এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
অণ্বেষণের মধ্যে খ্রীষ্টকে খুঁজে পাওয়া ON SEEKING AND FINDING CHRIST লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি. ২০১৩ সালে, ১১-ই আগষ্ট, সদাপ্রভুর দিনে এক সন্ধ্যাকালে, লস এঞ্জেলেসের “আর তোমরা আমার অণ্বেষণ করিবে, আমাকে পাইবে,কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অণ্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯:১৩). |
ইহা এই ভাবে বলা হতো যে আর্মেনিয়ানরা প্রায় সময়ে ক্যালভিনদের মতো প্রার্থনা করতো। এটা নিশ্চিত আমি সেই পুরাতন সময়ের ক্যালভিনদের কথা বলছি। ইহার অর্থ হল আর্মেনিয়ান যারা, মানুষের উদ্ধারের বিষয় বর্ণনা করে, তারা কোন মতেই ঈশ্বরকে ইহা করার জন্য প্রার্থনা করতেন না। আমরা আর্মেনিয়ানদের প্রার্থনায় শুণতে পাই, “হে ঈশ্বর, কৃপা করে আমার ভাইকে উদ্ধার কর!” আর তাই, যে সমস্ত খ্রীষ্টিয়ানেরা আর্মেনিয়ানদের ন্যায় প্রার্থনা করে তাদের ক্যালভিন বলেই বিবেচনা করা হয়! এতা এমনি মনে হয় যারা আত্মিক মনোভাবাপন্ন তাদের কাছে এই রহস্য সহজেই ব্যাখ্যা করা হতো। বাইবেল বলে, “এখন আরো অধিকতর রুপে আমার অসাক্ষাতে সভয়ে ও সংকল্পে আপন পরিত্রাণ সম্পন্ন কর। কারণ ঈশ্বরই আপন হিত সংকল্পের নিমিত্ত তোমাদের অন্তরের ইচ্ছা ও কার্য্য উভয়ের সাধনকারী” (ফিলিপিয়ানস ২:১২,১৩). মানুষ তার নিজের পরিত্রাণের জন্য, কার্য্য করে কিন্তু সে কেবলমাত্র এটা করে থাকে ঈশ্বর যে ভাবে তার মধ্যে কাজ করেন - আর তা করাবার জন্য তাকে পরিচালিত করেন। সেই দুটি পদ মনের মধ্যে রেখে দিন। তাহলেই আপনি দেখতে সক্ষম হবেন যে বাইবেলের মধ্যে সেখানে কোন দ্বন্দ্ব নেই। আমাদের পাঠ্যাংশ বলে, “আর তোমরা আমার অণ্বেষণ করিবে, আমাকে পাইবে,কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অণ্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯:১৩). কিন্তু বাইবেল আবার এটাও বলে, “সেখানে এমন একজন নেই যারা ঈশ্বরের অণ্বেষণ করে” (রোমিয় ৩:১১). কোনটা তাহলে সত্যি? মানুষের যুক্তি বলে যে এই উভয় বিষয়ই সত্য হতে পারে না। তথাপি ফিলিপিয়ানসদের যে পদে রয়েছে সেই আলোকে আমরা দেখতে পাই যে তাদের উভয়ই এক প্রকার সত্য। এখানে সত্য সত্যই কোন অবাস্তবতা কিছু নেই। সেখানে কোন দ্বন্দ্ব নেই। আর আমরা যখন অনুসন্ধান কক্ষে সুসমাচার দিই ও পরামর্শ প্রদান করি তখন এটা আমরা বার বার সেই বিষয়টার তত্ত্ব উঠে আসতে দেখি। হারিয়ে যাওয়া কোনও ব্যাক্তিই নিজে থেকে ঈশ্বরের অনুসন্ধান করে না। পরিচর্যা কাজের ৫৫ বৎসরে, মন্ডলীর বাইরে আমি এমন কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ করিনি যিনি ঈশ্বরের অনুসন্ধান করছিলেন। একজনও নয়! কিন্তু ঈশ্বর যখন লোকেদের আকর্ষণ করতে থাকেন, তারা তখন যীশুকে অন্তঃকরণের সঙ্গে অণ্বেষণ করেন আর তাঁকে পান! খ্রীষ্টকে অণ্বেষণ ও তাঁকে খুঁজে পাওয়ার জন্য এখানে তিনটি চিন্তাধারা রয়েছে, যা আমাদের পাঠ্যাংশের এক আদর্শ গঠন করে। “আর তোমরা আমার অণ্বেষণ করিবে, আমাকে পাইবে,কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অণ্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯:১৩). ১. প্রথম, ঈশ্বর যাদের আকর্ষণ করছেন তারা এমন একজন যারা যীশুর অণ্বেষণ করে তাঁকে পায়। “...কারণ ঈশ্বর আপন হিতসংকল্প নিমিত্ত তোমাদের অন্তরে ইচ্ছা ও কার্য্য উভয়ের সাধন করিবেন” (ফিলিপিয় ২:১৩). আজকে নীতি বিসর্জনের দিনে লোকেদের পক্ষে বলাটা খুবই স্বাভাবিক কেন না যে কোন সময়ে যে কেউ পরিত্রাণ লাভ করতে পারে। সমস্ত হারিয়ে যাওয়া ব্যাক্তিদের যা করণীয় তা হল “পাপীর প্রার্থনা” বলা আর তারা উদ্ধার লাভ করবে। তাদের যা করনীয় তা হল “সামনে আসা” বা প্রার্থনাটা বলা, অথবা উভয়েই করবে। আর তাই পরিত্রাণের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভাবেই মানবীয় ঘটনা। ঈশ্বরের প্রয়োজন কোন মতেই নেই। এটা প্রকৃত ভাবে প্লেগিয়ানিজমের প্রাচীন স্বীকৃতি ও প্রচলিত ধর্মমতের পুণরুক্তি মাত্র। প্লেগিয়ান ধর্মবিদ্বেষীতাদের কাছে মানুষ নিজেরা উদ্ধার লাভ করে সুসমাচারের প্রতি ব্যাবহারিক প্রতিক্রিয়ার দ্বারা। ইহা যে সম্পূর্ণ ভাবে ভ্রান্ত তা দেখার জন্য আত্মিক অন্তর্দৃষ্টি থাকার প্রয়োজন পড়ে। আর তাই আধুনিক “সিদ্ধান্তবাদের” মধ্যে ভ্রান্ত যে শিক্ষা রয়েছে তা দেখার জন্য ঈশ্বর যেন আপনার চক্ষুকে খুলে দেন! সেই ধনী যুবক শাসক যীশুর কাছ থেকে ফিরে গিয়ে পাপের স্বার্থপর জীবনে ফিরে গেল। যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন ইহা কতোই না “কঠিন” সেই সমস্ত লোকেদের জন্য যারা “স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করে।” শিষ্যরা তাঁকে বললো, “তাহলে কে পরিত্রাণ লাভ করবে?” যীশু বললেন, “মানুষের পক্ষে ইহা অসম্ভব” (মার্ক ১০:২৪,২৬,২৭)। সেই সমস্ত মুখ্য শব্দগুলি বের করার জন্য আমি ইহাকে নির্দিষ্ট আকার দিয়াছি। (১) “স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করাটা” খুবই “দুষ্কর।” (২) “কে তাহলে উদ্ধার লাভ করবে?” (৩) “মানুষের পক্ষে ইহা অসম্ভব” (মার্ক ১০:২৪-২৭)। এরপরে যীশু বললেন, “ কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে তা নয়ঃ কেননা ঈশ্বরের পক্ষে সমস্ত কিছুই সম্ভব।” সেই বিষয়টা আপনার মনের মধ্যে ধরে রাখুন। এরপরে রোমিয় ৩:১১ পদের কথা চিন্তা করুন, “সেখানে এমন কেউ নেই যারা ঈশ্বরের অণ্বেষণ করে।” এরপরে আমাদের পাঠ্যাংশটির বিষয়ে চিন্তা করুন, “আর তোমরা আমার অণ্বেষণ করিবে, আমাকে পাইবে,কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অণ্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯:১৩). আমি আপনাদের প্লেগিয়ান ধর্মমতের বিরুদ্ধ সেই মতবাদ যা “সিদ্ধান্তবাদ” থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি যা দশ হাজার সংখ্যক হারিয়ে যাওয়া লোকেদের দ্বারা আমাদের মন্ডলী ভরে গিয়েছে। মার্ক ১০, রোমিয় ১:১১, এবং জেরেমিয় ২৯:১৩, পদগুলো দেখে আমরা সেই মহান সত্যতার কাছে আসতে পেরেছি - যে ঈশ্বর যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের জাগরিত করছেন ও পরিত্রাতার কাছে আকর্ষণ করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত হারিয়ে যাওয়া লোকেরা খ্রীষ্টকে পরিত্রাণ লাভ করার জন্য অণ্বেষণ করবে না। (১) “তাহলে কে পরিত্রাণ পাইতে পারে?” (মার্ক ১০:২৬)। (২) “মানুষের পক্ষে ইহা অসম্ভব” (মার্ক ১০:২৭)। (৩) “কারণ ঈশ্বর আপন হিতসংকল্পের নিমিত্ত তোমাদের অন্তরে
কোন একজন হয়তো বলতে পারে,“সেটা অত্যধিক ভাবেই কালভিন বাদ।” কিন্তু তারা ভুল। ইহা সহজ ভাবে ক্যালভিন বাদ নয়; আর ইহা আবার নিশ্চিত ভাবেই “অত্যধিক ভাবে ক্যালভিন বাদ নয়।” ধর্মতত্ত্বের ইতিহাসে ইহার অর্থ কি তা না জেনেই লোকেরা এই পরিভাষাকে আমাদের চারপাশে ছুঁড়ে দেয়। “অত্যধিক ক্যালভিন বাদ” কেবলমাত্র তাদেরই নির্দেশ করে যা মনে করে হারিয়ে যাওয়াদের নিয়ে আসার জন্য আমাদের বাইরে যাবার প্রয়োজন নেই কেননা “আপনার ও আমার সাহায্য ছাড়াই” ঈশ্বর তাদের ভিতরে নিয়ে আসবেন – এক প্রকৃত ক্যালভিনবাদ উইলিয়াম কেরীকে বলেছিলেন (যিনি নিজেই ছিলেন পাঁচ বক্তব্যবাদী ক্যালভিন, কিন্তু অত্যধিক ভাবে ক্যালভিনবাদ নয়)। আমি যা বলতে চাইছি তার জন্য আপনাকে কোন প্রকার ক্যলভিনবাদী হতে হবে না। ডাঃ এ.ডব্লু.টোজার কোন মতেই ক্যালভিনবাদ ছিলেন না। তথাপি তিনি ছিলেন এক বিচক্ষণ বাইবেলের ছাত্র, তাই তিনি বলেন, আপনি কি মনে করেন যে আপনার বিশ্বাস ঈশ্বরের এক দান? আপনাকে নিজের বিশ্বাসটাকে এক অলৌকিক কার্যের ন্যায় দেখতে হবে। ইহা হল সেই যোগ্যতা যা ঈশ্বর কোন নর ও নারীকে প্রদান করেন যেন আমাদের প্রভু ও পরিত্রাতাতে নির্ভর ও বাধ্য হই... (A. W. Tozer, D.D., Jesus, the Author of Our Faith, Christian Publications, 1988, p. 3). কেবলমাত্র যাদের এই অলৌকিক দল এবং এই দান দেওয়া হয়েছে তারাই যীশুকে লাভ করে পরিত্রাণ লাভ করবে। অন্য সকলকে তাদের নিজেদের মতোই ছেড়ে দেওয়া হবে আর তারা খ্রীষ্টকে খুঁজে পাবে না। তিনি যখন বলেন, “তোমরা আমার অণ্বেষণ করবে এবং আমাকে পাইবে,” তখন তিনি কেবলমাত্র তাদেরই বলছেন যাদের তিনি পরিত্রাণের জন্য বিশ্বাস দিয়েছেন। তিনি যখন রি কথা বলেন তখন তিনি তা আর অন্য কাউকে বলছেন না, “আর তোমরা আমার অণ্বেষণ করিবে, আমাকে পাইবে,কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অণ্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯:১৩). সেই প্রতিজ্ঞা কেবলমাত্র তাদের জন্যই যাদের পরিত্রাণ কারি বিশ্বাসের দান দেওয়া হয়েছে। কেবলমাত্র, তারাই হল সেই ব্যাক্তি, যাদের প্রতি এই প্রতিজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। অন্য সকলে কিছুক্ষণের জন্য ইহার চার পাশে কম্পমান হবে আর, শীঘ্র বা কিছু পরে, তারা মন্ডলী ত্যাগ করবে–অথবা, সব চেয়ে ভালো, কেবলমাত্র মাঝে মধ্যে তারা যোগদান করবে, ঠিক “নামধারী,” অপরিত্রাণ প্রাপ্ত সদস্যদের ন্যায়। যাদের মধ্যে ঈশ্বর কাজ করছেন তারা হলেন সেই ব্যাক্তি যারা অণ্বেষণ করবে ও খ্রীষ্টকে খুঁজে পাবে। আর তারাই হলেন কেবলমাত্র ব্যাক্তি যারা সত্য সত্য তাঁর অণ্বেষণ করবে ও তাঁকে খুঁজে পাবে! সেই জন্যই যীশু বলেছেন, “কেহ আমার কাছে আসিতে পারে না, যদি পিতা যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন তিনি আকর্ষণ না করেন...” (যোহান ৬:৪৪). কোন ব্যাক্তি যখন যীশুর কাছে আসে, তখন ইহা সব সময়েই কেবলমাত্র ঈশ্বরের অনুগ্রহেই তা হয়। বিস্ময়কারী অনুগ্রহ! কি মধুর ধ্বনি, ২. দ্বিতীয়, ঈশ্বর যাদের আকর্ষণ না করেন তারা যীশুকে খুঁজে পায় না। “আর তোমরা আমার অণ্বেষণ করিবে, আমাকে পাইবে,কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অণ্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯:১৩). সেই প্রতিজ্ঞা বলে, “তোমরা আমার অণ্বেষণ করিবে, এবং আমাকে পাইবে।” “তোমরা” এই শব্দটি কাদের প্রতি নির্দেশ করে? আজকে সকালে আমি যেমন ভাবে বলেছি, “তোমরা আমাকে ...পাইবে” তা শুধু তাদের প্রতিই নির্দেশ করে যারা অন্তঃকরণের সংগে [তাঁর] “অণ্বেষণ করে।” তারা, তাহলে, কে যাদের এই প্রতিজ্ঞার প্রতি কিছুই করার নেই ? তারা হল সেই ব্যাক্তিরা যারা “নিজেদের অন্তঃকরণের সংগে তাঁর অণ্বেষণ করে না।” যারা মনে করে যে তারা ক্রমাগত কিছু প্রকার পাপে লিপ্ত থাকবে যা তারা ভালোবাসে তারা যীশুকে খুঁজে পাবে না। যীশু বলেছেন, “আর সেই বিচার এই যে, জগতে জ্যোতি আসিয়াছেন, এবং মনুষ্যেরা জ্যোতি হইতে অন্ধকার অধিক ভালোবাসিল, কেননা তাহাদের কর্মসকল মন্দ ছিল” (যোহান ৩:১৯). যারা “জ্যোতির থেকে অন্ধকারকে ভালোবাসে” তারা যীশুর কাছে আসবে না। স্পারজিউন বলেছেন, “ঈশ্বরের কৃপার উপরে কারণ বা যুক্তি হল এমন কারণ যেখানে অনেকে রয়েছে যারা মাংসিক নিরাপত্তার পোষাক পড়ে, নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন এবং মন্দ দিনকে তাদের থেকে বহুদূরে রেখে দিয়েছেন। ঈশ্বর আপনাকে এই বিরাট মন্দতার হাত থেকে মুক্তি দিয়েছেন!” (C. H. Spurgeon, “A Second Word to Seekers,” MTP, number 1,313, p. 514). সেই সঙ্গে যারা অবসাদের মধ্যে নিজেদের ভাসিয়ে দেবে তারা যীশুকে খুঁজে পাবে না। স্পারজিউন বলেছেন, “আসুন, হতদুর্ভাগা আত্মারা আসুন, প্রভু আপনাকে গ্রহণ করবেন, আপনি যে কেউ হন না কেন। আপনি যদি নিজের সম্পূর্ণ হৃদয়ে একবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন যীশুর প্রতি নির্ভর করার জন্য তবে, তিনি আপনাকে গ্রহণ করবেন। হ্যাঁ, তিনি আপনাকে দেখিয়ে দেবেন যে কিভাবে নির্ভর করতে হয়, তিনিই আপনাকে বিশ্বাস প্রদান করবেন... আর [আপনি] কৃপা লাভ করবেন যেটা আমাদের পাঠ্যাংশ ঘোষণা করে... যদি আপনি [যীশুকে] অন্তঃকরণের সঙ্গে অনুসরণ করেন” (ইবিড.,পৃ.৫১৫)। এরপরে, তারাও, যারা ভ্রান্ত খ্রীষ্টিয়ানদের খারাপ উদাহরণ অনুসরণ করেন তারা যীশুকে খুঁজে পাবে না। স্পারজিউন বলেছেন, “আমার ভয় হয় খ্রীষ্টিয়ান অধ্যাপকের আচরণ দ্বারা কিছু লোক অন্তঃ-করণের সঙ্গে অণ্বেষণ করা থেকে বিরত থাকতে পারে। তাই আমি আপনার জন্য বিনতি করছি কোন ভাবেই সেই সমস্ত ব্যাক্তিদের কাছ থেকে [উদাহরণ] গ্রহণ করবেন না যারা নিজেদের তাঁর অনুগামী বলে স্বীকার করে,কেননা এদের মধ্যে কেউ কেউ [মূল্য বিহীন] যাদের মধ্যে [উদাহরণ] বা আদর্শের ঘাটতি রয়েছে। তারা যতটা খারাপ হতে চায় খারাপ হতে দিন, এতে আপনার কি আসে যায়? আপনার নিজের মন আপনার কাছে রয়েছে [চিন্তা করার জন্য]; আর আপনাকে খ্রীষ্টের অণ্বেষণ করতে হবে আরো আকাঙ্খিত ভাবে...তাদের হৃদয় ঠিক ইষদুষ্ণের ন্যায় সুতরাং তারা খ্রীষ্টের সঙ্গে কোন ভাবেই ঊষ্ণ হয় না আর শ্রদ্ধাপূর্ণ অভিব্যাক্তি তাদের মধ্যে থাকে না” (ইবিড.,পৃ.৫১৫,৫১৬)। তাদের খারাপ উদাহরণ গুলো অনুসরণ করবেন না! যারা মনে করে তারা ক্রমাগত ভাবে নারকীয় পাপের আচরণ করিবে তারা যীশুকে পাবে না। যারা জীবনের আশা ছেড়ে দিয়েছে তারা যীশুকে খুঁজে পাবে না। যারা ভ্রান্ত খ্রীষ্টিয়ানদের উদাহরণ অনুসরণ করে চলে তারাও যীশুকে খুঁজে পাবে না। “আর তোমরা আমার অণ্বেষণ করিবে, আমাকে পাইবে,কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অণ্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯:১৩). ৩. তৃতীয়, তাহলে, কারা, যীশুকে খুঁজে পাবে ? পুণরায়, আমাকে আমাদের পাঠ্যাংশের উদ্ধৃতি করা দরকার, “আর তোমরা আমার অণ্বেষণ করিবে, আমাকে পাইবে,কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অণ্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯:১৩). আপনাকে অতি অবশ্যই অন্তঃকরণের সঙ্গে খ্রীষ্টের অণ্বেষণ করতে হবে! কি ভাবে অতি সত্বর বেশ কিছু নতুন লোক খ্রীষ্টকে অণ্বেষণ করে খুঁজে পান তার দ্বারা আমরা প্রায় সময়ে অবাক হয়ে যাই! কিন্তু যারা কঠিন-মনা তারা বহুদিন পর্যন্ত হারিয়ে যাওয়াদের দলেই থেকে যায়। পুণরায় উক্তি করতে হয় সেই মহান ব্যাক্তি স্পারজিউনের কথা, আপনার অণ্বেষণের মধ্যে অবশ্যই পূর্ণমনা হওয়ার প্রয়োজন কেননা আপনি যেটার অণ্বেষণ করছেন সেটা অন্তঃকরণের বিষয়। কিভাবে প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ান প্রার্থনা করেন তা শুণুন। তারা কি অর্ধমনা হৃদয় নিয়ে প্রার্থনা করেন? না, একজন এইভাবে বলেছেন, “আমার সর্বান্তঃকরণে তোমার অণ্বেষণ করিয়াছি” (গীতসংহিতা১১৯:১০)... মল্লযুদ্ধকারী জ্যাকবের সাথে তারা প্রার্থনা করেন,“আপনি আমাকে আশীর্বাদ না করিলে আপনাকে আমি ছাড়িব না” (আদি পুস্তক ৩২:২৬)। একজন খ্রীষ্টিয়ানের কাছে প্রার্থনা হল এক অতি গুরুত্বপূর্ণ নিশ্বাস প্রশ্বাস, আর কেউ যদি অন্তঃকরণের সঙ্গে প্রার্থনা করতে না পারে তবে আত্মিক জীবন লাভ করাটা তার কাছে তেমনই পরিষ্কার, আপনি, হে অণ্বেষণকারী ব্যাক্তি, আপনাকে অতি অবশ্যই ইহার প্রতি অন্তঃকরণ দেওয়ার প্রয়োজন আছে (ইবিড.,পৃ.৫১২,৫১৩)। আপনি হয়তো বলবেন, “মিঃ লী ও মিঃ প্রধুম্নের মতো আমাকে কি অতি অবশ্যই প্রার্থনার মধ্যে দৃঢ় ও আন্তরিক হতে হবে? আমাকে কি অতি অবশ্যই জন কাগান ও এন্থনি কিমের মতো প্রার্থনায় উৎসাহী হতে হবে?” হ্যাঁ! হ্যাঁ, সেটা হয়তো আপনাকে সাহায্য করতে পারে! অত্যন্ত উদ্দীপনার সঙ্গে যীশুর জন্য অণ্বেষণ করাটা নিশ্চিত ভাবেই আপনার কোন অনিষ্ট করবে না! যে ভাবে আপনি ছিলেন সেই ভাবে অন্য আর কোন জায়গাতে আপনি যাছেন না! আমি এমন কি যুবতী মেয়েদের কাছে, এবং অত্যন্ত লাজুক বা ভীত লোকেদের, মুখে আমি শুনেছি যখন তারা প্রকৃতভাবে কনভার্ট হয় তখন তারা এক পবিত্র ভাবাবেগের দ্বারা প্রার্থনা করে! ছেলে মেয়েদের আমি এমন উদ্যমতার সঙ্গে প্রার্থনা কুরতে শুণেছি যা আমার চোখে অঝোর ধারায় জল নিয়ে এসেছে! আজকে যে কারণে সে ভাবে আমরা ছোট ছেলেমেয়েদের প্রার্থনা শুণতে পাই না কেননা আজকে এই স্বধর্ম ত্যাগ করার দিনে খুবই অল্প সংখ্যক ছেলে মেয়ে কনভার্ট হয়। সেই প্রকার উদ্দীপনাময় প্রার্থনার অভাবের বিষয়ে গণনাকারী ব্যাক্তি জর্জ বারনা, আমাদের বলেন যে - মন্ডলীতে আমরা অষ্টাশি শতাংশ ছেলেমেয়েদের ত্রিশ বৎসর বয়সে উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই তাদের হারিয়ে ফেলি। আর সেটা অত্যন্ত ভাবেই ভয়াবহ ও বিয়োগান্তক বিষয়! আমাদের মধ্যে সত্য সত্যই বেশী সংখ্যক ছেলে মেয়েরা কনভার্ট হতো তবে তাদের আমরা ঠিক মিঃ বেবুট, বা টিমোথি চ্যা্ন, অথবা নোয়া সঙের মতো উদ্দীপনার সঙ্গে প্রার্থনা করতে শুণতে পেতাম। আপনারা হয়তো বলবেন, “কিন্তু আমরা তো অত্যন্ত যুবক! যুবক ব্যক্তিরা তো সেইভাবে উদ্দীপনা সহকারে প্রার্থনা করতে পারে না।” আপনি কি তামাশা করছেন? তোমরা যখন বাইরে খেলা করছিলে তখন নিজের বিষয়ে শোন। বাইরে কথা বলার সময় তোমাদের কি কোন সমস্যা হয়েছিল? না! কোন কিছুতেই হয় নি! তোমরা যখন খেলা করছিলে তখন তো মনে হচ্ছিল কানের পর্দা ফাটিয়ে দেবে। কেন? কেননা সেই খেলাগুলি তোমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল! কিন্তু প্রার্থনা তোমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়! ঈশ্বর যখন তোমাদের খ্রীষ্টের প্রতি আকর্ষণ করেন তখন যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমাদের ঘাম ঝরছে তোমরা প্রার্থনা করবে! প্রকৃত উদ্দীপনার সময়ে আমি অনেক দৃঢ় প্রার্থনা ও ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না শুণেছি! কিন্তু আমার বাক্য গুলি স্বাভাবিক ভাবে নেবে না। প্রেরিত পুস্তকে এই বিষয়ে পড়ুন! “তাহা শুণিয়া সকলে তাহাদের এক চিত্তে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উচ্চৈস্বরে প্রার্থনা করিল” (প্রেরিত ৪:২৪). তারা “উচ্চৈস্বরে” বলতে লাগলো। ইহা নির্দেশ করে এক বলশালী উদ্দীপনাময় প্রার্থনা! “তাহারা প্রার্থনা করিলেন, যে স্থানে তাঁহারা সমবেত হইয়াছিলেন সেই স্থান কাঁপিয়া উঠিল; এবং তাঁহারা সকলেই পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হইলেন, ও সাহস পূর্বক ঈশ্বরের বাক্য বলিতে লাগিলেন” (প্রেরিত ৪:৩১). আপনি যখন সত্য সত্যই কনভার্ট হন তখন প্রার্থনায় সেই প্রকার সাহস ও সাক্ষ্য আমরা দেখতে সক্ষম হই! একজন প্রচারক এক যুবক ব্যাক্তিকে বলেন, “এতটা চিৎকার করবেন না! ঈশ্বরকে নির্দেশ করে প্রচার করবেন না!” তিনি কি ঠিক ছিলেন ? না, তিনি সম্পূর্ণ ভাবেই ভুল! প্রেরিত বইয়েতে, “তারা ঈশ্বরের প্রতি উচ্চৈস্বর করেছিলেন।” আমাদের মন্ডলীতে যদি কেউ ইহা করে,তবে ইহা এমনকি মাংসিক সদস্যরাও তাদের কানে আঙুল দেবে! সেই প্রকার জাগতিক লোক তখনই তাদের আঙুল কান থেকে বার করে নেবে আর তারা চিৎকার করে কোন বাস্কেটবল বা ফুটবল খেলার প্রতি অনুরাগের সঙ্গে চিৎকার করতে থাকবে! সেগুলোই হল একমাত্র জিনিস যাতে তারা চূড়ান্ত ভাবে উৎসাহী! কিন্তু সতয সত্যই এক নতুন জন্মপ্রাপ্ত খ্রীষ্টিয়ান এক পরাক্রমী প্রার্থনায়, এবং প্রাণোচ্ছল প্রচারে উল্লাস করবে-যেমন চীন, ভারত, আফ্রিকা, এবং দক্ষিণ এশিয়ার মন্ডলীগুলোতে রয়েছে। ঈশ্বর আমাদের দ্বিতীয় মানের মন্ডলীগুলোকে কৃপা প্রদান করছেন, যারা আমেরিকা এবং পশ্চিমীদেশে জীবনহীন ভাবে মন্ডলীতে রয়েছেন! বিশ্বের তৃতীয়তম দেশগুলির মধ্যে আমরা মানের দিক দিয়ে অনেকটাই নীচে রয়ে গিয়েছি - আর তা এমনকি প্রেরিত বইয়ের থেকেও! যুবক ব্যাক্তিদের ঈশ্বরের অগ্নির দ্বারা প্রজ্জ্বলিত হতে দিন আর তবেই তারা যীশুকে অতি শীঘ্র লাভ করবে! যারা নিজেদের এই দিক দিয়ে টিম টিম করে, আর উল্লাস সহকারে গান ও প্রার্থনা না করে,তবে বিচার দিনের সময়ে প্রভুও তাদের মুখ থেকে বমন করে দেবেন! খ্রীষ্ট বলেছেন, “এই রুপে তুমি ইষদুষ্ণ, না তপ্ত না শীতল, এই জন্য আমি নিজ মুখ হইতে তোমাকে বমন করিতে উদ্যত হইয়াছি” (প্রকাশিত বাক্য ৩:১৬). আপনি যদি খ্রীষ্টকে উদ্দীপনার সঙ্গে খুঁজে না পান তবে আপনি উদ্ধার লাভ করবেন না! কেবলমাত্র আপনি যখন নিজের অন্তঃকরণের সঙ্গে খ্রীষ্টকে অণ্বেষণ করবেন তখনই পরিত্রাণ লাভ করবেন! “আর তোমরা আমার অণ্বেষণ করিবে, আমাকে পাইবে, কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অণ্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯:১৩). উদ্দীপনা! উদ্দীপনা! উদ্দীপনা! সর্বপ্রথম জাগরণের সময়ে সবচেয়ে পুরাতন-কালের ম্যাথডিস্ট লোকেরা ইহাকে “উদ্দীপক” বলতেন কেননা তারা গলার জোরে তারা প্রার্থনা ও গান করতো এবং সাক্ষ্য ও প্রচার করতো! আমার ইচ্ছা হয় যেন আজকের দিনে আমাদের ব্যাপটিস্ট মন্ডলীতে সেই প্রকার অধিক লোক হয় তা করার জন্য! আপনি যে খ্রীষ্টকে পাবেন না তাতে আশ্চর্য হওয়ার নেই! আপনি ইপিস্কোপালিয়ানের (বিশপ শাসিত বা নির্বাচিত মন্ডলী) মতো মৃত মন্ডলীতে আসেন আর সেখানে খ্রীষ্টকে পাওয়ার প্রত্যাশা রাখেন! কি আজগুবি! আপনাকে অতি অবশ্যই অন্তঃকরণের সঙ্গে খ্রীষ্টের অণ্বেষণ করতে হবে আর নিজেকে তাঁর উপরে নিক্ষেপ করতে হবে। আর এরপরে আপনি “হাল্লেলুইয়া” ধ্বনি সহকারে বাড়ি ফিরে যাবেন! আমি উদ্ধার প্রাপ্ত!” আপনি আপনার মৃতপ্রায়, শুকনো, ইপিস্কোপালিয়ান এবং আধুনিক ব্যাপটিস্ট ধর্ম থেকে দূরে থাকুন! এই জগতের বুক থেকে ইহা থেকে দূরে থাকুন! “আর তোমরা আমার অণ্বেষণ করিবে, আমাকে পাইবে, কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অণ্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯:১৩). আপনি কি জ্যাকবের সঙ্গে চিৎকার করবেন, “তুমি আমাকে আশীর্বাদ না করলে তোমাকে আমি ছাড়বো না” (আদি পুস্তক ৩২:২৬)। যীশু কি তার প্রতি দারুন উত্তেজিত হয়েছিলেন? না! তিনি তার প্রার্থনার উত্তর দিলেন ও তার প্রাণকে বাঁচালেন, তিনি যখন চিৎকার করলেন ও পবিত্র সাহসিকতার সঙ্গে খ্রীষ্টের পূর্ব-অবতারে নির্ভর করলেন তখন! আপনি যখন অনুসন্ধানকারী গৃহে যান সেখানে হয়তো অঙ্কে চিৎকার হবে! আঃ, না, আপনাকে চিৎকার ও ফুঁপিয়ে কাঁদতে হবে না! যেমন ভাবে জন কাগান ও টিমোথি চ্যান করেছেন সেই ভাবে আপনার পরিত্রাণের জন্য আপনাকে কোন ভাবেই ফুঁপিয়ে কাঁদতে ও চিৎকার করে প্রার্থনা করতে হবে না! আপনাকে এই কথা কে বলেছে? দিয়াবল আপনাকে সেই কথা বলেছেন! সেই দিয়াবল! সেই পরামর্শ আপনি দিয়াবলের কাছ থেকে পেয়েছেন। আর ইহা কি আপনার জন্য ভালো করেছে ? প্রথমবার আপনি যে ভাবে অনুসন্ধান কক্ষে গিয়েছিলেন ঠিক সেই মতো আপনি হারিয়ে গিয়েছেন! আপনার ভাবধারা বা পন্থা আপনার জন্য ভালো কিছুই করে নি! আপনি কি কোন আবেগের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন? সেই ঠাণ্ডা,মৃতপ্রায় ভাবধারায় আপনি অনুসন্ধানকারী কক্ষে গিয়ে আপনি কোন মতেই কিছু প্রাপ্ত হবেন না! আপনি যদি ব্যাপটিস্ট, প্রেসবাইটেরিয়ানস, এবং ম্যাথডিস্টেরা পুরাতন ভাবধারাতে যে ভাবে করতেন সেই ভাবে আপনি যদি ফুঁপিয়ে কাঁদেন ও চিৎকার করেন আপনি হয়তো খুব ভালোভাবে পবিত্র অনুভব লাভ করতে পারেন! তারা তাঁর কাছে দৃঢ়কণ্ঠে চিৎকার করে তাঁর কাছে অনুনয় করেন যিনি পাপ ও মৃত্যু থেকে আপনার আত্মাকে উদ্ধার করতে পারেন। সেটাই আপনার প্রয়োজন! এক শক্ত পোক্ত অণ্বেষণ! এক শক্তপোক্ত প্রার্থনা! এক শক্তপোক্ত চোখের জল! শক্তপোক্ত চিৎকার! এক শক্তপোক্ত উল্লাস! “আর তোমরা আমার অণ্বেষণ করিবে, আমাকে পাইবে, কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অণ্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯:১৩). সর্বসময়ে আপনার যা অনুভব রয়েছে আপনি যদি সেইভাবে অনুসন্ধানশীল গৃহে যান, তবে আপনি পরিত্রাণ লাভ করবেন না। আমি সেভাবে যাওয়ার জন্য আপনাকে বলেছি সেইভাবে কেউ যদি যায়, এক শক্তপোক্ত চিৎকার ও প্রার্থনার সঙ্গে, আর তবে সেই ব্যাক্তি ভালো ভাবেই উদ্ধার লাভ করবে! তাই জ্যাকবের সঙ্গে চিৎকার করে বলুন, “আমি তোমাকে ছাড়বো না, তুমি আমাকে যতক্ষণ না আশীর্বাদ করছো” (আদি পুস্তক ৩২:২৬)। এখনই কেন নয়? এখনই কেন নয়? অনুসন্ধান কক্ষে গিয়ে জ্যাকবের মতো চিৎকার করুন, “তুমি যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাকে আশীর্বাদ করছো আমি তোমাকে যেতে দেব না বা ছাড়বো না।” যীশুর জন্য এক শোক্তপোক্ত ইচ্ছার সঙ্গে যান আর আপনি তাঁকে খুঁজে পাবেন। “আর তোমরা আমার অণ্বেষণ করিবে, আমাকে পাইবে, কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অণ্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯:১৩). যীশু মৃত্যুবরণ করেছেন আপনার সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। মৃত্যু থেকে তিনি জীবিত হলেন আপনাকে অনন্ত জীবন দান করার জন্য। আপনি যদি চান যীশু আপনার পাপের ক্ষমা করুন, ও তাঁর রক্তে আপনাকে পরিষ্কার করুন, তবে সেই অনুসন্ধান কক্ষে যান আর পরিত্রাণ লাভ করার জন্য যীশুর কাছে চিৎকার করুন। এই মুহুর্তে অডিটরিয়ামের পিছনের কক্ষে যান। ডাঃ কাগান অনুগ্রহ করে সেই ব্যাক্তির জন্য প্রার্থনা করুন যিনি পরিত্রাণ লাভ করার জন্য প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আমেন। সংবাদের পরিসমাপ্তি অথবা আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ হেবল প্রধুম্মেঃ মার্ক ১০:২৩-২৭. |
খসড়া চিত্র অণ্বেষণের মধ্যে খ্রীষ্টকে খুঁজে পাওয়া ON SEEKING AND FINDING CHRIST লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি. “আর তোমরা আমার অণ্বেষণ করিবে, আমাকে পাইবে,কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অণ্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯:১৩). (ফিলিপিয় ২:১২,১৩; রোমিয় ৩:১১) ১. প্রথম, ঈশ্বর যাদের আকর্ষণ করছেন তারা এমন একজন যারা যীশুর অণ্বেষণ করে তাঁকে পায়, ফিলিপিয় ২:১৩; মার্ক ১০:২৪,২৬,২৭; রোমিয় ৩:১১; যোহান ৬:৪৪ ২. দ্বিতীয়, ঈশ্বর যাদের আকর্ষণ না করেন তারা যীশুকে খুঁজে পায় না, ৩. তৃতীয়, তাহলে, কারা, যীশুকে খুঁজে পাবে ? |