এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
পরিতৃপ্তি এবং ধার্মিকতা খ্রীষ্টের দ্বারা লাভ করা হয় ঈশার ৫৩ অধ্যায়ের ১৩ নং উপদেশ ডাঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনি. ২০১৩ সালে ১৪-ই এপ্রিল লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনেকেলে সদাপ্রভুর দিনে এক “তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন; আমার ধার্মিক দাস, আপনার জ্ঞান দিয়া অনেককে ধার্মিক করিবেন এবং তিনিই তাহাদের অপরাধ সকল বহন করিবেন” (ঈশা ৫৩:১১) |
এই পাঠ্যাংশ এতটাই অর্থবহুল যেখানে প্রতিটি শব্দেই আমাদের মনোযোগকে আকর্ষণ করে। অতএব পাঠ্যাংশ থেকে আমি আপনাদের উদ্দেশ্যহীন ভাবে দূরে রাখতে চাই না আর আমি খুব বেশি একটা উদাহরণও দেবো না। এই পাঠ্যাংশে অভাবনীয় যে সত্যতা রয়েছে তার জন্য একটি উপদেশেই ইহা যথেষ্ঠ; সেই শব্দকে অত্যন্ত সরল ও সাবলীল করলে আজকের সন্ধ্যাবেলা আমাদের মন্ডলীর প্রতিটি পরিদর্শক এই সাধারণ বিষয়টিকে অতি প্রগাঢ় ভাবে সেই শব্দের অর্থ নিয়ে বাড়ি যেতে সক্ষম হয়ে উঠবে, “তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন; আমার ধার্মিক দাস, আপনার জ্ঞান দিয়া অনেককে ধার্মিক করিবেন এবং তিনিই তাহাদের অপরাধ সকল বহন করিবেন” (ঈশা ৫৩:১১) এই পদের যে সত্যতা রয়েছে তা গ্রহণ করার জন্য ঈশ্বর যেন আপনার হৃদয়কে উন্মুক্ত করেন। এই পাঠ্যাংশের বিষয় যখন প্রচার করছি তখন আমরা আপনাকে বলতে চাই, “আপনার কর্ণকে পরিষ্কার করুন আর আমার কাছে আসুন। শুনুন, আর আপনার প্রাণ জীবন লাভ করবে।” এই পদটি তিনটি বিষয় বলে। প্রথম, ঈশ্বরের ন্যায়কে পরিতৃপ্ত করার জন্য খ্রীষ্ট সেখানে আছেন। দ্বিতীয়, অনেককে ধার্মিক গণিত করার জন্য খ্রীষ্টের জ্ঞান সেখানে আছে। তৃতীয়, সেখানে আবার পাপ বহন কারী খ্রীষ্ট আছেন যিনি বিশ্বাসকারী পাপীদের প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ নিয়ে আসেন। “তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন; আমার ধার্মিক দাস, আপনার জ্ঞান দিয়া অনেককে ধার্মিক করিবেন এবং তিনিই তাহাদের অপরাধ সকল বহন করিবেন” (ঈশা ৫৩:১১) ১. প্রথম, ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে পরিতৃপ্ত করার জন্য খ্রীষ্টের দুঃখভোগ। “তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন....” (ঈশা ৫৩:১১) ডাঃ জুরগেন মোল্টম্যান (১৯২৬-) হলেন এক জার্মান ব্যাক্তি যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তিন বৎসরের জন্য যুদ্ধের কারণে ব্রিটিশ জেলে ছিলেন। জেলের মধ্যে থাকার সময় তিনি বাইবেল অধ্যয়ন করতে শুরু করেন। জেলের মধ্যে বন্দী থাকার অভিজ্ঞতা এবং বাইবেল পরার কারণে তিনি “তৃপ্ত ঈশ্বরের ইতিহাসঃ লেখেন যা হল Trinitarian Theology-র এক অবদান (Crossroad, 1992)। ডাঃ মোল্টম্যান হলেন উদারচেতা ধর্মতত্ত্ববিদ, আর নিশ্চিতভাবেই তিনি যা লিখেছেন তার বেশীর ভাগ অভিসন্ধিকে পূরণ করেন নি। তথাপি, তার মধ্যে বেশ কিছু অন্তর্দৃষ্টি ছিল, দৃষ্টান্ত স্বরুপ, মোল্টম্যান ক্রুশকে একটি ঘটনা বলে দেখেন যেখানে “ঈশ্বর ত্যাজ্য” মনুষ্য জাতিকে ঈশ্বর ঘোষনা করেছেন এক ঐক্য বা সংহতি বলে। ক্রুশের উপরে পাপীদের জন্য ঈশ্বর তাঁর প্রেমকে প্রদর্শন করেন আর এর জন্য পুত্র ঈশ্বর পিতার কাছ থেকে বিচ্ছেদ হয়ে কষ্টভোগ করেন আর “অন্তরের দিক থেকে বাহ্যিক ভাবে” ঈশ্বরকে অনুমোদন জানান যেন ব্যাথা ও যন্ত্রণা তিনি জানান। মোল্টম্যান, সমস্ত কিছুকে যথার্থ ভাবে উল্লেখ করেন নি কিন্তু তিনি ক্রুশারোপনের সময়ে ত্রিত্ব ঈশ্বরের ব্যাক্তিত্ত্বের যে দুঃখভোগ তা সামনে নিয়ে আসেন; আর আমার মনে হয় সেতাই একতা গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমার দৃষ্টির মধ্যে সেটা হল এমন একটা বিষয় যা যথার্থই মূল্যবান, তা হল ক্রুশারোপনের সময়ে ত্রিত্ববাদের ব্যাক্তিত্ব ও তার দুঃখভোগ। “তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন” (ঈশা ৫৩:১১) স্পারজিউন বলেছেন, এই বাক্যের মধ্যে আমাদের কাছে পিতা ঈশ্বর রয়েছেন যিনি তাঁর পুত্রের বিষয়ে বলেছেন আর ঘোষনা করছেন যেহেতু তিনি মনের কষ্ট সহ্য করেছেন তাই তিনি তাকে নিশ্চিত করছেন এক পরিতৃপ্তকারী পুরষ্কারের। ইহা কতোটাই না মনোরমকারী বিষয় যে পরিত্রাণ বা উদ্ধারিয় বিষয় বস্তুতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ত্রিত্ববাদের পবিত্রতার বিভিন্ন দিক! (C. H. Spurgeon, The Metropolitan Tabernacle Pulpit, Pilgrim Publications, 1980 reprint, volume 61, p. 301). “তিনি”, সেই পিতা ঈশ্বর; “তার প্রাণের কষ্টকর যে বেদনা তা দেখবেন” আর তা হল পুত্রের প্রাণের কষ্টকর প্রচেষ্টা; “আর তাতে পরিতৃপ্ত হবেন।” স্পারজিউন ইহাকে এইভাবে উল্লেখ করেন, “এই শব্দের মধ্যে আমাদের মধ্যে যে পিতা ঈশ্বর রয়েছেন তিনি পুত্রের বিষয়ে বলছেন।” “তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন” (ঈশা ৫৩:১১) “তাঁর প্রাণের কষ্টকর অবস্থা” যা নির্দেশ করে খ্রীষ্টের অন্তরের ব্যাথা এবং মর্মবেদন বা যন্ত্রণা, যা তিনি নিজে উপলব্ধি করেছিলেন তাঁর নিজের দুঃখভোগের সময়ে আমাদের পাপের জন্য। খ্রীষ্টের শারিরীক যে যন্ত্রণা সেটাকে আমরা যেন মূল্যবোধের নীচে না রাখি। খ্রীষ্ট যে পন্তিয় পীলাটের আয়ত্বে চাবুকের আঘাতে অর্দ্ধমৃত প্রায় হয়ে পড়েছিলেন তা আমরা যেন হাল্কা ভাবে না নিই। খ্রীষ্টের গায়ে যে থুতু দিয়ে কাঁটার মুকুট পড়িয়ে দেওয়ার যে গুরুত্ব সেই বিষয়ে আমরা যেন কোন মতেই তার অবমূল্যায়ন না করি। তাঁর হাত ও পা-য়ে যে পেরেক বিদ্ধ করা হয়েছিল এবং ক্রুশের উপরে যে ব্যাথা এবং তৃষ্ণা নিয়ে কাতর ভাবে চিৎকার করছিলেন সেই বিষয়ে আমরা যেন নিশ্চিত ভাবেই বিষটাকে খাটো করে না চিন্তা করি। “তথাপি” স্পারজিউন বলতে থাকেন, “তাঁর প্রাণের কষ্টকর যে বিষয়টা সেটাই হল মুখ্য ঘটনা আর ইহার বিষয়েই পাঠাংশ আমাদের সঙ্গে কথা বলে...। যীশুখ্রীষ্ট এতোটাই কষ্ট সহ্য করেন যার দুঃখভোগের বিষয়ে আমি নিরাশাগ্রস্ত হয়ে যাই বা যে কোন শব্দে আমি তা আপনার কাছে আদান প্রদান করতে পারি না” (Spurgeon, ibid., pp. 302-303)। ইহাকে এই ভাবে বলা হয়েছে, “মনের দিক দিয়ে খ্রীষ্টের দুঃখভোগ হল মনে প্রাণে খ্রীষ্টের দুঃখভোগ” (ibid., p. 302), তাঁর দুঃখভোগের কেন্দ্রবিন্দু, যা হল তাঁর মর্মপীড়ার মুখ্য অংশ। “প্রাণের কষ্টকর অবস্থা” যে শব্দ তা দেখায় মনোবেদনা, দুঃখভোগ এবং যন্ত্রণা যা খ্রীষ্ট তাঁর প্রানে উপলব্ধি করেছিলেন মানুষের পাপের বোঝার বা ভয়ের জন্য, আর পিতা ঈশ্বরের যা দণ্ড তা তাঁর উপরে নেমে আসে। তিনি যখন বন্দী হন তার আগে গ্যেৎশিমানির উদ্যানে, তাঁকে চাবুক মারার আগে, তাঁকে ক্রুশারোপণের আগে এইগুলো পরিষ্কার ভাবেই খ্রীষ্টের দ্বারা প্রত্যক্ষ ভাবে উপলব্ধি করা হয়েছে। আর ইহা আবার অন্তর্ভুক্ত করে তাঁর প্রাণের ক্রমান্বয়ে ব্যাথা ও যন্ত্রণা যা তিনি প্রত্যক্ষভাবে ক্রুশের উপরে উপলব্ধি করেছেন। ডাঃ গীল যে ভাবে বলেন, তাঁর প্রাণের কষ্টকর অবস্থা হল প্রচুর পরিমাণের পরিশ্রম যা তিনি সহ্য করেছেন তাঁর লোকেদের পরিত্রাণের কার্যকে সম্পন্ন করার জন্য; তাঁর বাধ্যতা ও মৃত্যু; তাঁর দুঃখভোগ ও বেদনা; বিশেষ করে তাঁর প্রাণের মধ্যে জন্মের সেই যন্ত্রণা, ঐশ্বরীক শাপের মানবিক যাতনা, পরোক্ষভাবে এক নারী যে ভাবে কষ্ট পায় (জন্ম দেওয়ার যে যন্ত্রণা), এবং সমস্ত প্রকার কাতর যন্ত্রণা এবং মৃত্যুর আগে যে ব্যাথা এই সমস্ত কিছুর মধ্য দিয়ে তাঁকে যেতে হয়েছিল (John Gill, D.D., An Exposition of the Old Testament, The Baptist Standard Bearer, 1989 reprint, volume 5, p. 315). “তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন....” (ঈশা ৫৩:১১) “আর পরিতৃপ্ত হইবে” যা ঈশ্বরের অভিশাপের যে প্রায়শ্চিত্ত সেই বিষয়ে বলে। পিতা ঈশ্বরের “পরিতৃপ্ত/ সন্তুষ্ট” হলেন, অথবা আমরা হয়তো বলতে পারি প্রায়শ্চিত্তের দ্বারা প্রসন্ন করা, “যিনি পাপ জানেন নাই, তাঁহাকে তিনি আমাদের পক্ষে পাপ স্বরুপ করিলেন” (২-য় করিনিথিয়ানস ৫:২১) “আর তিনিই আমাদের পাপার্থক প্রায়শ্চিত্ত” (১-ম যোহান ২:২) “তাঁহাকেই ঈশ্বর তাঁহার রক্তে বিশ্বাস দ্বারা প্রায়শ্চিত্ত বলিরুপে প্রদর্শন করিয়াছেন” (রোমিয় ৩:২৫) ডাঃ জন ম্যাক আর্থার, খ্রীষ্টের রক্ত সম্বন্ধে ভুল হলেও যথার্থ বলেছেন, “প্রায়শ্চিত্ত” শব্দের অর্থ হল “সন্তুষ্টিকরণ” অথবা “পরিতৃপ্তি।” পাপের শাস্তি স্বরুপ ক্রুশের উপরে যীশুর যে বলিদান ঈশ্বরের পবিত্রতার যে দাবী তা তাঁকে পরিতৃপ্ত করলো...তাই বলতে পারি যীশু প্রায়শ্চিত্ত সাধন করেছেন বা ঈশ্বরকে পরিতৃপ্ত করেছেন (John MacArthur, D.D., The MacArthur Study Bible, Word Publishing, 1997, note on I John 2:2). আমার কছে ইহা অদ্ভুত বলে মনে হচ্ছে যে তিনি এই রক্তের বিষয়ে ভুল কেননা প্রায়শ্চিত্ত সাধনটাই সঠিক! সুতরাং, প্রায়শ্চিত্ত সাধন, যা হল পাপের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের অভিশাপের সন্তুষ্টি সাধন বা পরিতৃপ্ততা; দুঃখভোগ ঈশ্বরের ন্যায়কে “পরিতৃপ্ত” করেছে, প্রায়শ্চিত্ত প্রকাশমান হচ্ছে পাপের বিরুদ্ধে তাঁর অভিশাপ সম্বন্ধে। “যিনি পাপ জানেন নাই, তাঁহাকে তিনি [পিতা ঈশ্বর] আমাদের পক্ষে পাপ স্বরুপ করিলেন, যেন আমরা তাঁহাতে ঈশ্বরের ধার্মিকতা স্বরুপ হই ” (২-য় করিনিথিয়ানস ৫:২১) “তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন” (ঈশা ৫৩:১১) খ্রীষ্টের দুঃখভোগ ঈশ্বরের ন্যায়কে পরিতৃপ্ত করেছে, আমাদের উদ্ধারলাভ করার জন্য ইহাকে সম্ভবপর করে তুলেছে। ২. দ্বিতীয়, খ্রীষ্টের জ্ঞান অনেককে ধার্মিক গণিত করে। আসুন একসঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে উচ্চৈস্বরে, “অনেককে ধার্মিক” গণিত করবেন সেই শেষ শব্দ থেকে শুরু করবো। “তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন; আমার ধার্মিক দাস, আপনার জ্ঞান দিয়া অনেককে ধার্মিক করিবেন এবং তিনিই তাহাদের অপরাধ সকল বহন করিবেন” (ঈশা ৫৩:১১) আপনারা সকলে বসতে পারেন। ঈশা ভাববাদী ঈশা ৫২:১৩ পদে খ্রীষ্টকে নির্দেশ করেন ঈশ্বরের “দাস” হিসাবে আর এখন আমাদের পাঠ্যাংশে খ্রীষ্টকে সম্ভাবিত করা হচ্ছে ঈশ্বরের “ধার্মিক দাস হিসাবে।” খ্রীষ্টকে ধার্মিক বলা হয় “কেননা তিনি পাপ জানেন নাই” (২-য় করিনথিয়ানস ৫ঃ২১)। তিনি হলেন ঈশ্বরের নীরব পুত্র, পিতা ঈশ্বরের “ধার্মিক দাস।” খ্রীষ্ট অনেককে “ধার্মিক গণিত করবেন” (১১-নং পদ)। এখানেই সুসমাচারের মূল বিষয় দেখা যায়। ঈশ্বরের প্রেমের বাধ্যতা দ্বারা আমরা ধার্মিক গণিত হই না, কেননা, “নিয়মের কার্য্যকারিতা হিসাবে তাঁর নজরের সামনে কোনও মাংসাদি কারণ হইবে না” (রোমিয় ৩:২০) স্বভাবের দিক দিয়ে আমরা যেহেতু পাপী তাই আমরা নিজেদ্র ধার্মিক গণিত করতে পারি না। আমাদের প্রতি খ্রীষ্টের প্রায়শ্চিত্ত স্বরুপ ধার্মিকতার দ্বারাই আমরা ধার্মিক গণিত হতে পারি। “প্রায়শ্চিত্ত” হল এক বৈধ পরিভাষা। আমাদের প্রতি খ্রীষ্টের প্রায়শ্চিত্ত স্বরুপ ধার্মিকতার দ্বারা আমরা বৈধ ভাবেই ধার্মিক বলে গণিত। “ঈশ্বরের ধার্মিক দাস অনেককে ধার্মিক গণিত করবেন”(ঈশা ৫৩:১১) তাদের প্রতি নিজের ধার্মিকতা প্রয়োগ করার দ্বারা! “তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন; আমার ধার্মিক দাস, আপনার জ্ঞান দিয়া অনেককে ধার্মিক করিবেন এবং তিনিই তাহাদের অপরাধ সকল বহন করিবেন” (ঈশা ৫৩:১১) জন ট্র্যাপ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে কার্ডিনাল কন্টারেনাস, পিগহাইয়াস নামে আরো এক ক্যাথলিক কার্ডিনালের দ্বারা মৃত্যুদন্ড ভোগ করেন। কেননা কন্টারেনাস এই পদটিকে আক্ষরিক ভাবেই বিশ্বাস করেন, তাকে এক “প্রটেস্ট্যান্ট” বলে অভিহিত করা হয়েছিল আর তাকে তার নিজের বিশ্বাসের জন্য দণ্ড প্রদান করা হয় কেননা তার মতে “মানুষের ধার্মিকতা লাভ হল ঈশ্বরের বিনামূল্যের দয়া ও খ্রীষ্টের গুণাবলীর দ্বারা” (John Trapp, A Commentary on the Old and New Testaments, 1997 reprint, volume III, pp. 410-411, note on Isaiah 53:11)। কিন্তু কার্ডিনাল কন্টারেনাস এই দিক দিয়ে সঠিক ছিলেন! আর অন্যান্য যে সকল কার্ডিনাল ছিলেন তারা সকলে ভুল! “আমার ধার্মিক দাস অনেককে আপনার জ্ঞান দিয়ে অনেককে ধার্মিক করবেন।” সেই সমস্ত শব্দ সমূহ মৃত্যুর জন্য যথেষ্ঠই কি মূল্যবোধের? অবশ্যই, সেগুলো তাই ছিল! আর সেটাই তো ব্যাপটিস্ট এবং প্রোটেস্ট্যাণ্ট বিশ্বাসের প্রাণকেন্দ্র! ক্যাথলিক এবং ফিনি নিষ্পত্তিকারী অনুগামীরা যে ভাবে শেখায় সেই ভাবে আমরা ধার্মিক গণিত হই না! ওহ না! “ব্যাবস্থার কার্য হেতু নয়, কেবল যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা মনুষ্য ধার্মিক গণিত হয়” (গালাতিয় ২:১৬) “এই প্রকারে ব্যাবস্থা খ্রীষ্টের কাছে আনিবার জন্য আমাদের পরিচালক দাস হইয়া উঠিল, যেন আমরা বিশ্বাস হেতু ধার্মিক গণিত হই” (গালাতিয় ৩:২৪) খ্রীষ্টের মধ্যে ঈশ্বরের “ধার্মিক দাস” যিনি অনেককে ধারমিক গণিত করলেন!” কিন্তু সেটা কি ভাবে ঘটলো ? কি ভাবে খ্রীষ্ট “অনেককে ধার্মিক গণিত করবেন?” তিনি কি তাদের নিজেদের কাজের বেশ কিছু পাপ সমর্পন করার দ্বারা তাদের ধার্মিক গণিত করবেন? না! না সেটা হল ক্যাথলিক ধর্মমত এবং সিদ্ধান্তবাদের চিন্তাধারা! তারা “পাপীর প্রার্থনা” করেছে বলেই কি তিনি তাদের ধার্মিক গণিত করবেন অথবা উপদেশের শেষে “সামনে এগিয়ে এসেছে” বলেই কি ধার্মিক গণিত করবেন? না! সেতাও আবার ক্যাথলিক ধর্মমত এবং সিদ্ধান্তবাদের চিন্তাধারা! তার কি উদ্ধার লাভ করবে যেহেতু “পরিত্রাণের পরিকল্পনার বিষয়ে” তারা শিখেছে বলে অথবা যোহান ৩:১৬ মুখস্ত করেছে বলেই কি এবং “পাপীর প্রার্থনা” শিখেছে বলেই ধার্মিক গণিত হবে?” না! সেতাও কিন্তু ক্যাথলিক ধর্মমত এবং সিদ্ধান্তবাদের চিন্তাধারা! তাহলে, কিভাবে, তারা ধার্মিক গণিত হবে ? ঈশ্বরের সম্মুখে আপনি কি ভাবে পবিত্র অও ধার্মিক বলে গণিত হবেন? সেতা হল অনন্তকালীন এক প্রশ্ন। বাইবেলের বুক অব জোবে সেতাই তো সব থেকে বড় একটা প্রশ্ন! তিনি বলেছেন, “তবে ঈশ্বরের কাছে মর্ত্ত্য কেমন করিয়া ধার্মিক গণিত হইবে? অবলার সন্তান কেমন করিয়া বিশুদ্ধ হইবে?” (জোব ২৫:৪) আর বাক্যের যে পাঠ্যাংশ রয়েছে সেখান থেকেই ধ্বনিত হচ্ছে এই উত্তর, “আমার ধার্মিক দাস আপনার জ্ঞান দিয়া অনেককে ধার্মিক গণিত করিবেন” (ঈশা ৫৩:১১) অথবা, স্পারজিউন ইহাকে যেভাবে অনুবাদ করছেন, “আমার ধার্মিক দাস আপনার জ্ঞান দিয়া অনেককে ধার্মিক গণিত করিবেন” (C. H. Spurgeon, The Metropolitan Tabernacle Pulpit, Pilgrim Publications, 1980 reprint, volume 63, p. 117)। আর তাই স্পারজিউন বলেছেন, খ্রীষ্টের ত্যাগ স্বীকারের যে পরিমাণ তার সম্পূর্ণ পন্থা হল জানা ও বিশ্বাস দ্বারা — করার দ্বারা নয়.... “ব্যাবহার কর্মহেতু কোন মানুষ ধার্মিক গণিত হয় না।” ব্যাবহার দ্বারা পাপের জ্ঞান জন্মে। “অনুগ্রহ ও শান্তি যীশুখ্রীষ্ট হইতে আসে।” আর সেটা আমাদের কাছে আসে বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে বা জানার মধ্য দিয়ে—তাঁকে জানার দ্বারা.... তাঁর দ্বারা... আমরা ধার্মিক গণিত হই” (ibid.). “কিন্তু যে ব্যাক্তি কার্য্য করে না – তাঁহারই উপর বিশ্বাস করে, যিনি ভক্তিহীনকে ধার্মিক গণনা করেন—তাহার বিশ্বাসই ধার্মিকতা বলিয়া গণিত হয়” (রোমিয় ৪:৫) “তুমি ও তোমার পরিবার প্রভু যিশুতে বিশ্বাস কর, তাহাতে পরিত্রাণ পাইবে” (প্রেরিত ১৬:৩১) “আমার ধার্মিক দাস আপনার জ্ঞান দিয়া অনেককে ধার্মিক করিবেন” (ঈশা ৫৩:১১) খ্রীষ্টের দুঃখভোগ ঈশ্বরের ন্যায়কে বা ধার্মিকতাকে পরিতৃপ্ত করেছে। খ্রীষ্টকে জানাটাই অনেককে ধার্মিক গণিত করে। আর-- ৩. তৃতীয়, পাপ বহনকারী খ্রীষ্ট পাপীদের প্রতি সম্পূর্ণ প্রায়শ্চিত্ত স্বরুপ। অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়িয়ে পাঠ্যাংশটি পুণরায় পড়ুন, শেষের যে ছয়টি শব্দ রয়েছে সেখানে যত্ন সহকারে মনোযোগ করুন। “তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন; আমার ধার্মিক দাস, আপনার জ্ঞান দিয়া অনেককে ধার্মিক করিবেন এবং তিনিই তাহাদের অপরাধ সকল বহন করিবেন” (ঈশা ৫৩:১১) আপনারা সকলে বসতে পারেন। খ্রীষ্ট “অনেককে ধার্মিক গণিত করিবেন আর তিনিই তাহাদের অপরাধ সকল বহন করিবেন।” তা হল তিনি তাদের পাপ সকল বহন করিবেন। আমাদের ধার্মিকতার সম্পূর্ণ ভিত্তি; আমাদের প্রায়শ্চিত্ত সাধন ও পরিত্রাণের সম্পূর্ণ ভিত্তি; এই বাক্যাংশে প্রকাশমান হয়েছে তাহল,“তিনিই তাহাদের অপরাধ সকল বহন করিবেন।” (ঈশা ৫৩:৫) বলে, “কিন্তু তিনি আমাদের অধর্মের নিমিত্ত বিদ্ধ, আমাদের অপ্রাধের নিমিত্ত চূর্ণ হইলেন; আমাদের শান্তিজনক শাস্তি তাঁহার উপরে বর্তিল এবং তাঁহার ক্ষত সকল দ্বারা আমাদের আরোগ্য হইল” (ঈশা ৫৩:৫)। ঈশা ৫৩:৬ বলে, “আর সদাপ্রভু আমাদের সকলকার অপরাধ তাঁহার উপরে বর্ত্তাইয়াছেন” (ঈশা ৫৩:৬)। ঈশা ৫৩:৮ বলে, “আমাদের জাতির অধর্ম প্রযুক্তই তাঁহার উপরে আঘাত পড়িল” (ঈশা ৫৩:৮)। এবং ১-ম পীটার ২:২৪ বলে, “তিনি আমাদের পাপভার তুলিয়া লইয়া, আপন নিজ দেহ কাষ্ঠের উপরে বহন করিলেন” (১-ম পীটার ২:২৪)। স্পারজিউন আমাদের এই পাঠ্যাংশকে যেমন ভাবে অনুবাদ করেছেন, “... আমার ধার্মিক দাস আপনার জ্ঞান দিয়া অনেককে ধার্মিক করিবেন।” খ্রীষ্টের সুসমাচারের জন্য সেখানেই আপনার প্রথম বিষয়তা রয়েছে যা হল অত্যন্ত সরল ও স্বাভাবিক। খ্রীষ্টের দুঃখভোগ ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে পরিতৃপ্ত করলো। নিজে থেকে খ্রীষ্টকে জানাটা ইহার সঙ্গে ধার্মিকতাকে বহন করে আনে। পাপ বহনকারী খ্রীষ্ট পাপীদের প্রতি সম্পূর্ন পরিত্রাণ নিয়ে আনেন যারা খ্রীষ্টকে বিশ্বাস সহকারে জানেন। আশ্চর্য্যকারী এই সুসমাচার! অদ্ভুত এই উদ্ধার কার্য্য। এর আগে বা পরে এইমতো কোন কিছুই ঘটেনি আর তা এমন কি ইতিহাস পর্যন্ত! “তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন; আমার ধার্মিক দাস, আপনার জ্ঞান দিয়া অনেককে ধার্মিক করিবেন এবং তিনিই তাহাদের অপরাধ সকল বহন করিবেন” (ঈশা ৫৩:১১) অন্য একটি রাত্রে ওয়েসলি এবং আমি চলচ্চিত্র অভিনেতা জন ক্যারাডিনের বিষয়ে ইন্টারনেটে পড়েছিলাম। অন্য যে কোন অভিনেতার থেকে তাকে ৩০০-র বেশি চলচ্চিত্রে দেখা যায়। তিনি যখন মিলানে, ইতালিতে মারা যান তখন তার শরীরকে একটি কফিনে রাখা হয় এবং বাড়িতে তার এক ছেলের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পুত্র তখন প্রচন্ডভাবে মদ্য পান করছিল। সে কফিনটা খুলে তার মৃত পিতার মুখের মধ্যে সুরা বা মদ ঢালতে থাকে। এখন, আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, সি মৃত ব্যাক্তি কি মদের স্বাদ আস্বাদ করতে পেরেছিল? অবশ্যই নয়! আর খ্রীষ্ট যে আমাদের পরিত্রাণ বা উদ্ধার করতে পারেন এই বিষয়ে সমস্ত বিষয় আমি যখন আপনাকে বললাম তখন আপনি কি ইহাকে আস্বাদ করতে পারছেন। কেন পারছেন না? এই জন্য পারছেন না কেননা আপনি আত্মিক ভাবে মৃত। আর বাইবেল ইহাকে এই ভাবে উল্লেখ করে “আপনি পাপে মৃত”(এফেসিয়ানস ২:৫)। সেটাই হল পাপের প্রকৃত স্বভাব। খ্রীষ্টের বিষয়গুলোতে আপনি মৃতপ্রায়। সেগুলোকে আপনি আস্বাদ করতে পারেন না। আপনি সেগুলো অনুভব মৃত ঠিক যেমনটি জন ক্যারাডিন নিজের কফিনে মৃত অবস্থায় ছিলেন। আপনাকে জীবন দেওয়ার জন্য খ্রীষ্টকে প্রয়োজন আর তা নাহলে আপনি অনন্তকালের জন্য হারিয়ে যাবেন! এর জন্য আপনাকে অতি অবশ্যই চিৎকার করতে হবে, “দুর্ভাগ্য মনুষ্য আমি এই মৃত্যুর দেহ হইতে কে আমাকে নিস্তার করিবে?” (রোমিয় ৭:২৪)। যখন কোন নারী বা পুরুষ সেইভাবে চিৎকার করে, একেবারে অন্তরের অন্তঃসুখ থেকে তখন তারা উদ্ধার লাভ করার নিকটবর্ত্তী স্থানে থাকে। আপনি কি সেইভাবে চিৎকার করেছেন? আপনি কি এই মতো অনুভব করেছেন যে আপনি ঈশ্বরের প্রতি মৃতপ্রায় আর কেবলমাত্র খ্রীষ্টই আপনাকে উদ্ধার করতে পারেন? আপনি কি খ্রীষ্টে রুপান্তরিত বা পরিবর্তিত ব্যাক্তি ? যদি নয়, তবে আপনি কি খ্রীষ্টের প্রতি তাকাবেন, সেই ঈশ্বরের মেষশাবকের প্রতি যিনি এই জগতের পাপভার বহন করে নিয়ে যান? আপনি কি তাঁর প্রতি দৃষ্টিপাত করে এখনই তাতে নির্ভর করবেন? এখানে আবার সেই বাক্য যা মিঃ গ্রীফিথ কিছু মুহুর্ত আগে গানের দ্বারা পরিবেশন করেছেন তা শুনুন। আপনি যদি পাপ থেকে বিনামূল্যে স্বাধীন হতে চান, সংবাদের পরিসমাপ্তি অথবা আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন ডাঃ ক্রিগটন এল. চ্যান ঈশা ৫৩:১-১১ |
খসড়া চিত্র পরিতৃপ্তি এবং ধার্মিকতা খ্রীষ্টের দ্বারা লাভ করা হয় ঈশার ৫৩ অধ্যায়ের ১৩ নং উপদেশ ডাঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনি. “তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন; আমার ধার্মিক দাস, আপনার জ্ঞান দিয়া অনেককে ধার্মিক করিবেন এবং তিনিই তাহাদের অপরাধ সকল বহন করিবেন” (ঈশা ৫৩:১১) ১. প্রথম, ঈশ্বরের ধার্মিকতাকে পরিতৃপ্ত করার জন্য খ্রীষ্টের দুঃখভোগ, ২. দ্বিতীয়, খ্রীষ্টের জ্ঞান অনেককে ধার্মিক গণিত করে, ৩. তৃতীয়, পাপ বহনকারী খ্রীষ্ট পাপীদের প্রতি সম্পূর্ণ প্রায়শ্চিত্ত স্বরুপ, |