এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
ঈশ্বরের বিচার – ভয়ানক এক বিষয়GOD’S JUDGMENT – A FEARFUL THING লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জে আর ২০১৩ সালে, ১৭ই নভেম্বর, লস এঞ্জেলসের ব্যাপটিষ্ট্ ট্যাব্যারনাকালে সদাপ্রভুর দিনে এক সন্ধ্যায় এক সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল| |
এই সবেমাত্র মিঃ গ্রিফিত যে গানটি গাইলেন তা লেখা হয়েছিল ডাঃ জন আর রাইসের দ্বারা| ইহা হল এমন এক সংগীত যা আজকের দিনে আমাদের মন্ডলীতে প্রয়োজন| আজকের দিনে বিচার সংক্রান্ত বিষয়ে যে সংগীত তা খুব কম সময়েই গাওয়া হয়ে থাকে, আর নরকের বিষয়ে তো তার একটাও গাওয়া হয়ই না| পিউরিটানেরা নরকের বিষয়ে গাইতেন| কিন্তু আজকের দিনে সুসমাচার প্রচারকেরা মনে করেন সেটাকে সহজাতভাবে ভাবে গাওয়াটা যেন এক চতুরতার বিষয়| শেক্সপীয়ারের পাক বলেছেন, “এই নশ্বরতা কতোটাই না মূর্খতার ন্যায়”| তিনি হয়তো বলতে পারতেন যে আজকের দিনে অনেক অগ্রনী এবং নূতন-সুসমাচার প্রচারকারী| তারা স্বভাবত ৪০ বৎসর পিছনের হারিয়ে যাওয়া জগতের সাময়িক খামখেয়ালীপনায় মিলিয়ে গিয়েছে| চল্লিশ বৎসর আগে হারিয়ে যাওয়া লোকেরা ভ্যান ডিকের মতো দাড়ি পরিধান করতো| আজকের দিনে বহু “প্রগতিশীল” সুসমাচার প্রচারকেরা সেই প্রকার দাড়ি পরিধান করে – তারা কেবল চতুর এই দিক দিয়েই নয় যেন তাদের নিজেদের “ভ্যান ডিক” বলে ডাকা হয়| তাদের সহজাত-কপটতার মধ্যে তারা এগিয়ে গিয়েই তাদের ব্রাশ বা ঝাড়ুকে বলে থাকে “ছাগলের দাড়ি”| প্রায় চল্লিশ বৎসর আগে এই জগৎ ধূম্রপানের বিরুদ্ধে এক অভিযান শুরু করে| এই বিশ্বের প্রজ্ঞাশীল ব্যক্তিরা আর ধূমপান করে না| এটা যথেষ্ট ভাবেই নিশ্চিত, নূতন এই ইভ্যাঞ্জেলিক্যাল “অগ্রগামীরা” কেবল প্রায় ধূমপান করতে আরম্ভ করেছে, যা মনে হচ্ছে এই ধূমপান করাটা সহজসরল ভাবেই বিজ্ঞসমাজের কাছে যেন এক চিহ্নমাত্র| হোয়েটন কলেজ, যেখানে বিলি গ্রাহাম স্নাতক হয়েছেন এবং ডাঃ জন আর রাইসের ছয় কন্যা স্নাতক হয়েছেন, এখন তারাও শিক্ষালয়ে ও ছাত্রদের মধ্যে ধূমপানের অনুমতি প্রদান করেন| আর আপনি কি জানেন গতমাসে চিকাগোর মোদি বাইবেল ইনষ্টিটিউট, এই ধূমপানকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষনা করেছেন? আর তাই বর্তমান খ্রীষ্টীয়ানিটির বিষয়বস্তুর মধ্যে ইহার শিরোনামে রয়েছে ব্যপক, ধূম্রপানের পাইপ – এটা হল এমনি একটা নির্দেশ যা জ্ঞাত করছে যে ধূম্রপান করাটা হল ঠান্ডা ও বিজ্ঞমনা বিষয় - এটা ঠিক সি. এস. লুইসের, মতো যিনি পাইপের মাধ্যমে ধূমপান করতেন| সহজ সরল এই নামের মধ্যেও নূতনতরো এই ইভ্যাঞ্জেলিক্যালরা ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়ছেন - চল্লিশ বৎসর পরে সেই জগৎ ইহাকে ছেড়ে দিতে চাইছিল! মন্ডলীতে এখন গান গাওয়াটা যেন ঠিক একটা কায়্দা কানুনের মতো| তারা একটা অসার ধূয়াকে বার বার গাইতে থাকে - যতক্ষন পর্য্যন্ত না সকলে অর্দ্ধ-সাংবেশীক ভাবে হতভম্ব হয়ে পড়ছে| আর সেটাই তো তাদের সংবাদ গ্রহন করার জন্য “প্রস্তুত” করার কথা| ইহা মনে হচ্ছে যেন সেই গানের মাধ্যমে তারা নিজেদের ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত করছে, যাদের মধ্যে অনেকেই সামান্য “বাইবেল অধ্যয়ন” করার মধ্যে দিয়েই সেই মতো অনুসরন করে থাকে| সুতরাং আজকে আমাদের মন্ডলীতে কেউই নরকের বিষয়ে কোন গান করে না| নরকের বিষয়ে যে সতর্কবাণী তা বাইবেলের সব জায়গাতেই রয়েছে - কিন্তু জাগতিক ইভ্যাঞ্জেলিক্যালেরা সেই সতর্কতার বিষয়ে গান গাইতে চায় না – আর তাই নিশ্চিতভাবেই তারা এই বিষয়ে প্রচারও করতে চায় না! অতএব ডাঃ রাইস শেষ বিচার সম্বন্ধে গান লিখে এক বিরাট সেবাকাজ করেছেন, তাহলে, যীশুকে আপনি কি বলবেন, অনুগ্রহ করে আমার সঙ্গে আপনার বাইবেলের ইব্রীয় ১০:৩১ খুলুন - আর ঈশ্বরের বাক্য পড়ার জন্য উঠে দাঁড়ান| “জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়” (ইব্রীয় ১০:৩১)| আপনারা সকলে বসতে পারেন| এটা এক গুরুত্বপূর্ন পাঠ্যাংশ, বিশেষতঃ তা আমাদের সময়ে| বাইবেল বলে, “ঈশ্বরের ভয় তাহাদের চক্ষুর অগোচর” (রোমীয় ৩:১৮)| আমরা এমন কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ করিনি যারা ঈশ্বরকে ভয় করে না! কখনোই নয়! কোন ব্যতিক্রম নেই! “ঈশ্বরের ভয় তাদের চক্ষুর অগোচর|” কিন্তু, তা সত্বেও, আমাদের পাঠ্যাংশ বলে, “জীবন্ত ঈশ্বরের হাতে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়” (ইব্রীয় ১০:৩১)| এই ভাবেই বাইবেল আধুনিক মানুষকে পৃথক করে, আর এইভাবেই কৃত্রিম ভাবে সহজাত ভাবের মধ্যে, ঈশ্বরের অজ্ঞানতা তাদের ভেসে ওঠে| বাইবেল অতি, স্বচ্ছ ও পরিস্কার ভাবেই বলে, “জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়” (ইব্রীয় ১০:৩১)| যদিও আধুনিক সময়ে লোকেদের “[তার] চোখের সামনে ঈশ্বর ভয় না থাকলেও”, সে ভুল-সম্পূর্নভাবে ভুল| আর তাই আজ রাত্রে আমি কিছু সময় নিতে চাই যেন যে কোন ব্যক্তির কাছে যুক্তিযুক্ত মনের দ্বারা প্রমান করি যে ইহা, সম্পূর্ন, “জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া্টা ভয়ানক বিষয়”| আমি আপনার আবেগ প্রবনতার কাছে এই বিষয়ে আবেদন রাখতে চাইনা| এই সংবাদ সেই ঘটনার বিষয়ে এক ন্যায্য ও যুক্তিযুক্ত বিতর্ককে তুলে ধরবে আর, তা হল “জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়াটা হল এক ভয়ানক বিষয়|” ১| প্রথম, ঈশ্বর যে কে এটা তার দ্বারাই প্রমানিত | এখানে পাঠ্যাংশ যা বলে তা লক্ষ্য করুন “জীবন্ত ঈশ্বরের” হাতে পতিত হওয়া “ভয়ানক” বিষয়| “মৃত” দেবতা যে সেখানে রয়েছে এই বিষয়ে আমরা সকলেই তা জানি| আমি এবং আমার স্ত্রী মিশরের কর্নক মন্দিরের কাছে হাঁটছিলাম| আজকের দিনে এটা সবথেকে চমৎকার এক অট্টালিকা| কিন্তু প্রত্যেকেই জানে যে সেই প্রাচীন মন্দিরের দেওয়ালে যে দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে তারা মৃত দেবদেবী| উদারমনা প্রোটেষ্ট্যান্ট ধর্মমতের কাছে সেই “দেবদেবী”রাও এক মৃত দেব| ডা: এডওয়ার্ড জন কারনেল ছিলেন ফ্যুলার থিওলজী সেমিনারীর বিখ্যাত অধ্যাপক| তিনি ফ্যুলারের সভাপতিও ছিলেন, আর তার পরেই তিনি সেখানের অধ্যাপক হয়ে ওঠেন| ১৯৫৯ সালে ডা: কারনেল “দি কেস ফর অর্থোডক্স থিয়োলজী” নামক একটা বই লেখেন| তার বই দেখায় যে ফ্যুলার সেমিনারী ইতিমধ্যেই ১৯৫৯ সালে বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে| তার বই শিখিয়েছে অন্য প্রজাতির এক বিবর্তনবাদের বিষয়ে; ইহা শিখিয়েছে যে বাইবেলের সমস্ত অংশ সমানভাবে অনুপ্রানিত নয়; ইহা খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের সহস্রবৎসর কালের রাজত্ব বিষয়ে আক্রমন করে; এবং ইহা আর.এস.ভি বাইবেলের যুক্তি সম্বন্ধে ভুল অনুবাদ, ছিন্নভাবকে উন্নত করে| প্রায় দেড় বৎসর পর আমি ডা: চার্লস উডব্রিজকে প্রচার করতে শুনলাম| বাইবেলের উপরে কারনেলের আক্রমনে ডা: উডব্রিজ এই সবেমাত্র ফ্যুলার থিয়োলজিক্যাল কলেজকে ত্যাগ করেছেন| ডা: উডব্রিজ কারনেলের উন্মুক্তমনা দর্শনের বিরুদ্ধে প্রচার করেন| ডা: উডব্রিজ যখন সংবাদ প্রচার করেন তখন তার সংবাদে আমি পরিত্রান লাভ করি| আমি জানতাম যে এডোয়ার্ড জন কারনেলের “দেবতা” আমার ঈশ্বর ছিলেন না| এর কিছুদিন পরেই ক্যালিফোর্নিয়ার, অকল্যান্ডের একটা হোটেলে ডা: কারনেল আত্মহত্যা করেন| তার “দেবতা” আমার ঈশ্বর ছিলেন না! আমার ঈশ্বর চিরকাল “জীবন্ত ঈশ্বর” আছেন ও তিনি জীবন্ত ঈশ্বর ছিলেন| “জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়” (ইব্রীয় ১০:৩১)| ফ্যুলার থিওলজীক্যাল সেমিনারীর মতো মৃত ঈশ্বরের হাতে পতিত হওয়াটা ভয়ানক বিষয় নয়! না, কোনমতেই নয়! রব বেল ফ্যুলার থেকেই স্নাতক হন - আর তিনিই হলেন সেই ব্যক্তি যিনি লাভ ওয়াইন (HarperOne, 2011) বইটি লেখেন| সেই বইয়েতে রব বেল বলেছেন অনন্তকালীন “নরকের মধ্যে শাস্তি লাভ” সম্বন্ধে বাইবেলের যে শিক্ষা তা “বিষাক্ত এবং ভ্রান্ত পথে চালিত করে” (p.viii)| তিনি এই বিষয়টি ফ্যুলারেই শিখেছেন| তার দেবতা আমার ঈশ্বর নয়! তার দেবতা “জীবন্ত ঈশ্বর নয়”| “জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়” (ইব্রীয় ১০:৩১)| ২| দ্বিতীয়, এটা প্রমান করে যে ঈশ্বর অতীতে কি করেছেন| জীবন্ত ঈশ্বরের চারিত্রিক যে বৈশিষ্ট তা অতীতে তাঁর বিচারের দ্বারা প্রকাশমান হয়েছে| স্পারজান বলেছেন, “পুরাতন নিয়মে যেমনভাবে প্রকাশ করে সেই দিক দিয়ে আব্রাহামের ঈশ্বরকে, আধুনিক স্বপ্নের (উদারমনাদের দ্বারা) বিশ্বজনীন পিতা হিসাবে তাকে এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে যেন মনে হচ্ছে তিনি আপল্লো বা বাচাস থেকে” (C. H. Spurgeon, “Future Punishment a Fearful Thing”)| বাইবেলের সেই “জীবন্ত ঈশ্বর” সেই পাপে পূর্ণ সমুদয় মনুষ্য জাতিকে মহাপ্লাবনের দ্বারা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন| বাইবেল বলে, “আর সদাপ্রভু দেখিলেন পৃথিবীতে মনুষ্যদের দুষ্টতা অত্যধিক, এবং তাহাদের অন্তঃকরনের চিন্তার সমস্ত কল্পনা নিরন্তর কেবল মন্দ তাই সদাপ্রভু পৃথিবীর মনুষ্য নির্মান প্রযুক্ত অনুশোচনা করিলেন ও মনঃপীড়া পাইলেন…আর সদাপ্রভু কহিলেন, আমি যে মনুষ্যকে সৃষ্টি করিয়াছি তাহাকে ভূমন্ডল হইতে উচ্ছিন্ন করিব; মনুষ্যদের সহিত পশু, সরীসৃপ জীব ও আকাশের পক্ষীদিগকেও উচ্ছিন্ন করিব| কেননা তাদের নির্ম্মান প্রযুক্ত আমার অনুশোচনা হইতেছে|”(আদিপুস্তক ৬:৫, ৭)| পুনরায়, প্রেরিত পিতর আমাদের বলেন যে ঈশ্বর সদোম ও খোমড়াকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন| পুনরায়, আমরা দেখি ঈশ্বর মিশরের সমস্ত প্রথম জন্মের সন্তানপুরুষ ও পশুদের সকলকে হত্যা করেন| ঈশ্বর পুনরায়, ফরৌ এবং তার সমস্ত সৈন্য সামন্তদের লোহিত সমুদ্রের মাঝখানে ধ্বংস করেছিলেন| পুনরায়, ঈশ্বরের আজ্ঞাতেই হাইভাইটস, জেবুসাইটস, এবং অন্যান্য জাতিরা খড়্গের দ্বারা আক্রান্ত হয়| আর মোশি বলেন, “কিন্তু যাহারা তাঁহাকে দ্বেষ করে, [তিনি] তাহাদিগকে সংহার করিতে তাহাদের সাক্ষাতেই তাহাদিগকে প্রতিফল দেন: তিনি তাঁহার বিদ্বেষীর বিষয়ে বিলম্ব করেন না, তাহার সাক্ষাতেই তাহাকে প্রতিফল দেন” (দ্বিতীয় বিবরন ৭:১০) বার বার বাইবেল শিক্ষাপ্রদান করে, “জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়” (ইব্রীয় ১০:৩১)| ৩| তৃতীয়, যীশু নিজে যা বলেছেন তার দ্বারা এটা প্রমানিত | বাইবেল শিক্ষাপ্রদান করে যে মানবশরীরের মধ্যে যীশুখ্রীষ্ট হলেন ঈশ্বর, ঈশ্বর মনুষ্যরূপ ধারন করলেন| এটাই হল একমাত্র ঘটনা যে বাইবেলে আর অন্য কোন ব্যক্তি এইভাবে নরকের বিষয়ে ভয়ানক ঘটনার বিষয়ে উল্লেখ করেননি যেভাবে প্রভু যীশুখৃষ্ট করেছেন| অনন্তকালীন শাস্তির বিষয়ে যীশু যা বলেছেন তার বেশ কিছু বিষয় এখানে উল্লেখিত হল| “যিনি আত্মা ও শরীর উভয়ই নরকে বিনিষ্ট করিতে পারেন বরং তাঁহাকেই ভয় করো” (মথি ১০:২৮)| যীশু আবার, বলেছেন, “এইরূপ যুগান্তে হইবে: দূতগন আসিয়া, ধার্মিকদের মধ্য হইতে দুষ্টদিগকে পৃথক করিবে, এবং তাহাদিগকে অগ্নিকুন্ডে ফেলিয়া দিবেন: সেই স্থানে রোদন ও দন্তঘর্ষণ হইবে”(মথি১৩:৪৯-৫০)| পুনরায় মথিলিখিত সুসমাচারের বাইশ অধ্যায়ে, যীশু আমাদের বলেছেন ঈশ্বর (সেই মহান রাজা) বলেন, “উহার হাত পা বাঁধিয়া, উহাকে বাহিরের অন্ধকারে ফেলিয়া দাও; সেখানে রোদন ও দন্তঘর্ষণ হইবে” (মথি ২২:১৩)| এরপরে, মার্ক, ৯ অধ্যায়ে, যীশু তিনবার বলেছেন যে নরক হল এমন এক জায়্গা, “নরকে তো লোকেদের কীট মরে না, এবং অগ্নি নির্বান হয় না” (মার্ক ৯:৪৪)| আবার বলি, “নরকে তো লোকেদের কীট মরে না, এবং অগ্নি নির্বান হয় না” (মার্ক ৯:৪৮)| আর তথাপি আবার বলতে হয়, “নরকে তো লোকেদের কীট মরে না, এবং অগ্নি নির্বান হয় না” (মার্ক ৯:৪৮)| আমি কেবলমাত্র কয়েকটা পদ দিচ্ছি যেখানে যীশু নরকের বিষয়ে বলেছেন, যা সেই ঘটনাকে নিশ্চিত করে, “জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়” (ইব্রীয় ১০:৩১)| লুক লিখিত সুসমাচারের ষোল অধ্যায়ে তিনি যখন ধনী লোক ও লাসারের বিষয়ে বলেন তখন যীশু এই বিষয়ে পরিস্কার করে দেন| সেই ধনী লোক মারা যায়| “আর পাতালে(নরকে) যাতনার মধ্যে, সে চক্ষু তুলিয়া, দূর হইতে আব্রাহামকে ও তাঁর কোলে লাসারকে দেখিতে পাইলেন” (লুক ১৬:২৩)| আর পুনরায় যীশু বলেন, সেই ধনী লোক চিৎকার করতে থাকে, “এই অগ্নিতে আমি বড় কষ্ট পাচ্ছি” (লুক ১৬:২৪)। আমি আশা করি আপনি অনুভব করতে পারছেন যীশু ছিলেন প্রেমিক, দয়ালু ও অমায়িক ব্যক্তি| আর সেই কারনেই নরকের বিষয়ে তিনি এক ভয়ানক সতর্কতাকে তুলে ধরেন| ইহা কেবলমাত্র প্রেম ও দয়ার জন্যই যীশু সেই আগত বিচার সম্বন্ধে আমাদের সতর্ক করে দেন, কেননা, “জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়” (ইব্রীয় ১০:৩১)| ৪| চতুর্থ, এটা প্রমানিত হয়েছে পাপীর সচেতনশীল উপলব্ধির মধ্যে | এটা নিশ্চিত, ঈশ্বরের ন্যায় সম্বন্ধে বাইবেল যা শিক্ষা প্রদান করে তা বেশীরভাগ লোক প্রত্যাখান করে| তারা আবার অতীতে ঈশ্বরের বিচারের বিষয়ে বাইবেলের যে বিবরণ সেটাকেও তারা অস্বীকার করে| আর ঈশ্বরের বিচার ও ন্যায় সম্বন্ধে যে বিষয় প্রভু যীশুখ্রীষ্ট বলেছেন সেটাকেও তারা পরিত্যক্ত করে| এটা ঠিক যে লোকেরা তাদের প্রকৃত অবস্থার মধ্যে এই সমস্ত প্রমান ও সতর্কতাকে প্রত্যাখান করে থাকে| যতক্ষন পর্য্যন্ত না ইশ্বরের আত্মা তাদের মধ্যে এসে তাদের চেতনাশক্তিকে জাগ্রত করছে ততোক্ষন পর্য্যন্ত তারা পরিবর্তিত হবে না! ততোক্ষন পর্য্যন্ত পাপীদের চেতনাশক্তি যথাযথভাবে কাজ করে না| বাইবেল এই বিষয়ে বলে “…তাদের নিজের বিবেক তপ্ত লৌহের দাগের মতো দাগযুক্ত হয়ে্ছে” (১ তিমথীয় ৪:২)| আগাগোড়া পাপ তাদের চেতনাশক্তিকে পুড়িয়ে ফেলেছে| ইহা এতটাই তপ্ত হয়ে উঠেছে যাকে লুকিয়ে না রেখে, বলতে বাধ্য করছে, সেই ভয়ানক কোষের বিষয়ে যা যথাযথভাবে আর কাজ করছে না| এইভাবে, তারা তাদের পাপের বিষয়ে উপেক্ষা করে| তাদের পাপের জন্য তারা সামাজিক ও মানসিক দোহাই দিয়ে তা লুকিয়ে রাখতে চায়| তাদের পাপকার্যের জন্য তারা তাদের মা বাবাকে দোষী করে| তাদের পাপের জন্য তারা পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে দোষী করে| ঈশ্বরের বিচার বইয়েতে তাদের ভয়ানক পাপের যে হিসাব রয়েছে তার প্রতি অব্যহতি লাভ করার জন্য তারা যা কিছু ভাবে সেই প্রকার যা কিছুতে সাগ্রহে অব্যহতি পেতে চায়| কিন্তু ঈশ্বর যদি তাদের মনোনীত করেছেন, তবে তাদের পাপ সম্বন্ধে চেতনা প্রদানের জন্য তিনি তাঁর পবিত্র আত্মাকে প্রেরন করবেন| আর তখন ইশ্বরের আত্মা, “[তাদের] সেই পাপ সম্বন্ধে চেতনা প্রদান করেন”(যোহন ১৬:৮)| আর তার পরেই তারা অনুভব করতে শুরু করবে সেই যুবতী মহিলার মতো যার বিষয়ে আজকের সকালে আমি উদ্ধৃতি করেছি| মনে রাখবেন যেখানে তিনি বলেছেন তার পাপ …আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল আর আমি কোনমতেই তাদের মধ্যে থেকে বার হতে পার্ছিলাম না| আমি অবাক হতে থাকলাম, “কিভাবে সেই পাপগুলো আমি করলাম?”…এই পাপগুলো আমার মন্দ, শঠতাপূর্ণ হৃদয় থেকে বেড়িয়ে এসেছিলো…সর্বদর্শী ঈশ্বরের সম্মুখে আমি যেন এক বিশ্রী খারাপ সৃষ্টি অনুভব করতে থাকলাম; আমি যা কিছু করেছি তার সমস্ত কিছুই এই ঈশ্বর জানতেন, এমনকি মন্ডলীর মধ্যে, পাপপূর্ণ যে চিন্তাধারা আমার মধ্যে বদ্ধমূল হয়েছিল তাও তিনি দেখেছেন| আমি যতবার মন্ডলীতে গিয়েছি, ততবারই আমি যেন নিজেকে কুষ্ঠরোগী অনুভব করেছি…আমি যেন খ্রীষ্টে শীতল-ইস্পাতের মতো [অপচ্ছন্দ ব্যক্তি] ছিলাম| আমি জানতাম যে এই জগতের হারানো লোকেদের মধ্যে এই প্রকার বিষন্নময় এবং অস্বাভাবিক চিন্তাধারা রয়েছে| একদিক দিয়ে, তারা ঠিকই| এক “প্রকৃত” ও “স্বাভাবিক” অবস্থায় লোকেরা সেইভাবে কোন সময়েই তা অনুভব করে না| বাইবেল বলে, “এক প্রকৃত মানুষ” তার পাপের সম্বন্ধে অপ্রত্যাশিত| সেই প্রকার ব্যক্তিকে জাগ্রত করে তোলার প্রতি ইহার জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়ে ঈশ্বরের অপ্রাকৃতিক কার্য! চেতনা প্রদানকারী চিন্তাধারা কেবলমাত্র তখনি আসে যখন ঈশ্বরের অনুগ্রহ আপনার হৃদয়কে দেখতে সাহায্য করে যে আপনি কতোটাই না পাপপ্রবন ব্যক্তি| “বিষ্ময়্কারী অনুগ্রহ” নামে তার যে গান, সেখানে জন নিউটন বলেছেন “তোমার অনুগ্রহই আমাকে হৃদয়কে ভয় করতে শিখিয়েছে”| চেতনা পুনরুদ্ধারের যুগে খ্রীষ্টীয়ানরা একে বলছেন “জাগরন”| আপনি যখন আপনার হৃদয়ের পাপের বিষয়ে সজাগ হন, তখন আপনার চেতনা সম্মতি প্রকাশ করে, “জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়” (ইব্রীয় ১০:৩১)| ৫| পঞ্চম, আমাদের পাপের দন্ড থেকে রক্ষা করার প্রতি খ্রীষ্টের দুঃখ দ্বারা এটা প্রমানিত | মহান খ্যাতনামা স্পারজান বলেছেন, “ঠিক যেমনভাবে পরিত্রাতার দুঃখভোগ সমস্ত কল্পনার উর্দ্ধে প্রবল, তাই [পাপ] নিশ্চিতভাবেই এতটাই চরম...এতটাই মন্দ যার মধ্যে থেকে আমাদের পলায়ন করার কোন পথ নেই ঈশ্বরের প্রিয় পুত্রের মৃত্যু ও রক্ত বহান ছাড়া| নরকের বিষয়ে আপনি যদি হালকাভাবে চিন্তা করেন, তবে আপনি ক্রুশের বিষয়েও হালকাভাবে চিন্তা করবেন| হারানো আত্মাদের দুঃখভোগের বিষয়ে আপনি যদি হালকাভাবে চিন্তা করেন, তবে আপনি পরিত্রাতার বিষয়েও সামান্যভাবেই চিন্তা করবেন যিনি তাদের মধ্যে থেকে আপনাকে উদ্ধার করেন”(C. H. Spurgeon, “Future Punishment a Fearful Thing,” Metropolitan Tabernacle Pulpit, number 682). “জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়” (ইব্রীয় ১০:৩১)| আপনাকে অনন্তকালীন শাস্তির হাত থেকে উদ্ধার করার প্রতি যীশু যা করেছেন তা কি যথাযথ নয়? যীশু কি জীবন্ত ঈশ্বরের হাতে পতিত হলেন না? আপনার সারবত্তা হিসাবে ক্রুশের উপরে যীশু কি ভয়াবহ বিচারের সম্মুখীন হন নি? আপনার পাপের জন্য আপনার জায়্গাতে, ঈশ্বর কি যীশুকে শাস্তি দিলেন না? খ্রীষ্ট যে পাপীর সারবত্তা এই বিরাট যে পদটি রয়েছে সেই বিষয়ে চিন্তা করুন| “তথাপি তাঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল; তিনি তাঁহাকে যাতনাপ্রাপ্ত করিলেন”(যিশাইয় ৫৩:১০)| আমাদের পাপের দন্ড মিটিয়ে তাঁকে বলিদান রূপে প্রস্তুত করে “দুঃখভোগ” করাতে যীশুকে “চূর্ণ করিতে” (আধুনিক অনুবাদ) ইহা ঈশ্বরেরই বাসনা ছিল| সেটাই ছিল “প্রায়শ্চিত্তের” মতবাদ| রিফর্মেশন স্টাডি বাইবেল বলে, “সেই ক্রুশ ঈশ্বরকে প্রসন্নতা প্রদান করলো| যাকে বলা যায়, ইহা তার তীব্র ক্রোধকে নির্বাপিত করলো…তার দুঃখভোগের মধ্যেই আমাদের পরিচয় পরিগ্রহন করা হলো আর আমাদের জন্যই তিনি বিচার সহ্য করলেন”(p.1617)| জন পাইগার বলেছেন, আমাদের পাপের বিরুদ্ধে খ্রীষ্ট “ঈশ্বরের ক্রোধকে আত্মীভূত করলেন”| এটি দেখায়, অন্য সব বিষয় থেকে, শক্তিশালী হল, “জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়” (ইব্রীয় ১০:৩১)| গেৎশিমানী বাগানে যীশু ঈশ্বরের হাতে পতিত হন| আপনার পাপের বোঝার সঙ্গে - এবং জগতের সমস্ত লোকের পাপের জন্য ঈশ্বর যীশুকে চূর্ণ করলেন| যীশু এতটা জঘন্যভাবে চূর্ণবিচূর্ণ হলেন যে তার ঘাম যেন “যেমন ছিল” তা ঠিক ফোঁটা ফোঁটা রক্তের ন্যায় ঝরতে থাকলো| ঈশ্বর যিশুকে এতটাই শাস্তি প্রদান করলেন যেখানে সেই গেৎশিমানী বাগানে তিনি মারা পড়তে চলেছিলেন| এরপর, “এক সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা এবং ঈশ্বরের পূর্ব জ্ঞান অনুযায়ী”(প্রেরিত ২:২৩), যীশুকে চাবুকের ঘায়ে অর্দ্ধমৃত করে ফেলা হলো এবং তার হাত ও পায়ে পেরেকের দ্বারা বিদীর্ণ করা হলো – ঈশ্বরের দ্বারা অত্যাচারিত হলেন – যেন তাঁর ক্রোধকে প্রশমিত করেন, এবং আপনাকে ঈশ্বরের ভয়ানক হাতে পতিত হওয়া থেকে বাঁচালেন! আপনার জায়্গাতে মৃত্যুদন্ড ভোগের জন্য ঈশ্বর যীশুকে “দিলেন”| বাইবেল বলে, “ঈশ্বর জগত্কে এমন প্রেম করলেন, যে আপনার একজাত পুত্রকে দান করলেন, যেন যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়” (যোহন ৩:১৬)| এটা ঈশ্বরকে করতে হলো কেননা পাপীদের দন্ড মেটানোর জন্য সেখানে অন্য আর কোন রাস্তা ছিল না| যীশু যে প্রত্যেকটা ব্যাথা উপলব্ধি করেছিলেন বা ভোগ করেছিলেন যথা - তারা যখন তাঁর মুখে কিল, ঘুষি মারে, এবং তারা যখন তাঁর দাড়ির গোড়া শুধু টান মেরে ছিঁড়ে ফেলে, তারা যখন চাবুকের মুন্ডের দ্বারা তাঁর শরীরকে রক্তাক্ত করে, তাঁর হাতে ও পায়ে পেরেকের দ্বারা বিদ্ধ করে – যে প্রতিটি ব্যাথা খ্রীষ্ট অনুভব করেছিলেন তা ছিল ঈশ্বরের অভিশাপ যা তাঁর উপরে ঢেলে দেওয়া হলো, আর যেটা আপনার প্রাপ্য সেটা তিনি নিজেই সহ্য করলেন! সেটাকেই বলা হয় প্রায়শ্চিত্ত বা বলিদান! নূতন গানে ইহাকে এইভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্রুশের উপরে যীশু মরে যে পর্য্যন্ত না, “খ্রীষ্টের অনুভূতি” বলে চলচ্চিত্রটা একবার একটি মেয়ে দেখার পরে তাকে আমি বলতে শুনেছিলাম, “ওঃ, যীশুর উপরে তারা যা করেছে তা ছিল ভয়্ঙ্কর বিষয়!” কিন্তু সেটাইতো যুক্তিযুক্ত বিষয় ছিলনা| প্রসঙ্গত, ঈশ্বর যীশুর প্রতি যেটা করেছিলেন তা ছিল ভয়ঙ্কর বিষয়! ঈশ্বর যীশুকে ভয়ঙ্করভাবে শাস্তি প্রদান করেছিলেন - কেননা তাঁর ক্রোধকে “প্রশমিত” করার প্রতি অন্য আর কোন পথ ছিলনা – বলিদান বা প্রায়শ্চিত্ত – আপনার পরিবর্তে যীশুর উপরেই পরিবর্তন করা হলো| হ্যাঁ, “জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়” (ইব্রীয় ১০:৩১)| এটা প্রমানিত হয়েছিল ঈশ্বরের শাস্তি প্রদানের দ্বারা যা যীশুর উপরে পতিত হল আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ| সেই যুবতী মহিলা যার বিষয়ে আমি উদ্ধৃতি করছি ইহাকে এইভাবে উল্লেখ করেছেন, আমার মধ্যে দেখার [পরিবর্তে], আমার আবেগের পরীক্ষা করার পরিবর্তে… যেভাবে সবসময়ে আমি আগেও করেছি, আমি বিশ্বাসে খ্রীষ্টের প্রতি তাকালাম| তিনি তো সেখানেই ছিলেন! সেই জীবন্ত খ্রীষ্ট! তিনি আমাকে উদ্ধার করলেন; তিনি তাঁর বহুমূল্য রক্তে আমার পাপসকল সিক্ত করলেন| আমার পাপের ভারী বোঝাকে তিনি দূর করে দিলেন! তিনিই ঈশ্বরের সেই অভিশাপকে আত্মীভূত করলেন যা আমার জীবনে, আমার মৃত্যুতে, আমার উপরে ঢালার ছিল, পরিশেষে বিচার ও নরকে যন্ত্রনা ভোগ করার ছিল… তাঁর নিজের রক্তে আমার যে নথি তাকে “দোষী নয়” বলে মুদ্রন করে দেওয়া হল! তিনি আমার সমর্থনকারী উকিল, আমার মধ্যস্থতা, আমার পরাক্রম এবং আমার প্রভু!…আমি ইচ্ছা করি যারা আমার মতো সংগ্রাম বা লড়াই করছেন তারাও খ্রীষ্টের ক্ষমা অনুভব করতে পারেন! আমার পাপের সমস্ত অভিযোগ তিনি গ্রহন করেছেন| তিনি ইহাকে সমস্ত দিক দিয়ে মিটিয়ে দিয়েছেন! হ্যাঁ! আমেন! সেই পুরাতন সংগীত ইহাকে যেভাবে উল্লেখ করে, আমার মধ্যে এমন কোন উত্তমতা নেই যার দ্বারা অনুগ্রহের দাবী জানাই- প্রকৃতভাবে খ্রীষ্টীয়ান হওয়ার প্রতি আপনি কি আগ্রহী? আপনি যদি এই মুহুর্তে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে ও প্রার্থনা করতে চান, তবে অনুগ্রহ করে আপনার আসন ছেড়ে অডিটোরিয়ামের পিছনে যে ঘরটি রয়েছে সেখানে যান| ডঃ কাগন আপনাকে একটি ঘরে নিয়ে যাবেন আপনার সঙ্গে পরামর্শ ও প্রার্থনা করার জন্য| এখনি যান| ডঃ চেন, অনুগ্রহ করে প্রার্থনা করুন যেন কোন একজন যীশুর উপরে নির্ভর করতে পারে| আমেন | (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাষ্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মি. আবেল প্রধুম্মে: ইব্রীয় ১০:২৮-৩১| |
খসড়া চিত্র ঈশ্বরের বিচার – ভয়ানক এক বিষয় লেখক: ডাঃ আর. এল. হাইমার্স, জে আর. “জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়” (ইব্রীয় ১০:৩১)| (রোমান ৩:১৮) I. প্রথম, ঈশ্বর যে কে এটা তার দ্বারাই প্রমানিত, ইব্রীয় ১০:৩১; ১যোহান ১:৭| II. দ্বিতীয়, এটা প্রমান করে যে ঈশ্বর অতীতে কি করেছেন, আদি পুস্তক ৬:৫,৭;
III. তৃতীয়, যীশু নিজে যা বলেছেন তার দ্বারা এটা প্রমানিত,
IV. চতুর্থ, এটা প্রমানিত হয়েছে পাপীর সচেতনশীল উপলব্ধির মধ্যে,
V. পঞ্চম, আমাদের পাপের দন্ড থেকে রক্ষা করার প্রতি খ্রীষ্টের দুঃখ দ্বারা এটা প্রমানিত, যিশাইয় ৫৩:১০; প্রেরিত ২:২৩; যোহান ৩:১৬| |