এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
জমায়েত হওয়া বিস্ফোরণTHE GATHERING STORM
|
জমায়েত হওয়া বিস্ফোরণ নামক সম্মানিত বইয়েতে উইনস্টোন চার্চিল বলেছেন জার্মানীর হিটলার মন্দ শক্তির সংগে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন তখন ইংল্যান্ড কিভাবে নিদ্রাগত অবস্থায় ছিল। সেই সময়ে ইংল্যাণ্ড প্রস্তুত ছিল না কেননা তারা মনে করেছিল সেখানে নিশ্চিত ভাবেই সব সময়ই শান্তি বিরাজ করবে। কেবলমাত্র চার্চিল জানতেন যে তারা ধ্বংসের মুখে বসবাস করছেন। তখন কেউই তাঁর সতর্কতাকে শোণে নি! আর সেই একই প্রকার পুণরায় আমাদের সময়ে হচ্ছে। বাইবেল বলে, “লোকে যখন বলে, শান্তি ও অভয়; তখনই তাহাদের কাছে আকস্মিক বিনাশ উপস্থিত হয়...আর তাহারা কোন ক্রমে এড়াইতে পারে না” (১ম থেসালোনিয়ানস ৫:৩). রাশিয়ান লেখক আলেকজান্দার স্যোলঝেনিৎসিন বলেন,“মন্দশক্তির দল আক্রমনাত্মক বিষয়কে সুস্পষ্ট করতে শুরু করেছে।” তার উল্লেখিত শিরোনামের “অন্ধকারের আগমন” নামক অধ্যায়ে এডোয়ার্ড হিন্ডসন বলেছেন, “বাইবেল ভিত্তিক খ্রীষ্টিয়ানিটীর বিরুদ্ধে ইহা মনে হচ্ছে আমরা যেন এক চূড়ান্ত আক্রমণের জন্য ভালো ভাবে খনন কার্য্য চালাচ্ছি”(Ed Hindson, Ph.D., Final Signs, Harvest House, 1996, p. 77). প্রথমেই তিনি খ্রীষ্টিয়ান হওয়ার আগে চার্লস কোলসন ছিলেন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের উচ্চতর উপদেষ্টা। সংস্কার সাধনকারী মাধ্যম তাকে বলতেন নিক্সনের “মিটমাটকারী ব্যাক্তি।” তার রুপান্তরকরণের পরে কোলসন নির্দেশ করেন যে ভিতরে ভিতরে রোমিয় সাম্রাজ্য কিভাবে দূর্নীতি গ্রস্ত হয়ে উঠেছে যেখানে তারা অশিক্ষিত বর্বর জাতির ন্যায় লড়াকু দলে পতিত হয়েছে। তিনি বলেন, “সেই অন্ধকারের যুগে বর্বর জাতির সংস্কৃতির বিরুদ্ধে মণ্ডলীকে কেবল একাই দাঁড়াতে হবে”(ibid.,p.78). কিন্তু আজকে মন্ডলী নিজেরাই এতটা দূর্নীতি পরায়ন হয়ে পড়েছে যেখানে তারা আমাদের সভ্যতাকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সামান্য পরিমাণে আশার সঞ্চার করে। ডাঃ কার্ল এফ.এইচ.হেনরী, এক প্রেরণাদায়ী ইভাঞ্জিলিক্যাল পন্ডিত, বলেন, প্রতিষ্ঠিত খ্রীষ্টীয়ানিটির উপরে মোহমুক্তির এই যে উত্থান; তা একজন উপলব্ধি করতে পারে পরিসংখ্যান হিসাবে মন্ডলীতে যোগদানকারী সসস্যদের গরহাজির অবস্থা দেখে... এই সমস্ত প্রজন্ম বা বংশ বর্দ্ধিষ্ণু হচ্ছে... অনন্তকালীন কোন উদ্বেগ ছাড়াই... প্রাক সমাজের মানুষ নিম্নগামী সভ্যতার প্রতি নেমে যাওয়ার দিকে প্রেরণা লাভ করছে আর তারা ইতিমধ্যেই এক অক্ষম মণ্ডলীর ছায়ার গোপন স্থানে নিজের লুকিয়ে নিয়েছে” (Carl F. H. Henry, Ph.D., Twilight of a Great Civilization, Crossway Books, 1988, p. 17). ডাঃ হেনরী বলেছেন,“আমাদের সময়কালে মহাগভীরতার প্রস্রবনগুলি ভেঙে গিয়েছে। সহস্র বৎসরকাল যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ধৈর্য্য সহকারে টিকে ছিল তা ভাসমান অবস্থায় চলে গিয়েছে, এবং...আমাদের সামনে যে প্রশ্ন তা হল সভ্যতার এই যে কাঠামো তা কি বেঁচে থাকবে” (ibid., p.16) । তিনি বলেন, “বর্বরতার যুগ আসতে চলেছে। তাদের হিংস্র এবং চতুর কার্য্যের জন্য সেই আগত বর্বরদের দ্বারা আমাদের বিজ্ঞানের অর্জিত যে সাফল্য অক্ষম হয়ে পড়তে পারে। হিটলার এবং নাজী ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানের-জ্ঞান-দ্বারা [অর্জিত] প্রাণ হননকারী গ্যাস চেম্বারে শয়ে শয়ে হাজার হাজার লোকের মানুষকে শেষ করে ফেলেছে। স্তালিন এবং অন্যান্য সর্বগ্রাসী স্বৈরাচারীরা বহু আগেই শিখে নিয়েছে [বিপুল] সংখ্যক লোকেদের কি ভাবে আধুনিক মানুষের বেশে দাস করে ফেলতে হয়”(ibid.). আজকে প্রধান স্রোতের উদার মাধ্যমে এমন ভালো কিছু করছে বলে মনে হয়-যেখানে সমস্ত অবস্থানে রাবার স্ট্যাম্পের অনুমোদনপ্রাপ্ত যার ভিত্তি বারাক ওবামা স্বীকৃতিই। কংগ্রেসের র্যান্ডি ফরবিস বলেছেন, “তাঁর [প্রেসিডেন্টের] যা কার্য্যকলাপ তা ধর্মীয় স্বাধীনতার কাছে সব থেকে এক বড় বাধা... তা এমন যা কোন পরিচালন পদ্ধতি যা আমি জানি বা পড়েছি তা এই দেশের ইতিহাসে বিরল” (Decision magazine, October 2013, p. 17) । বিশপ হ্যারি জ্যাকসন, আফ্রো-আমেরিকার সব থেকে খ্যাতনামা ধর্মিয় ব্যাক্তি এবং গণতন্ত্রবাদের নথিভুক্তকারী নেতা বলেন, “পরম্পরাগত খ্রীষ্টিয়ানিটির কাছে ওবামা এক শত্রু হয়ে উঠেছেন আর এই সময়ে এই জাতি এক বড় সংকটাপন্ন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে” (ibid.)। তিনি বলেন, “যে আমরা হলাম “দুর্নীতির মুখোশধারী এক সভ্যতা”(ibid.,p.19)। এমন কি বব উডওয়ার্ড, এক উদারমনা সাংবাদিক যিনি ওয়াটারগেটের বিষয়, প্রকাশ করতে শুরু করেছেন তিনিও এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি ফক্স নিউজে’ বিল ও’রিলিকে বলেন, “হোয়াইট হাঊসের মধ্যে ভীষণ, ভীষণ ভাবে বহু সন্দিগ্ধকর ঘটনা ঘটছে, আর ইহা কেবলমাত্র আপনার কার্যক্রম থেকেই নয় বা দক্ষীণ-পন্থীর দ্বারা বা মধ্য পন্থীর দ্বারা নয়” (ibid., p. 19). বহু সুসমাচার প্রচারক বিশ্বাস করেন যারা এতদিন পর্যন্ত হোয়াইট হাউস দখল করেছেন তাদের মধ্যে বারাক ওবামা হলেন সবথেকে মারাত্মক ব্যাক্তি। বিলি গ্রাহামের ডিসিশান ম্যাগাজিন বলে ওবামা আমেরিকাকে এক “জীবনের সংশয়াপন্ন পথের” মধ্যে নিয়ে গিয়েছে ও “প্রেসিডেন্ট বাইবেলের নীতি ও ধর্মীয় স্বাধীনতার অবমূল্যায়ন করেছে” (ibid., cover story) সেই একই ম্যাগাজিনে রেভাঃ ডন উইলটন, এক খ্যাতনামা ব্যাপটিস্ট প্যাস্টর বলেন, “শয়তান জীবিত প্রত্যেক ব্যাক্তিকে ধ্বংস করতে চায় সন্দেহ সৃষ্টি করে এবং প্রবঞ্চনাময় কথা ব্যাবহার এবং অন্য যে কোন পন্থায় ও অর্থে সে এই কাজ করতে চায়। তার উদ্দেশ্য হল বিজয়লাভ করা, চুরি করা, বিচ্ছেদ ও ধ্বংস করা” (ibid., p. 29)। আমেরিকান খ্রীষ্টিয়ানদের মধ্যে অবনতশীল বিষয়ের সংযোজন হল ইসলামের মধ্যে আক্রমণাত্মক উত্থান। কেবলমাত্র মিশরেই গতমাসে ৮০টি খ্রীষ্টিয়ান মন্ডলীতে মুসলমানদের দ্বারা বোমা মারা হয়। সেই চতুর্থ শতাব্দী থেকে একটা মণ্ডলীর অট্টালিকা যেটা বিদ্যমান ছিল! বেশ কিছুদিন আগে সেটাকেও তারা বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছে! মুসলমানেরা খ্রীষ্টিয়ানিটিকে এক নজিরবিহীন মাত্রায় আক্রমণ করে চলেছে সারা বিশ্বে। আর ইরাণও সেই কিনারায় রয়েছে যারা এক পরমাণু বোমা তৈরী করেছে। তাদের নেতারা বার বার বলেছে তারা ইজ্রায়েল ও আমেরিকাকে ধ্বংস করে দেবে। পরমাণু অস্ত্র শস্ত্র প্রস্তুতের প্রতি তারা উন্মাদের মতো হয়ে পড়েছে। আপনার প্রজন্ম আরো একটা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা হল বাস্তব্য বিদ্যার অনিশ্চয়তা। দৃষ্টান্তস্বরুপ,গভীর আমাজনের বর্ষা জঙ্গলের মানুষের বিনাশ যা টাইম ম্যাগাজিন আমাদের জানায়,“যা ইতিহাসেরএক বিরাট বিয়োগান্তক বিষয়”(September 18, 1989, pp. 76-80). কেবলমাত্র গত বুধবার (October 2, 2013, p. AA1) লস এঞ্জেলেসে টাইমসে ওসেমাইটের সব চেয়ে বৃহৎ হিমবাহের উপর একটি প্রতিবেদন ছিল। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেই পার্কের মধ্যে সব থেকে “প্রকাণ্ড বরফের স্তুপ এক মৃত্যুমুখী কুণ্ডলীতে রূপান্তরিত হয়েছে আর এই কথাই ভুতত্ত্ববিদেরা বলে থাকেন।” পার্কের ভুতত্ত্ববিদ, গ্রেইগ স্টক, বলেন, “ইহার অস্তিত্ত্বকালকে আমরা ২০ বৎসর কাল সময় দিই-পরে ইহা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, আর রেখে যাবে কেবলমাত্র পাথুরে ধ্বংসাবশেষ।” প্রকাণ্ড বরফের স্তুপের “নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ভাব বিশ্বের সর্বত্র দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। প্রকাণ্ড বরফের চাঙ অবক্ষয় হয়ে যাচ্ছে, বাস্তববিদ্যা প্রণালীর চারপাশে যা হচ্ছে তা উদ্বেগের উৎকর্ষতাকে বাড়িয়ে তুলছে।” পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যেই জীবনের চূড়ান্ত ভাবধারাকে বিশ্বতাপমাত্রা পরিবর্তন করে দেবে। ডাঃ হিন্ডসন সব থেকে আঁতকে ওঠার মতো সমস্যাকে তুলে ধরেন, “আজকে ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন, ইজ্রায়েল এবং ভারতের হাতে পরমাণু বোমা রেখে দিয়েছেন... যতক্ষণ পর্যন্ত না আকস্মিক দুর্ঘটনা আহবান জানাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ইহা কেবল সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে। ( ibid., pp87,88)। বহু বিজ্ঞানী ভবিষ্যতের বিষয়ে নিরাশ্য ভাষের মধ্যে রয়েছেন। তাদের একজন বলেছেন,“কেবলমাত্র একদিনে মনুষ্যজাতিকে ধ্বংস করে দেওয়াটা এখন খুবই সম্ভবপর।” কিন্তু কানাডার এক বিজ্ঞানী তাকে উত্তর করে বলেন, “আপনি ভুল করছেন। কেবলমাত্র এক মিনিটের মধ্যেই সমস্ত মনুষ্য জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব।”(Billy Graham, The Challenge: Sermons From Madison Square Garden, Doubleday and Company, 1969, p. 158). বাইবেল বলে, “কিন্তু প্রভুর দিন চোরের ন্যায় আসিবে; তখন আকাশ মণ্ডল হু হু শব্দ করিয়া উড়িয়া যাইবে, এবং মূল বস্তুসকল পুড়িয়া গিয়া বিলীন হইবে, এবং পৃথিবী ও তাহার মধ্যবর্তী কার্য্যসকল পুড়িইয়া যাইবে” (II Peter 3:10). সেই দিন সন্নিকট হতে চলেছে। ইহা অবধারিত। “রাত্রে যেমন ভাবে চোর আসে প্রভুর আগমণ দিনও ঠিক সেই প্রকার হবে।” কিন্তু চোর যে আসবে ইহা আপনি আশা করেন না। কিন্তু হঠাৎ করেই সে আসে –কোন সতর্কতা ছাড়াই সে উপস্থিত হয়! একদিন যীশুর শিষ্যরা জেরুজালেম পর্বতের বাইরে জৈতুন পর্বতে, তাঁর কাছে আসে। তারা তাকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে, “আপনার আসার চিহ্ন কি হবে, এবং পৃথিবীর শেষ কখন হবে ?” (Matthew 24:3)। তিনি তাদের বকেন নি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার জন্য। তারা তাঁকে এক চিহ্নের কথা জিজ্ঞাসা করে, কিন্তু পরিবর্তে তিনি তাদের “এই জগতের শেষ পর্যন্ত” অনেক চিহ্নের কথা বলেন। তিনি বলেন সেখানে অনেক ভ্রান্ত ভাববাদীর উদয় হবে ও ভ্রান্ত খ্রীষ্টিয়র আগমন হবে। এই সময়টা হতে পারে প্রবঞ্চনাময় সময়। আমাদের সময়ে ভ্রান্ত “খ্রিষ্টিয়,” ভ্রান্ত ধর্ম বিশ্বাসের মধ্যে, এবং বেশির ভাগ ধর্মতত্ত্বমূলক সেমিনারে ধর্মতত্ত্বমূলক স্বাধীনতায় ভ্রান্ত ভাববাদীর উদয় হবে। খ্রীষ্ট বলেছেন সেখানে যুদ্ধের জনরব ও সীমাহীন যুদ্ধের উদ্ভব হবে। সেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে এই বিশ্ব একটির পর একটি করে যুদ্ধ উপলব্ধি করেছে। উদারমনা ধর্মতত্ত্ববিদরা মনে করেন যে খ্রীষ্টিয়ানিটি বিজয় লাভ করবে,এবং বিংশতিতম শতাব্দীতে অভূতপূর্ব শান্তিময় যুগের সূচনা হবে। কিন্তু তাদের প্রত্যাশার যে চিন্তাধারা তা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দ্বারা চূর্ন বিচূর্ণ হয়ে যায়। হ্যারি ইমারসন ফসডিক, এক পরিচালনকারী স্বাধীনচেতা ব্যাক্তি, খ্রীষ্টিয়ান আদর্শবাদের চিন্তাধারা যে হাল তাতে ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, “যদি একজন মনে করে যে আমরা আমাদের প্রজন্মে বিশালাকায় ঘটনার দ্বারা আধিপত্য করছি,আমরা অবসাদকে এড়িয়ে চলতে পারি না।” সুতরাং তাদের আশাহীনতা ও হতাশার মধ্যে যে অস্তিত্ববাদ বাইবেল তার সংস্কারহীনতাকে প্রত্যাখ্যান করেন। আজকে এই হতাশা এতটাই প্রবল যার ফলে আত্মহত্যা এক প্রধান কারণ কলেজগামী যুবক যুবতীদের মধ্যে! এই বিষয়ে একটা প্রতিবেদন আমি গত সপ্তাহেও পড়েছি। খ্রীষ্ট নিজেও বলেছেন সেখানে দুর্ভিক্ষ, মহামারী, ভুমিকম্পের, বৃদ্ধি হবে যত এই যুগ শেষের দিকে প্রবেশ করবে। তিনি বলেছেন “আমার নামের জন্য খ্রীষ্টিয়ানেরা পৃথিবীর সমস্ত দেশে ঘৃণিত হবে।” এমন কি তিনি এটাও বলেছেন পেশাধারী খ্রিষ্টিয়ানেরা একে অপরকে প্রতারিত করবে। তিনি বলেছেন নীতিহীনতা এবং পাপের বৃদ্ধি হবে এবং একে অপরের প্রতি খ্রীষ্টিয়ানদের ভালোবাসা শীতল হয়ে যাবে। কিন্তু খ্রীষ্ট আবার এই কথাও বলেছেন “আমার নামের সাক্ষ্য বহন করার জন্য এই সুসমাচার পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত প্রচারিত হবে; আর তখনই শেষ উপস্থিত হবে।” এরপরে এই পৃথিবীর অন্ত বিষয়ে এক বিরাট চিহ্ন প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন, “বাস্তবিক নোয়াহর সময়ে যেরুপ হইয়াছিল, মনুষ্য পুত্রের আগমনও তদ্রুপ হইবে। কারণ জলপ্লাবনের সেই পুর্ববর্তী কালে লোক যেমন ভোজন ও পাণ করিত, বিবাহ করিত ও বিবাহিতা হইত, সেই দিন পর্যন্ত যখন নোয়াহ জাহাজে প্রবেশ করে, এবং বুঝিতে পারিল না যতক্ষণ পর্যন্ত না যাবৎ বন্যা আসিয়া, সকলকে ভাসাইয়া লইয়া গেল; তদ্রুপ মনুষ্য পুত্রের আগমণ হইবে” (ম্যাথুজ ২৪:৩৭-৩৯). শিষ্যেরা খ্রীষ্টকে জিজ্ঞাসা করেন তাঁর আগমনের চিহ্ন সম্বন্ধে এবং সেই সঙ্গে জগতের অন্ত বা শেষ সম্বন্ধে। তাদের তিনি বহু চিহ্নের বিষয়ে বলেন। তারপরে তাদের তিনি বলেন যে সেই দিনের সময় ঠিক নোয়াহর সময়কার মতোই হবে, সেই বিশাল জলপ্লাবনের আগে। তিনি বলেন, “নোয়াহর জলপ্লাবনের আগের দিন পর্যন্ত যেরুপ ঘটেছিল... আর তদ্রুপ ভাবেই মনুষ্য পুত্রের আগমন হবে” (ম্যাথুজ ২৪:৩৮,৩৯)। তাদের তিনি বলেছিলেন,সেই সময়ে যেমন হয়েছিল আর তদ্রুপ জগতের শেষ পর্যন্তও তেমন হবে। ডাঃ এম.আর.ডিহাম, সর্বকালের খ্যাতনামা এক বাইবেল শিক্ষক বেশ কিছু চিহ্ন দিয়েছিলেন যা নোয়াহর দিনের চারিত্রিক বৈশিষ্টকে বহন করে। এখানে সেই ছয়টি চিহ্নের উল্লেখ করা হলঃ ১. ইহা ছিল ধর্মনীতি বিসর্জন দেওয়ার সময়। সেই সমস্ত বিষয় বস্তু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ব্যাখ্যা করার সময় আমার নেই। কিন্তু ম্যাডীসন স্কোয়ার গার্ডেনে ১৯৬৯ সালে বিলি গ্রাহাম যে সংবাদ প্রচার করেছিলেন সেখান থেকে নোয়াহর দিনের বিষয়ে আমি কেবল কয়েকটা অনুচ্ছেদ তুলে ধরবো। এই সংবাদ আমি যখন টেলিভিশানে দেখছিলাম তা মনে করে বিষয়গুলি উল্লেখ করছি। তিনি বলেন, বাইবেল শিক্ষা দেয় যে শেষ সময়ে, এই সময় হবে সংকটকালের,যুদ্ধের,ধ্বংসের,নীতিহীনতার,অনৈতিকতা, আর তা এতটাই প্রচন্ড যার জন্য তাকে বন্ধ করার প্রতি ঈশ্বরকেই মধ্যস্থতা করতে হবে...(Billy Graham, “The Day to Come,” ibid., p. 164). নোয়াহর দিনের বিষয়ে বলার সময়ে, বাইবেল আমাদের বলে, “আর সদাপ্রভু দেখিলেন পৃথিবীতে,মনুষ্যের দুষ্টতা বড়,এবং তাহার অন্তঃকরণের চিন্তার সমস্ত কল্পনা নিরন্তর কেবল মন্দ...আর ঈশ্বর কহিলেন, আমি যে মনুষ্যকে নির্ম্মাণ করিয়াছি তাহাকে ভূমণ্ডল হইতে উচ্ছিন্ন করিব” (আদি পুস্তক ৬:৫,৭). যীশু বলেছেন, “যাবৎ না বন্যা আসিয়া, সকলকে ভাসাইয়া লইয়া গেল; তদ্রুপ মনুষ্য পুত্রের আগমণ হইবে।” (ম্যাথুজ ২৪:৩৯)। খ্রীষ্ট যে কথা বলেছেন আমি চাই আপনারা সেই বাক্যের প্রতি আলোকপাত করুন, “...বন্যা আসিয়া, সকলকে ভাসাইয়া লইয়া গেল।” এই জগতের শেষে সেখানে আর প্লাবন হবে না। আমরা যে জগৎকে জানি তার শেষ এই ভাবেই আসবে যখন ঈশ্বর তার সেই অভিশাপকে প্রকাশিত বাক্য ১৬:১-২১ পদে যেমন ভাবে উল্লেখ হয়েছে সেই “রোষের বাটিতে” ঢেলে দেবেন। “[ঈশ্বরের] ক্রোধের সেই রোষ” সেই সময়ে এই মন্দপরায়ন জগতে লোকেদের উপরে ঢেলে দেওয়া হবে (প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৯)। এই জগত সেই ভীষণ বিচারের জন্য প্রস্তুত থাকবে না। তারা ঠিক সেই নোয়াহর দিনের মতোই অপ্রস্তুত থাকবে, যখন “বন্যা এসে, তাদের সকলকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল” (ম্যাথুজ ২৪:৩৯)। সেই প্রসঙ্গের মধ্যে তিনটি বিষয় আমি লক্ষ্য করতে চাই, যা “নোয়াহর প্লাবন” নামক সেই মহান স্পারজিউনের সংবাদ থেকেই ইহা গৃহীত হল। ১. প্রথম, “প্লাবন এলো, তাদের সকলকে ভাসিয়ে নিয়ে গেলো।” সেই মহা প্লাবনের ধ্বংস সমস্ত অপরিত্রাণ প্রাপ্ত ব্যাক্তিদের ভাসিয়ে নিয়ে গেল। তাদের সকলেই জলের তলায় কবর প্রাপ্ত হয়ে গেল। অপরিত্রাণ প্রাপ্তদের একজনও উদ্ধার পায় নি। “যাবৎ না বন্যা আসিয়া, সকলকে ভাসাইয়া লইয়া গেল” (ম্যাথুজ ২৪:৩৯)। সেই সমস্ত লোকেরা যারা খুবই ধনী ছিল তারাও ভীষণ ক্রুদ্ধ প্লাবনে তলিয়ে গেল। গরীব লোকেরাও সেখান থেকে মুক্তি লাভ করে নি। না, সেই প্লাবন এসে সমস্ত কিছুকেই ভাসিয়ে নিয়ে গেল। সেই সময়ে নাম করা বিজ্ঞ ব্যাক্তিরাও পালিয়ে যেতে পারে নি। আর অজ্ঞ লোকেরা তলিয়ে গিয়ে মারা গিয়েছিল। আমি বলছি, জ্ঞানী বা অজ্ঞ ঈশ্বরের সেই বিচার দিন থেকে আপনাকে উদ্ধার করতে পারবে না! নোয়াহ যখন জাহাজ তৈরী করেন তখন সেটাই ছিল সব থেকে বড় জাহাজ যা সেই সময়ে তৈরী করা হয়েছিল। ইহা ছিল প্রকাণ্ড এক পাত্রের ন্যায়। সেই সময়ে ইহাই ছিল এক অত্যাশ্চর্য্য কার্য্য। নোয়াহ ইহাকে শুকনো মাটির উপর, কোন নদী বা সমুদ্র থেকে বহু দূরে তা তৈরী করেন। সারা জগতের লোক ইহা দেখিবার জন্য সেখানে আসে, ঠিক যেমন ভাবে আজকের দিনে ডিজনি ল্যান্ডে লোকেরা যায়। আমি অনুমান করতে পারি তারা নোয়াহকে পাগল বলে ডাকছে। অনেকেই বহু দূর দেশ থেকে তার সেই প্রকাণ্ড জাহাজকে দেখতে আসে। আর তারা তার সেই কাজ দেখতে এলে নোয়হ তাদের কাছে আগত প্লাবনের কথাও উল্লেখ করেন বা প্রচার করেন। বাইবেল তাকে এই নামে আহবান জানায়, “ধার্মিকতার এক প্রচারক” (২য় পীটার ২:৫)। কিন্তু তারা তার প্রচারকে উপলব্ধি করতে পারে নি। তিনি তাদের কাছে প্রচার করলে তারা যে কেবলমাত্র তার কথা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাই নয়, তারা সন্দেহাতীত ভাবেই তার প্রতি বিদ্রুপ পরিহাস করতে থাকে। তথাপি প্লাবণ এসে তাদের সবাইকে ও সমস্ত কিছুকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তাই বিচার যখন আসে, তখন সেখানে আর বিদ্রুপ থাকবে না। আপনি যখন নরকের আগুনে পতিত হন, তখন আপনার মনে হবে যদি আপনি শুণতেন সেই সুসমাচারকে এবং খ্রীষ্টতে নির্ভর করতেন। কিন্তু তখন সেটা খুবই দেরী হয়ে গিয়েছে। আপনার অবিশ্বাস যেতে যেতে, ইহা তখন আপনার কাছে নিজেকে উদ্ধার করাটা বড় দেরী হয়ে গেছে, ঠিক যেমন ভাবে ইহা তাদের কাছে হয়েছিল “প্লাবন এসে, তাদের সকলকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল।” ২. দ্বিতীয়, প্লাবন এলে পর তারা কেবল এই জগতে তাদের বিষয় বস্তু নিয়েই ব্যাস্ত ছিলেন। তারা নিজেদের জীবন নিয়ে এতটাই ব্যাস্ত হয়ে উঠেছিলেন যে অন্তকালের বিষয়ে তারা নিজেরা প্রস্তুত ছিলেন না। খ্রীষ্ট বলেছেন, “কারণ জলপ্লাবনের সেই পুর্ববর্তীকালে লোক যেমন ভোজন ও পান করিত, বিবাহ করিত ও বিবাহিতা হইত, জাহাজে নোয়াহ র প্রবেশ দিন পর্যন্ত” (ম্যাথুজ ২৪:৩৮). তারা যা কিছু চিন্তা করতো তা কেবল ভোজন, বিবাহ, ও পানোন্মত্ত উৎসবের বিষয় ছিল। আজকে সন্ধ্যা ৫-৩০মিনিটে এই মণ্ডলীতে আমাদের এক সুন্দর বিবাহ অনুষ্ঠিত হবে। এর পরেই অনুষ্ঠিত হিবে এক ভোজ সভা। এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে তার কোন ভুল নেই। কিন্তু নোয়াহর সময়ে সেগুলি ছিল কেবলমাত্র বিষয় যেটাতে তারা ব্যাস্ত থাকতো। তারা কেবলমাত্র জগতের বিষয়ের কথাই চিন্তা করতো। অন্তকালের বিষয়ে তারা কোন মনোযোগ করে নি, এবং তাদের আত্মার উদ্ধারের বিষয়েও কোন মনোযোগ দেয় নি। তারা আপনাদের কারো কারো মতোই ছিল, যারা মনে করে রবিবার দিনে মণ্ডলীতে আসাটা কেবলমাত্র সময় নষ্ট ছাড়া কিছুই নয়। আমি কিছু কলেজের ছাত্রদের কথা শুণি,যারা আমাদের মণ্ডলী পরিদর্শন করতে আসে, আর তারা বলে যে রবিবার দিনেও তাদের পড়াশুনো ও অধ্য্যনে ব্যাস্ত থাকতে হয়। আমাদের মণ্ডলীর প্রতিটি যুবক যুবতীই হয় বিদ্যালয় অথবা কলেজে পড়ছে। তথাপি তারা জানে যদি তারা সময়টাকে জ্ঞানের সঙ্গে ব্যবহার করে তবে তাদের যথেষ্ঠ সময় আছে। প্রতি সভাতে আমরা আপনাকে বারো পয়েন্টের একটা কাগজ দিই যে কিভাবে অধ্যয়ন করতে হয়। সেই নিয়মগুলি যদি আপনারা অনুসরণ করেন তবে প্রতি রবিবার মণ্ডলীতে যোগদান করার জন্য, আপনার যথেষ্ঠ সময় থাকবে আর তথাপি নিজেদের ক্লাসের বিষয়গুলি গ্রেড এ আনতে পারবে। আমি নিজেও রাত্রিতে কলেজ করতাম, দিনের সময়ে প্রতি সপ্তাহে যখন আটচল্লিশ ঘণ্টা কাজে ব্যাস্ত থাকতাম। কিন্তু আমি কোন দিনই মণ্ডলীতে যোগদান বন্ধ করিনি। তাঁকে প্রথম স্থলে রাখার জন্য ঈশ্বর আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। মণ্ডলীতে প্রতিটি রবিবারের সভাতে উপস্থিত থাকার আগে আমি খুব খারাপ ছাত্র ছিলাম। কিন্তু এর পরে আমি অঙ্গীকার করলাম যেন প্রতি রবিবার দিন সকালে ও সন্ধ্যায় আমি মণ্ডলীতে যোগদান করবো। খ্রিষ্টকে এই অঙ্গীকার করার পরে আমি ক্যাল এল.এ. স্টেটে, গড়ে এ পাই যদিও দিনের বেলা আমি সব সময়ের জন্য কাজ করতাম, এবং রাত্রে এক তৃতীয় ও চতুর্থাংশ সময়ে ক্লাস করতাম! যীশু বলেছেন, “তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্যের বিষয়ে, ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর; তাহলে সমস্ত বিষয় তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে” আমার নিজের জীবনে আমি প্রমাণ করেছি যে খ্রীষ্টের প্রমিসগুলো সত্য। প্রতি রবিবার দিন সকালে সন্ধ্যাকালে মন্ডলীতে যোগদান করে আমি ঈশ্বরকে প্রথম প্রাধান্যের স্থানে রাখি, তার জন্য কলেজে ভালো ফল আনার জন্য ঈশ্বর আমাকে আশীর্বাদও করেন। আমার ছেলে লেসলী নর্থরিজের ক্যাল স্টেটে হিসাবশাস্ত্রের এক সরলমনা ছাত্র ছিল। সে তার ক্লাশে প্রথম হয়ে স্নাতক হয়, এবং সম্মানিত হয়ে স্নাতক হয়ে ওঠার জন্য বিদায়ী ভাষণ দেওয়ার জন্য মনোনীত হয়। সে,নিজেও, রবিবার দিন সকালে ও সন্ধ্যায় মন্ডলীতে যোগদান থেকে বিরত থাকে নি। ঈশ্বরকে আমরা যদি আমাদের জীবনে প্রধান প্রাধান্যের স্থানে রাখে কোন সময় আসা বন্ধ না রাখি মন্ডলীতে, তবে খ্রীষ্ট প্রতিজ্ঞা করেছেন যে তাঁর আশীর্বাদ আমাদের জীবনে থাকবে! কিন্তু নোয়াহর সময়ে লোকেরা, এবং আমাদের সময়েও, তারা মনে করে যে সেটা যেন মুর্খামীর কাজ। তারা মনে করে বহু শত ঘন্টা ভিডিও গেম খেলা এবং উত্তেজনাপূর্ণ, হিংসাত্মক বিষয় দেখা ও যৌন জাত উত্তেজনাময় কিছু চলচ্চিত্র দেখতে অভ্যস্ত। তাদের কাছে, মণ্ডলীতে উপস্থিত থেকে ঈশ্বরকে জীবনের প্রথম প্রাধান্যের স্থানে রাখার থেকে সেগুলোই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু গত সপ্তাহে আমি একটি প্রতিবেদন পড়ি যেখানে বলা হয়েছে অশ্লীল আসক্তি ঠিক ড্রাগের নেশার মতোই শক্তিশালী। একবার আপনি সংস্পর্শে আসেছেন তো বাস্তবিক ভাবে ইহা থেকে পুণরায় মুক্ত হওয়া অসম্ভব! আর আপনি যদি সম্পূর্ণ ভাবে আপনার জীবন তাঁতে অঙ্গীকারবদ্ধ করেন – কেবলমাত্র তখনই খ্রীষ্ট আপনাকে স্বাধীন করতে পারেন! যারা ক্রমাগতভাবে খ্রীষ্টকে প্রত্যাখান করে তারা তাদের পাপপূর্ণ বস্তুবাদ ও জাগতিকতার জন এক বিরাট মূল্য দিতে হবে। ঈশ্বরের বিচার যখন জগতের উপর পতিত হয় তখন তারা অপ্রস্তুত ছিল। “যখন জলপ্লাবন আসে ও সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়” তখন নোয়াহর সময়কার লোকেরা প্রস্তুত ছিলেন না (ম্যাথুজ ২৪:৩৯)। বাইবেল বলে,“সদাপ্রভু ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাক” (আমোস ৪:১২)। ঈশ্বরের মুখামুখি হওয়ার জন্য আপনি কি প্রস্তুত ? অথবা “আগুন যেখানে নেভে না সেই নরকে, আপনি কি যাবেন?”(মার্ক ৯:৪৪)। “সেই প্লাবন এসে সকলকেই ভাসিয়ে নিয়ে যায়।” ৩. তৃতীয়, যখন প্লাবন আসে তখন যারা জাহাজে ছিল তাদের সকলেই উদ্ধার লাভ করে। স্পারজিউন বলেন, “[জাহাজ] থেকে কেউই পতিত হয় নি; কাউকে বাইরে বার করে দেওয়াও হয় নি; ইহার মধ্যে কেউ মারাও যায় নি; ইহার মধ্যে কাউকে [মারা] যাবার জন্য ছেড়ে রাখা হোয় নি। তারা সকলেই ইহার মধ্যে সংরক্ষিত ছিলেন... সেই জাহাজ তাদের সকলকেই সংরক্ষণ করে রেখেছিল, আর ঠিক সেই ভাবে যীশুও তাঁর মধ্যে [সকলকে] সুরক্ষীত করে রেখেছেন। তারা চিরকালের জন্য সুরক্ষিত। কেউই বিনষ্ট হবে না, আর না তো কেউ তাদের তাঁর হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে পারবে না।” (C. H. Spurgeon, “Noah’s Flood,” The Metropolitan Tabernacle Pulpit, Pilgrim Publications, 1976 reprint, volume XIV, p. 431). নোয়াহর জাহাজ ছিল খ্রীষ্টের পরিত্রাণ করার একটা ধরন, একটা ছবি। আমরা ইব্রীয় ১১ অধ্যায়ে পড়ি, “বিশ্বাসে নোয়াহ, যাহা যাহা তখন দেখা যাইতেছিল না, এমন বিষয়ে আদেশ পাইয়া ভক্তিযুক্ত ভয়ে আবিষ্ট হইয়া, আপন পরিবারের ত্রাণার্থে এক জাহাজ নির্মান করিলেন...” নোয়াহ ও তার পরিবার উদ্ধার লাভ করেছিলেন কেননা ঈশ্বরের বিচার উর্দ্ধে থেকে পতিত হয়ে জগৎকে ধ্বংস করার আগেই তারা জাহাজের মধ্যে প্রবেশ করেছিলেন। যেহেতু নোয়াহর পরিবার সেই জাহাজের অনুবর্তী হয়েছিলন, তাই তারা রক্ষা পেয়েছিল। বাইবেল বলে যে ঈশ্বর “... আর তিনি পুরাতন জগতের প্রতি মমতা করেন নাই, কিন্তু যখন ভক্তিহীনদের জগতে জলপ্লাবন আনিলেন তখন আর সাত জনের সহিত ধার্ম্মিকতার প্রচারক নোয়াহকে রক্ষা করিলেন” (২য় পীটার ২:৫). প্রাচীন যুগের যোগাযোগ মাধ্যম বলে যে সেই জাহাজ ছিল মণ্ডলীর চিত্র। আর সেটা স্বাভাবিক ভাবে লোকেরা এই বর্তমান দিনে অস্বীকার করে, কিন্তু আমার মনে হয় পুরাতন পণ্ডিতেরা একটি ভালো বিষয় নির্দেশ করেন। তৃতীত শতাব্দীর বিজ্ঞ ব্যাক্তি সাইপ্রিয়ান (২০০-২৫৪) বলেন, “মণ্ডলীর বাইরে সেখানে আর কোন উদ্ধার নেই।” জন ক্যালভিন, সবথেকে মহান সংস্কার সাধনাকারী ব্যাক্তি, এই একই কথা বলেছিলেন। আমার মনে হয় তারা ঠিক ছিলেন। ডাঃ এ.ডাবলিউ.টোজার(১৮৯৭-১৯৬৩) বলেন, “এই যুগে সেখানে আজ আর কোন সেবাই ঈশ্বরের কাছে যোগ্য হবে না যা মণ্ডলী কেন্দ্রিক এবং মণ্ডলীর বাইরে থেকে উদ্যত নয়... যে কেউ স্থানীয় মণ্ডলীকে অশ্রদ্ধা করে সে খ্রীষ্টের শরীরকেই অস্বীকার করে”(A. W. Tozer, D.D., “The Vital Place of the Church,” from God Tells the Man Who Cares, quoted in Warren W. Wiersbe, The Best of A. W. Tozer, Baker Book House, 1978, pp. 64, 65). সুতরাং, একদিক দিয়ে, সেই জাহাজ হল মন্ডলীর এক চিত্র। আমি বলছি, “এক দিক দিয়ে,” কেননা আপনি মন্ডলীতে যোগদান করেও উদ্ধার লাভ নাও করতে পারেন। অনেক লোক রয়েছে যারা মন্ডলীতে যায় তারা প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ান নয়। আমি একদিক দিয়ে নিশ্চিত যে হারিয়ে যাওয়া দলের মধ্যে বিরাট সংখ্যার লোকেরা, হতে পারে তাদের মধ্যে বহু হাজার সংখ্যক, সেই জাহাজকে দেখতে এসছিল। আর আমি সমভাবে নিশ্চিত যে সেই লোকেদের অনকেই সেই জাহাজের ভিতরে গিয়েছিল। তারা সন্দেহাতীত ভাবেই সেই জাহাজের গঠনের মধ্যে হেঁটেছিল, তার বিভিন্ন ঘরগুলোকে দেখে ছিলেন, উপরে ও নীচে ওঠা নামা করেছিলেন, একটা তলা থেকে অপর তলাতে পরিদর্শন করেছিলেন। আর তথাপি তারা সেই জাহাজে নিজেদের সুরক্ষীত করে রাখতে পারে নি। তারা সেখানে এসে চলে গিয়েছিল। কিছু সময়ের জন্য তারা সেখানে ছিল, আর অন্য সময়ে তারা সেখানে ছিল না। প্লাবন যখন আসে তখন তারা জাহাজে ছিল না, সুতরাং তারা বিনষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেই সমস্ত পথ অতিক্রান্ত করে জাহাজের কাছে আসা, আর সেখানে অবস্থান করাটা হল, অপরিত্রানপ্রাপ্ত ব্যাক্তির চিত্র যারা এত পথ অতিক্রান্ত করে মণ্ডলীতে আসেন, যীশুতে নির্ভর করেন, আর তাঁতে অবস্থান বা লেগে থাকছেন। যীহান ১৫:৬ পদে খ্রীষ্টের বাক্যকে ইংরাজীতে এন আই ভি অনুবাদ এইভাবে ব্যাখ্যা করেন, “কেহ যদি আমাতে না থাকে, তাহলে শাখার ন্যায় তাহাকে বাহিরে ফেলে দেওয়া যায়...আর সে সকল পুড়িয়া যায়।” অতএব, যারা সম্পুর্ণভাবে খ্রীষ্টের কাছে আসে, আর তাঁতে থাকে, সেই পরিত্রাণ লাভ করে। অপ্রাসংগিক ভাবে লোকেরা মন্ডলীতে যীশুকে গম্ভীর ভাবে গ্রহণ করার আগেই আসে আর পরিত্রাণ লাভ করে। আর এই ভাবে সর্বোত্তম ভাবধারায় লোকেরা উদ্ধার লাভ করে, কমপক্ষে আজকের দিনে এই প্রকার ধর্মবিশ্বাসের নীতি বিসর্জন দেওয়ার সময়ে এই বিষয়ে তারা বিভ্রান্তি উৎপন্ন করে থাকে। আপনাদের মধ্যে এই মন্ডলীতে বেশ কিছু ব্যাক্তি রয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত যীশুতে নির্ভর করেন নি। তাই আমি কি যতদূর সম্ভব দৃঢ়তার সংগে বলতে পারি–কেবলমাত্র মন্ডলীতে যোগদান করাটাই আপনাকে সেই বিচার দিনে রক্ষা লাভ করতে সাহায্য করবে না। যীশু এক বাক্তির বিষয়ে বলেন যিনি এক দৃশ্যমণ্ডলীতে এসেছিলেন, কিন্তু তাদের পরিধান করার বিবাহ বস্ত্র ছিল না। রাজা সেই ব্যাক্তিকে বলেন, “তুমি বিবাহ বস্ত্র পরিধান না করে কিভাবে এখানে প্রবেশ করলে?” তখন সেই ব্যাক্তির মুখে কোন কথা ছিল না। তারপর রাজা বলেন, “তার হাত পা বেঁধে, তাকে বাইরে,অন্ধকারে ফেলে দাও; সেখানে রোদন ও দন্ত ঘর্ষণ হবে” (ম্যাথুজ ২২:১২-১৩)। কেবলমাত্র যীশুতে নির্ভর করার দ্বারা আপনি সেই “বিবাহ বস্ত্র পরিধান করতে পারেন।” তাঁর কাছে আসাটা আপনি যদি প্রত্যাখান করেন, তবে সেই বিচারের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোন পথ আপনার নেই যা এই পৃথিবীতে প্রায় পড়তেই চিলেছে। আপনি যদি যীশুর কাছে আসাটা প্রত্যাখান করেন তবে আপনি নরকের অনন্তকালীন অগ্নি থেকে উদ্ধার বা পলায়ন করতে পারবেন না। আমি নিশ্চিত সেখানে নিশ্চয়ই অপরিত্রাণপ্রাপ্ত কার্যকারী ও সূত্রধরেরা ছিলেন, এবং আদিম সময়ের কলাকুশলীরা, যারা নোয়াহর জাহাজটির নির্মান কার্য্যে সাহায্য প্রদান করেছিলন। কিন্তু তারাও সেই জাহাজে নির্ভর করে নি। তারা ইহার বিষয়ে সমস্ত কিছুই জানতেন। কিন্তু তারা নিজেরা ইহার প্রতি নির্ভর করে নি। তারা ঠিক আপনাদের মতোই কারো কারো মত ছিলেন যারা মন্ডলীতে আসেন কিন্তু যীশুর কাছে আসতে চান না। আমি আপনাকে সতর্ক করে দিতে চাই, আপনি যদি মন্ডলীতে আসেন, কিন্তু যীশুকে নির্ভর করাটাকে প্রত্যাখান করেন, তবে আপনি নিশ্চিত ভাবেই সাংঘাতিক ভাবে আশাহত হয়ে পড়বেন যখন তিনি আপনাকে দূর করে দেবেন, অনন্তকালীন নরকের অগ্নিতে। খ্রীষ্ট নিজেই বলেছেন, “সেই দিন অনেকে আমাকে বলিবে, হে প্রভু, হে প্রভু, আপনার নামেই আমরা কি...ভাববাণী বলি নাই? তখন আমি তাহাদিগকে স্পষ্ট বলিব, আমি কখনও তোমাদিগকে জানি নাইঃ আমার নিকট হইতে দূর হও, হে অধর্মচারীরা” (ম্যাথুজ ৭:২২,২৩). যীশু ক্রুশের উপর মৃত্যুবরণ করেছেন আপনার পাপের মূল্য মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু আপনি যদি তাঁকে নির্ভর করাটা অস্বীকার বা প্রত্যাখান করেন, তবে বিচার দিনে আপনি সেই জাহাজের বাইরে থেকে যাবেন। যীশু আপনার জন্য রক্ত ঝরিয়েছেন আপনাকে সমস্ত পাপ থেকে পরিষ্কার করার জন্য। কিন্তু আপনি যদি তাঁর উপরে নির্ভর না করেন, তবে বিচারের দিনে আপনি জাহাজের বাইরে থেকে যাবেন। যীশু কবর থেকে জীবিত হয়েছেন,আপনাকে নূতন জীবন দেওয়ার জন্য, এমন কি অনন্ত জীবন পর্যন্ত, কিন্তু আপনি যদি তাঁকে নির্ভর না করেন তবে আপনাকে অনন্তকাল সেই নরকের আগুনেই কাটাতে হবে যার আগুন কোন দিনই নিভে যাবে না। আজকের সকালে আপনার কাছে আমি বিনতি জানাই-যীশুর কাছে আসুন, ঈশ্বরের একমাত্র পুত্রের কাছে, অনেক দেরী হয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর কাছে আসার সিদ্ধান্ত নিন! মিঃ গ্রিফিথ যেমনভাবে বেশ কিছু সময় আগে গান গেয়েছেন, “এই সময়ে, আপনার এক পরিত্রাতার প্রয়োজন।” আপনি যদি যীশুতে নির্ভর করতে চান, তবে এই মুহুর্তে আপনার আসন ত্যাগ করুন আর এই অডিটরিয়ামের পিছনের কক্ষে চলে যান। ডাঃ কাগান আপনাকে একটা নীরব জায়গায় নিয়ে যাবে যেখানে আপনি প্রার্থনা ও কথা বলতে পারেন। আপনি যদি প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ান হয়ে উঠতে চান, তবে অনুগ্রহ করে এখনই অডিটরিয়ামের পিছনের কক্ষে চলে যান। ডাঃ চ্যান অনুগ্রহ করে প্রার্থনা করুন যেন কোন একজন যীশুতে নির্ভর করে আর এই সকালে উদ্ধার লাভ করে। আমেন। (সংবাদের পরিসমাপ্তি) আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ আবেল প্রধম্মেঃ ম্যাথুজ ২৪:৩২-৪২. |
খসড়া চিত্র জমায়েত হওয়া বিস্ফোরণ THE GATHERING STORM লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি “বাস্তবিক নোয়াহ’র সময় যেমন হইয়াছিল,মনুষ্যপুত্রেরও আগমনও তদ্রুপ হইবে। কারণ জলপ্লাবনের সেই পূর্ববর্তী কালে জাহাজে নোয়াহ’র প্রবেশ দিন পর্যন্ত লোক যেমন ভোজন ও পান করিত, বিবাহ করত ও বিবাহিতা হইত,এবং বুঝিলনা, যাবত বন্যা আসিয়া সকলকে ভাসাইয়া লইয়া গেল; তদ্রুপ মনুষ্য পুত্রের আগমণ হইবে” (ম্যাথুজ ২৪:৩৭-৩৯). (১ম থেসালনিয়ানস ৫:৩; ২য় পীটার ৩:১০; ম্যাথুজ ২৪:৩; ১. প্রথম, “প্লাবন এলো, তাদের সকলকে ভাসিয়ে নিয়ে গেলো”, ২. দ্বিতীয়, প্লাবন এলে পর তারা কেবল এই জগতে তাদের বিষয় বস্তু নিয়েই ৩. তৃতীয়, যখন প্লাবন আসে তখন যারা জাহাজে ছিল তাদের সকলেই উদ্ধার |