এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
কেন আজ সুসমাচার এত কম প্রচারিত হচ্ছে?WHY SO LITTLE GOSPEL PREACHING TODAY? লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি. এক সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনেকেলে সদাপ্রভুর “ধিক্ আমাকে, যদি আমি সুসমাচার প্রচার না করি!” (১ম করিন্থিয়ানস ৯:১৬)| |
এটা হল প্রেরিত পৌলের বাক্য। তিনি খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করাটাকে বাধ্যতামূলক ভাবে অনুভব করেছিলেন। আর তিনি তার পরিচর্যা কাজের সবসময়ে সুসমাচার প্রচার করে গেছেন। ম্যাথুউ হেনরী বলেন, “যারা এই পরিচর্যা কাজের জন্য মন্ডলীর অফিসে নিজেদের আলাদা করে রেখেছেন তারা এই তত্ত্বাবধানে সুসমাচার প্রচার করার জন্য দায়িত্বশীল। যদি তারা তা না করেন তবে তাদের ধিক্।” আর বেশী ব্যাখা না করে, আমি সরাসরি সংবাদে ফিরে যাব। অনেক মানুষ আমাকে অভিযোগ জানিয়েছেন যে আজকাল প্রচারের খুব অভাব রয়েছে। তারা আমাকে বলেছেন যে তাদের মন্ডলীতে তারা কখনও খ্রীষ্টের সমুদয় সুসমাচারকে শোনেননি| তারা আমাকে এই কথাও বলেছেন প্রচারকেরা কেন ক্রুশের ওপর খ্রীষ্টের উদ্ধারকারী কার্য্যের বিষয়ে সংবাদ প্রদান করেন না। আর আমি বেশ গভীর চিন্তা করে এই প্রশ্নটিকে দেখতে চেয়েছি - যে কেন এত অল্প সংখ্যক পালক সেই সুসমাচারকে প্রচার করছেন? আমি নিজে স্থানীয় কোন মন্ডলীর পালকদের বহু বৎসর সুসমাচারের সংবাদ প্রচার করতে শুনিনি! আমার মনে হয় সেখানে অনেক কারণ রয়েছে - আর তাদের মধ্যে দুটিকে আমার এই সংবাদে তুলে ধরছি। ১. প্রথম, বাইবেল ভবিষ্যবানী করে শেষ সময়ে বেশির ভাগ মন্ডলী থেকে খ্রীষ্ট রুদ্ধ হয়ে যাবেন। প্রকাশিতবাক্য ৩:১৪-২২ লাওডেসিয়ান মন্ডলীর বিষয়ে বর্ণনা করে। এটি যথার্থ ভাবে শেষ সময়ে পশ্চিমদেশের মন্ডলীর চিত্রকে তুলে ধরে। জে. এ. সেইস বলেছেন, “সংঙ্কীর্ণমনা কোন মানুষ কি আমাদের সময়ে স্বঘোষিত মণ্ডলীকে তন্ন তন্ন করে পরীক্ষা করতে পারে, আর শুনতে পারে যে আমরা সেই লাওডেসিয়ান যুগে পৌঁছই নি?” (J. A. Seiss, The Apocalypse, Zondervan Publishing House, n.d., p. 85)| ডাঃ জন এফ. ভালভুর্ড বলেন, “বর্তমান দিনের মন্ডলী...বহু দিক দিয়ে দুঃখজনক ভাবে আত্মিক দিক দিয়ে লাওডেসিয়ান মন্ডলীর ন্যায় হয়ে পড়েছে” (John F. Walvoord, Th.D., The Revelation of Jesus Christ, Moody Press, 1966, p. 95)| ডাঃ লেহমান স্ট্রাউস বলেন, “শেষ লাওডেসিয়ান মন্ডলীর বেশীর ভাগ অংশ খ্রীষ্টের বিষয়ে দাবী করে না...খ্রীষ্টিয়ান জগতের ধ্বংস দৃঢ় ভাবে নিশ্চিত হয়েছে। শেষ সময়ে প্রতিরক্ষাকারী মন্ডলীকে ইহা যেন বমি করে দিয়েছে” (Lehman Strauss, D.D., The Book of Revelation, Loizeaux Brothers, 1982 edition, pp. 104,105)| ডাঃ জে. ভার্ণন ম্যাকগী বলেছেন, “আমরা লাওডেসিয়ান মন্ডলীর সময়ে বসবাস করছি... আমরা যাদের সর্ব মহান-ভাবে ভিত্তিমূলক রক্ষণশীল মন্ডলী বলে জানি তাদের অবস্থা এইরূপ...আমার মতামত এই দিক দিয়ে (খ্রীষ্ট) যদি বর্তমান সময়ে অনেক মন্ডলীর সঙ্গে কথা বলেন, তবে তিনি বলবেন, ‘তুমি আমার পেটের অসুখ ধরিয়ে দিয়েছ...তুমি বল যে আমাকে তুমি ভালোবাসো। তুমি মুখে এটা বলে থাক, কিন্তু অর্থে তা প্রকাশ কর না’...আমার বন্ধু, আজকে আমরা লাওডেসিয়ান মণ্ডলীর যুগে বসবাস করছি...এটা হল সেই মন্ডলী যার বিষয়ে স্টেনলী হাই এই বিষয়ে বলার সময়ে বলেন: আমি যে পাপী এই কথাটা মন্ডলী আমাকে বলতে ব্যর্থ হয়েছে। কেবলমাত্র যীশুখ্রীষ্টের মধ্যেই যে উদ্ধার রয়েছে এই বিষয়টা উৎসর্গ করাতে মন্ডলী ব্যার্থ হয়ে গিয়েছে। পাপের জন্য যে জঘন্য পরিণাম, নরকের অনন্তকালীন যন্ত্রণা, এবং যীশু খ্রীষ্টই যে একমাত্র ব্যক্তি উদ্ধার করার জন্য এই কথা জানাতে মন্ডলী ব্যর্থ” (J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, 1983, Thomas Nelson Publishers, volume V, pp. 922, 923, 925, 924; notes on Revelation 3:14-19; Stanley H. High was a senior editor of The Reader’s Digest and a Christian author. The above statement by Mr. High appeared in August, 1947 in Time Magazine)| আমাদের সময়ে লাওডেসিয়ান মন্ডলীর মধ্যে খ্রীষ্ট কোথায় ছিলেন? এই বিষয়ে প্রকাশিত বাক্য ৩:২০ থেকে বর্ণনা করা হয়েছে, “দেখ, আমি দরজায় দাঁড়াইয়া আছি, এবং আঘাত করিতেছি: কোন মনুষ্য যদি আমার রব শোনে, ও দ্বার খুলিয়া দেয়, তবে আমি তাহার কাছে প্রবেশ করিব, ও তাহার সহিত ভোজন করিব, এবং সেও আমার সহিত ভোজন করিবে” (প্রকাশিত বাক্য ৩:২০)| লাওডেসিয়ান সময়ে খ্রীষ্ট তাঁর মন্ডলী থেকে রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বাইরে দাঁড়িয়ে, মন্ডলীর দরজায় আঘাত করছেন, কেননা তাঁকে রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে! ডাঃ চার্লস সি. রাইরী বলেন, “এটা কতটাই অবিশ্বসনীয় বিষয় যে খ্রীষ্ট তাঁর নিজের মন্ডলীর বাইরে রুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন!” (Charles C. Ryrie, Th.D., Ph.D., The Ryrie Study Bible, Moody Press, 1978 edition, p. 1900; note on Revelation 3:20)| এখানে লক্ষ্য করবেন প্রকাশিত বাক্য ৩:২০ পদে এমন লেখা নেই যে খ্রীষ্ট মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করছেন। ডাঃ রাইরী পর্যবেক্ষন করেছেন, তাঁকে মন্ডলীর বাইরে রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, কিন্তু মানুষের হৃদয়ের বাইরে নয়। এই বিষয়টাই প্রকাশিত বাক্য ৩:২০ পদে বলেছে। এই বিভাগে যে বিষয় বস্তু সেখানে ইহা অত্যন্ত পরিষ্কার, যা এই শব্দের দ্বারা সমাপ্ত হচ্ছে, “যার কান রয়েছে, তাকে শুনতে দাও যে আত্মা মন্ডলীগণকে কি বলছে।” সুতরাং আমাদের বিস্মিত হওয়ার প্রয়োজন নেই কেননা খ্রীষ্টের সুসমাচারের বিষয়ে প্রচার যেন খুবই সামান্য ছিল শেষ সময়ে, এই লাওডেসিয়ান সময়ে! ডাঃ মাইকেল হরটন অন্তর্দৃষ্টিমূলক একটি বই লিখেছেন, খ্রীষ্টবিহীন খ্রীষ্ট সম্বন্ধে। তিনি বলেছেন আমাদের প্রায় মন্ডলী সমূহ বরং “স্বকীয় সাহায্যের” বিষয়ে সংবাদ জ্ঞাপন করছে, নাকি খ্রীষ্টের সুসমাচারের থেকে। তাঁর নির্দেশকে প্রমাণ করার প্রতি তিনি একটি ব্যাপটিস্ট মন্ডলীর আলোচ্য বিষয়কে তুলে ধরেন: “নিজের বিষয়ে কেমন ভাবে ভালো অনুভব করতে হয়” সেই বিষয়ে আমি উপসংহার টানতে চাই যে প্রথম যুক্তি হিসেবে কেননা খ্রীষ্টের কার্য্যবলীর উপরে এতো কম সুসমাচারের কারণ - ক্রুশের উপরে তাঁর মৃত্যু, প্রায়শ্চিত্তকারী তাঁর সেই রক্ত, তাঁর পুনরুত্থান, তাঁর দ্বিতীয় আগমন, ইত্যাদি বিষয়ে - আমরা কি লাওডেসিয়ানের মতো স্বমত ত্যাগের যুগে বসবাস করছি এই শেষ সময়ে, বাইবেলের মধ্যে যে ভাবে ভবিষ্যবাণী করা হয়েছে সেই মতো। ডাঃ ম্যাকগী বলেছেন, লাওডেসিয়ান মন্ডলীকে প্রভু যীশু বলেছেন, “এই রূপে তুমি ঈষদুষ্ণ, এবং না তপ্ত না শীতল, এই জন্য নিজ মুখ হইতে তোমাকে বমন করিতে উদ্যত হইয়াছি” (v. 16)| এটাই হল স্বপক্ষত্যাগী মন্ডলী যারা খ্রীষ্টিয়ান বলে নিজেদের সাক্ষ্য দেয় কিন্তু তাদের মধ্যে সত্যতার অভাব রয়েছে। (McGee, ibid., p. 926)| ২য় টিমোথি চতুর্থ অধ্যায়ে তাঁর সেই মহান ভাববাদীমূলক সংবাদে প্রেরিত পৌল বলেছেন, “কেননা এমন সময় আসিবে যে সময়ে লোকেরা নিরাময় শিক্ষা সহ্য করিবেনা; আপন আপন অভিলাষ অনুসারে আপনাদের জন্য রাশি রাশি গুরু ধরিবে, কিন্তু কান চুলকানি বিশিষ্ট হইয়া; এবং সত্য হইতে কান ফিরাইয়া, গল্পের দিকে বিপথে যাইবে। কিন্তু তুমি সর্ব বিষয় প্রত্যক্ষ কর, দুঃখভোগ স্বীকার কর, সুসমাচার প্রচারকের কার্য কর, তোমার পরিচর্যা সম্পূর্ণ সম্পন্ন কর” (২য় টিমোথি ৪:৩-৫)| এই কথা বলার পরে, “তাহারা সত্য হইতে কান ফিরাইয়া লইবে,” তিনি বলেন, “তোমরা সুসমাচার প্রচারের কার্য্য কর।” আর কোন কিছুরই প্রয়োজন নেই যা বলিষ্ঠ, পাণ্ডিত্যে পূর্ণ সুসমাচারমূলক সংবাদের মতো, যেমন স্পারজিউন যেভাবে প্রচার করেছিলেন সেই হাজার সংখ্যকের মতো ঊনবিংশতিতম শতাব্দীতে! ওহ, এই নিদারুণ হতাশময় সময়ে কতই না এই প্রজন্মের কাছে সেই রকম প্রচারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে! যদি আমেরিকার অন্যান্য প্রত্যেকটি প্রচারক খ্রীষ্টিয়ানদের কাছে একটু একটু করে পদ-থেকে-পদ অনুযায়ী পাঠ্যক্রম প্রদান করে তবে আমার কিছু যায় আসে না! তারা কি করে তাতে আমার কিছু যায় আসে না, আমি ক্রমাগত ভাবে আমার প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করবো! “ধিক্ আমাকে, যদি আমি সুসমাচার প্রচার না করি!” (১ম করিন্থিয়ানস ৯:১৬)| স্বর্গের না দেখা কাহিনী বলতে আমি ভালোবাসি, “ধিক্ আমাকে, যদি আমি সুসমাচার প্রচার না করি!” (১ম করিন্থিয়ানস ৯:১৬)| ২. দ্বিতীয়, “পাপীর প্রার্থনা” খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচারকে অপ্রচলিত, পুরাতন রীতির এবং অপ্রয়োজনীয় করে তুলেছে - এই কথাই “আধুনিক” প্রচারকেরা বলেন! লোকেদের বলার জন্য আপনার যা কিছু করণীয় যে তারা “পাপীর প্রার্থনা” বলে তবে সুসমাচার প্রচার করার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। “পাপীর প্রার্থনা” উপর “আধুনিক” সংবাদের উপরে ভরসা করে খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচারের বিষয়টা এখন বদল যোগ্য হয়ে উঠেছে! আপনি যদি মনে করেন ইহা অতিরঞ্জিতকর বিষয়, তবে ১৯৯৩ সালে জ্যাক হাইলিস যা লিখেছেন তা শুনুন, প্রেরিত বইয়েতে নতুন নিয়মের মন্ডলী ছিল আত্মা-জয়কারী মন্ডলী। বেশ কিছু বৎসর যাবৎ আমরা আত্মা জয়কারীকে বদলী করে নিয়েছি সুসমাচার প্রচারের প্রতি, আর বহু শতাব্দী কাল যাবৎ, এটাই সুসমাচার প্রচারকারী মন্ডলীতে এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে রয়েছে| তিনি যা উল্লেখ করেছেন তা একদম পরিষ্কার, তাই না? তিনি বলেছেন যে “প্রতিশ্রুতিবদ্ধ” মন্ডলী আর সুসমাচার প্রচারকারী উপদেশে লেগে থাকে না। মন্ডলীর লোকেরা বাইরে যায় আর হারানো লোকদের খুঁজে বার করে “পাপীর প্রার্থনা” উচ্চারণ করায় আর এরপরে তাদের মণ্ডলীর মধ্যে নিয়ে আসে ও “মন্ডলীর পথে অংশগ্রহণ করাতে” এগিয়ে নিয়ে চলে। তিনি আবার এটাও বলেছেন যে নুতন নিয়মের মন্ডলীও এই একই বিষয় করেছেন (ibid., p.140)| আমি দেখতে চাই যে কেউ যেন প্রেরিত বই থেকে এটাকে প্রমাণ করে! প্রতিটি সংবাদ বা উপদেশ কিন্তু প্রেরিত বই থেকে ছিল একটি সুসমাচার প্রচারমূলক উপদেশ! এটাই ঠিক, প্রতিটি সংবাদ বা উপদেশ কিন্তু প্রেরিত বই থেকে ছিল একটি সুসমাচার প্রচারমূলক উপদেশ! প্রেরিত ২০:১৮-৩৫ হল একমাত্র ব্যাতিক্রম! সেই একটি সংবাদ ইফিসিয় মন্ডলীতে “প্রাচীনবর্গের” কাছে পৌলের দ্বারা প্রদান করা হয়েছিল। আর, এমনকী সেই একটি সংবাদেই, তিনি সুসমাচারমূলক সংবাদ নিয়ে কথা বলেন যা তিনি হারিয়ে যাওয়াদের কাছে প্রচার করেছিলেন, “সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন যিহুদীদের কাছে, ও গ্রীকদের কাছে, যেন তারা ঈশ্বরের প্রতি ফিরে আসে, এবং যীশুখ্রীষ্টের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে” (প্রেরিত ২০:২১)। এবং প্রেরিত বইয়েতে অন্য আরো যে সমস্ত বক্তৃতা তা ছিল সুসমাচারমূলক বক্তৃতা - এমনকী পঞ্চাশত্তমীর সময়ে পীটারের বক্তৃতা পর্যন্ত্য (প্রেরিত ২:১৪-৪০); স্যানহ্যান্ড্রিনের বা যিহুদী বিচারসভার সামনে পীটারের সংবাদ (প্রেরিত ৪:৫-১২); স্টিফেনের সংবাদ (প্ররিত ৭:১-৫৩); শামারিয়াতে ফিলিপের সংবাদ (প্রেরিত ৮:৫); মন পরিবর্তনের পরে পৌলের সংবাদ (প্রেরিত ৯:২০-২২); পরজাতীয়দের মধ্যে পীটারের সংবাদ (প্রেরিত ১০:৩৪-৪৩); পিসিডিয়ার অ্যান্টিওকে পৌলের সংবাদ (প্রেরিত ১৩:১৪-৪১); এথেন্সে পৌলের সংবাদ (প্রেরিত ১৭:২২-৩১); ইত্যাদি, ইত্যাদি। আমরা আবার এটাও দেখি প্রেরিত যেমন জনসম্মুখে তেমনি বাড়িতে বাড়িতেও প্রচার করেন (প্রেরিত ২০:২০-২১)। প্রেরিত বই আমাদের বলে যে প্রেরিতেরা মন্দিরে ও বিভিন্ন বাড়িতে সুসমাচার বিষয়ক সংবাদ প্রচার করতেন। আমাদের এ কথাও বলা হয়েছে যে তারা “যীশুর নামে প্রচার করা থেকে তাদের বিরত থাকতে বলা হয়েছিল।” (প্রেরিত ৫:৪২)। সুতরাং জ্যাক হাইলিস সম্পূর্ণরূপে ভুল যখন তিনি লিখেছিলেন “প্রেরিত বইয়েতে নূতন নিয়ম মন্ডলী” সুসমাচার মূলক প্রচারের ধারে গঠিত নয় (Hyles, ibid., p.140)| আর জ্যাক হাইলিস এই বিষয়েও সম্পূর্নভাবে ভুল ছিলেন যখন তিনি বলেছিলেন “ভাল মন্ডলীর” পালকেরা সুসমাচারমূলক প্রচার থেকে ঘুরে “সদাপ্রভুর দিনে খ্রীষ্টিয়ান লোকেদের প্রতি” কথা বলছেন (Hyles, ibid., p. 141)| কিন্তু হাইলিসের উক্তিতে অন্য আরো একটি বিষয় যেটা কিনা খুবই চিত্তাকর্ষক যেটা অত্যন্ত পরিষ্কার ভাবে দেখায় যে “পাপীর প্রার্থনা” সুসমাচারমূলক প্রচারে প্রতিস্থাপিত হয়েছে! লোকেদের চারপাশে গিয়ে লোকেদের “পাপীর প্রার্থনায়” অংশ গ্রহণ করানোটা সম্পূর্ণ ভাবে সুসমাচার প্রচারকে অতীতের একটা বিষয়, যার আজকাল প্রয়োজন নেই, বলে উল্লেখ করেন। জ্যাক হাইলিস যেমন ভাবে বলেছেন, “এই সমস্ত বৎসর গুলি ধরে আমরা আত্মা-জয়কারী বিষয়কে রূপান্তর করেছি [অর্থাৎ লোকেদের ‘পাপীর প্রার্থনায়’ অংশগ্রহণ করিয়েছি] সুসমাচারের পথে”(Hyles, ibid., p. 140) - আর হাইলিস নিজেও বলেছেন যে এটা ভুল! হাইলিস একমাত্র ব্যাক্তি ছিলেন না যিনি এই বিষয় শিখিয়েছেন। এটা খুবই সহজ যে মানুষ পাবার জন্য বলে “লোকেরা যেন তাদের হাত তোলে” - বা উচ্চারণ করে “পাপীর প্রার্থনা”! খ্রীষ্টের সমস্ত উপদেশের বিষয়ে প্রচার করতে গিয়ে কেন এত সমস্যা নেওয়া দরকার? জ্যাক হাইলিস যে ভাবে এটাকে উল্লেখ করেছেন - “প্রভুর দিনে খ্রীষ্টিয়ান লোকেদের কাছে” শুধুমাত্র কেন শিক্ষা দেব না? সুতরাং আজকের দিনে জন ম্যাক আর্থার থেকে জোয়েল অস্টিন পর্যন্ত প্রত্যেকেই “প্রভুর দিনে খ্রীষ্টিয়ান লোকেদের” শিক্ষা প্রদান করেন। আর এই ভাবেই, সেই তথাকথিত “পাপীর প্রার্থনা” আমাদের মন্ডলীতে সুসমাচার প্রচারকে নষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু আমি এখনও পর্যন্ত প্রেরিত পৌলের সঙ্গে বলবো, “ধিক আমাকে, যদি আমি সুসমাচার প্রচার না করি!” (১ম করিন্থিয়ানস ৯:১৬)| আমি সবে মাত্র থমাস উইলিয়ামসন নামে এক ব্যাক্তির প্ররোচিতকর চিন্তার বিষয়ে এক উক্তি পড়েছি। তিনি বলেছেন, হতে পারে আমি হয়তো কিছু অনুভব করতে ব্যর্থ হয়েছি, কিন্তু নুতন নিয়মের অন্য কোন দৃষ্টান্তের বিষয়ে আমি চিন্তা করতে পারছি না যেখানে কোন খ্রীষ্টিয়ান একজন অপরিত্রাণ প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে এই কথা বলছেন “আমার বলার পরে পরে পুনরুক্তি করেন এই প্রার্থনার শব্দগুলো, অথবা আপনি যদি জোরে প্রার্থনা করতে লজ্জা অনুভব করছেন, তবে আমার পরে পরে নীরবে নিজের মাথা নত করে আমি যা বলি তা উচ্চারণ করুন, আর তাহলেই আপনি উদ্ধার লাভ করবেন” (Thomas Williamson, “Northern Landmark Missionary Baptist,” December, 2013, page 2). আমি মিঃ উইলিয়ামসনকে জানি না, বা তিনি অন্য কিছু বিশ্বাস করেন কী না তাও জানি না| কিন্তু তিনি যে বিষয়ে বলেছেন তা যথার্থ, সুদূরপ্রসারী এবং কঠিন। নুতন নিয়মের কোন জায়গাতেই কোন ব্যাক্তি “পাপীর প্রার্থনা” বলে হারানো বাক্তিকে প্রার্থনার দ্বারা প্রভুতে পরিচালিত করেনি! এটা হল এক নুতন প্রক্রিয়া - যা বাইবেলে কোন জায়গাতে পাওয়া যায় না! আর এটা এক বিপজ্জনক প্রক্রিয়া কেননা এটি সুসমাচার প্রচারকে অপ্রয়োজনীয় করে তোলে – যেমন আমরা আজকে বহু মন্ডলীতে দেখতে পাই! আমার সহযোগী, ডাঃ ক্রিসটোফার কাগান, এবং আমি কমপিউটারে একদিন সন্ধ্যার সময় জোয়েল অস্টিনকে দেখলাম। কি ভাবে সুখী থাকতে হয় সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্তভাবে তিনি স্ব-কীয় সাহায্যের বিষয়ে বেশ কিছু কথা বলেন। তিনি বাইবেল থেকে এক বা দুটি পদ উল্লেখ করলেন, কিন্তু তিনি কোন সময়ে খ্রীষ্টের সুসমাচারের বিষয় উল্লেখ করেন নি - ক্রুশের উপর খ্রীষ্টের প্রতিকম্পনশীল মৃত্যুর বিষয়ে একটি শব্দও বলেননি - খ্রীষ্টের রক্ত যে পাপকে ধুয়ে দিতে পারে সেই কথাও উল্লেখ করেন নি - খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের ব্যাপারে একটি শব্দও তিনি বলেন নি - কোন ভাবেই সুসমাচারের প্রতি জোর দেন নি। কিন্তু এরপরে, তাঁর কথার শেষের দিকে - তিনি যা বলেছেন তা শব্দ-থেকে-শব্দ আমি লিখছি - জোয়েল অস্টিন বলেছেন, যীশুকে আপনার জীবনে প্রভু রূপে একটি সুযোগ না দিয়ে আমরা কোন সময়ে আমাদের সম্প্রচারকে বন্ধ করতে পারি না। আপনি কি আমার সঙ্গে এই প্রার্থনা করবেন? কেবল বলুন, “প্রভু যীশু, আমি আমার পাপের জন্য অনুতপ্ত। আমার হৃদয়ে এস। তোমাকে আমি আমার প্রভু ও পরিত্রাতা করেছি|” বন্ধুগণ, আপনি যদি এই সাধারণ প্রার্থনাটি করেন, তবে আমরা বিশ্বাস করি আপনি নুতন জন্ম লাভ করেছেন। তিনি হয়তো বিশ্বাস করতে পারেন যে তারা “নুতন জন্ম” লাভ করেছে এই বিষয়ে, কিন্তু আমি করি না! সেই প্রার্থনা উচ্চারণ করে কেউই “নুতন জন্মলাভ” করতে পারে না - কেউই নয়! কি ভাবে তারা নূতন জন্ম লাভ করবে? সেখানে তো এই প্রার্থনায় কোন সুসমাচার ছিল না - মোটেই নয়! যেহেতু তার উপদেশে আর কোন সুসমাচার নেই, তাই মিঃ অস্টিন খ্রীষ্টবিহীন সংবাদ দিলেন আর “পাপীর প্রার্থনা” করলেন কোন সুসমাচার না করেই! পাপের দণ্ড মিটিয়ে দেওয়ার প্রতি ক্রুশের উপরে যীশুর মৃত্যুর বিষয়ে কোন উল্লেখই সেখানে নেই - যেটা কিনা সুসমাচারের মূল কেন্দ্রবিন্দু। খ্রীষ্টের রক্ত যে পাপ ধৌত করে দিতে পারে তার উল্লেখও নেই। মৃত্যু থেকে শারীরিক পুনরুত্থানের কোনও উল্লেখও সেখানে নেই। অন্য ভাবে বলা যায়, শুভ সংবাদের কোন উল্লেখই সেখানে নেই (১ম করিন্থীয় ১৫:১-৪)। দ্রুত প্রার্থনার মধ্যে এটা হল এক ভ্রান্ত সুসমাচার – খ্রীষ্টের সুসমাচার নয়! তাই, অস্টিন যেটা প্রচার করেন সেটা কে প্রেরিত পৌল বলে থাকেন, “অন্য প্রকার সুসমাচার,” এটা খ্রীষ্টের সুসমাচার নয় (গালাতীয় ১:৬,৭)। কিন্তু তবুও আমি বলি, “ধিক্ আমাকে, যদি আমি সুসমাচার প্রচার না করি!” (১ম করিন্থিয়ানস ৯:১৬)| আমি পছন্দ করি সেই কাহিনী বলতে, যেটা বার বার বলতে ভালো লাগে মনুষ্য জাতি পাপের শৃঙ্খলে, শয়তানের নিয়ন্ত্রণের দ্বারা বদ্ধ হয়ে রয়েছে, যে কিনা “আকাশের কর্ত্তৃত্বাধিপতির ব্যাক্তিত্ত্ব” (ইফিসিয় ২:২)। প্রত্যেকেই পাপের পরাক্রমের বশীভূত, “এই জগতে তারা প্রত্যাশাবিহীন, খ্রীষ্টবিহীন অবস্থায় রয়েছে” (ইফিসিয় ২:১২)। কিন্তু “খ্রীষ্ট যীশু জগতে আসিয়াছেন পাপীদের উদ্ধার করিবার জন্য” (১ম টিমোথি ১:১৫)। যীশু স্বর্গ থেকে নেমে এসে আমাদের মধ্যে পাপহীন অবস্থায় বসবাস করলেন, যিনি হলে পরিশুদ্ধ ঈশ্বরের পুত্র - ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র। কিন্তু সেই সাংঘাতিক রাত্রে তাঁর ক্রুশারোপনের আগে, গ্যেৎশিমানীর সেই অন্ধকার উদ্যানে, ঈশ্বর “তাঁর শরীরের মধ্যে জগতের সমস্ত লোকের পাপের বোঝাকে চাপিয়ে দিলেন” (১ম পীটার ২:২৪)। আপনার পাপের বোঝায় যীশু সংগ্রাম করতে থাকলেন যতক্ষণ পর্যন্ত না “তাঁর ঘাম রক্তের সহিত ঘনীভুত ফোঁটার ন্যায় মাটিতে পড়তে থাকলো” (লিউক ২২:৪৪)। মন্দিরের মহাযাজক তাঁর কাছে এসে মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করলেন। তারা তাঁকে মহাযাজকের কাছে টেনে নিয়ে গেল। তারা তাঁর চোখ বেধে তাঁর মুখে ঘুষি মারলো, এবং অন্যরা তাঁর দাড়িতে টান মেরে মাংসশুদ্ধ উপড়ে ফেললো। তারা তাঁকে রোমের গভর্নর, পন্টিয়াস পীলাটের কাছে নিয়ে গেল। তিনি তাঁর সৈন্যদের দিয়ে যীশুকে বেত্রাঘাত করালেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না মৃতপ্রায় হয়ে উঠলেন, তাঁর শরীরের রক্তে মাটি ভিজে গেল। তারা তাঁর মুখে থুতু ছেটালো আর তাঁর মাথায় দন্ড দিয়ে জোরে আঘাত করলো। তারা তাঁকে জোর করলো যেন তিনি তাঁর ক্রুশকে রাস্তার উপর দিয়ে কাঁধে করে বহন করেন, আর অন্য লোকেরা তাঁর প্রতি বিদ্রূপ চিৎকার করতে থাকলো। তারা যখন তাঁকে মৃত্যুদন্ডের জায়গাতে নিয়ে এলো, তখন সেখানে তারা তাঁর হাতে ও পায়ে পেরেক মারে ও ক্রুশে তুলে দেয়। তিনি ঝুলে রইলেন, সেই ক্রুশের উপরে নগ্ন অবস্থায়, আর তাঁকে দেখে লোকেরা উপহাস ও বিদ্রূপ করতে থাকলো। ছয় ঘন্টা ক্রুশের উপরে দুঃখ যন্ত্রণা ভোগ করার পরে, তিনি চিৎকার করে উঠলেন, “ইহা সমাপ্ত হইল” (জন ১৯:৩০), আর তিনি মাথা নত করে নিজের আত্মাকে উৎসর্গ করলেন - তিনি মারা গেলেন। “কিন্তু একজন সৈন্য তাঁর বর্শা দিয়ে যীশুর বক্ষদেশ বিদীর্ণ করলো, আর সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে রক্ত ও জল বের হয়ে এল” (জন ১৯:৩৪)। আরমাথিয়া’র যোসেফ বলে এক ব্যাক্তি যীশুর সেই মৃত শরীরকে নিয়ে, শণের কাপড় দিয়ে শরীরের সমস্ত ক্ষতকে জড়িয়ে দিলেন, আর কবরের মধ্যে তাঁকে রেখে দিলেন। সেই কবরের মুখে তারা এক প্রকাণ্ড পাথর দিয়ে তাঁকে ঢাকলেন, তাতে শীলমোহর দিয়ে দিলেন, ও সঙ্গে পাহারার জন্য রোমীয় সেনা বাহিনী রেখে দিলেন। কিন্তু ইষ্টারের রবিবারে অতি প্রত্যুষে, প্রভু যীশু খ্রীষ্ট শারীরিক ভাবে, মাংস ও অস্থি সহকারে, মৃত্যু থেকে ফিরে এলেন! আমার বন্ধুরা, যীশু এই সমস্ত কিছু আপনার জন্যই করেছিলেন। ক্রুশের উপরে তিনি মৃত্যু বরণ করলেন যেন আপনার পাপের মূল্য তিনি মিটিয়ে দেন। আপনার পাপের শাস্তি আপনারই পাওনা ছিল - কিন্তু আপনার প্রতিকম্পন হিসেবে যীশু যন্ত্রণা ও মৃত্যুদণ্ড ভোগ করলেন। বাইবেল শিক্ষা দেয় যে পাপ থেকে আপনি পরিত্রাণ লাভ করবেন কেবল মাত্র আপনার জায়গাতে যীশুর প্রতিকম্পনীয় মৃত্যুর জন্যই। আপনার পাপ থেকে আপনাকে পরিষ্কার করার জন্যই তিনি রক্ত দিয়েছেন। আর মৃত্যু থেকে বা কবর থেকে তিনি শারীরিক ভাবে জীবিত হয়েছেন যেন আপনাকে অনন্ত জীবন প্রদান করেন! যেহেতু তিনি আপনাকে প্রেম করেন তাই যীশু এই সমস্ত ব্যাথা ও দুঃখভোগের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন! যীশুর কাছে আসুন। তিনি আপনাকে এতটাই প্রেম করেন যে তিনি আপনাকে উদ্ধার করতে পারেন - এই মূহুর্তে! আপনার করণীয় তাহলে কি রয়েছে? ঈশ্বর আপনাকে যেটা বলতে চাইছেন আপনি মন পরিবর্তন করে অনুতপ্ত হোন আর তাঁর পুত্র যীশুতে নির্ভর করুন। আপনি যখন অনুতপ্ত হয়ে যীশুতে নির্ভর করেন তখন আপনি পাপ থেকে উদ্ধার লাভ করেন, সেই কবর, ও সেই নরক থেকে মুক্তি লাভ করেন! এখনই যীশুতে নির্ভর করুন আর তিনি আপনাকে সমস্ত পাপ থেকে শুচি করবেন তাঁর বহুমূল্য রক্তের দ্বারা! আমি পছন্দ করি সেই কাহিনী বলতে, তাদের জন্য যারা মনে করে ইহা উত্তম “ধিক আমাকে, যদি আমি সুসমাচার প্রচার না করি!” (১ম করিন্থিয়ানস ৯:১৬)| আপনি যদি যীশুর দ্বারা আপনার পাপ থেকে উদ্ধার লাভ করার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান, তবে অনুগ্রহ করে আপনার আসন ত্যাগ করে পিছনে অডিটরিয়ামে চলে আসুন। মিঃ জন স্যামুয়েল কাগান আপনাকে আরো একটি কক্ষে নিয়ে যাবেন যেখানে আপনি প্রার্থনা ও কথা বলতে পারেন। আপনি যদি খ্রীষ্টিয়ান হওয়ার জন্য উৎসুক হন, তবে এখনই এই কক্ষের পিছনে হেঁটে যান। ডাঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে প্রার্থনা করুন যেন কোন একজন যীশুতে নির্ভর করতে পারে। আমেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মি. আবেল প্রধুম্মে: প্রকাশিত বাক্য ৩:১৪-২২ | |
খসড়া চিত্র কেন আজ সুসমাচার এত কম প্রচারিত হচ্ছে? WHY SO LITTLE GOSPEL PREACHING TODAY? লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি. “ধিক্ আমাকে, যদি আমি সুসমাচারপ্রচার না করি!” (১ম করিন্থিয়ানস ৯:১৬)| ১. প্রথম, বাইবেল ভবিষ্যবানী করে খ্রীষ্ট রুদ্ধ হয়ে যাবে বেশির ভাগ মন্ডলী থেকে শেষ সময়ে, প্রকাশিত বাক্য ৩:২০; ২য় টিমোথি ৪:৩-৫ | ২. দ্বিতীয়, “পাপীর প্রার্থনা” খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচারকে অপ্রচলিত, পুরাতন রীতির এবং অপ্রয়োজনীয় করে তুলেছে – এই কথাই “আধুনিক” প্রচারকেরা বলেন! প্রেরিত ২০:২১; ২:১৪-৪০; ৪:৫-১২; ৭:১-৫৩; ৮:৫; প্রেরিত ৯:২০-২২; ১০:৩৪-৪৩; ১৩:১৪-৪১; ১৭:২২-৩১; ২০:২০-২১; ৫:৪২; ১ম করিনথিয়ানস ১৫:১-৪; গালাসিয়ানস ১:৬,৭; ইফিসিয়ানস ২:২,১২; ১ম টিমোথি ১:১৫; ১ম পীটার ২:২৪; লিউক ২২:৪৪;
|