এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
সর্প এবং পরিত্রাতাTHE SERPENTS AND THE SAVIOUR লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র। ২০১৫ সালের, ৮ই মার্চ, প্রভুর দিনের সকালে লস্ এঞ্জেলসের “তখন সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, তুমি এক জ্বালাদায়ী সর্প নির্ম্মান করিয়া, পতাকার উর্দ্ধে রাখ: সর্পদষ্ট যে কোন ব্যক্তি, তাহার প্রতি দৄষ্টিপাত করিবে, সে বাঁচিবে| তখন মোশি পিত্তলের এক সর্প নির্ম্মান করিয়া, পতাকার উর্দ্ধে রাখিলেন, তাহাতে এইরূপ হইল, সর্প কোন মনুষ্যকে দংশন করিলে, যখন সে ঐ পিত্তলময় সর্পের প্রতি দৃষ্টি করিল, তখন বাঁচিল” (গণনাপুস্তক ২১:৮-৯)| |
ইস্রায়েলের লোকেরা যখন প্রান্তরের মধ্যে দিয়ে যাত্রা করেছিলেন তখন তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন| এবং লোকেরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে, এবং তাদের নেতা মোশির বিরুদ্ধে কথা বলেন| তারা বলেছিলেন, “এই প্রান্তরে মরিবার জন্য কেন তোমরা আমাদের মিশর দেশ হইতে বাহির করিয়া আনিলে? কেননা এখানে কোন খাদ্য নাই, এমনকী এখানে কোন জল নাই, এবং আমরা এই সমস্ত হালকা খাদ্য ঘৃণা করি|” ঈশ্বর তাদের খাওয়ার জন্য স্বর্গ থেকে মান্না পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু তারা সেটাকে ঘৃণা করত| তারা মান্নাকে বলত “এই হালকা খাদ্য,” এটা অব্যবহার্য্য খাদ্য| মান্নাকে গীতরচক বলেন “পরাক্রমীদের’ খাদ্য” (গীতসংহিতা ৭৮:২৫), কিন্তু ইস্রায়েলের লোকেরা ঈশ্বরের এবং মোশির বিরুদ্ধে বচসা এবং অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল| তারা বলেছিল, “আমাদের আত্মা এই মান্নাকে অপছন্দ করে” – আমরা একে ঘৃণা করি| এটা মানুষের স্বভাবের উপরে একটা মন্তব্য| এটা দেখাচ্ছে মানুষের হৃদয়ের নৈতিক বিচ্যুতি এবং পাপ, “কেননা মাংসের ভাব ঈশ্বরের প্রতি শত্রুতা” (রোমীয় ৮:৭)| বাইবেল বলছে, “সকলেই পাপের অধীন; যেমন লিখিত আছে, ধার্ম্মিক কেহই নাই, একজনও, নাই” (রোমীয় ৩:৯-১০)| মানুষের হৃদয় ঈশ্বরের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করা হয়েছে| সেই কারণে আমরা এত প্রবণ ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করতে এবং অসন্তোষ প্রকাশ করতে| যে ইস্রায়েলীয়রা প্রান্তরে ছিলেন, তারা পাপী মানুষের তুলনায় কিছু উত্তম নয়, এবং তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই| “তখন সদাপ্রভু লোকদের মধ্যে জ্বালাদায়ী সর্প প্রেরণ করিলেন, তাহারা লোকদিগকে দংশন করিলে; ইস্রায়েলের অনেক লোক মারা পড়িল” (গণনাপুস্তক ২১:৬)| বাইবেল বলছে, “পাপের বেতন মৃত্যু” (রোমীয় ৬:২৩)| বাইবেল বলে, “যে প্রাণী পাপ করে, সেই মরিবে” (যিহিষ্কেল ১৮:৪, ২০)| কিন্তু সেই লোকেরা যারা অবশিষ্ট ছিলেন তারা মোশির কাছে এসেছিলেন এবং বলেছিলেন, “আমরা পাপ করিয়াছি…সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা কর, যেন তিনি আমাদের নিকট হইতে এই সকল সর্প দূর করেন| তাহাতে মোশি লোকেদের জন্য প্রার্থনা করিলেন” (গণনাপুস্তক ২১:৭)| ঈশ্বর তাদের প্রতি যে মহান অনুগ্রহ দেখিয়েছিলেন তা যেন আমরা অবশ্যই স্মরণে রাখি| মিশরের দাসত্ব থেকে ঈশ্বর তাদের মুক্ত করেছিলেন| ঈশ্বর তাদের লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে পরিচালনা করেছিলেন – দুইপাশে দন্ডায়মান খাড়া জলপ্রাচীরের মধ্যখানের শুকনো ভূমির উপর দিয়ে| পুরান নিয়মের পরের সব অংশের মধ্যে তারা এই মহান উদ্ধারের বিষয়ে জয়গান গেয়েছিলেন| আর ঈশ্বর প্রত্যেকদিন তাদের মান্না খাইয়েছিলেন| সেখানে একটি পাহাড়ের গা থেকে জল বেরিয়ে আসত, যা সমস্ত জাতি ও তাদের গবাদি পশুদের ব্যবহারের পক্ষে যথেষ্ট ছিল| ঈশ্বর মহা পরাক্রমের সঙ্গে শত্রুদের থেকে তাদের উদ্ধার করেছিলেন| ঈশ্বর রাত্রে অগ্নিস্তম্ভের মধ্যে থেকে, এবং দিনে মেঘস্তম্ভের মধ্যে থেকে তাদের পরিচালনা করতেন| ঈশ্বরের গৌরব তাদের সঙ্গে ক্রমাগতভাবে থাকত| কিন্তু তারা ঈশ্বরের প্রশংসা করত না| পরিবর্তে তারা ঈশ্বর অবিশ্বাসী ছিলেন| তারা বিরুদ্ধাচরণ করেছিলেন| তারা মোশির বিরুদ্ধে দোষারোপ এবং অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন| ডঃ জন্ আর. রাইস বলেছেন, হঠাৎ করিয়া লোকেদের মধ্যে, অনেকে ঘাসের উপর দিয়া টলমল করিয়া চলিতেছিল, অনেকে তাঁবুর মধ্যে হামাগুড়ি দিয়া চলিতেছিল, সেখানে বিষধর সর্পসকল ছিল, রক্তিম আভাযুক্ত অগ্নিবৎ মন্দ জিনিষ ছিল “এবং অনেক ইস্রায়েলীয়রা মারা গিয়াছিল|” এস্থানে একটি ঘটনার মধ্য দিয়া ঈশ্বরের বিচার এবং অনুগ্রহ উভয়ই দেখান হইয়াছে| এস্থানে ক্রোধ এবং অনুগ্রহ উভয়ই আছে| প্রান্তরের মধ্যে সেইস্থানে পাপ এবং পরিত্রাতা উভয়েরই প্রকাশ হইয়াছিল (John R. Rice, D.D., “Snakes in the Camp,” Blood and Tears on the Stairway, Sword of the Lord Publishers, 1970, pp. 34, 35)| নতুন নিয়মে, যোহনের তৃতীয় অধ্যায়ে যদি যীশু এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না করতেন তবে হয়ত আমরা এই বিষয়ে খুব একটা বেশি কিছু চিন্তা করতাম না| নীকদীম নামের একটি লোক রাত্রিবেলা যীশুর কাছে এসেছিলেন| তিনি ইস্রায়েলের একজন প্রধান শিক্ষক ছিলেন| তিনি ছিলেন একজন ফরিশী এবং যিহুদী বিচারসভা, সেনহিড্রিনের একজন সদস্য| তিনি বিশ্বাস করতেন যে যীশু ছিলেন “ঈশ্বরের নিকট হইতে আগত এক গুরু: কেননা ঈশ্বর সহবর্ত্তী না থাকিলে, তিনি যে সকল চিহ্ন-কার্য্য সাধন করিতেছেন সেই সকল কেহ করিতে পারে না” (যোহন ৩:২)| কিন্তু নীকদীম জানতেন না কিভাবে নতুন করে জন্ম নেওয়া যায়| যীশু তাকে বলেছিলেন, “তোমার নতুন জন্ম হওয়া আবশ্যক” (যোহন ৩:৭)| নীকদীম বলেছিলেন, “এই সকল কী প্রকারে হইতে পারে?” (যোহন ৩:৯)| কিভাবে নতুন জন্ম নেওয়া যায়, কিভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায় এইসব বিষয়ে নীকদীমের কোন ধারনা ছিল না| যীশু প্রান্তরে সর্পের বিষয়ে তাকে স্মরণ করালেন, তাকে দেখানোর জন্য যে কিভাবে নতুন জন্ম হয়| নতুন জন্মকে ইশ্বরতত্ত্ববিদ্গন “পুনঃসৃষ্টি” বলে অভিহিত করেছেন| রিফর্মেশন স্টাডি বাইবেল বলছে, যীশু এমনভাবে অপ্রত্যাশিত বিষয় দেখাইয়াছিলেন যে নীকদীম নতুন জন্মের চাহিদার দ্বারা হতবুদ্ধি হইয়া পড়িয়াছিলেন| পুরাতন নিয়ম হইতে নীকদীমের বোঝা উচিৎ ছিল যে তিনি একজন পাপী ছিলেন, এবং এক নতুন জন্মের প্রয়োজনে…পুনঃসৃষ্টি [নতুন জন্ম] হইতেছে ঈশ্বরের অনুগ্রহের দান| ইহা আমাদিগের মধ্যে পবিত্র আত্মার তাৎক্ষণিক, অতিপ্রাকৃতিক কার্য্য| ইহার প্রভাব আমাদিগকে আত্মিক মৃত্যু হইতে আত্মিক জীবনের প্রতি দ্রুততার সহিত [জীবন্ত করিয়া তোলে] প্রেরণ করে… (The Reformation Study Bible, Ligonier Ministries, 2005, p. 1514; note on John 3)| এখন যোহন ৩:১৪, ১৫ পদগুলি খুলুন| এটা স্কোফিল্ড স্টাডি বাইবেলের ১১১৭ পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ আছে| যীশু কিভাবে নীকদীমের কাছে নতুন জন্মকে ব্যাখ্যা করেছিলেন সেটা এখানে দেওয়া হয়েছে| বাইবেলের প্রথম পাঁচটি বই, সেই পঞ্চপুস্তক নীকদীমের মুখস্থ ছিল| গণনাপুস্তক হল বাইবেলের চতুর্থ পুস্তক| নীকদীম এত ভালভাবে সেটাকে অন্তর থেকে জানতেন, যে তিনি সেটার বেশ খানিকটা অংশ মুখস্থ করে ফেলেছিলেন, সম্ভবত এর সবটাই| সেই কারণে যীশু জ্বালাদায়ী সর্পের বিষয়টি ব্যবহারের মাধ্যমে নীকদীমের কাছে বর্ণনা করেছিলেন কিভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায়, কিভাবে আবার নতুন জন্ম পাওয়া যায় সেই বিষয়টিকে| অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়ান এবং যোহন ১৪ এবং ১৫ পদদুটি খুলুন| এটা স্কোফিল্ড স্টাডি বাইবেল এর ১১১৭ পৃষ্ঠায় রয়েছে| নীকদীমের প্রতি যীশু বলেছিলেন, “আর মোশি যেমন প্রান্তরে সেই সর্পকে উচ্চে উঠাইয়াছিলেন, সেইরূপে মনুষ্যপুত্রকেও উচ্চীকৃত হইতে হইবে: যেন যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন পায়” (যোহন ৩:১৪-১৫)| আপনারা এবার বসতে পারেন| দেখা এবং বেঁচে থাকা, যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করা এবং পরিত্রাত হওয়া, এটাই হল খ্রীষ্টের সুসমাচারের কেন্দ্রবিন্দু| এই অধ্যায়ের তিনটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করুন| ১| প্রথম, হুল এবং পাপের মৃত্যু | যদি একজন মানুষ তার তাঁবুতে যেতেন, তিনি দেখতেন যে সেখানে সর্প ছিল| যদি তিনি খেতে বসে যেতেন, সর্পেরা সেখানেও থাকত| যখন লোকটি তার বিছানা পাততো, সেখানে সেই সর্পেরা থাকত, কিলবিল করত, লোকটিকে কামড়ানোর জন্য প্রস্তুত এমন অবস্থায় থাকত| আর যখন ঐ সব সর্প একজন লোককে কামড়াত, তখন তার হুল ফোটানোর যন্ত্রনা এবং জ্বালা হত আগুনের মতন| সর্পের শিকার সেই ব্যক্তির শরীরে প্রথমে জ্বর হত, তারপর তার মাংসপেশী প্রবলভাবে আলোড়িত হত এবং শেষে মৃত্যু হত! প্রত্যেকটি লোক যারা সেই সাপের কামড় খেয়েছিল তারা এক ভয়াবহ মৃত্যুর শিকার হয়েছিল| এখন টেক্সাসের, ডালাসের সেই প্রথম ব্যপটিষ্ট মন্ডলীর বিখ্যাত পালক, ডঃ ডব্লিউ. এ. ক্রিস্ওয়েল সেইসব সর্পগুলির বিষয়ে কি বলেছেন তা শুনুন| ডঃ ক্রিস্ওয়েল, সেই সর্পগুলির বিষয়ে বলেছেন, মনুষ্য হৃদয়ের সার্ব্বজনীন নৈতিক বিচ্যুতি এবং মনুষ্য জীবনে পাপের সার্ব্বজনীন উপস্থিতির বিষয়ে, ইহা একটি নমুনা [অথবা দৃষ্টান্ত] হিসাবে আমাদের প্রভুর দ্বারা ব্যবহার করা হইয়াছিল| এই নৈতিক বিচ্যুতি রহিয়াছে আমাদিগের হৃদয়ে, আমাদিগের বাসভবনে, আমাদিগের গৃহে, আমাদিগের উত্থানে ও আমাদিগের পতনে…যাহা এড়াইতে পারা যায় না তাহা হইল পাপের সার্ব্বজনীন উপস্থিতি ও মৃত্যু| মনুষ্যজাতি হইতেছে দুশ্চরিত্র এবং পতিত জাতি; এবং আমরা যতই দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গীতে বিচার করি না কেন, ইহাই হইতেছে মনুষ্য জাতির পক্ষে এবং মনুষ্যজাতির ইতিহাসে কঠোরতম সত্য ঘটনা যে: মনুষ্যেরা পাপ এবং শর্তলঙ্ঘনের দ্বারা হারাইয়া গিয়াছে| আমরা আমাদিগের পাপে মৃত…এই সর্পসকল হইতেছে পাপের ধ্বংসাত্মক শক্তির এক প্রতীক…ওহ, পাপের সেই নাশক, ধ্বংসাত্মক শক্তির প্রতীক! প্রেরিত পৌল সতর্কতা হিসাবে, ইস্রায়েলীয়দের পাপের সঙ্গে আমাদের পাপের তুলনা করেছিলেন, “আর যেমন তাঁহাদের মধ্যে কতক লোক পরীক্ষা করিয়াছিল, এবং সর্পের দ্বারা বিনষ্ট হইয়াছিল, আমরা যেন তেমনি প্রভুর পরীক্ষা না করি| আর যেমন তাঁহাদের মধ্যে কতক লোক বচসা করিয়াছিল, এবং সংহারকের দ্বারা বিনষ্ট হইয়াছিল, তোমরা তেমনই বচসা করিও না| এই সকল তাহাদের প্রতি দৃষ্টান্তস্বরূপ রাখা হইয়াছিল: এবং আমাদিগকে বিশেষভাবে উপদেশদানের জন্য সেগুলি লিখিত হইল, যাহাদের উপর যুগকলাপের অন্ত আসিয়া পড়িয়াছে” (১ম করিন্থীয় ১০:৯-১১)| পাপ তাদের প্রতি বিচার এনেছিল – এবং পাপ আজকে বিচার নিয়ে আসবে| “এই সকল তাহাদের প্রতি [দৃষ্টান্তস্বরূপে] ঘটিয়াছিল এবং আমাদিগকে বিশেষভাবে উপদেশদানের জন্য সেগুলি [আমাদের শিক্ষাদানের জন্য] লিখিত হইল,” ১ম করিন্থীয় ১০:১১ – আর সেটা আমাদের নিয়ে যায় দ্বিতীয় অংশে| ২| দ্বিতীয়, পাপ এবং মৃত্যুর জন্য আরোগ্য | মোশি লোকেদের কান্না শুনেছিলেন| তারা সর্প দ্বারা দংশিত হয়েছিলেন| তারা উচ্চস্বরে কাঁদছিল আর মারা যেতে বসেছিল| সর্পেরা সর্বত্র বিচরন করছিল| “তখন সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, তুমি এক জ্বালাদায়ী সর্প নির্ম্মান করিয়া, পতাকার উর্দ্ধে রাখ: সর্পদষ্ট যে কোন ব্যক্তি, তাহার প্রতি দৄষ্টিপাত করিবে, সে বাঁচিবে| তখন মোশি পিত্তলের এক সর্প নির্ম্মান করিয়া, পতাকার উর্দ্ধে রাখিলেন, তাহাতে এইরূপ হইল, সর্প কোন মনুষ্যকে দংশন করিলে, যখন সে ঐ পিত্তলময় সর্পের প্রতি দৃষ্টি করিল, তখন বাঁচিল” (গণনাপুস্তক ২১:৮-৯)| যখন আপনি কোন হাসপাতালে যান, সেখানে সাধারনত একটা চিহ্ন থাকে| সেটা হল একটা দন্ড যার গায়ে দু’টি সাপ জড়াজড়ি করে আছে| আপনি হয়ত এই চিহ্নটি কোন ডাক্তারের অফিসে বা তার লেখার জিনিষপত্রের মধ্যে দেখে থাকবেন| এটা হচ্ছে কোন ব্যক্তির চিহ্ন যারা আরোগ্যকারী পেশায় নিযুক্ত আছেন| এটা কতটাই না আশ্চর্য্যজনক যে স্বাস্থ্যের, আরোগ্যের এবং পরিত্রাণের চিহ্ন হচ্ছে একটা সাপ যা কিনা একটা দন্ডের উপরে পেঁচিয়ে আছে! এটা প্রকৃত সাপ নয়| এটা হচ্ছে একটা পিতলের তৈরী সাপ এবং সেটাকে একটা স্তম্ভের উপর উঁচুতে তোলা হয়েছে| এবং স্কোফিল্ডের টিকা সঠিক যখন তা বলে, “পিত্তলের সর্প হইতেছে খ্রীষ্টের প্রতীক, ‘আমাদিগের জন্য পাপ হইলেন’ আমাদিগের বিচার বহন করিতেছেন|” (গণনাপুস্তক ২১:৯ পদের উপর টীকা)| আমাদের সমস্ত পাপ ক্রুশের উপরে খ্রীষ্টের কাছে রাখা হয়েছিল, “তিনি আমাদিগের পাপভার তুলিয়া লইয়া আপনি নিজদেহে ক্রুশের উপরে বহন করিলেন…তাঁহারই ক্ষত দ্বারা তোমরা আরোগ্যপ্রাপ্ত হইয়াছ” (১ম পিতর ২:২৪)| যীশু নিজে নীকদীমকে বলেছিলেন, “আর মোশি যেমন প্রান্তরে সেই সর্পকে উচ্চে উঠাইয়াছিলেন, সেইরূপে মনুষ্য পুত্রকেও উচ্চীকৃত হইতে হইবে…” (যোহন ৩:১৪)| যীশুর নিজের কাছে “মনুষ্য পুত্র” নামটি খুব প্রিয় ছিল| তিনি বলেছেন, “মোশির দ্বারা যেমন পিত্তলের সর্প উচ্চীকৃত করা হইয়াছিল আমাকেও তেমনই উচ্চীকৃত (ক্রুশের উপরে) হইতে হইবে|” পরিত্রাতার কি সুন্দর চিত্র! কর্কশ উপহাস এবং লজ্জা বহন করছেন, “আর মোশি যেমন প্রান্তরে সেই সর্পকে উচ্চে উঠাইয়াছিলেন, সেইরূপে মনুষ্য পুত্রকেও উচ্চীকৃত হইতে হইবে…” (যোহন ৩:১৪)| এবং এটা আমাদেরকে তৃতীয় ধাপে নিয়ে যাচ্ছে| ৩| তৃতীয়, পাপ এবং মৃত্যু থেকে সুস্থতা গ্রহণের পথ | “আর মোশি যেমন প্রান্তরে সেই সর্পকে উচ্চে উঠাইয়াছিলেন, সেইরূপে মনুষ্য পুত্রকেও উচ্চীকৃত হইতে হইবে: যেন যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন পায়” (যোহন ৩:১৪,১৫)| যীশুকে বিশ্বাস করার জন্য তাঁর প্রতি দেখতে হবে| তাঁকে দেখার অর্থ হল বেঁচে থাকা, বিশ্বাস করা ও পরিত্রাণ পাওয়া, ধৌত ও শুচি হওয়া! এই বিষয়টিতে কঠিন কিছুই নেই! বিশ্বাসে যীশুর প্রতি দেখুন! আমাদের মন্ডলীর সব সদস্যই এইরকম করেছেন| এটা কোন কঠিন কাজ হতে পারে না নয়ত আমার স্ত্রী প্রথম বার আমার প্রচার শোনার পরই এই কাজ করতে সক্ষম হতেন না! “তখন মোশি পিত্তলের এক সর্প নির্ম্মান করিয়া, পতাকার উর্দ্ধে রাখিলেন, তাহাতে এইরূপ হইল, সর্প কোন মনুষ্যকে দংশন করিলে, যখন সে ঐ পিত্তলময় সর্পের প্রতি দৃষ্টি করিল, তখন বাঁচিল” (গণনাপুস্তক ২১:৯)| যখন একজন লোক পিত্তলের সর্পের দিকে দৃষ্টিপাত করত, সে বেঁচে যেত! কোন লোক যে ইতিমধ্যেই দংশিত হয়েছে সে দৃষ্টিপাত করতে পারত! একজন মৃতপ্রায় লোক সেটা দেখতে পারত! এরা সকলেই পিত্তলের সর্পের দিকে দৃষ্টিপাত করে উদ্ধার লাভ করেছিলেন! এবং আমরা উদ্ধারপ্রাপ্ত হয়েছি যীশুর প্রতি দৃষ্টিপাত করে! “বিশ্বাসের আদিকর্ত্তা ও সিদ্ধিকর্ত্তা যীশুর প্রতি দৃষ্টি রাখি; তিনিই আপনার সন্মুখস্থ আনন্দের নিমিত্ত ক্রুশ সহ্য করিলেন, অপমান তুচ্ছ করিলেন, এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের দক্ষিণে উপবিষ্ট হইয়াছেন” (ইব্রীয় ১২:২)| এই কাজ কঠিন হতে পারে না! সহস্রাধিক লোক যীশুর প্রতি দৃষ্টিপাত করেছেন! যীশুর প্রতি দেখুন! যীশুর প্রতি দেখুন! যীশুর প্রতি দেখুন! সেটাই হল পুনঃজন্মের পথ! যীশুর প্রতি দৃষ্টিপাত করুন! সেটাই হল পুনঃসৃষ্ট হওয়ার পথ! যীশুর দিকে দেখুন! আপনার কৃত সমস্ত পাপের ক্ষমাপ্রাপ্তি এবং শুচিকৃত হওয়ার সেটাই হল পথ! যীশুর প্রতি দেখুন! সেটাই হচ্ছে সমস্ত সময়ের জন্য এবং চিরকালের জন্য – পরিত্রাণের পথ! দীপ্তির সময় পর্যন্ত যীশুর প্রতি দেখুন; যদি তুমি পাপ থেকে মুক্তির আকাঙ্খী, দেখ এবং জীবিত হও, আমার ভ্রাতা, জীবিত হও! “তাহাতে এইরূপ হইল, সর্প কোন মনুষ্যকে দংশন করিলে, যখন সে ঐ পিত্তলময় সর্পের প্রতি দৃষ্টি করিল, তখন বাঁচিল” (গণনাপুস্তক ২১:৯)| দেখ এবং জীবিত হও, আমার ভ্রাতা, জীবিত হও! স্পারজিয়ন যখন পনের বছরের কিশোর ছিলেন তিনি আদ্যিকালের ছোট্ট একটি মেথডিষ্ট চ্যাপেলে তুষার ঝড়ের মতন প্রকাশিত হয়েছিলেন| সেখানে পালক ছিলেন না| তিনি “হতবুদ্ধি” অবস্থায় ছিলেন| সেই চ্যাপেলে কেবলমাত্র পনের জন লোক ছিলেন| রোগা ও ছোটখাট চেহারার এক অদক্ষ ব্যক্তি প্রচার করার জন্য উঠে দাঁড়িয়েছিলেন| স্খলিত কন্ঠে তিনি শাস্ত্রীয় পাঠ্যাংশ ঘোষণা করছিলেন, “হে পৃথিবীর প্রান্তসকল, আমার প্রতি দৃষ্টি করিয়া, পরিত্রাণপ্রাপ্ত হও” (যিশাইয় ৪৫:২২)| তিনি সরাসরি যুবক স্পারজিয়নের প্রতি নির্দেশ করলেন এবং বললেন, “যুবক, তোমাকে দূর্দশাগ্রস্ত দেখাচ্ছে| তুমি যদি আমার পাঠ্যাংশের বাধ্য না হও তবে তুমি সবসময় যৎপরোনাস্তি দুঃখী থাকবে| দেখ! দেখ! যীশুর দিকে তাকাও|” স্পারজিয়ন বললেন, “আমি দেখেছি, এবং যীশু আমাকে তখনই উদ্ধার করেছেন যখন আমি বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর দিকে দেখেছিলাম|” দেখ এবং জীবিত হও, আমার ভ্রাতা, জীবিত হও! পল ওয়াহার কি বলছেন তা আমি ভ্রুক্ষেপ করি না! “ইহা শুধুমাত্র এই যে আপনি দেখুন এবং জীবিত হন!” ডঃ ম্যাকআর্থার কি বলছেন আমি সেটাতে ভ্রুক্ষেপ করি না! “ইহা শুধুমাত্র এই যে আপনি দেখুন এবং জীবিত হন!” এরা সকলেই খুব সজ্জন লোক, কিন্তু “ইহা শুধুমাত্র এই যে আপনি দেখুন এবং জীবিত হন!” ক্রুশের উপরে যীশুর পাশের সেই দস্যুর তাঁকে নিজের জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রের প্রভু বানাবার অবকাশ ছিল না! সে মৃত্যু পথযাত্রী ছিল! সেই দস্যুর খ্রীষ্ট প্রভুকে তার নিজের জীবনের কোন ক্ষেত্রেই প্রভু বানাবার অবকাশ ছিল না! সে মৃত্যু পথযাত্রী ছিল| কোন সময় ছিল না! কোন সময় ছিল না! কোন সময় ছিল না! তার শুধু একটাই কাজ করার সময় ছিল| সে বিশ্বাসের সঙ্গে যীশুর প্রতি দেখেছিল! “ইহা শুধুমাত্র এই যে আপনি দেখুন এবং জীবিত হন!” স্পারজিয়ন কেবল সেইটুকুই করেছিলেন! সেইটুকুই শুধুমাত্র আপনার করা প্রয়োজন! হাল্লেলূইয়া! ক্রুশের উপর সেই দস্যু পরিত্রাণ পেয়েছিলেন! যীশু বলেছিলেন, “অদ্যই তুমি পরমদেশে আমার সহিত উপস্থিত হইবে” (লূক ২৩:৪৩)| দেখ এবং জীবিত হও, আমার ভ্রাতা, জীবিত হও! (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মে: গণনাপুস্তক ২১:৫-৯ | |
খসড়া চিত্র সর্প এবং পরিত্রাতা THE SERPENTS AND THE SAVIOUR লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র। “তখন সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, তুমি এক জ্বালাদায়ী সর্প নির্ম্মান করিয়া, পতাকার উর্দ্ধে রাখ: সর্পদ্রষ্ট যে কোন ব্যক্তি, তাহার প্রতি দৄষ্টিপাত করিবে, সে বাঁচিবে| তখন মোশি পিত্তলের এক সর্প নির্ম্মান করিয়া, পতাকার উর্দ্ধে রাখিলেন, তাহাতে এইরূপ হইল, সর্প কোন মনুষ্যকে দংশন করিলে, যখন সে ঐ পিত্তলময় সর্পের প্রতি দৃষ্টি করিল, তখন বাঁচিল” (গণনাপুস্তক ২১:৮-৯)| (গীতসংহিতা ৭৮:২৫; রোমীয় ৮:৭; ৩:৯-১০; গণনাপুস্তক ২১:৬; ১| প্রথম, হুল এবং পাপের মৃত্যু, ১ম করিন্থীয় ১০:৯-১১ | ২| দ্বিতীয়, পাপ এবং মৃত্যুর জন্য আরোগ্য, ১ম পিতর ২:২৪; যোহন ৩:১৪ | ৩| তৃতীয়, পাপ এবং মৃত্যু থেকে সুস্থতা গ্রহণের পথ, যোহন ৩:১৪, ১৫; ইব্রীয় ১২:২; যিশাইয় ৪৫:২২; লূক ২৩:৪৩ | |