এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
মন্ডলীতে হারিয়ে যাওয়া সদস্য এবং মেষ চুরি করা প্রচারকেরা( শেষ সময়ের মন্ডলী – দ্বিতীয় ভাগ) লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জে আর| ২০১৩ সালের, ১৯ শে অক্টোবর, শনিবারের সন্ধ্যায় লস এঞ্জেলসের ব্যাপটিষ্ট ট্যাব্যারনাকালে এক সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল “পরে যীশু, ধর্মধাম হইতে বাহির হইয়া গমন করিতেছেন: এমন সময়ে তাঁর শিষ্যরা তাঁহাকে ধর্মধামের গাঁথনি সকল দেখাইবার জন্য নিকটে আসিলেন| কিন্তু তিনি উত্তর করিয়া তাঁহাদিগকে কহিলেন, তোমরা কি এই সকল দেখিতেছ না? আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, এই স্থানের একখানি পাথর অন্য পাথরের উপরে থাকিবে না, সমস্তই ভূমিসাৎ হইবে| পরে তিনি জৈতুন পর্বতের উপরে বসিলে, শিষ্যেরা বিরলে তাঁহার নিকটে আসিয়া বলিলেন, আমাদিগকে বলুন দেখি, এই সকল ঘটনা কখন হইবে? আর আপনার আগমনের, ও যুগান্তের চিহ্ন কি?” (মথি ২৪:১-৩)| |
যীশু যিরুশালেমে মন্দিরের বাইরে গেলেন| জগতের সেই প্রান্তে ইহা ছিল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এক অট্টালিকা| শিষ্যরা তাঁর নিকটে এলেন| তারা চাইছিলেন তিনি যেন সেই অট্টালিকার চারপাশটা তাদের দেখান যেটা সেই মন্দিরেরই সন্নিহিত ছিল| যীশু যখন সেই মন্দির চত্বর থেকে হেঁটে বাইরের দিকে গিয়ে তিনি শিষ্যদের বললেন, “তোমরা কি এই সকল পাথর দেখিতেছ? আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, এই স্থানের একখানি পাথর অন্য পাথরের উপর থাকিবে না; সমস্ত ভূমিসাৎ হইবে” (এন আই ভি)| আমি ও আমার স্ত্রী যখন যীরুশালেমে ছিলাম তখন আমরা একটা জায়্গাতে গিয়েছিলাম যেখানে মন্দিরটি দাঁড়িয়ে ছিল| রোমীয় সেনা অধ্যক্ষ টাইটাস এসে ৭০ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দে যিরুশালেম নগরীকে ধ্বংস করেন| সম্পূর্ণ মন্দিরকে টুকরো করে ভেঙ্গে ফেলা হয়, এবং যে পাথর দিয়ে ইহা তৈরী করা হয়েছিল তা রোমীয়দের দ্বারা ছিন্নভিন্ন করা হয়| কেবলমাত্র মন্দিরের বাইরে একটি দেওয়াল অবশিষ্ট ছিল| ইহাকে বলা হয় “বিলাপকারী দেওয়াল”| সারা বিশ্ব থেকে যিহুদী লোকেরা এই দেওয়ালের কাছে আসেন মশীহের আগমনের এবং তাদের মন্দির পুনঃর্নিমান করার জন্য| আমার পুত্র লেসিলে যখন সেখানে গিয়েছিল, তখন তার সঙ্গে ছিল গোঁড়া এক যিহুদী ব্যক্তি| সে যখন সেই বিলাপকারী দেওয়ালের উপর হাত দিয়ে প্রার্থনা করছিল তখন এক রাব্বাই মনে করেছিলেন যে সে যিহুদী| তখন তিনি লেসিলের পিছনে এসে তাকে তেল দিয়ে অভিষিক্ত করেন! রোমীয়দের দ্বারা সেই মন্দিরের ধ্বংস তা আমাদের কাছে এক প্রাচীন ইতিহাস| কিন্তু যীশু যখন তাদের বলছিলেন যে ইহা ঘটবে তখন আমি নিশ্চিত শিষ্যরা এই বিষয়ে বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন| তিনি বলেছিলেন, “এই স্থানে একখানি পাথর অন্য পাথরের উপরে থাকিবে না, সমস্তই ভুমিসাৎ হইবে”| সেই যে ভবিষ্যবাণী তা আক্ষরিকভাবে টাইটাস ও রোমীয় সৈন্যদের দ্বারা চল্লিশ বৎসর পরে পূর্ণ হয়েছিল| এরপর যীশু মন্দির চত্বর থেকে সামান্য দূরে জৈতুন পর্বতে গেলেন| তিনি যখন পর্বতের পাশে গিয়ে বসেন তখন শিষ্যরা তাঁর নিকটে এসে এই দুটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন| ১| এই সমস্ত ঘটনা কখন ঘটবে? [কখন মন্দিরটা ধ্বংস হবে?]| ২| জগতের শেষ, ও আপনার আগমনের চিহ্নই বা কি – [যাকে আমরা এই যুগে; জগতের শেষ সম্বন্ধে জেনে থাকি?]| তাদের প্রথম প্রশ্নের যে উত্তর মথির সুসমাচারে তার উল্লেখ নেই| ইহা নথিভুক্ত হয়েছে লুক ২১:২০-২৪ পদে| সেই পদগুলোতে তিনি বলেছেন যিরুশালেম সৈন্যগনের দ্বারা বেষ্টিত হবে, “লোকেরা খড়্গাধারে পতিত হইবে, এবং বন্দী হইয়া সকলের মধ্যে নীত হইবে: আর জাতিগনের সময় সম্পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত, যিরুশালেম জাতিগনের পদদলিত হইবে” (লুক ২১:২৪)| মথি লিখিত সুসমাচার আলোকপাত করে যে যীশু হলেন ইস্রায়েলের রাজা| সে তথ্য এখানে উপযুক্ত নয়| ইহা নথিভুক্ত হয়েছে লুক সুসমাচারে, যা পরজাতিদের বিষয়ে আরো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কথা বলে| কিন্তু যীশুর শিষ্যদের দ্বিতীয় প্রশ্নের যে উত্তর তা মথি লিখিত সুসমাচারে এই অধ্যায়ে বিশদভাবে দেওয়া হয়েছে| তারা জিজ্ঞাসা করে, “এই জগতের শেষ, ও আপনার আগমনের চিহ্নই বা কি হইবে?” এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার জন্য তাদের তিনি তিরস্কার করেন নি| তিনি এটাও বলেননি, “সেখানে কোন চিহ্ন থাকবে না বলে”| এটা করার জন্য তাঁর কাছে এটা ছিল, নিখুঁত এক সুযোগ| এগুলো ছিল তাঁর আগমনের দ্বিতীয় চিহ্ন এবং জগতের শেষ, এই যুগের শেষ| হ্যাঁ, বাইবেল শিক্ষা দেয় যে এই যুগের শেষ হবে, এবং এই জগতেরও সমাপ্তি হবে। বুদ্ধধর্ম শিক্ষা দেয় যে ইতিহাস হলো আবর্তনকারী বৃত্তের ন্যায়, যা সীমাহীন বৃত্তে ঘুরতে থাকে। ডিসনি লিওন কিং জীবন বৃত্তের কথা বলে, তা হল তিনি বুদ্ধের ইতিহাসিক দর্শন সমন্ধেই বলছিলেন। কিন্তু বাইবেল শিক্ষা দেয় যে ইতিহাস হলো আবর্তনকারী বৃত্তের ন্যায়, যেটা যথার্থ ভাবে, বৃত্তাকারে যাওয়ার থেকে বরং এক সীমারেখা বরাবর যায়। ইহার মধ্যে রয়েছে আরম্ভ, মধ্যস্থান, এবং সমাপ্তকারী জায়গা| শুরুতেই ঈশ্বর এই জগৎকে সৃষ্টি করেছেন শূন্য থেকেই| যীশুখ্রীষ্ট এই জগতে প্রবেশ করলেন ইতিহাসের মধ্যসময়ে| সেই শেষকালে এই জগতের সমাপ্তি ঘটবে অগ্নির দ্বারা| সুতরাং তাঁর দ্বিতীয় আগমন এবং এই জগতের শেষের বিষয়ে তারা তাঁর কাছ থেকে এক চিহ্ন যাচনা করেন – যাকে আমরা জগতের শেষ বলেই জানি| তাদের তিনি অনেক চিহ্নই দিয়েছিলেন| ডাঃ জন এফ. ওয়ালভোর্ড বহুবৎসর কাল ডালস থিয়োলজীক্যাল সেমিনারীর সভাপতি ছিলেন| তিনি আবার বাইবেলের ভবিষ্যবিষয়ে অতি উচ্চ পর্যায়ে মর্যাদাপ্রাপ্ত ব্যাখ্যাকারী ছিলেন| ১৯৮০’র সময়ে তিনি আমাদের মন্ডলীতে প্রচারও করেছিলেন| মথি ২৪:৪-১৪ পদে যীশু যে “চিহ্নের” বিষয়ে বলেছেন, তাকে ডাঃ ওয়ালভোর্ড বলে থাকেন, “সাধারন চিহ্ন, যা এখন পর্যবেক্ষন করা যায় কিন্তু তা সেই ভীষন দুঃখ কষ্টের সময়ে আরো বেশী চিত্রলিখনের দ্বারা তা পূর্ণতা লাভ করে” (John F. Walvoord, Th.D., Major Bible Prophecies, Zondervan Publishing House, 1991, p. 254)| ডাঃ ওয়ালভোর্ডে’র বিবৃতির বিষযে আমি সম্মতি প্রদর্শন করছি| আজকে আমরা জগতের চারপাশে এই “স্বাভাবিক চিহ্নের” বিষয়ে দেখতে পাই| মথি সুসমাচার ২৪:৪-১৪ পদে যীশু যে চিহ্ন দিয়েছেন তা এই প্রকার: ১| ভ্রান্ত খ্রীষ্ট, ২৪:৫| আমি বিশ্বাস করি প্রাথমিক ভাবে এটা নির্দেশ করে সেই সমস্ত মন্দ আত্মা সম্বন্ধে যা যা খ্রীষ্টরূপে দৃশ্যমান হয়| ২৪ পদে যীশু বলেছেন, “ভ্রান্ত খ্রীষ্টেরা, ও ভ্রান্ত ভাববাদীরা উঠিবে”| আমি বিশ্বাস করি এগুলো হল খ্রীষ্টের ভ্রান্ত ভাববাদী বা মন্দ আত্মা সম্বন্ধীয় প্রতারক, যেমন ধরুন মরমনের খ্রীষ্ট, যিহোবা উইটনেশের আত্মায় খ্রীষ্ট, খ্রীষ্টীয়ান বিজ্ঞানের খ্রীষ্ট, সেই খ্রীষ্ট, অথবা ঈশা, কোরান বা ইসলাম, প্রোটেস্টান্ট ধর্মতত্ত্বের উদারমনা খ্রীষ্ট, অথবা রোমান ধর্মতত্ত্বের “খ্রীষ্ট”| ভ্রান্ত ভাববাদীরা হলেন এমন শিক্ষক যারা ভ্রান্ত খ্রীষ্টকে উন্নত করে! এগুলো হল যীশুর ভ্রান্ত বিষয়ে প্রতারনাকারী, ভ্রান্ত মন্দ আত্মা| বস্তুত ভ্রান্ত খ্রীষ্টের যে উথ্থান এমন এক চিহ্ন যা বলে যে আমরা এক শেষ সময়ে বসবাস করছি| ২| যুদ্ধের শব্দ ও যুদ্ধের জনরব| ইতিহাসের প্রথমবার এই বিংশতিতম শতাব্দীতে দুটি বিশ্ব-ব্যাপী যুদ্ধ হয়েছে| সেই তখন থেকেই জগতের বিভিন্ন জায়গাতে যেখানে প্রায় ক্রমান্বয়ে যুদ্ধ লেগেই চলেছে| ৩| দুর্ভিক্ষ| আজকের এই জগতের প্রায় প্রতি বৎ্সরেই লক্ষ লক্ষ লোক দুর্ভিক্ষের কারনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে| গত ১০০ বৎসরের মধ্যে অন্য যে কোন একটি কারনে আরো বেশী লোক খাদ্য অভাবে মৃত্যুবরন করেছে| আমাদের আমেরিকাতে এখন পর্যন্ত অনেক খাদ্য রয়েছে| কিন্তু প্রকাশিত ৬ এর অধ্যায়ে “কৃষ্ণবর্ণ অশ্ব” আমাদের সময়ে উন্নতশীল দেশগুলোতে দুর্ভিক্ষের এক আতঙ্ক বহন করে নিয়ে চলেছে| ৪| প্লেগ| গ্রীক পাঠ্যাংশের সঠিক বিষয়টা জগতের শেষ সম্বন্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নের বিষয়ে বলে| নতুন রকমের ব্যাধি, যেমন এইডসের মতো ব্যাধি, উন্নতশীল দেশগুলোতে অগনিত মৃত্যু ঘটিয়েছে| অনেক পূর্বতন আদিম জায়গাতে ঔষধপত্র এখনও পর্যন্ত প্রাপ্য নয়| বার্ড ফ্লু এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা, এবং অচিকিৎসনীয় মহামারী আজকে যেন ক্রমাগতভাবে এক আশঙ্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে| ৫| ভূমিকম্প| ভীষনভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারনে, ভূমিকম্পও সাংঘাতিকভাবে বৃদ্ধিলাভ করেছে, আর তা তখন থেকেই বহু লোকেদের মধ্যে প্রভাব ফেলছে| বাইবেল ভবিষ্যবাণী করে যীশুর আগমনের আগে শিলাবর্ষনের বিষয়| ইহা জগতের বৃহত্তর নগরীগুলোকে ধ্বংস করে দেবে (প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৮-২০)| ৬| মৃত্যুযাতনা এবং তাড়না| খ্রীষ্টীয়ানদের মধ্যে তাড়না, এবং এমনকি খ্রীষ্টের জন্য হত্যা, আমাদের এই যুগের এক চারিত্রিক বৈশিষ্ট| বহু লক্ষাধিক তাদের বিশ্বাসের জন্য মৃত্যুবরন করেছেন| মথি ২৪:৯-১০ পদে যীশু এই বিষয়ে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন| ৭| ভ্রান্ত বা ভ্রান্ত ভাববাদী| গত ১০০ বৎসরের মধ্যে প্রচন্ডভাবে ভ্রান্ত শিক্ষক এবং জাল ও নকল ধর্ম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে ইতিহাসে অন্য যে কোন সময়ের থেকেও, তা এমনকি ধর্মতত্ব সম্বন্ধীয় উদারনীতিতেও, যারা বাইবেলকে অস্বীকার করে, আর তা প্রায়সংখ্যক মুখ্য ধর্মতত্ত্ববিদ বিদ্যালয়েও তা শেখানো হয়, ঠিক যেমনটি ক্যালিফোর্নিয়ার, পাশাডিনার ফুলার সেমিনারীতে হয়ে থাকে| ৮| স্বেচ্ছাচারিতা এবং খ্রীষ্টীয়ান প্রেমের হানি| “আর অধর্মের বৃদ্ধি হওয়াতে, অধিকাংশ লোকের প্রেম (আগাপে) শীতল হইয়া যাইবে (বেড়ে যাবে)” (মথি ২৪:১২)| মথি ২৪:১২ পদের মধ্যে “অধর্মের বৃদ্ধি বা অধর্ম” শব্দকে গ্রীক ভাষাতে অনুবাদ করা হয়েছে “স্বেচ্ছাচারী” হিসাবে| এর গ্রীক শব্দ হল “এনোমিয়়া”| ইহা সেই “খ্রীষ্টীয়ানদের” নির্দেশ করে যারা স্বেচ্ছাচারীভাবে জীবন যাপন করে| ইহার ইংরেজী শব্দ হল “বিরোধিতা”| আর এইভাবেই যীশু ভবিষ্যবাণী করেন যে শেষ সময়ে মন্ডলীসমূহ মাংসীকভাবে এবং স্বেচ্ছাচারী বিরোধিতায় ভরে উঠবে| বেশ কিছু আত্মায় পূর্ণ মধ্যপন্থী লোকেদের যাদের আমি জানি তারা এমন বিরোধীসম্পন্ন যারা খ্রীষ্টীয়ান বলে দাবী জানায়| আজকের মন্ডলীতে তারা পরিপূর্ণ| তারা কলুষপরায়নার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে এমনভাবে আমাকে আক্রমন করে সেই বিষয়ে আমি একটা পুরো বই লিখতে পারি| হতে পারে কোন একদিন আমি হয়তো তা লিখবো| তাদের আচরনে আমি এতটাই নিরুৎসাহ হয়ে পরি যেখানে আমি চিন্তাও করেছিলাম যেন পরিচর্যার কাজ থেকে নিষ্কৃতি নিই| কোন কোন সময়ে এই স্বেচ্ছাচারী লোকেরা এতটাই মন্দতায় পূর্ণ তা বাস্তবপক্ষে আমাকে প্রভাবিত করে যেন মন্ডলী পর্যন্ত পরিত্যাগ করি| আর সেটাই প্রসঙ্গত এমন একটা প্রভাব যা প্রকৃত খ্রীষ্টীয়ানদের মধ্যে রয়েছে| বেশ কিছু মধ্যপন্থার লোক যাদের আমি জানি তারা বলেছেন যে তারা নূতন জন্মপ্রাপ্ত খ্রীষ্টীয়ান! এই সমস্ত নামধারী খ্রীষ্টীয়ানদের মধ্যে স্বেচ্ছাচারীতা বেড়ে যাওয়ার ফলে, এমনকি খ্রীষ্টীয়ানদের মধ্যে “আগাপে” প্রেম শীতল হয়ে যাবে! আর সেটাই হল খ্রীষ্টের বলার অর্থ যা মথি ২৪:১২ পদে উল্লেখ করা হয়েছে| ডাঃ ম্যাকগী বলেছেন, “অধর্মচারী য্খন প্রচন্ড, তখন অনেকের প্রেম শীতল হয়ে যায়, আর এটা এমনকি আরো সত্য হয়ে উঠবে জগতের শেষ সময়েও” (J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, Thomas Nelson Publishers, 1983, volume IV, p. 127; মথি ২৪:১২ পদের নোট)| ডাঃ তিমথি লিন ছিলেন চাইনিজ ব্যাপটিষ্ট মন্ডলীতে আমার পালক যিনি ২৩ বৎসর যাবৎ পালকত্ব করেন| শেষ সময়ে মন্ডলীর অবস্থা ও কথা বলার সময়ে, ডাঃ লিন বলেন, “আজকে ‘একে অপরকে প্রেম করার বিষয়টা’ মন্ডলীতে যেন যন্ত্রের মতো মন্ত্রপড়া বিজ্ঞাপন হয়ে উঠেছে, কিন্তু যত্নশীলতা কেবল সামান্যই... মন্ডলী যখন প্রেমের নির্যাস বিষয়ক গুরুত্বকে বুঝে না ওঠে.. তখন ঈশ্বরের পক্ষে মন্ডলীর সঙ্গ দেওয়াটা যেন অসম্ভব হয়ে ওঠে” (Timothy Lin, Ph.D., The Secret of Church Growth, FCBC, 1992, p. 33)| “কিন্তু যে কেহ শেষ পর্যন্ত স্থির থাকিবে, সেই পরিত্রান পাইবে” (মথি ২৪:১৩)| প্রকৃতভাবে যে ব্যক্তি রূপান্তরিত বা পরিবর্তিত তারাই “গুপ্তরূপে আনিত কয়েকজন ভ্রান্ত ভ্রাতার” (গালাতীয় ২:৪) নিষ্ঠুর এবং সক্রিয় বিরোধিতাময় আত্মার প্রতিরোধ করতে পারে| মাংশীক এই প্রকার মন্ডলীয় সদস্যরা শেষ সময়ে মন্ডলীর মধ্যে প্রচন্ড পরিমানে যন্ত্রনা ও দুঃখ বহন করে নিয়ে আসে| তাদের বিষয়ে বাইবেল এক বর্ণনা প্রদান করেন| ১| প্রথম, শেষ সময়ে মন্ডলীর বহু সদস্যরা নূতন জন্মপ্রাপ্ত নয় | শেষ সময়ে মন্ডলীতে হারিয়ে যাওয়া সদস্যদের বিষয়ে ২ তীমথিয় ৩:১-৭ এ একটা বর্ণনা প্রদান করে| দয়া করে ইহাকে খুলুন| খ্রীষ্টের রক্তের উপরে ডাঃ জন ম্যাকআর্থার একটু অযৌক্তিক, কিন্তু তিনি যখন এই অনুচ্ছেদের বিষয়ে বলেন তখন তিনি স্বভাবত ঠিকই যা “সাধারন ভাবে মনুষ্য জাতিকে নির্দেশ করেনা বা অপরিত্রানপ্রাপ্ত জগতকেও নয়...কিন্তু তা খ্রীষ্টের মন্ডলীর সদস্যদেরই নির্দেশ করে” (John MacArthur, D.D., The MacArthur New Testament Commentary, 2 Timothy, Moody Press, 1995, p. 108)| ডাঃ ম্যাকগী বলেন যে এই অনুচ্ছেদ নির্দেশ করে “শেষ সময়্কার মন্ডলীর বিষয়ে” (McGee, ibid., vol. V, p. 469)| তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে পরবর্তি বেশ কিছু পদেতে উনিশটি বিভিন্ন প্রকার বর্ণনা রয়েছে| ইহা এক কুৎসিত শাবক ছানা, কিন্তু তাদের প্রতি আমরা দেখতে চাই কেননা তারা…মন্ডলীর শেষ সময়কার অতি উত্তম একটা চিত্রকে উপস্থাপন করে…আমি বিশ্বাস করি যে এখন এই বর্তমান দিনে আমরা ‘ভয়ানক’ দিনে উপস্থিত যা এই বিভাগে বর্ণনা করা হয়েছে” (McGee, ibid., pp. 469, 470)| আজকে মন্ডলীতে অপরিত্রানপ্রাপ্ত বা কনভার্ট বিহীন অজস্র সদস্য হল সুসমাচার প্রচারকদের যত্নহীনতার পরিণাম যা চার্লস জি. ফিনির (১৭৯২-১৮৭৫) ব্যবহার থেকেই উদ্ভুত হয়েছে| লোকেদের মন্ডলীতে সদস্য হিসাবে গ্রহন করা হয়েছে তাদের পরিত্রাণের বিষয় ভালভাবে পরীক্ষা না করেই| মন্ডলীতে এই সমস্ত অপরিত্রাণপ্রাপ্ত সদস্যদের বর্ণনা করা হয়েছে ২ তীমথিয় ৩:২-৪ পদে – ১| “মনুষ্যেরা আত্মপ্রিয় হয়ে উঠবে বা নিজেদের ভালবাসবে”| ডাঃ ম্যাকগী বলেছেন, “এই বিষয়গুলো আপনি মন্ডলীতে খুঁজে পেতে পারেন” (ibid)| ২| “লালসাপ্রিয়” যার অর্থ অর্থপ্রিয় হয়ে উঠবে| ডাঃ ম্যাকগী বলেছেন, “এটা অনুসরন করে আত্ম-প্রেমী কেননা নিজেকে ভালবাসার বিষয়টা অর্থকে ভালবাসে| পুরাতন এই যে স্বভাব তা পছন্দ করে যেন ইহার উপরে প্রচুর পরিমান অর্থ ব্যয় হয়” (ibid.)| ৩| “আত্মশ্লাঘী”| ৪| “গর্বিতমনা”| ৫| “ধর্মনিন্দক”| ইহার গ্রীক শব্দের অর্থ হলো “বিশৃঙ্খল”| এরা হল মন্ডলীর এমন সদস্য যারা সর্বদা “অন্য কারো ব্যবসায়িক বিষয়ে নাক গলায়” (McGee, ibid.)| তারা হলেন অপবাদক| তারা উত্তমভাবে চেষ্টা করে যেন মন্ডলীর মধ্যে অন্য কারো খ্যাতিকে ধ্বংস করে দেয়| আর সেটাই হল প্রাথমিক চিন্তাধারা| ৬| “পিতামাতার অবাধ্য”| ডাঃ ম্যাকআর্থার বলেন, “যুবক ব্যক্তিরা যারা তাদের পিতামাতার বিরুদ্ধচারীতা করে, তারা অন্য কারো বিরুদ্ধে বিরুদ্ধচারী করাতে অস্বস্তিবোধ করেনা” (ibid., p. 114)| তারা যে কোন মন্ডলীতে প্রচন্ডভাবে আকস্মিক অভ্যুথ্থান এবং গোলমাল সৃষ্টি করে| ৭| “অকৃতজ্ঞ”| একজন ব্যক্তিকে বিনামূল্যে সেমিনারীতে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, আর তার স্ত্রীকে কোন একটি নির্দিষ্ট মন্ডলীর দ্বারা বিনামূল্যে কলেজের স্নাতকোত্তর প্রদান করা হয়েছে| য্খনই তারা তাদের বিনামূল্যের স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করে, তখন সেই ব্যক্তি মন্ডলী থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও ইহাকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করে! সেটাই হলো এক প্রকৃত কাহিনী| ডাঃ ম্যাকগী বলেছেন, “বহু লোক রয়েছেন যারা অন্যের কাছ থেকে দয়া লাভ করেও ধন্যবাদের কথা তারা চিন্তাই করেনা” (ibid.)| ৮| “অসাধু”| ৯| “স্নেহরহিত”| এর অর্থ হলো মন্ডলী ও পরিবারের প্রতি কোন ভালবাসা থাকে না| তারা কেবল তাতেই আসক্ত যে অন্যরা তাদের জন্য কি করতে পারে, কেননা তারা অত্যন্তভাবে আত্ম-কেন্দ্রিক| ১০| “ক্ষমাহীন”| এই লোকেরা এখন কোনমতেই ক্ষমা করে না এবং নিজেদেরও ক্ষমা করতে চায় না| তাদের কাছে আপনি কোনভাবে পুনঃমিলন করাতে পারবেন না| তারা তাদের কথা রাখতে পারে না| নিজেদের সন্তুষ্ট করা ছাড়া অন্য কোন কিছুই তাদের কাছে কোন বিষয় নয়! ১১| “অপবাদক”| “জীবন ধ্বংস ও খ্যাতি নষ্ট করার প্রতি তারা যুক্তির বিপরীতে ইচ্ছা প্রকাশ করে” (MacArthur, ibid., p. 115)| সেখানে এই প্রকার অনেক কিছু রয়েছে যারা নিজেদের “খ্রীষ্টীয়ান” বলে ডাকে| ১২| “অজিতেন্দ্রিয়”| এই লোকেরা হলেন তারাই যাদের নিজেদের উপরে কোন নিয়্ন্ত্রন নেই| ১৩| “প্রচন্ড” অর্থাৎ অসভ্য| আমরা এমন বেশ কিছু অসভ্য লোকেদের সাক্ষাত করেছি তারা হল মন্ডলীর সদস্য| ১৪| “যারা ভাল তাদের দমনকারী”| আক্ষরিকভাবে “উত্তমতাকে ঘৃণা করে”| কোনটা ভাল বা মন্দ তা তারা জানে কিন্তু যেটা ভাল সেটাকে তারা ঘৃণা করে – এবং যারা ভাল তাদেরও তারা ঘৃণা করে, ঠিক যেমনভাবে কয়িন হেবলকে ঘৃণা করেছিল – এবং তাকে হত্যা করেছিল| আজকে মন্ডলীতে সংখ্যায় তারা অনেক সদস্যই রয়েছে যারা ঠিক কয়িনের মতো| ১৫| “বিশ্বাসঘাতক”| তারা এমন লোক যাদের উপরে নির্ভর করা যায় না| তারা এমনকি তাদের নিজ পরিবার এবং মন্ডলীতে তাদের বন্ধুদের পর্যন্ত বিরুদ্ধাচারী হয়| ১৬| “দুঃসাহসী” অর্থাৎ অসংযত| ১৭| “গর্বান্ধ” অর্থাৎ গর্বের দ্বারা অন্ধ হয়ে যায়| ১৮| “ঈশ্বর প্রেমীর থেকে পরিতোষ প্রিয়”| যা বলে থাকে এটাই সব! এগুলো অন্তর্ভুক্ত করে মন্ডলীর লোকেদের যারা সান্ধ্যকালীন সভায় যায়না, বা সপ্তাহের প্রার্থনা সভাতে যোগদান করেনা, এটা কেবল এই কারনে কেননা “তারা ঈশ্বর প্রেমীর থেকে বরং পরিতোষ প্রিয়” তাই| আমি বলেছি যে এই শেষ সময়ে এগুলোই হলো মন্ডলীর লোকেদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট যারা হারিয়ে গিয়েছে, রূপান্তরিত নয়, অপরিত্রানপ্রাপ্ত| আর সেটাই পরের পদে ভালোভাবে পরিস্কার হয়ে গিয়েছে (২ তীমথিয় ৩:৫) যা ১৯ সংখ্যাতে রয়েছে| ১৯| “লোকে ভক্তির অবয়বধারী, কিন্তু ইহারা শক্তির অস্বীকারকারী হইবে: তুমি এইরূপ লোকেদের হাত হইতে সরিয়া থাক” (২ তীমথিয় ৩:৫)| এরাই হল সেই প্রকার মন্ডলীর সদস্য যাদের মধ্যে খ্রীষ্টীয়ানিটির বাহ্যিক একটা আকার রয়েছে – কিন্তু তারা তাদের নিজেদের জীবনে কোনসময়েই খ্রীষ্টের পরিত্রানকারী শক্তিকে উপলব্ধি করতে পারেনা| তারা নূতন জন্মপ্রাপ্ত নয়| তারা প্রকৃত খ্রীষ্টীয়ান নয়| তারা বাইবেল থেকে কতোটা উদ্ধৃতি করে তাতে কিছু যায় আসেনা, তাদের প্রতি আচরন করার জন্য সেখানে কেবলমাত্র একটিই উপযুক্ত পথ রয়েছে, “সেইরূপ লোকেদের হইতে সরিয়া যাও”| এখানে ক্রিয়াপদকে অনুবাদ করা হয়েছে “সরিয়া যাও” সেটাই হল মধ্যপন্থার রব| ইহার অর্থ “নিজেকে সরিয়ে নেওয়া” ঘুরে দাঁড়ানো| তারা কতোটা সুন্দর তাতে কোন যায় আসেনা, বা কতোটা মধুরভাবে তারা কথা বলে, “নিজেকে প্রাপ্য করে তুলুন” যেন তাদের থেকে সরে যেতে পারেন, এবং যতদূর সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করুন! প্রেরিত পৌল বলেছেন, “ভ্রাতৃগন, আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা যে শিক্ষা পাইয়াছ তাহার বিপরীতে যাহারা দলাদলি ও বিঘ্ন জন্মায় তাহাদিগকে চিনিয়া রাখ; ও তাহাদের হইতে দূরে থাক| কেননা এইপ্রকার লোকেরা আমাদের খ্রীষ্টের দাসত্ব করে না, কিন্তু আপন আপন উদরের দাসত্ব করে; এবং মধুর বাক্য ও স্তুতির দ্বারা সরল লোকেদের মন ভুলায়” (রোমীয় ১৬:১৭-১৮)| মথি হেনরী’র ব্যাখ্যা বলে যে, “তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করাটা পরিহার করুন, তা না হলে তাদের দ্বারা আপনিও সংক্রামিত হয়ে উঠবেন”| ইহা এক কঠোর ঔষধ, কিন্তু ইহা দেওয়া হয়েছে যেন প্রকৃত খ্রীষ্টীয়ানেরা বিভ্রান্তি ও ধ্বংসের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকে| ২| দ্বিতীয়, শেষ সময়ে সেখানে এমন প্রচারকেরা থাকবে যারা আত্মা জয় করার থেকে বরং “মেষেদের চুরি করে” | ২ তীমথিয় ৩:৬-৭ পদে প্রেরিত বলেছেন, “ইহাদের মধ্যে এমন লোক আছে, যাহারা ছ্লাপূর্বক গৃহে গৃহে প্রবেশ করিয়া, পাপে ভারাক্রান্ত ও নানাবিধ অভিলাষে চালিত যে স্ত্রীলোকেরা সতত শিক্ষা করে, তথাপি সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্যন্ত পৌঁছিতে পারে না, তাহাদিগকে বন্দী করিয়া ফেলে” (২ তীমথিয় ৩:৬-৭)| এটা মন্ডলীর মধ্যে সেই সমস্ত পালক ও শিক্ষকদের নির্দেশ করে যারা দূর্বলচিত্ত মহিলাদের হৃদয়কে তাদের পন্থায় উষ্ণ করে এবং বাইবেল অধ্যয়নের দ্বারা তাদের নিজেদের মন্ডলীতে নিয়ে যায়| তারা স্বভাবতঃ তাদের প্রলুব্ধ করে, কিন্তু তারা এটাকে দূর্বলচিত্ত পুরুষদেরও করতে পারে, বিশেষ করে সেই প্রকার দুর্বল মানুষ যার স্ত্রী বিশেষতঃ “মেষ চোরের” দ্বারা প্রলুব্ধ হয়েছে| ডাঃ ম্যাকগী বলেছেন “‘দূর্বলচেতা মহিলা’ অর্থাৎ উভয়লিঙ্গের দূর্বলচেতা মহিলা” (ibid., p. 471)| এটা নিশ্চিত, সেই মেষচোর, আপনাকে কোনমতেই বলবেনা যে, “আমি মেষ চোর| এখানে আমি আছি যেন আপনার মন্ডলী ত্যাগ করেন আর আমার মন্ডলীতে যোগদান করেন”| এক ব্যক্তি যিনি এক কুখ্যাত মেষ চোর তিনি আমাকে বেশ কিছুদিন আগে বলেছিলেন, “আমি একজন মেষ চোর নয়”| বাস্তবে এই ব্যক্তি এক দক্ষ মেষ চোর, তথাপি আমাকে তিনি এই কথা ফোনে বলেন যে তিনি তা নয়| আমার মনে হয় এই ব্যক্তি প্রায় সময়ে নিজেকে প্রবঞ্চিত করে, যেন নিজের পাপাচরন থেকে দূরে থাকতে পারে| তারা “প্রতারিত করছে, এবং প্রবঞ্চিত হচ্ছে” (২ তীমথিয় ৩:১৩)| তারা যেটা করে তা হলো তার মন্ডলীতে কথা বলে সেই প্রত্যাশিত মেষকে লাভ করতে পারে| তারা যদি দেখে সেই মেষের কোন অভিযোগ নেই তখন সেই মেষ চোর তাকে একা রেখে দেয়| কিন্তু সেই মেষ যদি তার কাছে অভিযোগ করে, তখন তিনি তাকে অতি কোমল স্বরে অত্যন্ত সরল নির্ঝঞ্ঝাট প্রশ্ন করে তাকে বাইরে নিয়ে আসে| তিনি যদি সেই মেষকে তার পালকের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারে, তবে সেই মেষ চোর সেই বিষয়ের উপরে কাজ করে, ও সবসময়ে তার কাছে দয়ালুর ন্যায় নিজেকে প্রকাশ করে আর তার বন্ধুকে বোঝার চেষ্টা করে| পরিশেষে সেই মেষ চোর তাকে প্ররোচিত করে যেন তার নিজের মন্ডলীকে ত্যাগ করে ও তার সঙ্গে যায়| আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন, সেখানে এমন প্রচারকও রয়েছে যারা এইমতো কাজ করে জীবনের বহু অগ্রগতি করেছে| তাদের মন্ডলীতে এমন বহু লোক রয়েছে যেখানে তারা প্রলুব্ধ করে যেন তারা তাদের সঙ্গে চলে বা তাদের সঙ্গে আসে| একজন প্রচারক আমাকে সম্প্রতি সময়ে আলাবামার একটি ছোট শহরের কথা বলেছিল যার মধ্যে ৬৬টি ব্যাপটিষ্ট মন্ডলী রয়েছে| তিনি আমাকে বলেন এখানে লোকেরা এক একটা মেষ চোর থেকে থেকে অপর আরো এক মেষ চোরের প্রতি যেন অনর্গল ভেসে বেড়াচ্ছে| এটা বলার প্র্য়োজন নেই, সেই শহরের আত্মিকমান নিশ্চিতভাবেই নিম্নমানের, যার মধ্যে মুখ্যতঃ কেউ পরিত্রান লাভ করেছে বলে সন্দেহ হয়| কেন? কেননা সেই প্রকার লোকেরা “সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্যন্ত পৌঁছিতে পারেনা, তাহাদিগকে বন্দী করিয়া ফেলে” (২ তীমথিয় ৩:৭)| একমাত্র পন্থায় মেষচুরি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে যেন পালকেরা সেই সমস্ত মেষেদের ততোক্ষন পর্যন্ত গ্রহন না করে যতোক্ষন পর্যন্ত না তাদের মন্ডলীর পূর্বতন পালক বদলী “পত্র” হস্তান্তর না করে| কেবলমাত্র তাদের “বিবৃতি বা উক্তির” উপরেই যেন সদস্যদের গ্রহন করা না হয়| এগুলো হলো ব্যাপটিষ্টদের ঐতিহাসিক অবস্থান, যা আজকের দিনে মেষ চোরদের দ্বারা অমর্যাদা করা হচ্ছে| আমার ইচ্ছা এটাই যেন আমাকে এই উপদেশ প্রচার করতে না হয়, কিন্তু ডাঃ কাগন আমাকে বললেন আমাকে বললেন আমাকে তা প্রচার করতে হবে, আর আমার মনে হয় এই বিষয়ে তিনি যথার্থ| এটা যেন এক ধারাবাহিক সমস্যা কেননা এই শেষ সময়ে খুব অল্প সংখ্যক পালকই জানেন যে এই জগৎ শিষ্যদের কনভার্ট বা রূপান্তরিত বা কিভাবে জয় করতে হয়| পরিনাম স্বরূপ, তারা প্রায় সময়ে তাদের মন্ডলীকে গঠন করতে চায় সেই প্রকার প্রলুব্ধকারী খ্রীষ্টীয়ানদের দ্বারা যেন তারা তাদের নিজেদের মন্ডলী ত্যাগ করে ও তাদের সঙ্গে আসে| আমি কি সম্ভাব্যভাবে আপনাকে দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি – সেই প্রকার পরিচর্যাকে আমি প্রচন্ডভাবে ঘৃণা করি! ঊনবিংশতিতম শতাব্দীতে মেষ চুরি করা প্রচারকেরা ঠিক সমাধি হরনকারী ডাকাত| তারা গর্ত খুঁড়ে বার করে সেই সমস্ত মৃতশরীর যা এই সবেমাত্র সমাধিস্থ হয়েছে আর তাদের তারা সেখান থেকে তুলে মেডিকেল স্কুলে বিশ্লেষন করার জন্য বিক্রি করে| আমার দর্শনের দিক দিয়ে মেষ চুরি করা লোকেরা সমাধি স্থান থেকে মৃতদেহ চুরি করে বা ডাকাতি করে বিক্রি করে দেওয়ার থেকে বড় কিছু নয়! এই সংবাদকে আমি যখন শেষ করছি, তখন আমি কি আপনাকে এই কথা বলতে পারি এই শেষ সময়ে মন্ডলী কতোটা খারাপ তাতে কিছু যায় আসে না, যীশু খ্রীষ্ট প্রস্তুত রয়েছেন আপনার পাপকে ক্ষমা করার জন্য| আপনার আত্মাকে উদ্ধার করার জন্য তিনি ক্রুশে মৃত্যু বরন করেছেন| এখন তিনি পিতা ঈশ্বরের দক্ষিন পার্শ্বে বসে আপনার জন্য প্রার্থনা করছেন| আমার প্রার্থনা এটাই যেন আপনি তাঁর অন্বেষণ করেন ও তাঁকে খুঁজে পান| তিনি বলেছেন, “আর তোমরা আমার অন্বেষণ করিয়া, আমাকে পাইবে, কারন তোমরা সর্বান্তঃকরনে আমার অন্বেষণ করিবে” (যিরমিয় ২৯:১৩)| আমেন| (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা |
খসড়া চিত্র মন্ডলীতে হারিয়ে যাওয়া সদস্য এবং মেষ চুরি করা প্রচারকেরা ( শেষ সময়ের মন্ডলী – দ্বিতীয় ভাগ ) লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জে আর| “পরে যীশু, ধর্মধাম হইতে বাহির হইয়া গমন করিতেছেন: এমন সময়ে তাঁর শিষ্যরা তাঁহাকে ধর্মধামের গাঁথনি সকল দেখাইবার জন্য নিকটে আসিলেন| কিন্তু তিনি উত্তর করিয়া তাঁহাদিগকে কহিলেন, তোমরা কি এই সকল দেখিতেছ না? আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, এই স্থানের একখানি পাথর অন্য পাথরের উপরে থাকিবে না, সমস্তই ভূমিসাৎ হইবে| পরে তিনি জৈতুন পর্বতের উপরে বসিলে, শিষ্যেরা বিরলে তাঁহার নিকটে আসিয়া বলিলেন, আমাদিগকে বলুন দেখি, এই সকল ঘটনা কখন হইবে? আর আপনার আগমনের, ও যুগান্তের চিহ্ন কি?” (মথি ২৪:১-৩)| (লুক ২১:২৪; মথি ২৪:২৪, ১২, ১৩; গালাতীয় ২:৪) ১| প্রথম, শেষ সময়ে মন্ডলীর বহু সদস্যরা নূতন জন্মপ্রাপ্ত নয়, ২ তীমথিয় ৩:১-৫;
২| দ্বিতীয়, শেষ সময়ে সেখানে এমন প্রচারকেরা থাকবে যারা আত্মা জয় করার থেকে বরং “মেষেদের চুরি করে”, ২ তীমথিয় ৩:৬-৭, ১৩, যিরমিয় ২৯:১৩| |