এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
আমার প্রয়োজন যীশুকেALL I NEED IS JESUS লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জে আর। ২০১৪ সালের, ৩রা মে, শনিবারের সন্ধ্যায় লস এঞ্জেলসের ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকলে একটি সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল “কিন্তু তাঁহা হইতে তোমরা সেই খ্রীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি হইয়াছেন আমাদের জন্য ঈশ্বর হইতে জ্ঞান, আর ধার্মিকতা, আর পবিত্রতা, এবং মুক্তি: যেমন, লেখা আছে, যে ব্যক্তি শ্লাঘা করে, সে প্রভুতেই শ্লাঘা করুক” (১ করিন্থীয় ১:৩০, ৩১)| |
আমাদের পাঠ্যাংশটি আসছে ১ করিন্থীয়ের প্রথম অধ্যায় থেকে, সেই অনুচ্ছেদটিই যা মিঃ প্রধ্যুম্নে বেশ কিছু আগে পড়েছেন| প্রেরিতেরা তাদের বলেছিলেন যে জগতের খুব বেশি জ্ঞানী ব্যক্তি নয়, বেশি একটা পরাক্রমী (প্রভাবশালী) ব্যক্তিরাও নয়, আর খুব বেশি সম্ভ্রান্ত (মহান) ব্যক্তিরাও উদ্ধার লাভ করবে না| ঈশ্বরের যে প্রয়োজন রয়েছে এই কথা তারা মনেই করেনা| তারা কেবলমাত্র এই জগতে যে সমস্ত বস্তু রয়েছে তার প্রতিই উদ্বেগশীল| কোন কিছু হারিয়ে ফেলে দুঃখভোগ করার ইচ্ছা তাদের নেই, আর নিজেদেরও তারা অস্বীকার করার ইচ্ছা রাখে না যেন ক্রুশ উঠিয়ে নিয়ে খ্রীষ্টের অনুসরনকারী হয়ে ওঠে| প্রেরিতেরা করিন্থীয়দের স্মরণ করিয়ে দেন যে তাদের মধ্যে হয়তো অনেক ধনী ব্যক্তি নেই বা বিখ্যাত কোন লোক তাদের মন্ডলীতে নেই| কিন্তু তাদের মন্ডলী গঠিত হয়েছে সেই লোকেদের নিয়েই যাদের ঈশ্বর মনোনীত করেছেন তাদেরই, যাদের অবিশ্বাসী জগৎ বলে থাকে যে তারা না কি মূর্খ ও বোকা, দূর্বল, অবজ্ঞাত, এমনকি তাদের প্রতি যে আলোকপাত করা হবে এমন যোগ্য ব্যক্তিও তারা নয়| ঈশ্বর তাদের মত লোকেদেরই মনোনীত করেছেন “যেন কিছুর মধ্যেই গণ্য নয়” এবং জগতের দিক দিয়ে মহান ও জ্ঞানী নয়| আর সেটাই বিশেষতঃ তাই হয়েছে| জগত এই সব খ্রীষ্টীয়ানদের সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় গণ্য করেছে| কিন্তু তারা ভুল করেছিল| সেই সমস্ত তাৎপর্যহীন সামান্যতম খ্রীষ্টীয়ানেরা সমুদয় রোম সাম্রাজ্যে ছড়িয়ে পড়বে, আর পরবর্তী সময়ে সমুদয় জগতে ছড়িয়ে যাবে| ঈশ্বর সবথেকে নম্র নিচুতলার খ্রীষ্টীয়ানদেরই মনোনীত করলেন রোম সাম্রাজ্যকে কিছুর মধ্যে গণ্য না করে| এটা আমার কাছে এইভাবে মনে হচ্ছে যেন ঈশ্বর এই কাজ পুনরায় করছেন সাম্যবাদী দেশ চিনের মধ্যে| যেমনভাবে আমাদের একটি গান এইভাবে উল্লেখিত হয়েছে, “বিশ্বাস হল সেই বিজয়, যা জগতকে জয় করতে সাহায্য করে|” আমরা যেমনভাবে জানি ও যাকে আমরা আমেরিকা বলে জানি, তখনও পর্যন্ত এখানে খ্রীষ্টীয়ানেরা থাকবে| বিশ্বাসেই বিজয়, বিশ্বাসেই বিজয়! ঈশ্বর আমাদের মত নীচ লোকেদের মনোনীত করলেন যাতে কোন ব্যক্তি শ্লাঘা না করে, “যেন কোন মাংসই তাঁর উপস্থিতিতে গৌরব লাভ না করে” (১ করিন্থীয় ১:২৯)| ডাঃ জে. ভার্ণন ম্যাকগী বলেছেন বহু সুসমাচার প্রচারকারী রয়েছেন “যারা সুনির্দিষ্ট মেষেদের বিষয়ে জোর দিয়ে থাকেন যারা [বিশ্বাসের স্বীকারোক্তি করেছে] – যারা চিত্তবিনোদন করে থাকে, শিল্পজগতে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে, এবং সরকারী ক্ষেত্রে দক্ষ পরিচালক| কিন্তু ঈশ্বর বৃহত্তরভাবে গড় লোকেদেরই পরিমাপ করেন| তিনি আপনার বা আমার মত অতিসাধারন ও সরল মেষেদেরই আহ্বান করছেন” (J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, Thomas Nelson Publishers, 1983, volume V, p. 12)| আপনি কি লক্ষ্য করেছেন যে আমরা বিখ্যাত ব্যক্তি ও ধনী লোকেদের মধ্যে সুসমাচার প্রচার করার বিষয়ে জোর দিইনি? আপনি কি কোন সময়ে বিস্মিত হয়েছেন যে কেন? ভালো বিষয়, বাইবেলের এই অংশ আমাদের বলে যে কেন, “কারন, হে ভ্রাতৃগন, তোমাদের আহ্বান দেখ, যেহেতু মাংস অনুসারে জ্ঞানবান অনেক নাই, পরাক্রমী অনেক নাই, উচ্চপদস্থ অনেক নাই: কিন্তু ঈশ্বর জগতস্থ মূর্খ বিষয় সকল মনোনীত করিলেন যেন জ্ঞানবান সকলকে লজ্জা দেন; যেন শক্তিমন্ত বিষয়ে সকলকে লজ্জা দেন; এবং জগতের যাহা যাহা নীচ, ও যাহা যাহা তুচ্ছ, যাহা যাহা কিছু নয়, সেই সকলই ঈশ্বর মনোনীত করিলেন, যেন, যাহা যাহা আছে সেসকল আকিঞ্চন করেন: যেন কোন মর্ত্ত্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে শ্লাঘা না করে” (১ করিন্থীয় ২:২৬-২৯)। আপনি দেখুন, বহু বৎসরের অভিজ্ঞতায় আমরা শিখেছি যে সুসমাচার শোনার প্রতি উদ্ধারলাভ করার জন্য, আমরা বিখ্যাত ও ধনী লোকেদের মন্ডলীর মধ্যে পাইনা| আমাদের মন্ডলী বৃদ্ধি পায় যেহেতু আমরা কলেজ ও উচ্চ বিদ্যালয়ের যুবক যুবতীদের মধ্যে সুসমাচার প্রচার করি| এই জগৎ মনে করে যে যুবক যুবতীরা দুর্বল ও বোকা| কিন্তু ঈশ্বর আপনাদের কাউকে কাউকে আহ্বান করেছেন, যেখানে তিনি আপনাদের কাউকে কাউকে আর বিখ্যাত ও ধনী লোকেদের অতিক্রমন বা ছাড়িয়ে আসতে সাহায্য করেছে! তিনি জানেন যে তাদের মধ্যে কেবল কয়েকজনই শুনবে আর খ্রীষ্টের শিষ্য হয়ে উঠবে! তারা অত্যন্তভাবেই আত্ম পরিতুষ্ট, এবং প্রকৃত খ্রীষ্টীয়ান হয়ে ওঠার প্রতি অত্যন্ত জাগতিক পরায়্ণ| সুতরাং ঈশ্বর সরাসরিভাবেই তাদের ছাড়িয়ে বা অতিক্রম করে এসেছেন| এক প্রভাবশালী আহ্বানে তিনি তাদের আহ্বান করেননি| তিনি প্রায় নির্দিষ্টভাবে যুবক যুবতীদেরই আহ্বান করেছেন| আর আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ খ্রীষ্টের প্রতি এগিয়ে এসে পরিত্রাণ লাভ করেছেন| আমাদের পাঠ্যাংশ ব্যাখ্যা করে যে ঈশ্বরের দ্বারা আহ্বান লাভ করা, আর তাঁর পুত্র যীশুর মধ্যে দিয়ে উদ্ধার লাভ করা কতটাই না এক সুযোগের বিষয়! “কিন্তু তাঁহা হইতে তোমরা সেই খ্রীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি হইয়াছেন আমাদের জন্য ঈশ্বর হইতে জ্ঞান, আর ধার্মিকতা, আর পবিত্রতা, এবং মুক্তি: যেমন, লেখা আছে, যে ব্যক্তি শ্লাঘা করে, সে প্রভুতেই শ্লাঘা করুক” (১ করিন্থীয় ১:৩০,৩১)। এই পাঠ্যাংশ থেকে আমরা কমপক্ষে তিনটি পাঠ তুলে আনতে পারি| ১. প্রথম, খ্রীষ্ট যীশুতে আকর্ষিত হওয়ার সুযোগ । পাঠ্যাংশ বলে, “কিন্তু তাঁহা হইতে তোমরা খ্রীষ্ট যীশুতে আছ…” (১ করিন্থীয় ১:৩০)| “তাহা হইতে” – তাহা হল, “ঈশ্বর|” একে অনুবাদ করা যেতে পারে, “কিন্তু তাঁহার কার্যের দ্বারা তোমরা খ্রীষ্ট যীশুতে রয়েছো|” এটা পরিষ্কারভাবেই দেখায় যে ঈশ্বর হলেন সেই ব্যক্তি যিনি হারানো আত্মাকে খ্রীষ্টের প্রতি আকর্ষিত করেন| হোশেয় ভাববাদীদের দ্বারা ঈশ্বর বলেছেন, “আমি মনুষ্যের বন্ধনী দ্বারা তাহাদিগকে আকর্ষন করিতাম, প্রেমের বন্ধনী দ্বারা” (হোশেয় ১১:৪)| আর যীশু বলেছেন, “পিতা, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন তিনি আকর্ষণ না করিলে কেহ আমার কাছে আসিতে পারে না” (যোহন ৬:৪৪)| আধুনিক সময়ের “সিদ্ধান্তবাদীরা” শিক্ষা দেয় যে লোকেরা যখনই সেইভাবে অনুভব করে তখনই যে কোন সময়ে তারা খ্রীষ্টের কাছে আসতে পারে! কিন্তু বাইবেল শিক্ষা দেয় কেবলমাত্র ঈশ্বরই পাপীদের খ্রীষ্টের মধ্যে আকর্ষণ করতে পারেন! “কিন্তু তাহা হইতে তোমরা খ্রীষ্ট যীশুতে আছ|” “কিন্তু তাঁহার কার্যের দ্বারা তোমরা খ্রীষ্ট যীশুতে রয়েছো|” স্পারজান এটা ব্যাখ্যা করে বলেছেন, “ঈশ্বরের মধ্য দিয়েই আমরা খ্রীষ্ট যীশুতে রয়েছি|” এটা দেখায় যে এইভাবে চিন্তা করাটা কতোই না মূর্খামি যে কিভাবে খ্রীষ্টের কাছে আসতে হয় সেই বিষয়ে আপনি শিক্ষালাভ করবেন| নিশ্চিতভাবেই ঈশ্বর আপনাকে খ্রীষ্টের কাছে নিয়ে আসবেন| কেবলমাত্র ঈশ্বরই “খ্রীষ্ট যীশুর দ্বারা আমাদিগকে, তাঁহার সঙ্গে উঠাইয়াছেন” (ইফিষীয় ২:৬)| আপনি যদি ইতিমধ্যেই উদ্ধারলাভ করেছেন তবে এই মহান সত্যতার বিষয়টা জানা আপনার পক্ষে কল্যাণকর হবে| আপনি নিজে থেকে কনভার্ট বা রূপান্তরিত হননি| ঈশ্বর আপনাকে কনভার্ট বা রূপান্তরিত করেছেন| আপনি নিজের ব্যক্তিত্বের দ্বারা কিভাবে খ্রীষ্টের কাছে এসে “তাঁতে থাকতে হয়” সেই বিষয় আয়ত্ব করেননি| “না! কোনমতেই নয়! “তাঁহা হইতে তোমরা খ্রীষ্ট যীশুতে আছ|” ঈশ্বরের পরাক্রমশীল শক্তির আকর্ষণেই আপনি খ্রীষ্টের শরীরের এক সদস্য হয়ে হয়েছেন, এবং খ্রীষ্ট যীশুতে একত্রিত হয়ে আছেন| হারিয়ে যাওয়াটা কি প্রকার সেই বিষয়ে স্মরণ করাটা আপনার প্রতি মঙ্গলজনক কাজ করবে| এটা স্মরণ করাটাও আপনার মঙ্গল করবে যে কিভাবে আপনি দ্বন্দের মধ্যে দিয়ে গিয়েও যীশুর কাছে আসতে সক্ষম হয়ে ওঠেননি| কিভাবে আপনি পতিত হয়েছেন, আর পুনরায় পতন ঘটতে থাকাটা, প্রতিটি প্রকৃত খ্রীষ্টীয়ানকে স্মরণ করতে সাহায্য করবে, আর পরিশেষে, কেবল ইশ্বরের দ্বারাই, আপনি খ্রীষ্ট যীশুর প্রতি আকর্ষিত হয়েছেন! আর এইভাবেই প্রকৃত খ্রীষ্টীয়ানেরা বিস্ময়ের সঙ্গে গান করেন, বিস্ময়কর অনুগ্রহ! কী মধুর সেই স্বর, আহা! এটি কতই না বিস্ময়কর বিষয় কেননা ঈশ্বর, তাঁর অনুগ্রহে, আপনাকে খ্রীষ্ট যীশুর ঐক্যের মধ্যে নিয়ে এনেছেন! কিন্তু আমাকে অতি অবশ্যই আপনাদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করতে হয় যে, “আপনি কী খ্রীষ্ট যীশুর মধ্যে আছেন?” প্রেরিতেরা কী আপনাকে বলতে পারবে, “ঈশ্বর থেকেই আপনি খ্রীষ্ট যীশুর মধ্যে রয়েছেন?” আপনি যদি সত্যি সত্যিই তাঁর কাছে আসার ইচ্ছা রাখেন তবে আপনাকে গ্রহণ করার জন্য যীশু খ্রীষ্ট প্রস্তুত হয়ে রয়েছেন| কিন্তু এই দরজা কতোদিন খোলা থাকবে তা আপনি বলতে পারবেন না| আমাদের পূর্বপুরুষ নোহ সেই জাহাজের মধ্যে এসেছিলেন আর উদ্ধারলাভ করেছিলেন| সেই জাহাজ হলো খ্রীষ্টের এক আদর্শ| এই বিষয়ে আপনি কী কোনদিন বিস্মিত হয়েছেন যে অন্য কেউ নয় কিন্তু কেন কেবল নোহের পরিবারই সেই জাহাজে প্রবেশ করেছিলেন? আমি যখন এই সংবাদ লিখছিলাম তখন এই বিষয়ে বেশ কিছু যুক্তি আমি চিন্তা করার চেষ্টা করেছি| হতে পারে আপনি এই বিষয়ে অন্য কিছু চিন্তা করতে পারেন, কিন্তু আমি কেবল তিনটি যুক্তিই চিন্তা করতে পারি| ১| প্রথম, বিচার যে তাদের উপর নেমে আসবে এই কথা তারা চিন্তাই করতে পারেনি – তারা তাদের পাপের বিষয়ে সচেতন ছিলনা| ২| দ্বিতীয়, নোহ যা প্রচার করেছিল তা তারা বিশ্বাস করেনি| তিনি ছিলেন একজন “ধার্মিকতার প্রচারক” (২ পিতর ২:৫)| কিন্তু তারা নোহের প্রচারে বিশ্বাস করেনি| ৩| তৃতীয়, নিজেদের নত করার ক্ষেত্রে তারা অত্যন্তভাবেই গর্বিত ছিল এবং তাদের উদ্ধার করার ক্ষেত্রে সেই জাহাজের প্রতি কোন নির্ভরতাই প্রকাশ করেনি| আমার মনে হয় তিনটি বিষয়ের একটা বা তারও বেশি বিষয় আপনাকে বা আপনাদের কাউকে কাউকে খ্রীষ্টের কাছে আসা থেকে বিরত রাখে| সেই তিনটি বিষয়ে আমি আবার পুনরুক্তি করব| ভাবতে চেষ্টা করুন যে এদের মধ্যে কোন বিষয়্টা (বা বিষয়্গুলি) আপনাকে খ্রীষ্টের কাছে আসা থেকে বিরত করে| ১| প্রথম, বিচার যে আপনার উপরে পতিত হবে এই বিষয়ে আপনি চিন্তাই করেননা – আপনি আপনার পাপের বিষয়ে সচেতন নন| ২| দ্বিতীয়, কী প্রচার হয়েছে তাতে আপনি বিশ্বাস করেন না| ৩| তৃতীয়, নিজেকে নত করার ক্ষেত্রে এবং আপনাকে উদ্ধার করার ক্ষেত্রে আর পরিত্রাতার উপরে নির্ভর করার ক্ষেত্রে আপনি যেন গর্বিতমনা হয়ে রয়েছেন| আজকের রাত্রে আপনার অবস্থাও কি সেই রকম? সবথেকে মহান সুসমাচার প্রচারক জর্জ হোয়াইটফিল্ডের (১৭১৪-১৭৭০) সঙ্গে আমাদের বলতে হয়, “লোকেরা কোন সময়েই [খ্রীষ্টকে] গ্রহণ করবে না, আর আমরাও তাদের কোন সান্ত্বনা দিতে পারব না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা পাপের মধ্যে দূর্বল হয়ে পড়ছে, এবং খ্রীষ্টকে আলিঙ্গন করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করছে” (George Whitefield, “সুসমাচার প্রচারকারীর কর্তব্য”)| এটা কী আপনার কাছে প্রতিবাদমূলক বিষয় বলে মনে হচ্ছে? আপনি নিজে থেকে নিজের মতো করে যীশুর কাছে আসতে পারেন না - আর তথাপি এইভাবে তাঁর কাছে এসেও বিনষ্ট হয়ে যেতে পারেন| পুরানো-সময়ের প্রচারকেরা এটাকে বলে থাকতেন “সুসমাচারের ছাড়পত্রে স্বাক্ষর|” আপনি সেই ছাড়পত্রের স্বাক্ষরে নিস্পেষিত| সেই ছাড়পত্রের একটা দিক আপনাকে বলে যে আপনাকে অতি অবশ্যই যীশুর কাছে আসতে হবে| সেই ছাড়পত্রের অন্য দিকটা আবার আপনাকে বলে যে আপনি তাঁর কাছে নিজে থেকে আসতে পারেন না| তাহলে আপনি এখন কি করতে পারেন? খুবই ভাল, আপনি এই মন্ডলী ত্যাগ করে আপনার নিজের পথে চলতে পারেন, এই কথা বলে যে এটা খুবই কঠিন| অথবা নোহের সময়ে লোকেরা যেটা কোন সময়ে করেনি আপনি সেটাও করতে পারেন, “তথাপি যন্ত্রনাপ্রাপ্ত হও, শোকার্ত হও, এবং রোদন কর: তোমাদের হাস্য শোকে, এবং আনন্দ বিষাদে পরিনত হউক| প্রভুর সাক্ষাতে নত হও, আর তাহাতে তিনি তোমাদিগকে উন্নত করিবেন” (যাকোব ৪:৯-১০)| ডাঃ মার্টিন লয়েড-জোন্স বলেছেন, আমরা এতটাই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠে লোকেদের তাড়াতাড়ি করাই যেন তারা কোন ভাবে যে কোন প্রকার “সিদ্ধান্তের” কাছে আসতে পারে| আপনি যখন বিরাট কিছু আদান প্রদান করার ক্ষেত্রে কষ্ট পান তখন আপনি বিশেষ করে সেখানে উপশম পাওয়ার চেষ্টা করেন| ইনি হলেন সেই ব্যক্তি যিনি মৃত্যুর দরজার গোড়া থেকে উপশম লাভ করেছেন যিনি তার আরোগ্যতার জন্য সবথেকে বেশি কৃতজ্ঞ থাকেন| ইনি হলেন কেবলমাত্র সেই পাপী যার মধ্যে নরকের বিষয়ে আভাস রয়েছে ও যিনি গৌরবময় স্বর্গের বিষয়ে অত্যন্ত প্রশংসিত থাকেন (Martyn Lloyd-Jones, M.D., The Assurance of Our Salvation, Crossway Books, 2000, p. 305)| কেবলমাত্র খ্রীষ্টই আপনাকে উদ্ধার করতে পারেন| আপনি আমাকে এই কথা বহুবারই বলতে শুনেছেন| কিন্তু আপনি নিজে থেকে যতক্ষন পর্যন্ত না এই বিষয়ে অনুভব করতে পারছেন ততক্ষণ এটা বিশ্বাসই করবেন না| ঈশ্বর সেটা জানেন একজন ব্যক্তি যতক্ষন পর্যন্ত না তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিশ্বাস জন্মাচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত সেই একই বিষয়ে বিবেচনা করে| সুতরাং, আপনার মনে প্রত্যয় জন্মাবার জন্য, ঈশ্বর আপনাকে অতি অবশ্যই সেই হতাশা বা নৈরাশ্যের জায়গাতে নিয়ে আনবেন| আপনি অতি অবশ্যই খ্রীষ্টকে অনুভব করার প্রয়োজনীয়তাকে ভীষনভাবে অনুভব করতে সক্ষম হবেন| আপনি অতি অবশ্যই অনুভব করবেন যে আপনার নিজের মধ্যে প্রত্যাশা রাখা দরকার| আপনাকে অতি অবশ্যই চিন্তা করার প্রতি এগিয়ে আসতে হবে, “আমি তো এইভাবে শুধু শুধু দাঁড়িয়ে থাকতে পারিনা! আমাকে অতি অবশ্যই যীশুর দ্বারা আমার পাপের ক্ষমা লাভ করতে হবে!” ডাঃ লয়েড-জোন্স বলেছেন, “কেউই যীশুর কাছে আসতে সক্ষম হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না বেপরোয়া মরিয়া এক অবস্থা উপস্থিত হয়” (Martyn Lloyd-Jones, M.D., God’s Way Not Ours, The Banner of Truth Trust, 2003, p. 71)| আপনার প্রয়োজনের প্রতি ঈশ্বর আপনাকে অতি অবশ্যই জাগরিত করবেন, এবং আপনাকে যন্ত্রনা বা উদ্বেগের হাত থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য ঈশ্বরকে অবশ্যই নিকটবর্তী হতে হবে| এই কাজ আপনি নিজে থেকে করতে পারেন না| অনেক লোক রয়েছে যারা এই বিষয়্গুলো অনুভব করতে পারে না| তারা কোনসময়েই তাদের এই বেপরোয়া অবস্থার প্রতি সচেতন নয়, আর তারা কোন সময়েই যীশুর কাছে অগ্রবর্তী হয়্না| এই কারনেই আমি এই বিষয়ে বলতে চাই যে এটা হল এমন একটা সুযোগ যেন খ্রীষ্টের প্রতি আকর্ষিত হই, যেন “খ্রীষ্ট যীশুর মধ্যে” থাকি| বাইবেল বলে, “সকলেই আহুত, কিন্তু অল্প লোকই মনোনীত” (মথি ২২:১৪)| ২. দ্বিতীয়, যারা খ্রীষ্ট যীশুতে রয়েছে তাদের প্রতি উপযোগীতা তৈরী । খ্রীষ্টের প্রতি আকর্ষিত হওয়ার বিষয়ে যে সুযোগ সেই বিষয়ে হতে পারে আমি অনেকটা সময় ব্যয় করে ফেলেছি| কিন্তু সেগুলো অত্যন্তভাবেই গুরুত্বপূর্ণ| আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত না খ্রীষ্টের কাছে অগ্রবর্তী হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি সেইসমস্ত সুবিধা উপলব্ধি করতে পারবেন না| এই সুবিধা বা সুযোগ তাদের জন্যই যারা খ্রীষ্টের, যারা “খ্রীষ্ট যীশুর মধ্যে রয়েছে|” পাঠ্যাংশ বলে, “খ্রীষ্ট যীশু, যিনি হইয়াছেন আমাদের জন্য ঈশ্বর হইতে জ্ঞান, আর ধার্মিকতা, আর পবিত্রতা, এবং মুক্তি” (১ করিন্থীয় ১:৩০)| প্রজ্ঞা, ধার্মিকতা, পবিত্রকরন, এবং উদ্ধার - এই চারটি বিষয় হলো এমন যা পাঠ্যাংশ তাদের কাছেই প্রতিজ্ঞা করে যারা “খ্রীষ্টের মধ্যে রয়েছে|” প্রথম, আমাদের কাছে “প্রজ্ঞা”র বিষয়টি প্রতিজ্ঞা করা হয়েছে| আমার উদ্ধারলাভের পরেই আমি এই বিষয়ে মনে করতে পারছি যেখানে আমি চিন্তা করছিলাম যে আমাকে সাহায্য ও আমাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো সঙ্গে কেউই নেই| আমার মা বাবার বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়েছে, আর আয়ের কোন উৎসও আমার নেই| আমি এইভাবেই চিন্তা করছিলাম যে আমি যেন কোনভাবেই কোন ভুল না করি| এমনকী একটিমাত্র ভুলই আমাকে মিশনারী হওয়া থেকে থমকে দিতে পারে| সুতরাং আমি নির্দিষ্টভাবেই ঈশ্বরের কাছে প্রজ্ঞার বিষয়্টা যাচনা করেছিলাম| আর তিনি আমাকে প্রজ্ঞা দিয়েছেন! আমি ক্রমাগতভাবে ভয় পাচ্ছিলাম যে খ্রীষ্ট যদি আমাকে ধরে না রাখেন তবে আমার পা পিছলে যেতে পারে| আর তিনি আমাকে তুলে ধরে রেখেছিলেন! আর তিনি আমাকে প্রজ্ঞা প্রদান করেছিলেন! আমি যখন কলেজে ছিলাম তখন একজন বয়স্কা মহিলা যিনি আমাকে জানতেন আমাকে বলেছিলেন, “তুমি সবসময়েই এক আন্তরিকতা পূর্ণ যুবক|” ইনি হলেন কেবলমাত্র যীশু যিনি আমাকে আন্তরিক ব্যক্তি করে তুলেছেন| ইনি হলেন কেবলমাত্র যীশু যিনি আমাকে প্রজ্ঞা দিয়েছেন| বাইবেল বলে, “সদাপ্রভুর ভয় হল প্রজ্ঞার আরম্ভ” (হিতোপদেশ ১:৭)| দ্বিতীয়, আমাদের কাছে “ধার্মিকতা” প্রতিজ্ঞা করা হয়েছে| খ্রীষ্ট নিজে “আমাদের কাছে…ধার্মিকতাস্বরূপ” হলেন| আমরা আরও একরকমের ধার্মিকতা পরিধান করলাম – এমনকী যীশু নিজেও! সবথেকে পুরানো গান একে যেমনভাবে উল্লেখ করে, “নিজে থেকে ধার্মিকতা পরিহিত হয়ে, সিংহাসনের সম্মুখে ত্রুটিহীন অবস্থায় দন্ডায়মান হলেন” (“অপরিবর্তনীয় পাথর”)| বহুবার দিয়াবল আমার কাছে এসে বলেছে, “কিভাবে তুমি এই বিষয় ও সেই বিষয় নিয়ে বলতে পার? কিভাবে তুমি সেইমতো ও এইভাবে দন্ডায়্মান হতে পার?” আহা, ইফিষীয় বইয়ের, প্রথম অধ্যায়ের, সেইসমস্ত বাক্যগুলি কতোই না শ্রুতিমধুর ছিল! এটি বলে, “সেই অনুগ্রহে তিনি আমাদিগকে সেই প্রিয়তায় অনুগৃহীত করিয়াছেন| যাহাতে আমরা তাঁহার রক্তদ্বারা মুক্তি অর্থাৎ অপরাধসকলের মোচন পাইয়াছি” (ইফিষীয় ১:৬,৭)| সেই “প্রিয়্তম” হল যীশু| আমি যীশুর মধ্যে গ্রহণযোগ্য| আমার ধার্মিকতা তাঁহা হইতে! “কেবলমাত্র তাঁরই ধার্মিকতায় আচ্ছাদিত, যেন ত্রুটিহীনভাবে তাঁর সিংহাসনের সম্মুখে দন্ডায়মান হই|” দিয়াবল যখন আমাকে বলে যে প্রচার করার জ্ন্য আমি যথেষ্ট ভাল নই, তখন এক যুবক ব্যক্তি হিসাবে, আমি সেই বাক্যগুলি বলতে সক্ষম, “তিনি সেই প্রিয়্তমের মধ্যে [আমাকে] গ্রহণযোগ্য করেছেন” (ইফিষীয় ১:৬)| কি অদ্ভুত এই আশীর্বাদ! দিয়াবল যখন কুপিত হয় তখন কি সাংঘাতিকই না এই সান্ত্বনা| আর এইভাবেই দারুন ক্লেশের মূহুর্তে সে সমস্ত পবিত্র সাধুবর্গ শয়্তান থেকে উত্তীর্ণ হয়! “আর মেষশাবকের রক্ত প্রযুক্ত তাহারা তাঁহাকে জয় করিয়াছে” (প্রকাশিত বাক্য ১২:১১)| সবচেয়ে মহান মিশনারী কাউন্ট নিকোলাস জিন্জেন্ডর্ফ বলেছেন, সেই মহান দিনে রক্তের মধ্যেই আমি দন্ডায়মান হই, এইভাবে, খ্রীষ্ট যীশু, আমাদের জন্য পবিত্রকরনের কার্যকে সম্পন্ন করেছেন| পবিত্র আত্মা আমাদের পবিত্র করেন এইজন্য কেননা আমরা খ্রীষ্টের মধ্যে একত্রীকৃত| বেশ কিছু অঙ্গরাগ নিয়ে কেউ যদি খ্রীষ্টে থাকে তবে তিনি পুরাতন সৃষ্টি নয়| না! মোটেই নয়! “যদি কোন ব্যক্তি খ্রীষ্টে থাকেন, তবে তিনি নূতন সৃষ্টি: পুরাতন বিষয় সকল অতীত হয়েছে; দেখ, সে সকল কেমন নূতন হয়ে উঠেছে” (২ করিন্থীয় ৫:১৭)| পুরান যে স্বভাব তাকে আরোগ্য প্রদান করার জন্য হাসপাতালে পাঠান হয় নি| তাকে ক্রুশে পাঠান হয়েছে যেন তা ক্রুশারোপিত হয়| এটা রূপান্তরিত ও উন্নত হয়নি, কিন্তু দন্ড প্রদানের জন্য মৃত্যু ও কবর প্রাপ্ত হয়েছে| আশ্চর্যভাবেই, লোকেরা মনে করে তারা খ্রীষ্টের কাছে আসতে পারে কেবলমাত্র ক্ষমালাভ ও ধার্মিক গণিত হওয়ার জন্য; আর যখন তারা পবিত্র হতে চায় তখন মোশির কাছে আসতে পারে! এইভাবে কিছু হবেনা! আপনি যেভাবে পরিত্রাণ লাভ করেছেন সেইভাবেই আপনি আরো পবিত্র হতে পারেন – আপনি আরো পবিত্র হতে পারেন এর জন্য খ্রীষ্টের প্রতি নির্ভর করার দ্বারা| ক্রুশের উপরে সেই খ্রীষ্টই হলেন আপনার উদ্ধারলাভের উৎস| এখন ক্রুশের সেই খ্রীষ্টই আপনার কৃপালাভ ও বৃদ্ধির এক উৎস! যীশুই আমাদের পাপ থেকে উদ্ধার করেন, আর তিনিই আমাদের “পবিত্রকরনের” জন্য ঈশ্বর হইতে বলিকৃত হয়েছেন| এই মহান শব্দগুলি স্মরণ করবেন, গভীর জলমধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়ে তোমাকে যখন আহ্বান জানিয়েছি, এখন, খ্রীষ্টের মধ্যে শেষ যে বিষয়টা আমাদের সরবরাহ করা হয়েছে তা হলো “উদ্ধার|” কিন্তু কোন একজন বলেন, “সেটাই কী প্রথম বন্দোবস্ত নয় যা আমাদের প্রদান করা হয়েছে?” হ্যাঁ, কিন্তু এটা আবার শেষও বটে| আপনি যদি একজন খ্রীষ্টীয়ান, তবে আপনি যে কোনভাবে পাপ থেকে স্বাধীন, কিন্তু আপনি এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে তাঁর পরাক্রমী শক্তির দ্বারা উদ্ধারলাভ করেননি| এমনকী আপনি মারা গেলেও সম্পূর্ণ উদ্ধার আপনি লাভ করবেন না| আপনাকে “দত্তক লাভের জন্য অপেক্ষা করতে হবে, বোধশক্তি লাভের প্রতি, আমাদের শরীরের সেই উদ্ধারলাভের জন্য” (রোমীয় ৮:২৩)| যীশু যখন মেঘযোগে আমাদের জন্য আসবেন তখনই কেবল খ্রীষ্টের মধ্যে আমাদের যে উদ্ধারলাভ তা সম্পূর্ণভাবে স্বীকার করা হবে! “কারন প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনিসহ, প্রধান দূতের রব সহ, এবং ঈশ্বরের তূরীবাদ্য সহ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন: আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে তাহারা প্রথমে উঠিবে: এরপরে আমরা যাহারা জীবিত আছি আর যাহারা অবশিষ্ট থাকিব তাহারা আকাশে প্রভুর সহিত সাক্ষাৎ করিবার নিমিত্ত, একসঙ্গে তাহাদের সহিত মেঘযোগে নীত হইব: আর এইরূপে সততঃ প্রভুর সঙ্গে থাকিব” (১থিষলনিকীয় ৪:১৬-১৭)| এমনকী আমার ক্লান্তিকর পুরানো শরীরও পুনরুত্থিত খ্রীষ্টের মতো উত্থিত হবে| আমরা মৃত্যু থেকে অনন্তকালীন উদ্ধারে উত্থিত হব – আর অনন্তকালীন আনন্দে চিরকাল জীবনযাপন করব, কারন আমরা খ্রীষ্ট যীশুর মধ্যে রয়েছি, সেটা হল আমাদের উদ্ধারলাভের শুরু ও শেষ| কিন্তু আমাকে অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি শেষ বিষয়ের দিকে এগোতে হবে| ৩. তৃতীয়, আমাদের উদ্ধারলাভ ও যোগানদানের জন্য প্রশংসা যেন আমরা খ্রীষ্টকেই প্রদান করি । এই বিষয়ে আমি কেবলমাত্র স্পর্শ করে যাব| “কিন্তু তাঁহা হইতে তোমরা সেই খ্রীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি হইয়াছেন আমাদের জন্য ঈশ্বর হইতে জ্ঞান, আর ধার্মিকতা, আর পবিত্রতা, এবং মুক্তি: যেমন, লেখা আছে, যে ব্যক্তি শ্লাঘা করে, সে প্রভুতেই শ্লাঘা করুক” (১ করিন্থীয় ১:৩০, ৩১)। প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা দেখুন, খ্রীষ্টীয়ান হিসাবে আমাদের যে অস্তিত্ব তা সম্পূর্ণভাবে খ্রীষ্ট যীশুতেই নির্ভর করে| যারা সত্যি সত্যিই খ্রীষ্টকে জানে তারা খ্রীষ্টে শ্লাঘা ও গৌরব করে – কেবল খ্রীষ্টেই শ্লাঘা করে যে তিনি তাদের জন্য যা করেছেন| আমি সেইরকম নামধারী “সাক্ষ্য” ঘৃণা করি যেখানে লোকেরা কেবল তাদের নিজেদের বিষয়েই বলতে থাকে, যে কি রকমের পাপীই না তারা ছিল, তাদের ময়লা ও দূর্গন্ধযুক্ত জমাট রক্তের সম্বন্ধে, তাদের বিদ্রোহ সম্বন্ধে, এবং তাদের বিকৃতকর স্বভাব সম্বন্ধে বলে| তারা স্বভাবত এটা বলেই শেষ করে যে – “আর এরপর আমি যীশুতে নির্ভর করেছি|” তারা যীশুকে মন থেকে যা ইচ্ছা হয় সেভাবে বলতে থাকে| তারা পাঁচ মিনিট ধরে নিজেদের জন্য গৌরব করে, নিজেদের জীবন নিয়ে দরকষাকষি করে - কিন্তু তাদের হাতে কেবল এক বা দুই সেকেন্ড থাকে খ্রীষ্টকে গৌরব প্রদান করার জন্য! সেই সমস্ত সাক্ষ্য আমাকে দূর্বল করে দেয়! আর আমার মনে হয় তারা ঈশ্বরকেও দূর্বল করে তোলে! “যে ব্যক্তি শ্লাঘা করে, সেই ব্যক্তি প্রভুতেই শ্লাঘা করুক” (১ করিন্থীয় ১:৩১)। আপনি যখন আপনার গৌরবময় পরিত্রাতার বিষয়ে সাক্ষ্য দেন তখন বহু কিছু বলার বিষয় আপনার কাছে থাকে! আপনাকে প্রজ্ঞা, ধার্মিকতা, পবিত্রকরন এবং উদ্ধার যা আপনি খ্রীষ্টের মধ্যে লাভ করেছেন সেই বিষয়ে বলতে আপনাকে সক্ষম হতে হবে! আপনার প্রভুর ও পরিত্রাতার গৌরবময় কার্যের বিষয়ে ক্রমাগতভাবে বলার জন্য আপনাকে সমর্থ হতে হবে| এখন যারা উদ্ধার বা পরিত্রাণ লাভ করেননি তাদের উদ্দেশে কিছু কথা| আপনি কি যীশুর কাছে এসে এই আশীর্বাদগুলি গ্রহণ করবেন? যে মূহুর্তে আপনি তাঁর উপরে নির্ভর করেন যীশু আপনাকে উদ্ধার করবেন| তাঁর রক্ত আপনাকে সমস্ত পাপ থেকে শুচি করবে| আপনি কি তাঁর কাছে আসবেন? নাকি আপনি তাঁকে ক্রমাগতভাবে প্রত্যাখ্যান করতে থাকবেন এবং আত্মিক দারিদ্রতার মধ্যে প্রবেশ করে হঠাৎ করেই নরকের উন্মুক্ত গভীরে নিজেকে ফেলে দেবেন? আপনার উত্তর কী? (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন পালক মহাশয়: ১ করিন্থীয় ১:২৬-৩১ | |
খসড়া চিত্র আমার প্রয়োজন যীশুকে লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জে আর। “কিন্তু তাঁহা হইতে তোমরা সেই খ্রীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি হইয়াছেন আমাদের জন্য ঈশ্বর হইতে জ্ঞান, আর ধার্মিকতা, আর পবিত্রতা, এবং মুক্তি: যেমন, লেখা আছে, যে ব্যক্তি শ্লাঘা করে, সে প্রভুতেই শ্লাঘা করুক” (১ করিন্থীয় ১:৩০, ৩১)| (১ করিন্থীয় ১:২৬-২৯) ১| প্রথম, খ্রীষ্ট যীশুতে আকর্ষিত হওয়ার সুযোগ, হোশেয় ১১:৪; যোহন ৬:৪৪; ইফিষীয় ২:৬; ২ পিতর ২:৫; যাকোব ৪:৯-১০; মথি ২২:১৪ | ২| দ্বিতীয়, যারা খ্রীষ্ট যীশুতে রয়েছে তাদের প্রতি উপযোগীতা তৈরী, হিতোপদেশ ১:৭; ইফিষীয় ১:৬,৭; প্রকাশিত বাক্য ১২:১১; ২করিন্থীয় ৫:১৭; রোমীয় ৮:২৩; ১ থিষলনিকীয় ৪:১৬-১৭ | ৩| তৃতীয়, আমাদের উদ্ধারলাভ ও যোগানদানের জন্য প্রশংসা যেন আমরা খ্রীষ্টকেই প্রদান করি, ১ করিন্থীয় ১:৩১ | |