এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
খ্রীষ্ট–বহু লোকের দ্বারা অগ্রাহ্য হন (ঈশা ৫৩-অধ্যায়ের উপরে ৩-নম্বর উপদেশ) লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি ২০১৩ সালে ১০-ই মার্চ, লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনেকেলে সদাপ্রভুর “আমরা যাহা শুনিয়াছি তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? সদাপ্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে ? কারণ তিনি তাঁহার সম্মুখে চারার ন্যায় ও শুষ্ক ভূমিতে উৎপন্ন মূলের ন্যায় উঠিলেন;তাঁহার এমন রুপ কি শোভা নাই যে, তাঁহার প্রতি দৃষ্টিপাত করি, এবং এমন আকৃতি নাই যে, তাঁহাকে ভালোবাসি” (ঈশা ৫৩:১-২) |
ঈশা বলেছেন ঈশ্বরের দুঃখভোগী দাসের বিষয়ে কেবলমাত্র অল্প সংখ্যক লোকই তাঁর সংবাদের বিষয় শুনবে আর খুব কম সংখ্যক লোকই তাঁর অনুগ্রহকে উপলব্ধি করবে। ঈশা ৫৩:১ উদ্বৃত করে প্রেরিত যোহান খ্রীষ্টের সময়ে বেশীর ভাগ যিহুদীদের অবিশ্বাস সম্বন্ধে বর্ণনা করেছেন। “কিন্তু যদিও তিনি তাহাদের সাক্ষাতে এত চিহ্নকার্য্য করিয়াছিলেন; তথাপি তাহারা তাঁহাতে বিশ্বাস করিল না; যেন ঈশা ভাববাদীর বাক্য পূর্ন হয়, তিনি বলিয়াছিলেন, ‘হে প্রভু, আমরা যাহা শুনিয়াছি, তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? আর প্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে’?” (যোহান ১২:৩৭-৩৮) যিহুদীদের থেকে অযিহুদীরা যে প্রভু যীশুখ্রীষ্টের প্রতি সামান্য মাত্রায় প্রতিক্রিয়াশীল হবে এই বিষয়টা বেশির ভাগ লোককে দেখাবার জন্য খ্রীষ্টের স্বর্গারোহণের ত্রিশ বৎসর পরে প্রেরিত পলও এই পদটিকে উদ্ধৃত করেন। তাই পল বলেন, “কারণ যিহুদি আর গ্রীকে কিছুই প্রভেদ নাই; কেননা সকলেরই একমাত্র প্রভু, যত লোক তাঁহাকে ডাকে, সেই সকলের পক্ষে তিনি ধনবান। কিন্তু সকলে সুসমাচারের আজ্ঞাবহ হয় নাই। কারণ ঈশা কহেন, ‘হে প্রভু, আমরা যাহা শুনিয়াছি তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে’?” (রোমিয় ১০:১২,১৬) প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নিজেও এই একই কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যে সংখ্যক লোক তাঁর উপরে বিশ্বাস করে পরিত্রাণ লাভ করবে তারা খুবই অল্প, “কেননা জীবনে যাইবার দ্বার সংকীর্ণ ও পথ দূর্গম এবং অল্প লোকেই তাহা পায়”। (ম্যাথুজ ৭:১৪) খ্রীষ্ট যখন এই কথা বলেন তখন তিনি এই একই বিষয়ে বলেন, “তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, সংকীর্ণ দ্বার দিয়া প্রবেশ করিতে প্রচেষ্টা কর; কেননা আমি তোমদিগকে বলিতেছি; অনেকে প্রবেশ করিতে চেষ্টা করিবে, কিন্তু পারিবে না”। (লিউক ১৩:২৪) জগতের লোকেরা স্বভাবত বিশ্বাস করেন যে প্রায় সকলেই, স্বর্গে যাবে। কিন্তু যীশু সম্পূর্ণ ভাবে এর বিপরীত বিষয়টি বলেছেন, “সেখানে কেবলমাত্র অল্প সংখ্যক ব্যাক্তিই ইহা পাইবে” (ম্যাথুজ ৭:১৪) “আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, অনেকেই, ইহার মধ্যে প্রবেশ করিবার ইচ্ছা করিবে কিন্তু তাহার আপ্রবেশ করিতে পারিবে না” (লিউক ১৩:২৪) এই প্রকার বিশৃঙ্খল সত্য দুঃখার্ত ঈশার ক্রন্দনে প্রতিধ্বনিত হয়েছিল। “আমাদের সংবাদ কে বিশ্বাস করিয়াছে? আর কাহার কাছে সদাপ্রভুর বাহু প্রকাশিত হইয়াছে” (ঈশা ৫৩:১) আমরা হয়ত বলতে পারি ইহা কেন এইমতো ! যিহুদীরা তাকিয়েছিলেন এক মহান ও পরাক্রমশালী নেতার প্রতি, এক মহামহিম ও সম্পদশীল রাজা, যে হবে তাদের মশীহা (প্রতিজ্ঞাত ব্যাক্তি) আর অযীহুদীরা কোন ভাবেই সেই মশীহার প্রতি তাকিয়ে ছিলেন না। আর তাই স্বভাবতই আমরা দেখতে আপি মনুষ্য জাতি এইভাবে বিনয়ী দুঃখভোগী দাসের প্রত্যাশা করেন নি যিনি ক্রুশের উপরে মৃত্যুবরণ করে তাদের পাপের মূল্যকে চুকিয়ে দেবেন। প্রেরিত বইয়ের আট অধ্যায়ে ইথিয়পিয়ার নপুংসক এই ঘটনার প্রতি অন্ধ ছিলেন ঠিক যেমন ভাবে যিহুদী ধর্মের যাজক এবং ফরীশীরা ছিলেন। সুস্মাচার প্রচারক ফিলিপ যখন তার গমনশীল রথের সঙ্গ ধরেন তখন তিনি ঈশা তিপ্পান্ন অধ্যায় পড়োছিলেন। “তাহাতে ফিলিপ দৌড়িয়া নিকটে গিয়া শুনিলেন, তিনি ঈশা ভাববাদীর গ্রন্থ পাঠ করিতেছিলেন; ফিলিপ কহিলেন, আপনি যাহা পাঠ করিতেছেন, তাহা কি বুঝিতে পারিতেছেন? তিনি কহিলেন, কেহ আমাকে বুঝাইয়া না দিলে কেমন করিয়া বুঝিতে পারিব”? (প্রেরিত ৮:৩০-৩১) এই আফ্রিকাবাসী যিহুদী ধর্মে কনভার্ট হয়েছিলেন। তিনি স্পষ্টতই পুরাতন নিয়মের শাস্ত্রাংশে পরিচিত ছিলেন তথাপি তিনি যখন শাস্ত্রের এই অংশে আসেন তখন তিনি যিহুদী স্ক্রাইব বা অনুলেখনদের ন্যায় অন্ধ ছিলেন। আমার ধারণা এই প্রকার যে কেউ এই অনুচ্ছেদ থেকে দেখতে সক্ষম কেননা মশীহা তিনি যখন আসবেন তখন তিনি সম্পদশালী এবং বিখ্যাত হবেন না জাঁকজমক পূর্ণ এবং মানবীয় প্রতাপের দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকবেন না, কিন্তু তিনি আসবেন এবং ‘দুঃখী মানুষ হিসেবে এং তীব্র মর্ম পীড়ায় অবহিত হবেন’, এবং ‘মানুষের দ্বারা অবজ্ঞাত এবং প্রত্যাখাত হবেন’। তথাপি এই সত্যতা যদিও অত্যন্ত সরল ভাবেই বাইবেলে লেখা হয়েছে। “তিনি নিজ অধিকারে আসিলেন, আর যাহারা তাঁহার নিজের তাহারা তাঁহাকে গ্রহণ করিল না”। (যোহান ১:১১) সম্পূর্ণ ভাবে ইজ্রায়েল জাতি যীশুকে মশীহা বা প্রতিজ্ঞাত ব্যাক্তি হিসাবে গ্রহণ করে নি, যদিও পরিশুদ্ধ ভাবে বাইবেলের ভবিষ্যত বাণীর মধ্যে তাঁকে বর্ণনা করা হয়েছে। আর পাঠ্যাংশের দ্বিতীয় পদে ভাববাদী সেই যুক্তি প্রদর্শন করেন যাকে তারা পরিত্যাক্ত করেছে, “কারণ তিনি তাহার সম্মুখে চারার ন্যায়,এবং শুষ্ক ভূমিতে উৎপন্ন মূলের ন্যায় উঠিলেন; তাঁহার এমন রুপ কি শোভা নাই যে, তাঁহার প্রতি দৃষ্টিপাত করি, এবং এমন আকৃতি নাই যে তাঁহাকে ভালোবাসি” (ঈশা ৫৩:২) কিন্তু আমরা যেন যিহুদী লোকের বিচার না করি যারা পরজাতিদের থেকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ভাবে তাঁকে অবজ্ঞা করেছেন, যারা বিশেষ ভাবে প্রায় অংশে তাঁকে পরিত্যাগ করেছেন। স্পারজিউন বলেছেন, মনে রাখবেন সেটা যেমন যিহুদীদের জন্য সত্য ছিল তেমনি ভাবে ইহা অযিহুদীদের জন্যও সত্য ছিল। যীশুখ্রীষ্টের সুসমাচার এই জগতে সব থেকে এক সাধারণ ও সরল বিষয় কিন্তু ইহা যতক্ষণ পর্যন্ত না ঈশ্বরের দ্বারা শেখানো হয়, ততক্ষণ কেউই ইহা বুঝতে পারেন নি....। আত্মিক বিষয়ের তাৎপর্য্য অনুযায়ী মনুষ্য জাতির উপরে পাপের বিষয়টা আদান প্রদান করা হয়েছে অক্ষমতা হিসেবে.... আপনার সংগে ইহা কেমন বোধ হয় ? আপনিও কি অন্ধ? ... আপনি কি অন্ধ? আহা, আপনি যদি সত্যিই তা হন, ঈশ্বর আপনাকে নির্দেশ প্রদান করেন যীশুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার জন্য। (C. H. Spurgeon, “A Root out of Dry Ground,” The Metropolitan Tabernacle Pulpit, Pilgrim Publications, 1971 reprint, volume XVIII, pages 565-566). এখন দ্বিতীয় পদে আমাদের পাঠ্যাংশের প্রতি দৃষ্টিপাত করি, এখানে যীশু কেন পরিত্যাক্ত হলেন, তার তিনটি কারণে আমরা আলোকপাত করবো, দ্বিতীয় পদটি উচ্চৈস্বরে পড়ুন, “কারণ তিনি তাহার সম্মুখে চারার ন্যায়,এবং শুষ্ক ভূমিতে উৎপন্ন মূলের ন্যায় উঠিলেন; তাঁহার এমন রুপ কি শোভা নাই যে, তাঁহার প্রতি দৃষ্টিপাত করি, এবং এমন আকৃতি নাই যে তাঁহাকে ভালোবাসি” (ঈশা ৫৩:২) ১. প্রথম, খ্রীষ্ট পরিত্যাক্ত হয়েছিলেন, কেননা তিনি মানুষের প্রতি প্রকাশিত হলেন কোমল চারা ও শাবকের ন্যায়। সেই কারণের জন্যই কিছু সংখ্যক লোক যীশুকে বিশ্বাস করে। “কারণ তিনি তাহার সম্মুখে চারার ন্যায় উঠিবেন....” (ঈশা ৫৩:২) অথবা ডাঃ গীল যেভাবে বলেছেন, ‘এই শব্দে যে তাৎপর্য্য বহন করে তা হল এক সামান্য মেষের ন্যায়, যা ভূমিতে উৎপন্ন মূল থেকে উৎপন্ন... যার প্রতি কোন যত্ন বা লক্ষ্যই করা হয়নি, আর ইহার মধ্যে থেকে কোন কিছু আশাও করা হয় নি; এবং তাঁর দশা অত্যন্ত নিম্নভাবে সূচিত হয়েছে এবং তাঁর জন্মের সময়ে খ্রীষ্টের প্রতিজ্ঞাহীনতার ভাব দৃষ্টি গোচর হয়েছে; আর এই ভাবেই কারণ দর্শানো হয়েছে যে কেন যিহুদীরা তাঁকে অবিশ্বাস করেছে, তাঁকে প্রত্যাখান এবং অবজ্ঞা করেছে’। (John Gill, D.D., An Exposition of the Old Testament, The Baptist Standard Bearer, 1989 reprint, volume I, pp. 310-311). “কারণ তিনি তাহার সম্মুখে চারার ন্যায় উঠিবেন....” (ঈশা ৫৩:২) এর অর্থ হল খ্রীষ্ট জন্মগ্রহণ করলেন এবং বৃদ্ধি লাভ করলেন পিতা ঈশ্বরের ‘সামনে; যিনি তার প্রতি দৃষ্টিপাত করে তাঁকে শক্তিযুক্ত করলেন’। তথাপি ডাঃ ইয়াং বলেছেন, যাই হোক না কেন, মানুষের প্রতি, দাসরুপী (যীশু) এক দুগ্ধপোষ্য ব্যাক্তি হিসাবেই দৃষ্ট হচ্ছেন...। মানুষের সেই দুগ্ধ পোষ্যকে ছেদন করে ফেলে কেননা তা সেই বৃক্ষ থেকে জীবনকে সরিয়ে নিচ্ছেন আর মানুষের দৃষ্টির বর্হিভুত করে চলেছেন’। (Edward J. Young, Ph.D., The Book of Isaiah, William B. Eerdmans Publishing Company, 1972, volume 3, pp. 341-342). আর ইহা কেবল মাত্র এই কারণেই, প্রধান যাজকেরা ও ফরীশীরা যীশু থেকে মুক্তিলাভ করতে চাইছিলেন, তাই নয় কি? তারা বলেছিল, “আমরা যদি ইহাকে এইরুপ চলিতে দিই, তবে সকলে ইহাতে বিশ্বাস করিবে। আর রোমিয়রা আসিয়া আমাদের স্থান ও জাতি উভয়ই ছিনিয়ে নেবে” (যোহান ১১:৪৮) “মানুষেরা এই চারা বা দুগ্ধপোষ্যকে কেটে ফেলে কেননা তারা সেই গাছ থেকে জীবনকে অপসরণ করে এবং মানুষের দৃষ্টিকোন থেকে তাকে সম্পূর্ণ ভাবে দূর করে ফেলে” (ইয়ং, ইবিড)। তারা ভয় পেয়েছিল কেননা যিহুদী জাতি হিসেবে তারা হয়তো তাদের পরিচিতকে তারা হারাবে যদি তারা তাঁর উপরে বিশ্বাস করে। এক ‘কোমল বৃক্ষ’ হিসাবে, এক চারার ন্যায় তারা ভয় পেয়েছিলেন যে, ‘তিনি হয়তো বৃক্ষ থেকে জীবনকে হরণ করে নেবেন’ তাদের জাতির মধ্য থেকে। আর ইহা কি সেই একই কারণে আপনি তাঁকে প্রত্যাখান করছেন না? সেই বিষয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করুন। ইহা কি আপনার জন্যও সত্য বিষয় নয় – কেননা আপনি যদি তাঁর কাছে আসেন তা হলে হয়তো কোন কিছু হারিয়ে ফেলবেন বলে, আপনি ভীত প্রায় হচ্ছেন যেটা আপনার কাছে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ। খ্রীষ্ট যে সেই বৃক্ষ থেকে জীবনকে সরিয়ে নেবেন এই বিষয়ে আপনি কি ভীতপ্রায় নন, তিনি আপনার কাছ থেকে এমন কিছু শোষণ করবেন যা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডাঃ কাগানকে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম সেই প্রতিবেদনের একটি লিপি আমার জন্য যা ১৯২৯ সালে অক্টোবর মাসে The Saturday Evening Post –এ সংলাপ আকারে রাখা হয়েছিল। ইহা চিল এক মহান পদার্থবিদ ডাঃ এলবার্ট আইনষ্টাইনের সাক্ষাৎকার। এই স্কষাৎকারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, ‘আপনি কি যীশুর ঐতিহাসিক অস্তিত্বকে গ্রহণ করেন’? আইনষ্টাইন উত্তর দেন, ‘সন্দেহাতীত ভাবেই। যীশুর প্রকৃত উপস্থিতি উপলব্ধি না করে কেউওই সুসমাচারকে পড়তে পারেন না। তাঁর ব্যাক্তিত্ব প্রতিটি শব্দকেই স্পন্দিত করে তোলে। সেই প্রকার জীবনের সঙ্গে কোন রুপকথা জড়িত নেই’। (The Saturday Evening Post, October 26, 1929, p. 117), খ্রীষ্টের বিষয়ে এক উচ্চদর্শন আইনষ্টাইনের মধ্যে ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি কনভার্ট হন নি। কোন বিষয়টা তাকে থামিয়ে দিয়েছিল? নিশ্চিত ভাবেই ইহা বুদ্ধিবৃত্তিমূলক কোন সমস্যা নয়। আইনষ্টাইন ছিলেন এক ব্যাভিচারী, আর তিনি সেই পাপটিকে ত্যাগ করতে চাইছিলেন না। ইহা খুব সাধারণ বিষয় ছিল। প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ান হওয়ার জন্য আপনার বেশ কিছু জিনিস ত্যাগ করার প্রয়োজন রয়েছে। সেটা যদি সত্য নয় এই বিষয়টা আমি যদি আপনাকে না বলি তবে আমি হব ভ্রান্ত শিক্ষক। আমি যদি আপনাকে বলি যে আপনি কোন কিছু ত্যাগ না করেই খ্রীষ্টের কাছে আসতে পারেন তবে আমি আপনার কাছে ভুল শিক্ষা প্রচার করছি। নিশ্চয়ই, যীশুর কাছে আসার জন্য আপনাকে কিছু মূল্য দিতে হবে! ইহার জন্য আপনাকে নিজের জীবনের মূল্য দিতে হবে! খ্রীষ্ট কি ভাবে ইহাকে এতটা সরল করতে পারলেন? তিনি বলেছেন, “কেহ যদি আমার পশ্চাতে আসিতে ইচ্ছা করে, সে আপনাকে অস্বীকার করুক, আপন ক্রুশ তুলিয়া লউক এবং আমার পশ্চাৎগামী হউক, কেননা যে কেহ আপন প্রাণ রক্ষা করিতে ইচ্ছাকরে, সে তাহা হারাইবে; কিন্তু যে কেহ আমার ও সুসমাচারের জন্য আপন প্রাণ হারায়, সে তাহা রক্ষা করিবে। বস্তুত, মনুষ্য যদি সমুদয় জগৎ লাভ করিয়া আপন প্রাণ খোয়ায়, তবে তাহার কি লাভ হইল? কিন্তু মনুষ্য আপন প্রাণের নিমিত্ত কি দিতে পারে” ? (মার্কস ৮:৩৪-৩৭) সেটাই যথেষ্ঠ সহজ সরল বিষয় নয় কি ? খ্রীষ্টের কাছে আসার জন্য আপনাকে অতি অবশ্যই নিজেকে অস্বীকার করতে হবে, আপনাকে নিশ্চিত ভাবেই নিজের চিন্তাধারা গুলোকে ত্যাগ করতে হবে, আপনার নিজের পরিকল্পনা, আপনার নিজের সমস্ত আকাঙ্খা ত্যাগ করতে হবে। নিশ্চিত ভাবেই আপনাকে তাঁর প্রতি ফিরতে হবে। আর ইহাকেই বলা হয় খ্রীষ্টের প্রতি নির্ভর। আপনি নিজে থেকে তাঁর উপরে নির্ভর করছেন না। আপনি নিজেকে তাঁর উপরে অর্পণ করছেন—আপনার নিজের কোন চিন্তাধারা বা লক্ষ্যকে নয়। তাঁর ওপরে আপনার জীবনকে অর্পণ করার দ্বারা আপনি আপনার জীবনকে ‘হারাচ্ছেন’। ইহা কেবল মাত্র আপনি যখন আপনার জীবনকে হারান খ্রীষ্টের ওপরে নির্ভর করার দ্বারা আর তখনই আপনার জীবন চিরকালের জন্য উদ্ধার লাভ করে। আর এই ভাবেই সেই শব্দ উপস্থাপন করছে ‘কোমল চারা’ যা নির্দেশ করে যে খ্রীষ্ট হলেন জীবন দাতা আর সেই কারণেই প্রায় লোক তাঁকে প্রত্যাখান করে। তারা চায় না যেন তিনি তাদের জীবিনের দায়িত্ব ‘নেন’! তারা তাদের জীবনকে উৎসর্গ করে তাঁকে পরিচালনা দেওয়ার জন্য ভয় পায়। ২. দ্বিতীয়, যেহেতু তিনি শুষ্ক ভূমিতে উৎপন্ন মূলের ন্যায় মনুষ্য, তাই খ্রীষ্ট পরিত্যাক্ত। “কারণ তিনি তাহার সম্মুখে চারার ন্যায়,এবং শুষ্ক ভূমিতে উৎপন্ন মূলের ন্যায় উঠিলেন ....” (ঈশা ৫৩:২) যেহেতু আমি প্রথম বিষয়ে এতটা সময় নিয়েছি তাই আমার সময় প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। কিন্তু আমরা খুব সহজেই দেখতে পাই যে খ্রীষ্ট কি ভাবে, ‘শুষ্ক ভূমিতে উৎপন্ন মূলের ন্যায় উঠিলেন’। ডাঃ ইয়াং বলেছেন, শুষ্ক ভুমি নির্দেশ করে বিনয়ী অবস্থা এবং পশ্চাৎভূমি যে দৃশ্যপটে সেই দাস (খ্রীষ্ট) প্রকাশিত হবেন। ইহা প্রস্তাবিত করে সেই অবস্থার শোচনীয় অবস্থা, যার মধ্য এ সেই দাস জীবন যাপন করছিলেন...। একটি শুষ্ক ভূমিতে উৎপন্ন মূল নিশ্চিত ভাবেই জীবন সুরক্ষিত রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে। (ইয়ং, ইবিড, পৃ ৩৪২) এই ভাববানী সেই দরিদ্রতার প্রতিই নির্দেশ করে যার মধ্যে খ্রীষ্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর প্রতিপালককারী পিতা কেবলমাত্র এক সূত্রধর ছিলেন। তাঁর প্রকৃত মা মরিয়ম ছিলেন দুর্গত এক কুমারী কন্যা। তিনি জন্মগ্রহণ করেন গোয়াল ঘরে ও বড় হয়ে ওঠেন দরিদ্রদের মাঝখানে। ‘ঠিক শুষ্ক ভূমিতে উৎপন্নমূলের ন্যায়’, তাঁর জীবনের সমস্ত প্রকার কাজকে তিনি দরিদ্র ও বিনয়ী লোকেদের মাঝখানেই করেন। তাঁর শিষ্যরা কেবলমাত্র মৎসধারী জেলে ছিলেন। রাজা হেরোদ ও রোমীয় সরকার পীলাটের দ্বারা তিনি পরিত্যাক্ত হন। এবং বিজ্ঞমনা স্ক্রাইব ও ফরীশীদের দ্বারা তিনি ত্যাজ্য হয়ে ‘শুষ্ক ভূমিতে উৎপন্ন মূলের ন্যায় হয়ে ওঠেন’। তারা তাঁকে চাবুক মেরে আহত করে, তারপরে তারা তাঁর হাতে ও পায়ে পেরেক মেরে ক্রুশারোপিত করে। তারা তাঁর ক্ষত-বিক্ষত মৃত শরীরকে ভাড়া করা কবরে শায়িত রাখেন। এই পৃথিবীতে তাঁর সম্পূর্ণ জীবন, তাঁর দুঃখ ভোগ ও মৃত্যু সমস্ত কিছুই ‘শুষ্ক ভূমিতে উৎপন্ন মূলের ন্যায় ছিল’। কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হোক তৃতীয় দিবসে তিনি মৃত্যু থেকে জীবিতঁ হইয়ে ওঠেন, ‘ঠিক শুষ্ক ভুমিতে উৎপন্ন মূলের ন্যায় উঠিলেন’। ঠিক যেমন ভাবে আশা হীন বৃষ্টিতে কিশলয় পাতার উদগমন হয় ঠিক সেই ভাবেই, খ্রীষ্ট হঠাৎ করেই দ্রুত উদ্ভুত হলেন, মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠলেন, ‘শুষ্ক ভূমিতে উৎপন্ন মূলের ন্যায় উঠিলেন’। হাল্লে লুইয়া!! আর প্রায় লোকেই তাঁকে বিশ্বাস করলেন না। তাঁর বিষয়ে তারা যা মনে করেন তা হল এক ‘জীবন চোষক’ এবং এক ‘মৃত যিহুদী’। “আমরা যাহা শুনিয়াছি তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? সদাপ্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে ? কারণ তিনি তাঁহার সম্মুখে চারার ন্যায় ও শুষ্ক ভূমিতে উৎপন্ন মূলের ন্যায় উঠিলেন....” (ঈশা ৫৩:১-২) ৩. তৃতীয়, আমরা যা বাসনা করতে পারি, সেই প্রকার কোন আকার বা সৌন্দর্য্যতা তাঁর ছিল না, এই ভাবেই খ্রীষ্ট পরিত্যাক্ত হলেন। অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়িয়ে পদটি একটু উচ্চৈস্বরে পড়ুন । “কারণ তিনি তাঁহার সম্মুখে চারার ন্যায় ও শুষ্ক ভূমিতে উৎপন্ন মূলের ন্যায় উঠিলেন;তাঁহার এমন রুপ কি শোভা নাই যে, তাঁহার প্রতি দৃষ্টিপাত করি, এবং এমন আকৃতি নাই যে, তাঁহাকে ভালোবাসি”। (ঈশা ৫৩:২) আপনারা এখন বসতে পারেন। যীশুর কোন আকার বা সৌন্দর্য্যভাব ছিল না, তৃপ্তিকারী প্রতাপের বাহ্যিক কোন প্রকাশই সেখানে চিল না। ডাঃ ইয়াং বলেছেন, ‘সেই দাস (খ্রীষ্ট)–কে আমরা যখন দেখি তার মধ্য এমন কোন সৌন্দর্যতা আমরা পাই না যার প্রতি বাসনা রাখতে পারি। অন্য শব্দে বলা যায়, আমাদের দন্ডের জন্য তাঁর বাহ্যিক যে প্রকাশ তা প্রকৃত পক্ষে সত্য ও ন্যায়পরায়ণ নয়। ইহা হল এক দুঃখদায়ী চিত্র। সেই দাস (খ্রীষ্ট) তাঁর নিজের লোকেদের মধ্যেই বসবাস করলেন আর তাঁর শারিরীক আকারের পিছনে বিশ্বাসের চক্ষুতে সেই প্রতাপ দৃষ্ট হয়েছিল; কিন্তু তাঁর বাহ্যিক প্রকাশ ভঙ্গির উপরে তাকিয়ে, ইজ্রায়েল , ইহার নিজের চোখে কোন সৌন্দর্যতায় মুগ্ধ হয় নি... খ্রীষ্টের দাস রুপে প্রকাশমান হওয়াটা সেই প্রকার মানুষের মতোই যেভাবে ভ্রান্ত বা ভুল দৃশ্য অনুযায়ী বিচার করা হয়; আর এই ভাবে তাঁকে সম্পূর্ণ ভাবেই ভুল ভাবে বিচার করা হয়’। (ইয়ং ইবিড)। এই জগতকে আকর্ষিত করে তোলার জন্য বাহ্যিক কোন সৌন্দর্যতা ও প্রতাপই যীশুর ছিল না। তিনি এমন কিছু বিষয় উৎসর্গ করেন না যা প্রায় লোকেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি কোন সফলতা, খ্যাতি বা অর্থ অথবা জাগতিক কোন ভোগ বিলাস উৎসর্গ করেন না। যাহল সম্পূর্ণ ভাবেই উলটো। এই পরিচর্যা কাজের আরম্ভেই মিঃ প্রধুম্মে পাঠ করেছেন শাস্ত্রের সেই অংশ যা আমাদের বলে দেয় যে খ্রীষ্ট কি উৎসর্গ করেছেন। “কেহ যদি আমার পশ্চাতে আসিতে ইচ্ছা করে, সে আপনাকে অস্বীকার করুক, আপন ক্রুশ তুলিয়া লউক এবং আমার পশ্চাৎগামী হউক, কেননা যে কেহ আপন প্রাণ রক্ষা করিতে ইচ্ছাকরে, সে তাহা হারাইবে; কিন্তু যে কেহ আমার ও সুসমাচারের জন্য আপন প্রাণ হারায়, সে তাহা রক্ষা করিবে। বস্তুত, মনুষ্য যদি সমুদয় জগৎ লাভ করিয়া আপন প্রাণ খোয়ায়, তবে তাহার কি লাভ হইল? কিন্তু মনুষ্য আপন প্রাণের নিমিত্ত কি দিতে পারে” ? (মার্কস ৮:৩৪-৩৭) খ্রীষ্ট উৎসর্গ করেন আত্ম অস্বীকার। খ্রীষ্ট উৎসর্গ করেন একজন নিজের জীবনের যে লক্ষ্য ও নিয়ন্ত্রণ তাকে ত্যাগ করা। খ্রীষ্ট উৎসর্গ করেন মানুষের আত্মার উদ্ধার, পাপের ক্ষমা এবং অনন্ত জীবন। এই সমস্ত বিষয় সকল অস্পর্শনীয়, যাকে স্পর্শ করা যায় না অথবা মানুষের অনুভুতি ইচ্ছা দ্বারা অনুভব করা যায় না; এগুলো এমন বিষয় যা স্বভাবের দিক দিয়ে আত্মিক। অতএব খ্রীষ্ট সেই সমস্ত ব্যাক্তিদের দ্বারা পরিত্যাক্ত হন যাদের অন্তর চক্ষু ঈশ্বরের দ্বারা উন্মুক্ত নয়, কেননা, “কিন্তু প্রানী মনুষ্য ঈশ্বরের আত্মার বিষয়গুলি গ্রহণ করে না, কেননা তাহার কাছে সেই সকল মূর্খতা, আর সেই সকল যে জানিতে পারে না, কেননা আত্মিক ভাবে বিচারিত হয়”। (১-ম করিনথিয়ানস ২:১৪) কিন্তু আজকে সকালে আমি অভিভুত হয়ে যেতে চাই ঈশ্বর যদি আপনার হৃদয়ে কথা বলছেন। আমি অবাক হচ্ছি, ঈশ্বর যদি আপনাকে বলছেন, ‘আমরা যা তাঁর প্রতি ইচ্ছা করি যদিও সেই সৌন্দর্যতা তাঁর নেই, তথাপি আমি তোমার কাছে, তোমার পুত্রের প্রতি নিজেকে নিয়ে আনছি’। ‘আপনার হৃদয়ে রি ভাবে কি কোন সময়ে কি অনুভব করেছেন? আপনি কি কোন সময়ে অনুভব করেছেন যে কেবল মাত্র ক্ষণিকের পরিতৃপ্তি এই জগৎ আপনাকে উৎসর্গ করে বা কেবলমাত্র কিছু মুহুর্তের কৃতকার্য্যতা আপনার কাছে নিয়ে আসে? আপনার আত্মার বিষয়ে আপনি কি কোন সময়ে চিন্তা করেছেন? আর আপনি যদি তা চিন্তা করেছেন তবে কেবলমাত্র এক সরল বিশ্বাসে তাঁর কাছে আসবেন যার ‘সেই কোন আকার কোন মনোরম সৌন্দর্য্য.... এমন কোন সৌন্দর্্য্যতা নেই যার প্রতি আমরা আকাঙ্খা রাখতে পারি’? (ঈশা ৫৩:২)। আপনি কি ন্যাজারাথের যীশুর সামনে নতজানু হবেন এবং সমস্ত হৃদয়ে তাঁর উপরে নির্ভর করবেন ? আমি প্রার্থনা করি যেন আপনি তা করতে পারেন। অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়ান আর এই সময়ে মিঃ গ্রিফিথ আমাদের কাছে সেই দুটি স্তবক গাইবেন যা তিনি আগে সংবাদের শুরুতে গেয়েছেন। জগৎকে নাও কিন্তু যীশুকে দাও ইহার সমস্ত আনন্দ কেবল একটি নামেই; ঈশ্বর যদি আপনার অন্তরে কথা বলেছেন এবং ক্ষণস্থায়ী এই জগতের সমস্ত আহ্লাদকে তাগ করার জন্য আপনি প্রস্তুত এবং আপনি যদি যীশুর কাছে নিজেকে সমর্পণ করার জন্য প্রস্তুত ও তাঁর কাছে বিশ্বাসে আসতে চান এবং তাঁর রক্তে আপনার পাপকে ধুয়ে ফেলতে চান, সেই সঙ্গে এই বিষয়ে আপনি যদি আমাদের সংগে কথা বলতে চান তবে অনুগ্রহ করে আপনি কি পিছনের কক্ষে এগিয়ে যাবেন ? ডাঃ কাগান আপনাদের নীরব একটি জায়গাতে পরিচালিত করবেন যেখানে এই বিষয়ে কথা বলতে পারবেন। আমি প্রার্থনা করি আপনি যীশুর উপরে সরলভাবে বিশ্বাস করে উদ্ধার লাভ করেন। ডাঃ কাগান, অনুগ্রহ করে এখানে এসে তাদের জন্য প্রার্থনা করুন যারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আমেন! সংবাদের পরিসমাপ্তি অথবা আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net |
সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ আবেল প্রধম্মে মার্কস ৮:৩৪-৩৭
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথঃ
“Take the World, But Give Me Jesus” (by Fanny J. Crosby, 1820-1915).
খসড়া চিত্র খ্রীষ্ট–বহু লোকের দ্বারা অগ্রাহ্য হন (ঈশা ৫৩-অধ্যায়ের উপরে ৩-নম্বর উপদেশ) লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি “আমরা যাহা শুনিয়াছি তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? সদাপ্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে ? কারণ তিনি তাঁহার সম্মুখে চারার ন্যায় ও শুষ্ক ভূমিতে উৎপন্ন মূলের ন্যায় উঠিলেন;তাঁহার এমন রুপ কি শোভা নাই যে, তাঁহার প্রতি দৃষ্টিপাত করি, এবং এমন আকৃতি নাই যে, তাঁহাকে ভালোবাসি” (ঈশা ৫৩:১-২) (জন ১২:৩৭-৩৮; রোমানস ১০:১২,১৬; ম্যাথুজ ৭:১৪; ১. প্রথম, খ্রীষ্ট পরিত্যাক্ত হয়েছিলেন, কেননা তিনি মানুষের প্রতি ২. দ্বিতীয়, যেহেতু তিনি শুষ্ক ভূমিতে উৎপন্ন মূলের ন্যায় মনুষ্য, ৩. তৃতীয়, আমরা যা বাসনা করতে পারি, সেই প্রকার কোন আকার |