এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
খ্রীষ্ট-বিশ্বজনীন ক্ষেত্রে নিম্নতর (ঈশা ৫৩-র চতুর্থতম সংবাদ) লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি. ২০১৩ সালের ১৬-ই মার্চ শণিবার দিনের এল সন্ধ্যায় লস এঞ্জেলেসে ব্যাপটিস্ট “তিনি অবজ্ঞাত ও মনুষ্যদের ত্যাজ্য, ব্যাথার পাত্র ও যাতনা পরিচিত হইলেন; লোকে যাহা হইতে মুখ আচ্ছাদন করে,তাহার ন্যায় তিনি অবজ্ঞাত হইলেন, আর আমরা তাঁহাকে মান্য করি নাই”(ঈশা ৫৩:৩)। |
ডাঃ এডওয়ার্ড জে. ইয়াং বলেছেন, ঈশা যে অবিশ্বাস এখানে অংকন করেছেন সেই প্রকার একই বিশ্বাস আজকে বর্তমান দিনেও আমরা পাই।মানুষেরা (খ্রীষ্টের) বিষয়ে মনোরম ও সৌজন্যসূচক কথা বলে। তারা তাঁর নীতির প্রশংসা করে, তাঁর শিক্ষার প্রংশসা করে, ঘোষণা করে বলেন যে তিনি ভালো ব্যাক্তি ছিলেন, এবং এক মহান ভাববাদী, আজকে জগত জে সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তার বিষয়ে তারা বলে থাকেন তিনিই হলেন সেই উত্তর। যাই হোক না কেন, তারা কোন মতেই স্বীকার করেন না যে তারা পাপী, অনন্তকালীন শাস্তির যোগ্য এবং খ্রীষ্টের মৃত্যু ছিল এক প্রতিনিধিত্বকারী বলিদান, যা খ্রীষ্টের ন্যায় ও মূল্যবোধকে তৃপ্ত করার জন্য অংকিত এবং ক্রুদ্ধ ঈশ্বরের কাছে পাপীদের মিলনকারী। ঈশ্বর তাঁর পুত্রের বিষয়ে যা বলেছেন মনুষ্য তা গ্রহণ করেনা। আজিকের দিনেও সেই দাসোচিত (খ্রীষ্ট) মানুষের দ্বারা অজ্ঞাত ও তুচ্ছ, আর মানুষেরা তাঁকে শ্রদ্ধা করে না”। (Edward J. Young, Ph.D.,The Book of Isaiah, William B. Eerdmans Publishing Company, ১৯৭২, ভল্যুম৩, পৃ.৩৪৪) লুথার বলেছেন যে ঈশার বই-এর কতিপয় অধ্যায় ছিল বাইবেলের এক প্রাণ কেন্দ্র, আমার মনে হয় বিষয়ে তিনি ঠিকই বলেছেন। আপনি যদি তা গ্রহণ করেন তবে আমাদের পাঠ্যাংশ ভীষণভাবেই এক গুরুত্ব আরোপ করে। আমি বিশ্বাস করি, বাইবেলে যেমন ভাবে দেওয়া হয়েছে সেই দিক দিয়ে মনুষ্যের সম্পূর্ণ দূরাচারত্ব নিয়ে এই পদটি সেই বিষয়ে এক পরিষ্কার উক্তি প্রদর্শন করছে। “দূরাচারাত্ব” কথার দ্বারা যে অর্থ প্রকাশিত হয় তা হল “দূর্নীতি” বা “পচন”। “সম্পূর্ণ” এর অর্থ হিসাবে বলতে চাই; সর্ব্বমোট বা “পূর্ণাংগ”। আমাদের প্রথম আদি পিতা মাতার দ্বারা মানুষেরা সম্পূর্ণ ভাবে পাপের দ্বারা দূর্নীতি গ্রস্ত হয়ে উঠেছে। হেডেলবার্গ কেটেচিজাম যে ভাবে উল্লেখ করেন, মানুষের মধ্যে দূরাচারাত্বের স্বভাবটা আসছে “সেই পতনের কাল থেকেই এবং আমাদের প্রথম পিতা মাতার অবাধ্যতা থেকে, যারা হলেন আদম ও ইভ। এই পতন আমাদের স্বভাবকে এতটাই বিষাক্ত করে তুলেছে যার ফলে পাপীদের জন্ম হচ্ছে – যা আসছে আমাদের সেই কল্পনা থেকে”। (The Heidelberg Catechism, Question seven). ঈশ্বরের প্রতি মানুষের শঙ্কুতার সম্পূর্ণ দূরাচারাত্ব এই ভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে, “কেননা মাংসের ভাব ঈশ্বরের প্রতি শত্রুতা” সেই শত্রুভাবাপন্নতা খ্রীষ্টের, প্রতি সম্প্রসারিত হয়েছে যিনি হলেন ঈশ্বরের পুত্র! সম্পূর্ণ দূরাচারাত্ব ব্যাখ্যা করে কিভাবে সেই রোমীয় সৈন্যরা তাঁকে গ্রেফতার করেছিলেন “আর তাহারা তাঁর গাত্রে থুতু দিল, ও সেই নল লইয়া তাঁহার মস্তকে আঘাত করিতে লাগিল” (ম্যাথুজ ২৭:৩০) সম্পূর্ণ দূরাচারাত্ব ব্যাখ্যা করে কেন রোমীয় সরকার তাঁহাকে এইভাবে শাস্তি দিল “যীশুকে কোড়া মারিয়া ক্রুশে দিবার জন্য সমর্পণ করিলেন” (ম্যাথুজ ২৭:২৬) সম্পূর্ণ দূরাচারাত্ব ব্যাখ্যা করে কেন লোকেরা তাঁর প্রতি আর্তনাদ করেছে এবং তিনি যখন ক্রুশের উপরে ঝুলছিলেন তখন তাঁকে অসম্মান প্রদর্শন করে ছিলেন। সম্পুর্ন দুরাচারাত্ব ব্যাখ্যা করে, কেন আজ পর্যন্ত, “তিনি অবজ্ঞাত ও মনুষ্যদের ত্যাজ্য, ব্যাথার পাত্র ও যাতনা পরিচিত হইলেন; লোকে যাহা হইতে মুখ আচ্ছাদন করে,তাহার ন্যায় তিনি অবজ্ঞাত হইলেন,আর আমরা তাঁহাকে মান্য করি নাই”। (ঈশা ৫৩:৩) ১. প্রথম, সম্পূর্ণ দূরাচারাত্ব মানুষকে খ্রীষ্টের প্রতি অবজ্ঞা ও পরিত্যাজ্যতার প্রতি পরিচালিত করে। “তিনি অবজ্ঞাত ও মনুষ্যদের ত্যাজ্য হয়ে উঠলেন.....” এটা খ্রীষ্টের স্বাভাবিক পরিত্যাক্ত ভাবের বিষয়ে বর্ণনা করে যা আজিকের জগতে আমরা দেখতে পাই। ইহাকে আমরা আমেরিকার রুপান্তকারী ম্যাগাজিনে দেখতে পাই যথা বড়দিন ও পুণরুত্থানের সময়ে Time and Newsweek পত্রিকায় তা দেখতে পাই। এই সংবাদ পর্য্যায় ক্রমে অপরিবর্তনীয় ভাবে প্রতি ডিসেম্বর মাসে ও প্রতি এপ্রিলে তারা খ্রীষ্টের প্রতিবেদনকারী কাহিনী হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি সেগুলো কোনমতেই তোষামোদকারী স্তোক বাক্যের কাহিনী নয়। তারা সব সময়েই তাদের ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন হিসাবে মধ্যযুগীয় যীশুর পুরাতন চিত্রকলাকেই ব্যাবহার করেন, এ হল এমন এক চিত্র শিল্প যা খ্রীষ্টের প্রকাশকে অদ্ভুত করে তোলে যা আধুনিক চিন্তাধারার কাছে নির্দিষ্ট সময়ের বহির্ভুত। এটা নিশ্চিত তারা এটা করে থাকে এক সুনির্দ্দিষ্ট উদ্দেশ্যে। তারা ব্যাতিক্রমহীন ভাবেই মানুষের দ্বারা এই প্রতিবেদনকে লেখেন যা সম্পূর্ণ ভাবেই ধর্মতত্ত্বমূলক উদারপন্থী মতবাদের ভিন্ন মতাবলম্বী, মানুষ যারা খ্রীষ্টকে এক মাত্র ঈশ্বরের পুত্র হিসাবে এবং পরিতারণের বা উদ্ধারের একমাত্র উৎস হুসাবে প্রত্যাখান করে। আমি নিশ্চিত এই প্রকার একই বস্তু ব্রিটিশের ধারাবাহিক সংবাদে লিখিত হয়েছে। টেলিভিশান ও বিভিন্ন চলচ্চিত্রেও খ্রীষ্টকে প্রায় সময়েই আক্রমণ করা হয়ে থাকে প্রায় একই প্রকার উন্মুক্ত ভাবেই। আপনার বসবাসকারী সমাজের মধ্যে উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজেও আপনারা যারা ছাত্ররাও এই বিষয়ে যথেষ্ঠই সতর্ক যে আপনাদের অধ্যাপকদের মধ্যেও যীশু বা খ্রীষ্টিয়ানিটির বিষয়ে কোন সময়েই ভাল শব্দ ব্যাবহার করেন না। আপনার অধ্যাপকের দ্বারা খ্রীষ্ট এবং তাঁর শিক্ষাকে ক্রমাগত ভাবেই আক্রমণ ও মর্য্যাদাহীন করে তোলা হয়েছে। “তিনি অবজ্ঞাত ও মনুষদের ত্যাজ্য”(ঈশা ৫৩:৩) স্কুলের মধ্যে আপনার সহপাঠী এবং আপনার কার্্য্যক্ষেত্রের সহকর্মী খ্রীষ্টের শব্দকে অভিশাপকারী হিসাবে ব্যাবহার করে এবং প্রায় প্রতিনিয়তই মন্দ হিসাবে কথা বলে। আপনি যদি অখ্রিষ্টিয় পরিবার বা বাড়ী, থেকে আসছেন তবে সেখানেও আপনি কোন আশ্রয় পান না! আপনি খুব ভালো ভাবেই জানেন যে আপনার অখ্রীষ্টিয় পিতা মাতা সেই পরিত্রাতাকে কি ভাবেই না পরিত্যাগ এবং অবজ্ঞা করেন। আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানেন খ্রীষ্টের উপরে বিদ্রুপ ও অপবাদের প্রতি কতটাই না দুঃখকষ্ট ভোগ করতে হয়েছে – আরা তাঁর ওপরে বিশ্বাস করার জন্য এবং ব্যাপটিস্ট মন্ডলীতে এক নিষ্ঠাবান খ্রিষ্টিয়ান হওয়াতেও আপনার প্রতি তাই হতে পারে। এই সমস্ত কিছু উদ্ভুত হচ্ছে শিত্রুভাবাপন্নতা থেকে এবং মনুষ্য জাতির কলুষিত হৃদয় থেকে। “তিনি অবজ্ঞাত ও মনুষদের ত্যাজ্য”(ঈশা ৫৩:৩) ২.দ্বিতীয়, সম্পূর্ন দূরাচারাত্ব খ্রীষ্টের মর্মপীড়া ও বিষাদের কারণ । “তিনি অবজ্ঞাত ও মনুষ্যদের ত্যাজ্য; ব্যাথার পাত্র ও যাতনা পরিচিত হইলেন....” (ঈশা ৫৩:৩) কোন বিষয়টা খ্রীষ্টের মর্মপীড়া ও বিষাদের কারণ হয়েছিল? হারিয়ে যাওয়া এই জগৎ শত্রুভাবাপন্নতা ও পরিত্যাক্ত ভাব ছাড়া আর কি তাঁকে দিতে পারে! তিনি যখন এই পৃথিবীতে জীবন যাপন করছিলেন তখন স্ক্রাইব, ফরীশী এবং মহাযাজকেরা তাঁর প্রতি এততাই বিদ্বেষী হয়ে ওঠেন আর প্রচন্ডভাবে তাঁকে প্রত্যাখান করেন যার জন্য তাঁকে মনের মধ্যে অত্যন্ত মর্মবেদনার স্বীকার হতে হয়ঃ “ওহ জেরুজালেম, জেরুজালেম, তুমি ভাববাদী গণকে বধ করিয়া থাকো, ও তোমার নিকটে যাহারা প্রেরিত হয়, তাহাদিগকে পাথর করিয়া থাক! কুক্কুটি যেমন আপন শাবক দিগকে পক্ষের নীচে একত্র করে, আমি কতোবার তেমনি তোমার সন্তানদিগকে একত্র করিতে ইচ্ছা করিয়াছি, কিন্তু তোমরা সম্মত হইলে না” (লিউক ১৩:৩৪)। খ্রীষ্ট মর্মপীড়া এবং যাতনার দ্বারা ভগ্ন হয়ে পড়েছিলেন, মানুষের পাপের জন্য এতোটাই অবনত হয়েছিলেন যে গ্যাৎশিমানির বাগানে ঠিক যে রাত্রে তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হবে সেই রাত্রির আগে, “পরে তিনি মর্মভেদী দুঃখে মগ্ন হইয়া আরও একাগ্র ভাবে প্রার্থনা করিলেন, আর তাঁহার ঘর্ম যেন রক্তে ঘনীভূত বড় বড় ফোঁটা হইয়া ভূমিতে পড়িতে লাগিল” সেখানেই আমার প্রভু সমস্ত অপরাধ বহন করলেন; যদি আপনার পাপ না হয় তবে, তাঁর শরীর ও মনের মধ্যে কোন বিষয়টা খ্রীষ্টকে মর্মবেদনারকারণ হয়ে উঠেছিল? আপনার কলুষিত স্বভাবের মধ্যে শত্রুভাবাপন্ন ও বিরুদ্ধাচারণ ভাবের জন্য তাঁর উপরে ঈশ্বরের দণ্ড নামিয়ে আনা হয়েছিল, সেটাই কি তাঁকে দুঃখ ও মর্মপীড়ার মধ্য দিয়ে নিয়ে গিয়ে, তাঁকে গ্যাৎশিমানি থেকে ক্রুশ পর্যন্ত আপনার পাপকে বহন করে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপরিহার্য্য করে তুলে ছিল? কি অদ্ভুতই না এই নাম, দুঃখীমানব তিনি যখন স্বর্গ থেকে আপনার প্রতি দৃষ্টিপাত করছেন তখন আজকে আপনার অন্তরের স্বভাবের মধ্যে কি রয়েছে যা যীশুকে দুঃখ,মর্মপীড়া দিচ্ছে? আপনি যে তাঁকে পরিত্যাক্ত ও অবজ্ঞা করছেন সেই কারণেই তিনি আপয়ান্র প্রতি দুঃখার্ত ও শোকার্ত। আপনি হয়তো বলতে পারেন যে তাঁকে আপনি ভালো বাসেন। কিন্তু ঘটনা হল তাঁর উপরে নির্ভর করতে আপনি অসম্মতি প্রকাশ করছেন যা প্রকাশ করে আপনি সত্য সত্যই তাঁকে অবজ্ঞা ও প্রত্যাখ্যান করেছেন। নিজের বিষয়ে সততার পরিচয় দিন! আপনি যদি তাঁকে অবজ্ঞা ও প্রত্যাখান না করেন তাহলে আর কি কারণ থাকতে পারে যা তাঁর উপরে নির্ভর করা থেকে আপনাকে দূরে রাখছে? তাঁর উপরে নির্ভর করার প্রতি আপনার অসম্মতি তাঁকে প্রচন্ডভাবে মর্মপীড়া ও দুঃখ প্রদান করছে আজকের এই সন্ধ্যাবেলায়। “তিনি অবজ্ঞাত ও মনুষ্যদের ত্যাজ্য, ব্যাথার পাত্র ও যাতনা পরিচিত হইলেন.....” (ঈশা ৫৩:৩)। ৩. তৃতীয়, সম্পূর্ণ দূরাচারাত্ব মনুষ্যজাতির কাছে খ্রীষ্ট থেকে ইহার মুখকে লুকিয়ে রাখার কারণ হয়ে উঠেছে। শাস্ত্রাংশের তৃতীয় অংশের প্রতি দৃষ্টিপাত করুন, “তিনি অবজ্ঞাত ও মনুষ্যদের ত্যাজ্য, ব্যাথার পাত্র ও যাতনা
পরিচিত হইলেন; লোকে যাহা হইতে মুখ আচ্ছাদন করে,তাহার
ন্যায় তিনি অবজ্ঞাত হইলেন........” ডাঃ গীল বলেছেন, “আর তাঁহা হইতে আমরা আমাদের মুখকে আচ্ছাদন করেছি; ঠিক বিরাগ শোষণকারী এবং ন্যাক্কারজনক ভাবে, যেন তাঁর প্রতি অনীহা প্রকাশ করেছি ও তাঁকে ঘৃণ্যভাবে পরিহার করেছি, তাঁর প্রতি তাচ্ছিল্য সহকারে দৃষ্টিপাত করেছি ও অবাঞ্ছিতের ন্যায় কোন ভ্রুক্ষেপ করিনি”(John Gill, D.D., An Exposition of the Old Testament, The Baptist Standard Bearer, ১৯৮৯ পুণঃমুদ্রন,ভল্যুম ১, পৃ.৩১১-৩১২)। তাদের দুরাচারের স্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে, মানুষ তাদের মুখকে খ্রীষ্টের কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছে। ডাঃ ইয়াং, যেমন ভাবে বলেছেন, তারা হয়তো, “তাঁর বিষয়ে তুষ্টিকর ও সৌজন্যমূলক কথা বলতে পারে.... (কিন্তু) যাই হোক না কেন, তারা স্বীকার করে যে তারা পাপী, অনন্তকালীন শাস্তির যোগ্য, আর খ্রীষ্টের মৃত্যু ছিল এক প্রতিনিধিত্বকারী বলিদান, যা ঈশ্বরের প্রতি ন্যায় ও সাধনা করার জন্য চিত্রিত এবং ঈশ্বরের প্রতি একজন লঙ্ঘনকারী পাপীর মিলন সাধন। ঈশ্বরের পুত্রের বিষয়ে ঈশ্বর যা বলেন তা তাদের কাছে অগ্রহনীয়”(ইয়ং, ইবিড)। অখ্রিষ্টিয় ধর্ম হয় যীশুকে সম্পূর্ন ভাবে প্রত্যাখান করে, অথবা তাঁকে অপসারিত করে নিছকই এক “ভাববাদী” বা “শিক্ষক” হিসাবে। আর এইভাবেই, বাইবেলে তাঁকে যে ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে সেই মতো প্রকৃত খ্রীষ্টকে তারা না মেনে, তাঁকে প্রত্যাখান করে। তারা গোঁড়া খ্রীষ্টিয়ানিটি প্রত্যাখান করে প্রকৃত খ্রীষ্টের পরিবর্তে “অন্য যীশুকে পরিবর্তন করে যার বিষয়ে পল কোন সময়েই প্রচার করেন নি”(২-য় করিনথিয়ানস ১১:৪)। যীশু এই বিষয়ে ভবিষ্যবাণী করেন এই কথা বলার দ্বারা, ‘কেননা সেখানে ভক্ত খ্রীষ্টরা ও ভক্ত ভাববাদীরা উঠবে’ (ম্যাথুজ ২৪:২৪)। প্রকৃত খ্রীষ্ট হলেন একমাত্র তিনিই যাকে পুরাতন ও নতুন নিয়মে প্রকাশ করা হয়েছে। খ্রীষ্ট সম্বন্ধে অন্য সমস্ত পরিকল্পনাগুলো হল ‘ভ্রান্ত খ্রীষ্ট’ সম্বন্ধে বা প্রেরিত পল ইহাকে যে ভাবে তুলে ধরেছেন, ‘অন্য যীশু যার বিষয়ে আমরা কোন দিনই প্রচার করিনি’। মরমনসদের কাছে রয়েছে এক ভ্রান্ত খ্রীষ্ট। যিহোবা উইটনেসদের কাছেও রয়েছে ভ্রান্ত খ্রীষ্ট। আজকে বহু ইভাঞ্জিলিক্যাল প্রচার প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও রয়েছে ভ্রান্ত ‘খ্রীষ্টের আত্মা’, এক নাস্তিক খ্রীষ্ট বা নেতিবাচক খ্রীষ্ট যার বিষয়ে মাইকেল হার্টন তার বই ‘খ্রীষ্ট বিহীন খ্রীষ্ট ধর্ম’ সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন (বেকার বুকস,২০০৮)। শাস্ত্রে যেমন ভাবে প্রকৃত খ্রীষ্ট প্রকাশিত হয়েছে সেই ভাবে তাঁকে বিশ্বাস না করে তারা ভ্রান্ত খ্রীষ্টে বিশ্বাস করার দ্বারা নিজেদের মুখকে লুকিয়ে রেখেছে। দুঃখের বিষয় এটা প্রায় সময়ে সুসমাচার প্রচারকারী খ্রীষ্টিয়ানদের মধ্যেও এই মতো হয়ে থাকে। ডাঃ এ. ডব্লুউ. টোজার, এক উচ্চমানের সুসমাচার প্রচারকারী লেখ্ এই কথা বলার দ্বারা সেই বিষয়টাকে তিনি অত্যন্ত স্বাভাবিক করে দিয়েছেন, এই বর্তমান সময়ে আমাদের মধ্যে এমন বহু মিথ্যা [তাঁর মতো অবিকল] খ্রীষ্টিয়রা রয়েছে। জন ওয়েন যিনি হলেন সবথেকে প্রাচীন পিউরিটিয়ান, তিনি তার সময়ে লোকেদের সতর্ক করে দিয়েছিলেনঃ “আপনাদের কাছে এক কল্পনাকারী খ্রীষ্ট রয়েছেন আর আপনি যদি কল্পনাপ্রবণ খ্রীষ্ট সম্বন্ধে পরিতৃপ্ত তবে আপনাকে কল্পনাপ্রবণ পরিত্রাণেও পরিতৃপ্ত থাকতে হবে”....কিন্তু সেখানে কেবলমাত্র একমাত্র প্রকৃত খ্রীষ্ট রয়েছেন আর ঈশ্বর বলেছেন তিনি হলেন তাঁর পুত্র। এমন কি যারা খ্রীষ্টের ঈশ্বরত্ব সম্বন্ধে স্বীকার করে তখন সেখানে তাঁর মানবত্ব সম্বন্ধে বুঝে ওঠাটাও প্রায় সময়ে দূর্বল হয়ে উঠবে। আমরা এই দাবি করার জন্য এতটাই প্রাণবন্ত কেননা তিনি যখন এই জগতে পদভ্রমণ করেন তখন তিনি মানুষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঈশ্বরও ছিলেন, কিন্তু সেই সত্যটাকে সমান গুরুত্ব আরোপ করার প্রতিও আমরা উপেক্ষা করে থাকি,এখন বর্তমানে তিনি যেখানে বসে রয়েছেন তা হল অতি উচ্চ চিন্তাশীল সিংহাসন [উপরে স্বর্গে] তিনিই হলেন ঈশ্বররুপী মানব। এখন নতুন নিয়মের যে শিক্ষা, বিশেষ করে এই মুহুর্তে স্বর্গে যেখানে এক ব্যাক্তি বা এক মনুষ্য আমাদের জন্য ঈশ্বরের উপস্থিতিতে প্রকাশমান রয়েছেন। তিনি নিশ্চিত ভাবেই সেই প্রকার মনুষ্য ছিলেন ঠিক যেমনটি আদম বা মোজেস বা পলের মতোই। আজকে তিনি বাস্তব মানুষ, মনুষযজাতির জন্য এক প্রকৃত বাস্তবিক ব্যাক্তি। মানুষের হৃদয়ের প্রকৃত যে প্রবঞ্চনা তা অপরিত্রানপ্রাপ্ত লোকেদের বাস্তব খ্রীষ্টের কাছ থেকে তাদের মুখকে লুকিয়ে রাখতে প্রবুদ্ধ করে। “তিনি অবজ্ঞাত ও মনুষ্যদের ত্যাজ্য”(ঈশা ৫৩:৩) ৪. চতুর্থ, সম্পূর্ন দূরাচারাত্ব মনুষ্য জাতিকে খ্রীষ্টের প্রতি মূল্য হ্রাস করে দেয়। আমাদের পাঠ্যাংশের শেষের দিকে, দৃষ্টিপাত করি যা হল তৃতীয় পদ। আসুন আমরা উঠে দাঁড়িয়ে শেষের অংশটি উচ্চৈস্বরে পড়ি, আমরা আরম্ভ করি এই শব্দের সঙ্গে, ‘তিনি অবজ্ঞাত....’। “তিনি অবজ্ঞাত ও মনুষ্যদের ত্যাজ্য”(ঈশা ৫৩:৩)। আপনারা বসতে পারেন। ‘আমরা তাঁকে মান্য করি নি’ এই কথা বলার সময়ে, স্পারজিউন, যিনি হলেন “প্রচারকদের রাজপুত্র”,বলেন, এটা নিশ্চিতভাবেই মনুষ্য জাতির কাছে বিশ্বজনীন এক স্বীকারোক্তি। তা এমন কি সর্ব উচ্চ, সর্ব কালের মহান সম্রাট থেকে [সর্বনিম্ন] পর্য্যায়ের ক্ষেত মজুর পর্যন্ত সব থেকে আড়ম্বরশীল বিবেচক ব্যাক্তি থেকে সবচেয়ে মর্য্যাদাহীন বুদ্ধিমত্তা ব্যাক্তি পর্যন্ত, বিমুগ্ধকারী সমস্ত ব্যাক্তি থেকে অজানা এবং তাৎপর্যহীন ব্যাক্তি পর্যন্ত এই এক স্বীকারোক্তি অবশ্যই করা প্রয়োজনঃ ‘আমরা তাঁকে মান্য করিনি’। এমন কি পবিত্র সাধুদের মধ্যেো... এমন কি তারাও একবার “তাঁকে মান্য করে নি” বা “তাঁর বিষয়ে উচ্চ ধারণা পোষণ করে নি [একটা সময়ে তারা কনভার্ট হওয়ার আগে]” (C. H. Spurgeon, “Why Christ is Not Esteemed,” The Metropolitan Tabernacle Pulpit, Pilgrim Publications, ১৯৭৮পুণঃমুদ্রণ, ভল্যুম LIII, পৃ. ১৫৭) সেই একই সংবাদে, যার শিরোনাম “খ্রীষ্টকে কেন মান্য করা হয় নি”, সেখানে স্পারজিউন চারটি যুক্তি প্রদর্শন করেন, যে কেন হারিয়ে যাওয়া এই জগৎ খ্রীষ্টকে উপলব্ধি করা থেকে পতিত হয়, যারা কনভার্ট হয় নি তারা কেন খ্রীষ্টের মূল্যবোধ দেখতে পায় নি, আর কেনই বা তাঁর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করে নি, তাঁকে মান্য করে তাঁর আরাধনা করেনি। স্পারজিউন বলেন যে অপরিত্রানপ্রাপ্ত লোকেরা তাঁকে মান্য করে নি এই চারটি কারণেঃ (১) মনুষ্য খ্রীষ্টকে মূল্য প্রদান করেনি কেননা তারা নিজেদের অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছিলেন।“আত্মমত পোষণের”, বিষয়ে তিনি বলেন, “যীশুকে বাইরে রেখে....আমাদের আত্মমতকে বেশী করে উন্নত করা, খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে আমরা আমাদের নিজেদের দরজাকে অত্যন্ত দৃঢ ভাবে [সুরক্ষীত] করি। পরিত্রাতা বা উদ্ধার কর্তাকে প্রেম করা থেকে নিজেদের ভালোবাসা নিবৃত্ত করাতে যত্নবান থাকা”। (২) লোকেরা খ্রীষ্টের মূল্য দেয় না কেননা তারা এই জগৎকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রুপে শ্রদ্ধা করে। স্পারজিউন বলেছেন, “জগতকে ও ইহার সমস্ত বাতুলতাকে ভালোবাসি বলেই আমরা তাঁকে শ্রদ্ধা করি না।” (৩) লোকেরা খ্রীষ্টকে মূল্য প্রদান করেনা কেননা তারা তাঁকে জানে না। স্পারজিউন বলেছেন, “খ্রীষ্টকে জানা ও খ্রীষ্টের বিষয়ে জানার মধ্যে এক বিরাট ব্যাবধান রয়েছে.... যারা খ্রীষ্টকে ভুল ভাবে চিন্তা করে তারা কোন ভাবেই তাঁকে জানতে পারে না... ‘আমরা তাঁকে মান্য করিনা’ কেননা আমরা তাঁকে জানি না।” (৪) মানুষেরা খ্রীষ্টকে মূল্য দেয় না কেননা তারা আত্মিক ভাবে মৃত। স্পারজিউন বলেছেন, “আমরা যে খ্রীষ্টকে শ্রদ্ধা করিনি তাই তাদের প্রয়োজনে বিস্মিত হওয়ার প্রয়োজন নেই কেননা আত্মিক রুপে আমরা মৃত ছিলাম... আমরা আমাদের ‘অন্যায় কার্য্যে মৃত ছিলাম’, এবং, ঠিক লাজারাস তার কবরের মধ্যে যেমন ছিলেন, ঠিক তেমনি, যত মুহুর্ত যায়, ততই আমরা আমাদের মন্দ কার্য্যে দূর্নীতি পরায়ন হয়ে উঠি।” মনুষ্য জাতি পরিত্রাতাকে কেন প্রত্যাখান করেছে সেই বিষয়েই স্পারজিওন, এই যুক্তিগুলো প্রদান করেন, কেননা ঘটনা হল তারা তাঁর মধ্যে কোন মূল্যবোধ দেখতে পায় না।আমি ভাবছি সেটা কি আপনার জন্যেও প্রযোজ্য নয়? “তিনি অবজ্ঞাত ও মনুষ্যদের ত্যাজ্য, ব্যাথার পাত্র, ও যাতনা পরিচিত হইলেন; লোকে যাহা হইতে মুখ আচ্ছাদন করে;তাহার ন্যায় তিনি অবজ্ঞাত হইলেন, আর আমরা তাঁহাকে মান্য করি নাই” (ঈশা ৫৩:৩)। এই সংবাদের বাক্য কিছু দুরাচারত্বের বিষয় অনুভব করতে সাহায্য করেছে, যীশুর প্রতি আপনার অনমনীয় প্রতিরোধের বিষয়ে? আপনার হৃদয়ে এই দূর্নীতির বিষয়ে সামান্য হলেও কি কিছু অনুভব করছেন, যা খ্রীষ্টকে প্রত্যাখান করেছে ও তাঁকে কোন মূল্যই দেয় নি ? আপনার মধ্য এ যদি আপনি সেই দূর্ণীতির ভীষণ ভাবের বিষয়ে কিছু উপলব্ধি করেছেন, তবে আমি আপনাকে নিশ্চিত করছি কেবল মাত্র ঈশ্বরের অনুগ্রহেই আপনি ইহা করছেন, ঠিক যেমন ভাবে জন নিউটন উল্লেখ করেছেন, কি বিস্ময়কর এই অনুগ্রহ! কি মধুর এই ধ্বনি আপনি যদি অনুভব করেন আপনার হৃদয় অত্যন্ত কঠিন ও খ্রীষ্টের বিরুদ্ধাচারী, বিফল আর খ্রীষ্টকে প্রত্যাখান করার জন্য আপনি কোন ভাবে শোচনীয়তা অনুভব করছেন, তাহলে কি আপনি তাঁর কাছে নিজেকে সমর্পণ করবেন? আপনি কি খ্রীষ্টের ওপরে নির্ভর করবেন, যাকে এই জগৎ প্রত্যাখান ও অশ্রদ্ধা করেছে ? আপনি যখন যীশুর উপর নির্ভর করেন তখন আপনি মুহুর্তের মধ্যেই পাপ ও নরক থেকে উদ্ধার লাভ করবেন তাঁর রক্ত ও ধার্মিকতার দ্বারা। আমেন। সংবাদের পরিসমাপ্তি অথবা আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net |
সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন প্যাস্টরঃ ঈশা ৫২:১৩,৫৩:৩।
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথঃ
“Amazing Grace” (জন নিউটন দ্বারা, ১৭২৫-১৮০৭)।
খসড়া চিত্র খ্রীষ্ট-বিশ্বজনীন ক্ষেত্রে নিম্নতর ঈশা ৫৩-র চতুর্থতম সংবাদ লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি. “তিনি অবজ্ঞাত ও মনুষ্যদের ত্যাজ্য, ব্যাথার পাত্র ও যাতনা পরিচিত হইলেন; লোকে যাহা হইতে মুখ আচ্ছাদন করে,তাহার ন্যায় তিনি অবজ্ঞাত হইলেন, আর আমরা তাঁহাকে মান্য করি নাই”(ঈশা ৫৩:৩)। (রোমানস ৮:৭; ম্যাথুজ ২৭:৩০,২৬)। ১. প্রথম, সম্পূর্ণ দূরাচারাত্ব মানুষকে খ্রীষ্টের প্রতি অবজ্ঞা ও ২. দ্বিতীয়, সম্পূর্ন দূরাচারাত্ব খ্রীষ্টের মর্মপীড়া ও বিষাদের কারণ । ৩. তৃতীয়, সম্পূর্ণ দূরাচারাত্ব মনুষ্যজাতির কাছে খ্রীষ্ট থেকে ইহার মুখকে ৪. চতুর্থ, সম্পূর্ন দূরাচারাত্ব মনুষ্য জাতিকে খ্রীষ্টের প্রতি মূল্য হ্রাস করে |