এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
মিশরের উদ্দেশ্যে জ্যাকবের তীর্থযাত্রা আদিপুস্তক # ৭৩ সংখ্যার সংবাদ লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি. ২০১৩ সালে মার্চ মাসের ৩-তারিখে লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনেকেলে সন্ধ্যাকালীন |
জ্যাকবের সন্তানেরা খাবার কেনার জন্য মিশরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন কেন না সেই সময়ে কান্নান প্রদেশে অত্যন্ত ভাবেই দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। তারা যখন সেখানে উপস্থিত হলেন তখন তারা অত্যন্ত আশ্চর্যের সাথে আবিষ্কার করলেন যে তাদের সব চেয়ে ছোট ভাই যোসেফকে মিশর দেশের শাসক ও মন্ত্রী করা হয়েছে। তারা এই যোসেফকে ক্রীতদাস হিসাবে বিক্রি করে দিয়েছিল কিন্তু ঈশ্বর তার সংগে সংগে ছিলেন ও তাকে এক পরাক্রমী শক্তিতে উন্নত করেছেন। এখন তার ভাই-এরা তাদের পিতা জ্যাকবের কাছে ফিরে এসে এই শুভ সংবাদের কথা তাকে জানালো যে যোসেফ এখন পর্যন্ত জীবিত রয়েছে। প্রথমে জ্যাকব তার সন্তান্দের কথায় বিশ্বাস করেন নি কিন্তু অতি শীঘ্র তারা নিশ্চিত করালো যে ইহা সত্য বিষয় আর তাই জ্যাকব বললেন, “এই যথেষ্ঠ; আমার পুত্র যোসেফ এখনও জীবিত আছে , আমি মৃত্যুর পূর্বে তাকে গিয়া মিলিতে চাই” (আদি পুস্তক ৪৫:২৮) আজকের সন্ধ্যায় সেটাই হল আমাদের পাঠ্যাংশ। অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়িয়ে আদি পুস্তক ৪৬:১-৪ আমার সঙ্গে খুলুন। “পরে ইজ্রায়েল আপনার সর্বস্ব’র সহিত যাত্রা করিয়া বির-শেবাতে আসিলেন এবং আপন পিতা আইজাকের উদ্দেশ্যে বলিদান করিলেন। পরে ঈশ্বর রাত্রিতে ইজ্রায়েলকে দর্শন দিয়া কহিলেন, হে জ্যাকব,হে জ্যাকব! তিনি উত্তর করিলেন, দেখ এই আমি। তখন তিনি কহিলেন, আমি ঈশ্বর, তোমার পিতার ঈশ্বর; তুমি মিশরে যাইতে ভয় করিও না , কেননা আমি সেই স্থানে তোমাকে বৃহৎ জাতি করিব। আমিও তোমার সঙ্গে মিশরে যাইব, এবং আমিই তথা হইতে তোমাকে ফিরাইয়াও আনিব, আর যোসেফ তোমার চক্ষে হস্তার্পণ করিবে”। (আদিপুস্তক ৪৬:১-৪) আপনারা বসতে পারেন। অনুগ্রহ করে আপনাদের বাইবেলকে সেই জায়গাতে খুলে রাখুন। চল্লিশ বৎসর আগে আমি যখন উদারমনা সেমিনারীতে যোগদান করছিলাম, তারা আমাদের বলেছিলেন যে এই পদটি জ্যাকব ও ইজ্রায়েলের নামকে আগে পিছে করে তা উন্মুক্ত করেছে, কেননা সেগুলো বিভিন্ন লেখক বা সম্পাদনার দ্বারা লেখা হয়েছে। ‘E’ বলে যে লেখক রয়েছেন তিনি তাকে সব সময়েই ‘জ্যাকব’ নামে ডাকেন পক্ষান্তরে সম্পাদনাকারী ‘R’, ‘ইজ্রায়েল’ নামটিকে সন্নিবিষ্ট করেছেন। তাদের আমি জিজ্ঞাসা করছি, ‘কি ভাবে আপনি তা জানলেন’? তাদের তত্ত্বকে তারা আমার কাছে কোন ভাবেই প্রমাণ করতে সক্ষম হন নি। ডাঃ এইচ. সি. লিউপোল্ড, একজন লুথারেনের ভাষ্য লেখক এই উদার তত্ত্বকে অগ্রাহ্য করেন এবং বলেন, ‘সেই প্রকার সমালোচনা মূলক পরিকল্পনার দ্বারা প্রায় যা কিছুকেই প্রমাণ করা যেতে পারে’। (H. C. Leupold, D.D., Exposition of Genesis, বেকার বুক হাউস, ১৯৮৫ মুদ্রণ, ভল্যুম-২, পৃ ১১০৬; আদিপুস্তক ৪৬:১-৪–র মন্তব্য) ডাঃ লিউপোল্ড পরামর্শ প্রদান করেন যে এই দুটি নাম উদ্দেশ্যমূলক ভাবেই ব্যাবহার করা হয়েছে যেখানে জ্যাকব – যা কোন ব্যাক্তিকে নির্দেশ করে এবং ইজ্রায়েল নির্দেশ প্রদান করে যাত্রার জন্য জাতিকে প্রস্তুত করা। সেটা প্রধানত সত্য কিন্তু ইহা স্পারজিউনের ব্যাখ্যার কাছে সেই নামের মুখ্য যে কারণ তা সামনের ও পিছনের। স্পারজিউন বলেছেন, ‘জ্যাকব’ নামে তার পুরাতন যে নাম এখানে তখন ব্যাবহার করা হয়েছিল যখন সে পদস্খলিত হয়ে পড়েছিল এবং ‘ইজ্রায়েল’ বলে তার যে নূতন নাম তা তখনি ব্যাবহৃত হয় যখন তিনি নিজকে পুণরুদ্ধার করলেন, দেখুন আদি পুস্তক ৪৫:২৭ ও ২৮ পদ... তাহাদের পিতা জ্যাকবের আত্মা পুণর্জীবিত হইল আর ইজ্রায়েল বলিলেন, এই যথেষ্ঠ; আমার পুত্র যোসেফ এখন জীবিত আছে; আমি গিয়া মরিবার পুর্বে তাহাকে দেখিব’(আদি পুস্তক ৪৫:২৭-২৮)। আমি নিশ্চিত যে সেই নামের যে পরিবর্তন তার ব্যাখ্যা হল সেটাই। ‘জ্যাকব’ নামের অর্থ হল, ‘প্রতারক উচ্ছেদকারী’। ইজ্রায়েল নামের অর্থ, ‘ঈশ্বরের রাজপুত্র’। প্রতিটি বিশ্বাসীরই একটি পুরাতন স্বভাবের সঙ্গে নুতন স্বভাবও রয়েছে। তিনি যখন নিজের পুরাতন স্বভাবের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন তখন ঈশ্বর তাকে ‘জ্যাকব’ বলেই অভিহিত করেন। কিন্তু তিনি যখন ‘উদ্দীপ্ত’ হন, তখন তিনি নুতন স্বভাবের দ্বারা প্রভাবিত হন আর তাই তাকে ‘ইজ্রায়েল’ নামে ডাকা হয়। সেই যে ব্যাখ্যা তার প্রতি ইয়াহা সত্য আর প্রতিটি খ্রিষ্টিয়ান অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যখন ইহাকে জানতে পারেন তখন ইহা তাদের জীবনের প্রতি প্রকৃত বাস্তব হয়ে ওঠে। স্পারজিউন বলেছেন, ‘জ্যাকব’ হল তার জন্মের স্বভাব অনুযায়ী সেই নাম আর ‘ইজ্রায়েল’ হল তার আত্মিক স্বভাবের নাম। (C. H. Spurgeon, Metropolitan Tabernacle Pulpit, Number 2,116, p. 1). তার সেই নূতন স্বভাবের মধ্যে তিনি বিশ্বাসের মধ্যে ঈশ্বরের বাধ্য হওয়ার প্রতি প্রস্তুত হয়ে মশরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত, যেখানে তার পুত্র যোসেফ রয়েছে। অতএব তিনি যাওয়ার আগে ঈশ্বর তার সম্মুখাসম্মুখী হলেন। আর এই ভাবেই আমরা মিশরের উদ্দেশ্যে জ্যাকবের তীর্থযাত্রায় ভয় ও বিশ্বাস উভয়ই দেখি। এই ব্যাখ্যার মধ্য দিয়ে আমরা অতি সত্বর সেই প্রসঙ্গের মধ্যে প্রবেশ করি যেখানে আমরা দুটি মহান সত্যতার বিষয়ে শিখি যেন তা আমাদের খ্রিষ্টিয়ান জীবনে সাহায্য করে। ১. প্রথম, আমরা জ্যাকবের বিশ্বাসের বিষয়ে শিখি। জ্যাকব ও তার পরিবার যখন যোসেফকে দেখার জন্য যাত্রা শুরু করে তখন তারা বিয়ার-শেবাতে থামেন যখন তারা তখনও পর্যন্ত কান্নান দেশেই ছিলেন। তারা সেখানে দাঁড়ালে জ্যাকব তখন বলিদান উৎসর্গ করেন। অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়িয়ে আদি পুস্তক ৪৬:১ উচ্চৈস্বরে পড়ুন। “পরে ইজ্রায়েল আপন স্বর্বস্বের সহিত যাত্রা করিয়া বিয়ার-শেবাতে আসিলেন এবং আপন পিতা আইজাকের উদ্দেশ্যে বলিদান করিলেন”। (আদিপুস্তক ৪৬:১) আপনারা এখন বসতে পারেন। আরথার ডব্লুউ পিঙ্ক বলেছেন, ‘মিশরের উদ্দেশ্যে এই দীর্ঘ যাত্রা আরম্ভের পরে সেটাই হল প্রথম বিষয়ে লেখা বা নথিভুক্ত হয়েছে; তিনি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বলিদান উৎসর্গ করলেন। অভিজ্ঞতার স্কুলে বহু বৎসর নিয়মানুবর্ত্তিতার মধ্যে থাকার ফলে তিনি শিখেছিলেন ঈশ্বরকে প্রথম স্থানে রাখতে; যোসেফের প্রতি অগ্রসর হওয়ার আগে তিনি তাঁর পিতা আইজাকের ঈশ্বরের প্রতি আরাধনা করার জন্য অপেক্ষা করেন’। (Gleanings in Genesis, মুডি প্রেস, ১৯৮১ মুদ্রণ,পৃ.৩১৩) আমার খ্রীষ্টিয়ান অভিজ্ঞতার প্রারম্ভে আমি এই কথা শুনেছি যেখানে লোকেরা বলতেন যে তারা বেশ কিছু বিষয় করার জন্য পবিত্র আত্মার দ্বারা ‘পরিচালনা’ লাভ করেছেন। যেমন ধরুন, অন্য মন্ডলীতে তাদের সদস্য পদের পরিবর্তন করা। কিন্তু আমি বার বার দেখেছি যে এটার জন্য স্বভাবত একটা খারাপ পরিণামও ছিল। কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ের পুর্বে আমি সিদ্ধান্ত নিতাম যে আমি হঠাৎ করে কোন কিছুর পরিবর্তন করবো না আর জীবনে মুখ্য কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমি প্রথমেই ঈশ্বরকে স্থান দেব। তা এমন কি আমি যেখানে ছিলেম সেখানে যদি থাকার ইচ্ছা না করতাম সেই ক্ষেত্রেও আমি কোন পরিবর্তন করতাম না যতক্ষণ পর্যন্ত না আমার প্যাষ্টর বা আমার মণ্ডলীর অন্য কোন পদমর্য্যাদা সম্পন্ন ব্যাক্তির সঙ্গে আমার সম্মুখবর্তী পরিবর্তনের বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করছি। তা এমন কি এটা করার জন্য কোন কোন সময়ে তা কঠিন বলে মনে হলেও আমি অত্যন্ত সতর্ক থাকতাম যেন আমার নিজের আবেগ ও ইচ্ছার দ্বারা চালিত হই কিন্তু ঈশ্বরকেই প্রধান ও প্রথম প্রাধান্যের স্থানে রাখি। আমি সব সময়েই হিব্রুজ ১৩:১৭ চিন্তা করার জন্য সতর্ক থাকতাম, “তোমরা তোয়ামদের নেতাদের আজ্ঞাগ্রাহী ও বশীভূত হও, কারণ নিকাশ দিতে হইবে বলিয়া তাঁহারা তোমাদের প্রাণের নিমিত্ত কার্য্য করিতেছেন – যেন তাঁহারা আনন্দপূর্ব্বক সেই কার্য্য করেন , আর্তস্মর পূর্ব্বক না করেন; কেননা ইহা তোমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়” (হিব্রুজ ১৩:১৭) এবং ১-ম থেসালনিয়ানস ৫:১২,১৩ বলে, “কিন্তু হে ভাতৃগণ, আমরা তোমাদিগকে নিবেদন করিতেছি , ‘যাহারা তোমাদের মধ্যে পরিশ্রম করেন ও প্রভুতে তোমদের উপরে নিযুক্ত আছেন, এবং তোমাদিগকে চেতনা দেন, তাঁহাদিগকে চিনিয়া লও আর তাঁহাদের কর্ম প্রযুক্ত তাঁহাদিগকে প্রেমে অতিশয় সমাদর কর”। (১-ম থেসালনিয়ানস ৫:১২,১৩) আমি সর্বদাই প্যাষ্টর ডাঃ টিমোথি লিনের দ্বারা পরামর্শ লাভ করি এবং আমার পরামর্শ ও উপদেশ দানকারী হলেন, ডাঃ মারফি লিউম, যারা আমাকে সাহায্য করতেন জীবনের মুখ্য বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করার জন্য। আমি সংকল্প নিতাম যে তাদের পরামর্শই অনুসরণ করবো আর তা এমন কি সেই সময় যথার্থ না হলেও তাদের পরামর্শই আমি শুনতাম। এতাই পুণঃ পুণঃ সঠিক বলেই বিবেচনা করতাম। বাইবেল বলে, “তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না। তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন। আপনার দৃষ্টিতে জ্ঞানবান হইও না, সদাপ্রভুকে ভয় কর, মন্দ হইতে দূরে যাও। ইহা তোমার নাভির স্বাস্থ্য স্বরুপ হইবে, তোমার অস্থির মজ্জা স্বরুপ হইবে। বৎস, সদাপ্রভুর শাসন তুচ্ছ করিও না, তাঁহার অনুযোগে ক্লান্ত হইও না; কেননা সদাপ্রভু যাহাকে প্রেম করেন তাহাকেই শাস্তি প্রদান করেন যেমন পিতা প্রিয় পুত্রের প্রতি করেন। ধন্য সেই ব্যাক্তি যে প্রজ্ঞা পায়, সেই ব্যাক্তি যে বুদ্ধি লাভ করে”। (হিতোপদেশ ৩:৫-৮;১১-১৩) জ্যাকবের বিশ্বাস তাকে পরিচালনা প্রদান করলো যেন বিয়ার-শেবাতে থেমে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বলিদান উৎসর্গ করে আর তিনি যখন তা করলেন তখন ঈশ্বর তাঁর পরিশুদ্ধ ইচ্ছাকে পরিষ্কার করলেন, যদিও তাঁর প্রতি বাধ্য হওয়ার জন্য জ্যাকব প্রথমে ভয় পেয়েছিলেন। অদ্ভুত ভাবেই, আমি যখন এটা লিখছিলাম তখন আমার ডেস্কের উপরে একটি ছোট পুস্তিকা তুলে নিয়েছিলাম যেখানে আমি চিন্তাই করতে পারছিলাম না যে এই উপদেশের সঙ্গে আমার কোন কিছু করার আছে। ইহা তখন বইটির ১৭ পাতা খুলিলাম আর সেখানে আমি পুরাতন সাউদার্ন ব্যাপটীস্ট পালকের পরামর্শের বিষয়ে পড়লাম – যা তিনি তার মৃত্যুর আগে লিখেছিলেন। ডাঃ ডব্লুঊ হার্শেল ফোর্ড বলেন, হিতোপদেশ ৩:৬ সেই পরিচাওলান্র বিষয়ে বর্ণনা করে, ‘তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর, তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন’। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি জানি যে, তার নেতৃত্ব আমি অনুসরণ করি তখন আমি শান্তি ও বিজয় লাভ করি। আমি যখন তাঁকে অনুসরণ করাটাকে প্রত্যাখান করি তখন আমি দুঃখ ও পরাজয় উপলব্ধি করি। আমি যেটা বললাম ইহা ছিল বড়ই ‘বিস্ময়কর’ যে আমি একটি বই তুলে নিয়েছিলাম আর সেই পাতাটাই খোলা ছিল ঠিক যেভাবে আমি এটা লিখছিলাম। এই প্রকার ছোট খাটো বিষয়ে আমি সেই ভাবে তততা বিশ্বাসী ছিলাম না কিন্তু আমি এতা বিশ্বাস করি আমার মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য ইশ্বর সেই বিষয়গুলো আমার সামনে এনে ছিলেন যাতে আপনি ডাঃ ফোর্ডের পরামর্শের কথা শুনতে পারেন। প্রধান বা মুখ্য যে বিষয়টি তিনি বলেছিলেন তা ছিল অপেক্ষা কর, জীবনের সিদ্ধান্তে বেপরোয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যাবেন না। তিনি বলেছেন, ‘সব থেকে মহান ব্যাখ্যা মূলক বিষয় গুলো আসে কেবল মাত্র অপেক্ষা করার মধ্য দিয়ে’। আর এরই সঙ্গে আমি সেই বিষয় সংযুক্ত করতে চাই আপনার পালকের কাছ থেকে প্রজ্ঞার অণ্বেষন করুন পরামর্শ লাভ করার এবং সেই সঙ্গে আপনার মণ্ডলীতে উপযোগী খ্রীষ্টীয়ান নেতাদেরও পরামর্শ গ্রহণ করুন। আমি তো আমার স্থানীয় মণ্ডলীর বাইরে কোন নেতার কাছে যাবো না। কোন কোন প্রচারক আপনার বিভ্রান্তির সুযোগ নিয়ে চেষ্টা চালাবে যেন তাদের মন্ডলীতে যান যা সব থেকে এক নীতি বিহীন কাজ। এ ছাড়াও, কেবলমাত্র আপনার মন্ডলীর নেতারাই আপনার প্রয়োজনের বিশদ বিষয় গুলো জানেন। জ্যাকব বিয়ার-শেবাতে থেমে যান, প্রভুর প্রতি বলিদান উৎসর্গ করেন এবং তাঁর পরিচালনার অপেক্ষায় থাকেন। সেটাই ছিল জ্যাকবের বিশ্বাস ও আস্থা। ২.দ্বিতীয়, আমরা জ্যাকবের ভয়ের বিষয়ে শিখি। এখন আমরা আবিষ্কার করতে পারি মিশরে যাত্রা করার সময়ে কি কারণে জ্যাকব থেমে গিয়েছিলেন যে যেখ। তিনি বিয়ার-শেবাতে ইতিস্তত করতে থাকেন কেননা তিনি ভয় পেয়েছিলেন। তিন পদে আমরা পড়ি যে যেখানে ঈশ্বর তাকে বললেন, ‘তুমি মিশরে যাইতে ভয় করিও না’(আদি পুস্তক ৪৬:৩)। তিনি সেখানে বিরতি নিলেন বিয়ার-শেবাতে বলিদান উৎসর্গ করার জন্য কেননা তিনি মিশরে যাওয়া বা প্রবেশ করতে ভয় পাচ্ছিলেন আর সেখানে তিনি ঈশ্বরের কাছে অপেক্ষায় রইলেন যেন তিনি তার কাছে তাঁর ইচ্ছাকে পরিষ্কার করেন। স্পারজিউন বলেন যে জ্যাকব বিয়ার-শেবাতে থেমে গিয়ে ঈশ্বরের প্রতি বলিদান উৎসর্গ করেন সদাপ্রভুর অনুসন্ধান করার প্রতি যে তিনি সত্যই মিশরে প্রবেশ করবেন কি’না! আমি জানি কেননা একগুয়ে লোকেরা যে কোন ব্যাক্তির প্রতি ছোট করে দেখবে যারা ইতস্তত করে এবং ভুল পথে যাওয়ার ভয় রয়েছে। আর এই কারণেই আজকে বহু অঙ্গীকৃত খ্রীষ্টীয়ান সেই সমস্ত ভুলের প্রতি হোঁচট খায় যেখান থেকে তারা আর উঠে আসতে পারেনা। তাই ইহাই সব থেকে ভালো যেন তাদের মতো না হই। স্পারজিউওন বলেছেন, ‘প্রভু দেখে খুশী হন যেন তার সন্তানেরা ন্যায় সঙ্গত ভাবে চলে কেন না সেই সন্তোষজনক ভাবে তাদের কাছে সঠিক ভাবে পথ দেখানোর জন্য নির্ভুল এক পন্থা....। আমাদের অতি যত্ন শীলতার সঙ্গে সৃষ্টি করা হয়েছেঃ পবিত্রতার সমতায় আমাদের পরিমাপ করার প্রতি আমাদের সাহায্য করা হয়েছে আর তার পরেই আমাদের শান্ত ভাব, প্রসন্ন বিবেচনা ইহাতে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে, আর তখনই আমরা সেই পন্থা মনোনীত করি যা ঈশ্বরের প্রতাপের জন্য সব থেকে মহিমাময়’। (Metropolitan Tabernacle Pulpit, ভল্যুম ৩৫, সংবাদ সংখ্যা ২,১১৬, পৃ. ৬৩৯) জ্যাকবের ভয় ছিল স্বাভাবিক কেননা তিনি ছিলেন এক বৃদ্ধ ব্যাক্তি। বয়স্ক লোকেরা আর কোন পরিবর্তন চান না। আর সেই কারণেই সব থেকে পরিপক্ক লোকেরা, যারা এখন পর্যন্ত কম বয়সী তাদের থেকে সব চেয়ে অল্প ভুল করেন। আর সেই কারণেই অল্প বয়স্ক যুবকদের প্রয়োজন রয়েছে। সেই সমস্ত প্রাচীন খ্রীষ্টীয়ানদের পরামর্শ নেওয়ার যারা তাদের স্থানীয় মন্ডলীতে রয়েছে। আপনি যখন আপনার মন্ডলীর প্রাচীনদের সঙ্গে পরামর্শ করেন তখন ভুল করা থেকে যথাযথ ভাবেই কম হতে থাকে আর তাই তাদের পরামর্শে কর্ণপাত করুন। এর পরেও সন্দেহহীন ভাবেই জ্যাকব মিশরে যাওয়ার জন্য ভয় পান কেন না তিনি স্মরণ করলেন যে ঈশ্বর তার ঠাকুরদা এ্যাব্রাহামের কাছে কি প্রতিজ্ঞা করছিলেন। জ্যাকব চিন্তা শুরু করলেন মিশর হয়তো সেই দেশ যা একশত বৎসর আগে এ্যাব্রাহাম’কে ‘অন্ধকারের বিরাট বিভীষিকার’ প্রতি পরিচালিত করেছিল।(আদিপুস্তক ১৫:১২)। অতএব তিনি মিশরে যাওয়ার জন্য ভয় পেলেন কেননা তার বংশের লোকেরা সেখানে চারশত বৎসর ক্লেশ ও পীড়ার মধ্যে সময় কাটাবে। সেই সঙ্গে সন্দেহাতীত ভাবেই জ্যাকব মিশরে যাওয়ার জন্য ভয় পেলেন কেননা তিনি মনে করলেন সেখানে হয়তো তার পরিবারকে বহু পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে। যখন কোন লোক স্বাভাবিক গ্রাম থেকে তাদের সন্তানদের বড় শহরে নিয়ে যান তখন প্রায় সময়েই তারা ভয় পান, কেননা যে কোন বড় নগরই হল পরীক্ষার এক বিরাট জায়গা। তথাপি আমি স্মরণ করতে পারছি সেই মহান মিশনারি সি.টি.স্টাড যা বলেছেন, ‘সব থেকে সুরক্ষিত যে জায়গা তা হল ঈশ্বরের ইচ্ছার জায়গা’। ঈশ্বর যখন জ্যাকবকে বললেন, ‘তুমি মিশরে যাওয়ার জন্য ভয় করিও না’ তাই তিনি সেখানে বিশ্বাসেই গেলেন। আর মিশর ছিল কেবলমাত্র সুরক্ষার স্থান এই জন্য কারণ ঈশ্বর চেয়েছিলেন যেন জ্যাকব ও তার পরিবার সেখানে সেই মিশরে থাকেন। আমি খুব ভালো ভাবেই স্মরণ করতে পারছি কি ভাবে লস এঞ্জেলেসে আমার গৃহমন্ডলী আমি ছেড়ে এসে সানফ্রান্সসিসকোতে গেলাম যেন একটি লিবারেল সেমিনারীতে যোগদান করি। এক বিরাট ভয়ের সঙ্গে আমি সেখানে যাই কেন না আগে থেকেই আমি জানতাম যে সেই সময়ে গোল্ডেন গ্রাট ব্যাপটিস্ট সেমিনারী কতোটাই না সংস্কার মুক্ত সংশয়ান্বিত ছিল। কিন্তু আমার কাছে তেমন কোন অর্থও ছিল না যেন আরো রক্ষণশীল সেমিনারীতে যাই। আমার পালক আমাকে বললেন আমি যেন সানফ্রান্সসিসকোর সেই সংস্কার মুক্ত সেমিনারীতে যাই। তিনি আমাকে এ কথাও বললেন যে ইহা আমার কোন ‘হানি’ করবে না। আমি যদি সেখানে না যেতাম তাহলে আজকে আমি যে প্রচারক হয়েছি সেই প্রচারক হতে পারতাম না। আমু এই ভাবে অনুমোদন জানাবো না যেন অন্য কোন যুবক ব্যাক্তি সংস্কার মুক্ত সেমিনারীতে যোগদান করে। কিন্তু আমার জন্য সেটা ছিল এক সঠিক জায়গা সেখানে যাওয়ার জন্য। ঈশ্বর জ্যকবকে বললেন, ‘ আমিও তোমার সঙ্গে মিশরে যাইব, এবং আমিই তথা হইতে তোমাকে ফিরাইয়াও আনিব’ (আদিপুস্তক ৪৬:৪)। আর এই একই প্রকার কাজ ঈশ্বর আমার প্রতিও করেছিলেন। তিনি আমার সঙ্গে সেই সংস্কার মুক্ত ঈশ্বরবিহীন সেমিনারীতে গিয়েছিলেন আর নিশ্চিতভাবেই ঈশ্বর আমাকে সেখান্থেকে বার করে নিয়ে এলেন; সেই সেমিনারী আমার কাছে যেন মিশর ও গ্যাঁৎসেমানির মতো ছিল। কিন্তু প্রভু আমাকে ইহার মধ্য দিয়ে নিয়ে এলেন এবং সেই সমস্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আমাকে শক্তিযুক্ত করলেন। একটি পুরাতন গীত ইহার বিষয়ে ভালো ভাবে ব্যাক্ত করে! “যে বিশ্বাসের আত্মা যীশু আপনাকে অঙ্গীকার করেছেন কিন্তু এই অনুচ্ছেদের আরও একটি প্রয়োগ রয়েছে যা আজকের রাত্রিতে আমি আপনাদের দিতে চাই। আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ রয়েছেন যারা যীশুর কাছে আসতে ভয় পান। পরিত্রাতা ও উদ্ধার কর্তার উপরে নির্ভর করার ভয় আপনার মধ্যে রয়েছে। আমি আপনাকে সব থেকে কঠিনতম পরিভাষাতে বলতে চাই যেই যে ভয় তা হল শয়তানের ভয়! ইহা ঈশ্বরের কাছ থেকে নয়; ইহা হল দিয়াবলের এক ভয় ; যা শয়তানের কাছ থেকে আসছে যেন সে আপনাকে তার কৃতদাস করে রাখতে পারে! ঈশ্বর জ্যাকবকে বললেন, ‘মিশরে যাওয়ার জন্য তুমি ভয় পেও না....’ (আদিপুস্তক ৪৬:৩)। আপয়ানার পাপের প্রতি দৃঢ় যে নিশ্চয়তা তাতে ভয় পাবেন না। আপনার হৃদয়কে সেখান থেকে নীচুতে নিয়ে যান আর তখনই আপনি দেখতে সক্ষম হবেন মিশরের ন্যায় যথার্থ দুর্নীতি আপনার হৃদয় মধ্যে রয়েছে। আর পরিত্রাতা যীশুর কাছ যাওয়ার জন্য ভয় পাবেন না। মনে রাখবেন যোসেফ ছিলেন যীশুর আদর্শ। ঈশ্বর আপনার সঙ্গে সেই সব চেয়ে নিম্নতর বিশ্বাসের স্থানে যাবেন যাতে আপনি বিশ্বাস করতে পারেন। ঈশ্বর আপনার সংগে যীশুর প্রতি যাবেন, আমাদের যোসেফ আর আপনাকে পুণরায় পাপ থেকে বার করে নিয়ে আসবেন! অনুগ্রহ করে ঊঠে দাঁড়িয়ে আমার সঙ্গে তিন ও চার পদ পাঠ করুন। “তখন তিনি কহিলেন, আমি ঈশ্বর, তোমার পিতার ঈশ্বর; তুমি মিশরে যাইতে ভয় করিও না, কেননা আমি সেই স্থানে তোমাকে বৃহৎ জাতি করিব। আমিই তোমার সঙ্গে মিশরে যাইব, এবং আমিই তথা হইতে তোমাকে ফিরাইয়াও আনিব, আর যোসেফ তোমার চক্ষে হস্তার্পন করিবে”। (আদি পুস্তক ৪৬:৩,৪) আপনারা সকলে বসতে পারেন। ‘আমি তোমার সংগে মিশরে যাইবো; আবার আমি তোমাকে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনবো; আর যোসেফ তোমার চক্ষে হস্তার্পন করিবে’! তারা মৃত্যুর কাছাকছি উপস্থিত হলে যোসেফের হাত জ্যাকবের চোখের উপরে রাখবে। কিন্তু যীশু, যিনি হলেন আমাদের যোসেফ, তিনি আপনার চোখের উপরে নিজের হাতকে রাখবেন আর তা আপনি বিশ্বাসে দেখতে সক্ষম হয়ে উঠবেন! ‘ভয় করিও না’ কেননা যিশু আপনাকে আপনার পাপ থেকে উদ্ধার করবেন! আজকের রাত্রে ঈশ্বর আপনাকে বলছেন, “যে বিশ্বাসের আত্মা যীশু আপনাকে অঙ্গীকার করেছেন যীশুর কাছে বিশ্বাসে এগিয়ে আসুন। ভয় করার জন্য সেখানে কোন কিছুই নেই—‘ ভয়ের কোন কিছুই নেই’! “খ্রীষ্ট যীশু জগতে এসেছেন পাপীদের উদ্ধার করার জন্য” (১-ম টিমোথি ১:১৫) আমরা এখন প্রার্থনা করি যেন আপনি যীশুতে নির্ভর করেন, আজকের এই রাত্রেই! “আমিই তোমার সঙ্গে মিশরে যাইব, আমিই তথা হইতে তোমাকে ফিরাইয়াও আনিব, আর যোসেফ তোমার চক্ষে হস্তার্পন করিবে”। (আদিপুস্তক ৪৬:৪) আপনার পরিত্রাণের বিষয়ে যদি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান তবে অনুগ্রহ করে এই অট্টালিকার পিছনে আপনার চেয়ার ছেড়ে সেখানে যান। ডাঃ ক্যাগান আপনাকে শান্ত এক জায়গাতে নিয়ে যাবেন যেখানে তার সঙ্গে আপনি যীশুর উপরে নির্ভর করার বিষয়ে কথা বলতে পারেন আর এখন মিঃ গ্রিফিথ একটি গান করবেন। ‘কি দৃঢ়ই না এই ভিত্তি’। “যে বিশ্বাসের আত্মা যীশু আপনাকে অঙ্গীকার করেছেন ডাঃ চান অনুগ্রহ করে এখানে এসে প্রার্থনা করবেন, প্রার্থনা করুন তাদের জন্য যারা আজকে প্রতিক্রিয়া জনিয়েছেন। সংবাদের পরিসমাপ্তি অথবা আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net |
সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ আবেল প্রধম্মে পুস্তক ৪৫:২৫-৪৬:৪
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথঃ
“How Firm a Foundation”
(“K” in Rippon’s Selection of Hymns, 1787).
খসড়া চিত্র মিশরের উদ্দেশ্যে জ্যাকবের তীর্থযাত্রা আদিপুস্তক # ৭৩ সংখ্যার সংবাদ লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি. “পরে ইজ্রায়েল আপনার সর্বস্ব’র সহিত যাত্রা করিয়া বিয়ার-শেবাতে আসিলেন এবং আপন পিতা আইজাকের উদ্দেশ্যে বলিদান করিলেন। পরে ঈশ্বর রাত্রিতে ইজ্রায়েলকে দর্শন দিয়া কহিলেন, হে জ্যাকব,হে জ্যাকব! তিনি উত্তর করিলেন, দেখ এই আমি। তখন তিনি কহিলেন, আমি ঈশ্বর, তোমার পিতার ঈশ্বর; তুমি মিশরে যাইতে ভয় করিও না , কেননা আমি সেই স্থানে তোমাকে বৃহৎ জাতি করিব। আমিও তোমার সঙ্গে মিশরে যাইব, এবং আমিই তথা হইতে তোমাকে ফিরাইয়াও আনিব, আর যোসেফ তোমার চক্ষে হস্তার্পণ করিবে”। (আদিপুস্তক ৪৬:১-৪), (আদিপুস্তক ৪৫:২৭,২৮) ১. প্রথম, আমরা জ্যাকবের বিশ্বাসের বিষয়ে শিখি। ২. দ্বিতীয়, আমরা জ্যাকবের ভয়ের বিষয়ে শিখি। |