এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
উদ্দীপনায় ইহাই ঘটে! (উদ্দীপনা সভার অষ্টম প্রচার) লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র। ২০১৪ সালের, ২১শে সেপ্টেম্বর, সদাপ্রভুর একটি দিনে সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেলসের ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল |
এখন আমি চাই আপনি আমাদের বাইবেলের প্রেরিত ৮:৫ পদ খুলুন| “আর ফিলিপ শমরিয়ার নগরে গিয়া, লোকেদের কাছে খ্রীষ্টকে প্রচার করিতে লাগিলেন” (প্রেরিত ৮:৫)| এখন আট নম্বর পদের প্রতি দৃষ্টি দিই, “তাহাতে ঐ নগরে বড়ই আনন্দ হইল” (প্রেরিত ৮:৮)| আপনারা বসতে পারেন| শমরিয়া নগরে কি ঘটেছিল তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনায় আমি কিছু বাদ দিয়েছিলাম| কিন্তু আপনি দেখতে পারেন যে পঞ্চসপ্তমীর দিন যিরুশালেমে যা ঘটেছিল তা ছিল ততটাই যথার্থ| ফিলিপ লোকদের কাছে খ্রীষ্টকে প্রচার করেছিলেন| লোকেরা আগ্রহের সঙ্গে তার প্রচার শুনেছিল| অনেক লোক মন পরিবর্তন করেছিলেন| “তাহাতে ঐ নগরে বড়ই আনন্দ হইল” (প্রেরিত ৮:৮)| ঠিক এই একই বিষয় ঘটেছিল পঞ্চসপ্তমীর দিনে! পিতর “তার গলার স্বর উচ্চ করিলেন” এবং তাদের কাছে খ্রীষ্টকে প্রচার করলেন| তারা “আনন্দ সহকারে তাহার বাক্য গ্রহণ করিলেন” এবং মনপরিবর্তন করলেন| প্রত্যেকদিন সহভাগিতায় তাদের মহা আনন্দ ছিল| ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল যখন প্রেরিত-বর্গ “যীশুতেই মৃতগনের মধ্য হইতে পুনরুত্থান” (প্রেরিত ৪:২,৪) বিষয়ে প্রচার করেছিলেন তখন বৃহৎ সংখ্যায় পুরুষদের দল পরিত্রাণ পেয়েছিল| প্রেরিত পুস্তক পড়ার মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই পঞ্চসপ্তমীতে যে ঘটনা ঘটেছিল তা বার বার ঘটেছে| সুতরাং উপসংহারে আমরা বলতে পারি যে পঞ্চসপ্তমীর ঘটনা কেবলমাত্র “একবারের” অভিজ্ঞতা ছিল না| আর যেমন কিছু লোকে শিক্ষা দেয় যে পঞ্চসপ্তমী হল “মন্ডলীর জন্মদিন”, এবং আমি সেটা বিশ্বাস করি না| শিষ্যগণ এবং অন্যান্যরা পঞ্চসপ্তমীর আগেই পরিত্রাণ পেয়েছিলেন| পঞ্চসপ্তমীর আগে একশকুড়িজন যারা উপরের কুঠরিতে প্রার্থনা করেছিলেন, প্রেরিত ১:১৫ অনুযায়ী তাদের ডাকা হত “শিষ্যগণ” ও “ভ্রাতৃগণ” বলে| সেই সব লোকেরা পঞ্চসপ্তমীর দশদিন আগে থেকে মন্ডলীর মতন একত্রিতভাবে জড় হয়েছিলেন| সুতরাং যখন পঞ্চসপ্তমী এসেছিল, তার আগে থেকেই সেখানে মন্ডলী ছিল! অধিকন্তু, যেমন বর্তমানে কেউ কেউ শিক্ষা দেয় যে পঞ্চসপ্তমী “একবারের অভিজ্ঞতা” যার পুনরাবৃত্তি হবে না, নিশ্চিতভাবে এটা সেরকম নয়| প্রেরিতের বইতে পঞ্চসপ্তমীর অপরিহার্য্য বৈশিষ্টের বিষয় অনেকবার উল্লেখ করা হয়েছে – এবং খ্রীষ্টিয় মন্ডলীর গোটা ইতিহাসের মধ্যেও সেটা ছড়িয়ে আছে| তাহলে পঞ্চসপ্তমী কী ছিল? ডঃ মার্টিন লয়েড-জোনস্ বলেছেন, ইহা সত্যময় [একটি সত্য বিবৃতি] যে, সমস্ত ধর্ম্মীয় উদ্দীপনা যাহা পঞ্চসপ্তমীর দিন ঘটিয়াছিল হইল সেই ধরনের পুনরাবৃত্তি, যাহা মন্ডলী সর্ব্বদা বোধশক্তির মাধ্যমে জানিয়া আসিতেছে…এবং সমস্ত ধর্ম্মীয় উদ্দীপনা, আমি বলিতেছি, ইহা বাস্তবিক তাহারই পুনরাবৃত্তি যাহা পঞ্চসপ্তমীর দিন ঘটিয়াছিল…আমরা প্রকৃতপক্ষে অবশ্যই [বলা বন্ধ করি] যে পঞ্চসপ্তমীর দিনে যাহা ঘটিয়াছিল তাহা একবারের জন্য ঘটিয়াছিল| ইহা হয় নাই; সাধারনভাবে ইহা ছিল ধারাবাহিকতার প্রথম ধাপ (Martyn Lloyd-Jones, M.D., Revival, Crossway Books, 1987, pp. 199, 200)| এর আগের দু’টি প্রচারে আমি বলেছি যে যখন পবিত্র আত্মা পাপের চেতনা দেন তখন উদ্দীপনা আসে (যোহন ১৬:৮) এবং, দ্বিতীয়ত, যখন পবিত্র আত্মা পাপীদের খ্রীষ্টের প্রতি আকর্ষন করেন (যোহন ১৪:১৬, ১৫), পাপীদের কাছে খ্রীষ্টকে জীবন্ত সত্যে পরিনত করেন| বিগত বছর ধরে আমাদের মন্ডলীতে মাসে প্রায় একবার করে এটাই ঘটছে| এর অর্থ, প্রতি মাসে একজন করে এইভাবেই মন পরিবর্তন করছে| কিন্তু, যখন উদ্দীপনা আসে, তখন খুব অল্প সময়ের মধ্যে আরও অনেক লোক মন পরিবর্তন করবে| ইয়ান এইচ. ম্যুরে বলেছেন, “পঞ্চসপ্তমীর সময় হইতে, পবিত্র আত্মার কাজ দু’টি ধারায় [পথে] দেখা যাইতে পারে, অধিক স্বাভাবিক এবং অস্বাভাবিক” (Iain H. Murray, Pentecost Today? The Biblical Basis for Understanding Revival, The Banner of Truth Trust, 1998, p. 18)| প্রত্যেক চার অথবা পাঁচ সপ্তাহে একজন লোকের মন পরিবর্তনে, পবিত্র আত্মার “স্বাভাবিক” কাজের বিষয়ে আমরা অভিজ্ঞতা লাভ করে আসছি| কিন্তু ঈশ্বর যখন আমাদের মধ্যে উদ্দীপনা প্রেরণ করেন তখন “অস্বাভাবিকভাবে” একাধিক সংখ্যায় মন পরিবর্তন হয় – সম্ভবত অল্প সময়ের মধ্যে দশ অথবা বারোজন (অথবা আরও বেশি)| আমি ভয় পাই কারন আমাদের কিছু লোক উদ্দীপনার সময় বলতে চিন্তা করেন যে আমাদের আরও কঠোরভাবে কাজ করতে হবে, পাপীদের সাথে আরও কঠোরভাবে বিনতি করতে হবে, এবং সুসমাচার প্রচারের জন্য আরও বেশি করে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে| এটাই হল প্রকৃত ধারনা যা উপর থেকে পরিস্রুতভাবে ফিনের কাছ থেকে আমাদের কাছে নেমে এসেছে| যখন ঈশ্বর উদ্দীপনা প্রেরণ করেন তখন যা ঘটে সেটা যথাযথভাবে এর বিপরীত| আপনি পঞ্চসপ্তমীর প্রথম উদ্দীপনার কথা ভেবে দেখুন এবং সরাসরি দেখতে পাবেন যে এটা একটা ভ্রান্ত ধারনা| আমি মনে করি আমরা এমনও বলতে পারি যে এটা একটা শয়্তানিক ধারনা| এটা কী ঠিক সেইরকমই নয় যা শয়তান হারানো লোকেদের বলে? সে কী সেইরকম চিন্তা করতে তাদের সাহায্য করে না? তিনি বলেন, “যদি আপনি উদ্ধার পান তবে সেটা বর্তমানের তুলনায় অধিক কষ্টকর হইবে| তোমাকে আরও বেশি কাজ করিতে হইবে, এবং তোমার কোন বিশ্রাম বা আনন্দ থাকিবে না|” কিন্তু দিয়াবল হল এক মিথ্যাবাদী| সত্যের যথাযথ বিপরীত! যখন আপনি মন পরিবর্তন করবেন তখন সেটা বর্তমানের তুলনায় আরও বেশি সহজতর হবে! দিয়াবল মিথ্যাবাদী| কিন্তু যীশু কখনও মিথ্যা বলেন না! যীশু সবসময়ে আমাদেরকে সত্যিই বলেন! এবং যীশু বলেছেন, “আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব” (মথি ১১:২৮), আর যীশু বলেছেন, “তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে” (মথি ১১:২৯)| আসুন ঐ বিষয় দেখি| মথি ১১:২৮-৩০ পদটি খুলুন| অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়ান এবং উচ্চস্বরে পড়ুন| এটি স্কোফিল্ড স্টাডি বাইবেলের ১০১১ পাতায় আছে| “হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোকসকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব| আমার যোঁয়ালি আপনাদের উপরে তুলিয়া লও, এবং আমার কাছে শিক্ষা কর; কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত: তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে| কারণ আমার যোঁয়ালি সহজ, ও আমার ভার লঘু” (মথি ১১:২৮-৩০)| আপনারা এবার বসতে পারেন| এখন আপনি আপনার কলম নিন এবং ২৮ পদের শেষ পাঁচটি শব্দ, “আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব” এর নীচে দাগ দিন| এখন আবার ২৯ পদের শেষ সাতটি শব্দ, “তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে” এর নীচে দাগ কাটুন| এরপর আবার ত্রিশ পদের সবকটি শব্দ, “আমার যোঁয়ালি সহজ, এবং আমার ভার লঘু” এর নীচে দাগ দিন| আমি প্রায়ই শুনেছি যে নতুন বিশ্বাসীরা বলেন, “কেন, এখন ইহা খুবই সহজ! আমি মনে করেছিলাম যে যদি আমি খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হই তবে এটা খুবই কঠিন হবে| কিন্তু এখন যেহেতু আমি যীশুকে বিশ্বাস করেছি আমি শান্তভাব অনুভব করি| এখন এটা খুবই সহজ কারন যীশু আমাকে উদ্ধার করেছেন|” সেইসব চিন্তাগুলি আমাদের গানের মধ্যে রয়েছে! আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ সেই গানগুলি করেন, কিন্তু আপনারা সেইগুলির বিষয়ে অভিজ্ঞতা লাভ করেন নি! যা চায় তব ব্যবস্থায় জগতে তুমি খুঁজে পেতে ব্যর্থ পরিশ্রান্ত জনে বিশ্বাসের জন্য যীশু ডাকেন- আমার বাঁধনহারা, দুঃখ, এবং রাত্রি, হে প্রাণ, তুমি কী পরিশ্রান্ত এবং যন্ত্রনাক্লিষ্ট? আমি এই সমস্ত বিস্ময়কর গানগুলি ক্রমাগত গাইতে পারি! শুভ দিন, শুভ দিন, ধুলেন যীশু খ্রীষ্ট মোর পাপ যেদিন! দিয়াবল আপনাকে বলবে যে খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হতে হলে তা আপনার পক্ষে খুবই কঠিন এবং অসহ্য হবে| কিন্তু গান বলে সেটা খুবই সুখের দিন হবে! আর যীশু বলেন, “আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব…কারন আমার যোঁয়ালি সহজ, ও আমার ভার লঘু” (মথি ১১:২৮, ৩০)| এবং এইভাবেই এটা হয় উদ্দীপনার সময়! “তাহাতে ঐ নগরে বড়ই আনন্দ হইল” (প্রেরিত ৮:৮)| সেইরকমই ঘটেছিল পঞ্চসপ্তমীতে| শমরিয়াতে সেটাই ঘটেছিল| প্রত্যেকটি প্রকৃত উদ্দীপনায় এইরকমই হয়| “তাহাতে ঐ নগরের বড়ই আনন্দ হইল|” ডঃ লয়েড-জোন্স বলেছেন, “প্রত্যেক উদ্দীপনা…আমি বলি পঞ্চসপ্তমীর দিনে যেরকম হয়েছিল প্রকৃতপক্ষে তারই পুনরাবৃত্তি” (Revival, ibid., pp. 199, 200)| সুতরাং, আমাদের স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে পঞ্চসপ্তমীর দিনে কি ঘটেছিল, সেই মূল বিষয়গুলি যা ঘটেছিল সেই উদ্দীপনায়| যদি আমরা পঞ্চসপ্তমীর বিষয়ে চিন্তা করি, তবে আমরা জানতে পারব কিসের জন্য আমরা প্রার্থনা করছি, এবং উদ্দীপনায় আমরা কিসের অণ্বেষণ করছি| পিতর পঞ্চসপ্তমীর দিনে উঠে দাঁড়ালেন এবং যোয়েলের বই থেকে উদ্ধৃত করলেন, “আমি মর্ত্ত্যমাত্রের উপরে আপন আত্মা সেচন করিব…আবার আমার দাসদের উপরে এবং আমার দাসীদের উপরে সেই সময়ে আমি আমার আত্মা সেচন করিব; আর তাহারা ভাববাণী বলিবে” (প্রেরিত ২:১৭, ১৮)| ঈশ্বর উদ্দীপনায় তাঁহার “হইতে” আত্মা সেচন করেন| তিনি বলেন, “সেই সময়ে আমি আমার আত্মা সেচন করিব|” কত অদ্ভূত যে বেশির ভাগ আধুনিক অনুবাদে “র” শব্দটি বাদ দিয়েছে| এটা নিশ্চয়ই গ্রীক পাঠ্যাংশে আছে| গ্রীক ভাষায় арό বা এপো শব্দটি আছে| পুরানো জেনেভা বাইবেলে আছে, “আমার আত্মা|” কিং জেমস্ বাইবেলে আছে, “আমার আত্মা|” কিন্তু শুধুমাত্র আধুনিক NASV অনুবাদে এটা আছে| সেই কারণে আমি তা বিশ্বাস করি না| সেইজন্য আমি আপনাকে বলি কিং জেমস্ বাইবেলের, স্কোফিল্ড সংস্করণ সংগ্রহ করুন| আপনি সেটা বিশ্বাস করতে পারেন! ঐ সব পুরানো অনুবাদকরা শব্দগুলিকে বাদ দিত না বা তথাকথিত “শক্তিশালী সমতুল্য” শব্দ দিত| “সেই সময়ে আমি আমার আত্মা সেচন করিব|” উদারপন্থীরা বলেন, “উহাই সত্তরী|” আমি বলি, “ইহা অর্থহীন!” তুচ্ছ! সেই কথাই ঈশ্বরের আত্মা গ্রীক নতুন নিয়মের পাতায় লিপিবদ্ধ করেছেন – এবং তিনি মিথ্যা বলেন না! যখন ঈশ্বরের আত্মা সত্তরীতে উল্লেখ করেন, যথার্থ গ্রীক শব্দগুলি নতুন নিয়মে অনুপ্রেরণার দ্বারা “নিঃশ্বসিত|” “আমার আত্মা হইতে|” এটা কেন গুরুত্বপূর্ণ? আমি আপনাকে বলব কেন গুরুত্বপূর্ণ| ঈশ্বর তাঁর সমস্ত আত্মা সেচন করেন নি| আমাদের যতটা প্রয়োজন ততটাই তিনি পাঠিয়েছেন! ১৮৮২ সালে, জর্জ স্মাটন, বলেছিলেন, “সেখানে ‘আমার আত্মা’ (এপো) এই বাক্যগুলি হারাইয়া যায় নাই আর ইহার অজ্ঞাত অর্থ স্বতন্ত্র করিয়াছে মানুষের আচরনের (দিয়াছি) সহিত (অপরিমেয়) উৎসের উপায়ের পূর্ণতার মধ্যে” (George Smeaton, The Doctrine of the Holy Spirit, 1882; reprinted by the Banner of Truth, 1974; p. 28)| পৈরিতীক মন্ডলী বার বার আত্মার সেচন গ্রহণ করেছিলেন কারন সেখানে সর্ব্বদা বেশি দেওয়া হত! আমি তিনটি উদ্দীপনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসাবে লক্ষণীয়ভাবে আশীর্ব্বাদ পেয়েছিলাম| আমি সম্পূর্ণভাবে ইয়ান এইচ. ম্যূরের সঙ্গে একমত, যিনি বলেছিলেন, “উদ্দীপনার প্রতি প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য অপরিবর্তনীয়ভাবে কিছু দেওয়ার বিষয়ে বলে যা আগে ঘটে নি” (ibid., p. 22)| ১৮৫৯ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ডের, আলস্টারে উদ্দীপনার একজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী বলেছিলেন, “মানুষ অনুভব করিয়াছিলেন যেন প্রভু তাহাদের উপর নিঃশ্বাস ফেলিলেন| তাহারা প্রথমে বিস্ময়ে ও ভয়ে প্রভাবিত হইয়াছিলেন – তাহার পর তাহারা অশ্রুজলে স্নান করিয়াছিলেন – ইহার পর তাহারা অনির্বচনীয় আনন্দে পরিপূর্ণ হইয়াছিলেন” (William Gibson, The Year of Grace, a History of the Ulster Revival of 1859, Elliott, 1860, p. 432)| ২৯শে ফেব্রুয়ারী, ১৮৬০ সালে রেভাঃ ডি. সি. জোনস্ বলেন, “আমরা স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক পরিমানে আত্মার প্রভাব পরিদর্শন করিয়াছিলাম| ইহা ‘প্রচন্ড বায়ুর বেগের ন্যায়,’ আসিয়াছিল এবং…যখন মন্ডলীগুলি ইহার অল্প আশা করিয়াছিল” (Murray, ibid., p. 25)| এইভাবেই প্রথম ও তৃতীয় উদ্দীপনা এসেছিল যা আমি দেখেছিলাম| পবিত্র আত্মা এমনই হঠাৎ করে এবং অপ্রত্যাশিতভাবে এসেছিলেন যা আমি জীবনে কখনও ভুলব না! ডঃ জোনসের উল্লেখিত অংশ থেকে এমন কিছু বিষয় আমি আপনাদের দিব, যা উদ্দীপনায় ঘটেছিল, পূর্বে ছিল এখন আর তাহাদের ঈশ্বরে বিশ্বাস নাই| ঈশ্বর তাহাদের কাছে বাস্তবে পরিনত হইয়াছে| ঈশ্বর, তিনি যেমন ছিলেন, তেমনই তাহাদের মধ্যে নামিয়া আসিয়াছেন…প্রত্যেকেই তাঁহার উপস্থিতি এবং তাঁহার গৌরবের বিষয়ে সচেতন ছিলেন (Revival, p. 204)| ইহার ফলস্বরূপ, মন্ডলীকে দেওয়া হইল, সত্যের মহা নিশ্চয়তা (ibid.)| মন্ডলী পরিপূর্ণ হইয়াছিল মহা আনন্দ এবং প্রশংসার অনুভূতিতে…মন্ডলী যখন উদ্দীপনার স্তরে থাকিত তখন প্রশংসার জন্য আপনাকে লোকেদের প্রেরণা দান করিতে হইত না, তাহারা ঈশ্বরের উপস্থিতিতে এতটাই পরিপূর্ণ হইয়াছিল যে, আপনি তাহাদের থামাইতে পারেন নাই| তাহাদের মুখেই ইহা প্রকাশ পায়| তাহারা আনন্দ দিবার জন্য…রূপান্তরিত হইয়াছিল যাহা ছিল “অনির্বচণীয় ও গৌরবপূর্ণ” (ibid., p. 206)| আরাধনা করিবার, প্রশংসা করিবার, এবং বাক্য [শুনিবার] জন্য আপনাকে লোকদেরকে উদ্বুদ্ধ করিতে হইবে না, তাহারা এই বিষয়ের উপর নাছোড়বান্দা| তাহারা রাত্রির পর রাত্রি আসে, এবং ঘন্টাধিক ধরিয়া, এমনকি প্রথম প্রভাত অবধি থাকে| ইহা রাত্রির পর রাত্রি ধরিয়া চলিতে থাকিবে (ibid., p. 207)| [উদ্দীপনায়] একই প্রচারগুলি [করা হয়] এবং তথাপি তাহারা একই থাকে না| সেখানে এই আত্মার ও ক্ষমতার প্রদর্শন করা [হয়] (ibid., p. 208)| যদি আপনি আপনার মন্ডলীতে জনসমাগম চান, তাহা হইলে উদ্দীপনার জন্য প্রার্থনা করুন! কারন যেই মুহূর্তে উদ্দীপনা আবির্ভূত হইবে, তখনই লোকেরা আসিবে (ibid.)| তিনি প্রচার শেষ করিবার পূর্বেই তাহারা কান্নায় ভাঙ্গিয়া পড়ে, এবং বলিতে থাকে, “আমরা কী করিব”…তাহারা আত্মার নিদারুণ যন্ত্রনার মধ্যে রহিয়াছেন, পাপের চেতনার প্রগাঢ় শাস্তি ও যন্ত্রনা ভোগ করিতেছেন (p. 209)| যখন আপনার মধ্যে উদ্দীপনা রহিয়াছে তখন ইহা শুধুমাত্র সিদ্ধান্তের প্রশ্ন নহে, ইহা হইতেছে গভীর অনুতাপ, ইহা হইতেছে সংশোধন| লোকেরা নূতন জীবন লাভ করে এবং পুরাতন জীবন ত্যাগ করে…গল্পগুলি পাঠ করুন; এইগুলি সবই সত্য ঘটনা| ইহা আমার ধারনা নহে, ইহা মতবাদ নহে, কিন্তু ইহাই বাস্তবিক ঘটনা (ibid., p. 209)| এবং মন পরিবর্তনকারীগণ মন্ডলীতে যোগদান করিয়াছিলেন… এইভাবেই ঈশ্বর মন্ডলী শুরু করিয়াছিলেন, এইভাবেই ঈশ্বর ক্রমাগতভাবে মন্ডলীকে জীবন্ত রাখিয়াছেন…এই সময়ের জন্য ইহাই কী সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয় নহে? ভাল, আপনি যদি উহা বিশ্বাস করেন, তাহা হইলে ঈশ্বরের নিকট অবিরাম প্রার্থনা করুন…আমি ইহা বলিতেছি না যে আপনি অবশ্যই আপনার সমস্ত প্রচেষ্টা বন্ধ করিয়া দিন এবং শুধু অপেক্ষা করিতে থাকুন| না, আপনি যাহা করিতেছেন…তাহাই করিয়া চলুন, কিন্তু আমি অবশ্যই আপনাকে বলিব – আপনি উদ্দীপনার জন্য প্রার্থনা করিবার নিশ্চিত একটা সময় স্থির করুন, আর দেখিবেন যেন তাহাতে বেশি সময় থাকে অন্য সব কিছুর চাইতে| কারন যখন সেই পবিত্র আত্মা আপন ক্ষমতায় আসিবেন, তখন যাহা বিগত পঞ্চাশ অথবা একশত বৎসরে ঘটে নাই তাহা এক ঘন্টার মধ্যেই ঘটিবে আপনার ও আমার প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ| পবিত্র আত্মার সেই ক্ষমতা – উহাই পঞ্চসপ্তমীর দিনের অর্থ…ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করুন সমবেদনার [জন্য], এবং অনুগ্রহের জন্য, এবং পুনরায় তাঁর আশীর্ব্বাদধন্য পবিত্র আত্মা আমাদের উপর বর্ষণ করিবার জন্য (ibid., pp. 210, 211)| অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়ান এবং আপনার গানের পাতার ৭ নম্বর গান, “যীশু, আমার আত্মার প্রেমী”, প্রথম মহা জাগরণের সময়ের সেই মহান এবং শ্রদ্ধেয় কবি চার্লস্ ওয়েস্লী’র লেখা গানটি খুলুন| যীশু, আমার আত্মার প্রেমী, এসো তাঁর অন্তরে উড়ি, আমি প্রার্থনা করি যে আপনি যীশুর কাছে আসবেন| যেমন চার্লস্ ওয়েস্লী বলেছেন, যীশু আপনার আত্মার প্রেমী! তিনি আপনার পাপের দেনা শোধ করার জন্য ক্রুশের উপর মৃত্যুবরণ করেছেন! তিনি আপনাকে সমস্ত পাপ থেকে ধৌত করার জন্য তাঁর বহুমূল্য রক্ত বইয়েছেন! তিনি আপনাকে অনন্ত জীবন দেওয়ার জন্য স্বশরীরে মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন! যীশুর কাছে আসুন| যীশুতে বিশ্বাস করুন| শুধুমাত্র তাঁহাতে নির্ভর, শুধুমাত্র তাঁহাতে নির্ভর, ডঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনায় পরিচালিত করুন| আমেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মে: প্রেরিত ২:৪০-৪৭ | |
|