এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
সেই রক্ত- সাধারণ অথবা মূল্যবান ? THE BLOOD – COMMON OR PRECIOUS? লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি. লস এঞ্জেলেসের ব্যাপ্টিস্ট ট্যাবারনেকেলে একটি সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল |
আজকের সকালে আমি নুতন নিয়মের দুটি আলোচ্য অংশ নিয়ে দেখতে চাই যা খ্রীষ্টের রক্ত দিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথমেই ইব্রীয় ১০:২৯ খুলুন। সেখানে আলোচ্য অংশে রক্ত নিয়ে যে বিষয়টা বর্ণনা করা হয়েছে তা হল, “সামান্য বিষয় জ্ঞান করিয়াছে বা অপবিত্র করিয়াছে” (হিব্রুজ ১০:২৯). এখন পীটার ১:১৯ খুলুন। এখানে রক্তকে বর্ণনা করা হচ্ছে যেন, “খ্রীষ্টের মহামূল্য রক্ত” (১ম পীটার ১:১৯). আপনার বাইবেলের অংশটাকে এখানে খুলেই রাখুন। বেশ কিছু রাত্রি পূর্বে আমি সেই সমস্ত অংশগুলো নিয়ে চিন্তা করছিলাম। সেই সমস্ত আলোচ্য বিষয়ের উপরে আমার যে ধ্যান তা আমাকে এই জায়গাতে দৃষ্টি আকর্ষণ করায় যথা সমুদয় জগতকে কেবলমাত্র দুটো দলে বিভক্ত করা যেতে পারেঃ (১) যারা মনে করে যে “খ্রীষ্টের রক্ত অপবিত্র বা সামান্য বিষয়,” এবং (২) যারা মনে করে যে তা হল “খ্রীষ্টের বহুমূল্য রক্ত।” সেই আলোচ্য অংশের কোনটি যীশুর রক্তের বিষয়ে আপনার দর্শনকে বর্ণনা করে? ১. প্রথম, আপনি কি মনে করেন যে যীশুর রক্ত এক “অপবিত্র বিষয়”? হিব্রুজ ১০:২৬-৩১ পর্যন্ত সমগ্র অনুচ্ছেদটা পড়েন যেটা মিঃ প্রধুম্নে বেশ কিছু মিনিট আগে পাঠ করেছেন,এখানে আপনি দেখবেন যে ইহা নির্দেশ প্রদান করে তাদের প্রতি যারা “ইচ্ছাকৃত ভাবে পাপ করে” এবং তারা ঈশ্বরের বিচারের অধীন, আজকে সকালে আমরা যে ভাবে পাঠ্যাংশে দেখেছি, যা আলোচ্য বিষয়ের দুটো পদের পরেই আসে, “এক সামান্য বিষয় বা অপবিত্র বিষয়।” হিব্রুজ ১০:৩১ দেখুন, “জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়” (হিব্রুজ ১০:৩১). আপনারা বসতে পারেন। ডাঃ জে.ভারমন ম্যাকগী এই পদটি সম্বন্ধে বলেন, ...ঈশ্বরের বিচার সেই সকলের [প্রতি] সামনেই রয়েছে “যারাই...সেই নিয়ম ও ব্যবস্থার রক্তকে...অশুচি বিষয় বলে মনে করে...”আমার বন্ধুরা, ক্রুশের উপরে আপনার জন্য যীশু যা করেছেন তা আপনি যদি অবজ্ঞা করেন,তবে আপনার সামনে বিচারদণ্ড ছাড়া আর কিছুই নেই। আপনার মধ্যে কোন প্রত্যাশাই নেই। (J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, Thomas Nelson Publishers, 1983, Volume V, p. 578; note on Hebrews 10:31). আপনি হয়তো বলবেন, “আমার মনে হয় না যীশুর রক্ত পবিত্র। আমি কেবল মনে করি তাঁর রক্ত কেবল অন্য সকলের মতোই। সেখানে কোন বিশেষ ব্যাপার নেই যীশুর রক্ত বলে।” যদি তাই, আপনি মনে করেন তবে আপনি দোষী-কেননা গ্রীক শব্দে “অশুচি”কে অনুবাদ করা হয়েছে “কিয়নস” অর্থে, যার অর্থ হল “স্বাভাবিক” (Strong, number 2839)। জর্জ রিকার বেরি মনে করেন ইহার অর্থ “সাধারণ, যা, অনেকের দ্বারা ভাগ করে নেওয়ার মতো।” আর “অশুচির” অর্থ হল সেটাই। ইহার অর্থ হল যীশুর রক্ত সাধারণ বা সকলের জন্য-ঠিক তেমনই যে ভাবে অন্য সকলের রক্ত, “অন্যের জন্য ভাগ করে নেওয়া হয়,” এই ভাবেই জর্জ রিকার তাকে উল্লেখ করেন। আমার কাছে ইহা এমন মনে হচ্ছে যেখানে ডাঃ জন ম্যাক আর্থার খ্রীষ্টের রক্তকে সাংঘাতিক ভাবে অতি নিকট থেকে “এক স্বাভাবিক বিষয়” বলে উল্লেখ করেন, “তাঁর রক্তের মধ্যে পরিত্রাণ করার কোন মূল্যই নেই।” (MacArthur Study Bible, note on Hebrews 9:7)। তার সেই নোটে “খ্রীষ্টের সেই রক্ত” হিব্রুজ ৯:১৪তে, ডাঃ ম্যাক আর্থার বলেন, “রক্তকে এখানে মৃত্যুর প্রতিশব্দ বলে ধরা হয়েছে”(ibid., note on Hebrews 9:14)। ধর্মতত্ত্বের উপরে তার যে পর্যবেক্ষণ (ibid., p. 2192) সেখানে ডাঃ ম্যাক আর্থার বলেন যে বাইবেলে “প্রতিটি শব্দ মৌখিক ভাবে অনুপ্রাণীত।” কিন্তু গ্রীক শব্দে হিব্রুজ ৯:১৪তে তা হল “হাইমা,” যার আক্ষরিক অর্থ হল “রক্ত।” তাই “রক্ত”কে মৃত্যুর প্রতিশব্দ বলে ধরা হলে “প্রতিটি শব্দ মৌখিকভাবে অনুপ্রাণীত” তা অস্বীকার করা হয়।” ডাঃ ম্যাক আর্থার যখন বলেন, “তাঁর রক্তে পরিত্রাণ করার কোন শক্তি নাই,” তখন ইহা আমার কাছে মনে হয় যেন তিনি খ্রিষ্টের রক্তকে বলছেন “এক স্বাভাবিক বিষয়” (হিব্রুজ ১০:২৯)। আর সেটা করার প্রতি হিব্রুজ ১০:২৯ তার বিরুদ্ধে এক তীব্র সাবধানবানী প্রকাশ করে! এই প্রকার শিক্ষায় সেকাহ্নে কোন জীবন নেই। আমার ধারনা ইহা শুকনো ও ভয়ঙ্কর। ডাঃ মার্টিন লয়েড-জোনস বলেছেন, বিনা প্রত্যাশাতেই, আপনি দেখবেন উদ্বীপনার প্রায় প্রতিটি সময়েই, খ্রীষ্টের রক্তের উপরে আসাধারণ ভাবেই এক গুরুত্ব আরোপ করা হয়ে থাকে। আর উদ্বীপনার সময় যে গান প্রায় সময়ে গাওয়া হয়, তা হল রক্তকে কেন্দ্র করেই গান। সেগুলোকে আমি আপনাদের কাছে উদ্ধৃত করতে পারি বেশ কিছু ভাষাতে। এর থেকে চারিত্রিক বৈশিষ্ট আর কিছুই হতে পারে না। আমরা দেখি প্রেরিতেরাও ইহাকে এইভাবে উদ্ধৃত করেছেন কলোসিয় ১-এ “তাঁর ক্রুশের রক্তের দ্বারা সন্ধি করিয়া...”- কি ভাবে তিনি সন্ধি স্থাপন করলেন? “...তাঁর ক্রুশের রক্ত দ্বারা” (২০ পদ). সত্য কথাটাই আমি আপনাকে বলবো। খ্রীষ্টের রক্ত যদি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে না হয়, তবে আপনি হারানো ব্যাক্তি, আপনি সেই অনন্তকালীন বিনাশক যন্ত্রণার মধ্যে যাচ্ছেন। সত্যি কথা বলতে কি কোন দিক দিয়েই আপনি প্রকৃত খ্রীষ্টান নন। এখানে এক যুবতী ব্যাক্তির সাক্ষ্যকে তুলে ধরছি যে তার কুড়ি বৎসর বয়সে আমাদের মন্ডলীতে যোগদান করেছিল। সেই মহিলা বলেন, আমি [ছিলাম]এক আশাহীন ও নিরাশাময় জীবনকে অনুমোদন জানিয়ে ছিলাম। মানসিকভাবে আমি জানতাম যে আমি পাপী, কিন্তু আমি আত্ম অনুকম্পার মধ্যে এতটাই মোড়কের মধ্যে ছিলাম যেখানে পাপের বিষয়ে আমার মধ্যে উদ্বেগ ছিল। পরিশেষে পবিত্র আত্মা আমাকে আমার অতীত দিনের পাপ সম্পর্কে চেতনা প্রদান করলো। তারা আমার কাছে হানা দিত থাকলো আর আমি কোনমতেই তাদের থেকে বার হয়ে আসতে পারলাম না। আমি বিস্মিত হতে থাকলাম, “কিভাবে আমি সেই সমস্ত পাপগুলো করতে পারি? কিভাবে আমি পাপের অতলে এতটা তলিয়ে গেলাম?” পবিত্র আত্মা আমার কাছে প্রকাশ করতে থাকলো যে এই সমস্ত পাপ গুলো এসেছে মন্দতা, অসরল শঠতাপূর্ণ হৃদয় থেকে, এবং আমার স্বভাবের সম্পূর্ণ দূঃশীলতা থেকে। আমি ইহাকে সম্পূর্ণ ভাবে বর্ণনা করতে অক্ষম যে কিভাবে তোমার হৃদয়ে ভাস্কর্য শিল্পের অন্ধকার ভাবের দর্শন প্রদান করা হল। ঈশ্বর দেখলেন আমি যেটা জানতাম সেটা অত্যন্তভাবেই লজ্জাজনক ও বিরক্তি কর বিষয়। সব-জানতা ঈশ্বরের সামনে আমি যেন নিজেকে ঘৃণার ঘোমটায় ঢেকে রেখেছিলাম; এক ঈশ্বর যিনি আমার চিন্তাসকল ও মনোভাব জানতেন; আমি যা কিছু করেছি তিনি সকলই জানেন, তা এমনকি মন্ডলীতে কাজ করার বিষয়েও, সেখানে আমি স্বার্থপর পাপের মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে ছিলাম। যতবার আমি মন্ডলীতে গিয়েছি ততোবারই আমি নিজেকে অন্যান্য খ্রিষ্টিয়ানদের মধ্যে কুষ্ঠ আক্রান্ত বোধ করেছি। তথাপি আমি খ্রীষ্টের উপরে নির্ভর করি নি। আমার কাছে “যীশু” ছিল কেবলমাত্র এক শব্দের ন্যায়, এক মতবাদ বা এমন একজন যে ছিল বলে আমি জানতাম তথাপি আমি যেন বহুদূরে ছিলাম। খ্রীষ্টের প্রতি আমার মধ্যে অপ্রকৃত কঠিন শীতল ভাব ছিল [আমি খ্রীষ্টকে চাই নি]। খ্রীষ্টকে [খুঁজে] বার করার চেষ্টা করা থেকে, আমি পরিত্রাণের অনুভবের প্রতি তাকিয়ে ছিলাম, বা অন্য কোন প্রকার “অভিজ্ঞতা” আমার বিশ্বাসকে [প্রমাণ] করে যেন। সেই যুবতী মহিলা যেন এক দুর্দশার মধ্যে ছিল। সে নিজেকে সুন্দর ভাবেই একটা মোড়কের মধ্যে রেখে দিয়াছিল। প্রায় লোকেরাই উপলব্ধি করতে পারেনি যে কি প্রকার দ্বন্দ্বের মধ্যে সেই মহিলা ছিলেন। কিন্তু ভিতরের দিক দিয়ে তিনি এক বেদনাময় অবস্থাতে ছিলেন, ঠিক জন বানিয়ান যেমন ছিলেন। আমি প্রায় চল্লিশ বৎসরের অধিক সময় ধরে উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ-বয়সী যুবক ব্যাক্তিদের পরামর্শ প্রদান করে আসছি। এখানে আমি আবিষ্কার করতে পেরেছি যে তাদের মধ্যে অনেকেই-বেশির ভাগই-এক মানসিক চাপ,ভয় এবং বিশৃঙখলার মধ্যে রয়েছে-ঠিক সেই মহিলা যেমন ছিলেন। তাদের অন্তরের ব্যাথার জন্য এদের অনেকেই ড্রাগ ও মাদক দ্রব্য সেবনে নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছে। অনেকে আবার তাদের মনে শান্ত করার জন্য সীমাহীন ভিডিও গেমস খেলে সময় কাটিয়ে দেয়। কেউ কেউ আবার অশ্লীল আচরণের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাদের মন যদি যৌনতার দ্বারা ব্যাস্ত রাখে, তবে তারা তাদের এই চিন্তাকে দূরে রাখে যে তারা কতোটা সাংঘাতিক ভাবে অসুখী। সাম্প্রতিক সময়ে আমি পড়েছি যে এই মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিতীয় স্থান থেকে এগিয়ে প্রথম স্থানে গিয়ে কলেজ-গামী ছাত্রদের প্রাণহানি করছে। তারা এতটাই গভীর ভাবে দুশ্চিন্তা গ্রস্ত, ও এতটাই অসুখী, যার জন্য তারা নিজেদের হত্যা করে। এক যুবক ব্যাক্তি আত্মঘাতী হওয়ার আগে এই নোট লিখে বলেন, “আমার মনকে বন্ধ করে নিজেকে ভুলে যাওয়ার প্রতি আমি অন্য আর কোন রাস্তার কথা চিন্তায় আনতে পারিনি।” আমি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছিলাম যে ১৫-২৫ বৎসরের মধ্যে লোকেরা এই জগতে সব থেকে নিজেদের বহু কঠিন বলে অনুভব করে। বন্ধুরা আপনার কাছ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। ছেলে বন্ধু বা মেয়ে বান্ধবী আপনাকে ছেড়ে দেয় ও আপনাকে একা করে দেয়। স্কুলের কাজ কঠিন হয়ে যায়, আর কোন কিছুতে একাগ্রতা নিয়ে আসতে আপনি কঠিনতা উপলব্ধি করেন। মনে হয় এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আর যেন কোন রাস্তাই আর নেই! আপনার পাপ থেকে উদ্ধারের জন্য ঈশ্বর আপনাকে একটা পথ করে দিয়েছেন-কিন্তু আপনার কাছে যেন ইহার কোন যৌক্তিকতাই নেই। ক্রুশের উপরে মৃত্যূবরন করার জন্য ঈশ্বর তাঁর একমাত্র পুত্রকে পাঠালেন আর তিনি তাঁর রক্ত দিলেন যেন আপনার পাপকে তিনি ধৌত করতে পারেন। কিন্তু ইহাও আপনার কাছে কোন মানসিকতাই প্রকাশ করেনা। আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন, “কি ভাবে কোন একজনের রক্ত যিনি ২০০০ বৎসর আগে জীবন যাপন করছেন তিনি আজকে আমার পাপকে দূর করতে পারেন?” আর তাই আপনি ব্যাথা ও দুঃখভোগের মধ্য দিয়ে যান, ঠিক সেই যুবতীর মতো যার বিষয়ে আমরা এই মাত্র পড়লাম। আমাদের মন্ডলীর একজন যুবতী মহিলা চারটি কলেজের বিভাগে শিক্ষা দেন। তিনি তার পিতাকে বলেন যে তার ক্লাশের যুবক ব্যাক্তিরা জানে যে সেখানে কিছু ভুল রয়েছে। তিনি বলেন যে তারা জানে যে রাজনৈতিক নেতারা তা ঠিক করতে পারবেন না। তারা জানে যে এই জগৎ হল তালগোলের জগৎ-আর সেখানে প্রকৃত ভাবে কোন আশা নেই। কিন্তু তারা কি করে ? তারা পুণরায় অন্য একটি ভিডিও খেলাতে নিজেদের মাথাকে নাড়তে থাকে, বা তারা তাদের মাথা ও মস্তিষ্কের মধ্যে ড্রাগ ও গাঁজার দ্বারা নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত করে। কেউ কেউ আবার কাজের নেশাতে ব্যাস্ত হয়ে থাকে, তাদের নিজেদের সমস্যাকে দূর করে ফেলার প্রতি তারা ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে কাজ করতে থাকে। এদের মধ্যে বহু সংখ্যক রয়েছে যারা আত্মহত্যা করে। কি সাংঘাতিক এক অপচয়! কেবলমাত্র তারা যদি দেখতে পেতো যে ইহা কেবলমাত্র পাপের কারণেই তারা ধ্বংসিত হচ্ছে না ! তারা যদি সেটাকে কেবলমাত্র তা বিশাস করে তবে “তাঁর পুত্র প্রভু যীশুর রক্ত আমাদের সমস্ত অধর্ম থেকে শুচী করে”(১ম যোহান ১:৭)। কিন্তু এই পাপী জগতের বেশির ভাগ লোকই মনে করে, যে যীশুর রক্ত কেবলমাত্র এক সাধারণ বিষয়-সেই বিষয়ে চিন্তা করাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আর সেটাই আমাদের দ্বিতীয় বিষয়ে নিয়ে যায়। ২. দ্বিতীয়, আপনি কি মনে করেন যে যীশুর রক্ত “বহু মূল্যবান”? প্রেরিত পীটার তাই করেছেন। তিনি বলেন,“আমরা ক্ষয়ণীয় বস্তু দ্বারা ভরপাই করতে পারি না... কিন্তু বহুমূল্য খ্রীষ্টের বহুমূল্য রক্ত দ্বারা মুক্ত হইয়াছি” (১ম পীটার ১:১৮,১৯)। পাপী যে কি তা তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। সকল বন্ধুদের হারানোটা কি তা তিনি অনুভব করতে পেরেছিলেন। তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বিবেকের চেতনায় সমস্যাগ্রস্ত হয়ে একাকী হয়ে ওঠাটা কি প্রকার। ঈশ্বরের মধ্যে বিশ্বাস না রাখাটা যে কি তা তিনি অনুভব করতে পেরেছিলেন। তার সব থেকে প্রিয় বন্ধুকে প্রতারণা করাটা যে কি যন্ত্রণার, অন্ধকারের মধ্যে একাকী হয়ে ওঠাটা যে কি ভীষণ তা তিনি জানতেন, আর তাই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন কেননা তিনি নিজে সেই জায়গাতে দৃঢ় থাকতে পারলেন না। এক পাপী হওয়া যে কি ভীষণ বিষয় তা তিনি অনুভব করতে পেরেছিলেন! এই কারণেই তিনি জানতেন আপনি উদ্ধার পেতে পারেন কেবলমাত্র, আপনি পাপের অন্তর্বেদনা থেকে পরিত্রাণ লাভ করতে পারেন- “কেবলমাত্র যীশুর বহুমূল্য রক্তের দ্বারা”(১ম পীটার ১:১৯)। “বহুমূল্য” ইহার অর্থ এর মধ্যে এক মহা মূল্যবোধ রয়েছে! “বহুমূল্য”র অর্থ হল ইহা রৌপ্য ও স্বর্ণের থেকেও মহা মূল্যবান! সেখানে একটা ধুয়া / গান রয়েছে যা এই ভাবে ব্যাক্ত করে, হীরকের ন্যায় ভুসম্পত্তি,পর্বতের ন্যায় সোনা, অথবা, যেমন মিঃ গ্রিফীথ অল্প কিছুক্ষণ আগে গেয়েছেন, আইস, ও পাপীরা, হারানো এবং আশাহীন, সেই যুবতী মহিলা যার বিষয় আমি আগেই উদ্ধৃত করেছি তিনি এই ভাবে বলতে থাকেন, আমার পাপ সকল যেন সীমাহীন সমুদ্রের গভীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। আমি ইহাকে আর গ্রহণ করতে পারছিলাম না। আমার ছিল খ্রীষ্টকে প্রয়োজন! আমার ছিল তাঁর রক্তের প্রয়োজন! তাই আমি নতজানু হয়ে এবং ... যীশুতে নির্ভর করে, তাঁকে বিশ্বাস করলাম। (আমি) মুক্ত ছিলাম আমার বোধশক্তির উপলব্ধি,সংক্রামক জড়িত ভাইরাসের রুচিবোধ থেকে আর নিশ্চয়তার ইচ্ছায়...আমি সেগুলোকে যেতে দিলাম আর ভেঙে ফেললাম পরিত্রাতার চরণে...। তিনি আমার পাপকে সিক্ত করলেন তাঁর বহুমূল্যে রক্তে; তিনি আমার পাপের নিদারুণ ভারকে দূর করে দিলেন! ...আমার খাতায় ছাপ পড়লো “দোষী নয়” তাঁর নিজের রক্তের দ্বারা...সেই যে পরিতৃপ্তি ও শান্তি যা পাপের ক্ষমা লাভ করার পরে ঈশ্বরের ক্রোধকে প্রশমিত করেছিল তা আমি সম্পূর্ণ ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবো না। আমি ইচ্ছা করি তারা সকলে, বিশেষ করে যারা আমার মতো জীবনে সংগ্রাম করে চলেছে, তারা পাপের ক্ষমাকে উপলব্ধি করতে পারে! তিনি আমার পাপের অপবাদকে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইহার সমস্তটুকুই মিটিয়ে দিলেন! সুসমাচার যা হল “শুভ সংবাদ,” যা আগে আমার কাছে নিষ্প্রভ ও জীবনহীন ছিল, তা আমার হৃদয়কে উত্তেজিত করে আনন্দে ও কৃতজ্ঞতায় ভরিয়ে দিয়েছে যখন আমি যীশুর সংবাদ শুণলাম। এর অধিক আমি আর কি বলতে পারি? আপনি যদি যীশুর কাছে আসেন, তবে আপনি আর তাঁর রক্তকে বলবেন না এক “স্বাভাবিক বিষয়।” ওহ, না! আর তখন আপনি এক মহা আনন্দে এবং প্রবল উৎসাহে বলতে সক্ষম হবেন “যীশুর সেই মহা মূল্যবান রক্ত" সম্বন্ধে (১ম পীটার ১:১৯)। আপনি যদি যীশুর রক্তের দ্বারা আপনার পাপ থেকে ধৌত হওয়ার বিষয়ে, আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান তবে অনুগ্রহ করে আপনার চেয়ার ত্যাগ করে এই মুঘুর্তে পিছনের অডিটরিয়ামের দিকে হেঁটে যান। ডাঃ কাগান আপনাকে আরো একটি কক্ষে নিয়ে যাবেন যেখানে আমরা বার্তালাপ ও প্রার্থনা করবো। তাই অনুগ্রহ করে এখনই পিছনের ওডিটরিয়ামে চলে যান। ডাঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে প্রার্থনা করুন যাতে কোন একজন আজকের সকালে যীশুতে নির্ভর করতে পারে। আমেন। (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ আবেল প্রধম্মেঃ হিব্রুজ ১০:২৬-৩১. |
খসড়া চিত্র সেই রক্ত-সাধারণ অথবা মূল্যবান ? THE BLOOD–COMMON OR PRECIOUS? লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি. “সামান্য বিষয় জ্ঞান করিয়াছে বা অপবিত্র করিয়াছে” (হিব্রুজ ১০:২৯). “খ্রীষ্টের মহামূল্য রক্ত” (১ম পীটার ১:১৯). ১. প্রথম, আপনি কি মনে করেন যে যীশুর রক্ত এক “অপবিত্র বিষয়”? ২. দ্বিতীয়, আপনি কি মনে করেন যে যীশুর রক্ত “বহু মূল্যবান”? |