এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
দত্তক গ্রহণ !ADOPTION! লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি. এক সংবাদ প্রচারিত হয় লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনেকেলে “এই কারণ যেহেতু আপনারা তাঁর সন্তান, ঈশ্বর আপন পুত্রের আত্মাকে আপনার নিকট হইতে আমাদের হৃদয়ে প্রেরণ করিলেন, ডাকিলেন, আব্বা,পিতা বলিয়া” (গালিতিয় ৪:৬). |
ত্রিত্ত্ববাদের যে তত্ত্ব বা মতবাদ তা খুবই সাধারণ। প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ানেরা এর সমস্ত শিক্ষাকে প্রত্যাখ্যান করে। ত্রিত্ত্ববাদের যে শিক্ষা তা হল খ্রীষ্টিয়ানিটির ভিত্তি। আর এখানে, আমাদের পাঠ্যাংশে, কেবলমাত্র একটি পদে ত্রিত্ত্ববাদের তিন পন্ডিতের সকলকেই ধরা হয়েছে। আমাদের বলা হয়েছে যে পিতা ঈশ্বর হলেন পরিত্রাণের রচয়িতা। আমাদের বলা হয়েছে যে যখন আমরা কনভার্ট বা রুপান্তরিত হই তখন থেকেই তিনি তাঁর পুত্রের পবিত্র আত্মাকে আমাদের মধ্যে প্রেরণ করেন। আমরা হয়তো সম্পুর্ণ ভাবে ত্রিত্ত্ব ঈশ্বরের ঐশ্বরিক ভাবকে বুঝে উঠতে পারি না। কিন্তু তাকে আমরা শাস্ত্রের মধ্যে প্রকাশিত হতে দেখি। সুতরাং বিশ্বাসের দ্বারাই আমরা ত্রিত্ত্ববাদকে গ্রহণ করে থাকি। পাঠ্যাংশ দেখায় যে ত্রিত্ত্ববাদের তিন ব্যাক্তিই হলেন ঈশ্বর। পাঠ্যাংশে দুবার পিতা ঈষ্বরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে-একবার উল্লেখ হয়েছে “ঈশ্বর” হিসাবে এবং পুণরায় “পিতা” হিসাবে। পাঠ্যাংশ ইঙ্গিত করে যে খ্রীষ্ট হলেন ঈশ্বর। দৈহিক ভাবে তিনি নারীর গর্ভে জন্মান। কিন্তু তাঁকে বর্ণনা করা হয়েছে “প্রেরণকারী” হিসাবে-সুতরাং জন্মের আগে থেকেই তিনি অস্তিত্ত্বমান ছিলেন। তাঁকে আবার “পুত্র” বলেও আখ্যা দেওয়া হয়-শাস্ত্রে যার অর্থ হল তাঁরও সেই জীবন (বা নির্যাস) ঠিক পিতার মতোই রয়েছে। এটাই প্রমাণ করে খ্রীষ্টের অবতারত্ব। এরপরেও, পবিত্র আত্মা এমন কিছু করেন যা কেবল ঈশ্বরই করতে সক্ষম। তিনি তাঁর সন্তানদের হৃদয় মধ্যে বিরাজ করেন। সুতরাং ত্রিত্ত্ববাদের তিন ব্যাক্তির নামই আমাদের রয়েছে-“পিতা ঈশ্বর,” “পবিত্র আত্মা,” এবং “তাঁর পুত্র।” একজন প্রকৃত খ্রীষ্টীয়ান জানেন যে আমাদের পরিত্রাণের জন্য ত্রিত্ত্ববাদের তিন ব্যাক্তিকেই প্রয়োজন। আমরা পিতাকে প্রেম করি এই জন্য কেননা তাঁর সন্তান হওয়ার জন্য তিনি আমাদের মনোনীত করলেন। আমরা পুত্রকে প্রেম করি কেননা আমাদের পাপ থেকে পরিষ্কার করার জন্য তিনি তাঁর রক্তকে ক্রুশের উপরে ঝরালেন। পবিত্র আত্মাকে আমরা প্রেম করি এইজন্য কেননা তিনি আমাদের পাপের বিষয়ে সচেতন করেন, ও আমাদের খ্রীষ্টের কাছে নিয়ে আসেন। এই কারণেই আমরা প্রত্যেক সভাতে এই দুটো ছোট গান গাই। প্রথমে, আমরা গাই ঈশ্বরের মহিমা জ্ঞাপনকারী গান, যা সপ্তবিংশতীতম শতাব্দীতে থমাস কেনের দ্বারা লিখিত হয়েছিল। যার কাছ থেকে সমস্ত আশীর্বাদ প্রবাহিত হয় তাঁর প্রশংসা হোক; সেই সঙ্গে আমরা “Gloria Patri,”-র সঙ্গীতটাও গাই যা দ্বিতীয় শতাব্দীতে এক অজ্ঞাত লেখকের দ্বারা লেখা হয়েছিল। গৌরব হোক পিতা, ও পুত্রের, এই দুটি গান প্রতি রবিবার দিনে আমাদের সভাতে গাওয়া হয়-কেননা তা প্রশংসা, উন্নত ও গৌরবাণ্বিত করে পবিত্র ত্রিত্ত্ববাদের, কেননা তিনি আমাদের ঈশ্বর! মরমনেরা বলে থাকে সেখানে আলাদা করে তিনটি পৃথক ঈশ্বর রয়েছে। কিন্তু তারা ভুল। সেখানে কেবলমাত্র একজন ঈশ্বরই আছেন, তিন ব্যাক্তিত্ত্বের অস্তিত্ত্বে। যিহোবার সাক্ষ্যরা যীশুর অবতারত্বকে অস্বীকার করে। কিন্তু তারা ভুল। যীশু হলেন ঈশ্বর, ত্রিত্ত্ববাদের দ্বিতীয় ব্যাক্তি। মুসলমানেরা অস্বীকার করে যে পুত্র ও আত্মা হলেন ঈশ্বর। কিন্তু তারাও ভুল। ত্রিত্ত্ববাদের মধ্যে রয়েছেন তিন ব্যাক্তিত্ত্ব। ধর্মতত্ত্বের দিক দিয়ে উন্মুক্তমনা প্রোটেস্ট্যান্ট, প্রভাবের দিক দিয়ে,তিন ব্যাক্তিকেই অস্বীকার করে, যে ভাবে আধুনিক ইউনেটেরিয়ানসরা-এই দুটি দল অজ্ঞেয়বাদকে ভালো ভাবে তুলে ধরে, আর প্রায় সময়ে বার বার নাস্তিকেরাও তা করে। উন্মুক্তমনা ধর্মতত্ত্ববাদ, কোমলমনা ফ্যুলার সেমিনারীর বৈচিত্রতা,বা একগুঁয়ে মনোভাবাপন্ন ক্লেয়ারমন্ট স্নাতক বিদ্যালইয়ের বৈচিত্রতা, ত্রিত্ত্ববাদকে মনে করে অতীতের এক পবিত্র স্মরণ চিহ্ন মাত্র,অথবা ধর্মতত্ত্বের ভ্রান্তবাদ। এটা,নিশ্চিতভাবে, সেই প্রকার উদারমনা অর্থেই ঈশ্বর সর্বদাই সেই একাত্মবাদের পিচ্ছিল ঢাল-আর, পরিশেষে, নাস্তিকবাদের প্রতি, যেখানে ঈশ্বর প্রত্যক্ষ ভাবেই পরিত্যাক্ত হয়েছেন। কিন্তু বাইবেল নিজে থেকেই শিক্ষা দেয় ঈশ্বর ত্রিত্ত্ববাদের মধ্যে আছেন-আর আমাদের অতি অবশ্যই একটি ঈশ্বরের কাছেই নতজানু থাকতে হবে-পিতা, পুত্র,এবং পবিত্র আত্মা। আমাদের অতি অবশ্যই ব্যাপটিস্ট ও প্রোটেস্ট্যান্ট উত্তরাধিকারে সত্য থাকতে হবে। সব থেকে সংখ্যা গরিষ্ঠ যারা নিজেদের “খ্রীষ্টিয়ান” বলে, যার মধ্যে আছে ক্যাথলিক ও অর্থডক্স, তারা ত্রিত্ত্ব ঈশ্বরের বিষয়ে শিক্ষা দেয়। ঐতিহাসিকভাবে ব্যাপটিস্ট এবং ইভাঞ্জিলিক্যাল ত্রিত্ত্ববাদের মতবাদকে ধরে রেখেছেন। “এই কারণ যেহেতু আপনারা তাঁর সন্তান, ঈশ্বর আপন পুত্রের আত্মাকে আপনার নিকট হইতে আমাদের হৃদয়ে প্রেরণ করিলেন, ডাকিলেন, আব্বা,পিতা বলিয়া” (গালিতিয় ৪:৬). পাঠ্যাংশের মধ্যে আমরা ত্রিত্ত্ববাদকে দেখলাম। এখন আমরা দেখবো যে তারা আমাদের কি বলতে চায়। ইহা সত্যই এক সুন্দর পাঠ্যাংশ, আর এর মধ্যে রয়েছে এক গভীর অর্থ। ১. প্রথম, পাঠ্যাংশ দত্তকত্ত্বের মতবাদ বা শিক্ষা নিয়ে কথা বলে। সেই পদটি বলে, “আর তোমরা পুত্র।” এবং সেটাই আগের পদের প্রতি, ফিরিয়ে নিয়ে যায় যা বলেছে...“যেন আমরা দত্তক পুত্রত্ত্ব প্রাপ্ত হই।” ঈশ্বরের দ্বারা দত্তক লাভ প্রয়োজন কেননা আমরা তাঁর স্বাভাবিক সন্তান নই। বাইবেল বলে যে আমরা হলাম “ঈশ্বরের বংশ”(প্রেরিত ১৭:২৯)। কিন্তু তা কেবলমাত্র আমাদের দৈহিক শরীরের প্রতি নির্দেশ করে,যা ঈশ্বরের দ্বারা সৃষ্ট হয়েছে। কিন্তু গালিতিয় ৪:৫ পদে “দত্তক পুত্রত্ব” সম্বন্ধে যে ভাবে বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকারের। পুণঃজন্ম, যাকে জানা যায় নুতন জন্ম হিসাবে, তা আমাদের ঈশ্বরের সন্তানের স্বভাব প্রদান করে। কিন্তু দত্তকে যা ঘটে, যে আমরা নতুন জন্ম লাভ করি, যা আমাদের ঈশ্বরের সন্তান হওয়ার অধিকার প্রদান করে। আমার পিতা আমার যখন দুই বছর বয়স তখন আমাকে ত্যাগ করে চলে যান। আমার বয় স তেরো হবার পরে আমি মায়ের সঙ্গে থাকতে পারিনি কেননা আমার জন্য সেখানে কোন ঘর ছিল না। তাই আমার বয়স ১৩ হলে আমি অন্য আত্মীয়ের সংগে বসবাস করতে যাই। কিন্তু সেখানেও ভীষণ ভাবে পারস্পরিক ঝগড়া ও মদ্যপানের দৌরাত্মে কোন এক বিকেলে, লন পার করে, বাগানের ভাঙা বেড়া ডিঙিয়ে, ডাঃ ও মিসেস ম্যাকগোয়েনের বাড়িতে চলে যাই। তারপরে তাদের ছেলে ও মেয়ের সংগে সেখানে আমি খেলা করি বা টিভি দেখতে থাকি। আমি সব সময়েই তাদের বাড়িতে, পিছনের দরজায় টোকা মারলে আমার জন্য কোন একজন দরজা খুলে ভিতরে নিয়ে নিত। কিন্তু একদিন মিসেস ম্যাকগোয়েন আমাকে বললেন, “রবার্ট, তোমাকে আর দরজাতে টোকা মারতে হবে না। তুমি এখানে সোজা চলে আসবে ভেতোরে।” সেই দিন থেকে আমি সেই বাড়িতে, পরিবারের একজন হিসেবে প্রবেশ করে থাকি। আর তারপরে সপ্তাহের বেশ কয়েক রাত্রে মিসেস ম্যাকগোয়েন আমাকে রান্নাঘরে আসার জন্য বলেন যেন তাদের সঙ্গে নৈশ খাবারে অংশগ্রহণ করি। সেটা আমাকে অত্যন্ত আনন্দ প্রদান করে, মনে হচ্ছিল আমি যেন আমি যেন তাদের এক সন্তানদের একজন। আমি বলেছি “প্রায়” তাদের সন্তানদের একজনের ন্যায়। সেই সময় থেকে চার বৎসর, আমার বয়স ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত, তারা যখন ছুটি কাটাতে যেত তখনও তারা আমাকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। তাদের কাছে আমি প্রচন্ড ভাবে কৃতজ্ঞ, আর প্রায় সময়ে আমি তাদের তা বলতাম। আমি সব সময়েই তাকে মাতৃদিবসের একটি কার্ড পাঠাতাম, এবং মিঃ ম্যাকগোয়েঙ্কে পিতৃদিবসের কার্ড পাঠাতাম-যতদিন তারা বেঁচে ছিলেন। সব সময়েই আমি তাদের বড়দিনের উপহার পাঠাতাম। তিনি যখন খুবই বৃদ্ধ হয়ে পড়েন, তখন আমি মিঃ ম্যাকগোয়েনকে এক জোড়া দামী চশমা দিই যেন বয়প্রাপ্তির সময়ে বিবর্ণভাবকে উপলব্ধি করতে না হয়। আমি যখন তার অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন করি তখন তার কফিনে সেই চশমাটা ছিল। তিনি প্রায় সময়ে আমাকে বলতেন যে তার কাছে আমি ঠিক পুত্রের ন্যায়। আমার মনে হয় তিনি জানতেন তার কাছে আমার যে গুরুত্ব, কেননা তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন তার বাবাও মারা যান, তারও ভার বহনকারী এক পিতা ছিলেন যিনি প্রচন্ড নীচ মনোভাবাপন্ন। হ্যাঁ, আমি প্রায় তাদের সন্তানদেরই একজন ছিলাম-প্রায়-কিন্তু সম্পূর্ণ ভাবে পুত্র ছিলাম না। এই ভাবেই আপনাদের কারো কারোর সাথে হয়ে থাকে। আপনারা মন্ডলীতে এসেছেন। আপনি প্রায় মনে করছেন যে আপনি মন্ডলীর পরিবারের-প্রায়। কিন্তু কিছু একটা সেখানে নেই। আপনি উপলব্ধি করছেন আপনি যেন এর মধ্যে নেই। সেটা হল দত্তক, যেটা আপনি হারাচ্ছেন! তাঁর এক সন্তান হিসাবে আপনাকে অতি অবশ্যোই দত্তক পুত্রের মতো হতে হবে, তা না হলে আপনি কোন মতেই মন্ডলীর অংশ হতে পারেন না। এমন কি আপনি খ্রীষ্টিয়ান পরিবারে জন্ম গ্রহণ করে এই মণ্ডলীতে বড় হয়ে উঠলেও, আপনি ততক্ষণ পর্যন্ত পরিতৃপ্ত হতে পারেন না যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি ঈশ্বরের পরিবারের মধ্যে দত্তক হিসাবে পুত্র রুপে বিবেচিত হচ্ছেন। স্পারজিউন বলেছেন একজন বাক্তি যিনি রুপান্তরিত বা কনভার্ট নন “যে শত্রু বা দস্যুর মতোই দাঁড়িয়ে থাকে, যে সন্তানের মতো নয়... বিরুদ্ধাচারী হিসাবে [ঈশ্বরের], সে পিতার প্রেম উপলব্ধি করবে এমন সন্তান হিসাবে নয়।” ঈশ্বরের সন্তান হওয়ার জন্য আপনাকে অতি অবশ্যই দত্তকপুত্রের ন্যায় কনভার্ট বা রুপান্তরিত হতে হবে, আর তবেই পুত্রত্বের অধিকার উপভোগ করবে। ১৭৭৭ সালে অজ্ঞাতনামা একটি গান লেখা হয়েছিল যা বলে, ঈশ্বরের মনোনয়নেই আমরা সন্তান, ২. দ্বিতীয়, পাঠ্যাংশ যারা রুপান্তরিত হয়েছেন তাদের মধ্যে পবিত্র আত্মার আবাসের বিষয়ে বলে। “আর তোমরা পুত্র, এই কারণ ঈশ্বর আপন পুত্রের আত্মাকে আপনার নিকট হইতে তোমাদের হৃদয়ে প্রেরণ করিলেন...” (গালিতিয় ৪:৬). পবিত্র আত্মা পিতার কাছ থেকে আমাদের প্রদান করা হয়েছে। আর আমরা যখন উদ্ধারলাভ করি তখন ঈশ্বর পবিত্র আত্মাকে আমাদের হৃদয়ে প্রেরণ করেন। এখানে লক্ষ্য করুন পাঠ্যাংশ বলে ঈশ্বর পবিত্র আত্মাকে “আপনার হৃদয়ে” পাঠান। ইহা বলছে না যে তিনি পবিত্র আত্মাকে আপনার মস্তিষ্কে পাঠান বলে। সেই আত্মা আপনার হৃদয়ে আসে। আপনার হৃদয় হলো আপনার অস্তিত্ত্বের এক মুখ্য সত্ত্বা। বাইবেল বলে, “লোক হৃদয়ে বিশ্বাস করে ধার্মিকতার জন্য” (রোমিয় ১০:১০). আপনি যখন ঈশ্বরের সন্তান হন তখন আপনি পবিত্র আত্মার দ্বারা মুদ্রাঙ্কিত হন, যিনি শান্তি আনেন এবং আপনাকে ঈশ্বরের নিকটবর্ত্তী করেন, এবং তাঁর সহভাগীতায় নয়ে আসেন। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার পরিবর্তে, ঠিক বয়স্ক পুত্রের মতোই, আপনি ঈশ্বরের সঙ্গে সহ ভাগীতা করতে আসেন, ঠিক হারানো পুত্রের মতোই যে রুপান্তরিত বা কনভার্ট হয়েছিল। সেখানে তারাও রয়েছে যারা খ্রীষ্টিয়ান বলে দাবী করে,কিন্তু কোন সময়েই এটাকে অনুভব বা উপলব্ধি করতে পারে নি। যারা পুত্র নয়, তারা আত্মার অবস্থান বা উপস্থিতি সম্বন্ধে কিছুই জানে না। আমরা এর দ্বারা কি অর্থ করছি তাতে তারা বিস্মিত হয়ে যান। কোন কোন সময়ে তারা এমন কি আমাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে, এই কথা বলে যে আমাদের মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যা তাদের নেই। আমার মনে হয় সেটাই হয়তো এমন কোন যুক্তি যার জন্য কেইন আবেলের হত্যা করে। আমার মনে হয় এই কারণেই বড় ভাই তার হারিয়ে যাওয়া ভাইএর প্রতি রাগ করেছিল যখন পিতা তার ছোট পুত্রের জন্যে দেওয়া ভোজে আনন্দ করছিল কেননা পিতা তাকে গ্রহণ করেছেন এই ভেবে। “তাহাতে সে ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিল, ভিতরে যাইতে চাহিলো না”(লিউক ১৫:২৮). সুতরাং পিতা বাহিরে আসিয়া তার কাছে “সাধ্যসাধনা করিল”- ভিতরে যাইবার জন্য(লিউক ১৫:২৮). খ্রীষ্টের কাছে আসার জন্য ঈশ্বর আপনাকে সাধ্য সাধনা করছেন, আর তাই তাঁর দত্তক পুত্রের সুযোগ গ্রহণ করে আনন্দকে উওপভোগ করুন! পুরাতন এই গানটি শুণুন, “তোমার হৃদয় আমাকে দাও,স্বর্গের পিতা বলেন, আপনি যখন আপনার হৃদয় যীশুর কাছে উৎসর্গ করেন, তখন আপনি ইহা গাইতে সক্ষম হবেন, আমি হলাম সেই রাজার সন্তান,এক রাজার সন্তান; ৩. তৃতীয়, এই পাঠ্যাংশ এক নতুন অন্তরঙ্গতা এবং ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসার কথা বলে। “আর তোমরা পুত্র, এই কারণ ঈশ্বর আপন পুত্রের আত্মাকে তাঁর নিকট হইতে আমাদের হৃদয়ে প্রেরণ করিলেন, ডাকিলেন আব্বা, পিতা বলিয়া” (গালিতিয় ৪: ৬). পাঠ্যাংশের শেষ তিনটি শব্দ লক্ষ্য করুন, “কাঁদিলেন, আব্বা, পিতা বলিয়া ।” এখানে লক্ষ্য করিবেন এটাই হল সেই আত্মা যা ডাকে,“আব্বা ও পিতা” বলে । এটা অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক বিষয়। রোমিয় বইয়েতে প্রেরিত পলও এই বিষয়ে বলেছেন। তিনি বলেছেন, “বস্তুতঃ তোমরা দাসত্বের আত্মা পাও নাই যে আবার ভয় করিবে; কিন্তু দত্তক পুত্রতার আত্মা পাইয়াছ, যে আত্মাতে ডাকিয়া উঠি আব্বা, পিতা বলিয়া।” (রোমিয় ৮:১৫). প্রথমত আত্মা নিজে থেকেই, “আব্বা, পিতা” বলিয়া ডাকে। এরপরে আমরা নিজেরা ডাকতে সক্ষম হই,“আব্বা, পিতা” বলে। পবিত্র আত্মা প্রথমে ডাকেন আর তার পরেই আমরা ডাকি-“আব্বা, পিতা।” সেই ভাবে ডাকার জন্য পবিত্র আত্মাই আমাদের অনুপ্রাণীত করে তখন যখন আমরা রুপান্তরতার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের সন্তান হই! “আব্বা” হল একটা শিশুর শব্দে “পিতা”। “আব্বা” শব্দটি হল ক্ষুদ্রতাবোধক অনুসর্গ যা’কে আরামিয়াতে পিতা বলে সম্বোধন করা হয়। ইহা হল আদর করার একটি পরিভাষা যা কিশোর সন্তানেরা তাদের পিতার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে। ইহাকে আবার “পাপা” বলেও অনুবাদ করা যেতে পারে অথবা “ড্যাডি।” স্পারজিউন বলেন “আব্বা” হল এক “উষ্ণ, স্বাভাবিক, স্নেহশীল শব্দ, যা একজন যিনি ঈশ্বরের ছোট্ট সন্তান তার জন্য উপযুক্ত শিরোনাম।” যীশু যখন গেৎশিমানির বাগানে দুঃখভোগ করছিলেন, তখন তিনি ভূমিতে পড়ে প্রার্থনা করলেন,“আব্বা, পিতঃ...আমার নিকট হইতে এই পানপাত্র দূর কর”(মার্ক ১৪:৩৬)। তিনি ভয় পাচ্ছিলেন ক্রুশে যাওয়ার আগেই যদি তাঁর মৃত্যু হয় এই বাগানে-সুতরাং তিনি তাঁর স্বর্গস্থ পিতার নিকট প্রার্থনা করলেন-“আব্বা, পিতঃ...আমার নিকট হইতে এই পানপাত্র দূর কর।” এই ডাক বলে দেয় যে পিতা ঈশ্বরের কাছে তার এই পুত্র কতোটাই না প্রাণের! আর আপনি যখন রুপান্তরিত বা কনভার্টেড হয়েছেন, ঈশ্বরের এক দত্তক পুত্র ও সন্তান হিসাবে,তখন আপনিও প্রার্থনা করতে সক্ষম হবেন,ঠিক যেমন ভাবে যীশু করেছেন, “আব্বা, পিতা!” আপনার পাপ থেকে ফিরে যীশুতে নির্ভর করুন। ঠিক সেই মুহুর্তে তাঁর রক্ত আপনাকে পাপ থেকে ধৌত করবে, আর তাঁর পুণরুত্থানকারী পরাক্রমী শক্তি আপনার হৃদয়কে উন্মুক্ত করবে,আর আপনি ঈশ্বরের দত্তক রুপে স্বীকৃতি লাভ করবেন! চিরকালের জন্য আপনি তাঁর সন্তান হবেন! এরপরেই আপনি গাইতে সক্ষম হবেন “সেই রাজার এক সন্তান”- এক সময়ে এই জগতে আমি ছিলাম তাড়িত ও অপরিচিত, আর তাই আপনি চার্লস ওয়েসলির সাথে গাইতে সক্ষম হবেন, আমার ঈশ্বর পুণর্মিলিত করেছেন, তাঁর ক্ষমার রব আমি শুণতে পাই; এখনই যীশুর কাছে এগিয়ে আসুন, বিশ্বাস নিয়ে। তাঁর উপর নির্ভর করুন আর অবিলম্বে ঈশ্বরের সন্তানে রুপান্তরিত হবেন! তাঁর রক্তের দ্বারা খ্রীষ্ট আপনার পাপকে পরিষ্কার করবেন আর তাঁর পুণরুত্থানের মধ্য দিয়ে আপনাকে জীবন দান দেবেন। আপনি যদি প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ান হবার জন্য আমাদের সাথে কথা বলতে চান, তবে অনুগ্রহ করে এখনই আপনার বসার স্থান পরিত্যাগ করে এই অডিটরিয়ামের পিছনের কক্ষে চলে যান। ডাঃ কাগান আপনাকে একটি কক্ষে নিয়ে যাবেন যেখানে আমরা আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দেব আর প্রার্থনা করবো। এখনই যান। ডাঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে প্রার্থনা করুন যেন আজকের সকালে কেউ একজন যীশুতে নির্ভর করতে পারে। আমেন। (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ আবেল প্রধম্মেঃ গালিতিয় ৪:৩-৭. |
খসড়া চিত্র দত্তক গ্রহণ ! ADOPTION! লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি. “এই কারণ যেহেতু আপনারা তাঁর সন্তান, ঈশ্বর আপন পুত্রের আত্মাকে আপনার নিকট হইতে আমাদের হৃদয়ে প্রেরণ করিলেন, ডাকিলেন, আব্বা,পিতা বলিয়া” (গালিতিয় ৪:৬). ১. প্রথম, পাঠ্যাংশ দত্তকত্ত্বের মতবাদ বা শিক্ষা নিয়ে কথা বলে, ২. দ্বিতীয়,পাঠ্যাংশ যারা রুপান্তরিত হয়েছেন তাদের মধ্যে পবিত্র আত্মার আবাসের ৩. তৃতীয়, এই পাঠ্যাংশ এক নতুন অন্তরঙ্গতা এবং ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসার কথা |