এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
একটি বাক্যে সুসমাচারTHE GOSPEL IN ONE SENTENCE লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র। ২০১৪ সালের, ১৪ই সেপ্টেম্বর, সদাপ্রভুর একটি দিনে সকালবেলায় লস্ এঞ্জেলসের ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল “এই কথা বিশ্বাসনীয়, ও সর্বতোভাবে গ্রহণের যোগ্য যে, খ্রীষ্ট যীশু পাপীদের পরিত্রাণ করিবার জন্য জগতে আসিয়াছেন; তাহাদের মধ্যে আমি অগ্রগণ্য” (১ম তীমথিয় ১:১৫)| |
১৩ই জুলাই থেকে শুরু করে আমি একাকীত্বের উপর ধারাবাহিক একটি প্রচার করছিলাম| আমি তাদের কাছে পরপর সাতটি রবিবারের সকালে প্রচার করেছি| আমি প্রচার করেছিলাম একাকীত্বের সমস্যার উপর যার বিষয়ে আজকের দিনের বেশির ভাগ যুবকদের অভিজ্ঞতা আছে| আমি বারে বারে, বলেছি যে, “কেন একাকী হবেন? গৃহে আসুন – মন্ডলীতে আসুন|” আর আমি আমাদের মন্ডলীকে যুবকদের একাকীত্ব থেকে প্রতিকারের জন্য উপস্থাপন করেছি| ঐ প্রচারগুলি ছিল মন্ডলীর উপর প্রচার – যার বিষয়ে ঈশ্বরতত্ত্ববিদ্গন বলেন “যাজক সংক্রান্ত মতবাদ|” আমি বারে বারে দেখিয়েছি যে একটি প্রেমপূর্ণ মন্ডলী উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যুবকদের এবং কলেজ পড়ুয়াদের জন্য খুবই সহায়ক হতে পারে| একটি ভাল, প্রাণবন্ত মন্ডলী আপনার বিষন্নতাবোধ এবং একাকীত্বের অনুভূতির উপর বিজয়লাভ করতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে| যখন আমি ঐ সমস্ত প্রচারগুলি করেছিলাম তখন আপনাদের মধ্যে অনেকেই আমাদের মন্ডলীতে আসা শুরু করেছেন| কিন্তু সুস্পষ্টভাবে এখন আমার সময় এসেছে অন্য বিষয়ের প্রতি অগ্রসর হওয়ার| আর পরের বিষয়টি আলোকপাত করবে দ্বিতীয় একটি জিনিষের উপর যা আমি পরপর সাতটি রবিবার ধরে বারে বারে বলে এসেছি| “কেন হারিয়ে যাবেন? গৃহে আসুন যীশুর কাছে – সেই ঈশ্বরের পুত্রের কাছে!” আর তা এই সকালে আমাদের সেই পাঠ্যাংশের প্রতি নিয়ে যায়| অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়ান এবং উচ্চস্বরে পড়ুন ১ম তীমথিয় ১:১৫ পদটি| এটা স্কোফিল্ড স্টাডি বাইবেল এর ১২৭৪ পাতায় লেখা আছে| “এই কথা বিশ্বাসনীয়, ও সর্বতোভাবে গ্রহণের যোগ্য যে, খ্রীষ্ট যীশু পাপীদের পরিত্রাণ করিবার জন্য জগতে আসিয়াছেন; তাহাদের মধ্যে আমি অগ্রগণ্য” (১ম তীমথিয় ১:১৫)| আপনারা বসতে পারেন| আমার বেশির ভাগ প্রাথমিক প্রশিক্ষণ এসেছিল চীনা ব্যাপটিষ্ট মন্ডলীতে, আমার পালক ডঃ তীমথি লিন এর কাছ থেকে, এবং ডঃ জে. ভার্ণন ম্যাকগী, এক বিখ্যাত রেডিও বক্তার কাছ থেকে, অনেক বছর অবধি যাদের বক্তৃতা আমি প্রত্যেকদিন শুনতাম| আমাদের পাঠ্যাংশের সম্বন্ধে, ডঃ ম্যাকগী বলেছেন, ইহা শাস্ত্রের খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ কারণ ইহা যথার্থ যে “পাপীদের উদ্ধারের জন্য যীশু খ্রীষ্ট পৃথিবীতে আসিয়াছিলেন|” জগৎ কখনো দেখে নাই এমন একজন মহান শিক্ষক হইবার জন্য তিনি আসেন নাই, যদিও তিনি তাহাই ছিলেন| তিনি [শুধুমাত্র] নৈতিক উদাহরন স্থাপন করিতে আসেন নাই, কিন্তু তিনি তাহাই করিয়াছিলেন| তিনি জগতে আসিয়াছিলেন পাপীদের উদ্ধার করিতে; “যাহাদের মধ্যে আমি অগ্রগণ্য” (J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, Volume V, Thomas Nelson Publishers, 1983, p. 434; note on I Timothy 1:15)| “ইহা হইতেছে এক বিশ্বস্ত উক্তি|” প্রেরিতবর্গ বোঝাতে চাইছেন যে এটা একটা নির্ভরযোগ্য উক্তি, একটি উক্তি যার উপর আপনি বিশ্বাস করতে পারেন বা ভরসা রাখতে পারেন| এই উক্তিটি “সন্মান লাভের সমর্থনযোগ্য|” এটা সাধারনের গ্রহণের যোগ্য কারণ এটা একটা সত্য উক্তি| কী ধরনের এই উক্তি যে আপনি এর উপর ভরসা রাখতে পারেন এবং গ্রহণ করতে পারেন? সেটা হল এই যে – “খ্রীষ্ট যীশু পৃথিবীতে এসেছিলেন পাপীদের পরিত্রাণ করতে; তাদের মধ্যে আমি অগ্রগণ্য|” আপনি এটা বিশ্বাস করতে পারেন| আপনি এর উপর ভরসা করতে পারেন| আর আপনার উচিৎ এই উক্তিকে সত্য বলে গ্রহণ করা! “খ্রীষ্ট যীশু এই পৃথিবীতে আসিয়াছিলেন পাপীদের পরিত্রাণ করিতে, তাহাদের মধ্যে আমি অগ্রগণ্য|” আপনার উচিৎ সেই বিবৃতিকে গ্রহণ করা কারণ এটা সত্য – চরম সত্য – “খ্রীষ্ট যীশু জগতে আসিয়াছিলেন পাপীদের পরিত্রাণ করিতে”! এই পদ থেকে আমরা তিনটি মহান সত্যকে শিখেছি| ১. প্রথম, আমরা খ্রীষ্টের ব্যক্তিত্বের বিষয় শিখেছি | “খ্রীষ্ট যীশু এই পৃথিবীতে আসিয়াছিলেন|” তিনি “আসিয়াছিলেন|” আমরা যেমন সৃষ্ট হয়েছি তিনি তেমনভাবে সৃষ্ট হন নি| আমরা এই জগতে আসি নি| আমরা এখানে, এই জগতে সৃষ্ট হয়েছি| কিন্তু খ্রীষ্ট “এই জগতে আসিয়াছেন|” কোথা থেকে তিনি এসেছিলেন? তিনি আমাদের সঙ্গে বসবাস করার জন্য স্বর্গ থেকে নেমে এসেছিলেন| যোহনের সুসমাচার বলছে, “আদিতে বাক্য ছিলেন, বাক্য ঈশ্বরের নিকট ছিলেন, এবং বাক্য ঈশ্বর ছিলেন… আর বাক্য মাংসে মূর্ত্তিমান হইলেন, এবং আমাদিগের মধ্যে প্রবাস করিলেন…” (যোহন ১:১, ১৪)| খ্রীষ্ট উপরে স্বর্গে পিতা ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন| তারপর তিনি নেমে এলেন, এবং মাংসে মূর্ত্তিমান হলেন, আর আমাদের মধ্যে বসবাস করলেন! এটাকেই বলা হয় “মূর্ত্ত হওয়া|” এর অর্থ তিনি “মাংসে” ঈশ্বর ছিলেন| সেইজন্য চার্লস ওয়েস্লী (১৭০৭-১৭৮৮) খ্রীষ্টের জন্ম উৎসবে তার এক সুন্দর গানে বলেছিলেন, “শুন, স্বর্গদূতের রব, নবজাত রাজার স্তব; উর্দ্ধে প্রভুর মহিমা ভূতলে প্রসন্নতা, উঠ সর্ব্বজাতিগন হর্ষে কর আরাধন; কথা করিও প্রচার, ঈশ্বর হইলেন অবতার” (“Hark, the Herald Angels Sing,” by Charles Wesley, 1707-1788)| অথবা যেমন ইমিলি ইলিওট দেখেছিলেন, “তিনি তাঁর সিংহাসন ছেড়ে এবং রাজকীয় মুকুট ছেড়ে আপনি নিজে আমার জন্য পৃথিবীতে এসেছিলেন” (“Thou Didst Leave Thy Throne” by Emily E. S. Elliott, 1836-1897)| কিন্তু কেন তিনি স্বর্গ ছেড়ে এই পৃথিবীতে নেমে এসেছিলেন? কেন তিনি কুমারী মরিয়মের গর্ভে এসেছিলেন? কেন তিনি আমাদের সঙ্গে প্রবাস করেছিলেন? কেন তিনি এমন নিদারুণ যন্ত্রনা ও বেদনা ভোগ করেছিলেন? কেন তিনি তাঁর হাতে ও পায়ে পেরেক বিদ্ধ হয়ে ক্রুশে গিয়েছিলেন? কেন মূর্ত ঈশ্বর, মানবিক মাংসে মূর্ত ঈশ্বর, আমাদের জন্য ক্রুশের উপরে দুঃখভোগ করেছিলেন? আমাদের পাঠ্যাংশ বলছে, “খ্রীষ্ট যীশু এই জগতে এসেছিলেন,” কিন্তু কেন তিনি এই জগতে এসেছিলেন? এটা আমাদের পরবর্তি ধাপে নিয়ে যায়| ২. দ্বিতীয়ত, আমরা খ্রীষ্টের উদ্দেশ্যের বিষয়ে শিখছি | প্রথম ধাপে আমি আপনাকে বলেছি যে তিনি কে ছিলেন যিনি জগতে এসেছিলেন – তিনি ছিলেন ঈশ্বরমূর্ত বা অবতার – ত্রিত্বের দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব| এখন আমরা দেখবো যে তিনি কেন তিনি এই জগতে এসেছিলেন, “খ্রীষ্ট যীশু পাপীদের পরিত্রাণ করিবার জন্য জগতে আসিয়াছিলেন” (১ম তীমথিয় ১:১৫)| তাঁর এই জগতে আসার উদ্দেশ্য ছিল পাপীদের পরিত্রাণ করা| আমাদের সাধারনভাবে বলা হয়েছে খ্রীষ্ট, “একবার পাপসমূহের জন্য দুঃখভোগ করিয়াছিলেন, সেই ধার্ম্মিক ব্যক্তি অধার্ম্মিকদের নিমিত্ত, যেন আমাদিগকে ঈশ্বরের নিকট লইয়া যান” (১ম পিতর ৩:১৮)| আবার, প্রেরিত পিতর বলেছেন যে খ্রীষ্ট “তিনি আমাদিগের পাপভার তুলিয়া লইয়া আপনি নিজ দেহে কাষ্ঠের উপর বহন করিলেন” (১ম পিতর ২:২৪)| আর প্রেরিত পৌল বলেছিলেন যে, “খ্রীষ্ট আমাদিগের পাপের জন্য মরিলেন” (১ম করিন্থীয় ১৫:৩)| খ্রীষ্ট, আপনার পরিবর্তে দুঃখভোগ করার জন্য, আপনার পাপের দেনা শোধ করার জন্য, তাঁর নিজের রক্তে আপনাকে পাপ থেকে নির্মল করার জন্য, ঈশ্বরের পক্ষে স্বর্গে আপনাকে গ্রহণ করা সম্ভব করার জন্য স্বেচ্ছায় ক্রুশে গিয়েছিলেন| খ্রীষ্ট পাপীদের পাপের দোষ থেকে মুক্ত করার জন্য, আপনার পাপ বহন করার জন্য, আর “সমস্ত পাপ থেকে আপনাকে শুচি করার” (১ম যোহন ১:৭) জন্য পৃথিবীতে এসেছিলেন| খ্রীষ্ট নিজে বলেছেন, “আমি জগতের বিচার করিতে নয়, কিন্তু জগতের পরিত্রাণ করিতে আসিয়াছি” (১ম যোহন ১২:৪৭)| ভাববাদী যিশাইয় এই বিষয়গুলিকে পরিস্কার করে দিয়েছেন যখন তিনি বলেন, “তিনি আমাদের অধর্ম্মের নিমিত্ত বিদ্ধ, আমাদের অপরাধের নিমিত্ত চূর্ণ হইলেন…এবং তাঁহার ক্ষতসকল দ্বারা আমাদের আরোগ্য হইল” (যিশাইয় ৫৩:৫)| খ্রীষ্টের রক্ত নিকৃষ্ট পাপীকে তার পাপ থেকে পরিত্রাণ করতে সক্ষম| খ্রীষ্টের রক্তের এই ক্ষমতা আছে কারণ তিনি এমনই একজন মহান ব্যক্তি! খ্রীষ্ট হলেন ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র! সুপারজিয়ন বলেছেন যে খ্রীষ্টকে আমাদের মতন পাপীদের পরিত্রাণ করার জন্য স্বর্গ থেকে নেমে আসতে হয়েছিল| সুপারজিয়ন বলেন, খ্রীষ্ট যীশু যদি স্বর্গে থাকিতেন তবে মানুষকে পরিত্রাণ করিতে পারিতেন না| তিনি “জগতে আসিয়াছিলেন” পাপীদের পরিত্রাণ করিতে| পতন এতই শোচনীয় হইয়াছিল যে আমাদিগের ধ্বংসের স্থানে তাঁহাকে আসিতে বাধ্য করা হইয়াছিল…স্বর্গে বসিয়া থাকিয়া তিনি পাপীদের উদ্ধার করিতে পারিতেন না; ইহা করিবার জন্য তিনি [বাধ্য হইলেন] জগতে আসিতে; এই পতিত ও দূষিত সৃষ্টির মধ্যে সেই অনন্তকালীন সৃষ্টিকর্তা নিজেই অবতরন করিলেন…তিনি পাপীদের পরিত্রাণ করিতে পারেন না, তাহাদের ধ্বংস এতটাই বেশি যে, যদি না তিনি মাংসে মূর্ত হইতেন, এবং নিজের উপর আমাদিগের সব স্বভাব বহন করিতেন…এবং এইস্থানে বিরাজ করিয়া…তিনি [স্বর্গে] ফিরিয়া যাইতে পারেন না এই বলিয়া যে “ইহা সমাপ্ত হইল,” যদি না সর্বপ্রথমে তিনি মৃত্যুবরণ করেন| [তাঁহার] মস্তকে অবশ্যই কাঁটার মুকুট থাকিবে, কবরের অন্ধকারে [তাঁহার] চক্ষু অবশ্যই মুদ্রিত থাকিবে,… [পূর্বে] মনুষ্য মুক্ত হইতে পারে…হে পাপী, আপনারা ভয়ঙ্করভাবে সর্বনাশগ্রস্ত, আপনি অপরিমেয়্ভাবে হারাইয়া গিয়াছেন, অতঃপর এক অনন্তকালীন পরিত্রাতা পাপীদের [লইলেন] পাপ হইতে পরিত্রাণের জন্য নিজ দেহকে প্রায়শ্চিত্তের নিমিত্ত উপস্থিত করিলেন (C. H. Spurgeon, “The Faithful Saying,” The Metropolitan Tabernacle Pulpit, volume 24, Pilgrim Publications, 1972 edition, p. 304)| ৩. তৃতীয়্ত, আমরা খ্রীষ্টের ক্ষমতার বিষয়ে শিখছি | “এই কথা বিশ্বাসনীয়, ও সর্বতোভাবে গ্রহণের যোগ্য যে, খ্রীষ্ট যীশু পাপীদের পরিত্রাণ করিবার জন্য জগতে আসিয়াছেন; তাহাদের মধ্যে আমি অগ্রগণ্য” (১ম তীমথিয় ১:১৫)| প্রেরিত পৌল বলেন যে তিনি পাপীদের মধ্যে - সব জঘণ্য পাপীদের মধ্যে “অগ্রগণ্য”| পৌল খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে দীর্ঘ এবং নির্মম বাক্য বলেছিলেন| পৌল অনেক খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের হত্যা করার জন্য দায়ী| পাপীদের মধ্যে পৌল ছিলেন এক চরম উদাহরন| পৌলের দৃষ্টান্ত থেকে, প্রত্যেক পাপী দেখতে পারেন যে, সেই মহাপাপী হয়ে উঠতে পারেন এক মহা খ্রীষ্ট বিশ্বাসী| খ্রীষ্টের সব চাইতে বড় শত্রু খ্রীষ্টের মহান দাসে পরিনত হতে পারে| এরকমটাই পৌলের ক্ষেত্রে ঘটেছিল – এবং আপনার ক্ষেত্রেও এরকম হতে পারে| খ্রীষ্টের ক্ষমতা আপনাকে পাপী থেকে সাধুতে পরিণত করতে পারে! “খ্রীষ্ট যীশু পাপীদের পরিত্রাণ করিবার জন্য জগতে আসিয়াছিলেন; আমি তাহাদের মধ্যে অগ্রগণ্য|” যখন আমি কিশোর বয়সের ছিলাম, যখন আমার বয়্স ১৩ বছর সেইসময়ে আমাকে প্রথমবারের জন্য এক ব্যাপটিষ্ট মন্ডলীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল| আমার পাশের বাড়িতে যিনি থাকতেন তিনি আমাকে ব্যাপটিষ্ট মন্ডলীতে নিয়ে যান| আমি এটা জানতাম না যে আমার মতন পাপীর উদ্ধারের জন্য খ্রীষ্ট এই জগতে এসেছিলেন| এই সমস্ত না জেনেই আমি ব্যাপ্তিস্ম নিয়েছিলাম| আমি ভাবতাম যে যীশু একটি বিয়োগান্ত প্রতীক যিনি দূর্ঘটনাবশতঃ ক্রুশে পেরেক বিদ্ধ হয়েছিলেন| আমি নিশ্চিত যে খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা পরিত্রাণ বিষয়ের প্রচারগুলি আমি অবশ্যই শুনেছিলাম| কিন্তু আমি সেই প্রচারগুলি বুঝতে পারতাম না| প্রেরিত পৌল বলেছেন, “কিন্তু আমাদের সুসমাচার যদি আবৃত থাকে, তবে যাহারা বিনাশ পাইতেছে তাহাদের কাছে আবৃত থাকে” (২য় করিন্থীয় ৪:৩)| আমি নিঃসন্দেহে হারিয়ে গিয়েছিলাম! আর সুসমাচারগুলি নিঃসন্দেহে আমার থেকে লুকানো ছিল! এমনকি মন্ডলীতে ইষ্টারে পরিবেশিত এক নাটকে আমি যিহুদার ভূমিকায় অভিনয়ও করেছিলাম| যিহুদা ছিলেন সেই শিষ্য যিনি যীশুর সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন| বাস্তবে আমি আলাদা আলাদা তিনটি বছরে যিহুদার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলাম| কিন্তু তবুও আমি অন্ধ ছিলাম| তখন পর্যন্ত আমি বুঝিনি যে আমাকে পাপ থেকে উদ্ধারের জন্য যীশু দুঃখভোগ করেছেন এবং প্রাণ দিয়েছেন| ইষ্টার নাটকের একটা মূহুর্তে, আমি তীক্ষ্ণ আর্তনাদ করে যিহুদার উচ্চারিত শব্দগুলি বলেছিলাম, “নির্দোষ রক্ত সমর্পণ করিয়া আমি পাপ করিয়াছি” (মথি ২৭:৪)| সেটা আমাকে আমার পাপের বিষয়ে চিন্তা করতে সাহায্য করল| পাপ ক্রমশঃ আমার কাছে ভয়্ঙ্কর হয়ে উঠল| আমি অনুভব করতাম যে আমি নিজেই যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি, যা নিঃসন্দেহে সত্যি ছিল| প্রত্যেক পাপী খ্রীষ্টের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে| কিন্তু আমি মনে করেছিলাম যে একমাত্র আরও অনেক “উত্তম” কিছু করে আমি প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হতে পারব| আমি ভাবতাম যে আমাকে প্রকৃতই ভাল হতে হবে নয়তো আমি খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হতে পারব না| ১৯৫৮ বা ১৯৫৯ সালে লাইফ পত্রিকায় আমি ডঃ আলবার্ট শোয়েৎজারের সম্বন্ধে একটা গল্প পড়েছিলাম| শোয়েৎজার আফ্রিকার একজন চিকিৎসা মিশনারী ছিলেন| আফ্রিকাতে লোকহিতকর কাজের জন্য, আর দয়ালু এবং ভাল মিশনারী চিকিৎসক হওয়ার জন্য তিনি লাইফ পত্রিকার দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিলেন| আমি নিজেকে একজন মিশনারী হিসাবে চিন্তা করতে শুরু করলাম| আমি ভেবেছিলাম যে সেই কাজই আমাকে প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী করে তুলবে| আমি ভিয়েৎনাম ও কাম্বোডিয়ার মিশনারী, ডঃ টম ডোল এর বিষয়ে শুনেছিলাম| তারপর উনবিংশ শতাব্দীর ডঃ জেমস হাডসন টেলর, যিনি চীনে চিকিৎসা মিশনারী ছিলেন তার বিষয়ে আমি পড়েছিলাম| আমি চিন্তা করলাম, “আমি সেটাই করব| আমি চীনের একজন মিশনারী হব| তাহলেই আমি একজন প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হব আর যিহুদার মতন পাপী থাকব না|” সুতরাং প্রথম চীনা ব্যাপটিষ্ট মন্ডলীতে আমি যোগদান করলাম| তখন আমার বয়স ১৯ বছর| সেখানে শেষ করে আমি গেলাম বায়োলা কলেজে সেবাকার্যের অধ্যয়ণের জন্য, যাতে আমি একজন মিশনারী হতে পারি| আমি ভাবতাম যে সেটা আমাকে পরিত্রাণ দেবে| বায়োলা কলেজে ধারাবাহিক চ্যাপেল সভার সময়ে, প্রত্যেক সভার শুরুতেই আমরা চার্লস্ ওয়েস্লীর (১৭০৭-১৭৮৮) লেখা একটা গান গাইতাম| আমি ঐ গানটি আগে কখনও শুনি নি| ঐ গানটি আমার উপর প্রভূত প্রভাব বিস্তার করেছিল| দ্বিতীয় দিনেই ঐ গানটি আমার মাথার চুল খাড়া করে দিল! প্রত্যেক দিন সকালে যখন এই গানটি গাইতাম তখন আমি অনুভব করতাম যেন বিদ্যুতের প্রবল ধাক্কা আমার সমস্ত শরীরের মধ্যে প্রবাহিত হচ্ছে| এবং ইহা কি হইতে পারে যে আমি অর্জন করি আমি এটা গেয়ে গেছি আর বারবার গেয়ে গেছি| আমি এই গানের শব্দগুলি এক টুকরো কাগজে লিখেছিলাম এবং বারবার গেয়ে যাচ্ছিলাম| “আশ্চর্য প্রেম! কিভাবে হতে পারে, কারণ তুমিই, আমার ঈশ্বর, আমার জন্য মরেছ|” ডঃ চার্লস জে. উডব্রীজ (১৯০২-১৯৯৫) প্রত্যেক দিনের বক্তা ছিলেন| তিনি ২য় পিতর ব্যাপি প্রচার করেছিলেন| শেষ পর্যন্ত সপ্তাহের শেষে আমি চূড়ান্তভাবে পরিত্রাণ পেয়েছিলাম! বাড়ি পর্যন্ত আমি এই গানটি গাইতে গাইতে গেছিলাম, “আশ্চর্য প্রেম! কিভাবে হতে পারে, কারণ তুমিই, আমার ঈশ্বর, আমার জন্য মরেছ|” “এই কথা বিশ্বাসনীয়, ও সর্বতোভাবে গ্রহণের যোগ্য যে, খ্রীষ্ট যীশু পাপীদের পরিত্রাণ করিবার জন্য জগতে আসিয়াছেন; তাহাদের মধ্যে আমি অগ্রগণ্য” (১ম তীমথিয় ১:১৫)| আমি আপনার জন্য প্রার্থনা করছি! আমি প্রার্থনা করছি যে আপনি খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাস করবেন – এবং তাঁর দ্বারা আপনি পাপ থেকে পরিত্রাণ পাবেন| আমি প্রার্থনা করছি যে আপনি খ্রীষ্ট দ্বারা পাপ থেকে মুক্ত হবেন – এবং আপনি সক্ষম হবেন আপনার হৃদয় থেকে গান গাইতে, “আশ্চর্য প্রেম! কিভাবে হতে পারে, কারণ তুমিই, আমার ঈশ্বর, আমার জন্য মরেছ|” আর আপনি যদি এই সব বিষয় সম্পূর্ণভাবে বুঝতে না পারেন, তবে উদ্বিগ্ন হবেন না| আমি এই বিষয়ে আবার প্রচার করব| নিশ্চিত হোন যে আপনি আরও বেশি কিছু শোনার জন্য ফিরে আসবেন! আমেন| ডঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনায় পরিচালিত করুন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মে: ১ম তীমথিয় ১:১২-১৬ | |
খসড়া চিত্র একটি বাক্যে সুসমাচার লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র| “এই কথা বিশ্বাসনীয়, ও সর্বতোভাবে গ্রহণের যোগ্য যে, খ্রীষ্ট যীশু পাপীদের পরিত্রাণ করিবার জন্য জগতে আসিয়াছেন; তাহাদের মধ্যে আমি অগ্রগণ্য” (১ম তীমথিয় ১:১৫)| ১. প্রথমত, আমরা খ্রীষ্টের ব্যক্তিত্বের বিষয়ে শিখছি, যোহন ১:১, ১৪ | ২. দ্বিতীয়ত, আমরা খ্রীষ্টের উদ্দেশ্যের বিষয়ে শিখছি, ১ম পিতর ৩:১৮; ২:২৪;
৩. তৃতীয়ত, আমরা খ্রীষ্টের ক্ষমতার বিষয়ে শিখছি, ২য় করিন্থীয় ৪:৩; মথি ২৭:৪ | |