এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
লুথারের প্রধান পাঠ্যাংশলেখকঃ ডঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি. by Dr. R. L. Hymers, Jr. ২০১৪ সালের, ২৬শে অক্টোবর, সদাপ্রভুর একটি দিনে সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেলসের “কেননা আমি সুসমাচার সম্বন্ধে লজ্জিত নহি: কারন উহা প্রত্যেক বিশ্বাসীর পক্ষে পরিত্রাণার্থে ঈশ্বরের শক্তি; প্রথমতঃ যিহুদীর পক্ষে, আর গ্রীকেরও পক্ষে| কারন ঈশ্বর-দেয় এক ধার্মিকতার সুসমাচার প্রকাশিত হইতেছে তাহা বিশ্বাসমূলক ও বিশ্বাসজনক: যেমন লেখা আছে, কিন্তু ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে” (রোমীয় ১: ১৬-১৭)| |
সাধু পৌল এখানে রোমের খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের প্রতি বলেছিলেন| সেই সময়ে রোম শহর ছিল সমগ্র পৃথিবীর রাজধানী| সেই মহান শহরে মর্মর পাথরের অনেক মন্দির ছিল, এবং রোমীয় মহান দেবতাদের খোদাই করা প্রতিমূর্তি ছিল| সেখানে কোন মন্ডলীগৃহ বা চার্চ ছিল না| রোমের খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা সেখানে একটি ছোট, অবজ্ঞাত দল হিসাবে ছিল – তাদের কোন ধর্ম্মীয় স্বীকৃতি ছিল না| কিন্তু পৌল খুব সাহসিকতার সঙ্গে বলেছিলেন, “আমি সুসমাচার সম্বন্ধে লজ্জিত নহি|” তিনি কিভাবে এটা বলেছিলেন? কিভাবে এতটা নিশ্চিত হয়ে এইকথা তিনি বলতে পারলেন? “আমি খ্রীষ্টের সুসমাচার সম্বন্ধে লজ্জিত নহি|” খ্রীষ্টের সুসমাচার, আমাদের পাপের দেনা শোধ করার জন্য ক্রুশের উপরে তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে এবং আমাদের জীবন দানের জন্য মৃত্যু থেকে তাঁর পুনরুত্থানের বিষয়ে বলে| পৌল বলেছেন, “আমি এই বিষয়ে একেবারেই লজ্জিত নহি|” কেন তিনি লজ্জিত নন? “কারন ইহা পরিত্রাণের জন্য ঈশ্বরের শক্তি|” “শক্তি” এই শব্দটির গ্রীক অনুবাদ হল “ডিউনামিস” বা শক্তিশালী| এই গ্রীক শব্দটি থেকে আমরা ইংরাজিতে “ডিনামাইট” বা শক্তিশালী বিস্ফোরক পদার্থ বিশেষ শব্দটি পেয়েছি| সুসমাচারে শক্তি আছে! ডঃ মারভিন আর. ভিনসেন্ট একে বলেছেন “ঐশ্বরিক শক্তি|” খ্রীষ্টের সুসমাচার হল শক্তিতে পরিপূর্ণ! সুসমাচার মৃত আত্মাদের পুনঃসৃষ্টি করে| মৃত আত্মারা সুসমাচারের মাধ্যমে জীবনে প্রবেশ করে! আপনি এখানে মন্ডলীতে আসেন এবং ঈশ্বর ও খ্রীষ্ট সম্বন্ধে যে বিষয়গুলি শোনেন সেগুলির কোন অর্থই আপনার কাছে নেই| কিন্তু আমি আপনার কাছে সুসমাচার প্রচার করে চলেছি| আপনি বলবেন, “কেন তিনি কেবল ঐ বিষয়ে বলেই চলেছেন? তিনি ক্রমাগতভাবে বলেই চলেছেন, ক্রুশের উপরে খ্রীষ্টের মৃত্যুবরন করার বিষয়ে এবং মৃত্যু থেকে খ্রীষ্টের উঠে আসার বিষয়ে| তিনি কেন অন্য কোন বিষয়ে কিছু বলেন না?” ভাল, আমার বন্ধু, আমি জানি যে অন্য কোন কিছুই আপনাকে একজন পাপী থেকে প্রকৃত একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীতে পরিনত করতে পারে না! আমি আপনাকে খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হওয়ার জন্য শিক্ষা দিতে পারি না! কিন্তু আমি আপনার কাছে সুসমাচার প্রচার করতে পারি| যদি আপনি মনোনীতদের মধ্যে একজন হন, তবে ঈশ্বর খ্রীষ্টের সুসমাচার গ্রহণ করবেন এবং সেটাকে শক্তিশালী বিস্ফোরক হিসাবে ব্যবহার করবেন – আপনার ভ্রান্ত ধারনাগুলিকে ধ্বংস করার জন্য – আপনার হৃদয়কে খ্রীষ্টের প্রতি উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য – আপনার আত্মাকে জীবনে প্রবেশ করানোর জন্য! যখন সুসমাচার আপনাকে অধিকার করবে, তখন আপনার আত্মায় জীবন আসবে – আপনি খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করবেন এবং আপনি আবার নতুন জন্মপ্রাপ্ত হবেন! অন্য কোন কিছুর নয় কেবল খ্রীষ্টের সুসমাচারেরই এটা করার শক্তি আছে! কেউ কখনো চার্লস ওয়েস্লীর মতন এত ভাল করে বলেননি, নাশ করি যীশুর পাপের বল, তারপর প্রেরিত বলেছেন, “কারন উহা প্রত্যেক বিশ্বাসীর পক্ষে পরিত্রাণার্থে ঈশ্বরের শক্তি|” খ্রীষ্টের সুসমাচারের শক্তি প্রত্যেক বিশ্বাসীর জন্য জীবন ও পরিত্রাণ নিয়ে আসে| সুসমাচার সবাইকে উদ্ধার করে না| অনেকেই এই বিষয়ে হাসেন| অনেক মানুষ চিন্তা করেন যে তারা অন্য কোন উপায়ে পরিত্রাণ পেতে পারেন| খ্রীষ্ট শুধুমাত্র তাদেরই উদ্ধার করেন যারা সুসমাচারে বিশ্বাস করেন এবং তাঁর উপরে নির্ভর করেন| তারা হলেন কেবল সেই ব্যক্তিরা যারা “পরিত্রাণার্থে ঈশ্বরের শক্তি” বিষয়ক অনুভূতি অর্জন করেছেন| তারপর প্রেরিত বলেন, “কারন ঈশ্বর-দেয় এক ধার্ম্মিকতা সুসমাচারে প্রকাশিত হইতেছে|” “তন্মধ্যে” কথাটি সুসমাচারের প্রতি নির্দেশ করে| খ্রীষ্টের সুসমাচারে ঈশ্বরের ধার্ম্মিকতা প্রকাশিত হয়েছে| ঈশ্বর তাঁর পুত্র, যীশুখ্রীষ্টকে, আমাদের পাপের জন্য ক্রুশের উপর আত্মবলিদান দিতে পাঠিয়েছিলেন| ঈশ্বর ধার্ম্মিক হতেন না যদি তিনি আমাদের পাপের প্রতি কেবল উপেক্ষা করতেন| আমাদের পাপের দেনা শোধ করার জন্য আমাদের পরিবর্তে, তিনি যীশুকে ক্রুশের উপর মৃত্যু বরণ করার জন্য পাঠিয়েছিলেন| যখন আপনারা যীশুতে নির্ভর করেন তখন আপনারা যা পরিধান করেন, লুথার বলেছেন সেটা “আপনার নিজস্ব নয় এমন ধার্ম্মিকতা পরিধান করেছেন|” আপনারা “উত্তম” হওয়ার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, এমন নিজস্ব ধার্ম্মিকতা পরিধান করেন না| যখন আপনারা যীশুতে নির্ভর করেন, তখন আপনারা তাঁর ধার্ম্মিকতা পরিধান করেন| সেটাই হল “নিজস্ব নয় এমন ধার্ম্মিকতা” কারন এটা আপনাদের নিজস্ব নয় – এটা হল খ্রীষ্টের ধার্ম্মিকতা যা আপনাদের উদ্ধার করে| তিনি আপনাদের তাঁর ধার্ম্মিকতা পরিধান করিয়েছেন| আর এরপর প্রেরিত বলেছেন, “যেমন লেখা আছে, কিন্তু ধার্ম্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে” (রোমীয় ১:১৭)| “যেমন লেখা আছে|” তিনি পুরানো নিয়মের হবক্কুক এর বই থেকে উদ্ধৃত করেছেন| সেখানে ভাববাদী হবক্কুক বলেছেন, “কিন্তু ধার্ম্মিক আপন বিশ্বাস দ্বারা বাঁচিবে” (হবক্কুক ২:৪)| পৌল হবক্কুক বইয়ের ঐ পদটি নতুন নিয়মে তিনবার উদ্ধৃত করেছেন – রোমীয় ১:১৭, গালাতীয় ৩:১১, এবং ইব্রীয় ১০:৩৮ পদগুলিতে| প্রতিটি ক্ষেত্রে এটা বলছে, “ধার্ম্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে|” এটাই হল সেই পাঠ্যাংশ যা্কে ঈশ্বর মার্টিন লুথারের চোখ খুলে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করেছিলেন| এটাই হল সেই পাঠ্যাংশ যেটা জগতকে পরিবর্তিত করেছিল এবং সেই মহা উদ্দীপনা এনেছিল যাকে বলা হয় “পুনঃজাগরণ|” ডঃ ম্যাকগী এই শব্দগুলির বিষয়ে যা বলেছিলেন, তা হল “ধার্ম্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে,” বিশ্বাসে ধার্ম্মিক হইবার অর্থ হইল যে একজন পাপী যিনি শুধুমাত্র খ্রীষ্টের ক্রুশের উপরে মৃত্যুর কারনে ক্ষমা পাইয়া খ্রীষ্ট বিশ্বাস করেন তাহা নহে, কিন্তু তিনি খ্রীষ্টে সম্পূর্ণ হইয়া ঈশ্বরের সন্মুখে দন্ডায়মান থাকেন| ইহার অর্থ শুধুমাত্র পাপের হ্রাস নহে, কিন্তু ধার্ম্মিকতার সংযোজন| খ্রীষ্ট “আমাদের অপরাধের নিমিত্ত সমর্পিত হইলেন, এবং আমাদের ধার্ম্মিকগণনার নিমিত্ত উত্থাপিত হইলেন” (রোমীয় ৪:২৫) – যেন আমরা অবশ্যই খ্রীষ্টে সম্পূর্ণ হইয়া ঈশ্বরের সন্মুখে দন্ডায়মান হই (J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, volume IV, p. 651; note on Romans 1:17)| আপনি হয়তো বলবেন, “উহা স্মরণ রাখিবার পক্ষে প্রচুর উপাদান রহিয়াছে!” হ্যাঁ, কিন্তু ঐ সমস্ত বিষয় মার্টিন লুথারের জীবনে স্বচ্ছতা উৎপাদন করেছিল| তার জীবনকাল ছিল ১৪৮৩ সাল থেকে ১৫৪৬ সাল পর্যন্ত্য| লুথার এমনই এক শ্রেনীগত বৈশিষ্ট্যের মধ্যে ছিলেন যে খুব কম লোকেই তা পরিব্যপ্ত করেছিলেন| তিনি হলেন পৌল, কলম্বাস, মেগেললান, অথবা এডিসন, বা আইনষ্টাইন এর মতন – এমন একজন মানুষ যিনি জগতের এবং মানবজাতির ইতিহাসের গতিপথের পরিবর্তন করেছিলেন| কিন্তু তার পরিত্রাণের প্রয়োজন কোন অংশেই আপনার প্র্য়োজনের চাইতে আলাদা ছিল না| আধুনিক লেখকেরা লুথারকে “মধ্যযুগীয়” মানুষ বলতেন| তারা স্বর্গদূত, দিয়াবল, এবং শয়্তানের বিষয়ে লুথারের বিশ্বাসের চরম সমালোচক ছিলেন| ঈশ্বর এবং শয়্তানের মধ্যে এক সংঘাতের ধারনাতেই মানবজাতি আবদ্ধ লুথারের এইরকম দৃষ্টিভঙ্গীকে তারা অতিরঞ্জিত মনে করতেন| তারা বিশেষভাবে তার ঈশ্বরের ক্রোধের উপর ভয় এবং পাপের উপর তার নিদারুণ যন্ত্রনার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়াশীল ছিলেন| আমার কাছে এটা মনে হয় যে, লুথার যতটা করেছেন তার তুলনায় আধুনিক লেখকেরা নিজেদেরকে বেশি করে প্রকাশ করেছেন| এটা দেখায় যে এই “নতুন সুসমাচারমূলক” লেখকেরা স্বর্গদূত, দিয়াবল এবং শয়্তানে বিশ্বাস করেন না! এটা দেখায় যে এই লেখকেরা বিশ্বাস করেন না ভাল এবং মন্দের মধ্যে সংঘাতের বিষয়টিকে বাইবেলে যার শিক্ষা দেওয়া হয়! আর, বিশেষভাবে, এটা দেখায় যে এই “নতুন সুসমাচারমূলক প্রচারক”দের কাছে কোন ঈশ্বরভয় নাই এবং পাপের কোন চেতনা নাই! লুথার সাধারন এক খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরূপে আবির্ভূত হন! আধুনিক নতুন-সুসমাচারমূলক প্রচারকেরা যারা লুথারকে ধর্ম্মীয় অনুশাসন থেকে মুক্ত হারানো লোকের মতন আবির্ভূত বলে সমালোচনা করেন – তারা কোনমতেই খ্রীষ্ট বিশ্বাসী নয়! ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করুন! আমি দেখেছি যে রোমীয় বইয়ের উপর লুথারের উক্তি, প্রায় ব্যতিক্রমহীন, স্বচ্ছ এবং সঠিক| আমি দেখে বিস্ময়াপন্ন হয়েছিলাম যে তিনি এমনকী যিহুদীদের বিষয়েও সঠিক ছিলেন| তিনি বলেছেন, “এই ঘটনা হইতে ইহা সাধারনভাবে সিদ্ধান্ত করা যায় যে জগতের শেষ সময়ে যিহুদীরা খ্রীষ্টে বিশ্বাস করিয়া মন পরিবর্তন করিবেন…পরজাতিদের মনোনয়নের পূর্ণতা অনুসারে ভিতরে প্রবেশের পর, সেই যিহুদীরা যাহারা এখনও পতিত, তাহারা মন পরিবর্তন করিবে ও উদ্ধার পাইবে| তাহারা চিরকালের জন্য বাহিরে থাকিবে না, কিন্তু তাহাদের নিজেদের সময়ে তাহারা মন পরিবর্তন করিবে” (Luther’s Commentary on Romans, Kregel Publications, 1976 edition, pp. 161, 162; note on Romans 11:25-36)| মনে হয় বাইবেল যা শিক্ষা দেয় এটা তারই এক প্রশংসনীয় সমাপ্তি| আমি জানি যে এরপরে তিনি কিছু কঠোর বিষয়ে বলেছিলেন, যখন তিনি বৃদ্ধ এবং অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু আমাদের উচিৎ তাকে ক্ষমা করে দেওয়া| তার চিন্তাধারা এসেছে ক্যাথলিকদের “প্রতিস্থাপনমূলক মতবাদ” থেকে, তাদের সেই বিশ্বাস যে মন্ডলী ইস্রায়েলের স্থানাপন্ন – যেটা এক ভ্রান্ত মতবাদ যা এমনকী আজকের দিনেও অনেক ক্যালভিন মতাবলম্বীরা এবং আরও অন্যানেরা অনুসরন করেন| ঈশ্বর আমাদের উপর অনুগ্রহ করুন! ঈশ্বরের এখনও ইস্রায়েল এবং যিহুদী লোকেদের সঙ্গে একটি জাগতিক চুক্তি রয়েছে, যা পরিষ্কারভাবে রোমীয় ১১:২৫-২৭ পদে বর্ণিত আছে| লুথারের বাবা ছিলেন একজন খনি শ্রমিক, যিনি চেয়েছিলেন লুথারকে একজন আইনজীবি করতে| লুথার সেই উদ্দেশ্যেই অধ্যয়ণ শুরু করেছিলেন| কিন্তু তিনি একদিন খুব বজ্রবিদ্যুতসমেত ঝড়বৃষ্টির মধ্যে হাঁটছিলেন| তার খুব কাছে একটি বাজ পড়ল| তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন এবং চিৎকার করে উঠলেন, “সাধু আনি আমাকে সাহায্য করুন| আমি একজন সন্নাসী হব!” সেই অর্থে তিনি একটি মঠে যোগদান করলেন এবং জগৎ থেকে নিজেকে স্বতন্ত্র করে নিলেন| কিন্তু ধর্ম্মীয় অনুশীলনের প্রতি তার গভীর সম্পর্ক তাকে ঈশ্বরের সঙ্গে শান্তি অন্বেষণে সাহায্য করেনি| আধুনিক “নতুন-সুসমাচার প্রচারমূলক” লেখকেরা ঝুঁকি নিয়ে বলেন যে ঈশ্বরের প্রতি তার ভয় ছিল ভ্রান্ত এবং “মধ্যযুগীয়|” কিভাবে ভ্রান্ত! কিভাবে চূড়ান্তভাবে ভ্রান্ত! লুথারের ঈশ্বরভয় ছিল পূর্ণাঙ্গভাবে সঠিক| বাইবেল অপরিত্রাণপ্রাপ্ত লোকেদের উদ্দেশ্যে বলে যখন এইরকম বলা হয়, “ঈশ্বর-ভয় তাহাদের চক্ষুর অগোচর” (রোমীয় ৩:১৮)| লুথার বলেছেন, “প্রকৃতিগতভাবে আমরা অধার্ম্মিক এবং ঈশ্বর ভয়হীন| অতএব, আমরা অবশ্যই আমাদের নম্র করব এবং স্বীকার করব আমাদের নৈতিক বিচ্যুতি আর ঈশ্বরের সামনে আমাদের অজ্ঞতা” (Luther, ibid., p. 74; note on Romans 3:18)| এটাই হল ঈশ্বরের অনুগ্রহ যা একজন পাপীকে হারানো অবস্থা থেকে জাগরিত করে| যেমন জন্ নিউটন (১৭২৫-১৮০৭) একে উপস্থাপিত করেছেন, “দয়া শিখালো ভক্তি আর তায় ঘুচালো ত্রাস” (“Amazing Grace”)| ভয়ের অনুপস্থিতি হল ব্যবহারিক নাস্তিক্যবাদের চিহ্ন| লুথার তার পাপ সম্বন্ধে খুবই সচেতন ছিলেন| তিনি একে বলতেন নিজ হৃদয়ের সন্তান| তিনি এমন কিছুই করেন নি যা তার অতীত জীবনের দোষযুক্ত চেতনাকে অতিক্রম করে| যখন তিনি বাইবেল অধ্যয়্ণ করেন তখন তিনি চিন্তা করেছিলেন, তার শিক্ষক যোহানন স্টাউপিটজ্ এর কথাগুলি, যিনি তাকে বলেছিলেন, “প্রিয় পরিত্রাতার ক্ষতের প্রতি দৄষ্টিপাত কর|” সেখানে তার অধ্যয়ণে তিনি খ্রীষ্টের ক্রুশকে দেখেছিলেন| তিনি দেখেছিলেন কিভাবে ঈশ্বরের ক্রোধ এবং প্রেম একত্রিত হয়ে ক্রুশের উপর খ্রীষ্টের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছিল| লুথার তার মাকে লিখেছিলেন, দিবা-রাত্র আমি ভাবিতাম যতক্ষণ না অবধি আমি ঈশ্বরের ন্যায় বিচার এবং “ধার্ম্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে” এই বিবৃতির মধ্যে সংযোগ দেখিয়াছিলাম| তাহার পর আমি উপলব্ধি করিয়াছিলাম যে ঈশ্বরের ন্যায়্পরায়ণতা হইতেছে সেই ধার্ম্মিকতা যাহার দ্বারা অনুগ্রহের মাধ্যমে এবং বিপথগামী ঈশ্বরের করুণা [খ্রীষ্টে] বিশ্বাসের মাধ্যমে আমাদিগের সততা প্রতিপাদন করেন| তৎকারনে আমি নিজে পুনঃজন্ম প্রাপ্ত হইয়া এবং উন্মুক্ত দ্বারের মধ্য দিয়া পরম দেশে গিয়াছি ইহা অনুভব করিয়াছিলাম| সম্পূর্ণ শাস্ত্র আমাকে এক নূতন জগতে লইয়া গিয়াছিল (Roland H. Bainton, Here I Stand, Mentor Books, 1977, page 49)| সেই সময় থেকে লুথারের মতবাদকে বলা হত “ক্রুশের মতবাদ|” তিনি বলেছেন, “ক্রুশ একাই আমাদের ঈশ্বরতত্ত্ব|” যদি আপনি আপনার পাপ থেকে মুক্ত হতে চলেছেন, তবে সেটা অবশ্যই হতে হবে ক্রুশারোপিত খ্রীষ্টে বিশ্বাসের মাধ্যমে! ক্রুশের উপরে খ্রীষ্ট! পবিত্র ঈশ্বরের সামনে আসার জন্য আর অন্য কোন পথ নেই| লুথার তার অধ্যয়ণে এই জিনিষটি দেখেছিলেন| তিনি দেখেছিলেন যে আমাদের পাঠ্যাংশে ঈশ্বরের ধার্ম্মিকতা ঈশ্বরের গুণক্রিয়ার সঙ্গে কোন সম্পর্ক স্থাপন করে না – এটা হল এক ধার্ম্মিকতা যা ঈশ্বর আমাদের দেন, এবং সেটা তিনি যীশুতে বিশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের দেন| “ধার্ম্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে” (রোমীয় ১:১৭)| ডঃ লয়েড-জোনস বলেছেন, “আমাদিগের বিশ্বাস আমাদিগের সততা প্রতিপাদন করে না| ইহা হইল যীশু খ্রীষ্টের সেই ধার্ম্মিকতা যাহা সততা প্রতিপাদন করে – আর অন্য কিছুই নহে!...ঈশ্বর আমাদিগকে বিশ্বাস হইতে কার্য্যে আবর্তন করিবার জন্য সংরক্ষণ করিয়াছেন, এবং আমাদিগের বিশ্বাসের দ্বারা আমাদিগের সততা প্রতিপাদন করিবার চেষ্টা করিয়াছেন| ইহা হইল [খ্রীষ্টের] ধার্ম্মিকতা যাহা আমাকে সঠিকভাবে চালনা করে, এবং ইহা আমার নিকট বিশ্বাসের মাধ্যমে আসে| বিশ্বাস হইল…যোগসূত্র, যাহার মাধ্যমে খ্রীষ্টের এই ধার্ম্মিকতা আমাকে দেওয়া হইয়াছে…” (Martyn Lloyd-Jones, M.D., Romans – Exposition of Chapter 1, The Gospel of God, Banner of Truth, 1985 edition, p. 307)| যখন লুথার, “ধার্ম্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে” এই বাক্যটি পড়েন তখন তিনি বলেন, “পৌলের এই অভিব্যক্তি আমার জন্য উপযুক্ত…পরমদেশে প্রবেশের দ্বার|” ডঃ লয়েড-জোনস বলেছিলেন, “কি চমকপ্রদ উদ্ঘাটন! কি রূপান্তর! এক দুঃখীত, চরম দূর্দশাগ্রস্ত, অসুখী সন্ন্যাসী, তাহার জপমালা গণনা করা এবং তাহার উপবাস এবং তাহার ঘর্মাক্ত পরিশ্রম এবং তাহার প্রার্থনা, আর তৎসত্ত্বেও তাহার অধিক হইতে অধিকতর ব্যর্থতার চেতনা, তথা হইতে পুনঃজাগরণের ঘোষণা! সুসমাচারের গৌরবময় প্রচারক, ‘ঈশ্বরের সন্তানদের গৌরবময় স্বাধীনতায়’ আনন্দ প্রকাশ!” (Lloyd-Jones, ibid., p. 309)| এই শব্দগুলিতেই মিঃ গ্রিফিথ গান গেয়েছেন কয়েক মূহুর্ত আগে, সাধুসুলভ কাউন্ট জিনজেনডর্ফ বলেছেন, যীশু, তোমার রক্ত এবং ধার্ম্মিকতা অথবা, যেমন এডওয়ার্ড মোটে এইভাবে উপস্থাপন করেন, আমার আশা কোন কিছুর উপর স্থাপিত নয় আজকের রাত্রে আমি আপনাকে যীশুতে বিশ্বাস করতে অনুরোধ করছি, “ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান” (যোহন ১:২৯)| যে মুহূর্তে আপনি যীশুকে বিশ্বাস করবেন, সেই মুহূর্তে আপনি পরিত্রাণ পাবেন, আপনার সততা প্রতিপাদিত হবে, এবং অনন্তকালের জন্য রক্ষা পাবেন| আমি আশা করি আজ রাত্রে আপনি যীশুকে বিশ্বাস করবেন| লুথারের মতন, আপনি “পুনঃজন্ম প্রাপ্ত হবেন এবং উন্মুক্ত দুয়ারের মধ্যে দিয়ে [যাবেন] পরমদেশে|” যেমন যোহানন স্টাউপিৎজ বলেছিলেন লুথারকে, “প্রিয় পরিত্রাতার ক্ষতের প্রতি দৃষ্টিপাত করুন|” “ধার্ম্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে” (রোমীয় ১:১৭)| ডঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে প্রার্থনা করুন যেন কেউ একজন যীশুতে বিশ্বাস করবেন এবং পরিত্রাণ পাবেন! আমেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা প্রচারের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মে: রোমীয় ১:১৫-১৭ | |
|