এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
প্রয়োজন – লড়াকু মানুষের? (পিতৃ দিবসের ধর্মোপদেশ) লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জে আর। ২০১৪ সালের, ১৫ই জুন, লস এঞ্জেলসের ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকলে সদাপ্রভুর দিনে এক সকালে এক ধর্মোপদেশ প্রচারিত হয়েছিল “কিন্তু আত্মা স্পষ্টই বলিতেছেন, উত্তরকালে কতক লোক ভ্রান্তিজনক আত্মাদিগেতে, ও ভূতগনের শিক্ষামালায় মন দিয়া, বিশ্বাস হইতে সরিয়া পড়িবে; ইহা এমন মিথ্যাবাদিদের কপটতায় ঘটিবে; যাহাদের নিজ সংবেদ তপ্ত লৌহের দাগের মত দাগযুক্ত হইয়াছে” (১ম তিমথিয় ৪:১-২)| |
আজ পিতৃ দিবস| আমি ভাল পিতা হিসাবে প্রচার করার প্রত্যাশা করি| আমি অনুভব করি না আজ সকালে ঈশ্বর চান এই বিষয়ে বলতে| যদি আমি বলি ভাল পিতা হওয়ার জন্য কি করতে হবে হয়তো এই বিষয়ে বিশেষ কিছু পাবেন না| বেশির ভাগ পিতৃ দিবসের ধর্মোপদেশে অল্পবিস্তর নৈতিকতার বিষয় বলা হয়| মিঃ ডেভিড ম্যুরো একটি বই লিখেছেন যার শিরোনাম, Why Men Hate Going to Church (David Murrow, Thomas Nelson Publishers, 2004)| আমি মনে করি প্রত্যেক প্রচারকের এই বইটি পড়া উচিৎ| মিঃ ম্যুরোর মতে, যখন চার্চে প্রচারের সময়ে অল্পবিস্তর নৈতিকতার বিষয় প্রচার করা হয় এবং বলা হয়, তোমরা ভাল ছেলে হও – ঐ বিষয়টাই তাদের মনে প্রভাব ফেলে এবং ঘৃণা জন্মায় চার্চের প্রতি, যার জন্য তারা চার্চে যায় না| ভাল হওয়ার বিষয় মানুষ শুনতে চায় না| তাদের মায়েরা শৈশব অবস্থায় তাই করে গেছে - আর শুনে শুনে তারা তাই শিখেছে| আমি বলতে চাইছিনা যে তাদের মায়েরা ভুল করেছে| মায়েরা তাদের সন্তানদের স্বাভাবিক উপায়ে শিক্ষাদান করে| কিন্ত একজন বাড়ন্ত মানুষ এইভাবে শেখে না| একজন মানুষ বেশি শেখে অন্য একজনের আদর্শকে অনুসরণ করে| যদি মানুষেরা খ্রীষ্টকে অনুসরণ করে, আমি দেখেছি তারা জীবনে চলার পথে বেশি ভুল পথে যায় না| সুতরাং আমি বলতে চাই তারা পরিত্রাণ পেয়েছেন এবং তাঁকে অনুসরণ করছে| মিঃ ম্যুরো বলেছেন সেই মানুষেরা আহ্বান করতে চায়, নিজেদের নাম সৈন্যদলে নথিভুক্ত করে, ক্রুশের সৈন্য হিসাবে ঈশ্বরের পক্ষে যুদ্ধ করে! আমি মনে করি মিঃ ম্যুরো এই বিষয়ে সঠিক! সেই কারনেই আমি প্রচার করি, এবং সেইজন্যই আমাদের একটা বিশ্বাসীপূর্ণ চার্চ আছে, মানুষ যারা আগ্রহ সহকারে “বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে প্রানপণ কর [এবং] অনন্ত জীবন ধরিয়া রাখ” (১ম তিমথীয় ৬:১২)| আমাদের চার্চে সেই ধরনের বৃহৎ স্বার্থে মানুষের প্রয়োজনে মানুষ পাওয়া যায় না| আমরা যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি – এবং আমাদের লড়াকু মানুষের প্র্য়োজন – যে মানুষ ঈশ্বরের হয়ে যুদ্ধ করতে ভয় পায় না এবং এই দন্ডপ্রাপ্ত নগরের জন্য, শয়্তানের অধীনে পরিচালিত নগরের জন্য কোনটা সঠিক! দুর্ভাগ্যবশতঃ চার্চের লোকেরা জানে না যে তারা এক যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে! এবং তারা জানে না তাদের শত্রু কে! বেশির ভাগ পালক তাদের কখনও বলে না! আমি আজ সকালে সেটাই বলতে চলেছি! সেটাই বলছি! পুনরায় পাঠের বিষয়ে শুনুন, “কিন্তু আত্মা স্পষ্টই বলিতেছেন, উত্তরকালে কতক লোক ভ্রান্তিজনক আত্মাদিগেতে, ও ভূতগনের শিক্ষামালায় মন দিয়া, বিশ্বাস হইতে সরিয়া পড়িবে; ইহা এমন মিথ্যাবাদিদের কপটতায় ঘটিবে; যাহাদের নিজ সংবেদ তপ্ত লৌহের দাগের মত দাগযুক্ত হইয়াছে” (১ম তিমথিয় ৪:১-২)| প্রেরিত পৌল এখানে বলেছেন “উত্তরকালে”| আমি বিশ্বাস করি ইহা তিনি “শেষ দিনের” বিচার উল্লেখ করেছেন, যা ২য় তিমথীয় ৩:১ পদে বলা আছে| আমি ৫৫ বছর ধরে বাইবেল পড়ছি, এবং আমি দৃঢ় প্রত্যয় যে বর্তমানে সেই যুগেই বাস করছি| আমরা “উত্তরকালে” বাস করছি| আমরা “শেষ দিনে” বাস করছি| খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের সন্নিকট সময়ে আমরা বাস করছি এবং আমরা জানি যে এই পৃথিবী শেষ হবে| আমরা এমনই যুগে বাস করছি যখন মনে হয় যেন সমস্ত নরক হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়ছে| শয়্তান এবং তার দল আমাদের রাস্তার উপর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, আমাদের বাড়ির উপরে উঠছে, এবং আমাদের জীবনযাত্রাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে| এমনকি ইউনাইটেড স্টেটসের রাষ্ট্রপতিও বুঝতে পেরেছেন যে কিছু একটা ভুল হচ্ছে| গত বুধবার আর একটি বন্দুক ছুঁড়ে শিকারের ঘটনা আমাদের নজরে আছে| অরিগানের ১৫ বছরের একটি বালক বন্দুক নিয়ে স্কুলে যায় এবং গুলি করে| সে গুলি করে অন্য একটি বালককে হত্যা করে, এবং অভিযুক্ত হওয়ার আগেই, সে একজন শিক্ষককে আহত করে| রাষ্ট্রপতি ওবামা বলেছেন, এই ঘটনা এখন ঘটছে সপ্তাহে একবার| আমাদের বন্দুক উগ্রতার তথ্য তালিকার উর্দ্ধে…ইউনাইটেড স্টেটস এই ধরনের লোকের একচেটিয়া নেই…তবুও আমরা বিস্তর গুলি করে একে অপরকে মারি তাহা হল [উচ্চ মাত্রা বিশিষ্ট] অন্য যে কোন জায়্গার তুলনায় (Barack Obama, The Los Angeles Times, Wednesday, June 11, 2014)| অবশ্যই ওবামার বক্তব্য ছিল বন্দুক ছেড়ে দাও| কিন্তু আমি একমত নই| আমাদের দেশে তারা বন্দুক ছেড়ে দিতে পারে, কিন্তু হিংস্রতা ক্রমাগতভাবে চলতে পারে| কয়েক সপ্তাহ আগে একটি বালক শিকারী ছুরি নিয়ে তার বিদ্যালয়ের ২০ জন ছাত্রকে এলোপাথারি ভাবে আঘাত করে| যদি তারা শিকারী ছুরি ছেড়েও দেয়, তবে একে অপরকে পাথর বা ভাঙ্গা বোতল দিয়ে খুন করতে পারবে – অথবা কিছু সময় আগে যেমন লস্ এঞ্জেল্সে করেছিল তেমনি অগ্নিকান্ড ঘটাতে পারবে| বন্দুক আবিষ্কারের অনেক আগে কয়িন তার ভাই হেবলকে খুন করেছিল! আমি মনে করি সেখানে বন্দুকের চেয়ে অধিক কিছু আছে| আমি সম্পূর্ণভাবে দৃঢ়প্রত্যয় যে শয়্তান অবং তার অপশক্তি কাজ করছে এইসমস্ত উগ্রতা ও উন্মত্ততার পিছনে| আর এখানে দেখবো কিভাবে আমরা ঈশ্বরের সুরক্ষা হারিয়েছি এবং উগ্রতা শুরু হয়েছে| আমরা ঈশ্বরের সুরক্ষা হারাতে শুরু করেছি যখন সর্বোচ্চ আদালত ঘোষনা করে যে নিউ ইয়র্কের ছাত্রদের বিদ্যালয়ে সাধারন প্রার্থনা করার প্রয়োজন নাই| ১৯৬২ সালে আদালত আদেশ করে যে এইরকম বলা ছাত্রদের কাছে আইনের বিরোধিতা করার মতো, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, তোমার উপর আমাদের নির্ভরতা স্বীকার করি, এবং তোমার কাছে যাচ্ঞা করি আমাদের উপর, আমাদের পিতা মাতার উপর, আমাদের শিক্ষকদের উপর এবং আমাদের দেশের উপর, তোমার আশীর্বাদ| এরপর ১৯৬৩ সালে আদালত শিশু শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রীদের তাদের মধ্যাহ্ন ভোজের পূর্বে এই প্রার্থনা থেকে বিরত থাকতে বলে, সুন্দর ফুলের জন্য আমরা তোমায় ধন্যবাদ জানাই; এই কবিতায় ঈশ্বরের উল্লেখ নেই, কিন্তু আদালতে ইহা অবশ্যই ঈশ্বরের বিষয়ে চিন্তা করবে! একজন ভিন্ন মতালম্বী বিচারক এই বিষয়ে একমত হন নাই, এবং তিনি বলেন, “আমরা এটা নিষিদ্ধ করার জন্য আদালতে আবেদন করবো, শুধুমাত্র এই শিশুরা কি বলছে সেটাই নয়, কিন্তু শিশুরা কি চিন্তা করছে সেটাও…যা প্রতিষ্ঠিত পিতাদের কাছে ছিল বিস্ময়কর!” সেই বছরেই, ১৯৬৩ সালে, আদালত আদেশ দেন যে “বিদ্যালয়ে” স্বতঃস্ফুর্তভাবে বাইবেল পাঠ আইনের পরিপন্থী| আদালত একজন মনোবিদের উপর আস্থা রাখেন যিনি বলেন, বাইবেল পাঠ “হতে পারে, অথবা মনোবিদ্যাগতভাবে [শিশুদের] ক্ষতিকারক”| এই বিষয় চিন্তা করুন! তথাকথিত মনোবিদ বলেছেন যে বাইবেল পাঠ হতে পারে শিশুদের কাছে “মনোবিদ্যাগতভাবে ক্ষতিকারক”! এই সমস্ত ঘটেছিল ১৯৬২ ও ৬৩ সালে| ঐ পতনের জন্য ঈশ্বর তাঁর সুরক্ষাকে সরিয়ে নিয়েছিলেন এবং টেক্সাসের, ডালাসে রাষ্ট্রপতি জন এফ. কেনেডির মস্তিষ্ক আক্ষরিকভাবেই অক্ষম হয়ে গিয়েছিল| আমেরিকার উত্থান হয়েছে পতন হয়েছে এবং উগ্রতার জন্য ক্রমাগত ভেঙ্গে পড়েছে! সেই সময় থেকেই প্রত্যেক রাষ্ট্রপতি বিচারের দায়ে পড়েছেন| একমাত্র, রাষ্ট্রপতি রোনাল্ড রেগান ছাড়া, আর সব রাষ্ট্রপতিই লজ্জা এবং ব্যর্থতা নিয়ে তাদের কার্য্যালয় ছেড়েছেন| আমরা সবাই জানি আমাদের দেশ যে ধরনের হওয়া উচিৎ তার থেকে অন্য প্রকার| আর আমাদের চার্চও ভিন্ন| বেশির ভাগ লোকই জানে না যে এই বিভিন্নতার মূল কারন হল শয়তানেপূর্ণ কাজকর্ম| ডাঃ মেরিল এফ. উন্গার, ডালাস ঈশ্বরতাত্ত্বিক সেমিনারীর দীর্ঘদিনের অধ্যাপক, বলেন, বিংশশতাব্দীর প্রতিষ্ঠিত মন্ডলীগুলি বিপদাশঙ্কাপূর্ণ এবং মন্ডলী শয়্তানের শক্তিতে পূর্ণ তা স্বীকার করতে তারা অসম্মত| অবিশ্বাসের এই অবস্থা শুধুমাত্র নিম্নমানের আত্মিক জীবনের ফল এবং মন্ডলীর যে শক্তি…তাহা জগতের অধিপতি [শয়্তান] আবদ্ধতায় পূর্ণ করে রেখেছে যাহা শাস্ত্রে প্রকাশ পেয়েছে (Merrill F. Unger, Th.D., Ph.D., Biblical Demonology, Kregel Publications, 1994, p. 201)| ডাঃ মার্টিন লয়েড-জোন্স ইংল্যান্ডের, লন্ডনে অবস্থিত ওয়েষ্টমিনিস্টার চ্যাপেলে বহুবছর পালক ছিলেন| বিংশশতাব্দীর অন্যতম সুসমাচার প্রচারকদের মধ্যে তাকে প্রধান বলে গন্য করা হয়| ডাঃ লয়েড-জোন্স বলেন, শয়তানিক কার্য্যাবলী বেড়ে চলেছে| তার কারন কি? ভালো, আমি বলতে চাই প্রাথমিকভাবে এর কারন হল নিম্নমানের আধ্যাত্মিকতা, এবং সমগ্রদেশের ঈশ্বরবিহীনতার মানসিকতা… যেমন ঈশ্বরবিহীনতার বৃদ্ধি, এবং জনগনের মনে ইশ্বরের বিষয়ে পূর্ণ ধারনার হ্রাস, আপনি অনুমান করতে পারেন যে মন্দশক্তি যথাযথ ভাবে প্রকাশিত হয় (D. Martyn Lloyd-Jones, M.D., Healing and the Scriptures, Oliver-Belson Books, 1988, pp. 159-160)| ডাঃ লয়েড-জোন্স আরও বলেন যে, “শয়্তান নিজেই খুব চতুর যখন সে কোন ব্যক্তিকে প্ররোচিত করে তখন সে আর শয়্তান থাকে না| [এইরূপে] চার্চ মাদকাসক্ত এবং প্রতারিত হয়; সে ঘুমিয়ে পড়ে, এবং বিরোধীতার বিষয়ে মোটেই সচেতন থাকে না” (Lloyd-Jones, The Christian Warfare, The Banner of Truth Trust, 1976, p. 106)| অবশ্যই আমাদের উচিৎ শয়্তানের দ্বারা “মাদকাসক্ত ও প্রতারিত” না হওয়া| আমাদের উচিৎ লুথারের সহিত, সচেতন হওয়া, কারন …যদিও এই জগৎ, মন্দতায় পরিপূর্ণ, আমরা শয়্তান ও তার মন্দশক্তির সহিত বিরোধীতায়, এবং যুদ্ধের মধ্যে, রয়েছি| ১. প্রথম, ইহা বিশ্বাসের যুদ্ধ পবিত্রগনের কাছে একবারে সমর্পিত! সাধু যিহুদা বলেন, “…পবিত্রগনের কাছে একবারে সমর্পিত বিশ্বাসের পক্ষে প্রানপন করিতে তোমাদিগকে আশ্বাস দিয়া লেখা আবশ্যক”(যিহুদা ৩)| “প্রানপন” শব্দটির অর্থ “কঠোরভাবে চেষ্টা করা,” অথবা আন্তরিকভাবে যুদ্ধ করা (Strong 1864)| শাস্ত্রে উল্লেখিত খ্রীষ্টিয় বিশ্বাসের মৌলিক নীতিগুলির সংরক্ষণ ও প্রচার করার জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে বলা হয়েছে| ডাঃ ডব্লিউ. এ. ক্রিস্ওয়েল বলেন, “[প্রানপন] এর পরিভাষা হল বৈপরীত্যের সহিত সহযোগী এবং খ্রীষ্ট বিশ্বাসের ভিত্তিমূলক মতবাদের [জন্য] বিভিন্নতার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ও চূড়ান্তভাবে লড়াই করা…” (The Criswell Study Bible, note on Jude 3)| ডাঃ ক্রিস্ওয়েল নিজেও দীর্ঘ ও কঠিন সংগ্রাম করেছিলেন বাইবেলের অভ্রান্ততার স্বপক্ষে| তার যুগান্তকারী বই এর নাম ছিল, কেন আমি প্রচার করি যে বাইবেল আক্ষরিকভাবেই সত্য: এক ঐকান্তিক আগ্রহপূর্ণ আহ্বান প্রত্যেক খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর জন্য যেন শাস্ত্রকে ঈশ্বর-নিঃশ্বাসিত স্বর্গীয় সত্য বলে গ্রহণ করে (W. A. Criswell, Ph.D., Broadman Press, 1969)..১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর শতকে “বাইবেলের জন্য যুদ্ধ” এই বিষয়ে আমাদের চার্চে একটি ছোট অংশ ছিল| আমাদের চার্চ “সাউদার্ণ ব্যপটিষ্ট জার্নাল” প্রকাশনার জন্য ডাঃ বিল পাওয়েলকে, প্রতি মাসে ৬০০ ডলার (সেইসময়ে অর্থের অঙ্কটি খুব কম ছিল না) করে সাহায্য করতো – যা ভ্রান্ত শিক্ষার বিষয় ছয়টি সাউদার্ণ ব্যপটিষ্ট সেমিনারীর দৃষ্টিগোচরে নিয়ে আসে, এবং যা আমেরিকার সমস্ত ব্যপটিষ্ট চার্চের পালকদের কাছে ডাকযোগে পাঠানো হতো| আমি ও আমার স্ত্রী ডাঃ পাওয়েলএর জার্নালটি বিতরণের জন্য বিভিন্ন সাউদার্ণ ব্যপটিষ্ট কন্ভেন্শন এর জাতীয় সভায় যোগ দিতাম| পিটস্বার্গ সন্মেলনে উদারপন্থী প্রতিনিধিরা জার্নালটি টুকরো টুকরো করে আমার স্ত্রীর মুখের উপর ছুঁড়ে দেয়, এবং বাস্তবে তারা তার উপরে থুতু দিয়েছিল, যদিও তিনি, কয়েকমাসের গর্ভবতী ছিলেন! বিশ্বাসের জন্য এটাই ছিল আমাদের লড়াইয়ের পথের শুরু| তখন থেকে, আমরা একটা দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিই যে রুকমানিজম্ এর শয়্তানিক তত্ত্বের, এবং শয়্তানিক ছায়াছবি “খ্রীষ্টের শেষ প্রলোভন” এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দাঁড়াবো| আমাদের মন্ডলী, কেবল নিজেদের চেষ্টায়, লস এঞ্জেলস্ অঞ্চলের তিনটি গর্ভপাত কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে| আমার বয়্স এখন ৭৩ বছর| কিন্তু প্রকৃত পরিত্রাণের জন্য – এবং “Decisionism” (সিদ্ধান্তবাদ) এর বিরুদ্ধে শেষ যুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য – ঈশ্বর আমাকে আহ্বান করে নিযুক্ত করেছেন - যেদিন থেকে আমাদের চার্চ লক্ষাধিক অপরিত্রাণপ্রাপ্ত লোকেদের সঙ্গে ক্রমে ক্রমে জড়িয়ে পড়েছে| তাছাড়া খ্রীষ্টের অনন্তকালীন রক্তকেন্দ্রিকতা ও অপরিহার্য্যতায় পুনরায় ফিরে আসার জন্যও আমরা যুদ্ধ করছি, একমাত্র কারন হল পবিত্র ঈশ্বরের দৃষ্টিতে আমাদের সমস্ত পাপ যেন ধৌত হয়! আমরা জানি এই সমস্ত ভ্রান্ত মতবাদের উৎস হল শয়্তানিক শক্তি, আজকের শাস্ত্রাংশ বলছে, “কিন্তু আত্মা স্পষ্টই বলিতেছেন, উত্তরকালে কতক লোক ভ্রান্তিজনক আত্মাদিগেতে, ও ভূতগনের শিক্ষামালায় মন দিয়া, বিশ্বাস হইতে সরিয়া পড়িবে; ইহা এমন মিথ্যাবাদিদের কপটতায় ঘটিবে; যাহাদের নিজ সংবেদ তপ্ত লৌহের দাগের মত দাগযুক্ত হইয়াছে” (১ম তিমথিয় ৪:১-২)| আজ সকালে আমি সকলকে শয়্তানের দ্বারা “প্রলুব্ধকারী আত্মা” - যারা খ্রীষ্ট বিশ্বাসের মহান মতবাদকে তাদের হৃদয় থেকে মুছে ফেলার জন্য সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতিতে কাজ করে চলেছে - তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আহ্বান জানাই! তোমরা সকলে – এসো এবং সাহায্য করো! অগ্রসর হও, আজি খ্রীষ্ট সেনা সব, যুদ্ধের জন্য অগ্রসর হও, ২. দ্বিতীয়, ইহা আত্মিক যুদ্ধ – অবশ্যই প্রার্থনাপূর্বক যুদ্ধ করো ! অনুগ্রহ করে দেখুন ইফিষীয় ৬:১০-১২ পদ| উচ্চস্বরে পড়ুন, “শেষ কথা এই, আমার ভ্রাতাগন, তোমরা প্রভুতে ও তাঁহার শক্তির পরাক্রমে, বলবান হও| ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান কর, যেন দিয়াবলের নানাবিধ চাতুরীর সম্মুখে দাঁড়াইতে পার| কেননা রক্তমাংসের সহিত নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, কর্ত্তৃত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগনের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে”| (ইফিষীয় ৬:১০-১২)| এটি শাস্ত্রের এক মহান অধ্যায়| শাস্ত্রের এই মহান পংক্তিটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে আমাদের যুদ্ধ “রক্ত এবং মাংসের” সহিত নয়| আমাদের যুদ্ধ “শয়্তান” এবং তার মন্দশক্তির বিরুদ্ধে| ডাঃ জে ভার্নন ম্যাকগী বলেছেন, আমাদের শত্রুর অবস্থান নির্ণয় এবং চিহ্নিতকরণ করতে হবে| শয়্তানই তার মন্দশক্তির দ্বারা পরিচালনা করে| এখন আমাদের প্রয়োজন চিহ্নিত করা কোথায় লড়াই| আমি মনে করি মন্ডলী গভীরভাবে আত্মিক লড়াই এর দর্শনকে হারিয়ে ফেলেছে (J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, Thomas Nelson Publishers, 1983, vol. V, pp. 279-280; note on Ephesians 6:12)| আমরা প্রকৃতই বারাক ওবামা, অথবা প্রজাতান্ত্রিক আদর্শের প্রতি অনুগত “চায়ের আসর” এর মতো আত্মধ্বংসকারী দলের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত নই| আমাদের লড়াই প্রকৃতভাবে সমকামিতায় লিপ্ত যারা তাদের বা সংগ্রামরত মুসলমানদের সঙ্গে নয়| রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ. বুশ ভেবেছিলেন ইরাকে গণতন্ত্র স্থাপন করবেন সেখানে সৈন্য পাঠানোর মাধ্যমে| আমি জানি এটা কার্য্যকারী হবে না| এখন সেখানে সংগ্রামরত মুসলমানেরা পুনরায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে| আপনি দেখুন, মিঃ বুশ এবং মিঃ ওবামা বুঝতে পারছেন না যে এই যুদ্ধে আমাদের সৈন্যদের দ্বারা বিজয় সম্ভব নয়| এটা ছিল, এবং হচ্ছে, একটি আত্মিক যুদ্ধ| ঐ সমস্ত জায়্গায় হাজার হাজার ব্যক্তি খ্রীষ্টে ফিরে আসছে| আমরা অবশ্যই মন্দ আত্মার সঙ্গে প্রার্থনার শক্তিতে যুদ্ধ করবো! আমেরিকান সৈন্যদল যে যুদ্ধ জয় করতে পারছে না প্রার্থনার শক্তিতে তা সম্ভব! অনুগ্রহ করে ইফিষীয় ৬:১৮ পদ দেখুন| উচ্চস্বরে পড়ুন, “সর্ব্ববিধ প্রার্থনা ও বিনতি সহকারে সর্ব্বসময়ে আত্মাতে প্রার্থনা কর, এবং ইহার নিমিত্ত সম্পূর্ণ অভিনিবেশ ও বিনতিসহ জাগিয়া থাক” (ইফিষীয় ৬:১৮)| আপনি দেখুন, আমরা প্রকৃত শত্রুকে চিহ্নিত করেছি ১১ এবং ১২ পদে| আমরা দেখি ১৩ থেকে ১৭ পদে ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা গ্রহণ করার প্রয়োজন| কিন্তু এখন ১৮ পদে দেখি শয়্তান এবং তার দলের সঙ্গে আমাদের লড়াই| প্রার্থনাই আমাদের যুদ্ধ!!! আমি চাই আজ সকালে উপস্থিত সকলের এই চিন্তাধারা গ্রহণ করা উচিৎ যে প্রার্থনা দূর্বলদের জন্য নয়! সাধু পৌল যে ধরনের প্রার্থনার বিষয় বলেছেন তা হল – শয়তান ও তার দলের সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ! “সর্ব্বদাই প্রার্থনা করুন সবরকমের প্রার্থনা ও মিনতি সহকারে” ইহা দূর্বল ছোট আবরনের জন্য নয়! কোমল স্বভাব, দূর্বল, অসহায়, নিস্তেজ প্রকৃতির মানুষেরা হয়তো দ্বিধাগ্রস্ত, এবং এমনকি আতঙ্কগ্রস্ত হবে, যদি তারা আমাদের মন্ডলীতে সপ্তাহে তিনটি প্রার্থনা সভায় যোগ দেয়| আমরা প্রাচীন পিউরিটান পদ্ধতি অনুসরণ করি – শুধুমাত্র পুরুষেরাই প্রার্থনা পরিচালনা করবে! মহিলারা শুধু “আমেন” বলে প্রার্থনাকে সমর্থন করবে| যখন পুরুষেরা প্রার্থনা করে – তখন আমি শুনি নর্দান আয়ারল্যান্ডের চার্চের পালক ডাঃ পৈস্লীএর মতন প্রার্থনা| সেই সমস্ত পুরুষেরা জানে দৃঢ়তার সঙ্গে কেমন ভাবে ঈশ্বরের অনুগ্রহ সিংহাসনের কাছে আসতে হয়! আমরা এই উদাহরণ অনুসরন করি| আমাদের প্রার্থনা সভায় আমরা ঝড়ের গতিতে স্বর্গদুয়ারে আঘাত করি| যদি ঈশ্বর প্রদত্ত সাহস থাকে শয়্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করার তবে আসুন আমাদের প্রার্থনা সভায় যোগ দিন! আমেন! আমরা প্রতি বুধবার রাত্রি সাত ঘটিকায় প্রার্থনা করি| আমরা প্রতি বৃহস্পতিবার রাত্রি সাত ঘটিকায় প্রার্থনা করি| আমরা প্রতি শনিবার রাত্রি ছয় ঘটিকায় প্রার্থনা করি| কেন এত বেশি প্রার্থনা? লস্ এঞ্জেল্সের কেন্দ্রস্থলে আমাদের মন্ডলী দুই মাসের জন্যও নয় যদি আপনাদের মত প্রার্থনার সহযোদ্ধা না থাকে! আসুন আমাদের সঙ্গে যোগদান করুন! প্রবল সেনাতুল্য খ্রীষ্টের মন্ডলী; ৩. তৃতীয়, এই যুদ্ধে যুক্ত হওয়ার জন্য নিজেকে পরিবর্তন করুন! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে চার্চিল ছিলেন প্রধানমন্ত্রী| তিনি রেডিওর মাধ্যমে ব্রিটেনবাসীদের বলেন, “রক্ত, কঠোর পরিশ্রম, চোখের জল এবং ক্লান্তিকর পরিশ্রম ছাড়া আমার দেওয়ার কিছুই নেই”| তারা তাকে অনুসরণ করেছিল, আর হিটলার ও নাৎসীবাহিনীর বন্দুককে পরাস্ত করেছিল! আজ সকালে আমি বলতে পারি শয়্তানের শক্তির সঙ্গে দীর্ঘ, ও কঠোর লড়াইয়ের শক্তি ছাড়া আপনাকে আমার আর কিছুই দেওয়ার নাই| এটি সহজ ব্যাপার নয়| এর জন্য মূল্য দিতে হবে| আপনি অবশ্যই আপনার জীবন ও হৃদয় পরীক্ষা করুন আর আপনার পাপের জন্য অনুতপ্ত হোন| আপনি নিজেকে যীশুর পায়ে সমর্পণ করুন, এবং সমস্ত হৃদয় দিয়ে তাঁর উপরে নির্ভর করুন| মন্ডলীতে আসুন, এবং এখানে থাকুন| আপনি অবশ্যই আপনার জীবনকে খ্রীষ্টেতে সমর্পণ করুন, এবং তাঁর পবিত্র ও অনন্তকালীন রক্তের দ্বারা নিজেকে পাপ থেকে ধৌত করুন! বাইবেল বলে: “তুমি খ্রীষ্ট যীশুর উত্তম যোদ্ধার মত, আমার সহিত ক্লেশভোগ স্বীকার কর” (২য় তীমথিয় ২:৩)| তবে, উঠে দাঁড়ান! ক্রুশ নিন আর খ্রীষ্টকে অনুসরন করুন! আসুন আর আমাদের সাহায্য করুন এই মহান ও পাপে পূর্ণ শহরের জন্য শয়্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করতে! রাজ্য, সম্রাট, কিরীট কত আসে যায়, আমার সঙ্গে উঠে দাঁড়ান আর এই গানটি করুন! এই কোরাসটি গাই! আপনি অবশ্যই যীশুর দ্বারা পাপ থেকে মুক্ত হয়ে তাঁর সৈন্যদলে যোগ দিন| আপনাকে যীশুর রক্তের দ্বারা আপনার পাপ ধুয়ে ফেলতে হবে| আপনি যদি যীশুর দ্বারা পরিত্রাণ পেতে আগ্রহী হন, তবে অনুগ্রহ করে অডিটোরিয়ামের পিছনের দিকে এখনই চলে যান| ডাঃ কাগন আপনাকে আর একটি ঘরে নিয়ে যাবেন যেখানে আমরা কথা বলতে পারবো| তাড়াতাড়ি যান| ঈশ্বর, আমি প্রার্থনা করি যেন আজ সকালে কেউ একজন যীশুতে বিশ্বাস করেন এবং পরিত্রাণ লাভ করেন| তাঁর পবিত্র নামে, আমেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মি. আবেল প্রধুম্মে: ২য় তীমথিয় ৪:১-৫ | |
খসড়া চিত্র প্রয়োজন – লড়াকু মানুষের? (পিতৃ দিবসের ধর্মোপদেশ) লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জে আর। “কিন্তু আত্মা স্পষ্টই বলিতেছেন, উত্তরকালে কতক লোক ভ্রান্তিজনক আত্মাদিগেতে, ও ভূতগনের শিক্ষামালায় মন দিয়া, বিশ্বাস হইতে সরিয়া পড়িবে; ইহা এমন মিথ্যাবাদিদের কপটতায় ঘটিবে; যাহাদের নিজ সংবেদ তপ্ত লৌহের দাগের মত দাগযুক্ত হইয়াছে” (১ম তিমথিয় ৪:১-২)| (১ম তীমথিয় ৬:১২; ২য় তীমথিয় ৩:১) ১. প্রথম, ইহা বিশ্বাসের যুদ্ধ পবিত্রগনের কাছে একবারে সমর্পিত! যিহুদা ৩ | ২. দ্বিতীয়, ইহা আত্মিক যুদ্ধ–অবশ্যই প্রার্থনাপূর্বক যুদ্ধ করো! ইফিষীয় ৬:১০-১২, ১৮ | ৩. তৃতীয়, এই যুদ্ধে যুক্ত হওয়ার জন্য নিজেকে পরিবর্তন করুন! ২য় তীমথিয় ২:৩ | |