এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
বলিদানের থেকে শকুনদের বিতাড়িত করা (আদি পুস্তক থেকে ৬৮ সংখ্যার উপদেশ) লেখকঃ ডাঃ আর .এল.হাইমার্স,জুনি. ২০-শে জানুয়ারী ২০১৩ সালে সদাপ্রভুর এক সন্ধ্যায় অস এঞ্জেলেসের |
আমার বয়স যখন খুবই কম ছিল সেই সময়ে আমার প্যাস্টার ডাঃ টিমথি লীনের সঙ্গে সাউদার্ণ ব্যাপটিস্ট সম্মেলনে যাই যা স্যান ফ্রান্সিসকোতে হচ্ছিল। সেখানে উদারচেতা সাউদার্ণ ব্যাপটিস্ট-এর পাঠ্য পুস্তক থেকে এক বিরাট বিতর্ক সভা হচ্ছিল যা আদি পুস্তককে আক্রমণ করেই হচ্ছিল। ডাঃ লীন সেই বই-এর বিপক্ষে ‘থেকে থেকেই বলতে’ গিয়েছিলেন। আমার বয়স ছিল কেবল মাত্র ২২-বৎসর; কিন্তু আমি সংকল্প করেছিলাম যে একদিন আমি আদি পুস্তকের সমর্থনে একটা বই লিখবো। এখন আমি দেখতে পাচ্ছি যে এই বইটি কোন এক দিন এই উপদেশে একটি বিশেষ কিছু একত্রিত করবে। ইহা হল সেই সিরিজের আটষট্টি সংখ্যার উপদেশ। অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়িয়ে আমার সংগে আদি পুস্তক ১৫:১১ পাঠ করুন। “পরে হিংস্র পক্ষিগণ সেই মৃত পশুদের উপরে পড়িলে এ্যাব্রাহাম তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিলেন” (আদি পুস্তক ১৫:১১) আপনারা বসতে পারেন। এই সময় এ্যাব্রাহাম বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছেন এবং তার কোন সন্তান নেই। তখন ঈশ্বর দর্শন যোগে তার কাছে প্রকাশিত হয়ে তাকে বললেন তার বংশ আকাশের তারা গণের মতো হবে। ‘এ্যাব্রাহাম ঈশ্বরকে বিশ্বাস করলেন এবং তা তার কাছে ধার্মিকতা বলে গণনা করা হলো’ (রোমিয় ৪:৩)। আর তিনি সদা প্রভুতে বিশ্বাস করিলেন, আর সদাপ্রভু তার পক্ষে তা ধার্মিকতা বলে গণনা করলেন।(আদি পুস্তক ১৫ঃ৬)। এই ভাবে এ্যাব্রাহাম সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করার দ্বারা পরিত্রাণ লাভ করলেন ইহা তার উত্তম কার্্য্যের জন্য তিনি ধার্মিক গণিত হন নি। কিন্তু এ্যাব্রাহাম সদাপ্রভুকে তার বিশ্বাস সম্বন্ধে নিশ্চিত করতে বললেন। তখন সদাপ্রভু তার সঙ্গে পরিদর্শন করার পরিকল্পনা করলেন এবং তার সঙ্গে একটা নিয়ম তৈরী করলেন ও তাকে এক সন্তান বা উত্তরাধিকারের সঙ্গে কান্নান দেশ প্রদান করলেন। এ্যাব্রাহামকে বলা হল একটা এক বর্ষিয় বাছুর নিয়ে আসার জন্য, একটি স্ত্রী ছাগল,একটি মেষ,একটি ঘুঘু,একটি পায়রা নিয়ে আসার জন্য এবং তাদের মধ্যবর্তী ভাগে ভাগ করতে বললেন। এই ভাবে তিনি ‘চুক্তি বা নিয়মকে বিভাজন করলেন’; ইহা ছিল প্রাচীনকালে পশুবলি দেওয়ার এক প্রকার প্রথা যেখানে বলিকে দুটুকরো করা হতো যাতে সেই নিয়ম বা চুক্তির দুটি পক্ষ হয় তারা সেই উভয়ের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়ার দ্বারা এই মতে সম্মতি জানাবে জে যদি তারা সেই নিয়ম বা চুক্তি মানতে অমান্য করে বা পতন ঘটে তবে তাদের জীবন সেই প্রকার মতানোইক্য ঘটবে।(জেরেমিয়া ৩৪ঃ১৮-২১)। সেই বলিদান ছিল খ্রীষ্টের মহা বলিদানের এক আদর্শ নমুনা যিনি পুরাতন নিয়মের সমস্ত কিছুকে পূরণ করেছেন। এ্যাব্রাহাম ঈশ্বরে বাধ্য হলেন এবং ভূমি থেকে সেই বলিদানের টুকরোকে বেদীর উপরে রাখলেন। এরপরে তিনি সদাপ্রভুর প্রকাশের অপেক্ষায় রিলেন। এরপরে শকুনের আগমন হয়। আরিজোনা মরুভূমি থেকে আমি বহু শকুনদের আসতে দেখেছি তারা প্রায় ম্যাজিকের মতোই হঠাৎ করে উড়ে আসে। সেখানের বড় রাস্তায় যদি কোন পশুর দুর্ঘটনা ঘটে তখন সেখানের আকাশ অতি সত্বর সেই পাখীতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়; আর তারা গোল হয়ে ঘিরে সেই তাজা মাংস খাওয়ার জন্য জড়ো হয়। তারা অতো তাড়াতাড়ি কি ভাবে সেখানে চলে আসে তা আমি জানি না, কিন্তু তারা আসে। বিজ্ঞান সেই রহস্যকে বহুদিন আগেই সমাধান করে দিয়েছে। যীশু বলেছেন, ‘যেখানে শব থাকে সেখানে শকুন জুটিবে’(ম্যাথু ২৪:২৮)। এই অনুচ্ছেদটি এ্যাব্রাহামের নিয়ম বা চুক্তির বিষয়ে বলে। ইহা ছিল আদি পুস্তক ১২:১-৩ পদে যে প্রতিজ্ঞা করা হয়েছিল তা হল তার প্রমাণ, যেখানে ঈশ্বর তাকে প্রতিজ্ঞা করে যে, তার বংশ কান্নান দেশে দায়াধিকার লাভ করবে। কিন্তু আজকে রাত্রে আমাদের উদ্দেশ্য এই নয় যেন সেই চুক্তির বিষয়ে অধ্যয়ন করি কিন্তু এই পাঠ্যাংশকে এমন ভাবে দেখা যা আজকে আমাদের প্রতি আবেদন জানায়। ইহা করার জন্য আমরা সেই পাঠ্যাংশের প্রতি আলোকপাত করবো। “পরে হিংস্র পক্ষিগণ সেই মৃত পশুদের উপরে পড়িলে এ্যাব্রাহাম তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিলেন” (আদি পুস্তক ১৫:১১) এই উপদেশে,আমরা টুকরো মাংসের যে বলিদান তার প্রতি আলোকপাত করবো এবং সেই পাখী যারা সেখানে তার উপরে নেমে এসেছিল, তার উপরেও। ১. প্রথম, মাংসের বলিদান। পুরাতন নিয়মের সমস্ত প্রকার বলিদান ক্রুশের উপরে খ্রীষ্টের বলিদানের প্রতি নির্দেশ করে। আর আর কোন তারতম্য নেই।. “তখন [এ্যাব্রাহাম] কহিলেন, হে সদাপ্রভু, আমি যে ইহার অধিকারী তাহা কিসে জানিব? তিনি তাহাকে কহিলেন,তুমি তিন বৎসরের এক গাভী, তিন বৎসরের এক ছাগী, তিন বৎসরের এক মেষ এবং এক ঘুঘু ও এক কপোত শাবক আমার নিকটে আন। পরে তিনি সেই সকল তাঁহার নিকটে আনিয়া দুই দুই খন্ড করিলেন এবং এক এক খন্ডের অগ্রে অন্য অন্য খন্ড রাখিলেন, কিন্তু পক্ষিগণকে দ্বিখন্ড করিলেন না”। (আদি পুস্তক ১৫:৮-১০)। এ্যাব্রাহাম যখন জিজ্ঞাসা করলেন যে কি ভাবে তিনি সেই দেশ উত্তরাধিকার লাভ করবেন, এই বিষয়ে আর্থার ডাব্লুউ.পিঙ্ক বলেন ‘সেই চিত্রের যে নমুনা তা অত্যাশ্চর্য্যভাবেই সম্পূর্ণ হয়েছে...। প্রতিটি পশু খ্রিষ্টের পরিশুদ্ধতা ও কার্য্যের নির্দিষ্ট দিকের প্ররব্বাভাস দেয়। এবং তিন বৎসরের যে গাভী বা বাছুর মনে হয় যেন তাঁর বলশালী সতেজতার প্রতি নির্দেশ প্রদান করে; সেই ছাগী যা পাপের প্রায়শ্চিত্তের বিষয়ে তুলে ধরে; সেই মেষ হল এমন পশু যার সঙ্গে লেভীয়দের বলিদান সংযুক্ত হয়ে রয়েছে তা আবার বিশেষ করে পবিত্রকরণের বিষয়ে উল্লেখ করে। স্বর্গ থেকে আগত এক পাখির কথা বলা হয়েছে, যা প্রসঙ্গত আমাদের প্রভুর বলিদানের বিষয়ে প্রস্তাব করে, যিনি নিজেকে তিন বৎসর সেবা করার পরেই উৎসর্গ করেন। এখানে লক্ষ্য করবেন মৃত্যু তাদের সকলকে অতিক্রম করে গেল, কেন না রক্ত সেচন ব্যাতিরেকে পাপের মোচন হয় না আর যেখানে মোচন বা ক্ষমা নাই সেখানে দায়াধিকার বা উত্তরাধিকারও নেই’। (Arthur W. Pink, Gleanings in Genesis, Moody Press, 1981 edition, pp. 168, 169). যে কেউ এই পুরাতন নিয়ম পড়েন তাদের জানা উচিত যে এই পশু বলিদান কতোটাই না গুরুত্বপূর্ণ। আর আমরা যখন নতুন নিয়ম পড়ি তখন আমরা দেখতে পাই যে আমাদের পাপ থেকে উদ্ধার করার জন্য যীশুর দুঃখভোগ এবং মৃত্যু কি ভাবে তাঁর বলিদান ও ত্যাগ স্বীকারের প্রতি নির্দেশ প্রদান করে। হিব্রুজের বই-এ এই ভাবে বলা হয়েছে, “কারণ ছাগদের ও বৃষদের রক্ত এবং অত্তবিদের উপরে প্রেক্ষিপ্ত গাভী ভস্ম যদি মাংসের ও চিতার জন্য পবিত্র করে, তবে যিনি অনন্তজীবি আত্মা দ্বারা নির্দোষ বলি রুপে আপনাকেই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করিয়াছেন। সেই খ্রীষ্টের রক্ত তোমাদের বিবেককে মৃত ক্রিয়াকলাপ হইতে কত অধিক নিশ্চয় না শুচি করিবে, যেন তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের আরাধনা করিতে পার?” (হিব্রুজ ৯:১৩- ১৪) পশু সকলের ও পাখিদের মাংস এ্যাব্রাহামের দ্বারা প্রভুর প্রতি উৎসর্গ করা হয় যা নির্দিষ্ট ভাবেই যীশুর বলিদানের প্রতি স্পষ্ট ভাবে নির্দেশ করে। স্পারজিউওনের সংবাদ বা উপদেশ আমি প্রায় প্রতিদিনই পড়ি। আমি যখন খ্রীষ্টের বলিদানের কথা পড়তে থাকি, তখন ক্রমাগত ভাবে তার যে নির্দেশ সেই বিষয়ে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। তিনি প্রায় সময়ে আমাদের গ্যেৎশিমানি বাগানে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যান। আমাদের বলা হয়েছে তাঁর শরীরের মধ্যে এই জগতের শাপভার যখন চাপিয়ে দেওয়া হয় তখন তিনি (যীশু) মর্মভেদী দুঃখে দুঃখিত হন। তিনি যখন প্রার্থনার সময় ঘামতে থাকেন তখন তাঁকে আমরা আমাদের পাপের জন্য ভেঙে পড়তে দেখি’। আর তাঁর শরীরের ঘাম তখন রক্তে পরিণত হয়ে পরিত্রাতার ধরাশায়ী চরণে ঝরে পড়তে থাকে। এরপরেই সেই মহান প্রচারক আমাদের সেই প্রধান যাজকদের কাছে নিয়ে আনেন। যেখানে যীশুকে গর্জনকারী জনতার দ্বারা টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমরা পরিত্রাতাকে আঘাত প্রাপ্ত হতে দেখি ও তারা তাঁর মুখের উপরে থুতু দিতে থাকে এবং তাঁর দড়ি ধরে টানতে থাকে। এরপরে স্পারজিওন আমাদের নিয়ে যান পীলাতের কক্ষে এবং তিনি আমাদের বলেন যে যীশুর শরীর ও পিঠ কি ভয়ানক ভাবেই না আঘাত করা হয় এবং নিষ্ঠুর কাঁটার মুকুট তাঁর মাথাতে চেপে জোর করে ঠেলে ঢূকিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই তিনি আমাদের পরিচালিত করেন শোক যাত্রায়, বেদনার পথ যেখানে পরিত্রাতা ক্রুশ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ক্রুশের ভারে বার বার গতিরুদ্ধ হয়ে পড়ে যেতে থাকেন। পরিশেষে তিনি আমাদের সেই যীশুর সম্বন্ধে বলেন, যেখানে তার হাত ও পা-কে পেরেক দ্বারা বিদ্ধ করা হয়, আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য তাকে সেই অভিশপ্ত ও জঘন্য ক্রুশে ক্রুশারোপিতকরা হয়! কিন্তু স্পারজিউন মাঝে মাঝে সেখানে থমকে যান। এরপরে তিনি আমাদের সেই কবরের কাছে নিয়ে যান যেখানে যীশুর বস্ত্রাদিগুলি যেন গুছিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল ঠিক সেখানেই যেখানে তাঁর শরীর রাখা হয়েছিল; আর সেখানে আমাদের যেন অন্ধকারের মধ্যে ফেলে আসা হয়, যেখানে আমাদের পরিত্রাতার কবরকে একটি বিরাট পাথরের সিলমোহর দ্বারা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পরেই সেই মহান প্রচারক আমাদের সেই প্রত্যুষের ঘোর অন্ধকারের ভোরবেলা মহিলাদের বিষয়ে তুলে ধরেন যারা সেখানে গিয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে আমরাও যেন ভীষন আতঙ্কিত হয়ে উঠি যেখানে স্বর্গদূত বলে, “তোমরা ভয় করিও না, কেননা আমি জানি যে, তোমরা ক্রুশাহত যীশুর অণ্বেষন করিতেছ। তিনি এখানে নাই। কেন না তিনি উঠিয়াছেন, যেমন বলিয়াছেন” (ম্যাথু ২৮:৫-৬) হাল্লেলুইয়া! হাল্লেলুইয়া! হাল্লেলুইয়া! “ফলতঃ প্রথমস্থলে আমি তোমাদের কাছে এই শিক্ষা সমর্পন করিয়াছি এবং ইহা আপনিও পাইয়াছিলেন যে, শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরিলেন ও কবর প্রাপ্ত হইলেন, আর শাস্ত্রানুসারে তিনি তৃতীয় দিবসে উত্থাপিত হইয়াছেন” (১ করিনথিয়ান্স ১৫:৩-৪) সেটাই তো সুসমাচার! সেটাই আমাদের সংবাদ! সেটাই আমাদের গীত! আর সেটাই আমাদের প্রত্যাশা! আর সেতাই এ্যাব্রাহামের বলিদান তাঁর প্রতি প্রতিবিম্বিত করে! আমেন এবং আমেন! “পরে হিংস্র পক্ষিগণ সেই মৃত পশুদের উপরে পড়িলে এ্যাব্রাহাম তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিলেন” (আদি পুস্তক ১৫:১১) ২.দ্বিতীয়, সেই পাখী যা নেমে এসেছিল হিব্রু ভাষায় ইহার আক্ষরিক অর্থ রয়েছে, ‘শকুনেরা’। এই শবালীপাখী কিসের প্রতি আলোকপাত করে। তারা কিসের সঙ্গে প্রতিবিম্বিত করে? এখানে তারা যে শয়তান এবং তার অশুচি পশুদের বিষয়য়েই যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এই বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। এই সময়ে আমাদের মন্ডলীতে কতো অল্পই না এই সমস্ত অশুভ শক্তির সম্বন্ধে বলা হয়। যে মুহুর্তে আমাদের জাতি যখন মন্দতায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে আর তখন থেকেই আমরা প্রতিদিন পাপের কেলেঙ্কারীর বিষয়ে শুনছি যার বিষয়ে আমি যখন ছোট ছিলাম সেই বিষয়ে আমি তা জানতামই না। অন্ধকারের এই ঘন্টায় আমরা প্রায় শয়তানের ও তার মন্দ আত্মাদের বিষয়ে কিছুই শুনি না বললেই হয় যাদের বিষয়ে পুলপিট বা প্রচার বেদী থেকে প্রচারিত হওয়ার কথা। আমাদের কেবলমাত্র আনন্দ দায়ক কিছু সংবাদ বা উপদেশ দেওয়ার দ্বারা বহু প্রচারক আমাদের কাছে ‘সেই প্রত্যক্ষ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে, সেই পরাক্রিমের বিরুদ্ধে, এই জগতের যে অধিপতি সেই অন্ধকারের জগৎপতির বিরুদ্ধে এবং স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগনের বিরুদ্ধে’ বহু প্রসারিত করা থেকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছে।(এফেসিয়ানস ৬:১২)। কিন্তু সেই অশুভ তত্ত্ব অস্বীকার করার দ্বারা তারা আমাদের লোকেদের শয়তানের কাছে এক সহজ বা সরল শিকার করে রেখেছে যে, ‘গর্জন কারী সিংহের ন্যায় কাকে গ্রাস করবে তার অন্বেষণ করে রেখেছে’ (১-পীটার ৫:৮)। প্রভু যীশু সেই বিষয়ে বলেছেন, ‘আকাশের পক্ষিগণ’ তারা সুসমাচারের মহামূল্যবান বীজ ধ্বংস করার জন্য আসে (লিউক ৮:৫)। আর সেই পাখীরা কারো এই বিষয়ে যীশু আমাদের সন্দেহের মধ্যে রাখেন নি, কেননা তিনি বলেছেন, ‘পরে শয়তান আসিয়া তাহাদের হৃদয় হইতে সেই বাক্য হরণ করিয়া লয় যেন তাহারা বিশ্বাস করিয়া পরিত্রাণ না পায়’(লিউক ৮:১২)। “পরে হিংস্র পক্ষিগণ সেই মৃত পশুদের উপরে পড়িলে এ্যাব্রাহাম তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিলেন” (আদি পুস্তক ১৫:১১) চুক্তি বা নিয়মের সেই বলিদান দিয়াবলের দ্বারা ধ্বংস করার জন্যই যে সেই পাখীদের পাঠানো হয়েছিল এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। হ্যাঁ, দিয়াবল প্রতিটি মুহুর্তে এই ভাবেই আসে যেন পাপীদের হৃদয় মধ্য থেকে সুসমাচারকে উৎপাটন করতে পারে এবং ইহাকে যেন মন্ডলীর মধ্য থেকেও উৎপাটন করতে পারে! বিংশতিতম শতাব্দীর প্রারম্ভে ক্রুশের উপরে খ্রীষ্টের প্রতিকল্পনকারী মৃত্যু এর বিরুদ্ধেই এসেছিল। এটাই ছিল শয়তানের পৈশাচিক আক্রমণ যার বিরুদ্ধে স্পারজিউন অত্যন্ত কঠিন ভাবে অত্যন্ত ভালো করেই সেই বিষয়ে প্রচার করেন। আমাদের সময়ে এই আক্রমণ এখন আরো জটিল তম। প্রচারকেরা খ্রীষ্টের প্রতিকল্পনাকারী বলিদান ও মৃত্যু সম্বন্ধে কেবল মুখেই তাঁর কথা বলেন—কিন্তু ইহার বিষয়ে তারা অত্যন্ত অল্পভাবেই প্রচার করেন! এমন কি ভিত্তিমূলক প্রতিষ্ঠিত যে মন্ডলীগুলো রয়েছে সেখানেও আমরা খ্রীষ্টের বলিদান ও মৃত্যু সম্বন্ধে খুব অল্প সময়েই শুনে থাকি। ডাঃ মাইকেল এস. হর্টন নির্দেশ করেন যে, নামে মাত্র কোন একজনই খ্রীষ্টের এই ভীষণ রাগের বিষয়ে প্রচার করে থাকেন। তার যে বই তার নামকরণ হল ‘খ্রীষ্ট বিহীন খ্রীষ্ট ধর্ম’ (Baker, 2008)। আমার ইচ্ছা আমেরিকার প্রতিটি প্রচারক যেন ইহা পড়ে—আর ইহার পরে তারা যেন নিজেদের জিজ্ঞাসা করে, ‘ কখন আমি সেই সংবাদ প্রচার করেছি যা সম্পূর্ন ভাবে খ্রীষ্টের উপরে’? আমার মনে হয় তারা যদি সততার সঙ্গে এই প্রশ্ন নিজেদের জিজ্ঞাসা করে তবে তারা প্রচন্ড অভিঘাত পাবে। আজকের প্রায় সব সংবাদ আলোকপাত করে মানুষের প্রয়োজন, মানুষের অনুভুতি, মানুষের সমস্যা, মানুষের সুখের বিষয়ে কিন্তু খ্রীষ্ট কেন্দ্রিক নয়। ডাঃ ডেভিড এফ.ওয়েলস নিজেও এই প্রবণতাকে লক্ষ্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সুসমাচার প্রচার মূলক বিষয়ের অনেকটাই বাস্তবে আত্মকেন্দ্রিক ঈশ্বর কেন্দ্রিক। ইহা কেবল মাত্র আমরা কি করি, আমরা কি পাই সেই সম্বন্ধে কিন্তু এখানে ঈশ্বর আমাদের প্রতি কি করেছেন, তিনি খ্রীষ্টের মধ্যে আমাদের কি দিয়েছেন সেই বিষয় নয়—ঈশ্বর খ্রীষ্ট যীশুর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আমাদের বদলে কি দিয়েছেন সেই বিষয় নয়’। (David F. Wells, Ph.D., The Courage to Be Protestant, Eerdmans, 2008, pp. 182, 183). আপনি কি মনে করেন তিনি অত্যন্ত কঠিন ছিলেন? আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন, শেষ বারের মতো কখন আপনি খ্রীষ্টের ক্রুশ রোপণ, পুণরত্থান এবং তাঁর দ্বিতীয় আগমণের (আমাদের মগ্নতা বা উত্তেজনা পূর্ণ আনন্দের বিষয়ে নয় কিন্তু তাঁর দ্বিতীয় আগমন) প্রচার শুণেছেন? এমনকি বাইবেল বিশ্বাসী মন্ডলীতেও প্রায় সংবাদ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজন ও আবেগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত—তা খ্রীষ্টের বিষয়ে বা খ্রীষ্ট কেন্দ্রিক নয়! “পরে হিংস্র পক্ষিগণ সেই মৃত পশুদের উপরে পড়িলে এ্যাব্রাহাম তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিলেন” (আদি পুস্তক ১৫:১১) কোন একটা জায়গাতে, কোন ভাবে, কেউ একজনের উঠে দাঁড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে যেন খ্রীষ্টের বলিদানের উপর থেকে সেই শকুনদের তাড়িয়ে দেয়! কোন একটা জায়গাতে, কোন ভাবে, কেউ একজনকে উঠে দাঁড়িয়ে প্রেরিত পলের সঙ্গে এই কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে, “কেননা আমি মনে স্থির করিয়াছিলাম, তোমাদের মধ্যে আর কিছুই জানিব না। কেবল যীশু খ্রীষ্টকে এবং তাঁহাকে ক্রুশে হত বলিয়াই জানিব” (১ করিনথিয়ান্স ২:২) কেউ একজন বলেছেন, ‘সেই ভাবে আমাদের প্রয়োজন মেটে না’। আমি বলি ইহা আমাদের প্রয়োজনকে মেটাবে, জনপ্রিয় মনো বিজ্ঞানী ওফরা উইনফ্রে, রিডারস ডাইজেস্ট বা জোয়েল অষ্টিনের মতো সতর্ক সংকেত প্রদান কারী ব্যাক্তির থেকে বেশি করে ইহা আমাদের প্রয়োজন মেটাবে! তাই প্রেরিতেরা বলেছেন, “কিন্তু তাহা হইতে তোমরা সেই খ্রীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি হইয়াছেন আত্মাদের জন্য ঈশ্বর হইতে জ্ঞান—ধার্মিকতা, পবিত্রতা ও যুক্তি – যেমন লেখা আছে, যে ব্যাক্তি শ্লাঘা করে সে প্রভুতেই শ্লাঘা করুক”( ১ করিনথিয়ান্স ১:৩০-৩১) “কেননা ইহুদীরা চিহ্ন চায়, এবং গ্রীকেরা জ্ঞানের অন্বেষন করে; কিন্তু আমরা ক্রুশে হত খ্রীষ্টকে প্রচার করি; তিনি ইহুদীদের কাছে বিঘ্ন ও পরজাতিদের কাছে মূর্খতা স্বরুপ, কিন্তু ইহুদী ও গ্রীক আহুত সকলের কাছেই খ্রীষ্ট ঈশ্বরের পরাক্রম ও ঈশ্বরেরই জ্ঞানস্বরুপ’। (করিনথিয়ান্স ১:২২-২৪) খ্রীষ্ট হলেন ঈশ্বরের পরাক্রম! খ্রীষ্ট হলেন ঈশ্বরের জ্ঞান! খ্রিষ্টই হলেন সমস্ত কিছু যাকে আমার প্রয়োজন! আর খ্রিষ্ট হলেন সমস্ত কিছু যাকে আপনার প্রয়োজন! যারা সেই প্রিত্রাতাকে জানেন তারা পলের সঙ্গে এই ভাবে বলতে পারেন, “যিনি আমাকে শক্তি দেন, তাঁহাতে আমি সকলই করিতে পারি" (ফিলিপিয়ানস ৪:১৩) প্রত্যেকে যারা এই সংবাদ শোনেন তারা সংকল্প নিন যেন আপনারা যীশুর নামকে এবং ক্রুশের উপরে মৃত্যু বরণ করে যে প্রেম প্রদর্শন করেছেন, সেই নামকে উন্নত করবেন। আসুন আমরা প্রত্যেকেই সেই পুরাতন সুসমাচারের প্রতি আমাদের জীবনকে সমর্পন করি, ইহাকে বিশ্বাস করি, প্রচার করি এবং যারা হারিয়ে গিয়েছে তাদের কাছে সেই সাক্ষ্য প্রদান করি! তাদের যা প্রয়োজন তা কেবল্মাত্র জন প্রিয় মনোবিজ্ঞানীর বা আত্ম সহায়তার বাক্য নয়। তাদের যা প্রয়োজন তাহল রক্তে সিক্ত হওয়া খ্রিষ্টের সুসমাচার। আমি স্বর্গের অলক্ষিত কাহিনী বলতে পছন্দ করি সেই করুণা আমার জীবনকে পুণরায় লিখেছেন আমি তাঁর প্রশংসা করবো! আমি তাঁর প্রশংসা করবো! “পরে হিংস্র পক্ষিগণ সেই মৃত পশুদের উপরে পড়িলে এ্যাব্রাহাম তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিলেন” (আদি পুস্তক ১৫:১১) এখন হারিয়ে যাওয়া পাপীরা সতর্কতার সঙ্গে শুনুন। খ্রীষ্ট যীশু আপনার জায়গায় মরলেন যেন আপনার পাপের জন্য ক্রুশের উপরে মূল্য প্রদান করলেন। তিনি যখন ক্রুশে যান তখন আপনিই ছিলেন তাঁর মনের মধ্যে। তিনি যখন রক্তাত্ত অবস্থায় বেদনা সহকারে যন্ত্রণায় ঝুলছিলেন তখন আপনিই ছিলেন তাঁর মনের মধ্যে যেন আপনার পাপের জন্য মূল্য চুকিয়ে দেন। ‘ইহা সমাপ্ত হইল’ বলে তিনি যখন চিৎকার করে উঠলেন, তখন তাঁর মনের মধ্যে আপনিই ছিলেন, আর আপনার পাপের প্রায়শ্চিত্ত স্বরুপ তিনিই আপনার জায়গাতে মৃত্যু বরণ করলেন। আর আজকের রাত্রে সেই যীশুই স্বর্গ থেকে দৃষ্টিপাত করছেন। তিনি আপনার জন্য প্রার্থনা করছেন। তাঁর মনের মধ্যে আপনিই রয়েছেন। তিনি ডাক দিয়ে আপনাকে বলছেন, ‘আমার কাছে আইস, আমি তোমাদের বিশ্রাম দিব’ (ম্যাথু ১১:২৮)। আপনি কি তাঁর কাছে আসবেন? আজ রাত্রে আপনি কি তাঁর প্রতি নির্ভর করবেন? শয়তান আপনার কাছে এসে কানে কানে ফিস ফিস করবে ‘ইহা ঘটবে না, কিছু হবে না। তুমি উদ্ধার লাভ করবে না’। দিয়াবলকে তাড়িয়ে দিন—ঠিক যেমন ভাবে এ্যাব্রাহাম সেই শকুনদের তাড়িয়ে দিয়ে ছিলেন। আপনার সেই নোংরা বন্ধুদের কথা শুনবেন না। আর চিন্তা সকল প্রত্যাখান করুন। সেই বলিদানের কাছ থেকে তাকে তাড়িয়ে দিন। আসুন আপনার হৃদয়ে যীশুর উপরে নির্ভর করুন। তিনি আপনাকে ক্ষমা করবেন। তিনি আপনাকে ধার্মিক গণিত করবেন। তিনি আপনাকে এখনই উদ্ধার করবেন। আমরা সেই ছোট কোরাস গুলো গাইতে চলেছি—‘সেই করুণা আমার জীবনকে পুণরায় লিখেছেন’ এবং ‘আমি তাঁর প্রশংসা করবো’। পরিত্রাণ লাভ করার বিষয়ে আপনি যদি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান আর প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ান হয়ে উঠতে চান তবে আমরা যখন গান গাইছি তখন পিছনের যে ঘর রয়েছে সেখানে আপনি চলে আসুন। ডাঃ কাগান আপনাকে সেই ঘরে নিয়ে যেতে সাহায্য করবেন যেখানে আপনি কথা বলতে ও প্রার্থনা করতে পারেন। আমরা যখন গান গাই তখন সেখানে চলে যান। সেই করুণা আমার জীবনকে পুণরায় লিখেছেন সংবাদের পরিসমাপ্তি You may email Dr. Hymers at rlhymersjr@sbcglobal.net, (Click Here) – or you may |
সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ কিউ ডং লিঃ আদিপুস্তক ১৫:১-১৮
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথ ঃ
“A Crown of Thorns” (by Ira F. Stanphill, 1914-1993).
খসড়া চিত্র বলিদানের থেকে শকুনদের বিতাড়িত করা (আদি পুস্তক থেকে ৬৮ সংখ্যার উপদেশ) লেখকঃ ডাঃ আর .এল.হাইমার্স,জুনি. “পরে হিংস্র পক্ষিগণ সেই মৃত পশুদের উপরে পড়িলে এ্যাব্রাহাম তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিলেন” (আদি পুস্তক ১৫:১১) (রোমানস৪:৩; আদিপুস্তক ১৫:৬; cf. জেরেমিয়া ৩৪:১৮-২১; ম্যাথু ২৪:২৮) ১. প্রথম, মাংসের বলিদান। ২. দ্বিতীয়, সেই পাখী যা নেমে এসেছিল। |