এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
তুষ্টি সাধন করা! (ঈশা ৫৩ অধ্যায়ের ১১ নম্বর সংবাদ) লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি. ২০১৩ সালে ১৩-ই এপ্রিল লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনেকেলে “তথাপি তঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল; তিনি তাঁহাকে যাতনাগ্রস্ত করিলেন তাঁহার প্রাণ যখন দোষার্থক বলি উৎসর্গ করিবে, তখন তিনি আপন বংশ দেখিবেন, দীর্ঘায়ূ হইবেন এবং তাঁহার হস্তে সদাপ্রভুর মনোরম সিদ্ধ হইবে” (ঈশা ৫৩:১০) |
আজকে রাত্রিতে আমি ঈশ্বর সম্বন্ধে যা বলতে চলেছি তা অপছন্দ হবে এমন কি যারা ইহা শুণিবেন তারা ঘৃণা করতে থাকবেন। আজকে ঈশ্বর সম্বন্ধে লোকেদের মধ্যে এই প্রকার ভুল অভিপ্রায় রয়েছে। যখন কোন ব্যাক্তি বাইবেলের ঈশ্বর সম্বন্ধে কথা বলে তখন ইহা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার প্রভাব ফেলে তা বিশেষত বিশেষ কিছু ধরনের প্রচারকদের মধ্যে। . বেশ কিছু বৎসর আগে আমাকে এক প্রাচীন পালকের দ্বারা বলা হয়েছিল যেন প্রায় একদল যুবক যেখানে একশত ব্যাক্তি রয়েছে তাদের মধ্যে সুসমাচার মূলক সংবাদ প্রদান করি। আগেও আমি তিনবার বিভিন্ন সময়ে প্রচার করেছি আর তাই আমি মনে করলাম মন্ডলী যা চাইছে তা আমি জানি। কিন্তু এই সময়ে আরো দুজন তরুন পালক এই তত্ত্বাবধানের মধ্যে ছিলেন। আমি পরিত্রাণ মূলক এক সংবাদ প্রচার করলাম, যেখানে ঈশ্বরের বিচার সম্বন্ধে গুরুত্ব আরোপ করে খ্রীষ্টের সুসমাচার দিয়ে এক স্বচ্ছ উপস্থাপনার মধ্যে তা সমাপ্ত করলাম। সাতাশ জন যুবক ব্যাক্তি সেই আমন্ত্রণে প্রতিক্রিয়া জানালেন। এদের মধ্যে সকলেই এই প্রথম বিশ্বাস করছে আর এদের মধ্যে এক চতুর্থাংশই ছিল কলেজে পড়া ছাত্র যারা সেখানে উপস্থিত ছিল। এদের মধ্যে একজন মনে করলো যে সেই দুজন তরুন পালক এই প্রকার এক প্রতিক্রিয়াতে মুগ্ধ হয়েছেন। কিন্তু সংবাদের পরে এদের উভইয়ের মুখেই গোমড়া ভাবের ছায়া প্রকাশমান হল। তারা আমাকে ধন্যবাদের কোন নোটই লেখেনি আর তারা আমাকে কোন সম্মানীয় দক্ষিণাও পাঠায় নি যেটা কিনা মন্ডলীর এক স্বাভাবিক আচরণ বা অভ্যাস ছিল। তাদের এই প্রকার শীতলতম অনুত্তেজনায় আমি অত্যন্ত বিস্মিত হয়ে পড়লাম। পরবর্তী সময়ে আমি শিখলাম যেখানে তারা হয়তো মনে করলো যে আমি অত্যন্ত নেতিবাচক ছিলাম যেখানে ঈশ্বর যে পাপের বিচার করেন সেই বিষয়ে যুবকদের সতর্ক না করেই আমার নিমন্ত্রণ দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। সেই তখন থেকেই আমি আবিষ্কার করলাম যে এই ভাবেই আধুনিক সময়ের বহু পালক তাদের মতবাদকে পোষণ করেন। “তাদের কাছে কেবল মাত্র সুসমাচার প্রদান করুন। কেবল মাত্র ঈশ্বরের প্রেমের কথা বলুন। লোকেদের উত্তেজিত করবেন না ও তাদের অস্বস্তির মধ্যে ফেলবেন না।” প্রায় সময়েই আমি দেখেছি আজকের প্রচারকেরা এই ভাবেই তা অনুভব করে। কিন্তু আমি দৃঢ প্রত্যয় এই ভাবে চিন্তা করার মধ্যে সেকাহ্নে এক সাংঘাতিক খামতি থেকে যাচ্ছে, কিছু অপ্রতুল ভাব এবং সুসমাচার মূলক প্রচারের যে দর্শন তার মধ্যে কিছু ভুল থেকে যাচ্ছে । ডাঃ এ. ডব্লউ. টোজার বলেছেন, “যে ব্যাক্তি প্রথমে ঈশ্বরের ভয়ের বিষয়ে জানতে না পারছে সেই ভাবে কোন ব্যাক্তিই ঈশ্বরের অনুগ্রহ সম্বন্ধে জানতে পারবে না”(The Root of Righteousness, Christian Publications, 1955, p. 38).আমি বিশ্বাস করি এই বিষয়ে তিনি যথার্থ ছিলেন, “যে ব্যাক্তি প্রথমেই ঈশ্বরের ভয় সম্বন্ধে জানতে না পারছে সেই ভাবে কোন ব্যাক্তিই ঈশ্বরের অনুগ্রহের বিষয় উপলব্ধি করতে পারে না।” ডাঃ মার্টিন লয়েড জোন যথার্থ ভাবেই ডাঃ টোজার যে বিষয়ে বলেছেন তিনি সেই বিষয়ে বিশ্বাস করেন। ইয়ান এইচ মারে বলেছেন,“ডাঃ লয়েড জোনের জন্য ঈশ্বরের সামনে মানুষের অপরাধের প্রকৃত সংকটের বিষয় প্রচার করার অর্থ হল স্বর্গীয় রোষ বা কোপের যে নিশ্চয়তা সেই বিষয়ে প্রচার করা...... নরকের যে শাস্তি সেই বিষয়ে প্রচার করা.... তিনি নিরিক্ষণ করেন যে বাইবেল ভিত্তিক প্রচারে সতর্কীকরণ করাটা হল এক গুরুত্বপুর্ণ অংশ। নরক কোনমতেই এক তত্ত্ব নয়....”(Rev. Iain H. Murray, The Life of Martyn Lloyd-Jones, The Banner of Truth Trust, 2013, p. 317). ডাঃ লয়েড জোনস পুণরায় বলেন, “সমস্ত কিছুর মধ্যে সব থেকে সাংঘাতিক পাপ হল ঈশ্বরের বিষয়ে ভ্রান্ত ভাবে চিন্তা করা যার বিষয়ে স্বাভাবিক মানুষ ভীষণ ভাবে দোষী”(ibid.,p.316). এরই মধ্যে পুণরায় ডাঃ জ আর. রাইসের মধ্যে আমি এক জ্ঞান খুঁজে পাই, যেখানে সেই বিশিষ্ট ব্যাপটিস্ট সুসমাচার প্রচারক দৃশ্যত এই একই বিষয় বলেন যা ডাঃ টোজার এবং ডাঃ লয়েড জোনস বলেছেন। ডাঃ রাইস বলেছেন, বাইবেলের ঈশ্বর হলেন ভয়াবহ ঈশ্বর, এক ভীতিপ্রদ ভগবান, এক প্রতিশোধ দাতা ঈশ্বর আবার সেই সংগে দয়াশীল ঈশ্বর (John R. Rice, D.D., The Great and Terrible God, Sword of the Lord Publishers, 1977, p. 12). ডাঃ রাইস বলেছেন, আধুনিক সময়ের এই সমস্ত প্রচার হল ব্যাবস্থা বা বিধান হল অনুগ্রহ ছাড়া, বিশ্বাস অনুতাপ ছাড়া, ঈশ্বরের দয়া ঈশ্বরের ক্রোধ বা কোপ ছাড়া, স্বর্গের বিষয়ে প্রচার নরকের বিষয়ে প্রচার ছাড়া.... আর ইহা হল ঈশ্বরের বাক্যের যে সত্যতা সেই বিষয়ে বিপথগামী করে তোলা। ইহা ঈশ্বরকে ভ্রান্তভাবে উপস্থাপন করে। ইহা হল ঈশ্বরের সংবাদকে অসৎভাবে উপস্থাপন করা। ঈশ্বর হলেন ভয়ঙ্কর ঈশ্বর, এক সাংঘাতিক ঈশ্বর, তিনি এমন এক ঈশ্বর যিনি পাপের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর,এক ঈশ্বর যিনি প্রতিশোধ নেন, এমন এক ঈশ্বর যাকে ভয় করা দরকার, তিনি এমন ঈশ্বর যার সম্মুখে পাপীরা কম্পমান হয় (ibid., pp. 13, 14). আমেন! আর বৎসর ব্যাপী তাদের সংবাদ পড়ে আমি সেই বিষয়ে জানি যে ডাঃ টোজার এবং ডাঃ লয়েড জোন তারা জন আর.রাইসের সংগে সম্পূর্ণ ভাবে এই বিষয়ে একমত হবেন। “ঈশ্বর হলেন পাপের বিরুদ্ধে ক্রোধশীল ঈশ্বর।” ঈশ্বরকে আমরা যখন সেই ভাবে দেখি, ঠিক বাইবেল যে ভাবে তাঁকে উপস্থাপন করে তবে ঈশা ৫৩:১০ পদে আমাদের যে পাঠ্যাংশ রয়েছে সেই বিষয়ে আমাদের কোন সমস্যাই হবে না। সেই পাঠ্যাংশ পিতা ঈশ্বরের কেন্দ্রবিন্দু যা আমাদের পরিত্রাণের জন্য ঈশ্বর যীশুর প্রতি করেছেন, “তথাপি তাঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল; তিনি তাঁহাকে যাতনাগ্রস্ত করিলেন তাঁহার প্রাণ যখন দোষার্থক বলি উৎসর্গ করিবে” (ঈশা ৫৩:১০) “তাঁহাকেই ঈশ্বর প্রায়শ্চিত্ত বলিরুপে প্রদর্শন করিয়াছেন”(রোমিয় ৩:২৫) ডা; ডাব্লউ. এ. ক্রিসওয়েল বলেছেন, “প্রায়শ্চিত্ত হল ক্রুশের উপরে খ্রীষ্টের কার্য্য যার দেয়ারা পাপের বিরুদ্ধে ধার্মিক ঈশ্বরের যে দাবী তা তিনি পূরণ করেছেন যেখানে তিনি ঈশ্বরের ন্যায়পরায়ণতাকে পরিতৃপ্ত করেছেন এবং সেই সংগে মানুষের যে দোষ তা তিনি অবলুপ্ত করেছেন”(W. A. Criswell, Ph.D., The Criswell Study Bible, Thomas Nelson Publishers, 1979, p. 1327, note on Romans 3:25). “তাঁহাকেই ঈশ্বর প্রায়শ্চিত্ত বলিরুপে প্রদর্শন করিয়াছেন”(রোমিয় ৩:২৫) The Reformation Study Bible সেই পদের বিষয়ে বলে, “খ্রীষ্ট মৃত্যুবরণ করেছেন প্রায়শ্চিত্ত রুপ বলি হিসাবে যা পাপীদের বিরুদ্ধে স্বর্গীয় ন্যায়কে পরিতৃপ্ত করেছে ও ক্ষমা এবং ধার্মিকতা বহন করে নিয়ে এসেছে। কিন্তু পল অতি সতর্কতার সংগে ইংগিত প্রদান করে যে সেই প্রায়শ্চিত্ত (ঈশ্বরের পুত্রের) আমাদের প্রেম করার প্রতি পিতা ঈশ্বরের কাছে যুক্তি প্রদান করে নি। এর বিপরীতটাই হল প্রকৃত সত্য – ঈশ্বরের প্রেম তাঁকে তাঁর পুত্রকে উৎসর্গ করার আদর্শ হয়ে উঠলো” (The Reformation Study Bible, Ligonier Ministries, 2005, p. 1618, note on Romans 3:25). “তিনি নিজ পুত্রের প্রতি মমতা করিলেন না কিন্তু আমাদের সকলের নিমিত্ত তাঁহাকে তিনি সমর্পণ করিলেন” (রোমিয় ৮:৩২) আমাদের পাঠ্যাংশ যেমনভাবে বলছে, “তথাপি তঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল; তিনি তাঁহাকে যাতনাগ্রস্ত করিলেন তাঁহার প্রাণ যখন দোষার্থক বলি উৎসর্গ করিবে” (ঈশা ৫৩:১০) এই পাঠ্যাংশে আমরা দেখতে পাই যে খ্রীষ্টের যাতনার সময়ে ঈশ্বরই ছিলেন প্রকৃত রচয়িতা। খ্রীষ্ট দুঃখভোগ করে মৃত্যু বরণ করলেন, “তিনি ঈশ্বরের নিরুপিত যন্ত্রণা (নির্দ্দিষ্ট উদ্দেশ্যে) ও পূর্বজ্ঞান অনুসারে সমর্পিত হলেন” (প্রেরিত ২:২৩)। শাস্ত্রের মহান ও সাংঘাতিক ঈশ্বর খ্রীষ্টের দুঃখভোগ এবং মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। যীহান ৩:১৬ বলে “ঈশ্বর তাঁর একজাত পুত্রকে দান করলেন”(যোহান ৩:১৬)। রোমিয় ৮:৩২ বলে, “তিনি নিজপুত্রের প্রতি মমতা করলেন না কিন্তু আমাদের সকলের জন্য তাঁহাকে তিনি সমর্পণ করলেন” (রোমিয় ৮:৩২)। পাপের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের যে অভিশাপ তা হল প্রায়শ্চিত্ত কেননা ইহা কেবলমাত্র তাঁর পুত্র যীশুর উপরেই বর্তিল। আমাদের পাঠ্যাংশ যেমন ভাবে বলে, “তথাপি তঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল; তিনি তাঁহাকে যাতনাগ্রস্ত করিলেন তাঁহার প্রাণ যখন দোষার্থক বলি উৎসর্গ করিবে” (ঈশা ৫৩:১০) এখানে ঈশা আমাদের “দৃশ্যের বাইরে নিয়ে যেতে চান” এতাই দেখানোর জন্য যে পিতা ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে তীব্র উত্তেজনার এক ঘৃণ্য অনুভুতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ও ক্রুশারোপিত হতে হয় যাতে ঈশ্বর তিনি সন্তুষ্ট হন আর এইভাবে পাপীদের পরিবর্তে তাঁর ক্রোধ যীশুর উপরে এসে পড়লো। আমাদের পাঠ্যাংশে আমরা দেখতে পাই যে (১)ঈশ্বর তাঁকে আঘাত করলেন; (২)ঈশ্বর তাঁকে যাতনাগ্রস্ত করলেন; (৩) ঈশ্বর তাঁর মনকে এমন ভাবে তৈরী করে পাপের জন্য উৎসর্গ করলেন। ১. প্রথম, ঈশ্বর যীশুকে আঘাত করলেন। “তাঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল” (ঈশা ৫৩:১০) “চূর্ণ” শব্দের অর্থ অনুবাদ করা হয়েছে “ভেঙে ফেলা।” “তাঁকে ভেঙে ফেলাটা প্রভুকে সন্তুষ্ট করেছিল।” ডাঃ এডোয়ার্ড জে. ইয়াং বলেছেন, “খ্রীষ্টের নির্দোষিতা সত্ত্বেও সদাপ্রভুর মনোরথ ছিল তাঁকে চূর্ণ বা ভেঙে ফেলা। তাঁর যে মৃত্যু তা দুষ্ট লোকেদের হাতে ছিল না কিন্তু তা ছিল সদা প্রভুর হাতে। আর যারা তাঁকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছিল তা সেই সমস্ত ব্যাক্তিদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত করে না, কিন্তু তারা এই অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার বাইরে ছিলেন। তারা কেবলমাত্র সেটাই করছিলেন যেটা সদাপ্রভু করার জন্য তাদের অনুমতি প্রদান করেছিলেন।” (Edward J. Young, The Book of Isaiah, William B. Eerdmans Publishing Company, 1972, volume 3, pp. 353-354). আমি যেভাবে বলেছি, যা পরিষ্কার ভাবেই রোমিয় ৩:২৫ পদে খ্রীষ্টের বিষয়ে দেখানো হয়েছে, “তাঁহাকেই ঈশ্বর প্রায়শ্চিত্ত বলিরুপে প্রদর্শন করিয়াছেন”(রোমিয় ৩:২৫) আর, যোহান ৩:১৬ বলে যে, “ঈশ্বর জগৎকে এমন ভালোবাসলেন যে তিনি তাঁর একজাত পুত্রকে দান করিলেন”(যোহান ৩:১৬) পাপের বিরুদ্ধে তাঁর অভিশাপকে তোষণ করার প্রতি এবং পাপী মানুষের জন্য পরিত্রাণকে সম্পন্ন করার প্রতি। “তথাপি তঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল”(ঈশা ৫৩:১০) গ্যেৎসিমানি উদ্যানে সেই শুরু থেকেই, পিতা ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে চূর্ণ ও ভেঙে ফেলতে থাকলেন। ম্যাথুজের দ্বরা আমাদের বলা হয়েছে সেই গ্যেৎশিমানী বাগানে ঈশ্বর বলেছেন, “আমি পাল রক্ষককে আঘাত করিব”(মার্ক ১৪:২৭)। আর এই ভাবে ঈশ্বর যীশুকে আক্রান্ত করলেন, তাঁকে চুর্ণ করলেন এবং গেৎশিমানি উদ্যানের অন্ধকারে আমাদের পাপের জন্য এক বিকল্প রুপে তিনি দুঃখভোগ করে নিজেকে ভাঙতে থাকলেন। স্পারজিউন এই বিষয়ে বলার সময়ে বললেন, আর এখনই ছিল সেই সময় যেখানে আমাদের প্রভুকে পিতার হাত থেকে এক নিশ্চিত পাত্রকে গ্রহণ করতে হলো। যিহুদীদের কাছ থেকে নয়, বিশ্বাসঘাতক যিহুদার হাত থেকে নয়, ঘুমন্ত শিষ্যদের কাছ থেকে নয়, যে দিয়াবল পরীক্ষার জন্য আসে এখন তার হাত থেকেও নয় (গ্যাৎশিমানিতে),কিন্তু ইহা ছিল এমন পাত্র, যা এমন ব্যাক্তির দ্বারা পুর্ণ, যাতে তিনি জানতেন, তিনি হলেন তাঁর পিতা; এ হল এমন পাত্র যা তাঁর প্রাণকে মানসিক ভাবে বিভ্রান্ত করেছিল এবং তাঁর অন্তরকে উদবিগ্ন করে তুলেছিল। তিনি ইহা থেকে পাণ করতে অনিচ্ছুক (পিছিয়ে যাচ্ছিলেন), আর তাই আপনাকে নিশ্চিত হওয়া দরকার সেই পান পাত্রের একটি ফোঁটা শারিরীক যন্ত্রণার থেকেও ভয়ঙ্কর আর তাই ইহা থেকে পান করতে চাইছিলেন না.....। ইহা ছিল এমন কিছু যা অবিশ্বাস্যভাবেই সাংঘাতিক, বিস্ময়াতীত ভাবেই সম্পূর্ণ ভয়ঙ্কর, যা তাঁর কাছে কেবলমাত্র পিতার হাত থেকেই আসে। ইহা যা ছিল তা আমাদের সমস্ত সন্দেহকে দূর করে দেয়, কেননা আমরা পড়েছি,“তাঁকে চূর্ণ করা সদাপ্রভুর মনোরথ ছিল...।” আমাদের সমস্ত পাপকার্য্য প্রভু তাঁর উপরে দিলেন। যদিও তিনি পাপ জানতেন না তথাপি আমাদের জন্য তাঁকে তিনি পাপ স্বরুপ করলেন। আর তাই এটাই পবিত্রতাকে অতিরিক্ত ভাবে অবসাদগ্রস্ত করে তোলে....। তাঁকে অতি অবশ্যই পাপীদের জায়গাতে দুঃখভোগ করতে হবে। আর এখানেই গ্যেৎশিমানির উদ্যানে সস্মস্ত মর্মবেদনার গুপ্ত বিষয় যা আমার পক্ষে আপনার কাছে [সম্পূর্ণ ভাবে] ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। এটা এতটাই সত্য।
“তথাপি তাঁহাকে চূর্ণ করা সদাপ্রভুর মনোরথ ছিল” (ঈশা ৫৩:১০) মানুষের পাপের ভারে, গ্যেৎশিমানি উদ্দ্যানে তিনি নিজেকে ঢেলে দিলেন, খ্রীষ্ট চূর্ণ বিচূর্ণ হলেন, আমাদের পাপের ভারে তাঁকে চুর্ন বিচূর্ন হতে হয়েছিল যাতে, “পরে তিনি মর্মভেদী দুঃখে মগ্ন হইয়া আরো একাগ্র ভাবে প্রার্থনা করিলেন, আর তাঁর ঘর্ম যেন রক্তের ঘনীভুত বড় বড় ফোঁটা হইয়া ভূমিতে পড়িতে লাগিল” (লিউক ২২:৪৪) এখন পর্যন্ত মানুষের কোন হাতি তাঁকে স্পর্শ করেনি। এখন পর্যন্ত তিনি বন্দী হন নি,না’তো এখন পর্যন্ত তিনি মার খেয়েছেন, না তো তাঁকে চাবুক মারা হয়েছে বা ক্রুশারোপীত করা হয়েছে। না, ইহা ছিলেন পিতা ঈশ্বর যিনি তাঁকে সেই গ্যেৎশিমানি উদ্যানেই চূর্ণ বিচূর্ণ করেন। ইহা ছিলেন পিতা ঈশ্বর যিনি বলেছিলেন, “আমি পাল রক্ষককে আঘাত করিব।”(ম্যাথুজ ২৬:৩১)। আর এটাই ঈশার ভাববাদী ভবিষ্যবাণী করেছেন, “তথাপি তাঁহাকে চূর্ণ করা সদাপ্রভুর মনোরথ ছিল” (ঈশা ৫৩:১০) যে কোপে তিনি ক্লান্ত তা কোন জিহবাই বলতে পারে না, ২. দ্বিতীয়,ঈশ্বর যীশুকে যাতনাগ্রস্ত করলেন। “তথাপি তঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল; তিনি তাঁহাকে যাতনাগ্রস্ত করিলেন” (ঈশা ৫৩:১০) পুণরায়, ইহা কেবলমাত্র ঈশ্বর যিনি তাঁরেকজাত পুত্রকে যাতনাগ্রস্ত করেন যা তিনি দুঃখভোগ ও মৃত্যুর মধ্য দিয়ে উপলব্ধি করে ছিলেন। ডাঃ জন গিল বলেছেন, তিনি তাঁকে যাতনাগ্রস্ত (দুঃখভোগের শিকার হতে দিলেন) করলেন... তিনি তাঁকে রেহাই দিলেন না কিন্তু দুষ্ট লোকেদের হাতে তাঁকে ছেড়ে দিলেন মৃত্যু বরণ করার জন্যঃ তাঁকে গ্যাৎশিমানি উদ্যানে প্রচন্ড যাতনা দিলেন যেখানে তাঁর মন অত্যন্ত ভাবেই দুঃখার্ত হয়ে উঠলো এবং ক্রুশের উপরে, তিনি যখন ইহার উপরে পেরেক বিদ্ধ হয়ে মানুষের পাপের ভার সকল বহন করলেন এবং তাঁর পিতার পাপ তাঁহার উপরে পড়লো আর তখন তিনি তাঁর নিজের মুখকে তাঁর কাছ থেকে লুকিয়ে নিলেন যার দ্বারা তিনি চিৎকার করে উঠলেন, আমার ঈশ্বর, আমার ঈশ্বর কেন তুমি আমাকে পরিত্যাগ করেছ? এই ভাবে মনের ও শরীরের দিক দিয়ে তিনি তাঁকে বেদনাগ্রস্ত করলেন (John Gill, D.D., An Exposition of the Old Testament, The Baptist Standard Bearer, 1989 reprint, vol. V, page 315). যীশু ইচ্ছাকৃত ভাবেই যাতনা ও অভিশাপের বেত্রাঘাত এবং ক্রুশারোপণের শিকার হলে, আমাদের পাপের জন্য তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবেই দুঃখভোগ করলেন, কেননা তিনি বলেছেন, “কেননা আমার ইচ্ছা সাধন করিবার জন্য আমি স্বর্গ হইতে নামিয়া আসি নাই; কিন্তু যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন তাঁহারই ইচ্ছা সাধন করিবার জন্য” (যোহান ৬:৩৮) “সেই ব্যাক্তি ঈশ্বরের নিরুপিত যন্ত্রণা ও পূর্ণ জ্ঞান অনুসারে সমর্পিত হইলেন” (প্রেরিত ২:২৩) “তিনি আমাদের নিমিত্ত পাপস্বরুপ হইলেন” (গালাতিয়ানস ৩:১৩) “আর তিনিই আমাদের পাপার্থক প্রায়শ্চিত্ত” (১-ম যোহান ২:২) “তাঁহাকেই ঈশ্বর তাঁহার রক্তে বিশ্বাস দ্বারা প্রায়শ্চিত্ত বলিরুপে প্রদর্শন করিয়াছেন” (রোমিয় ৩:২৫) পাপে তিনি ক্লান্ত হয়েছিলেন তা কোন জিহবাই বলতে পারে না, “তথাপি তাঁহাকে চূর্ণ করা সদাপ্রভুর মনোরথ ছিল” (ঈশা ৫৩:১০) ৩. তৃতীয়, ঈশ্বর যীশুর প্রাণকে পাপের জন্য উৎসর্গ করলেন। আসুন আমরা উঠে দাঁড়িয়ে পাঠ্যাংশটি উচ্চৈস্বরে পড়ি যার সমাপ্তি হচ্ছে “দোষার্থক বলি উৎসর্গ করিবে।” “তথাপি তঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল; তিনি তাঁহাকে যাতনাগ্রস্ত করিলেন তাঁহার প্রাণ যখন দোষার্থক বলি উৎসর্গ করিবে” (ঈশা ৫৩:১০) আপনারা বসতে পারেন। পাঠ্যাংশের আরম্ভেই “তথাপি” বলে যে শব্দ রয়েছে তা লক্ষ্য করুন। ইহা নয় পদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করছে, “যদিও তিনি দৌরাত্ম করেন নাই, আর তাঁহার মুখে ছল ছিল না। তথাপি...”(ঈশা ৫৩:৯-১০)। যদিও যীশু কোন পাপ করেন নি, “তথাপি তাঁহাকে চুর্ণ করার জন্য সদাপ্রভুর মনের ইচ্ছা ছিল, তিনি তাঁকে যাতনাগ্রস্ত করলেন ....।” ডাঃ গাবলিনের ব্যাখ্যা বলে, “দশ পদটি হল প্রায় তাঁর আপাতদৃষ্টির মর্মাহত এক উপস্থাপনা, ব্যাক্তিগত ধার্মিকতার জন্য খ্রীষ্টের চুড়ান্ত নিষ্পত্তির অনাদর করা কিন্তু এর পরেই পাঠক এই দুঃখভোগের প্রতি কম্পনশীল স্বভাবের প্রতি ফিরে আসেন...। প্রথমে ঈশ্বরকে এতটা নিষ্ঠুর বলে দেখা যায় নি কিন্তু অত্যাশ্চর্য্যভাবেই অনুগ্রহশীল” (Frank E. Gaebelein, D.D., General Editor, The Expositor’s Bible Commentary, Zondervan, 1986, volume 6, p. 304). “তথাপি তঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল; তিনি তাঁহাকে যাতনাগ্রস্ত করিলেন তাঁহার প্রাণ যখন দোষার্থক বলি উৎসর্গ করিবে” (ঈশা ৫৩:১০) “যিনি নিজ পুত্রের প্রতি মমতা করিলেন না কিন্তু আমাদের সকলের নিমিত্ত তাঁহাকে সমর্পণ করিলেন” (রোমীয় ৮:৩২) “তিনি আমাদের পাপভার তুলিয়া লইয়া আপনি নিজ দেহ কাষ্ঠের উপরে বহন করিলেন.... আর তাঁহার ক্ষত দ্বারা তোমরা আরোগ্যপ্রাপ্ত হইয়াছে।” (১-ম পিটার ২:২৪) “যিনি পাপ জানেন নাই, তাঁহাকে তিনি আমাদের পক্ষে পাপ স্বরুপ করিলেন যেন আমরা তাঁহাতে ঈশ্বরের ধার্মিকতা স্বরুপ হই” (২-য় করিনথিয়ানস ৫:২১) “ তাঁহার প্রাণ যখন দোষার্থক বলি উৎসর্গ করিবে” (ঈশা ৫৩:১০) যে পাপে তিনি ক্লান্ত হয়েছিলেন তা কোন জিহবাই বলতে পারে না, “তথাপি তঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল; তিনি তাঁহাকে যাতনাগ্রস্ত করিলেন তাঁহার প্রাণ যখন দোষার্থক বলি উৎসর্গ করিবে” (ঈশা ৫৩:১০) পাপের জন্য খ্রীষ্ট ছিলেন ঈশ্বরের এক উৎসর্গীকৃত ব্যাক্তি। আমার জায়গায় প্রতিকম্পন হিসাবে খ্রীষ্ট মৃত্যু বরণ করলেন আপনার পাপের মূল্য মেটাবার জন্য, আপনার উপর থেক ঈশ্বরের অভিশাপকে দূর করার জন্য এবং তা নিজের উপরে বহন করার জন্য খ্রীষ্ট আপনার জন্য বিকল্প হিসাবে ঈশ্বরের কাছে তুষ্টি সাধনের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করলেন। তাঁর হাত অ পা দুটি দিয়ে পেরেক বিদ্ধ করে দেওয়ার বিষয় চিন্তা করেন, ইহা আপনার জন্যই করা হয়েছে। ধার্মিক ব্যাক্তি অধার্মিক ব্যাক্তিদের জন্য মৃত্যু বরণ করলেন যেন ঈশ্বরের প্রতি এক ধার্মিক অবস্থার মধ্যে আপনাকে নিয়ে আনেন। স্পারজিউন বলেছেন, পাপের জন্য মানুষকে অনন্তকালীন আগুনে দণ্ড পেতে হবে; ঈশ্বর যখন খ্রীষ্টকে প্রতি কম্পন হিসাবে নিলেন, তখন ইহা খুবই সত্য,তিনি খ্রীষ্টকে অনন্তকালীন আগুনে প্রেরণ করেন নি কিন্তু তার উপরে প্রবল মনোবেদনা চাপিয়ে দিলেন, তা এতটাই আশাহীন, যে তা এমন কি অনন্তকালীন আগুনের ক্ষেত্রেও এক বৈধ পাওনা.....কেননা খ্রীষ্ট সেই সময় ও ঘন্টায় আমাদের সমস্ত পাপকে গ্রহণ করলেন যা অতীত, বর্তমান এবং সামনের দিনের, আর তাদের জন্য শাস্তি ভোগ করলেন এই জন্য যাতে আমরা আর কোন ভাবেই শাস্তি না পাই, কেননা আমাদের (জায়গায়) পরিবর্তে তিনি দুঃখভোগ করলেন। আপনি কি তাহলে দেখতে পাচ্ছেন, যে কিভাবে পিতা ঈশ্বর তাঁকে চুর্ন বিচুর্ণ করলেন? তিনি যদি তা না করতেন তাহলে খ্রীষ্টের দৈহিক যন্ত্রণা যা আমাদের দুঃখভোগের জন্য (প্রাপ্য) তার মধ্য দিয়ে গিয়ে তাঁকে দুঃখভোগ করতে (নরকে) হতো না। (C. H. Spurgeon, “The Death of Christ,” The New Park Street Pulpit, Pilgrim Publications, 1981 reprint, volume IV, pp. 69-70). তথাপি খ্রীষ্টের মৃত্যু নরক থেকে সমস্ত মানুষকে উদ্ধার করবে না। কেবলমাত্র যারা খ্রীষ্টে নির্ভর করে তারাই উদ্ধার পাবে। তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন পাপীদের জন্য আর তা কেবলমাত্র পাপীদের জন্যই; তিনি তাদের জন্যই মৃত্যুবরণ করেছেন যারা অন্তর থেকে অনুভব করেন যে তিনি তাদের জন্য মৃত্যু বরণ করেছেন ও খ্রীষ্টের অন্বেষণ করছেন তাদের ক্ষমা করার জন্য। আপনার মধ্যে পাপের যে চেতনা বোধ এবং যীশুকে লাভ করার জন্য আপনার যে বোধশক্তি এততাই সামঞ্জস্য পূর্ণ যা দেখায় যে তাঁর মৃত্যু আপনার পাপের আরোগ্য প্রদান করে। যারা কিছুটা থমকে গিয়ে মুহুর্তের মধ্যে তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে চিন্তা করেন আর অনন্তকালীন শাস্তি লাভ করার জন্য এগিয়ে যাবেন কেননা খ্রীষ্ট ক্রুশের উপরে যে মূল্য দিয়েছেন তা তারা প্রত্যাখান করেছে। . এই বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে কঠিন ভাবে চিন্তা করুন। টপলেডির সেই মহান সঙ্গীত “তুষ্টিসাধন” সম্বন্ধে দীর্ঘক্ষণ কঠিন ভাবে চিন্তা করুন। তাঁর পিতার শাপ বহন করার জন্য তাহলে এখন কেন আপনি যীশুতে নির্ভর করছেন না? তাঁকে নির্ভর করা থেকে কোন বিষয়টা আপনাকে দূরে রেখেছে? গুপ্ত কোন পাপ আপনি লিকিয়ে রাখছেন যা আপনাকে যীশুর উপরে নির্ভর করা থেকে বিরিত রাখছে? ভ্রান্ত এবং মুর্খামীর ন্যায় কোন ইচ্ছা পরিত্রাতা থেকে আপনাকে দূরে রাখছে ? কোন বিষয়টি হারানোর ভয় আপনার কাছে গুরুত্ব আরোপ করছে আপনাকে থমকে দিতে? খ্রীষ্টের উপরে নির্ভর করা থেকে মানবিক কোন যুক্তি আপনাকে দূরে রাখছে যিনি দন্ডাজ্ঞার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ঈশ্বরের ভীষণ শাপকে নিজের মধ্যে পরিধান করলেন? সেই সমস্ত চিন্তাধারা আপনার পিছনে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে – “ঈশ্বরের মেষশাবকে” নির্ভর করুন, যিনি জগতের পাপ ভার বহন করে নিয়ে যান (যোহান ১:২৯)। তিনি আপনার জন্য অপেকশাহ্য আছেন। আর দেরী করবেন না। আজ রাত্রে, তাঁর উপরে নির্ভর করুন। অনুসন্ধাঙ্কারী কক্ষ সেই সমস্ত ব্যাক্তিদের জন্য খোলা রয়েছে যারা তাঁর অনুসরণ করার ইচ্ছা রাখছে, তাঁর উপরে নির্ভর করে উদ্ধার লাভ করতে চাইছে। সংবাদের পরিসমাপ্তি অথবা আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথঃ |
খসড়া চিত্র তুষ্টি সাধন করা! PROPITIATION! লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি. “তথাপি তঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল; তিনি তাঁহাকে যাতনাগ্রস্ত করিলেন তাঁহার প্রাণ যখন দোষার্থক বলি উৎসর্গ করিবে” (ঈশা ৫৩:১০) (লিউক ১৬:২৩; রোমীয় ৩:২৫; ৮:৩২; প্রেরিত ২:২৩; জন ৩:১৬)। ১. প্রথম, ঈশ্বর যীশুকে আঘাত করলেন, ২. দ্বিতীয়,ঈশ্বর যীশুকে যাতনাগ্রস্ত করলেন, ৩. তৃতীয়, ঈশ্বর যিশুর প্রাণকে পাপের জন্য উৎসর্গ করলেন, |