Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




একাকীত্বের অভিজ্ঞতা!

THE EXPERIENCE OF LONELINESS!
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র।
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৪ সালের, ১৭ই অগাষ্ট, সদাপ্রভুর দিনে সকালবেলায় লস্ এঞ্জেলসের ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, August 17, 2014

“আমার দক্ষিণে নিরীক্ষণ করিয়া দেখ, আমাকে চিনে, এমন কেউ নাই: আমার আশ্রয় বিনষ্ট হইল; কেহই আমার প্রাণের তত্ত্ব করে না” (গীতসংহিতা ১৪২:৪)|


রাজা শৌল পাপ করেছিলেন এবং ঈশ্বর দ্বারা অস্বীকৃত হয়েছিলেন| তখন ভাববাদী শ্যমূয়েল দাউদ নামের একজন যুবককে নূতন রাজা হিসাবে অভিষিক্ত করেন| শৌল দাউদের প্রতি এতই ঈর্ষাপরায়ণ ছিলেন যে মন্দ-আত্মাবিষ্ট হয়ে পড়েছিলেন| রাজা শৌল পাগলের মত ক্ষিপ্ততায়, দাউদের প্রতি বর্শা নিক্ষেপ করেছিলেন, কিন্তু তিনি লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হয়েছিলেন| দাউদকে নিজের জীবন রক্ষার জন্য পালাতে হয়েছিল| দাউদ অনেক দূরের এক প্রান্তরে পালিয়ে গিয়ে এক গুহায় লুকিয়ে ছিলেন| তিনি আতঙ্কিত ও ক্ষুধার্ত এবং একাকী ছিলেন| লক্ষ্য করুন, “গীতসংহিতা ১৪২” এর অন্তর্গত অনুপ্রাণিত শব্দগুলি, “দাউদের মাশ্চিল [বা শিক্ষা]; যখন তিনি গুহায় ছিলেন তখন তার প্রার্থনা|” ঐ শব্দগুলি অনুপ্রাণিত পাঠ্যাংশের অংশবিশেষ, পরবর্তিতে সংযুক্ত নয়| সুতরাং আমরা জানি যে মন্দ-আত্মাবিষ্ট রাজার কাছ থেকে পর্বতের গুহায় লুকিয়ে থাকার সময়ে – দাউদ খুব গভীরভাবে অশান্ত, আতঙ্কিত, এবং একাকী ছিলেন| কেউই সেইসময়ে দাউদের সঙ্গী হতে চান নি কারণ সবাই রাজা শৌলকে ভয় করত| আর দাউদ বলেছেন,

“কেহই আমার প্রাণের তত্ত্ব করে নাই” (গীতসংহিতা ১৪২:৪)|

কেউই তার প্রতি তত্ত্ব করে নি| তিনি সম্পূর্ণ একাকী ছিলেন| কিন্তু তার কাছে ঈশ্বর ছিল, যা কিনা বর্তমানের বহু যুবক ব্যক্তির কাছে যা আছে তার চেয়েও অনেক বেশী|

আমি খ্রীষ্টিয় মহাবিদ্যালয়ে যাই নি| আমি ক্যাল স্টেট এল.এ থেকে স্নাতক হয়েছিলাম| একদিক থেকে আমি খুশী যে আমি জাগতিক মহাবিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম| যুবকদের কি শিক্ষা দেওয়া হয়, এবং তারা এই বিষয়ে কি চিন্তা করে এই বিষয়টি আমাকে স্পর্শ করেছিল| আমি আধুনিক সাহিত্য বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলাম| বেশিরভাগ আধুনিক লেখকেরাই ছিলেন নাস্তিক এবং অস্ত্বিত্ববাদী| তারা আধুনিক জগতে বিচ্ছিন্নতাবোধ এবং জীবনের একাকীত্বের কথা বলতেন|

দ্য টাইম মেশিন এবং দ্য আউটলাইন অফ হিস্ট্রি নামের বই দুটির লেখক ছিলেন এইচ. জি. ওয়েলস্| তিনি বলেছিলেন, “আমি পঁয়ষট্টি বছরের এক বৃদ্ধ, এবং আমি একাকী এবং কখনও শান্তি খুঁজে পাই নি|” পুলিৎসার পুরস্কার বিজয়ী ঔপন্যাসিক আরনেষ্ট হেমিংওয়ে বলেছেন, “আমি এক শূণ্যতার মধ্যে বাস করি যেটা একটা রেডিয়োর ফাঁকা নলের মতনই একাকী যখন ব্যাটারী মৃত এবং বিদ্যুৎ সংযোগের প্লাগ বিদ্যুৎবিহীন|” এগুইন ও’নীল, তার লং ডেজ্ জার্নি ইন্টু নাইট নামের এক নাটকে, বলেছেন, “জীবনের অর্থই হল মৃত্যু|” ঐ নাটকের বিষয়বস্তু হল মানুষের একাকীত্বের বিদ্যমানতা| আমাদের সংস্কৃতিতে যুবকদের একাকীত্ব এবং বিচ্ছিন্নতাবোধের উপর ছোট গল্প ও সাহিত্য রচনা করেই জে. ডি. সালিংগার তার কর্মজীবনের উন্নতি করেন|

বৃদ্ধ এইচ. জি. ওয়েলস্ নিঃসঙ্গ, আশাহীন অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন| আরনেষ্ট হেমিংওয়ে শিকারের বন্দুক দিয়ে নিজেই নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছিলেন| ও’নীলের নাটকের প্রধান চরিত্র বেপরোয়াভাবে নেশাগ্রস্ত ছিল, প্রচেষ্টারত ছিল মাদকদ্রব্যের ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের একাকীত্ব থেকে মুক্তি পেতে| জে.ডি.সালিংগার যুবকদের একাকীত্বের বিষয়ে এতটাই প্রভাবিত হয়েছিলেন যে নিজেই নির্জনবাসী হয়ে যান, এবং প্রায় পঞ্চাশ বছর তিনি সন্নাসীর মতন জীবনযাপন করেছিলেন|

বর্তমানে যুবকদের কাছে একাকীত্ব হল একটা প্রধান সমস্যা| সবুজ দিনের গান, “জীবনের প্রশস্ততার স্বপ্নভঙ্গ,” সেটাই দেখায় যা কিশোর বয়সের ছেলেরা এবং যুবকেরা অনুভব করে, “আমি একাকী চলি| আমি একাকী চলি| আমি একাকী চলি|” হ্যাঁ, আমার মনে আছে যে আমি যখন যুবক ছিলাম তখন আমি কিরকম ছিলাম| আপনি যখন লোকজনের ভীড়ের মধ্যে থাকেন তখনও আপনি একাকীত্ব অনুভব করতে পারেন| একটা ওয়েবসাইট আমাদের বলছে “একাকীত্ব হল আপনার ভিতরের শূন্যতার অথবা ফাঁকা জায়্গার অনুভূতি| আপনি নিজেকে নিঃসঙ্গ অনুভব করেন বা জগৎ থেকে নিজেকে আলাদা করেন, অথবা যাদের সঙ্গে আপনি সম্পর্ক রাখতে চাইছেন তাদের থেকেও আপনি নিজেকে বিচ্ছিন্ন করেন” (http://www.counseling.ufl.edu/cwc/how-to-deal-with-loneliness.aspx)| সেই গুহায় লুকিয়ে থাকার সময়ে, দাউদ এইভাবেই উপলব্ধি করেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন,

“কেহই আমার প্রাণের তত্ত্ব করে নাই” (গীতসংহিতা ১৪২:৪)|

আমাদের সময়ে অনেক যুবক ঠিক সেরকমই অনুভব করত| সেই কারনে আজ সকালে আমি তিনটি চিন্তার বিষয় আপনাদের দিতে যাচ্ছি আর আমি প্রার্থনা করি এইগুলি আপনাদের সাহায্য করবে একাকীত্বের উপর সাফল্য অর্জন করতে|

১. প্রথমত, বিভিন্ন ধরনের একাকীত্ব |

সেই ওয়েবসাইট বলছে,

বিভিন্ন ধরনের একাকীত্ব এবং বিভিন্ন মানের একাকীত্ব আছে| আপনি হয়তো একাকীত্বের অভিজ্ঞতাকে অস্পষ্টভাবে অনুভব করেছেন যে কিছু একটা ঠিক হচ্ছে না এই হিসাবে, বা এক ধরনের অপেক্ষাকৃত তুচ্ছ শূন্যতা হিসাবে| অথবা আপনি হয়তো প্রচন্ড বিয়োগব্যাথা এবং গভীর যন্ত্রনা হিসাবে একাকীত্বকে অনুভব করেছেন| এক ধরনের একাকীত্ব সম্ভবত বিশেষ কোন ব্যক্তিদের উপস্থিতির অভাব অনুভব করার সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত কারণ তারা মারা গিয়েছেন অথবা তারা বহুদূরে চলে গেছেন| অন্য আর এক ধরনের একাকীত্ব সম্ভবতঃ অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং লোকেদের সঙ্গে সম্পর্কবিহীন কারণ আপনি বাস্তবে আপনার মতন লোকেদের থেকে শারিরীকভাবে বিচ্ছিন্ন, যা হতে পারে [ঘটে] যদি আপনি রাত্রিবেলায় একাকী কাজ করেন বা যদি আপনি একটা বিশালাকায় অট্টালিকার এমন একপ্রান্তে একাকী বাস করেন যেখানে সাধারনত লোকজন খুব কম যায়| এমনকি আপনি আবেগপূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন [এবং একাকী] অনুভব করতে পারেন যখন আপনি লোকেদের দ্বারা পরিবেষ্টিত কিন্তু তাদের কাছে পৌঁছাতে আপনি অসুবিধা বোধ করছেন (ibid.)|

বিভিন্ন মনোবিদ্যাগত শিক্ষা অনুসারে, মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে বিশেষ করে একাকীত্বের প্রবণতা দেখা যায়| মনে হয় না যে ক্যাম্পাস লোকেদের স্থায়ী সম্পর্ক স্থাপনের জন্য একত্রিত করতে পারে| যুবকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বা মহাবিদ্যালয়ে যোগদান করে প্রায়ই অনুভব করে যে সমস্ত জগৎ তাদের উপেক্ষা করছে, এবং কেউই তাদের বুঝতে পারে না অথবা তাদের বিষয়ে যত্ন নেয় না| তাদের কেউ নেই নির্দেশ করার|

এটা খুবই বিদ্রূপাত্মক যে একটি সভ্যতা যা উৎপাদন করেছে মোটরগাড়ি, উড়োজাহাজ, দূরদর্শন এবং মহাকাশযাত্রা, সেই সভ্যতা এমন কিছুই দিতে পারছে না যাতে আপনি একাকী না হয়ে যান! আপনার পিতা মাতা সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি আসেন এবং দূরদর্শনের সামনে বসে পড়েন| তাদের আপনার সঙ্গে কথা বলার সময় নেই, বা আপনার কথা শোনারও সময় নেই| আপনাদের মধ্যে অনেকেই ভগ্নগৃহ থেকে এসেছেন| বিবাহবিচ্ছেদযুক্ত পরিবারের শিশুরা বিশেষ এক নারকীয় একাকীত্বের মধ্যে দিয়ে যায়| কিন্তু প্রায় প্রত্যেক যুবক যাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি তারা কোন না কোন সময়ে এইভাবেই অনুভব করেছে|

একটি ছোট মেয়ে বলেছিল, “আমি ভীষণভাবে একাকী| আমার প্রতিবেশীরা কখনও আমার সঙ্গে কথা বলে না|” একজন যুবক বলেছিল, “আমার মনে হয় যে আমি কখনও বন্ধুত্ব স্থাপন করতে সক্ষম হব না, যাদের আমার বন্ধু বলে মনে হয় তারাই হয় আগে বা পরে আমাকে ছেড়ে চলে যায়|” আপনি কী কখনও এইভাবে উপলব্ধি করেছেন? দাউদ যখন গুহার মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন তিনি এইভাবেই উপলব্ধি করেছিলেন| তিনি বলেছিলেন,

“কেহই আমার প্রাণের তত্ত্ব করে নাই” (গীতসংহিতা ১৪২:৪)|

আমি বিশ্বাস করি যে বর্তমানে অনেক যুবক যে আত্মহত্যা করছে তার একটা প্রধান কারণ হল একাকীত্ব| আপনি কি জানতেন যে ১৫ থেকে ২৪ বছরের যুবকদের মৃত্যুর একটা প্রধানতম কারণ হল আত্মহত্যা? আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে, দিন ও রাত মিলিয়ে, প্রতি দুই ঘন্টা ছয় মিনিটে একজন যুবক আত্মহত্যা করছে| আর মনোবিৎগন আমাদের বলছেন যে তাদের নিজেরাই নিজেদের হত্যা করার প্রধান এক কারণ হল একাকীত্ব| ঈশ্বরই ঠিক যখন তিনি বলেছেন,

“মনুষ্যের একাকী থাকা ভাল নয়” (আদিপুস্তক ২:১৮)|

২. দ্বিতীয়ত, আপনি আপনার নিজের একাকীত্ব অংশরূপে প্রদান করতে পারেন |

সেটাই ঠিক, সম্ভবতঃ আপনি নিজেই আপনার একাকীত্বের কারণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী| একাকীত্বের উপর ওয়েবসাইটটি সঠিকভাবেই বলেছে,

একাকীত্ব হল একটি জড় অবস্থা| সেইজন্য, এটা প্রতিপালন করে আমাদের চলতে থাকা জড়ভাবের প্রতিবন্ধতাকে এবং এর পরিবর্তনের জন্য কিছুই করে না| আমরা আশা করি যে, শেষ পর্যন্ত এটা চলে যাবে, [কিন্তু] আমরা কিছুই করি না শুধু এটাকে আমাদের ঢেকে ফেলতে দেওয়া ছাড়া| অদ্ভুতভাবে, এমন সময় আসে যখন এমনকি আমরা এই অনুভূতিকে স্বেচ্ছায় গ্রহণ করি| তথাপি, আমাদের একাকীত্বকে স্বেচ্ছায় গ্রহণ করা এবং আনুষাঙ্গিক ভাবপ্রবণ অনুভূতিগুলির মধ্যে ডুবে যাওয়া সাধারনভাবে আমাদের পরিচালনা করে এক বিষন্নতা এবং আশাহীনতার উপলব্ধির দিকে, যেটা, পালাক্রমে, আরও বেশি জড় অবস্থা এবং আরও বেশি বিষন্নতার [এবং গুরুতর একাকীত্বের] দিকে আমাদের নিয়ে যায় (ibid.)|

“একাকীত্ব হল একটি জড় অবস্থা| সেইজন্য, এটা প্রতিপালন করে আমাদের চলতে থাকা জড়ভাবের প্রতিবন্ধতাকে|” এটা একেবারে ঠিক| এর অর্থ হল এই যে আপনি নিঃসঙ্গতার উপলব্ধির মধ্যে দিয়ে চলছেন যতক্ষন না সেই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য আপনি কিছু করছেন!

কিছুদিন আগে আমি আদিপুস্তক ৩২:২৪ পদ অনুযায়ী যাকোবের একাকীত্বের বিষয়ে প্রচার করেছিলাম| প্রচার চলাকালীন সময়ের মাঝখানে এক যুবক লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালো এবং দৌড়ে মন্ডলী থেকে বেড়িয়ে গেল| মন্ডলীগুলি একাকীত্বের প্রতিকার কিভাবে করবে সেই বিষয়ে আমি কি বলছিলাম তা শোনার পরিবর্তে সে দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছিল| কিন্তু আপনি পালিয়ে গিয়ে একাকীত্বের উপর বিজয় লাভ করতে পারবেন না! সেই বিষয়টাই কয়িন খুঁজে পেয়েছিলেন| ঈশ্বর তাকে বলেছিলেন,

“তুমি পৃথিবীতে পলাতক ও ভ্রমণকারী হইবে” (আদিপুস্তক ৪:১২)|

যারা মন্ডলী থেকে পালিয়ে যাবে তারা কয়িনের মতন ভ্রমণকারী, একাকী যুবকে, পরিনত হবে! আর বাইবেল বলে,

“ধিক্ তাহাদিগকে! কারণ তাহারা কয়িনের পথে চলিয়া গিয়াছে” (যিহুদা ১১)|

সারাজীবন একাকী ভ্রমণ করা বড় ভয়ঙ্কর, যেমন কয়িন করেছিলেন – যেমন আজকের দিনে অনেক যুবকেরা করছেন!

সেই কারণেই আমরা বলি, “কেন নিঃসঙ্গ হবেন? গৃহে আসুন – মন্ডলীতে! কেন হারিয়ে যাবেন? গৃহে ফিরে আসুন – ঈশ্বরের পুত্র, যীশুর কাছে!” ঈশ্বর বলেন,

“মনুষ্যের একাকী থাকা ভাল নয়” (আদিপুস্তক ২:১৮)|

সেই কারণে ঈশ্বর আদমকে এক স্ত্রী দেন যার নাম হবা| দ্য স্কোফিল্ড স্টাডি বাইবেল অনুযায়ী আদমের স্ত্রী হলেন মন্ডলীর একটি প্রতীক| আদিপুস্তক ২:২৩ পদের উপর পদটীকার মন্তব্য বলে,

হবা, মন্ডলীর প্রতীক যেমন খ্রীষ্টের বধূ (আদিপুস্তক ২:২৩ এর মন্তব্য)|

এর অর্থ হল এই যে, আদমের স্ত্রী হল স্থানীয় মন্ডলীর এক উদাহরন, বা ছবি| ঈশ্বর বলেছেন,

“মনুষ্যের একাকী থাকা ভাল নয়; আমি তাহার জন্য তাহার [অনুরূপ সহকারিনী] নির্মাণ করি” (আদিপুস্তক ২:১৮)|

এবং ঈশ্বর আদমকে একজন সঙ্গী এবং সাহায্যকারিণী দিলেন| আর তিনি হলেন স্থানীয় মন্ডলীর উদাহরনস্বরূপ, এক প্রতীক, স্থানীয় মন্ডলীর একটি “শ্রেনী”| ঈশ্বর হবাকে আদমের কাছে দিলেন তার একাকীত্ব দূর করার জন্য, এবং ঈশ্বর এই মন্ডলীকে এইখানে দিয়েছেন আপনার একাকীত্ব থেকে আরোগ্যলাভ করতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য! এই মন্ডলী এইখানে আছে একাকীত্ব থেকে আরোগ্যলাভে আপনাকে সাহায্য করার জন্য!

“মনুষ্যের একাকী থাকা ভাল নয়; আমি তাহার জন্য তাহার অনুরূপ সহকারিনী নির্মাণ করি” (আদিপুস্তক ২:১৮)|

এবং সেই “সহকারিণী” হল এই মন্ডলী যা ঈশ্বর আপনার একাকীত্বের অসুখ সারানোর জন্য দিয়েছেন! আমরা এখানে আছি আপনাকে সাহায্য করার জন্য যাতে আপনি একাকীত্বের উপর বিজয়লাভ করতে পারেন! আমি জানি যে অনেক মন্ডলীই আপনাকে সাহায্য করতে পারে না| কিন্তু আমি তাদের ব্যাপারে কোন কথা বলছি না| আমি এই মন্ডলীর বিষয়ে কথা বলছি| এটা হল এক যুবক-কেন্দ্রিক মন্ডলী| আমরা এখানে আপনাকে সাহায্য করার জন্য আছি!

মন্ডলী থেকে দূরে থেকে আপনি আপনার নিজের একাকীত্বে অংশপ্রদান করবেন না! আগামী রবিবারে ফিরে আসুন! শনিবারের রাত্রে ফিরে আসুন! যদি পারেন তো আজ রাত্রেই ফিরে আসুন! আমরা কিছু পেয়েছি যা প্রতি সপ্তাহের একাধিক রাত্রে যুবকদের জন্য কাজ করে চলছে| কেন একাকী হচ্ছেন? ফিরে আসুন মন্ডলীর গৃহেতে!

৩. কিন্তু, তৃতীয়্ত, আপনার গভীরতর একাকীত্ব আছে |

সেটা ছিল সেই একাকীত্ব যার সম্বন্ধে হেমিংওয়ে বলেছেন,

আমি এক শূণ্যতার মধ্যে বাস করি যেটা একটা রেডিয়োর ফাঁকা নলের মতনই একাকী যখন ব্যাটারী মৃত এবং বিদ্যুৎ সংযোগের প্লাগ বিদ্যুৎবিহীন|

আমাদের যুবকদের মধ্যে একজন আমাকে বলেছিলেন যে তিনি কলেজে ক্লাস নেবার সময় হেমিংওয়ের একটি গল্প পড়ছিলেন| গল্পটির নাম, “এক স্বচ্ছ, উত্তম আলোকিত স্থান|” এর বিষয় ছিল মানুষের মধ্যে বিদ্যমান একাকীত্ব| হেমিংওয়ে এই বিষয়ে সব কিছু জানতেন| তিনি প্রকৃতই, ঈশ্বরের সৄষ্টি সংক্রান্ত একাকীত্বের ক্ষয়ের সঙ্গে আচরন করেছিলেন| তিনি কখনই তার উপর বিজয়লাভ করতে পারেন নি| কয়েক বছর পরে তিনি নিজেই নিজেকে হত্যা করেন| দার্শনিক ফ্রেডরিখ্ নিয়েৎসে বলেছিলেন, “ঈশ্বর মৃত|” তিনি একজন নাস্তিকে পরিনত হয়েছিলেন| এর কয়েক বছর পর তিনি পাগল হয়ে গিয়েছিলেন| তিনি ঈশ্বর বিহীন, অর্থবিহীন, আশা অথবা ক্ষমাবিহীন জগতে বেঁচে থাকতে পারেন নি|

আপনি দেখবেন, এই মন্ডলীতে আসলে, আর প্রতি সপ্তাহে এখানে আসলে, সেটা আপনাকে বন্ধুদের জন্য একাকীত্বের আরোগ্যদানে সাহায্য করবে| কিন্তু ঈশ্বরের জন্য আপনার একাকীত্ব বোধের বিষয়্টা কী? একবিংশ শতাব্দীর মহাদুঃখদায়ক ঘটনাগুলির মধ্যে একটা হল এই যে বহু যুবক প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বরকে জানেন না| আর ঈশ্বর ছাড়া কোন আশা সেখানে নেই!

হ্যাঁ, আমি চাই যে আপনি এই মন্ডলীতে ফিরে আসুন এবং বন্ধুত্ব করুন – কিন্তু আমি এটাও চাই যে আপনি ঈশ্বরের অনুসন্ধান করুন| অগাষ্টিন বলেছেন, “আমাদের আত্মাগুলি অস্থির যতক্ষণ না আমরা তাঁর উপর নির্ভর করি|” এক ফরাসী দার্শনিক বেসিল পাসক্যাল বলেছিলেন যে আমাদের হৃদয়ের মধ্যে রয়েছে এক “ঈশ্বরের আকারের শূণ্যতা|” তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন যে প্রত্যেক মানুষের হৃদয়েই রয়েছে এক শূণ্যস্থান যা একমাত্র ঈশ্বর দ্বারাই পূর্ণ হতে পারে|

কিন্তু বাইবেল শিক্ষা দেয় যে আপনাদের পাপের জন্যই আপনি ঈশ্বর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন| বাইবেল বলে,

“কিন্তু তোমাদের অপরাধসকল তোমাদের ঈশ্বরের সহিত বিচ্ছেদ জন্মাইয়াছে, তোমাদের পাপসকল তোমাদের হইতে তাঁহার শ্রীমুখ আচ্ছাদন করিয়াছে…” (যিশাইয় ৫৯:২)|

সেখানে পাপের কারণে আপনার এবং ঈশ্বরের মধ্যে একটা বিচ্ছেদ রয়েছে| আদম এবং হবাকে এদোন উদ্যান থেকে বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছিল কারণ তারা পাপ করেছিলেন| তাদের পাপ তাদেরকে ঈশ্বর থেকে আলাদা করে দিয়েছিল|

বাইবেল শিক্ষা দেয় যে আপনার পাপের জন্য ঈশ্বর আপনার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন| আর তথাপি, একই সঙ্গে, তিনি আপনাকে ভালবাসেন| আপনার পাপের জন্য ঈশ্বর আপনার প্রতি ক্রুদ্ধ, কিন্তু একই সঙ্গে ঈশ্বর আপনাকে ভালবাসেন| সেই কারনেই ঈশ্বর ক্রুশের উপর মৃত্যুবরণ করার জন্য যীশুখ্রীষ্টকে পাঠিয়েছিলেন| তিনি আপনার সঙ্গে ঈশ্বরের মিলন সাধন করার জন্য ক্রুশের উপর মৃত্যুবরণ করেছিলেন| ঈশ্বর সাধারনভাবে আপনার পাপকে এড়িয়ে যেতে পারেন না| ক্রুশের উপর আপনার পাপের দেনা শোধ করার জন্য তিনি যীশুখ্রীষ্টকে পাঠিয়েছিলেন, “যেন তিনি নিজে ধার্ম্মিক থাকেন, এবং যে কেহ যীশুতে বিশ্বাস করেন তাহাকেও ধার্ম্মিক গণনা করেন” (রোমীয় ৩:২৬)| এক ক্রোধান্বিত ঈশ্বর শুধুমাত্র ক্রুশের উপর খ্রীষ্টের বলিদানের মাধ্যমে মিলনসাধন করতে পারে!

এটা কোন দূর্ঘটনা ছিল না যে যীশু ক্রুশের উপর মারা গিয়েছিলেন| তিনি স্বেচ্ছায় ক্রুশে গিয়েছিলেন| বাইবেল বলে যে, যখন তাঁর ক্রুশারোপিত হওয়ার সময় উপস্থিত হয়েছিল, “তিনি তখন একান্তমনে যিরুশালেম যাইতে উন্মুখ হইলেন” (লূক ৯:৫১)| তখন যীশু শিষ্যদের বলেছিলেন,

“দেখ, আমরা যিরুশালেমে যাইতেছি; আর মনুষ্যপুত্র প্রধান যাজকদের এবং অধ্যাপকদের হস্তে সমর্পিত হইবেন, আর তাহারা তাঁহার প্রাণদন্ড বিধান করিবেন, এবং বিদ্রুপ করিবার, কোড়া মারিবার, ও ক্রুশে দিবার জন্য পরজাতীয়দের হস্তে তাঁহাকে সমর্পন করিবে…” (মথি ২০:১৮-১৯)|

তিনি ক্রুশে মারা যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই, সেখানে গিয়েছিলেন, যেন আমাদের পাপের ক্ষমা হয় – এবং তাঁর প্রবাহিত রক্তের মাধ্যমে আমরা ধৌত ও পরিস্কৃত হই!

গেৎশিমানীর অন্ধকারে প্রহরীরা এসে তাঁকে ধরল| তারা তাঁকে শিকল দিয়ে বাঁধল, তারা তাঁর মুখে ঘুষি মারল, তারা তাঁর দাড়ি টেনে উপড়ে দিল, তারা তাঁকে রোমীয় শাসক, পন্তীয় পিলাতের কাছে হিঁচড়ে টেনে নিয়ে গেল| তারা তাঁর পিঠে মারতে লাগল যতক্ষণ না তিনি প্রায় মৃতবৎ হয়ে যান| তাঁর কাঁধের উপর তারা একটা ক্রুশ চাপিয়ে দিয়েছিল এবং তাঁকে বাধ্য করেছিল সেটাকে রাস্তা দিয়ে টেনে নিয়ে যেতে| তারা ক্রুশের উপরে তাঁর হাতে ও পায়ে পেরেক ঠুকে দিয়েছিল| যীশু ক্রুশের উপর থেকে তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন এবং বললেন,

“পিতঃ, ইহাদিগকে ক্ষমা কর; কেননা ইহারা কি করিতেছে তাহা জানে না” (লূক ২৩:৩৪)|

“পিতঃ, ইহাদিগকে ক্ষমা কর!” এই প্রার্থনা তিনি করেছিলেন
এমনকি যখন তাঁর শরীর থেকে প্রবল ধারায় রক্ত দ্রূত প্রবাহিত হচ্ছিল;
এই চরম বিপর্যয়েও তাঁর পাপীদের জন্য প্রার্থনা –
কেউ নয় কিন্তু যীশু চিরকাল ভালবাসেন|
ধন্য পরিত্রাতা! বহুমূল্য পরিত্রাতা!
মনে হয় এখনও আমি তাঁকে কালভেরী বৃক্ষে দেখছি;
আঘাত প্রাপ্ত এবং রক্ত প্লাবিত, পাপীর জন্য বিনতিরত –
অন্ধ এবং অমনোযোগী – আমার জন্য মারা যাচ্ছেন!
(“Blessed Redeemer” by Avis Burgeson Christiansen, 1895-1985)|

যীশু সেই ক্রুশে মারা গিয়েছেন, আপনার সব পাপ নিজ দেহে বহন করেছেন (cf. ১ম পিতর ২:২৪)| দিনের মধ্যবেলায় আকাশ অন্ধকার হয়ে গেল| যখন তিনি মারা গেলেন, এক প্রবল ভূমিকম্প মাটিকে কাঁপিয়ে দিল| মন্দিরের পবিত্র স্থানের মধ্যেরও মহা পবিত্রতম স্থানের মোটা তিরষ্করণী চিরে দুই টুকরো হয়ে গেল| ক্রুশের উপর খ্রীষ্টের মৃত্যু আমাদের পাপের সব দেনা শোধ করল| তিনি আমাদের পাপ থেকে পরিস্কৃত করার জন্য রক্ত ঝরিয়ে যেখানে ঈশ্বর আছেন সেখানে আসতে আমাদের সক্ষম করলেন!

“অতএব, হে ভ্রাতৃগন, যীশু আমাদের জন্য তিরষ্করণী দিয়া অর্থাৎ আপন মাংস দিয়া পথ সংস্কার করিয়াছেন” (ইব্রীয় ১০:১৯)|

আপনি শুধুমাত্র ঈশ্বরের কাছে আসতে পারেন, তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের রক্তের সাহায্যে আপনার সমস্ত পাপ ধৌত হওয়ার মাধ্যমে| একমাত্র খ্রীষ্টের রক্তের মাধ্যমে আপনার সমস্ত পাপ থেকে পরিস্কৃত হয়ে আপনি ঈশ্বরের সঙ্গে মিলন সাধন করতে পারেন|

যদি আপনি এই মন্ডলীতে যুক্ত হন, আপনাদের কারও কারও পিতামাতা হয়তো আপনাকে বলবেন যে তুমি অযথা সময় নষ্ট করছ| আমি তোমাকে বলছি কিভাবে পড়াশোনা করতে হয় এবং সমস্ত কাজে কিভাবে উন্নতি করা যায়| আমি তোমাকে শিক্ষা দেব কিভাবে ভাল ফল করতে হয়| কিন্তু কোন কোন পিতামাতা বলবেন যে আপনাকে বাড়িতে থাকতে হবে এবং আরও পড়াশোনা করতে হবে, যাতে আপনি স্নাতক হওয়ার পর আরও বেশি অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হন|

সেই বিখ্যাত আমেরিকান হাস্যরসিক, হতভাগ্য রবিন উইলিয়াম্সের কী হয়েছিল? তিনি আপনার পরিচিত অনেক লোকের চাইতে অনেক অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করেছিলেন! তার কাছে সবই ছিল| কিন্তু তার কাছে কোন মন্ডলী ছিল না| তার কাছে ঈশ্বর ছিল না| এর কিছুদিন পরে তিনি নিজেই নিজেকে হত্যা করেন আর তার স্ত্রীর কাছ থেকে প্রকাশ পায় যে তিনি ক্রমে ক্রমে পার্কিন্সন্স রোগ বা দৈহিক পেশীর কাঠিন্যের কারনে উদ্ভুত এক ধরনের অঙ্গ-কম্পনজনিত রোগের শিকার হয়ে পড়ছিলেন| তিনি সেটা প্রতিরোধ করতে পারেন নি| উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার, মারিন জেলাসদরের এক প্রাচুর্যপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত এক বিশাল দালানবাড়িতে তিনি একাকী বাস করতেন| তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন| কী দুঃখদায়ক ঘটনা! আমি রবিন উইলিয়াম্সকে খুব ভালবাসতাম! আমি তার জন্য এত দুঃখ অনুভব করেছিলাম যে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম|

আপনি আপনার পিতামাতাকে এইসব কথা বলুন! আপনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন, কিন্তু যখন সেই দুঃসংবাদ আসবে তখন কী হবে, যেমন সেটা আসে প্রত্যেকের জীবনে কিছু আগে বা কিছু পরে? কী হবে যদি আপনাকে পরিবর্তন করার জন্য কোন খ্রীষ্টিয় বন্ধু না থাকে? কী হবে যদি আপনার কাছে ঈশ্বর না থাকেন আপনার অশান্ত সময়ে আপনাকে পরিবর্তন করার জন্য?

ঈশ্বর আপনাকে দেখতে সাহায্য করুন যে আপনার মন্ডলীর প্রয়োজন আছে, আপনার খ্রীষ্ট বিশ্বাসী বন্ধুদের প্রয়োজন আছে, আর আপনার পাপ ক্ষমা করার জন্য এবং ঈশ্বরের সান্নিধ্যে শান্তিলাভ করার জন্য আপনার খ্রীষ্টকে প্রয়োজন আছে| সেই কারণে আমরা বলি, “কেন একাকী হবেন? গৃহে আসুন – মন্ডলীতে আসুন! কেন হারিয়ে যাবেন? গৃহে আসুন – ঈশ্বরের পুত্র, যীশুর কাছে আসুন!” ঈশ্বর আপনাদের সকলকে আশীর্ব্বাদ করুন! আমেন| ডঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনায় পরিচালনা করুন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মে: গীতসংহিতা ১৪২:১-৭ |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“Boulevard of Broken Dreams” (by Green Day, 2004)/
“It Is No Secret” (by Stuart Hamblen, 1908-1989).


খসড়া চিত্র

একাকীত্বের অভিজ্ঞতা!

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র।

“আমার দক্ষিণে নিরীক্ষণ করিয়া দেখ, আমাকে চিনে, এমন কেউ নাই: আমার আশ্রয় বিনষ্ট হইল; কেহই আমার প্রাণের তত্ত্ব করে না” (গীতসংহিতা ১৪২:৪)|

১. প্রথমত, বিভিন্ন ধরনের একাকীত্ব, আদিপুস্তক ২:১৮ |

২. দ্বিতীয়ত, আপনি আপনার একাকীত্ব অংশরূপে প্রদান করতে পারেন, আদিপুস্তক ৪:১২; যিহুদা ১১; আদিপুস্তক ২:১৮ |

৩. তৃতীয়ত, আপনার গভীরতর একাকীত্ব আছে, যিশাইয় ৫৯:২; রোমীয় ৩:২৬; লূক ৯:৫১; মথি ২০:১৮-১৯; লূক ২৩:৩৪; ১ম পিতর ২:২৪; ইব্রীয় ১০:১৯ |