এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
আইজাকের উৎসর্গীকরণ (আদিপুস্তকের উপরে ৭০ নং সখ্যার উপদেশ) লেখকঃ ডাঃ আর. এল. হাইমার্স, (জুনি) ১৭-ই ফেব্রুয়ারী,২০১৩ সদাপ্রভুর একটি দিনে সকাল বেলা, লস এঞ্জেলেসের |
গত কয়েক মাস যাবৎ আদি পুস্তকের উপরে আমি যে উপদেশ প্রচার করছি ইহা হল তার সত্তর সংখ্যার উপদেশ। আমি আশা করি আজকের সকালে ইহা আপনাদের সকলের কাছে আশীর্বাদ নিয়ে আসবে। আপনার বাইবেলে আদি পুস্তকের ২২:১ অনুগ্রহ করে খুলবেন; আসুন আমরা একত্রে মিলে দাঁড়িয়ে পড়ি। “এই সকল ঘটনার পরে ঈশ্বর এ্যাব্রাহামের পরীক্ষা করিলেন। তিনি তাহাকে কহিলেন, হে এ্যাব্রাহাম; তিনি উত্তর করিলেন এই আমি। তখন তিনি কহিলেন, তুমি আপন পুত্রকে, তোমার অদ্বিতীয় পুত্রকে, যাহাকে তুমি ভালোবাসো, সেই আইজাককে লইয়া মোরিয়া দেশে যাও, ও তথাকার যে এক পর্বতের কথা তোমাকে বলিব, তাহার উপরে তাহাকে হোমার্থে উৎসর্গ কর” (আদি পুস্তক ২২:১-২) আপনারা বসতে পারেন। এখানের লিখিত বিবৃতি যথেষ্ঠই পরিষ্কার, কিন্তু ইহার মধ্যে এক গভীরতম সংবাদ রয়েছে; ইহা এতটাই গভীর যে তা আমি বহু বৎসর আপনাদের কাছে প্রচার করার প্রতি ইতস্তত করে এসেছি। ইহা আমি আর কয়েক মিনিটের মধ্যে আপয়ানাদের কাছে ব্যাখা করবো। কিন্তু প্রথমে আমি ইহার কাহিনীটী বলতে চাই। এ্যাব্রাহামের এই সন্তান আইজাকের যখন জন্ম হয় তখন তিনি অত্যন্ত ভাবেই বৃদ্ধ হয়েছিলেন। ঈশ্বর যখন তাকে সন্তান দিয়ে আশীর্বাদ করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেন, তখন তার বয়স চিল পঁচাত্তর বৎসর। তিনি প্রায় আরো পঁচিশ বছর অপেক্ষা করেন, আর এখন, যখন তার এই একমাত্র অদ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয় তখন তার বয়স হয়েছিল একশত বৎসর। আমরা যখন এই অধ্যায়ে আসি, তখন আইজাকের বয়স প্রায় ২৬ বা ২৭ বৎসর। এখন ঈশ্বর এ্যাব্রাহামের পরীক্ষা নিলেন। তিনি তাকে বললেন, যেন একমাত্র পুত্র আইজাককে, যাকে তিনি সব থেকে বেশী ভালোবাসেন, তাকে সঙ্গে নিয়ে মোরিয়া দেশে যায় আর সেখানে তাকে সেই পর্বতের উপরে হোমার্থে উৎসর্গ করে।(আদি পুস্তক ২২:২)। সেখানে তারা হোমের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হোন। এ্যাব্রাহাম যে কাঠ সঙ্গে এনেছিলেন তা বহন করে এগিয়ে চললেন, একটি যজ্ঞ বেদী তৈরী করে কাঠগুলো সাজালেন। এরপরে তিনি আইজাককে বেঁধে সেই কাঠের উপরে শুইয়ে দিলেন। “পরে এ্যাব্রাহাম হস্ত বিস্তার করিয়া আপন পুত্রকে বধ করনার্থে খড়্গ গ্রহণ করিলেন। এমন সময়ে আকাশ হইতে সদাপ্রভুর দূত তাহাকে ডাকিলেন, কহিলেন এ্যব্রাহাম, এ্যব্রাহাম।তিনি কহিলেন দেখুন এই আমি! তখন তিনি বলিলেন, যুবকের প্রতি তোমার হস্ত বিস্তার করিও না; উহার প্রতি কিছুই করিও না, কেননা এখন আমি বুঝিলাম, তুমি ঈশ্বরকে ভয় কর, আমাকে তোমার অদ্বিতীয় পুত্র দিতেও অসম্মত নও, তখন এ্যাব্রাহাম চক্ষু তুলিয়া চাহিলেন, আর দেখ, তাহার পশ্চাৎ দিয়ে একটি মেষ, তাহার শৃঙ্গ ঝোপে বদ্ধ; পরে এ্যাব্রাহাম গিয়ে সেই মেষটিকে লইয়া আপন পুত্রের পরিবর্তে হোমার্থে বলিদান করিলেন” ( আদি পুস্তক ২২:১০-১৩) যা ঘটেছিল এতাই হল তার বিবৃতি। আগেই আমি যে ভাবে বলেছি, ইহা হল যথেষ্ঠই সাধারণ। কিন্তু সেই কাহিনীর মধ্যে এমন অনেক অংশ রয়েছে যার বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমি প্রচার করার জন্য দ্বিধাগ্রস্থ হয়েছি। এরপরে আমি ডাঃ এইচ. সি. লিউপল্ড-র উক্তি শুনি এই অনুচ্ছেদের উপরে। তিনি বলেন, ‘এই অনুচ্ছেদের প্রতি ধর্ম ব্যাখামূলক দিক দিয়ে কম করে দুটি প্রস্তাব সম্ভাব্য’। (এইচ.সি. লিউপল্ড, ডি. ডি. Exposition of Genesis, ভল্যুম-২, বেকার বুক হাউস, ১৯৮৫ মুদ্রণ, পৃ. ৬৩৭)। সেখানে যে চিন্তা ভাবনা ‘তা কমপক্ষে’ দুটি প্রস্তাবে উদ্ধৃত হয় প্রচারের সময়ে যা মনকে সাবলীল করে তোলে। অতএব এই গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদের প্রতি আমি আপনাদের কাছে চারটি আবেদন তুলে ধরছি। ১. প্রথম, এই অনুচ্ছেদটি বিশ্বাসের পরীক্ষা নিয়ে কথা বলে। একপদটি উল্লেখ করে ‘এই সকল ঘটনার পরে ঈশ্বর এ্যাব্রাহামের পরীক্ষা করিলেন’ (আদিপুস্তক ২২:১)। ‘পরীক্ষা’ এই শব্দের প্রাথমিক ভাবেই যে হিব্রু অর্থ তা হল ‘ঝুঁকি নেওয়া’ (কঠোর ভাবে)। ডাঃ ম্যাকগী বলেছেন, ‘পরীক্ষা বলে এই যে শব্দ তা যেন একটু কঠিন বা কঠোর বলে মনে হচ্ছে। জেমস তার পত্রে ইহাকে আরো একটু পরিষ্কার করে দেন, ঈশ্বর কাউকে মন্দ বিষোয়ের দ্বারা পরীক্ষা করেন না। ঈশ্বর তাঁর মেষেদের পরীক্ষা করেন এই অর্থে যেন এর দ্বারা তাদের বিশ্বাসের মর্যাদার পরীক্ষা হয়। এই ভাবেই ঈশ্বর এ্যাব্রাহামের পরীক্ষা নিয়েছিলেন’। (জে. ভারমন ম্যাকগী, Th.D., Thru the Bible, থমাস নেলসন পাবলিশার্স,১৯৮১, ভল্যুম -১, পৃ.৯০) যে চারটি চরম পরীক্ষা ঈশ্বর এ্যাব্রাহামের নিয়েছিলেন আমাদের পাঠ্যাংশ সেটাই বর্ণনা করে। প্রতিটি পরীক্ষা সেই বিষয়টিকেই সমর্পণের ইঙ্গিত প্রদান করে যেটা তিনি ভালো বাসতেন। প্রথমত তাকে আহবান করা হল যেন তিনি তার পরিবার বর্গ ত্যাগ করেন এবং সঙ্গে তার নিজের দেশও ত্যাগ করেন (আদি পুস্তক ১২:১)। দ্বিতীয়ত, তাকে আদেশ করা হল তিনি যেন তার ভাইপো লটের সঙ্গে পৃথক হোন (আদি পুস্তক ১৩:১-১৮)। তৃতীয়ত, ইস্মায়েলের জন্য তার যে পরিকল্পনা, তা যেন তিনি পরিত্যাগ করেন (আদি পুস্তক ১৭:১৭,১৮)। চতুর্থত, এখানে তাকে বলা হল তিনি যেন তার অদ্বিতীয় পুত্র আইজাককে হোমার্থে বলিপ্রদান করেন। আর্থার ডাব্লুউ পিঙ্ক বলেন, বিশ্বাসীদের জীবনধারা হল পরীক্ষার সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত, কেবল মাত্র নিয়মানুবর্তিতার দ্বারাই খ্রীষ্টিয় জীবনধারা বা চরিত্র উন্নত হতে পারে। প্রায় সময়ে সেখানে এক গুরুত্বপূর্ন পরীক্ষা রয়েছে যার তুলনায় অন্য সমস্ত বিষয়গুলি কেবল প্রস্তুতি মূলক। আর তাই ইহা এ্যাব্রাহামের প্রতিও হয়েছিল। তিনি প্রায় পুণঃপুণঃ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যান কিন্তু সেই মতো পরীক্ষা এই পরীক্ষার মতো নয়। এখানে ঈশ্বরের দাবি হল,‘হে বৎস, তোমার হৃদয় আমাকে দাও’(হিতোপদেশ ২৩:২৬)। ইহা কেবল মাত্র আমাদের বোধশক্তির পরীক্ষা বা আমাদের প্রতিভা বা অর্থের নয়, কিন্তু আমাদের হৃদয়ের, যেটাকে ঈশ্বর প্রথমেই দাবি করেছেন। আমরা যখন ঈশ্বরের প্রয়োজনের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাই তখন তিনি তাঁর হাতকে এমন কিছুর উপরে রাখেন যারা বিশেষত কাছের ও অতি প্রিয় যেন এর দ্বারা আমাদের যে প্রতিক্রিয়া তার দ্বারা প্রকৃত বিষয়কে প্রমাণ করি, কেননা ঈশ্বর চান আমাদের অন্তকরণের সত্যতা আর তা যেন কেবল আমাদের ওষ্ঠবিষয়ক না হয়। আর এইভাবেই তিনি এ্যাব্রাহামের সঙ্গে আদান প্রদান করেন। (আর্থার ডাব্লুউ পিঙ্ক, Gleanings in Genesis, মুডি প্রেস, ১৯৮১ মুদ্রণ, পৃ.২২৬) সেখানে সর্বদাই শুরুতে একটা বিরাট পরীক্ষা থাকে যখন কোন ব্যাক্তি প্রথমে সুসমাচারকে শোণে। যীশু বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে কেহ আপনার স্বর্বস্ব ত্যাগ না করে, সে আমার শিষ্য হইতে পারে না’ (লিউক ১৪:৩৩)। তার অর্থ হল অন্য সমস্ত কিছুর থেকে খ্রীষ্টকে আপনাকে সবথেকে বেশী চাইতে হবে। যে পাপকে আপনি ভালোবাসেন তা অবশ্যই আপনার মধ্য থেকে যেতে হবে। জাগতিক সমস্ত অধিকারকে অতি অবশ্যই দ্বিতীয় স্থান দিতে হবে। গুপ্ত বিলাসিতার সমস্ত কিছুকে অতি অবশ্যই জলাঞ্জলি দিতে হবে। এই সমস্ত কিছুকে সেবা বা তার অনুবর্তী হয়ে একই সময়ে খ্রীষ্টিয়ান হতে পারেন না। কোন একজন বলেছেন, কিন্তু এটা হয়তো আমার জীবিকা বা কর্মজীবনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে’। যীশু বলেছেন, ‘তোমরা ঈশ্বর ও ধন উভয়ের দাসত্ব করতে পার না’। (লিউক ১৬:১৩)। যীশু বলেছেন, ‘কেহ যদি আমার পশ্চাতে আসিবার ইচ্ছা করে, তবে সে আপনাকে আবিষ্কার করুক...’(লিউক ৯:২৩)। এই জায়গাটাতেই অনেক লোক হোঁচট খায়। অন্য কোন কিছু ত্যাগ না করেই তারা খ্রিষ্টিয়ান হতে চায়। তারা তাদের জীবিনের কোন কিছুর পরিবর্তন না করেই তারা পরিত্রাণ লাভ করতে চায়। তারা বেশকিছু পাপকে ধরে রাখতে চায়। আর সেই একই সঙ্গে তারা কনভার্ট বা রুপান্তর হবার ইচ্ছা রাখে। সেটা ত একেবারেই অসম্ভব। তাতো একেবারেই অচিন্তনীয়, প্রশ্নের বাইরে এবং এক তা অযৌক্তিক এক অসংগতি। ‘তোমাদের মধ্যে যে কেউ আপনার সর্বস্ব ত্যাগ না করে, সে আমার শিষ্য হইতে পারে না’। (লিউক১৪:৩৩)। এই প্রকার একই অবস্থার সম্মুখীন কি এ্যাব্রাহাম সেই মোরিয়া পর্বতের উপরে হন নি ? ঈশ্বর এ্যাব্রাহামের পরীক্ষা নিলেন। তিনি এই জগতে যেটাকে সব থেকে বেশী করে ভাল বাসেন সেতাকে ত্যাগ করার জন্য তিনি কি ইচ্ছা রেখেছিলেন—তার অদ্বিতীয় পুত্র! ঈশ্বর বললেন, ‘তুমি আপন পুত্র, তোমার অদ্বিতীয় পুত্র আইজাককে, যাহাকে তুমি ভালোবাস.... তাহাকে হোমার্থে বলিদান কর’। (আদি পুস্তক ২২:২)। আর সেটাই হল পরীক্ষা যার সম্মুখীন আপনিও হন। আপনার সব থেকে প্রিয় পাপটাকে নিন আর ইহাকে হোমের ন্যায় উৎসর্গ করুন। আপনি কি ইহা করবেন? আপনি যদি তা না করেন তবে আপনি প্রকৃত খ্রিষ্টিয়ান নন। ইহার গতিরোধ না করলে আপনি কোন ভাবেই রুপান্তরিত হতে পারেন না – কোন ভাবেই নয়। কোন সর্তেই নয়, কোন ক্রমেই নয়! তাই আপনার প্রার্থনা সেই পুরাতন সঙ্গীতকে প্রতিধ্বনিত করুক! প্রভু যীশু, স্বর্গের সিংহাসন থেকে দৃষ্টিপাত কর ২. দ্বিতীয়, এই পাঠ্যাংশ ইশ্বরের প্রেমের বিষয়ে বলে। তিনি যখন তার অদ্বিতীয় পুত্র আইজাককে হোমার্থে বলিদান দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন তখন এ্যাব্রাহামের অন্তর্বেদনার কথা চিন্তা করুন! “তোমার পুত্রকে নাও, তোমার অদ্বিতীয় পুত্রকে.... যাকে তুমি ভালোবাস আর সেখানে তাকে হোমার্থে বলিদান কর... (আদিপুস্তক ২২:২) আরথার ডব্লুঊ পিঙ্ক বলেন, ‘এটা হল পুরাতন নিয়মে এমন একটি বিবেচিত বিষয় যা আমাদের সামনে কেবল মাত্র পুত্র ঈশ্বরকেই নয়, কিন্তু পিতা ঈশ্বরকেও তুলে ধরে। এখানে (পুরাতন নিয়মে অন্য যে কোন আলোচিত বিষয়ের থেকেও) আমাদের কাছে পিতার হৃদয়কে দেখানো হয়েছে। আর এখানেই আমরা ক্যালভেরির অত্যাশ্চর্য্য পুর্ব্বাভাসকে দেখতে পাই’। (পিঙ্ক, ইবিড, পৃ. ২২২)। আদি পুস্তকের ২২-অধ্যায়ে ঈশ্বর যে কি অনুভব করেছিলেন তার বিষয়ে আমরা বেশ কিছু একটা শিখি। “যিনি নিজ পুত্রের প্রতি মমতা করিলেন না কিন্তু আমাদের সকলের নিমিত্ত তাহাকে সমর্পণ করিলেন.....’। (রোমিয় ৮:২৩) মিঃ পিঙ্ক বলেন, ‘কি ভাবে ঈশ্বরের আত্মা অর্পণকারী ও অর্পিত বিষয়ের উপরে বিলম্ব করলেন, মনে হচ্ছে, সেখানে অতি অবশ্যই সেই প্রকার প্রতিনিধিত্ব (এ্যাব্রাহাম) এবং বিপরীত ধরনের (পিতা ঈশ্বর) পুরোদস্তুর (সাম্য) সাদৃশ্য ভাব রয়েছে – যথা ‘তোমার পুত্র’,-- ‘তোমার অদ্বিতীয় পুত্র’,-- ‘যাকে তুমি ভালো বাস’। প্রকৃত পক্ষে এতাই আদি পুস্তক ২২-র মুখ্য বিষয়। এই অধ্যায়ে এ্যাব্রাহাম আইজাকের থেকে সব থেকে বেশী করে, সব থেকে সুস্পষ্ট ব্যাক্তিত্বকে প্রকাশ করেছে....। ইহা হল পিতার অন্তরের প্রেম অত্যন্ত আকর্ষণীয় ভাবে এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে’। (পিঙ্ক, ইবিড)। যে দুঃখ ও বিষন্নতা পিতা ঈশ্বর অনুভব করছিলেন যখন যিশু ক্রুশারোপিত হন তা আমাদের কাছে এ্যাব্রাহামের মধ্যে দিয়ে আমাদের কাছে দেখানো হয়েছে। সেতাই হল পিতা ঈশ্বরের আদর্শ নমুনা। “কারণ ইশ্বরের জন্য জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন যে কেহ তাহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়” (যোহান ৩:১৬) এই পাঠ্যাংশটি আমাদের কাছে বিশ্বাসের পরীক্ষা এবং পিতা ঈশ্বরের প্রেম সম্বন্ধে দেখায়। কিন্তু সেখানে আরো বেশী কিছু রয়েছে কেননা ঈশ্বরের বাক্যের মধ্যে এতাই হল সবথেকে রসালো অধ্যায়। ৩. তৃতীয়, এই পাঠ্যাংশ মৃত্যু পর্যন্ত খ্রীষ্টের বাধ্যতা সম্বন্ধে বলে। “আর আইজাক আপন পিতা এ্যাব্রাহামকে কহিলেন, হে আমার পিতঃ, তিনি কহিলেন, হে বৎস, দেখ, এই আমি। তখন তিনি কহিলেন, এই দেখুন অগ্নি ও কাষ্ঠ, কিন্তু হোমের নিমিত্ত মেষশাবক কোথায়? এ্যাব্রাহাম কহিলেন, বৎস, ঈশ্বর আপনি হোমের জন্য মেষশাবক যোগাইবেন। পরে উভয়ে একসঙ্গে চলিয়া গেলেন। ঈশ্বরের বলা নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হইলে, এ্যাব্রাহাম সেখানে যজ্ঞবেদী নির্মাণ করিয়া কাষ্ঠ সাজাইলেন, পরে আপন পুত্র আইজাককে বাঁধিয়া বেদীতে কাষ্ঠের উপরে রাখিলেন। পরে এ্যাব্রাহাম হস্ত বিস্তার করিয়া আপন পুত্রকে বধ করণার্থে খড়্গ গ্রহণ করিলেন”। (আদি পুস্তক ২২:৭-১০) এখানে দেখার বিষয় হলো কতোটা নম্রতা ও বাধ্যতা সহকারে আইজাক হত হওয়ার জন্য এগিয়ে চলেছিলেন। আইজাক হলেন আদর্শ নমুনা এবং যীশু হলেন সেই আদর্শ নমুনার একটা ধরন, সেই আদর্শ নমুনার পুর্নতা। আইজাক বাধ্যতা সহকারে মৃত্যুর প্রতি এগিয়ে গিয়েছিলেন আর খ্রীষ্টও ঠিক তদরুপ করেছিলেন। ভাববাদী যীশুর বিষয়ে বলেন, ‘ মেষ শাবক হত হইবার জন্য নীত হলেন’ (ইশা ৫৩:৭)। তার পিতা যখন তাকে বাঁধতে শুরু করেন আইজাক তখন নিজের পক্ষ অবলম্বন করেন নি। পরে আপন পুত্র আইজাককে বাঁধিয়া বেদীতে কাষ্ঠের উপরে রাখিলেন’। (আদি পুস্তক ২২:৯)। আর পিলাট যখন যীশুকে প্রশ্ন করেন, ‘তিনি তাহাকে এক কথারও উত্তর দিলেন না। ইহাতে দেশাধ্যক্ষ অতিশয় আশ্চর্য্যজ্ঞান করিলেন’। (ম্যাথুজ ২৭:১৪)। পরে ইশা বলেছেন, ‘তিনি উপদ্রুত হইলেন, তবুও দুঃখভোগ স্বীকার করিলেন, তিনি মুখ খুলিলেন না’ (ইশা ৫৩:৭)। লক্ষ্য করুন আইজাক কিভাবে কাঠ বহন করে নিয়ে আসছেন। এই অনুচ্ছেদটি বলে, ‘ তখন এ্যাব্রাহাম হোমের কাষ্ঠ লইয়া আপন পুত্র আইজাকের স্কন্ধে দিলেন’। (আদি পুস্তক ২২:৬)। খ্রীষ্টের ন্যায় কি প্রকারই না এক প্রতিচ্ছবি যিনি নিজের ক্রুশ কাঁধে তুলে বহন করে নিয়ে চলেছেন! এখানে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় যে খ্রীষ্ট, ‘আপনাকে অবনত করিলেন, মৃত্যু পর্যন্ত, এমন কি ক্রুশীয় মৃত্যু পর্যন্ত আজ্ঞাবহ হইলেন’। (ফিলিপিয়ান্স ২:৮)। “কি সেই নাম ‘দুঃখ ভোগের মানুষ’ কিন্তু সেখানে আরোও একটা অবস্থান রয়েছে। ৪. চতুর্থত, এই পাঠ্যাংশ পাপীদের জায়গায় খ্রীষ্টের প্রতিকম্পনশীল মৃত্যু বিষয়ে বলে। এ্যাব্রাহাম নিজের পুত্র আইজাকের প্রতি হস্ত বিস্তার করে বধ করবার জন্য খড়্গ করলেন। ইহার বিষয়ে আমরা যখন পড়ি তখন আপনার ও আমার কাছে ইহা যেমন ভাবে মনে হয় এ্যাব্রাহামের কাছেও ইহা যেন বিস্ময়কর বলেই মনে হচ্ছিল। এ্যাব্রাহাম বিশ্বাস করতেন যে মানুষ বলিদান হল অন্যায় কাজ। সেই তখন থেকে এখন পর্যন্ত ইহা তার মনের মধ্যে কোন ভাবেই প্রবেশ করেনি যেন মানুষকে বলিদান হিসাবে উৎসর্গ করেন। এটা এ্যাব্রাহামের মনে প্রকৃতভাবে এক চূড়ান্ত সন্ধিক্ষণে পৌঁছে গিয়েছিল। কেননা এ্যাব্রাহাম ইতি মধ্যেই তিনটি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। প্রথমে তাকে বলা হয়েছিল যেন তিনি তার সমস্ত আত্মীয় পরিজন ত্যাগ করে চ্যালডেস’র উর প্রদেশে চলে যান। তাকে তার সমগ্র পরিবার ত্যাগ করে আসতে হয়। সেটা ছিল এ্যাব্রাহামের কাছে প্রকৃত পরীক্ষা। আমি জানি যদি অখ্রীষ্টিয়ান পরিবার হয় তাহলে তারা কি অনুভব করে, আপনি যখন খ্রীষ্টিয়ান হন, তখন তারা মনে করে আপনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আর তাই আমি জানি ‘এব্রাহামকে’ কি দুঃখের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল যখন তাদের ত্যাগ করেন। এরপরে তাকে আরো একটা পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়, যা এসেছিল তার ভাইপো লটের কাছ থেকে। তার সঙ্গে থাকার জন্য সেই ছিল একমাত্র শেষ সদস্য। কিন্তু সময় এলো যখন তাকে তার সংগ ছেড়ে আলাদা হতে হল; আর লট তখন সাদোম নগরীতে বসবাস করার জন্য আলাদা হয়ে যান। এরপরে তার কাছে তার পুত্রকে হাগারের দ্বারা আলাদা করে দেওয়া হয়। তিনি সেই ছোট নবীন ইশমায়েলকে ভালো বাসতেন এবং তার কাছ থেকে তাকে আলাদা করাটা তিনি ঘৃণা করতেন। তাই এ্যাব্রাহাম চিৎকার করে ঈশ্বরকে বললেন, ‘ইশমায়েলই তোমার গোচরে বাঁচিয়া থাকুক’। (আদি পুস্তক ১৭:১৮)। এখন এ্যাব্রাহাম সর্ব্বপ্রধান পরীক্ষার সামনে আসেন, যা হল তার জীবনে চতুর্থতম সব থেকে মহান এক সন্ধিক্ষণ--- ঈশ্বর তাকে বললেন, ইশমায়েলকে বলিদান হিসাবে উৎসর্গ করার জন্য। এ্যাব্রাহাম এটা তো কোন মতেই বুঝতে পারেন নই, কেননা ঈশ্বর তাকে বলেছিলেন, ‘ইশমায়লই তোমার বংশে খ্যাত হবে’। ( আদি পুস্তক ২১:১২)। এ্যাব্রাহাম তো বুঝতেই পারছিলেন না, কেন তার পুত্র আইজাককে হত্যা করতে হবে যাকে তিনি বহু বৎসর আগে দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। কিন্তু এ্যাব্রাহামের বিশ্বাস ছিল অত্যন্ত প্রবল কেননা এখন তিনি বিশ্বাস করলেন, ‘ঈশ্বর মৃতগনের মধ্য হইতেও উত্থাপন করিতে সমর্থ’। (হিব্রুজ ১১:১৯)। আপনি দেখবেন, যে পরীক্ষা ঈশ্বর আপনার কাছে আনেন, ও যতবার আপনি তার সম্মুখীন হন, তখন আপনি আরো বেশি করে বিশ্বাস গ্রহণ করেন আর তখন আপনার বিশ্বাস আরো সুদৃঢ় হয়ে ওঠে। আমার জীবনেও সেখানে বেশ কিছু সময় যেখানে আমি চিন্তা করেছিলাম খ্রীষ্টিয়ান হিসাবে আমি আর যেন এই ভাবে এগিয়ে যেতে পারছি না। এই সময়গুলি ছিল এক বিরাট নিরাশার সময় এবং এক অত্যন্ত পরীক্ষার ন্যায়, সত্য সত্যই অত্যন্ত ভারাক্রান্তের ন্যায়। কিন্তু পিছনের দিকে তাকিয়ে এখন আমি দেখতে পাচ্ছি যে ঈশ্বর আমার পরীক্ষা নিচ্ছিলেন কোন একটি কারণে। ঈশ্বর আমাকে যদি সেই সমস্ত ভয়ানক পরীক্ষার সময়ে তাঁর অনুগ্রহ প্রদান না করতেন তবে আজকে আমি যে ব্যাক্তি হয়েছি তা হতে পারতাম না। আর এ্যাব্রাহামের ক্ষেত্রেও সেই একই প্রকার বিষয় ঘটেছিল। কিন্তু এখন এ্যাব্রাহাম যখন খড়্গ নিয়ে তার সন্তানকে বধ করবার জন্য প্রস্তুত তখন ঈশ্বর হঠাৎ করেই তাঁকে ডাকলেন, “যুবকের প্রতি তোমার হস্ত প্রসারিত করিও না, উহার প্রতি কিছুই করিও না, কেননা এখন আমি বুঝিলাম, তুমি ঈশ্বরকে ভয় কর ও আমাকে আপনার অদ্বিতীয় পুত্রও দিতে অসম্মত নও” (আদিপুস্তক ২২:১২) এর আগেও ঈশ্বর জানতেন যে এ্যাব্রাহাম তাঁকে ভয় করতেন কিন্তু তার পরিবার এবং আইজাক নিজেও এই বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন না--- ততক্ষন পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা এই সর্বপ্রধান বলিদানটি দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। আর এই কারণেই প্রেরিত জেমস এ্যাব্রাহামের বিষয়ে বলেন,‘এ্যাব্রাহাম’ কর্ম হেতু ধার্মিক গণিত হলেন’। (জেমস ২:২১)। তার বিশ্বাস উত্তম কার্য্য উৎপন্ন করলো। এই কারণেই জেমস বলেন, ‘বিশ্বাস কর্মবিহীন হইলে, আপনি একা বলিয়া তাহা মৃত’ (জেমস ২:১৭)। এ্যাব্রাহাম নিজের বিশ্বাসকে তার নিজের কাজের দ্বারাই প্রমাণ করলেন, আইজাককে বলিদান বা হোম বলি রুপে উৎসর্গ করার জন্য তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করে তা করার জন্য উদ্যত হয়েছিলেন। কিন্তু অপেক্ষা করুন। এই জায়গাটিতেই আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে পড়ি, যখন আমি এই অধ্যায়টি বিগত সময়ে পড়েছি। আমি বিস্মিত হয়ে পড়ি যে কি ভাবে এই দৃষ্টান্তটি আইজাক থেকে মেষে পরিণত হল, কেননা আমরা পড়ি, “তখন এ্যাব্রাহাম চক্ষু তুলিয়া চাহিলেন, আর দেখ, তাহার পশ্চাৎ দিয়ে একটি মেষ, তাহার শৃঙ্গ ঝোপে বদ্ধ; পরে এ্যাব্রাহাম গিয়ে সেই মেষটিকে লইয়া আপন পুত্রের পরিবর্তে হোমার্থে বলিদান করিলেন” (আদিপুস্তক ২২:১৩) আমাদের বিকল্প বলিদানের ক্ষেত্রে খ্রীষ্টের আদর্শ নমুনা আইজাক থেকে মেষে পরিবর্তশীল হয়ে উঠলো। এই জায়গাটাতেই ডাঃ লিওপোল্ড এই কথা বলে আমাকে সাহায্য করেন, ‘এই অনুচ্ছেদের মধ্য থেকে যখন প্রচার করা হচ্ছে তখন কম করে দুটি প্রস্তাব সম্ভাব্য’। আমি প্রসঙ্গত দেখতে পেয়েছি জে সেখানে চারটি প্রস্তাব রয়েছে। যে আদর্শ নমুনা এখানে পরিবর্তনশীল হয়েছে তা হল আইজাক পাপের নমুনার সমকক্ষ হয়ে উঠেছে, ঈশ্বরের বিধানের দ্বারা দোষী সাব্যস্ত, যা পাপীদের মৃত্যুদণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। হ্যাঁ, আইজাক ছিলেন পাপী, ঠিক যেমন ভাবে সমস্ত লোকেরাও পাপী। আর বলা হয়েছে, ‘পাপের বেতন হল মৃত্যু’(রোমিয় ৬:২৩)। আর এটা কত আশ্চর্য্যমূলক নমুনাই নয়া এখানে তুলে ধরা হয়েছে! আইজাক সেই পাপী, কেবলমাত্র মেষের দ্বারা পাপে দোষী সাব্যস্ত হওয়া থেকে অব্যাহতি লাভ করলেন, আর সেটাকেই এ্যাব্রাহাম নিলেন ও ‘আপন পুত্রের পরিবর্তে হোমার্থে বলিদান করিলেন’। (আদি পুস্তক ২২:১৩)। নূতন নিয়ম বলে, ‘খ্রীষ্ট আমাদের পাপের পরিবর্তে মৃত্যু বরণ করলেন’ (১ম করিনথিয়ানস ১৫:৩)। আর প্রেরিত পীটার বলেছেন, “খ্রীষ্টও একবার পাপ সমূহের জন্য দুঃখভোগ করিয়াছিলেন—সেই ধার্মিক ব্যাক্তি অধার্মিকের নিমিত্ত যেন আমাদিগকে ঈশ্বরের নিকটে লইয়া যান” (১-ম পিটার ৩:১৮)। আদি পুস্তক ২২:১৪ লক্ষ্য করুন। এ্যাব্রাহাম সেই স্থানের নাম “যিহোবা-যিরে” যার অর্থ ‘সদা প্রভু যোগাইবেন’ রাখিলেন। ঈশ্বর যীশুকে যোগান দিয়েছেন যেন পাপ বহনকারী হিসাবে আমাদের স্থান দখল করেন, ইহা ঠিক তেমনি যেভাবে তিনি আইজাকের পরিবর্তে মেষ যোগান দিয়েছিলেন। যীশুর উপর নির্ভর করুন; তিনি আপনার জায়গা গ্রহণ করেছেন, এবং ক্রুশের উপরে আপনার অপরাধ সকল বহন করেছেন। আমার প্রার্থনা হল আপনি যেন পাপ থেকে মন পরিবর্তন করেন এবং এখনই যীশুর উপরে নির্ভর করেন। তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন আপনার জায়গাতে, আপনার পাপের ক্ষমা দেওয়ার জন্য এবং আপনাকে ঈশ্বরের কাছে নিয়ে আসার জন্য! আপনার হয়তো ভয় হতে পারে যে আপনি যখন খ্রীষ্টকে নির্ভর করবেন তখন আপনাকে অনেকটাই পরিবর্তিত হতে হবে। আপনি যদি সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হন তবে আপনি কোন দিনই পরিত্রাণ লাভ করতে পারবেন না! আপনাকে অতি অবশ্যই আপনার ভয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং সাহসের সঙ্গে খ্রীষ্টের কাছে আসতে হবে। কোন ভাবেই ইতস্তুত করবেন না। নিজেকে বিশ্বাস সহকারে পরিত্রাতার কাছে তুলে ধরুন। তিনি আপনাকে ঈশ্বরের ক্রোধ থেকে এবং পাপের বিচারের হাত থেকে উদ্ধার করবেন। যীশুর রক্ত আপনাকে সমস্ত প্রকার পাপ থেকে শুচি করে। ক্রুশের উপরে আপনার জায়গাতে তাঁর মৃত্যু আপনার পাপের মুল্যকে প্রদান করেছে আর তাই আপনার অপরাধের জন্য আর আপনাকে শাস্তি পেতে হবে না। আপনি যদি প্রকৃত খ্রিষ্টিয়ান হওয়ার প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করছেন তবে অনুগ্রহ করে আপনার বসার জায়গা ত্যাগ করুন এবং এই অট্টালিকার পিছনে যে অডিটরিয়াম বা ঘর রয়েছে সেখানে চলে যান। ডাঃ কাগন আপনাকে নীরব একটি জায়গাতে নিয়ে যাবেন যেখানে আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হব ও কথা বলবো ও প্রার্থনা করবো। তাই অনুগ্রহ করে এখনই সেখানে যান। ডাঃ কাগন অনুগ্রহ করে প্রার্থনা করুন তাদের জন্য যারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তাদের জন্য। আমেন!! সংবাদের পরিসমাপ্তি অথবা আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net |
সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মেঃ আদি পুস্তক ২২:১-১৩
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথঃ
“He Bought My Soul” (by Stuart Hamblen, 1908-1989).
খসড়া চিত্র আইজাকের উৎসর্গীকরণ (আদিপুস্তকের উপরে ৭০ নং সখ্যার উপদেশ) লেখকঃ ডাঃ আর. এল. হাইমার্স, (জুনি) “এই সকল ঘটনার পরে ঈশ্বর এ্যাব্রাহামের পরীক্ষা করিলেন। তিনি তাহাকে কহিলেন, হে এ্যাব্রাহাম; তিনি উত্তর করিলেন এই আমি। তখন তিনি কহিলেন, তুমি আপন পুত্রকে, তোমার অদ্বিতীয় পুত্রকে, যাহাকে তুমি ভালোবাসো, সেই আইজাককে লইয়া মোরিয়া দেশে যাও, ও তথাকার যে এক পর্বতের কথা তোমাকে বলিব, তাহার উপরে তাহাকে হোমার্থে উৎসর্গ কর” (আদি পুস্তক ২২:১-২) (আদি পুস্তক ২২:১০-১৩) ১. প্রথম, এই অনুচ্ছেদটি বিশ্বাসের পরীক্ষা নিয়ে কথা বলে। ২. দ্বিতীয়, এই পাঠ্যাংশ ইশ্বরের প্রেমের বিষয়ে বলে। ৩. তৃতীয়, এই পাঠ্যাংশ মৃত্যু পর্যন্ত খ্রীষ্টের বাধ্যতা সম্বন্ধে বলে। , ৪. চতুর্থত, এই পাঠ্যাংশ পাপীদের জায়গায় খ্রীষ্টের প্রতিকম্পনশীল মৃত্যু বিষয়ে বলে। |