রেষ্ঠ মিশনারি বলে গণ্য করা হয়| তারা এখনও প্রত্যেক বছর খ্রীষ্টমাসের সময়ে তার বিষয়ে আলোচনা করে – যখন তারা বিদেশী মিশনগুলির জন্য “লোট্টি মুন উপহার” সংগ্রহ করেন| তারা প্রায়্শই এই কথার উল্লেখ করেন না যে তিনি যে লোকটির সঙ্গে বিবাহ-চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিলেন সেই লোকটিকেই ত্যাগ করেছিলেন কারণ সে ছিল একজন অবিশ্বাসী| কিন্তু ঈশ্বর এই কথা স্মরণে রাখেন! যুবকবৃন্দ, লোট্টি মুনের মতন হন! কারণ তিনি ছিলেন নোহ এবং লোটের মতন!

“আর তিনি [ঈশ্বর] পুরাতন জগতের প্রতি মমতা করেন নাই, কিন্তু যখন ভক্তিহীনদের জগতে জলপ্লাবন আনিলেন, তখন আর সাত জনের সহিত ধার্ম্মিকতার প্রচারক, নোহকে রক্ষা করিলেন; আর সদোম ও ঘমোরা নগর ভস্মীভূত করিয়া উৎপাটনরূপ দন্ড দিলেন, যাহারা ভক্তিবিরুদ্ধ আচরণ করিবে তাহাদের দৃষ্টান্তস্বরূপ করিলেন; আর সেই ধার্ম্মিক লোটকে উদ্ধার করিলেন, যিনি ধর্ম্মহীনদের স্বৈরাচারে ক্লিষ্ট হইতেন” (২ পিতর ২:৫-৭)|

বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত ব্রিটিশ প্রচারক, ডঃ মার্টিন লয়েড-জোন্স, ২য় পিতরের এই একই অনুচ্ছেদের উপর একটি প্রচার করেছিলেন| ডঃ লয়েড-জোন্স তার প্রচার শেষ করেছিলেন ঠিক এইভাবে,

আমি একটি প্রশ্নের সহিত প্রচার শেষ করিতেছি| আমরা কী নোহ এবং লোটের অনুরূপ? আজকের জগত আশ্চর্য্যজনকভাবে (তাহাদের) দিনের জগতের অনুরূপ| লোকেদের পক্ষে কী এখনও এই কথা বলা সহজ যে তাহারা খ্রীষ্ট বিশ্বাসী? আমরা কী স্বতন্ত্র, আমরা কী লক্ষ্যণীয় হইতে পারি?...ধ্বংসের প্রতি স্বনিক্ষেপিত মানব আত্মাগুলির জন্য কী আমরা শোক অনুভব করি? আমরা কী এই বিষয়ের উপর প্রার্থনা করিতেছি এবং একটি প্রকৃত উদ্দীপনার আনয়ন ত্বরান্বিত করিবার জন্য আমাদের য্থাসাধ্য কর্ম করিতেছি? আধুনিক খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণের প্রতি ইহাই হইতেছে নোহ এবং লোটের প্রতিদ্বন্দীতার আহ্বান (Martyn Lloyd-Jones, M.D., “The Example of Noah and Lot,” Expository Sermons on 2 Peter, The Banner of Truth Trust, 1983, p. 154)|

অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়ান এবং আপনার গানের পাতার ৬ নং গানটি করুন| গেয়ে যান!

আমার জীবন, আমার প্রেম আমি তোমাকেই দিই, তুমি ঈশ্বরের মেষশাবক আমার জন্য মরেছ;
   ওহ আমি কি কখনও বিশ্বস্ত হব, আমার পরিত্রাতা এবং আমার ঈশ্বর!
যিনি আমার জন্য মরেছেন আমি তার জন্যে বাঁচব, কত পরিতৃপ্ত হবে আমার জীবন!
   যিনি আমার জন্য মরেছেন আমি তার জন্যে বাঁচব, আমার পরিত্রাতা এবং আমার ঈশ্বর!

এখন আমি বিশ্বাস করি তুমি গ্রহণ করেছ, তুমি আমার জন্য মরেছ যেন আমি বাঁচি;
   এবং অতঃপর এখন আমি তোমাতে বিশ্বাস করি, আমার পরিত্রাতা এবং আমার ঈশ্বর!
যিনি আমার জন্য মরেছেন আমি তার জন্যে বাঁচব, কত পরিতৃপ্ত হবে আমার জীবন!
   যিনি আমার জন্য মরেছেন আমি তার জন্যে বাঁচব, আমার পরিত্রাতা এবং আমার ঈশ্বর!

ওহ তুমি কালভেরীর উপরে মরেছ, আমার আত্মা রক্ষা করতে এবং আমাকে মুক্ত করতে,
   আমার জীবন তোমাকে উৎসর্গ করব, আমার পরিত্রাতা এবং আমার ঈশ্বর!
যিনি আমার জন্য মরেছেন আমি তার জন্যে বাঁচব, কত পরিতৃপ্ত হবে আমার জীবন!
   যিনি আমার জন্য মরেছেন আমি তার জন্যে বাঁচব, আমার পরিত্রাতা এবং আমার ঈশ্বর!
      (“I’ll Live for Him” by Ralph E. Hudson, 1843-1901; altered by the Pastor)|

স্বর্গীয় পিতা, আমরা প্রার্থনা করি যে আজ সন্ধ্যায় এখানে উপস্থিত কোন একজন তোমার পুত্র, যীশুর উপরে বিশ্বাস স্থাপন করবে – এবং তাঁর বহুমূল্য রক্ত যা তিনি ক্রুশের উপরে ঝরিয়েছেন তার দ্বারা সমস্ত পাপ থেকে শুচি হবে| তাঁর নাম নিয়ে, আমেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন ডঃ ক্রিগটন এল. চান: ২ পিতর ২:৪-৯ |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“In Times Like These” (by Ruth Caye Jones, 1902-1972)|