এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
শেষ দিনে শয়তানের তীব্র ক্রোধTHE WRATH OF SATAN IN THE LAST DAYS লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জে আর। ২০১৩ সালের, ৮ই ডিসেম্বর, সকালবেলায় সদাপ্রভুর একটি দিনে লস এঞ্জেলসের ব্যাপটিষ্ট “কেননা দিয়াবল তোমাদের নিকট নামিয়া গিয়াছে, সে অতিশয় রাগান্বিত, কেননা সে জানে তাহার কাল সংক্ষিপ্ত” (প্রকাশিত বাক্য ১২:১২)। |
হ্যাঁ, আমি দিয়াবলে বিশ্বাস করি| বাইবেলে কমপক্ষে তার ১২টি নাম দেওয়া হয়েছে। তাকে বলা হয় শয়তান, সেই দিয়াবল, একমাত্র ড্রাগন, সেই সর্প, বেলজাবূব, বলিয়াল, লুসিফার, সেই অপবাদক, পরীক্ষক, এই জগতের দেব, এই যুগে অদৃশ্য শক্তির অধিপতি, এবং এই জগতের অধিপতি। আমরা যেন এই দিয়াবলের বিষয়ে কোন কৌতুক না করি, বা তার বিষয়ে যেন হালকা ভাবে কথা না বলি। তার মধ্যে মহাশক্তি রয়েছে, এমনকি সমুদয় জাতি ও দেশের থেকেও, এমনকি মানুষ যত অস্ত্র আজ পর্যন্ত তৈরী করেছে তার থেকেও তার শক্তি প্রচন্ড। সে বায়ুমন্ডলের মধ্যে কর্তৃত্ব করে, এই পৃথিবীর চারপাশের পরিবেশ মন্ডলের মধ্যে সে আধিপত্য করে। তার লক্ষ্য হলো ঈশ্বরের কাজে বাধা সৃষ্টি করা, প্রার্থনার উত্তর যাতে না আসে তার প্রতিরোধ করা, খৃষ্টের দ্বিতীয় আগমনের দেরী করে দেওয়া, পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধাচারন করা, পুর্নজাগরনকে থমকে দেওয়া, মানব জীবনকে ধ্বংস করে দেওয়া, এবং সেই সঙ্গে মনুষ্য সমাজকে নষ্ট করে দেওয়া – যাকে কি না ঈশ্বরের সর্বোচ্চ সৃষ্টি করে উন্নত করা হয়েছে। দিয়াবল হলো ভয়াবহ, প্রতিকূলবাদী, প্রাণীকুলের ঘৃণাজনক। সে নিজেকে এক ভীষন সুন্দার্যে রূপান্তর করে, ও এই জগতে তাঁর সৃষ্টিকে প্রলোভনে প্ররোচিত করে। কিন্তু সে যখন তার শিকারকে আয়্ত্ব করে নেয়, তখন সে নিজেকে অতি কুৎসিত ড্রাগনে রূপান্তরিত হয়। আমাদের পাঠ্যাংশ এমন একটা সময়ের কথা বলে, যা হলো এই যুগের শেষ সময়ের সন্ধিক্ষন, যেখানে শয়্তান আর কোনমতে ঈশ্বরের উপস্থিতিতে আসতে পারবে না, যেভাবে সে ইয়োব বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে নিজেকে ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত করেছিল। এখন এই সময় পর্যন্ত সে আসতে পারে এবং স্বর্গে ঈশ্বরের উপস্থিতিতে যেতে পারে। কিন্তু তাকে যখন চিরকাল ঈশ্বরের উপস্থিতি থেকে ছুঁড়ে ফেলা হবে, তাই সে জানে যে তার ধ্বংস বা বিপর্যয় সন্নিকট। জে. এ. সেইস্স, তার সেই ল্যান্ডমার্ক কমেন্ট্রীতে প্রকাশিত বইয়ের উপরে, এই চিত্র উল্লেখ করেন, আমরা হয়তো মনে করতে পারি যে স্বর্গে এক [ভীষন] পরাজয় তার সেই মারাত্মক বিদ্বেষকে উপশম করবে, কমপক্ষে ঈশ্বর ও তার লোকেদের বিপক্ষে অধিকতর ভাবে অন্য আরো যে কোন উদ্যোগে উৎসাহ প্রদানে বিরত করবে। কিন্তু সে তো আশাবিহীনভাবেই কলুষিত ছাড়া আর কোন কিছুই নয়, কিন্তু সম্পুর্নভাবে সেই শক্তি তার পৈশাচিক স্বভাবকে [পরাভূত] করবে। সম্পুর্নভাবে বিকৃতসাধন হওয়া থেকে আর কোন উপশম সেখানে আর নেই। আর স্বর্গ থেকে তার যে প্রত্যাখান এবং এই পৃথিবীতে তার যে আটকাবস্থা সেই বিষয়েই তাকে সম্মত করে, যেন সে হিংসার উদ্রেক করে, আর এই বিশ্ব বা জগৎ যা কোন সময়ে উপলব্ধি করেনি তার থেকেও ভয়ানক অবস্থা উৎপন্ন করে (J. A. Seiss, The Apocalypse – Lectures on the Book of Revelation, Zondervan Publishing House, no date, p.313). দিয়াবলের বিষয়ে সবচেয়ে আমি যা শিখেছি তা হলো সেই যুবক অবস্থায় আমি যখন সবচেয়ে মহান নামকরা বাইবেল পন্ডিত এবং ধর্মতত্ববিদ, ডাঃ তীমথি লীনের কাছে অধ্যয়ন করি। ডাঃ লীন ফেত থিয়োলজিক্যাল সেমিনারী থেকে দুটি মাষ্টার ডিগ্রি লাভ করেছেন। তিনি হিব্রুভাষায় পুরাতন নিয়মের উপরে পিএইচ. ডি. করেন এবং সেই সঙ্গে হিব্রু কলেজ থেকে সেই সম্পর্কিত ভাষা নিয়ে আয়ত্ব করেন এবং সেই সঙ্গে ড্রপসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ভাষা নিয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি বব জোনস বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে শিক্ষাপ্রদান করেন, ও তাল্বোট থিয়োলজিক্যাল সেমিনারি, ইল্লিনোইস, ডিয়ারফিল্ডেও শিক্ষকতা করেন। নিউ আমেরিকান স্টান্ডার্ড বাইবেলের তিনিও ছিলেন এক অনুবাদক, এবং ১৯৮০-১৯৯০ পর্যন্ত তাইওয়ানে চায়না ইভাঞ্জেলিক্যাল সেমিনারির সভাপতি – যিনি তৃতীয় ডাঃ জেমস হাডসন টেলরারের অনুসরনকারী। লস এঞ্জেলসের ফার্স্ট চাইনিজ মন্ডলীতে আমি যখন সদস্য ছিলাম, সে সময়ে প্রায় ২৩ বৎসরেরও বেশী সময় তিনি ছিলেন আমার পালক ও শিক্ষক। তিনিই আমাকে বাপত্মিস্ম দেন, এবং ১৯৭২ সালের, ২রা জুলাই আমার অভিষেকপর্বে সভাপতিত্ব করেন। ডাঃ লিন কিন্তু শুকনো ধূলোর মতো ধর্মতত্বমূলক অধ্যাপক ছিলেন না। তার পাঠ্যক্রম এবং উপদেশ সম্বলিত সংবাদ জীবন্ত ধর্মতত্বের মধ্যে পরাক্রমের সঙ্গে লোম খাড়া করার মতো শিক্ষাকে তুলে ধরে যা আমাদের রোমাঞ্চিত করে। দৃষ্টান্তস্বরূপ, ডাঃ লিন দৃঢ়তার সঙ্গেই বিশ্বাস করেন যে আমরা এক শেষ সময়ে বসবাস করছি – যাকে আমরা জেনে থাকি জগতের প্রায় শেষ প্রান্ত বলেই। তিনি যা লিখেছেন তা দেখার জন্য আপনাকে তা আর বেশী করে পড়ার দরকার নেই। দৃষ্টান্তস্বরূপ, মন্ডলীর বৃদ্ধি নামক তার বইয়েতে, তিনি বার বার এই প্রকার অনুচ্ছেদকে তুলে ধরেন “শেষ সময়ে মন্ডলীর মধ্যেও রয়েছে সেই একই ভ্রান্ত ধারনা…” (p.6); “শেষ সময়ের প্রচার বেদী” (p.11), “শেষ সময়ের বহু খ্রীষ্টীয়ান হলেন…ভীরু, ভৃতপ্রায়, আর ঈশ্বরের বাক্যের প্রতি অবিশ্বাস” (p.17); “শেষ সময়ে মন্ডলীর উচ্ছিন্নতা পালকের অভাবে নয়…” (p.21); “শেষ সময়ের মন্ডলী যেন এই বিষয়ে কমকরে তিনবার চিন্তা করে” (p.29); “শেষ সময়ে বেশ কিছু মন্ডলী উদ্বেগপ্রবণ নয়…যতদূর পর্যন্ত অর্থ সংগ্রহ করা যায় তার পন্থা অবলম্বন” (pp.48,49); “শেষ সময়ের মন্ডলী ভুল ও নির্ভুলের মধ্যে প্রভেদ আনতে উপেক্ষা করে” (p.50); “শেষ সময়ে প্রার্থনা সভার প্রতি মন্ডলী কেন এতটা উদাসীনতা প্রদর্শন করে তার দুটি যুক্তি” (p.95)| (এখানের সমস্ত উদ্ধৃতি তীমথি লীনের, Ph.D., The Secret of Church Growth, FCBC, 1992)| আপনি বলতে পারেন যে ডাঃ লীন ক্রমাগতভাবে সেই বিষয় নিয়েই চিন্তা করেছেন যে আমরা খ্রীষ্টীয়ান যুগের একেবারে শেষ অবস্থায় বসবাস করছি, যা প্রায় শেষ সময়ের শেষ প্রান্তে| আরো একটা বিষয় যেটার উপর ডাঃ লীন ক্রমাগতভাবে জোর দেন তা হলো শয়্তান এবং দিয়াবলের বাস্তবতা| সংবাদ এবং বাইবেল অধ্যয়নের মধ্যে এই দুটি আলোচ্য বিষয় বারবার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে – আমরা বসবাস করছি এই শেষ সময়ে, আর দিয়াবল ও শয়্তান আমাদের বিরুদ্ধাচারন করছে। আপনি হয়তো মনে করবেন যে সেই দুটি নেতিবাচক বিষয় মন্ডলীকে নিরুৎসাহ এবং অবসাদগ্রস্থ করবে বা দমিয়ে দেবে| কিন্তু এর প্রকৃত উল্টোটাই হল সত্য বিষয়! তাঁর মন্ডলী এক বিস্ময়কর নিরুৎসাহতা উপলব্ধি করেছে। তাঁর মন্ডলী কেবল অল্প সময়ের মধ্যেই ২,০০০ লোকদের সংযুক্ত করেছে| আর তার প্রচার ও শিক্ষার সময়ে ডাঃ লীন প্রায় সময়ে আমাদের পাঠ্যাংশকেই উদ্ধৃতি করেন, “কেননা দিয়াবল তোমাদের নিকট নামিয়া গিয়াছে, সে অতিশয় রাগান্বিত, কেননা সে জানে তাহার কাল সংক্ষিপ্ত” (প্রকাশিত বাক্য ১২:১২)। সেই পদের উপরে উদ্ধৃতি করতে গিয়ে, ডাঃ লীন বলেন, শয়তান সম্পুর্ণভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছে কেবলমাত্র যে পন্থায় সে তার মন্দ জীবনকে দীর্ঘায়িত করতে পারে তা হলো খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনকে বিলম্বিত করান…আর এই কারনেই, সে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে চেষ্টা করে চলেছে যেন লোকেদের যীশুর উপরে বিশ্বাস করা থেকে বিরত রাখতে পারে – সেইজন্য সে ঈশ্বরের রাজ্যের লোকসংখ্যা উৎপন্ন করা থেকে দূরে রাখছে…এর পরেই শয়্তান খ্রীষ্টীয়ানদের মধ্যে বিবাদের মধ্য দিয়ে তার দ্বিতীয় সত্ত্বা বা শক্তিকে জারি রেখেছে, যাতে তারা, প্রার্থনার প্রচেষ্টা ও সময়কে ব্যবহার করতে না পারে… সুতরাং, আমাদের প্রভুর দ্বিতীয় আগমন যত সন্নিকটবর্তী, তখন ততোটা বেশী করেই প্রার্থনার বিরুদ্ধে চাপটাও ততটাই প্রবল! (Lin, ibid., pp. 95, 96)| বহু প্রচারক রয়েছে যারা খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের “চিহ্নকে” উপলব্ধি করতে পারেনা। কিন্তু দিয়াবল তাদের থেকেও অভিজ্ঞ। সে দেখতে পাচ্ছে ইস্রায়েল জাতি পুনরায় স্থিরীকৃত হয়েছে। মন্ডলীর মধ্যে স্বমত বা স্বপক্ষ ত্যাগের বিষয়টাকে সে দেখতে পাচ্ছে। নোহের সময়ে অবস্থানের যে পুনরুক্তি হয়েছে সেটাও সে দেখতে পাচ্ছে। সে জানে এই পৃথিবীতে ঈশ্বরের কাজকে বাধা দেওয়া ও তাঁর প্রতি বিরুদ্ধাচারন করে মন্দ কাজকে করার প্রতি তার হাতে কেবল “সামান্য সময় রয়েছে”! “কেননা দিয়াবল তোমাদের নিকট নামিয়া গিয়াছে, সে অতিশয় রাগান্বিত, কেননা সে জানে তাহার কাল সংক্ষিপ্ত” (প্রকাশিত বাক্য ১২:১২)। দিয়াবলের একটা নাম হলো “শয়্তান”। ইহার অর্থ “বিরুদ্ধাচারী” বা “প্রতিকূলবাদী”। এইভাবেই, শয়্তান ঈশ্বরের কাছে বিরুদ্ধাচারণ ঘটায়। শেষ সময়ে, যে সময়ে আমরা বসবাস করছি, সেখানে হারিয়ে যাওয়া ও উদ্ধারপ্রাপ্ত উভয়ের প্রতিই সে বিরুদ্ধাচারন করে। ১. প্রথম, যারা উদ্ধারলাভ করেছে শয়্তান তাদের প্রার্থনার বিরুদ্ধাচারন করে । ঈশ্বরের কার্যে শয়তানের বিঘ্ন ঘটাবার মুখ্য বিষয় হলো খ্রীষ্টীয়ানদের প্রার্থনা করা থেকে বিরত রাখা। ডাঃ লীন বলেছেন, “শয়্তান জানে (খ্রীষ্টীয়ানেরা না জানলেও) যে ঈশ্বরের সম্পদের যথাযথ কার্যপ্রক্রিয়া হলো প্রার্থনা…খ্রীষ্টীয়ানেরা যদি সেই সমস্ত সম্পদগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার না করে, তবে তারা আত্মিক দিক দিয়ে সম্পুর্নভাবে শূন্য হয়ে গিয়ে অসম্পুর্ন হয়ে পড়বে… সুতরাং, আমাদের প্রভুর আগমন যত সন্নিকটপ্রায়, তখন প্রার্থনার বিরুদ্ধে শয়তানের চাপও ততোটাই প্রবল” (Lin, ibid., p. 96)| প্রায় সময়ে খ্রীষ্টীয়ানেরা সকালে যখন বিছানা ছেড়ে ওঠে তখন তারা প্রায় প্রার্থনা করতে ভুলে যায়। প্রভুর প্রার্থনা করার জন্য কিন্তু খুব একটা বেশী সময় এবং সেই সঙ্গে দিনের সময়ে ঈশ্বরের সাহায্য চেয়ে নেওয়ার জন্য সময় খুব একটা বেশী লাগে না। ঈশ্বরের সাহায্য ছাড়া আমরা খুব একটা ভাল করতে পারি না। শয়তান ইহা ভালোভাবেই জানে। সুতরাং সে আপনার প্রভাতকালে প্রার্থনার বিরুদ্ধাচারন করে। এরপরেই সে দেখতে ভালোবাসে যে সারাটা দিনে আপনি কতোটাই না শক্তিহীন হয়ে পড়েছেন! “একভাবে প্রার্থনা করাটাকেও” শয়্তান বিরোধিতা করে – যার অর্থ হলো, আপনি এমন বিষয় নিয়ে প্রার্থনা করছেন তা যতক্ষন পর্যন্ত না পাচ্ছেন তার বিরোধিতা করে। বিধবার নাছোড়বান্দা উপমা শিক্ষা দেয় যে আপনার যা প্রয়োজন তা যতক্ষন পর্যন্ত না লাভ করছেন সেই বিষয়ে “ক্রমাগতভাবে প্রার্থনা” করার বিষয়ে| লূক ১৮:১ পদে যীশু যে উপমার উদ্দেশ্য তুলে ধরেছেন তা হল, “তাহাদের সর্বদাই প্রার্থনা করা উচিত, নিরুৎসাহ হওয়া উচিত নয়” – অথবা ইহাকে এইভাবে অনুবাদ করা যেতে পারে, “…তাদের হাল ছেড়ে না দিয়ে অবিরত প্রার্থনা করা দরকার।” সেই উপমা শিক্ষা দেয় যে দ্রব্য আপনার প্রয়োজন তা যতক্ষন পর্যন্ত না তিনি আপনাকে দেন ততক্ষন ঈশ্বরের কাছে আপনার যাচনা করা দরকার বা প্রার্থনা করা দরকার। সেই উপমাটি খুবই সাধারন। একজন বিধবা মহিলা এক বিচারকের কাছে এসে তার শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিকার করার প্রতি আবেদন করেন। সেই বিচারক কিছুদিনের জন্য কিছুই করেননি। কিন্তু পরিশেষে তিনি যা চেয়েছিলেন তা তাকে দিয়েছিলেন কেননা তিনি তার কাছে বারবার এসে তাকে জ্বালাতন করতেন। সেই উপমা এই কথা বলার দ্বারা শেষ হচ্ছে “যাহারা দিবারাত্রি তাঁহার কাছে রোদন করে, ঈশ্বর কি আপনার সেই মনোনীতদের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিকার করিবেন না, কেননা তিনি তাহাদের বিষয়ে দীর্ঘসহিষ্ণু” (লূক ১৮:৭)। কিন্তু সেই উপমার শেষ পদটা বলে, “আমি তোমাদিগকে বলিতেছি তিনি শীঘ্রই তাহাদের অন্যায়ের প্রতিকার করিবেন| কিন্তু মনুষ্যপুত্র যখন আসিবেন, তখন কি তিনি পৃথিবীতে বিশ্বাস পাইবেন?” (লূক ১৮:৮)| এর অর্থ এমন নয় যে খ্রীষ্ট যখন আসবেন তখন কোন বিশ্বাস থাকবে না। এর অর্থ হল যখন তারা কোন দ্রব্যের জন্য প্রার্থনা করছেন তখন প্রায় খ্রীষ্টীয়ান এই বিষয়ে হাল ছেড়ে দেয়। যে দ্রব্যের জন্য প্রার্থনা বা বিনতি করছেন তার জন্য প্রার্থনায় তারা সংগ্রাম করবে না! বিশ্বাসের মধ্যে “প্রার্থনা করাটা” তখন শেষ সমযের একটা বিরাট পাঠ্যক্রম হয়ে ওঠে। এই যুগ যখন শেষের দিকে আসন্ন, তখন ক্রমাগতভাবে প্রার্থনায় রত থাকাটা শয়তানকে তীব্রতর করে তুলবে। এটা সে এইজন্য করে যে যেন মন্ডলীকে দূর্বল করে দিতে পারে এবং যেন মনোনীতদের সর্বমোট সংখ্যা পরিত্রান লাভ করতে না পারে তার বিলম্ব ঘটায়। আর এইভাবেই, সেইসময়ে নাছোড়বান্দা প্রার্থনায় বিরুদ্ধাচারন ঘটাবার দ্বারা শয়্তান এই পৃথিবীতে তার মন্দ জীবনকে প্রলম্বিত করে! শয়্তান আমাদের প্রার্থনায় বাধা ঘটায়, আর আমাদের বহু ব্যক্তিকে দমিয়ে দেয়, এই কথা বলার দ্বারা যে, “প্রার্থনা কোন গুরুত্বপূর্ন বিষয় নয়। পালক আপনাকে বলতে থাকেন প্রার্থনা করুন, প্রার্থনা করুন ও প্রার্থনা করুন – কিন্তু আপনি আপনার সময়কে নষ্ট করে ফেলেন। আপনার প্রার্থনা সত্য সত্যই কিছুই করে না। আপনি হাল ছেড়ে দেন! প্রার্থনার জন্য আপনার সময়কে নষ্ট করবেন না”| আপনি কি কোন সময়ে এই প্রকার অনুভব করেছেন? আপনি কি কোন সময় এইভাবে চিন্তা করেছেন যে প্রার্থনা বাস্তবে কোন কিছুই করে না – এইভাবে প্রার্থনাতে সময় ব্যয় করাটা কেবলমাত্র সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয়? আপনি যদি কোন সময়ে এইভাবে তা চিন্তা করে থাকেন, তবে আপনার নিশ্চিত হওয়া দরকার যে ইহা কেবলমাত্র সেই দিয়াবল যে এই চিন্তাধারা আপনার মনের মধ্যে দিয়েছেন। বেশ কিছু দ্রব্যের জন্য প্রার্থনা করা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য শয়তান বেশ কিছু চালাকি আপনার সঙ্গে করবে। আপনার প্রার্থনা যাতে জমাট পড়ে যায় সেই বিষয়ে শয়্তান বহু সময় ব্যয় করে আপনাকে প্রতারিত করার চেষ্টা করে। ঈশ্বরের কাছ থেকে আপনার যা প্রয়োজন সেই দ্রব্য আপনি প্রাপ্ত করার আগে সেও কঠিন পরিশ্রম করে যেন আপনি প্রার্থনা করাটা বন্ধ করে দেন! আরো একটা প্রসঙ্গে, প্রেরিত পৌল এই কথা বলেছেন – “আমরা যেন শয়্তান কর্ত্তৃক প্রতারিত না হই: কেননা তাহার কল্পনা সকল আমরা অজ্ঞাত নই” (২ করিন্থীয় ২:১১)। আপনি যখন কোন একটা দ্রব্যের জন্য প্রার্থনা করছেন তখন সেই বিষয়ে যতক্ষন পর্যন্ত না আপনি হাল ছাড়ছেন তখন শয়্তান নিশ্চিতভাবেই “এক সুবিধা নেওয়ার” চেষ্টা করবে। প্রেরিত যাকোব বলেছেন, “তোমরা প্রাপ্ত হও না, কেননা তোমরা যাচনা কর না” (যাকোব ৪:২)। আর প্রায় সময়ে, এখন পর্যন্ত “তোমরা প্রাপ্ত হওনি” কারন দিয়াবল তার এক চাতুরিতার দ্বারা আপনাকে প্রতারিত করে। সে চায় আপনি যেন আশাহীন এবং অবসাদ অনুভব করেন। আপনি যতক্ষন পর্যন্ত না প্রার্থনা বন্ধ করে দেন, ততক্ষন সে আপনাকে পরীক্ষা করে ও প্রলোভন দেখায় বা আপনার প্রার্থনাকে দূর্বল করে দেয়। মনে রাখবেন, শয়্তানের কাছ থেকে আমাদের যুদ্ধে জয়ী হতে হলে খ্রীষ্টীয়ানের-প্রার্থনা হলো সবথেকে মুখ্য বিষয়। মনে রাখবেন – প্রার্থনা হলো এক যুদ্ধ ও দ্বন্দ! পুরাতন একটি সুসমাচারমূলক সঙ্গীত ইহাকে এইভাবে উল্লেখ করে, যতক্ষন পর্যন্ত না উত্তর এসেছে আপনি কি ততক্ষন প্রার্থনা করেছেন? আপনার মন্ডলীতে এইভাবে কোন সময়ে কি এই গান গাইতে শুনেছেন? আমি তো শুনিনি! খ্রীষ্টীয়ানেরা ইহা গাইতো, কিন্তু ইহা এখন স্থাপত্যশৈলীর বাইরে। “কিন্তু মনুষ্যপুত্র যখন আসিবেন, তখন কি পৃথিবীতে বিশ্বাস পাইবেন?” (লূক ১৮:৮)। এখন এটাকে লক্ষ্য করুন! দানিয়েলের দশ অধ্যায়ে আমরা পড়ি যে দানিয়েলের প্রার্থনা ঈশ্বরের দ্বারা শোনা হয়েছিল আর প্রথম বারেই তিনি সেইভাবেই প্রার্থনা করেছিলেন (দানিয়েল ১০:১২)। কিন্তু তার সেই উত্তর “কুড়ি দিনের” মধ্যে আসেনি কেননা শয়্তানের কাছ থেকে মন্দ আত্মারা সেই উত্তরের বিঘ্ন বা বাধা ঘটিয়েছিল (দানিয়েল ১০:১৩)। ঈশ্বরের কাছে তিনি যা যাচনা করেছিলেন তা যতক্ষন পর্যন্ত না তিনি লাভ করলেন ততক্ষণ দানিয়েল চায়নি যেন দিয়াবল তা বন্ধ করে দেয় আর সেইজন্য আমরা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি! প্রার্থনা নামক এই বইয়েতে ডাঃ জন. আর. রাইস একটি উত্তম ধুয়া তুলে ধরেন, প্রার্থনায় রত থাক, ২. দ্বিতীয়, যারা হারিয়ে গিয়েছে শয়তান সেই পরিত্রানের বিরোধিতা করে | “কেননা দিয়াবল তোমাদের নিকট নামিয়া গিয়াছে, সে অতিশয় রাগান্বিত, কেননা সে জানে তাহার কাল সংক্ষিপ্ত” (প্রকাশিতবাক্য ১২:১২)। আপনি যখন পরিত্রানের অন্বেষন করছেন তখন শয়্তান আপনার বিরোধিতা করে। সে চায় না আপনি যেন খ্রীষ্টীয়ান হন। আপনাকে পরিত্রান লাভ করার হাত থেকে বিরত রাখার প্রতি সে তার নিজের শক্তিতে সমস্ত কিছু করতে চাইবে। কেন সে তা করে? তার একটা কারন হলো কেননা সে হত্যাকারী। যীশু বলেছেন যে দিয়াবল “আদি হইতেই নরঘাতক” (যোহন ৮:৪৪)। লোকেদের হত্যা করাটা হল শয়তানের স্বভাব। এদন উদ্যানে সে আমাদের আদি পিতা মাতাকে হত্যা করে, তাদের সে দখলে নেয় সেই ফল খাবার যুক্তি ও প্রলোভন দেখিয়ে যেটা ঈশ্বর তাদের খেতে বারন করেছিলেন। সে হল আত্মা হত্যাকারী – আর সে চায় আপনাকেও হত্যা করতে। সে চায় আপনি যেন পুনরায় নরকে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু সেখানে আরো এক যুক্তি রয়েছে। রোমীয় ১১:২৫ পদে আমরা তা এইভাবে পড়ি, “… যে পর্যন্ত পরজাতীয়দের পূর্ণ সংখ্যা প্রবেশ না করে, সেইজন্য কতক পরিমানে ইস্রায়েলের কঠিনতা (অন্ধতা) ঘটিয়াছে” (রোমীয় ১১:২৫)। “পরিপূর্ণতা” এই শব্দকে গ্রীকে অনুবাদ করা হয়েছে “প্লিরোমা”। এর অর্থ হল “সম্পূর্ণ বা পরিপূর্ণ সংখ্যা”| দিয়াবল ইস্রায়েলীয়দের ঘৃণা করে, আর সে জানে যতক্ষন পর্যন্ত না “সম্পূর্ণ বা পরিপূর্ণ সংখ্যায়” পরজাতীয়েরা উদ্ধার লাভ করছে ততক্ষন পর্যন্ত আত্মিক অন্ধতাকে দূর করা যাবে না এই বিষয় দিয়াবল জানে। কিন্তু শয়্তান চায় না ইস্রায়েলীয়েরা যেন উদ্ধার বা পরিত্রাণ লাভ করে। আর এই কারনের জন্যই সে চায় না আপনি যেন উদ্ধার বা পরিত্রাণ পান। আর সেই কারনেই শয়্তান চায় না ইস্রায়েলীয়েরা যেন উদ্ধার পায়। এই যুগের শেষে ইস্রায়েলের অন্ধত্ব দূর করার আগে পরজাতীয়দের মধ্যে বেশ কিছু সংখ্যককে অবশ্যই উদ্ধার লাভ করতে হবে। আপনিও এক অযিহুদী পরজাতি। আপনি এই জগতের শেষ সময়ে বসবাস করছেন। দিয়াবল ইতিমধ্যেই জানে যে সে ঈশ্বরের দ্বারা বিচারিত হবে এবং খ্রীষ্ট যখন ফিরে আসবেন তখন “এক হাজার বৎসর” বন্দী থাকবে (প্রকাশিতবাক্য ২০:২)। সেই কারনেই, “কেননা দিয়াবল তোমাদের নিকট নামিয়া গিয়াছে, সে অতিশয় রাগান্বিত, কেননা সে জানে তাহার কাল সংক্ষিপ্ত” (প্রকাশিত বাক্য ১২:১২)। আজকে শয়্তান এই জগতে উন্মত্তের ন্যায় কেননা সে জানে যে তার সময় খুবই অল্প। আগের থেকেও অত্যন্ত বেশী করে, পরজাতীদের মধ্যে থেকে “সম্পূর্ণ বা পূর্ণমাত্রায়” এগিয়ে এসে পরিত্রাণ লাভ করা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টাই করে চলেছে। আর এই বিষয়ে আমি দৃঢ় প্রত্যয় যে এই সময়ে আমাদের সময়ে লোকেদের খ্রীষ্টীয়ান হওয়াটা এতটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এক প্রকৃত খ্রীষ্টীয়ান হওয়ার প্রতি আপনাকে যীশুর উপরে নির্ভর করা থেকে বিরত রাখার জন্য দিয়াবল তার নিজের শক্তিতে সমস্ত কিছু করার চেষ্টা করবে। যে পন্থায় সে ইস্রায়েলীয়দের অন্ধ বা কঠিন করে রাখতে পারে তা হল আরো একটু অপেক্ষা করা। আপনাকে পরিত্রাণ লাভ করা থেকে দূরে রাখার এক পন্থা দিয়াবলের রয়েছে তা হল আপনার হৃদয় থেকে ঈশ্বরের বাক্যকে দূর করা। বীজ বপনের উপমাতে, যীশু বলেছেন, “…পরে শয়্তান আসিয়া, তাহাদের হৃদয় হইতে সেই বাক্য হরণ করিয়া লয়, যেন তাহারা বিশ্বাস করিয়া পরিত্রাণ না পায়” (লূক ৮:১২)। গত রবিবার আমাদের মন্ডলীতে দুই চাইনিজ যুবক এসেছিলেন। এদের উভয়েই মন্দতার দ্বারা পরিচালিত। এদের একজন বুদ্ধের পুত্তলিকার দ্বারা শয়্তানের নিয়ন্ত্রনাধীন যা তারা তাদের পিতা ও মাতার বাড়ি থেকেই লাভ করেছে। এদের অন্যজন কিভাবে মন্দ আত্মাগ্রস্থ হলেন তা আমি জানিনা। কিন্তু সে আমাকে বলেছিল যে শয়্তানের দ্বারা সে অত্যাচারিত আর ইহা দেখে পরিষ্কার মনে হচ্ছিল যে তারা তাতেই নিমজ্জিত। গত রবিবার দিনে এই দুই চাইনিজের একজন উদ্ধারলাভ করেছিল, কিন্তু অপর যুবক ব্যক্তি পরিত্রাণ লাভ করেনি। এখানেই হল তার পার্থক্য – সেই যুবক ব্যক্তি যে পরিত্রাণ লাভ করেছিল সে মন্ডলীতে আসতে থাকে আর আমি যখন সুসমাচার প্রচার করতে শুরু করি সে ঈশ্বরের বাক্য শুনতে থাকে। সে তো ভীষনভাবেই সমস্ত কিছু ত্যাগ করে মন্ডলী ছাড়তে প্রস্তুত। কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহে সে থেকে যায়, আর প্রতিদিন রবিবারের সকাল ও সন্ধ্যায় সুসমাচার শুনতে আসে। পরিশেষে, ডাঃ চান যখন গত রবিবার সকালে প্রচার করেন, তখন প্রথম যুবক ব্যক্তি যীশুর উপরে নির্ভর করে পরিত্রাণ লাভ করে! কিন্তু দ্বিতীয় চাইনিজ যুবক তা শোনাটা প্রত্যাখান করে। গত রবিবার দিন সকালে সভার পরে আমি তার সঙ্গে কথা বলি। তাকে মন্ডলীতে থাকার জন্য আমি অনুরোধ জানাই যেন ঈশ্বরের বাক্যের প্রচার সে শোনে। কিন্তু সে কঠিনমনা হয়ে ইহা প্রত্যাখান করে। কিন্তু সে ক্রোধান্বিত হয় আর আমাকে বলে যে নিজে থেকেই সে বাইবেল পড়বে। সে এতটাই বিক্ষুব্ধ হয়ে যায় যার ফলে সেই মুহূর্তেই তাকে বাড়ি ফেরত পাঠাতে হয়। সে যখন ফিরে যায় তখন আমি খুবই দুঃখ পাই। এখন আপনি যদি পরিত্রাণ লাভ করেন নি, তবে এটা আপনার কাছে কিভাবে প্রভাব ফেলবে। আপনাকে নিজেকে নত হতে হবে। কি করতে হবে আপনি যদি তা মনে করেন, বা আপনার কি চিন্তা করা প্রয়োজন সেই বিষয়ে ভাবেন, অথবা ইহাকে যদি অতি সরলভাবে নেন - তবে শয়্তান সেই সুসমাচারকে আপনার হৃদয়ের বাইরে নিয়ে যায়! বাইবেল বলে, “প্রভুর সাক্ষাতে নত হও, তাহাতে তিনি তোমাদিগকে উন্নত করিবেন” (যাকোব ৪:১০)। আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ রয়েছেন যারা অপরিত্রাণপ্রাপ্ত অবস্থায় আছেন। আপনি এতটাই গর্বিত যে আপনি মনে করছেন যে কি করতে হবে তা আপনি জানেন। কিন্তু আপনি অভিজ্ঞ ব্যক্তি নন! কি করতে হবে তা আপনি জানেন না। এই কারনেই এখন আপনি শয়তানের নিয়ন্ত্রনে রয়েছেন। এই সকালে আমি আপনার সঙ্গে অনুনয় করছি, “প্রভুর সাক্ষাতে নত হও, তাহাতে তিনি তোমাদিগকে উন্নত করিবেন” (যাকোব ৪:১০)। এক পুরাতন গানে ইহাকে ভালোভাবে বলা হয়েছে, “আমি যা কিছু জানি, আমি নিজেকে উৎসর্গ করি, আপনার পাপের মূল্য দেওয়ার জন্য ক্রুশেতে যীশু মৃত্যুবরণ করলেন। আপনাকে জীবন দেওয়ার জন্য তিনি মৃত্যু থেকে উত্থিত হলেন। এখন - সদাপ্রভুর সাক্ষাতে নিজেকে নত করুন, আর তিনিই আপনাকে উন্নত করবেন! এখন - আপনি যা কিছু জানেন, সমস্ত কিছুকে উৎসর্গ করে দিন - আর কেবলমাত্র তাঁর উপরে এক সাধারন বিশ্বাসের দ্বারা যীশু আপনাকে সমস্ত পাপ থেকে পরিষ্কার করবেন! প্রকৃত খ্রীষ্টীয়ান হয়ে ওঠার বিষয়ে আপনি যদি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান, তবে অনুগ্রহ করে আপনার বসার জায়্গা ত্যাগ করে অডিটোরিয়ামের পিছনে চলে যান। ডাঃ কাগন আপনাদের আরো একটি ঘরে নিয়ে যাবেন যেখানে সেই সমস্ত দ্রব্য নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে ও প্রার্থনা করতে পারেন। এখনি যান। ডাঃ চান, অনুগ্রহ করে প্রার্থনা করুন যেন কেউ একজন আজকে যীশুতে নির্ভর করতে পারে। আমেন। (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মি. আবেল প্রধুম্মে: প্রকাশিতবাক্য ১২:৭-১২। |
খসড়া চিত্র শেষ দিনে শয়্তানের তীব্র ক্রোধলেখক : ডঃ আর. এল. হাইমার্স, জে আর। “কেননা দিয়াবল তোমাদের নিকট নামিয়া গিয়াছে, সে অতিশয় রাগান্বিত, কেননা সে জানে তাহার কাল সংক্ষিপ্ত” (প্রকাশিত বাক্য ১২:১২)। ১. প্রথম, যারা উদ্ধার লাভ করেছে শয়্তান তাদের প্রার্থনার বিরুদ্ধাচারন করে, ২. দ্বিতীয়, যারা হারিয়ে গিয়েছে শয়তান সেই পরিত্রাণের বিরোধিতা করে, |