এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
সেই লক্ষ্য ! সেই উদ্দেশ্য! সেই ব্যাক্তিত্ত্ব! THE TARGET! THE OBJECT! THE PERSON! লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি. ২০১৩ সালে ১৮-ই আগষ্ট, এক সকালে সদাপ্রভুর দিনে, লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনেকেলে এক সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল “শাস্ত্রের পবিত্র অংশ, সে সকল খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাস দ্বারা তোমাকে পরিত্রাণের নিমিত্ত জ্ঞানবান করিতে পারে।”(২-য় টিমোথিয় ৩:১৫). |
স্বাভাবিক ভাবেই, আমাদের মন্ডলীর বহু সদস্য এই গরমের সময়ে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। স্বভাবতই, তারা চলে যাওয়ার পরেও যথাযথ ভাবেই তারা বাইবেলে বিশ্বাসকারী অন্য ব্যাপটিস্ট মণ্ডলীতে যোগদান করেন। এবং, স্বাভাবিক ভাবেই, তারা এক খারাপ সংবাদ নিয়ে ফিরে আসেন। এটা এতদূর পর্যন্ত নয় যে তারা সমালোচনা প্রবণ, কিন্তু তারা এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। এক দম্পতি তাদের সন্তানদের নিয়ে পূর্ব দিকের পাঁচটি ব্যাপটিস্ট মণ্ডলীতে গিয়েছিলেন। সেই স্ত্রী আমাকে বলেন, “ডাঃ হাইমার্স, তাদের মধ্যে একজন প্রচারকও খ্রীষ্টের বিষয়ে প্রচার করলেন না, বা সুসমাচারকে বাখ্যা করলেন না।” আমার পুত্র এবং তার নতুন স্ত্রীও পশ্চিম প্রান্তে, দুটি নতুন মণ্ডলীতে গিয়েছিল। সে আমাকে বললো, “বাবা, পালক মহাশয় এমন ভাবে বাইবেল অধ্যয়ন নিলেন মনে হল যেন সকলে উদ্ধার লাভ করেছে। কিন্তু তারা যীশু খ্রীষ্ট ও সুসমাচার সম্বন্ধে কিছুই বললেন না।” অনুগ্রহ করে আমাকে ভুল বুঝবেন না। আর আমি এই কথা কেবলমাত্র ভুল বের করবার জন্য তা করছি না। আমি এইজন্য বলছি যেন সেই যুবক বেশী করে যীশুর বিষয়ে তারা বলে। এই অন্ধকারের সময়ে সেটাই হল সব থেকে বেশী প্রয়োজন-যীশু খ্রীষ্ট এবং তিনিই যিনি ক্রুশারোপিত! আমাদের লোকেদের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যেন তারা অন্য মণ্ডলীর বিষয়ে খুব বেশী একটা সমালোচনা প্রবণ না হয়। কিন্তু যীশু নামের উল্লেখ না হলে তারা আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। তারা কেবলমাত্র উদ্বিগ্ন এই জন্য কেননা তারা সেই সুসমাচার শুণতে পায় নি-এমন কি “ছোঁয়াও হয়নি” অনেক সংবাদের শেষেও তা প্রচারিত হয় নি! আমাদের লোকেদের একজন আমাকে বললেন, “কি ভাবে সেই পালক জানবে যে তারা উদ্ধার পেইয়েছে কিনা? সেখানে আবার অন্য পরিদর্শনকারীরাও ছিলেন। তারা যে খ্রিষ্টিয়ান কি ভাবে তারা তা জানবে?” আরো একজন আমাকে বলেন, “পালক, আপনি যে যীশুর বিষয়ে প্রচার করেন তা সত্যই আমি হারাচ্ছি।” আমার নিজের প্রচারের যে সূত্র তা খুবই সরল–“কেননা আমি মনে স্থির করিয়াছিলাম তোমাদের মধ্যে আর কিছুই জানিব না, কেবল যীশু খ্রীষ্টকে, এবং তাঁহাকে ক্রুশে হত বলিয়াই জানিব” (১-ম করিথিয়ানস ২:২)। এর অর্থ এমন নয় যে আমি সেই বিষয়টা এড়িয়ে চলি। না কোন মতেই তা নয়! দৃষ্টান্ত অনুযায়ী, আজকের রাত্রিতে আমার সংবাদে ধর্মের উৎপত্তির বিষয়ে মনস্তত্ত্ববিদ ফ্রয়েড এবং জাং বিভিন্ন দর্শনের বিষয়ে বলবো। এরপরে বাইবেল এই বিষয়ে কি বলে তা আমি বলবো। আমি আবার যিহুদিদের উত্থানের বিষয়েও বলবো, এবং সেই সঙ্গে অনুগ্রহের ধর্মতত্ত্বের বিষয়েও। কিন্তু যা কিছু আমি বলি তা খ্রীষ্ট ও ক্রুশের মুখ্য সংবাদের প্রতিই নির্দেশ করে! প্রেরিত পল উল্লেখ ইহাকে যে ভাবে উল্লেখ করেছেন, “কারণ সেই ক্রুশের কথা তাহাদের ইহা প্রচার করে মূর্খতার বিনাশ হউক; কিন্তু আমরা যাহারা পরিত্রাণ পাইতেছি তা আমাদের কাছে ঈশ্বরের পরাক্রম স্বরুপ। কারণ লিখিত আছে, আমি জ্ঞানবানদের জ্ঞান নষ্ট করিব, বিবেচক লোকেদের বিবেচনা ব্যার্থ করিব, এবং কোন কিছুই বোধগম্যতার সীমায় রাখবো না। জ্ঞানী কোথায়? অধ্যাপক কোথায়? এই জগতের তার্কিকরা কোথায়? ঈশ্বর কি জগতের জ্ঞানকে মূর্খতায় পরিণত করেন নাই? কারণ ঈশ্বরের জ্ঞানক্রমে যখন জগৎ নিজ জ্ঞান দ্বারা ঈশ্বরকে জানিতে পায় নাই, তখন প্রচারের মূর্খতা দ্বারা বিশ্বাসকারীদের পরিত্রাণ করিতে ঈশ্বরের সুবাসনা হইল। কেননা যিহুদিরা চিহ্ন চায়, এবং গ্রীকেরা জ্ঞানের অণ্বেষণ করেঃ কিন্তু আমরা ক্রুশে হত খ্রীষ্টকে প্রচার করি, তিনি যিহুদিদের কাছে বাধাস্বরুপ, ও গ্রীকদের কাছে মূর্খতা স্বরুপ; কিন্তু আহুত সকলের কাছে, যিহুদি ও গ্রীক, উভয়ের কাছেই খ্রীষ্ট ঈশ্বরেরই পরাক্রম, ও ঈশ্বরেরই জ্ঞান স্বরুপ...। যেন কোন মর্ত্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে শ্লাঘা না করে। কিন্তু তাঁহা হইতে তোমরা সেই খ্রীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি আমাদের জন্য ঈশ্বর হইতে জ্ঞান, ধার্মিকতা, পবিত্রতা, এবং যুক্তিঃ যেমন,লেখা আছে, যে ব্যাক্তি শ্লাঘা করে, সে প্রভুতেই শ্লাঘা করুক” (১-ম করিনিথিয়ানস ১:১৮-২৪, ২৯-৩১). আমাদের প্রচারের সেটাই হল আলোকপাতের বিষয়! “কেননা, আমি মনে স্থির করিয়াছিলাম তোমাদের মধ্যে আর কিছুই জানিব না, কেবল যীশু খ্রীষ্টকে এবং তাঁহাকে ক্রুশে হত বলিয়াই জানিব” (১-ম করিনথিয়ানস ২:২). “কিন্তু আপনি যদি তা করেন তবে আপনার মধ্যে দূর্বল খ্রীষ্টিয়ান থাকবে,” এই কথাই আধুনিক সময়ের বেশ কিছু প্রচারক বলেন! অর্থহীন! তুলনার দিক দিয়ে যে কোন সময়ে তার বিরুদ্ধে আমাদের লোকেদেরই আমি তুলে ধরবো! আমাদের সমস্ত লোকেরাই রবিবারের সকালে ও সন্ধ্যায় এখানে আসেন। সপ্তাহের মধ্যে আমাদের তিনটি মুখ্য প্রার্থনা সভা রয়েছে। এদের অন্তত একটাতে সকলেই যোগদান করেন,আবার অনেকে একের অধিক সভায় যোগদান করেন। আত্মা জয় করার জন্য আমাদের লোকেদের সকলেই সচেষ্ট হয়। সকলেই লেগে থাকে। খ্রীষ্টিয়ান জীবন যাপন করার ক্ষেত্রে সকলেই উফ্বীপ্তময়! আর তাই মহান স্পারজিউনের সাথে সাথে আমিও বলি, “যে বিষয় বস্তুতে আমি জীবন যাপন করি ও যার উপরে ভিত্তি করে মৃত্যুবরণ করতে হবে তিনি কি সেই ক্রুশারোপিত খ্রীষ্ট নন? ... যখন কোন ব্যাক্তি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তখন তিনি কোন দিকে তাকাবেন? তিনি যদি এক খ্রীষ্টিয়ান হন, তবে কোথায় তিনি যাবেন? যীশু খ্রীষ্ট ছাড়া কোথায় বা যেতে পারেন?” (C. H. Spurgeon, “The Man of One Subject,” The Metropolitan Tabernacle Pulpit, Pilgrim Publications, 1971 reprint, volume XXI, p. 647). তার সময়ে স্পারজিউনের বিশ্বের বহু বৃহৎ ব্যাপটিস্ট মন্ডলী ছিল। আর তার সমস্ত সংবাদই ছিল সুসমাচার বিষয়ক-এবং তার সংবাদের মধ্যে পাপীদের বলেছিলেন যে কিভাবে যীশুর দ্বারা উদ্ধার লাভ করতে হয়। তার সব সংবাদই সব সময়ই খ্রীষ্ট কেন্দ্রিক ছিল! তার সংবাদ সব সময়ই ক্রুশের বার্তা নিয়ে কথা বলে! ঈশ্বরের কাছে আমি আশা করি সেই প্রকার মণ্ডলী যেন আজকের দিনেও আমাদের হয়! পালক, প্রতি রবিবার কেমন ভাবে প্রচার করতে হয় তা যদি আপনি জানতে চান, তবে স্পারজিউওনের কাছ থেকে পড়ুন! ডাঃ ডব্লিঊ.এ.ক্রিসওয়েল, টেক্সাসের অন্তর্গত ডালাসের, মহান প্রচারক বলেন, আজকের এই বর্তমান প্রজন্মের প্রতি [স্পারজিউনের সমাচার] প্রজাতন্ত্রের সময় থেকে সেখানে এই প্রকার আত্মিক বা ধর্মপদেশমূলক মহান আশীর্বাদ হতেই পারে না। সমস্ত সময়ের জন্য স্পারজিউন ছিলেন এক মহান প্রচারক, আর তার সংবাদ সমস্ত প্রজন্মের কাছে অতি তাৎপর্যমূলক (W. A. Criswell, Ph.D., jacket cover of The Metropolitan Tabernacle Pulpit, Pilgrim Publications, volume VII, 1986 reprint). কোন বিষয়টা স্পারজিউনের সংবাদকে “সমস্ত প্রজন্মের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছিল?” ইহা ছিল প্রভু যীশুখ্রীষ্টের-উপরে ক্রমাগত ভাবে জোর দিয়ে প্রচার করা তাঁকে যিনি ক্রুশারোপিত! যীশুতে বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে যে পরিত্রাণ তার উপরে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে,আর প্রচার বেদী থেকে সেটাই বার বার বলতে হবে। আর সেটাই হল একমাত্র পন্থা যার দ্বারা সুস্থ সবল মণ্ডলী লাভ করা সম্ভব। খ্রীষ্টিয়ানদের পুণঃ পুণঃ সুসমাচারকে শোণার প্রয়োজন আর তা না হলে তারা নিরুৎসাহ হয়ে পিছনের দিকে ফিরে যাবে। “যীশু খ্রীষ্ট, ও যিনি ক্রুশারোপিত” এই প্রকার সংবাদ শোণা ছাড়া আর অন্য কোন কিছুই খ্রীষ্টিয়ানদের আত্মাকে তৃপ্তি দিয়ে তাদের হৃদয়কে উঁচুতে তুলতে পারে না! হারিয়ে যাওয়া লোকেদের কাছে সুসমাচারের সংবাদ শোণার প্রয়োজন, আর তা বহুবার পর্যন্ত, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা প্রকৃতভাবে উদ্ধার পাচ্ছে। আমার পঞ্চান্ন বৎসর কাল পরিচর্যা কার্যের সময় আমি বহু শতাধিক সুসমাচার প্রচারকারী ও ব্যাপটিস্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। আর কি ভাবে পরিত্রাণ লাভ করতে হয় এই বিষয়ে তাদের যে অজ্ঞানতা তার দ্বারা প্রায় সময়ে আশ্চর্য্য হয়ে গিয়েছি। মণ্ডলীর মধ্যে অনেক সদস্য রয়েছে তারা জানেই না যে কিভাবে পরিত্রাণ লাভ করতে হয় আর যারা তা করে তাদের মধ্যে স্বভাবত বিভিন্ন ভ্রান্ত চিন্তাধারা তাদের কাছে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে। হারিয়ে যাওয়াদের মধ্যে আত্মিক যে অন্ধতা সেটাই হল একটা কারণ। শাস্ত্রাংশ বলে, “কিন্তু প্রাণীরা মনুষ্য [পরিত্রান প্রাপ্ত নয়] ঈশ্বরের আত্মার বিষয়গুলি গ্রহণ করে নাঃ কেননা তাহার কাছে সে সকল মূর্খতাঃ আর সে সকল সে জানিতে পারে না, কারণ তাহা আত্মিক ভাবে বিচারিত হয়” (১-ম করিনথিয়ানস ২:১৪). এই বিভ্রান্তির অন্য যে কারণ তা হল প্রচারকেরা পরিত্রাণের বিষয়ে আলোকপাত করেন না। তারা পরিত্রাণের ওপর কোন শিক্ষার পরিমাপ করে না (পরিত্রাণের শিক্ষা)। সমস্ত বিষয়ের উপরে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তারা অবজ্ঞা এবং অবহেলার চোখে দেখে। তারা অনভিজ্ঞ ও শিক্ষাবিহীন এক সানডে স্কুল শিক্ষকের দ্বারা সুসমাচারকে ব্যাখ্যা করার জন্য পর্যবসিত করে, পক্ষান্তরে তারা নিজেদেরকে “পরিত্রাণপ্রাপ্ত” শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করে-এমনকি তাদের মধ্যে অনেকে পরিত্রাণ পেয়েছে বলে চিন্তা করলেও তারা বাস্তবে হারিয়ে গিয়েছে! আমি জানি প্রচারক হিসাবে আমাদের সকলেরই সুসমাচারের উপরে বেশী করে জোর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে! খ্রীষ্টের মধ্যে বিশ্বাস প্রচারের মূল্যবান মুকুট, আর সেটাই আমাদের পরিচর্যার গুরুত্বপূর্ণ দিক। খ্রীষ্টের মধ্যে বিশ্বাস হল সমস্ত-গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইহা অত্যন্ত সহজ বিষয়, আর তথাপি ইহা একটু জটিলও বটে। আমি আশা করি যীশুর মধ্যে বিশ্বাসে পরিত্রাণের যে বিষয় এই সংবাদ শোণাটা সকলের কাছেই সাহায্যকারী হয়ে উঠবে। আর সেটাই আমাদের এই প্রসঙ্গের কাছে নিয়ে আসে, “আর সেই পবিত্র শাস্ত্র, সে সকল খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাস দ্বারা তোমাকে পরিত্রাণের নিমিত্ত জ্ঞানবান করিতে পারে” (২-য় টিমথিয় ৩:১৫). আমাদের পরিত্রাণের পথকে আলোকিত করার প্রতি পবিত্র শাস্ত্র সেই কাজ সম্পন্ন করার জন্য সমর্থ যার বিষয়ে প্রেরিত পল টিমথিকে, বলার মধ্য দিয়ে আমাদেরও, তা বলছেন যে পরিত্রাণ-আমাদের কাছে তখনই আসে যখন আমরা যীশুর মধ্যে বিশ্বাসের বিষয়টিকে অনুশীলন করি। পরিত্রাণকারী বিশ্বাসের মূল বিষয় হল যীশু খ্রীষ্ট। আমরা সাধারণত বলি যীশু, বা যীশুখ্রীষ্ট, কিন্তু প্রেরিতেরা খ্রীষ্টকে প্রথমে রাখেন-খ্রীষ্ট যীশু- বা “মশীহা যীশু।” সেটাই হল উদ্দেশ্য। আমার মনে হয় তিনি “খ্রীষ্ট” এই শিরোনামটি প্রথমে রাখেন কেননা যীশু যে অবস্থানে অবস্থান করেন, তার প্রতি জোর দেন যাকে বলা হয় পাপীদের জন্য অভিষিক্তকারী পরিত্রাতা। আর, তাই, প্রেরিতেরা বলেন আমরা উদ্ধার লাভ করি “যীশু খ্রীষ্টের মধ্যে বিশ্বাস” স্থাপন দ্বারা-বাইবেলে বিশ্বাসী হয়ে নয়, খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসী হয়ে। আর বাইবেলের উদ্দেশ্য হল “আমাদের প্রজ্ঞাশীল” করে তোলা, আমাদের আলোক প্রদান করা, উদ্ধার প্রদান করা “বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে যা খ্রীষ্ট যীশুর মধ্যে আছে।” “বিশ্বাসের” দ্বারা বলার অর্থ হল নির্ভরতা, কিছুর উপরে ভরষা রাখা। “বিশ্বাস”কে গ্রীক শব্দে অনুবাদ করা হয়েছে “পিস্তিস” বলে, যার অর্থ হল “খ্রিষ্টের উপরে ভরষা রাখা” (Strong, number 4102). সুতরাং, পরিত্রাণ বা উদ্ধারের নির্ভরতা হল “খ্রীষ্ট যীশু।” “উদ্দেশ্য” এই কথা বলার মধ্যে আমার অর্থ হল সেই লক্ষ্য, সেই একমাত্র “বিষয়” সেই লক্ষ্য সেই উদ্দেশ্য হল ব্যাক্তিত্ব – যীশু খ্রীষ্ট। যীশু হলেন একমাত্র উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য বা ব্যাক্তি যিনি আমাদের উদ্ধার করতে পারেন- শুধু মাত্র বাইবেল নয়, পবিত্র আত্মা নয়, প্রার্থনা নয়, যীশু কেবল যীশু! আর সেটা বাইবেলের সব জায়গাতেই। ঈশার বইয়েতে খ্রীষ্ট যা বলেছেন তা আমরা শুণতে পাই, “আমার প্রতি দৃষ্টি করিয়া, পরিত্রাণ প্রাপ্ত হও” পদের মধ্যে “আমার” বলে যে শব্দ তা হলেন যীশুর পুণরুত্থান পূর্ব দেহধারী অবস্থান। “আমার প্রতি দৃষ্টিপাত কর” – যীশু হলেন উদ্দেশ্য তার উপরে আপনি দৃষ্টিপাত করবেন বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে। “আমার প্রতি দৃষ্টি করিয়া,পরিত্রাণ প্রাপ্ত হও।” অন্য কোন জায়গাতে পরিত্রাণ নেই। পরিত্রাণ কারী বিশ্বাস ও নির্ভরতার জন্য যীশু খ্রীষ্ট হলেন একমাত্র উদ্দেশ্য। “আমার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া, পরিত্রাণ প্রাপ্ত হও।” পুণরায়, সেই পুণরুত্থান পূর্ব দেহধারী যীশু বলেন, “আর তোমরা আমার অণ্বেষণ করিবে, আমাকে পাইবে,কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অণ্বেষণ করিবে” (জেরেমিয়া ২৯:১৩). “আমার।” “আমার।” “আমার।” “অণ্বেষণ করিবে।” “পাইবে আমাকে।” “আমার অণ্বেষণ করিবে।” আপনি দেখুন, যীশু হলেন পরিত্রাণকারী বিশ্বাসের উদ্দেশ্য! অথবা নতুন নিয়মের অত্যন্ত পরিচিত পদ একটা নিন, “তোমরা প্রভু যীশুতে বিশ্বাস কর,তাহাতে পরিত্রাণ পাইবে” পুণরায়, প্রভু যীশু খ্রীষ্ট হলেন একমাত্র ব্যাক্তি যার প্রতি বিশ্বাস করতে পারি। খ্রীষ্ট হলেন পরিত্রাণকারী বিশ্বাসের উদ্দেশ্য। পুণরায়, যীশু বলেছেন, “হে পরিশ্রান্ত ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকট আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব” (ম্যাথুজ ১১:২৮). যীশু আপনাকে বলছেন তাঁর উপরে বিশ্বাস স্থাপন করতে, “আমার নিকট আইস।” তিনিই হলেন পরিত্রাণকারী বিশ্বাসের উদ্দেশ্য। কেবলমাত্র আরো একটা! “যে তাঁহাতে বিশ্বাস করে, তাহার বিচার করা যায় না” আমাদের পাঠ্যাংশে যেমন রয়েছে – ইহা বাইবেলের সব জায়গাতেই তেমনি, “...পরিত্রাণ কেবলমাত্র খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসের মধ্য দিয়েই পাওয়া যায়।” সেই উদ্দেশ্য, ও কেবলমাত্র উদ্দেশ্য, যিনি আপনাকে উদ্ধার করতে পারেন তিনি হলেন খ্রীষ্ট যীশু। আর আপনি পরিত্রাণ লাভ করতে পারেন বিশ্বাসের দ্বারা, নির্ভরতার দ্বারা, বিশ্বাসের সেই উদ্দেশ্যে, যিনি হলেন যীশু খ্রীষ্ট নিজে। এখন যীশুকে আপনার প্রয়োজন কেন ? কেননা ক্রুশের উপরে তিনি মৃত্যবরণ করেছেন আপনার পাপের প্রায়শ্চিত্ত স্বরুপ-আর তিনি শারিরীকভাবে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছেন অনন্তজীবন দান করার জন্য! আপনার পাপের ক্ষমা লাভ অবশ্যই দরকার তা না হলে আপনি স্বর্গে যেতে পারবেন না। যীশুর কাছ থেকে অতি অবশ্যই অনন্ত জীবন আপনার দরকার তা না হলে আপনি অনন্ত কালীন অগ্নিতে বিনষ্ট হয়ে যাবেন! আপনার বিশ্বাসের উদ্দেশ্য অতি অবশ্যই যীশু খ্রীষ্টের, নিজের মধ্যে হতে হবে! আর এই জন্যই অন্য সমস্ত প্রকার ধর্মমত ও ভ্রান্ত ধর্ম কম্পমান হয়ে যায়। দৃষ্টান্ত হিসেবে সেভেন্থ ডে এডভেন্টিস্টস নেওয়া যেতে পারে। তাদের সবচেয়ে “বৃহত্তর” সংবাদটি কি? আপনাকে (শণিবার) বিশ্রাম দিন পালন করতে হবে (রবিবার) প্রভুর দিনে নয়। খুব বেশি দিন নয় এদের একজন এখানে এসেছিলেন। কাই একটি নোট লিখে আমাকে বললেন, “তিনি বাইবেলে সমস্ত কিছুই বিশ্বাস করেন।” কাই ভাবলেন সেটা বিরাট বিষয়, কিন্তু আমি আরো ভালো জানি। আমি সেই যুবক ব্যাক্তিকে আমাদের মণ্ডলীতে স্বাগত করলাম, কিন্তু সে যেন কোন মতেই অন্যের সঙ্গে সাক্ষাত বা বিশ্রাম দিনের বিষয়ে কিছু না বলে। এর কিছুদিন পরে সে ডাঃ চানকে বললো সে এই ভাবে আসতে পারবে না, কারণ তাকে সাবাথ বা বিশ্রাম দিন নিয়ে কথা বলতেই হবে! এটা আপনাকে কি দেখায় ? ইহা দেখায় যে তার বিশ্বাসের কাছে সাবাথ হল মুখ্য উদ্দেশ্য। সাবাথ দিনে যে সে আরাধনা করে সেই বিষয়ে আমার মনে করার কিছু নেই, কিন্তু তা যেন কোন মতেই বিশ্বাসের মুখ্য বিষয় বস্তু হয়ে না উঠে। কেবলমাত্র যীশুই সেই অবস্থান লাভ করবেন। যীশু বলেছেন, “আমাকে ছাড়া কোন মনুষ্যই পিতার কাছে আসতে পারে না” (যোহান ১৪:৬)। উদ্ধার বা পরিত্রাণকারী উদ্দেশ্য হিসেবে যীশু তাঁর অবস্থানকে ভাগ করে নেবেন না। ইহা কেবল মাত্র যীশুর প্রতি অটল বিশ্বাস! কেবল যীশু, আমাকে কেবলমাত্র যীশুকে দেখতে দাও, কেবল আর আপনি তা যিহোবা উইটনেসেসের সঙ্গেও দেখতে পারেন। তাদের বিশ্বাসের মুখ্য উদ্দেশ্য হল কেবল যিহবা, যীশু নয় (যদিও তারা তাঁর নাম ব্যবহার করে)। মরমন্দের মুখ্য উদ্দেশ্য হল মরম্নের বই, যীশু নয় (যদিও তারা তাঁর নাম ব্যবহার করে)। মরমনের ব্যাপারে এক “ইঙ্গিত।” তারা কি যীশুর উপরে নির্ভর করতে পারবে মরমনের বইটি ছাড়া ? না! তারা তা করবে না! তাদের জন্য অতি অবশ্যই মরম্নের বইটি থাকতে হবে। আর এটাই অর্থাৎ মরমনের বইটিই, যীশু নয়, তাদের উদ্দেশ্যের মুখ্য বিষয়! যীশু, এবং কেবলমাত্র যীশুই, অবশ্যই হতে হবে আমাদের বিশ্বাসের উদ্দেশ্য। সেই কারণেই প্রেরিত পীটার বলেন, “আর অন্য কাহারও কাছে পরিত্রাণ নাইঃকেননা আকাশের নীচে মনুষ্যদের মধ্যে দত্ত এমন আর কোন নাম নেই, যে নাম আমাদিগকে পরিত্রাণ করিবে” (প্রেরিত ৪:১২). যীশুকেই উদ্দেশ্য হতে হবে, একমারে উদ্দেশ্য, আর তিনিই হবেন আমাদের বিশ্বাসের একমাত্র উদ্দেশ্য।পরিত্রাণ পাওয়ার একমাত্র পথ হল সেটাই। আমাদের পাঠ্যাংশে যে ভাবে উল্লেখ করেছে, “পরিত্রাণ কেবলমাত্র বিশ্বাসের দ্বারা খ্রীষ্টের মধ্যেই (২-য় টিমোথিয় ৩:১৫)। এখন, আপনি কি করবেন? আপনি কি বিশ্বাস করার চেষ্টা করছেন? কিসের উপরে আপনি নির্ভর করতে চাইছেন? আপনি বলবেন, “ আমি যদি এটা বা ওটা অনুভব করি তবে আমি বিশ্বাস করবো। আমি তবেই বিশ্বাস করবো যদি আমার মধ্যে তেমন কিছু অনুভবকে প্রমাণ করতে পারি।” আহ, এই ভাবে আপনি কখনই উদ্ধার লাভ করতে পারবেন না! আপনার উদ্দেশ্যের বিষয়বস্তু হল এক অনুভুতি- যীশু নিজে নন! আপনার পরবর্তী জীবন পর্যন্ত আপনি অনুভুতির জন্য অপেক্ষা করতে পারেন-আর হয়তো আপনি কোন অনুভুতি লাভও করতে পারেন (শয়তান বা আপনার আদমীয় ভাবধারা থেকে)-কিন্তু আপনি যদি সেই অনুভুতির উপরে নির্ভর করেন তবে আপনি নরকে চলে যাবেন! কেবল যীশুই আপনাকে উদ্ধার করতে পারেন! যীশুকেই আপনার বিশ্বাসের উদ্দেশ্য হতে হবে, কেবল অনুভুতি নয়! আপনাকে অতি অবশ্যই যীশুতে নির্ভর করতে হবে! কেবল যীশু, আমাকে কেবলমাত্র যীশুকে দেখতে দাও, কেবল অন্য আর এক ব্যাক্তি বলেন, “হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি যে যীশু আমার জন্য মৃত্যু বরণ করেছেন।” ওহ,ওহ! সেই শব্দ “যে” হল আপনার বিশ্বাসের উদেশ্য-যীশু নিজে নয়! আপনি বলেন, “আমি তা বিশ্বাস করি!” কিন্তু সেই “যে” কাউকেই পরিত্রাণ করতে পারে না! সেই “যে” হল মৃত, এক শুকনো শিক্ষা। সেই “যে” হল স্যাণ্ডেমেনিয়ানিজম! আমি আশ্চর্য হয়ে যাই যদি সেখানে দিয়াবল নামে “যে” থেকে থাকে। আপনি বলছেন, “আমি বিশ্বাস করি যে যীশু আমার জন্য মৃত্যু বরণ করেছেন।” আমি বলি “সেই “যে” তে বিশ্বাস করাটা ভুলে যান! যীশুতে বিশ্বাস করুন! এই প্রকার শিক্ষায় নির্ভর করাটা বন্ধ করুন, অথবা দিয়াবল নামে “সেই যে” বলে কিছুকে।”’ “প্রভু যীশুতে বিশ্বাস করুন, তবেই আপনি পরিত্রাণ পাবেন” (প্রেরিত ১৬:৩১). আমাকে অবশ্যই ফিরে এসে আবার বলতে হবে, সেই প্রকার ধর্ম বিশ্বাস কোন দিন খ্রীষ্টকে, ও তিনি ক্রুশেতে যা করেছেন তার প্রতি কোন উদ্দেশ্য রাখে না! ভুল শিক্ষকেরা বিশেষ করে যীশু খ্রীষ্টের উপরে,এবং ক্রুশের উপরে পাপের মূল্য দেওয়ার প্রতি তিনি যা করেছেন তার প্রতি কোন উদ্দেশ্য রাখে না। ভ্রান্ত কোন ধর্ম কোন দিনই তা করে না। তারা পশ্চিমী ধর্মবিশ্বাসের অতিপ্রাকৃতিক মতবাদ বা শিক্ষার উপরে কিছু আলোকপাত করে। তারা কোন সময়েই তাদের নির্ভরতাকে প্রয়োজনীয় ভাবে যীশু খ্রীষ্টে এবং যিনি আমাদের পাপের জন্য ক্রুশারোপিত হয়েছেন তার প্রতি রাখে না। ওহ, ভ্রান্ত শিক্ষার থেকে দূরে চলে আসুন! কেবলমাত্র যীশু যিনি ক্রুশারোপিত হয়েছেন সেই যীশু খ্রীষ্টেই নির্ভর ও বিশ্বাস করুন! অনুভব শক্তি ও বহিঃপ্রান্তের মতবাদ ও শিক্ষা থেকে দূরে থাকুন। “পরিত্রাণ [হয়] কেবলমাত্র বিশ্বাসের দ্বারা যীশু খ্রীষ্টতেই” (২-য় টিমথিয় ৩:১৫)। কেবল যীশু, আমাকে কেবলমাত্র যীশুকে দেখতে দাও, কেবল তাই অনুভবের প্রতি তাকিয়ে থাকাটা বন্ধ করুন! কেবলমাত্র যিনি ক্রুশারোপিত সেই যীশু খ্রীষ্টের প্রতি দৃষ্টিপাত বা দৃষ্টি রাখুন! স্বর্গে পিতার দক্ষিণে উপবিষ্ট সেই যীশুর প্রতি তাকান! অনুভবশক্তি ও আবেগপ্রবণতা থেকে দূরে থাকুন! কেবলমাত্র খ্রীষ্ট ও যিনি ক্রুশারোপিত তাঁর প্রতি দেখুন! “যে” তিনি আপনাকে উদ্ধার করতে পারেন তা বিশ্বাস করা বন্ধ করুন। “যে” কোনমতে কাউকে উদ্ধার করতে পারে না। “যে” থেকে দূরে থাকুন। “যীশু খ্রীষ্টের উপরে বিশ্বাস করুন আর তাহলেই আপনি উদ্ধার বা পরিত্রাণ লাভ করবেন।” আপনার জন্য তিনি সেখানে আছেন। তাঁর প্রতি দেখুন। তাঁর কাছে আসুন। তাঁকে বিশ্বাস করুন! তাঁকে নির্ভর করুন! আমি তাঁর অভ্যর্থনার রব শুণতে পাই, আপনি যদি যীশুর উপরে নির্ভর করার জন্য প্রস্তুত, তবে এই মুহুর্তে আপনার চেয়ার ছেড়ে এই অডিটরিয়ামের পিছনে হেঁটে যান। ডাঃ আকগান আপনাকে অনুসন্ধানকারী কক্ষে নিয়ে যাবেন। এখনই যান। ডাঃ চান, অনুগ্রহ করে এমন কারো জন্য প্রার্থনা করুন যারা যীশুর উপরে নির্ভর করেছেন। আমেন। সংবাদের পরিসমাপ্তি অথবা আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ হেবল প্রধুম্মেঃ যোহান ৩:১৬-১৮. |