এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
খ্রীষ্টের অজ্ঞেয় ধনের বিষয়ে প্রচার করাPREACHING THE UNSEARCHABLE RICHES OF CHRIST এক সংবাদ প্রচারিত হয় লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনেকেলে “আমি,সমস্ত পবিত্রগণের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ক্ষুদ্রতম হইলেও, আমাকে এই অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, যাহাতে পরজাতিদের কাছে আমি খ্রীষ্টের সেই ধনের বিষয়ে সুসমাচার প্রচার করি যে ধনের সন্ধান করিয়া ওঠা যায় না” (এফেসিয়ানস ৩:৮). |
আমার যত বয়স হচ্ছে আমি ততোই যেন প্রেরিত পৌলকে ভালোবাসছি। তিনি এতোটাই নম্র ব্যাক্তি,এবং তিনি আমাদের জন্যে খ্রীষ্টের ধনের বিষয়টাকে উন্মুক্ত করেন। আমাদের পাঠ্যাংশে তিনি আমাদের বলছেন “তিনি সমস্ত পবিত্র গণের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ক্ষূদ্রতম।” এই প্রেরিতত্বের যে দায়িত্ব সেই বিষয়ে প্রেরিত পৌল সব সময়েই সব থেকে নত নম্রতার এক দর্শন তুলে ধরেন। ১ম করিন্থিয় ১৫:৯ পদে তিনি বলেছেন সমস্ত প্রেরিত গণের মধ্যে তিনি ক্ষুদ্রতম কেননা তিনি “খ্রীষ্টের মন্ডলীর তাড়না করতেন” যেটা তিনি তার রুপান্তরকরণের আগে। ১ম টিমোথী ১:১২ এবং ১৩ পদে তিনি সেই বিষয়ে পুণরুক্তি করেন। এর পরে পৌল আমাদের বলতে চান যে তাঁকে সেই অনুগ্রহ প্রদান করা হয়েছে যেন তিনি “খ্রীষ্টের অজ্ঞেয় ধনের বিষয়ে প্রচার করেন।” কেনেথ ওউয়েস্ট নির্দেশ করেন “অজ্ঞেয়” বলে যে শব্দ গ্রীক থেকে অনুবাদ করা হয়েছে তার অর্থ হল, “যা কোন ভাবে অনুসরণ করা যায় না।” সুতরাং খ্রীষ্টের ধনের যে পূর্ণতা যাকে বলা যেতে পারে অতলস্পর্শ, “দুর্বোধ্য ঠিক সেই ভাবে যেটাকে সম্পূর্ণ ভাবে মানুষের দ্বারা বোধগম্য করা যায় না” (Kenneth S. Wuest, Ph.D., Wuest’s Word Studies, Eerdmans, 1975, volume I, p. 84). বহু বৎসর কাল যাবত আমাকে বহুল অর্থপূর্ণ পালক ও শিক্ষকদের দ্বারা বলা হয়েছিল আমি যেন সাধারণ ভাবে সুসমাচারকে প্রচার না করি, নতুবা আমার লোকেরা আন্তরিকতাহীন খ্রীষ্টান হয়ে উঠবে। এই বিষয়টা আমি প্রায় দীর্ঘ দিন সময় পর্যন্ত বিশ্বাস করে এসেছি- বাস্তবে আমাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না স্পারজিউনের সংবাদের একটা সেট তুলে দেওয়া হলো ততো দিন পর্যন্ত। বেশ কিছু সময় স্পারজিউনের সংবাদ পড়ার পরে, খ্রীষ্টের ওপরে প্রচার করার যে গভীরতা রয়েছে সেই বিষয়ে আমি বিস্মিত হয়ে পড়লাম। সুতরাং আমি চিন্তা করলাম যে সুসমচারকে যতো পন্থায় প্রচার করা যায় আমি তা প্রচার করবো, ঠিক যেমন ভাবে স্পারজিউন প্রচার করেছেন। চিন্তা করতে করতে আমি স্মরণ করলাম, “এই বিষয়টা আমি দীর্ঘ সময় ধরে করতে পারবো না। আমার কাছে ততোটা উপাদন নেই, আর আমার লোকেরাও এক ঘেয়েমিতে ভরে উঠবে।” আমি কতটাই না ভ্রান্ত ছিলাম! বেশ কিছু বৎসর হয়ে গেলো আমি রবিবার দিনের সকাল ও সন্ধ্যায় সুসমাচার প্রচার করে আসছি। আর ইহা যেন মনে হচ্ছে আমি কেবল বাইরের দিকটাতেই আঁচর কাটছি! এখন আমার আর মনেই হয় না যে আমি সংবাদের যে উপাদান রয়েছে তার অভাব হবে, কেননা এখন আমি খ্রীষ্টের অজ্ঞেয় ধনের বিষয়ে প্রচার করছি যা অলভ্য, অতলস্পর্শ, দুর্বোধ্য “যার অতল গভীরে আপনি কোন দিন যেতে পারবেন না” খ্রীষ্টের সে ধন! সাহায্য করুন! খ্রীষ্টের ধনের বিষয়ে এতো কিছু রয়েছে যার সমস্ত কিছুকে আমরা কোনদিনই শেষ করতে পারবো না-আর তা এমন কি এক শত বৎসরের মধ্যেও! আমরা ক্রমাগত ভাবে খ্রীষ্টের সুসমাচার আমাদের লোকেদের আন্তরিকতাহীন করছে বলে বলতে শুণবো- যেম্ন ভাবে আমাকে বলা হয়েছিল ? মোটেই নয়! আমাদের মধ্যে বেশ কিছু চমৎকার খ্রীষ্টিয়ান রয়েছেন যাদের আপনি জগতের অন্য কোন জায়গাতে পাবেন না! এটা দর কষাকষির মতো কোন বিষয় নয়। ইহাই হল সরল সত্য! আজকে জগতে আমাদের মধ্যে বেশ কিছু পরাক্রম শীল খ্রীষ্টিয়ান রয়েছেন। আর তারা সুসমাচার প্রচারে রুপান্তরিকৃত হয়েছেন। সুসমাচারের প্রচারেই তারা পোক্ত। আর তারা পরাক্রমশীল হয়ে ওঠেন সুসমাচার প্রচারের দ্বারা! পৌল যখন এই কথা বলছেন তখন আমি কেবল সেই কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করছি, “কেননা আমি মনে স্থির করিয়াছিলাম আর কিছুই জানিবো না তোমাদের থেকে, কেবল যীশু খ্রীষ্টকে, এবং তাহাকে ক্রুশে হত বলিয়াই জানিব” (১ম-করিনথিয়ান্স ২:২). আমরা পরিত্রাণ লাভ করিয়াছি খ্রীষ্টে বিশ্বাস করিয়া ও যিনি ক্রুশারোপিত তাঁর দ্বারা। ক্রুশারোপিত খ্রীষ্টের অনুগ্রহরুপ বিশ্বাসেই আমরা বৃদ্ধি লাভ করি। ক্রুশারোপিত খ্রীষ্টের উপরে বিশ্বাস করার দ্বারাই আমরা পবিত্রকৃত হয়েছি। খ্রীষ্ট হলেন, “আলফা ও ওমেগা, শুরু এবং শেষ” (প্রকাশিত বাক্য১:৮)। খ্রীষ্ট হলেন আমাদের “বিশ্বাসের আদিকর্তা ও [সেই] সিদ্ধিকর্তা” (হিব্রুজ ১২:২)। গতরাত্রে আমি যেভাবে প্রচার করেছি, খ্রীষ্ট “...যিনি হইয়াছেন আমাদের জন্য ঈশ্বর হইতে জ্ঞান, ধার্মিকতা, ও পবিত্রতা, এবং মুক্তি” (১ম করিনথিয়ান্স ১:৩০)। যেহেতু আমাদের উদ্ধার, পবিত্রকরণ,এবং গৌরবাণ্বিত হওয়ার সম্পূর্ণ কর্মপরিধি খ্রীষ্টের মধ্যে বিদ্যমান – তাই এর জন্য সত্য সত্যই খুব বেশী করে এই বিষয়ে প্রচার করার প্রয়োজন আমাদের নেই! মিঃ গ্রীফিথ এই সবে মাত্র এক পুরাতন জার্মান সংগীত গাইলেন যা অনুবাদ করা হয়েছে ইংরাজীতে, সকালের আকাশ যখন চমকায় আমার হৃদয় চিৎকার করে জাগরিত হয়ঃ অথবা,গতরাত্রে মিঃ গ্রীফিথ যেমন ভাবে গেয়েছেন, যীশু খ্রীষ্ট আমায় বানিয়েছেন, আমার জন্য সব করেছেন, আমার জন্য সব করেছেন। আমি যখন এই প্রজেক্টের প্রতি তাকিয়ে সুসমাচারকে বহু দৃষ্টিকোণ থেকে প্রচার করার চেষ্টা করি, তখন আমি ভয় পাচ্ছিলাম যে আমার এই সংবাদ হয়তো ইণ্টারনেটে সামান্য আবেদন রাখবে। কিন্তু এখন আমি অনেকের দ্বারা উৎসাহিত যারা এই সংবাদ পড়েছেন। দৃষ্টান্ত স্বরুপ, গত মাসে প্রায় ১০০,৯৮৯ জন আমাদের ওয়েব সাইটে “তালিকাকে” স্পর্শ করেছেন, আর আমাদের কাছে বহু উৎসাহব্যাঞ্জক ই-মেইল এসেছে। গত মাসে ইন্দোনেশিয়া থেকে এক মিশনারী নিম্নলিখিত সংবাদ আমার কাছে প্রেরণ করেছেন, আমার তিয়াত্তর-তম জন্ম দিন উপলক্ষে। এটা আপনাদের পড়তে আমার দ্বিধা হচ্ছে কেননা মনে হবে যে আমি গর্ব অনুভব করছি। কিন্তু ইহা ছিল খুবই চমৎকার তাই আমি অনুভব করলাম ইহাকে আলোচনা করাই ভালো। ইংরাজী তার প্রথম মাতৃভাষা নয়। তিনি ইন্দোনেশিয় ভাষায় কথা বলেন। সুতরাং আমাকে মুগ্ধ করার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাকে লেখার প্রতি যথেষ্ঠ সময় নিতে হয়েছে। আপনার সুসমাচার বারংবার সেই বিষয়ে বলে উঠেছে এক সিমফনির মতো, ঠিক যেমন বিথোভেনের পঞ্চম সঙ্গীতের মতোই। সেই বিষয়বস্তু বার বার পুণরাবৃত্তি হয়। আপনার সংবাদের মধ্যে রক্ত এবং খ্রীষ্টের প্রায়শ্চিত্ত, এবং রুপান্তর করণের বিষয়, বার বার পরিলক্ষিত হয়। আপনি আবার “সিদ্ধান্তবাদ” ও বর্তমান দিনের মন্ডলীর মধ্যে বারংবার স্বধর্মত্যাগের বিরুদ্ধে প্রচার করেছেন। এই নির্ধারিত রচনা ঠিক যেন বিথোভনের পঞ্চম সংগীতের মতোই বার বার পুণরাবৃত্ত হয়েছে। আর এটা বার বার সব সময়েই দৃষ্ট হয়েছে। এই আন্তরিকতা পুর্ণ সংবাদটি আমাকে পাঠিয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার এক বিশ্বস্ত মিশনারী। ইহা আমার হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল, আর আমি চাইছিলাম ইহাকে আপনাদের সংগে আলোচনা করার জন্য। হ্যাঁ, আমাদের অতি অবশ্যই সুসমচারের সংবাদকে প্রচার করতে হবে। আর “খ্রীষ্টের অজ্ঞেয় ধনের বিষয়ে” আমাদের অতি অবশ্যই শ্রম করতে হবে উদ্দীপনা সহকারে তা ঘোষণা করার জন্য। আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি খ্রিষ্টিয়ানের প্রয়োজন রয়েছে যেন এই সুসমাচারকে তারা প্রায় সময়ে শোণেন। “খ্রীষ্টের অজ্ঞেয় ধন” কেবলমাত্র অবিশ্বাসীদের প্রতি দেওয়া হয় নি। প্রসঙ্গত, ইফিষিয়দের প্রতি পত্রে এই ভাবে লেখা হয়েছে “ইফি যে স্থি্ত পবিত্র, ও খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসী জনগণ সমীপে” (ইফিশিয়ানস ১:১)। এই বৃহৎ পত্রের মধ্যে প্রেরিত পৌল সুসমাচারের বিষয়ে বহু বিষয় তুলে ধরেন। বাইবেলের মধ্যে ইহা হল আমার পছন্দের বই কেননা ইহা যীশুকে এতটা ভালো ভাবে উচ্চকৃত করে, এবং সুসমাচারকে অতি স্বচ্ছভাবে ঘোষণা করে। আর প্রেরিত এই খ্রীষ্টিয়ানদের উৎসাহ প্রদান করেন তাদের মধ্যে এই কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার দ্বারা যে তাদের উদ্ধার করার জন্য যীশু কি না করেছেন। এখানে আমার পছন্দের দুটি পদ উল্লেখ করলাম। “তৎকালে তোমরা খ্রীষ্ট হইতে ভিন্ন, ইজ্রায়েলের প্রজাধিকার বহিস্থ এবং প্রতিজ্ঞা যুক্ত নিয়মগুলির অসম্পর্কীয় ছিলে, তোমাদের আশা ছিল না, আর তোমরা জগতের মধ্যে ঈশ্বর বিহীন ছিলেঃ কিন্তু এখন খ্রীষ্ট যীশুতে পূর্বে দূরবর্তী ছিলে যে তোমরা খ্রীষ্টের রক্তের দ্বারা নিকটবর্তী হইয়াছো” (এফেশিয়ানস ২:১২-১৩). প্রত্যেক খ্রীষ্টিয়ানকে বার বার সুসমাচার শোণার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে যে একটা সময় ছিল যখন আমাদের কোন আশা ছিল না, আর আমরা জগতে ঈশ্বর বিহীন অবস্থায় ছিলাম। আমাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে “খ্রীষ্টের রক্তের দ্বারা আমরা তাঁর নিকটবর্ত্তী হয়েছি।” আমি রেভারেন্ড ওয়ারেন পিল, যিনি হলেন নিউটাউনএ্যাবির ট্রিনিটি প্রেসবাইটেরিনিয়ান মন্ডলীর পালক, উত্তর আয়ারল্যান্ডের তার আশ্চর্য্য উপদেশ ও সংবাদ গুলো পড়ছিলাম। ট্রুথ ম্যাগাজিনে শিরোনামে যে সংবাদ মুদ্রিত হয়েছে সেখানে রেভারেন্ড পিল নির্দেশ করেন সমস্ত খ্রীষ্টিয়ান, এমন কি পালকদেরও, প্রায় সময়ে সুসমাচার শোণার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলছেন, “আমাদের সব সময়ই সুসমাচার শুণতে হবে এবং আমাদের জীবনে প্রতিদিন ইহাকে বিশ্বাস করতে হবে” (Banner of Truth Magazine, August/September 2013, p. 4). ওহ! বাইবেল সমাবেশে তিনি প্রচারকদের উদ্দেশ্যে এই কথা বলেন! “আমাদের অতি অবশ্যই সুসমচার শুণে প্রতি নিয়ত আম,আমাদের জীবনে তা বিশ্বাস করতে হবে।” সেটাই হল ভালো বিষয়, প্রচারক! ইহা বলার জন্য ধন্যবাদ! তার এই সংবাদ যখন আমি পড়েছি, তখন তার আটটি কারণ আমি সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ করেছি যে কেন নূতন জন্ম প্রাপ্ত খ্রীষ্টিয়ানদের প্রায় সময় সুসমাচার শোণার প্রয়োজন রয়েছে, আর এই বিষয়ে প্রত্যেক দিন চিন্তা করতে হবে! বিষয় গুলো এখানে এই প্রকার। তাতে কোন নির্দিষ্ট বিন্যাস দেওয়া হয় নি। আমি তাদের বিষয়ে যেমন ভাবে চিন্তা করেছি সেগুলো এই ভাবে লেখা হয়েছে। হতে পারে আপনি এর থেকে বেশি কিছু চিন্তা করবেন। কেন খ্রীষ্টিয়ান লোকেদের সুসমাচার শোণার প্রয়োজন তার তালিকা ও যুক্তি এখানে দেওয়া হল। ১. সুসমাচার আমাদের অপরাধ অনুভব করা থেকে স্বাধীন করে। ২. সুসমাচার আমাদের ভবিষ্যতের প্রত্যাশা দেয়- কেননা খ্রীষ্ট মৃত্যু ৩. সুসমাচার আমদের বিশ্রাম প্রদান করে। ৪. সুসমাচার আমাদের শয়তানের উপরে শক্তি প্রদান করে। ৫. সুসমাচার আমাদের প্রর্থনায় নিশ্চয়তা দেয়। (“সুতরাং,হে ভাতৃগণ, ৬. সুসমাচার আমাদের দুঃখভোগের সময়ে সামর্থ প্রদান করে। (“আর ৭. যে কাজ আমরা সম্ভব বলে চিন্তা করিনি তা সম্পন্ন করার প্রতি ৮. সুসমাচার আমাদের আস্থা প্রদান করে যে আমরা অনুগ্রহে বৃদ্ধিলাভ বেশ কিছু সপ্তাহ আগে আমি একটা সংবাদ প্রচার করেছি যার নাম “আমার প্রারম্ভিক জীবন।” একজন যুবক ব্যাক্তি হিসেবে যে সমস্ত কষ্টকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমি গিয়েছি সেই বিষয়ে আপনাদের কাছে বলেছি। দিয়াবল সেই সংবাদকে এক যুবক ব্যাক্তির মনের মধ্যে অন্য রকম ভাবে পৌঁছিয়েছিল। সেই যুবক ব্যাক্তি পরবর্ত্তী সময়ে আমাকে বলেছিলেন তার পক্ষে সেই সমস্ত কষ্টকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য যে ভয় রয়েছে সেই জন্য যীশুর প্রতি নির্ভর করতে তিনি দ্বিধা অনুভব করছিলেন। দেখুন শয়তান কিভাবে বিষয়কে বদলে দিতে পারে! আমার সংবাদের যে নির্দেশ তা ছিল প্রভু যীশু খ্রীষ্ট আমাকে সামর্থ প্রদান করেছেন সেই সমস্ত মুহুর্তের মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য। আর খ্রীষ্ট আপনাকে সামর্থ প্রদান করবেন যেন সমস্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্য দিয়ে যেতে আপনি সক্ষম হোন। আপনার পাপ থেকে মন পরিবর্তন করে, যীশুর প্রতি ফিরুন! তাঁর রক্তের দ্বারা আপনার পাপ সকল ধুয়ে দেবেন আর আপনাকে এক নূতন ও অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছল জীবন প্রদান করবেন যেখানে আপনি কোন সময়ে তাঁকে ছাড়া থাকবেন না! বাল্যকালে এই গানটা আমি গাইতে শিখেছি তাঁর উল্লেখ এখানে করলাম, পরিত্রাতার কাছে আসার জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আপনার পাপ থেকে ফিরুন আর আজই যীশুতে নির্ভর করুন! আপনি কোন সময়ে পশ্চাৎতাপ করবেন না! আর তারপরে আপনার পরবর্তী সমুদয় জীবনে প্রতিদিন সুসমাচার নিয়ে চিন্তা করুন। আপনার পাপের প্রায়শ্চিত্ত সাধন করার প্রতি যীশু ক্রুশের উপরে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমাদের সমস্ত প্রকার পাপ থেকে পরিষ্কার করয়ার জন্য যীশু তাঁর রক্তকে ঝরিয়েছেন। আমাদের জীবন প্রদান করার প্রতি যীশু শারিরীকভাবে মৃত্যু থেকে পুণরুত্থিত হয়েছেন! পাপের পথ ছেড়ে যীশুতে নির্ভর করুন! আপনার আর কোন মনস্তাপ থাকবে না! যীশুর উপরে নির্ভর করার প্রতি আপনি যদি আমাদের সাথে কথা বার্তা বলতে চান, আর প্রকৃত এক খ্রীষ্টিয়ান হতে চান, তবে অনুগ্রহ করে আপনার স্থান ত্যাগ করে এই অডিটরিয়ামের পিছনে চলে যান। ডাঃ কাগান আপনাকে আরো একটা ঘরে নিয়ে যাবেন যেখানে আপনি প্রার্থনা ও কথা বলতে পারেন। ডাঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে প্রার্থনা করুন যাতে কোন একজন আজকের সকালে যীশুতে নির্ভর করতে পারে। আমেন। (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে তা করেছেন মিঃ আবেল প্রধম্মেঃ এ্যাফেসিয়ানস ৩:১-৮. |
|