এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
এইগুলি হয় শেষকাল! (বাইবেলের চতুর্থ ভাববাণী) লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র। ২০১৪ সালের, ৩১শে অগাষ্ট, সদাপ্রভুর দিনে সকালবেলায় লস্ এঞ্জেলসের ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল |
অনুগ্রহ করে বাইবেলের দ্বিতীয় পিতর, তৃতীয় অধ্যায়ের, তিন নম্বর পদটি খুলুন| আসুন আমরা ২য় পিতর ৩:৩ পাঠ্যাংশ পড়ার জন্য উঠে দাঁড়াই| “প্রথমে ইহা জ্ঞাত হও যে, শেষকালে উপহাসের সহিত উপহাসকেরা উপস্থিত হইবে, তাহারা আপন আপন অভিলাষ অনুসারে চলিবে, এবং বলিবে, তাঁহার আগমনের প্রতিজ্ঞা কোথায়?” (২য় পিতর ৩:৩-৪)| আজ সকালে আমি, “এইগুলি শেষদিন!” এই বিষয়ের উপর প্রচার করব| সেখানে অনেক চিহ্নকার্য্য আছে যা দেখায় যে আমরা এখন সেই সময়ের যুগে বসবাস করছি| লক্ষ্য করুন ২য় পিতর ৩:৩ পদের অভিব্যক্তিতে, “শেষকালে উপস্থিত হইবে” শব্দগুলি| মনোযোগ দিন “শেষকাল” শব্দটির প্রতি| আপনি দেখতে পাবেন বাইবেলের মধ্যে অনেকবার ঐ অভিব্যক্তি এবং ঐ ধারনার বিষয়| প্রেরিত পৌল বলেছেন যে, “শেষকালে ভীষণ সময় উপস্থিত হইবে” (২য় তিমথীয় ৩:১)| প্রেরিত যাকোব বলেছেন, “তোমরা শেষকালে ধন সঞ্চয় করিয়াছ” (যাকোব ৫:৩)| ঐ একই সময়ের বিষয়ে প্রেরিত যিহুদা বলেছিলেন যখন তিনি বলেন “শেষকালে উপহাসকেরা উপস্থিত হইবে, তাহারা…ভক্তিবিরুদ্ধ অভিলাষ অনুসারে চলিবে” (যিহুদা ১৮)| আবার, প্রেরিত পৌল শয়্তানের আক্রমন “উত্তরকালে” বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন (১ম তিমথীয় ৪:১)| আর প্রভু যীশু খ্রীষ্ট মহাপ্লাবনের আগেকার দিনগুলির সঙ্গে তুলনা করে শেষকালের বিষয়ে বলেন| খ্রীষ্ট বলেন, “বাস্তবিক নোহের সময়ে যেরূপ হইয়াছিল, মনুষ্যপুত্রের আগমনেও তদ্রূপ হইবে” (মথি ২৪:৩৭)| বাইবেল শিক্ষা দেয় যে ইতিহাসে একটা নির্দ্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ আছে যাকে শেষকাল হিসাবে জানা যায়| অনেক বাইবেল পন্ডিতগন মনে করেন যে আমরা বর্তমানে সেই যুগেই আছি| আমি মনে করি তারাই সঠিক| বাইবেল নির্দ্দিষ্ট দিনটি ঠিক করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে| কিন্তু সেখানে একটা সময়ের কাল আছে যাকে “শেষকাল” হিসাবে জানা যায়| “শেষকাল” শুধুমাত্র কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ নয়| “শেষ কাল” বলতে এখানে নির্দ্দিষ্ট করা হচ্ছে শেষের আগের সময়ের কালকে| প্রতিটি চিহ্ন ইঙ্গিত করে যে এই সময়েই আমরা ঐ সাধারন কালে রয়েছি| কয়েক বছর আগে ব্রিটিশ সুসমাচার প্রচারক লিওনার্ড রেভেনহিল বলেন “এইগুলি হল শেষ কাল| প্রশ্ন হল, কত সুদীর্ঘকালে তাহা শেষ হইবে?” (Leonard Ravenhill, America is Too Young to Die, Bethany House Publishers, 1979, p. 50)| ডঃ এম. আর. ডিহান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা এই ভাববাণী পরিপূর্ণতার প্রকৃত দিনেই বাস করছি” (M. R. DeHaan, M.D., The Jew and Palestine in Prophecy, Zondervan Publishing House, 1978, p. 170)| “প্রথমে ইহা জ্ঞাত হও যে, শেষকালে উপহাসের সহিত উপহাসকেরা উপস্থিত হইবে, তাহারা আপন আপন অভিলাষ অনুসারে চলিবে, এবং বলিবে, তাঁহার আগমনের প্রতিজ্ঞা কোথায়?” (২য় পিতর ৩:৩-৪)| পাঠ্যাংশের পরবর্তী শব্দটি হল “উপহাসকরা”| এই সমস্ত লোকেরা খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমন এবং জগতের শেষ এই ধারনাকে উপহাস করতো| তারা উপহাস করতো এবং হাসাহাসি করতো| তারা হল কপট এবং অবিশ্বাসী| তারা খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমন বিষয়ের প্রকৃত ধারনাটিকে ব্যঙ্গ করতো| জগৎ শেষের বিষয়ে সমস্ত কথাই তারা অস্বীকার করতো| তারা এই চিন্তাকে বলত এক “নঞর্থক” চিন্তা – এবং তারা এই সব চিন্তাকে মনের বাইরে বের করে দিত| কেন তারা উপহাস করে ও হাসে? এর পরের কয়েকটি শব্দ আমাদের বলে, “তাহারা আপন আপন অভিলাষ অনুসারে চলিবে|” তারা বাস করছে এক স্বার্থপরতা ও পাপের মধ্যে| সেই কারণে তারা চায় না যে খ্রীষ্ট তাদের মধ্যে আসুন| তিনি তাদের পাপময় জীবনযাত্রায় হস্তক্ষেপ করবেন| এই উপহাসকরা প্রতীয়মান অবস্থাকে পরীক্ষা করবে না| তারা বাইবেল পড়বে না| তারা সত্য ঘটনাকে জানতে চায় না – কারণ তারা হচ্ছে উপহাসক, আর আপন আপন অভিলাষ অনুসারে চলছে| বেশ কয়েক দিন আগে আমি UCLA তে এক স্নাতক অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলাম| সহস্রাধিক লোক সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন| সেখানে এক স্নাতক বক্তা বর্তমান পৃথিবীতে ঘটে চলেছে এমন সব ভয়ঙ্কর এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনার এক দীর্ঘ তালিকা প্রদান করেন – বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়ন, অতিমাত্রায় জনসংখ্যাবৃদ্ধি, দূষণ, প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা, বৃষ্টিজনিত কারণে সৃষ্ট অরণ্য ধ্বংসকরন, ইরান, উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তানের থেকে পারমানবিক যুদ্ধের ভীতিপ্রদর্শন, শতাধিক প্রজাতির বিলোপ সাধন, এবং বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের হুঙ্কার| কিন্তু এরপর তিনি বললেন, “বিশ্বাস করিবেন না ভবিষ্যদ্বক্তার শেষ বিচার| পৃথিবী শেষ হইয়া যাইতেছে না|” এইগুলিই ছিল তার সঠিক শব্দ! সেই দিনে তিনি যা কিছু বলেছিলেন আমি এক টুকরো কাগজে সে সব লিখেছিলাম এবং সেটাকে আমার পকেটে রেখে দিয়েছিলাম! এই সমস্ত ভয়ঙ্কর অবস্থার কথা শোনানোর ঠিক পরেই, তিনি বললেন, “পৃথিবী শেষ হইয়া যাইতেছে না| বিশ্বাস করিবেন না ভবিষ্যদ্বক্তার শেষ বিচার|” আমি সাহায্য করতে পারব না কিন্তু আমাদের পাঠ্যাংশের বিষয়টি চিন্তা করুন, “প্রথমে ইহা জ্ঞাত হও যে শেষকালে উপহাসকেরা…বলিবে, তাঁহার আগমনের প্রতিজ্ঞা কোথায়?” (২য় পিতর ৩:৩-৪)| ঐ স্নাতক বক্তা বলেন, “পৃথিবী শেষ হইয়া যাইতেছে না|” ১৯৬৫ সালে ব্যারী ম্যাকগ্যুইরের সঙ্গীত বলে, “আপনারা বিশ্বাস করবেন না যে আমরা ধ্বংসের সামনে দাঁড়িয়ে আছি|” আমি তখন এটা বিশ্বাস করেছিলাম, এবং এখনও আমি তা বিশ্বাস করি! এমনকি ভিয়েতনামের যুদ্ধের আগেও আমরা “শেষ কালের” মধ্যেই ছিলাম| ১৯৪৮ সালে ইস্রায়েল রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছিল| ১৯৪৯ সালে কমিউনিষ্টরা চীন দখল করেছিল| ১৯৫০ সালে এক উষ্ণ পারমানবিক ঠান্ডা লড়াই ক্রমে ক্রমে তীব্রতর হয়ে ব্যপক হত্যাকান্ডের কিনারায় পৌঁছেছিল| ১৯৬৩ সালে রাষ্ট্রপতি কেনেডিকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল| তারপর দশম ম্যালকমকে গুলি করা হয়| তারপর ডঃ মার্টিন লুথার কিং| তারপর ববি কেনেডিকে হত্যা করা হয়| রক্ সঙ্গীত এবং মাদক সমস্ত বংশপর্যায়ের মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে| বিষয়্গুলি কখনই অপরিবর্তিত থাকে না| আমাদের সংস্কৃতি ক্রমশঃ চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে| যেমন লিওনার্ড রেভেনহিল বলেছিলেন, “এইগুলি হল শেষ কাল| প্রশ্ন হল, কত সুদীর্ঘকালে তাহা শেষ হইবে?” শিষ্যরা জানতে চেয়েছিলেন কখন জগৎ শেষ হবে, কখন এই যুগের শেষ হবে| তারা খ্রীষ্টের কাছে একটা চিহ্ন চেয়েছিলেন| তিনি তাদের অনেক চিহ্ন দিয়েছিলেন, সেগুলি সবই নথিভূক্ত করা আছে মথি ২৪ অধ্যায়, এবং সমতুল্য, লূক ২১ অধ্যায়ে| মথি ২৪ অধ্যায়ে আছে খ্রীষ্টের উত্তরের অংশবিশেষ; এতে শেষকালের অনেক চিহ্ন দেওয়া আছে| আর এমনকি লূক ২১ অধ্যায় আরও অনেক চিহ্নের বিষয় দেয়| আজ সকালে আমি লূক ২১ অধ্যায়ে খ্রীষ্টের দেওয়া চিহ্নগুলির বিষয়ে পূর্ণ মনোযোগ দিব| “আর আপনার আগমনের, এবং যুগান্তের চিহ্ন কী?” (মথি ২৪:৩)| লূক একবিংশ অধ্যায়ে খ্রীষ্ট এই প্রশ্নের অনেক উত্তর দিয়েছিলেন| ১. প্রথমত, প্রাকৃতিক চিহ্নগুলি | যীশু বলেছেন সেখানে হবে “মহৎ মহৎ ভূমিকম্প…এবং স্থানে স্থানে, দূর্ভিক্ষ ও মহামারী হইবে; আর আকাশে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর লক্ষণ ও মহৎ মহৎ চিহ্ন হইবে…আর পৃথিবীতে, জাতিগনের ক্লেশ হইবে; তাহারা সমুদ্র ও তরঙ্গের গর্জনে উদ্বিগ্ন হইবে; ভয়ে এবং ভূমন্ডলে যাহা যাহা ঘটিবে তাহার আশঙ্কায় মানুষের প্রাণ উড়িয়া যাইবে, কেননা আকাশ মন্ডলের পরাক্রমসকল বিচলিত হইবে” (লূক ২১:১১, ২৫-২৬)| এই বিষয়ে চিন্তা করুন! যীশু বলেন যে মানুষের হৃদয় উড়ে যাবে যখন তারা দেখবে যে “জগতের উপর” কি ঘটছে| তিনি বলেন সেখানে চরম দূর্দশা ও আতঙ্ক আর মর্মপীড়া এবং মহাভয় হবে কারণ জগতে কি সব ঘটছে, “ভূমন্ডলে যাহা যাহা ঘটিবে তাহার আশঙ্কায়” (লূক ২১:২৬)| যখন আপনি উত্তর মেরুর বরফ গলে যাওয়া, এবং যার প্রভাবে আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন, তখন সেটা খুবই আতঙ্কিত করে| যখন আপনি গভীরভাবে অনুভব করেন যে এইডসের মহামারী সমগ্র আফ্রিকাকে বিধ্বস্ত করছে, যা শেষ হওয়ার কোন লক্ষণ চোখে পড়ছে না – তখন সেটা আতঙ্কিত করে| যখন আপনি দেখেন এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধকারী যক্ষা রোগের পুনরুদয়, এবং অন্য নতুন রকমের “বিস্ময়কর” কোন অসুখ, যেমন ইবোলা, এবং পৃথিবীব্যাপী ব্যাধি যা কিনা কোন ওষুধে সাড়া দেয় না – তখন সেটা আতঙ্কিত করে| আশ্চর্যের কিছুই নয় যে অনেক যুবকেরা ভবিষ্যতের বিষয়ে চিন্তিত| সম্প্রতি একটি জনমত সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে যে বর্তমানে কিশোর বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ছেলেমেয়ে মনে করে না যে তাদের ভবিষ্যত খুব ভালো| তাদের এই মনোভাব দেখায় যে এইসব যুবক যুবতীরা প্রায়্শই সেইসব প্রাকৃতিক সমস্যার বিষয়ে উদ্বিগ্ন, যেমন উত্তর মেরুর বরফ গলে যাওয়া, এবং সেইজন্য সারা পৃথিবীব্যাপী যে ধ্বংসের বাতাবরণ উৎপন্ন হতে চলেছে সেই বিষয়ে! আর প্রকৃতির সেই ভয়ঙ্কর সমস্যার কথা আমরা প্রতিদিনকার খবরের কাগজে দেখতে পাই| এটা আমরা জানি যে এইসবই জগৎ শেষের চিহ্ন, এবং যীশুর দ্বিতীয় আগমন, খুবই কাছাকাছি এসে পড়েছে| ২. অতঃপর, দ্বিতীয়ত, যিহুদী বিদ্বেষের চিহ্ন | অনেক লোক যিহুদী, এবং ইস্রায়েল রাষ্ট্রকে ঘৃণা করে| নিউইয়র্কের মেট্রোপলিটান অপেরা “The Death of Klinghoffer” নামের, একটি নাটক প্রস্তুত করে| এখানে দেখানো হয়েছে যে প্যালেষ্টাইন জঙ্গীরা ৬৯ বছরের এক বৃদ্ধ যিহুদীকে তার চাকাওয়ালা চেয়ারের উপরে বসিয়ে কিভাবে হত্যা করে| এখানে সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে দেখানো হয়েছে যারা এই অসহায় বৃদ্ধ যিহুদীকে হত্যা করে ঠিক কাজ করেছে| সন্ত্রাসবাদীদের প্রধান গান করেন, “যেখানে গরিব লোকেরা একত্রিত হয়, তারা দেখতে পায় যিহুদীরা মোটা হচ্ছে| আপনি জানেন কিভাবে সরলদের প্রতারণা করা যায় [এবং] যারা প্রতারিত হয় তাদের কুৎসা গাইতে হয়…আমেরিকা হল এক বড় যিহুদী|” আমি আপনাদের অনুরোধ করি পিটার গেল্বকে তার ইমেলে (pgelb@metopera.org) চিঠি পাঠিয়ে এই যিহুদী বিদ্বেষী নাটকটির বিরোধীতা করতে| মিঃ গেল্ব হলেন নিউইয়র্ক শহরের মেট্রোপলিটান নাট্যশালার পরিচালক| তাকে ফোন করুন এবং বলুন “The Death of Klinghoffer” নাটকটি বাতিল করতে| (News item taken from the Jewish Standard, August 19, 2014)| যিহুদীদের প্রতি যিহুদী-বিদ্বেষীদের ঘৃণা বর্তমানে একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা| যীশু বলেন, “আর যখন তোমরা যিরুশালেমকে সৈন্যসামন্ত দ্বারা বেষ্টিত [বা বৃত্তকারে পরিবেষ্টিত] দেখিবে, তখন জানিবে যে তাহার ধ্বংস সন্নিকট [অতি নিকট]” (লূক ২১:২০)| শেষকালে যিহুদীদের প্রতি বিদ্বেষ এতই প্রবল হবে যে পরজাতীয় বিরাট সৈন্যদল যিহুদী লোকদের ধ্বংস করার জন্য ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে আসবে| হিটলার চেষ্টা করেছিলেন যিহুদীদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে| কিন্তু তিনি সেটা করতে সক্ষম হন নি কারণ পৃথিবীতে যিহুদীরা হচ্ছেন ঈশ্বর মনোনীত লোক| বাইবেল বলে, “তাহারা পিতৃপুরুষগনের নিমিত্ত প্রিয়পাত্র” (রোমীয় ১১:২৮)| বাইবেল বিশ্বাসী ব্যাপটিষ্টরা ইস্রায়েলের প্রবল সমর্থক| আমরা অবশ্যই যিহুদী লোক এবং ইস্রায়েল রাষ্ট্রের সঙ্গেই দাঁড়াব| কিন্তু বাইবেল আমাদের শিক্ষা দেয় যে শেষকালে অবিশ্বাসী জগৎ যিহুদীদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবে| বাইবেল বলে, “সেই দিন আমি যিরুশালেমকে সর্বজাতিরই বোঝাস্বরূপ প্রস্তর করিব” (সখরিয় ১২:৩)| সেইরকম এখনই ঘটছে| এটা একটা চিহ্ন যে এখন আমরা এই যুগের শেষের দিনে বসবাস করছি| সব খ্রীষ্টবিশ্বাসী মানুষদের অবশ্যই অন্ধকারের বৃদ্ধি সত্ত্বেও “শেষ কালে” ইস্রায়েল রাষ্ট্র এবং যিহুদীদের পক্ষে দাঁড়াতে হবে| ৩. এবং তারপর, তৃতীয়্ত, ধর্ম্মীয় চিহ্ন – ভ্রান্ত ধর্ম্মের প্রতারণার চিহ্ন | যীশু বলেন, “দেখিও তোমরা ভ্রান্ত হইও না: কেননা অনেকে আমার নাম ধরিয়া আসিবে…তোমরা তাহাদের পশ্চাৎ যাইও না” (লূক ২১:৮)| আবার খ্রীষ্ট বলেছেন: “কেননা ভ্রান্ত…ভাববাদীরা উঠিবে, এবং এমন মহৎ মহৎ চিহ্ন; ও অদ্ভূত অদ্ভূত লক্ষণ দেখাইবে, যে যদি হইতে পারে, তবে মনোনীতদিগকেও ভুলাইবে” (মথি ২৪:২৪)| প্রতারণার অনেক কিছু আপনি TBN এ দেখবেন| অনেক সুসমাচার প্রচারমূলক অনুষ্ঠান হল প্রতারণাপূর্ণ এবং বিভ্রান্তিমূলক| প্রেরিত পৌল বলেন, “কেননা এমন সময় আসিবে যে সময়ে লোকেরা নিরাময় শিক্ষা সহ্য করিবে না; কিন্তু কানচুলকানি-বিশিষ্ট হইয়া, আপন আপন অভিলাষ অনুসারে আপনাদের জন্য রাশি রাশি গুরু ধরিবে” (২য় তীমথিয় ৪:৩)| ৪. চতুর্থত, খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে তাড়নার চিহ্ন | সমগ্র খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের উপর তাড়না নজিরবিহীনভাবে এগিয়ে আসছে| উদাহরনস্বরূপ, চীনের প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা অর্দ্ধ গোপনীয়্তায় মাটির নিচে “গৃহস্থ মন্ডলী” তে মিলিত হত| শতাধিক চীনা খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের তাদের বিশ্বাসের জন্য জেলে ঢোকানো হয়েছিল, বিশেষতঃ সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময়| প্রায় প্রত্যেক দিন আমাদের সংবাদপত্রে দেখা যায় মুসলমান জিহাদী সন্ত্রাসবাদী দ্বারা খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের হত্যার খবর| যীশু যে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন বিশ্বব্যাপী খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের উপর তাড়না সেটাই বর্তমানে হয়ে চলেছে| যীশু বলেন, “তাহারা তোমাদের উপর হস্তক্ষেপ করিবে, তোমাদিগকে তাড়না করিবে, সমাজ গৃহে…ও কারাগারে সমর্পণ করিবে” (লূক ২১:১২)| তারপর তিনি বলেন যে মন পরিবর্তনহীন পিতামাতা এবং আত্মীয়বর্গ তাদের নিজ সন্তানদের উপর তাড়না করবে যারা হবে প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী| এই রকম প্রায়ই ঘটে যখন একজন মুসলমান যুবক খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হয়| কিন্তু আমরা আমেরিকায় এটা বার বার ঘটতে দেখেছি| খ্রীষ্ট বলেন: “আর তোমরা পিতামাতা, ভ্রাতৃগণ, জ্ঞাতি, ও বন্ধুগণ…আর আমার নাম প্রযুক্ত তোমরা সকলে ঘৃণিত হইবে” (লূক ২১:১৬-১৭)| মূল্যকে গণনা করুন! কেউ হয়তো এটা পছন্দ করেন না আপনি যদি প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হন! কেউ হয়তো আপনার বিরোধী হবে! এই অন্ধকার দিনগুলিতে প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হওয়ার জন্য আপনাকে এই রকম কিছু মূল্য দিতে হবে! এটা অনেক চিহ্নের মধ্যে একটা চিহ্ন যে আমরা শেষ কালে বাস করছি| ৫. পঞ্চমত, খ্রীষ্ট আমাদের দিয়েছেন যাকে আমরা বলতে পারি মনোবিদ্যাগত চিহ্ন | খ্রীষ্ট বলেন: “কিন্তু আপনাদের বিষয়ে নজর রাখিও [সাবধান থাকিও], পাছে তোমাদের হৃদয় আচ্ছন্ন [ভারগ্রস্ত হয়, বা ভারগ্রস্ত হইয়াছে] হইয়া পড়ে…[সেই] ভোগপীড়ায় ও মত্ততায় এবং জীবিকার চিন্তায় [উদ্বিগ্নতায়], আর সেইদিন হঠাৎ ফাঁদের ন্যায় তোমাদের উপরে আসিয়া না পড়ে| কেননা সেইদিন সমস্ত ভূতল নিবাসী সকলের উপরে উপস্থিত হইবে” (লূক ২১:৩৪-৩৫)| এক যুবক ব্যক্তি যিনি মন্ডলীতে এসেছিলেন বললেন, “আমি পরের রবিবার আসতে পারবো না| আমার মাসিমাকে স্থানান্তর করার জন্য আমাকে সেইদিন সাহায্য করতে হবে|” তার কাছে ছয়দিন সময় ছিল এই কাজ করার জন্য, কিন্তু এই ঘটনা “ঘটার ছিল” রবিবার সকালেই| তিনি জীবনের সমস্যায় ভারগ্রস্ত হয়েছিলেন| অনেক লোকেরাই সাধারন ও তুচ্ছ কারণে মন্ডলীতে যান না| তারা জীবনের সমস্যায় ভারগ্রস্ত হয়| এবং বিচারের দিন তাদের কাছে উপস্থিত হবে তাদের অসতর্ক অবস্থায়| যখন ঈশ্বরের বিচার নেমে আসবে তারা তখনও প্রস্তুত থাকবে না! আপনি মাদক ও কামকে পরিহার করতে পারেন, কিন্তু আপনার কাজ এবং জীবনের অগ্রগতিতে ভারগ্রস্ত হন, তখন “এই জীবনের তত্ত্বাবধানের” মধ্যে আপনি ডুবে যান| আমি দেখেছি যে অনেক যুবকদের মধ্যেই সারা বছর ধরে এটা ঘটে থাকে| এবং এরপর যীশু বলেন: “কিন্তু তোমরা সর্বসময়ে জাগিয়া থাকিও, এবং প্রার্থনা করিও, যেন এই যে সকল ঘটনা হইবে তাহা এড়াইতে, এবং মনুষ্যপুত্রের সম্মুখে দাঁড়াইতে শক্তিমান হও” (লূক ২১:৩৬)| এবং সেই কারণে আপনাকে এই জগতে যে শেষের বিচার আসছে তার জন্য, প্রস্তুত থাকতে হবে| দু’টি বিষয় আপনার করার প্রয়োজন: (১) মন্ডলীতে ফিরে আসুন| যদি আপনি ফিরে না আসেন তবে আমরা কিছুই করতে পারবো না| (২) খ্রীষ্টের কাছে আসুন| তিনি আপনার পাপের দেলা শোধ করার জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন| তিনি বাস্তবিক স্বশরীরে মৃত্যু থেকে উঠেছেন| তিনি জীবিত এবং এখন ঈশ্বরের দক্ষিণে বসে আছেন| তিনি আপনার জন্য সেখানে উপস্থিত| তাঁর কাছে আসুন এবং তিনি তাঁর নিজের রক্ত দিয়ে আপনার সমস্ত পাপ ধৌত করে দেবেন| ৬. ষষ্ঠত, খ্রীষ্টিয় প্রেমবিহীন মন্ডলীগুলির চিহ্ন | যীশুর শিষ্যরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করে, “আর আপনার আগমনের, এবং যুগান্তের চিহ্ন কী?” (মথি ২৪:৩)| মথি ২৪ অধ্যায়ে খ্রীষ্ট একটা চিহ্নের বিষয়ে বলেছেন যেটা হল এই যে – পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত মন্ডলীগুলির মধ্যে হারানো আত্মার জন্য প্রকৃত প্রেম নাই| এটা হল অনুকম্পাবিহীন, বন্ধুত্ববিহীন, প্রেমবিহীন খ্রীষ্টিয় বিশ্বাস| যখন তারা তাঁর আগমনের এবং যুগান্তের চিহ্নের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন, যীশু বলেন, “আর অধর্ম্মের বৃদ্ধি হওয়াতে, অধিকাংশ লোকের প্রেম শীতল হইয়া যাইবে [বৃদ্ধি পাইবে]” (মথি ২৪:১২)| আজকের মন্ডলীগুলি যারা তাদের পরিদর্শন করতে আসেন তাদের প্রতি খুবই উদাসীন| যখন আপনি তাদের কোন একটি মন্ডলীতে যান তখন সেখানে খুবই কষ্টকর হয় একজন প্রকৃত বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে খুঁজে বার করা| ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করুন! পবিত্র আত্মার শক্তি ছাড়া আমাদের নিজেদের মন্ডলী তাদের মতন বন্ধুত্ববিহীন এবং প্রেমবিহীন হয়ে যাবে! “অধিকাংশ লোকের প্রেম শীতল হইয়া যাইবে” (মথি ২৪:১২)| ঈশ্বরের উপস্থিতিবিহীন কোন মন্ডলীতে হারানো আত্মার জন্য কোন ভালবাসা থাকবে না| এবং কোন এক মন্ডলী যেখানে হারানো আত্মার প্রতি প্রেম নেই সেটা হলো এক মৃত মন্ডলী, এটা কোন ব্যাপার নয় যে কতগুলি দরজায় তারা নাড়া দিয়েছে, কোন ব্যাপার নয় যে কতগুলি বাস তারা চালায়, কোন ব্যাপার নয় যে কত বেশী সুসমাচার প্রচারের কাজ তারা করে! তারা হল মৃতপ্রায় মন্ডলী কারণ যদি তাদের মধ্যে কোন খ্রীষ্টিয় প্রেম থেকেও থাকে তবে তা খুবই অল্প| এই “শেষ কালে” সমস্ত প্রেমবিহীন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের দ্বারা আমাদের মন্ডলীকে গ্রাস করে ফেলার হাত থেকে ঈশ্বর আমাদের মন্ডলীকে রক্ষা করুন| প্রত্যেক পরিদর্শকের প্রতি যুবরাজের মতন আচরণ করা উচিৎ, আর যারা কয়েক মাসের জন্য মন্ডলীতে আসছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি রাজার মতন আচরণ করা উচিৎ, এবং আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ প্রার্থনায় পরিশ্রম করা যেন ঈশ্বর আমাদের মন্ডলীকে পাপীদের জন্য ঈশ্বরের প্রেমে পরিপূর্ণ এক স্থানে পরিনত করেন| না হলে আমাদের মন্ডলী সম্বন্ধে হয়তো একদিন বলা হবে, “তোমার জীবন নামমাত্র, তুমি মৃত” (প্রকাশিত বাক্য ৩:১)| এই সপ্তাহে উৎসাহের সঙ্গে হারানো আত্মার প্রতি চলুন| ব্যক্তিগতভাবে সুসমাচার প্রচারের মাধ্যমে অনেক নতুন নাম নিয়ে আসুন যেন বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাত্রে তাদেরকে ফোন করে আমরা মন্ডলীতে আমন্ত্রণ জানাতে পারি| তারপর আপনি নিজে সুসমাচার প্রচারের মাধ্যমে অনেক অনেক নতুন নাম নিয়ে আসুন| আপনি নিজে অনেক নাম ও ফোন নম্বর নিয়ে আসুন – যেন আমরা তাদের অনুগমন করতে পারি, এবং খ্রীষ্টের সুসমাচার শোনার জন্য মন্ডলীতে পেতে পারি| কিন্তু এটা প্রকৃত সুসমাচার প্রচারের কেবল শুরুমাত্র| যখন তাদের শেষ পর্যন্ত মন্ডলীতে পাওয়া যাবে, আমরা অবশ্যই যথেষ্ট ভালবাসবো তাদের সাহায্য করার প্রতি যেন তারা মন্ডলীর সহভাগীতায় আসে| দেখুন সভার পর তাদের মধ্যে কেউ যেন একা দাঁড়িয়ে না থাকে| মন্ডলীর মধ্যে আপনার চোখ খোলা রাখুন তাদের প্রতি যাদের সহভাগীতায় সাহায্যের প্রয়োজন আছে| সপ্তাহ ধরে কঠোর প্রার্থনা করুন এইজন্য যে তাদের প্রতি মহান ভালবাসা প্রদর্শন করতে ঈশ্বর যেন আপনাকে সাহায্য করেন| যাদের কোন আশা নেই তাদের জন্য এইগুলি দুঃসাধ্য এবং আতঙ্কিত দিন| আমরা প্রার্থনা করি যে আপনি যীশুর কাছে আসুন এবং আপনার পরিবর্তে ক্রুশের উপরে তাঁর মৃত্যুবরণ করার মাধ্যমে আপনার পাপ থেকে ক্ষমা পান| আমরা প্রার্থনা করি আপনি যেন প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের শান্তি উপলব্ধি করতে পারেন! আমরা প্রার্থনা করি যে আপনি আমাদের মন্ডলীতে ফিরে আসবেন পরের সপ্তাহের শেষে ঈশ্বরের পুত্র, যীশুর মাধ্যমে আরও অনেক কিছু শেখার জন্য! ডঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনায় পরিচালনা করুন| আমেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মি. আবেল প্রধুম্মে: ২য় পিতর ৩:৩-৯ | |
খসড়া চিত্র এইগুলি হয় শেষকাল! (বাইবেলের চতুর্থ ভাববাণী) লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জে আর। “প্রথমে ইহা জ্ঞাত হও যে, শেষকালে উপহাসের সহিত উপহাসকেরা উপস্থিত হইবে, তাহারা আপন আপন অভিলাষ অনুসারে চলিবে, এবং বলিবে, তাঁহার আগমনের প্রতিজ্ঞা কোথায়?” (২য় পিতর ৩:৩-৪)| (২য় তীমথিয় ৩:১; যোহন ৫:৩; যিহুদা ১৮; ১ম তীমথিয় ৪:১; মথি ২৪:৩৭, ৩) তাহারা ভ্রান্ত কারণ অনেক চিহ্ন দেখায় যে শেষ কাল সন্নিকট! ১. প্রথমত, প্রাকৃতিক চিহ্নগুলি, লূক ২১:১১, ২৫-২৬ | ২. দ্বিতীয়ত, যিহুদী বিদ্বেষের চিহ্ন, লূক ২১:২০; রোমীয় ১১:২৮; সখরিয়া ১২:৩ | ৩. তৃতীয়ত, ভ্রান্ত ধর্ম্মের চিহ্ন, লূক ২১:৮; মথি ২৪:২৪; ২য় তিমথীয় ৪:৩ | ৪. চতুর্থত, খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে তাড়নার চিহ্ন, লূক ২১:১২; ১৬-১৭ | ৫. পঞ্চমত, মনোবিদ্যাগত চিহ্ন, লূক ২১:৩৪-৩৫, ৩৬ | ৬. ষষ্ঠত, খ্রীষ্টিয় প্রেমবিহীন মন্ডলীগুলির চিহ্ন, মথি ২৪:৩, ১২; প্রকাশিত বাক্য ৩:১ | |