Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




বড়দিনের নীতিগত বিরোধ

৬৬ নং সংখ্যার উপদেশ- আদি পুস্তকের উপরে
THE CHRISTMAS CONFLICT
(SERMON #66 ON THE BOOK OF GENESIS)
(Bengali)

লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি.
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

৯-ই ডিসেম্বর-২০১২ সালে, প্রভাতকালীন মুহুর্তে সদা প্রভুর দিনে লস এঞ্জেলেসের
ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনাকেলে একটি উপদেশ প্রচারিত হয়
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, December 9, 2012

“পরে সদা প্রভু ঈশ্বর সম্পর্কে কহিলেন, তুমি এই কর্ম করিয়াছ, এই জন্য গ্রাম্য ও বন্য পশুগণের মধ্যে তুমি সর্ব্বাপেক্ষা অধিক শাপগ্রস্ত; তুমি বুকে হাঁটিবে এবং যাবজ্জীবন ধুলি ভোজন করিবে। আর আমি তোমাতে ও নারীতে এবং তোমার বংশে ও তাহার বংশে পরস্পর শত্রুতা জন্মাইব; সে তোমার মস্তক চূর্ণ করিবে এবং তুমি তাহার পাদ মূল চূর্ণ করিবে” (আদি পুস্তক ৩ঃ১৪-১৫)


আমি আশা করি আদিপুস্তকে যে সর্পের কথা উল্লেখ হয়েছে তাকে আপনি রুপকথার কাহিনী বলে চিন্তা করবেন না। আদি পুস্তক বইটিকে এমন অভিপ্রায়ে পড়তে হবে যে সেটি এক প্রকৃত ইতিহাস। সেখানে প্রকৃত পক্ষে একটি সর্প ছিল। ইডেন উদ্যান নামে একটা উদ্যান সেখানে ছিল। প্রকৃত আদম ও ইভ সেখানে ছিলেন যারা বাস্তবে পাপ করেছিলেন। এর পরিণাম স্বরুপ মনুষ্য জাতি পতিত হয় আর মনুষ্য সমাজ এর জন্য সম্পুর্ণ ভাবেই কলুষিত হয়ে পড়ে।

প্রকাশিত বাক্য, বাইবেলের শেষ বইটি তাকে লুসিফার নামে ডাকে, ‘সেই পুরাতন সর্প, যাকে ডেভিল, শয়তান বলা হয়, জে সমুদয় জগতকে প্রবঞ্চিত করে’(প্রকাশিত বাক্য ১২ঃ৯)। ইভকে পরীক্ষা করার জন্য শয়তান অণ্বেষণ করলো আর মনুষ্য জাতিকে ধ্বংস করে দিল। কিন্তু সেই শয়তান তার কাছে আত্মার আবেশে আবির্ভুত হয় নি কারণ আত্মা হল অদৃশ্য। অতএব তাকে জীবন্ত শরীরের মধ্যে প্রবেশ করতে হল, ঠিক যেমন খ্রীষ্টের সময়ে সেই শয়তান ও তার বাহিনীরা সেই শূকরের মধ্যে প্রবেশ করেছিল। আর ঠিক এই ভাবেই মনুষ্য জাতিকে পাপ কার্য্যে পতিত হওয়ার জন্য পরিকল্পনা নিল, এইভাবে শয়তান সরীসৃপ সর্পের মধ্যে প্রবেশ করিল।

ঈশ্বর যখন সেই সর্পের সঙ্গে আদান প্রদান করতে এলেন, তখন প্রশ্ন করেন নি সে দোষ করেছে কি’না, কেননা ইতিমধ্যেই ঈশ্বর সর্পের দোষ সম্বন্ধে অয়াকি বহাল ছিলেন। আর তাই তিনি সেই সর্পের প্রতি এই কথা উচ্চারণ করলেন,

“পরে সদা প্রভু ঈশ্বর সম্পর্কে কহিলেন, তুমি এই কর্ম করিয়াছ, এই জন্য গ্রাম্য ও বন্য পশুগণের মধ্যে তুমি সর্ব্বাপেক্ষা অধিক শাপগ্রস্ত; তুমি বুকে হাঁটিবে এবং যাবজ্জীবন ধুলি ভোজন করিবে”। (আদি পুস্তক ৩ঃ১৪)

এটা নিশ্চয় আমাদের প্রথম /আদি পিতা ও মাতাকে উৎসাহিত করেছিল। শয়তান ছিল তাদের শত্রু। সেই তাদের পাপের প্রতি প্ররোচিত করে তাদের ধংস করে দিয়েছিল। সে আবার ঈশ্বরেরও শত্রু ছিল। অতএব ঈশ্বর শয়তানকে বলেছিলেন তিনি ‘নারীর গর্ভে’ একজনকে পাঠাবেন আর তার দ্বারা শয়তানের মস্তককে চূর্ণ করবেন এবং মনুষ্য জাতি আশীর্বাদ লাভ করবে।

“আর আমি তোমাতে ও নারীতে এবং তোমার বংশে ও তাহার বংশে পরস্পর শত্রুতা জন্মাইব; সে তোমার মস্তক চূর্ণ করিবে এবং তুমি তাহার পাদ মূল চূর্ণ করিবে” (আদি পুস্তক ৩ঃ১৫)

সেই পাঠ্যাংশ থেকে আমি তিনটি বিষয় নির্দেশ করবো।

১. প্রথম,নারীর বংশ খ্রীষ্টের প্রতি নির্দেশ প্রদান করে।

‘নারীর গর্ভজাত বংশ’ হবার মানবীয় বংশের প্রতি কেবল মাত্র নির্দেশ যার মানবীয় দিক থেকে কোন পিতা থাকবেন না। বাইবেলের প্রতিটি জায়গাতেই এই “বীজ” নির্দেশ করে কেবল মাত্র পুরুষের বিচার্য্য বিষয় বলে, কেবল মাত্র সেই “বীজ”-ই নারীর গর্ভের ডিম্বাণুতে গর্ভ ধারণ করার জন্য প্রবেশ করে। অতএব সেই ‘নারীর বীজ’ অলৌকিক ভাবেই নারীর গর্ভের মধ্যে রোপন করতে হবে। আর তাই এই যে ভাব বানী তা পরিষ্কার ভাবেই ভবিষ্যতে কুমারীর গর্ভে খ্রীষ্টের জন্ম বিষয়ে বার্তা বহন করে। কুমারী মরিয়মের গর্ভে রোপিত হওয়ার মধ্য দিয়ে খ্রীষ্ট আর সেই পাপ পূর্ণ স্বভাবকে লাভ করলেন না যা আদমের সমস্ত বংশে যারা জন্ম গ্রহন করেছে তা থেকে এই ভাবে জন্ম পরিত্রাতাকে পাপ থেকে দূরে রাখলেন। স্বর্গ দূত গাব্রিয়েল যেমন ভাবে মরিয়ম’কে বলেছিলেন,

“দূত উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, পবিত্র আত্মা তোমার উপরে আসিবেন, এবং পারাৎপারের শক্তি তোমার উপরে ছায়া করিবে এবং কারণ যে পবিত্র সন্তান জন্মিবেন তাঁহাকে ঈশ্বরের পুত্র বলা যাইবে”। (লিউক ১ঃ৩৫)

“আর আমি তোমাতে ও নারীতে এবং তোমার বংশে ও তাঁহার বংশে পরস্পরে শত্রুতা জন্মাইব; সে তোমার মস্তক চূর্ণ করিবে এবং তুমি তাহার পাদমূল চূর্ণ করিবে”। (আদি পুস্তক ৩ঃ১৫)

২. দ্বিতীয়, সেখানে নারীর ও সর্পের বংশের মধ্যে সীমাহীন দ্বন্দ্ব চলবে।

ঈশ্বর বললেন,

“আমি তোমার বংশে ও তাঁহার বংশে, পরস্পরে শত্রুতা জন্মাইব” (আদি পুস্তক ৩ঃ১৫)

নারীর গর্ভের বংশে এবং সর্পের বংশ মধ্যে চিরকাল শত্রুতা, বৈরীভাবাপন্নতা ও ঘৃণা থাকবে। ডাঃ জন গিল (১৬৯৭-১৭৭১) বলেছেন, ‘সমস্ত যুগে মন্ডলী এবং শয়াতানের মধ্যে ইহা এতটাই সত্য জে এদের দুজনের মধ্যে যেখানে মজ্জাগত ভাবে বিরুদ্ধাভাবপন্ন এক মনোভাব এবং চিরস্থায়ী দ্বন্দ্ব রয়েছেঃ এবং তোমার বংশ ও তাহার বংশে.... মন্দ স্বর্গদূতেদের এবং মন্দ মানুষদের (খ্রীষ্ট) সর্প বলে অভিহিত করেন; এবং আরো একদিকে রয়েছে কুটিল বিশ্বাস ঘাতক লোক এবং অপর দিকে রয়েছে ঈশ্বরের লোকেরা যাকে বলা হয় মন্ডলীর বংশ! এর আগে যেমন ভাবে ঘৃণা ও তাড়না ঘটেছিল আর ঠিক সেই ভাবে সেই একই ঘটনা ঘটে চলেছে’। (জন গিল, ডি. ডি., An Exposition of the Old Testament, The Baptist Standard Bearer, 1989 reprint, volume I, p. 27; আদি পুস্তক ৩ঃ১৫-র মন্তব্য)

এখানে আমরা চিরস্থায়ী একটা দখলের বিষয়ে দেখতে পাচ্ছি খ্রীষ্টের শক্তি ও শয়তানের দলবলের মধ্যে চিরন্তন এক যুদ্ধ বা দ্বন্দ্ব এখানে প্রকাশমান। যারা শয়তানকে তাদের পিতা বলে মানে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট খুবই সরল ভাবে তাদের বিষয়ে বলেছেন, আর তারাই হল বংশ। তাদের তিনি বলেছেন,

“তোমরা আপনাদের পিতা শয়তানের এবং তোমাদের পিতার অভিলাষ সকল পালন করাই তোমাদের ইচ্ছা....” (যোহান ৮ঃ৪৪)

আর যোহানের প্রথম পত্রে আমরা পড়ি,

“ইহাতে ঈশ্বরের সন্তানগণ ও শয়তানের সন্তান গন প্রকাশ হইয়া পড়ে,যে কেহ ধর্মাচারণ না করে, এবং যে ব্যাক্তি আপন ভ্রাতাকে প্রেম না করে সে ঈশ্বরের লোক নয়”। (১-ম যোহান ৩ঃ১০)।

সর্পের বংশ হল ‘শয়তানের সন্তান রুপ’। নারীর বংশের সন্তান হল ‘ঈশ্বরের সন্তানেরা’। আর সেই হল ১-ম যোহান ৩ঃ১০ পদের উক্তি। অত্যন্ত আগে থেকেই এই বিভাজনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যখন কেইন তার ভাই আবেলকে হত্যা করে। কেইন ছিল সর্পের বংশের আর আবেল ছিল নারীর বংশের, যিনি হলেন খ্রীষ্ট। তাই বাইবেল বলে,

“কেইন যেমন সেই পাপ আত্মার লোক এবং আপন ভ্রাতাকে বধ করিয়াছিল তেমন যেন না হই। আর সে কেন তাহাকে বধ করিয়াছিল? কারণ এই যে, তাহার নিজের কর্ম মন্দ কিন্তু তাহার ভ্রাতার কার্য্য ধর্মানুযায়ী ছিল”। (১-ম যোহান৩ঃ১২)

শয়তানের সন্তানেরা হল সর্পের বংশের লোক যাদের মধ্যে রয়েছে প্রকৃত শত্রুতা, বৈরীভাব, ঘৃণা এবং খ্রীষ্টের সন্তানের প্রতি শত্রুতা, নারীর বংশজাত সন্তানদের প্রতি। যীশু সর্পের বংশকে ‘এই জগৎ’ বলে আখ্যা দেন। শয়তানের আধিপত্যের মধ্যে বর্তমান দিনের এই জগৎ প্রকৃত খ্রীষ্টীয়ানের এক শত্রু। তাই যীশু বলেছেন,

“জগৎ যদি তোমাদিগকে দ্বেষ করে, তোমরা তো জান যে তোমার পূর্বে আমাকে দ্বেষ করিয়াছে। তোমরা যদি জগতের হইতে, তবে জগৎ আপনার নিজস্ব ভালোবাসিত; কিন্তু তোমরা তো জগতের নয় বরং আমি তোমাদিগকে জগতের মধ্য হইতে মনোনিত করিয়াছি, এই জন্য জগৎ তোমাদিগকে দ্বেষ করে”। (যোহান ১৫ঃ ১৮-১৯)।

“তোমরা যদি জগতের হইতে, তবে জগৎ আপনার নিজস্ব ভালোবাসিত; কিন্তু তোমরা তো জগতের নয় বরং আমি তোমাদিগকে জগতের মধ্য হইতে মনোনিত করিয়াছি, এই জন্য জগৎ তোমাদিগকে দ্বেষ করে”। এই “জগৎ” হল সর্পের বংশ। তারা নারীর বংশকে ঘৃণা করে যিনি হলেন খ্রীষ্টের বংশ। আর এই কারণেই খ্রীষ্টীয়ানদের ঘৃণা ও তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়।

এগুলো আপনাকে সেই সন্তানদের ব্যাখা করার প্রয়োজন নেই; যদি তাদের কোন একজন প্রকৃত খ্রীষ্টীয়ান হয় তখন অন্যরা তার বিরুদ্ধে দলবদ্ধ হয়ে টিটকারী দিতে শুরু করে। তারা এই সমস্ত বিষয় গুলো বলতে থাকে, ‘তুমি মনে কর যে তুমি ভালো মানুষ’। সেই আদি যুগ থেকেই সর্পের সন্তানেরা শত্রুতা করতে থাকে এবং ঈশ্বরের সন্তানদের প্রতি ঘৃণা করতে থাকে। ‘আমি তোমার বংশে ও তাহার বংশে শত্রুতা জন্মাইব’(আদি পুস্তক ৩ঃ১৫)। ইহা বার প্রাপ্ত বয়স্ক মন্ডলীর মধ্যেও ঘটে। যখন মন্ডলীতে হারিয়ে যাওয়া কিশোর বা কিশোরীরা তাদের কোন এক বন্ধুকে খ্রীষ্টিয়ান হতে থাকে তখন তারা তার থেকে ফিরে দাঁড়াবে। তার পিছনে কথা বলতে শুরু করবে। আর অপবাদ দিতে থাকে আর নির্দিষ্ট ভাবে ইচ্ছা করেই তার মধ্যে ভুল খঁজে বের করার চেষ্টা করে যাতে তারা তার বিষয়ে মন্দ কথা বলতে পারে। প্রায় পালকের সন্তানেরা এই প্রকার বিবেকের কাছে নতি স্বীকার ও চাপের মধ্য দিয়ে যায়। বেশ কিছু বৎসর আগে, যখন বেশ কিছু মন্দ লোক আমাদের সানডে স্কুলের তত্ত্বাবধায়ক ছিল তখন আমার বালককে ক্রমাগত ভাবে ঘরের কোণে বসিয়ে রাখা হতো, আর এমন কি সামান্য বিষয়েও তাকে নিয়মানুবর্তিতার মধ্য দিয়ে যেতে হতো এবং প্রায়ই সেগুলো কোন কিছুই নয়। এইভাবে বেশ কিছুদিন যাবৎ হতেই থাকে এইজন্য কেননা পালকের প্রতি তাদের শত্রুতা জন্মেছে। এবং পরিশেষে তা ঈশ্বরের প্রতিও তা করায়। যে কোন শিশু যারা যে কোন মন্ডলীর মধ্য দিয়ে আসে তাদের এই প্রকার পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হতো আর তা না হলে তারা প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ান হবে না। শিশুদের একটি গান তার সমস্ত কিছুকেই পরিষ্কার করে দেয়;

প্রভুর দিকে কে রয়েছে? কেই বা করবে রাজার সেবা?
   কারা হিবে সাহায্যকারী? অন্যেরা জীবন যাপন করবে আনার জন্য?
কারা জগতের স্থান ছাড়তে চায়? কারাই বা হবে শত্রুর সম্মুখীন?
   প্রভুর দিকে কে রয়েছে? কেই বা এগিয়ে যাবে তার জন্য?
(‘প্রভুর দিকে কে রয়েছে?’ লেখক ফ্রান্সিস আর. হ্যাভারগেল, ১৮৩৬-১৮৭৯)

মন্ডলীর মধ্যে প্রায় পরিপক্ক বয়স্করা অনুভব করতে পারে না যে সানডে স্কুল বা শিশু ও বাচ্চাদের দল সবসময়েই সর্পের বংশ ও খ্রীষ্টের বংশের মধ্যে এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ বা দ্বন্দ্বের ক্ষেত্র।

নিশ্চিত ভাবে এটা আবার যারা প্রাপ্ত বয়স্ক তাদের প্রতিও বাস্তব। সভার মধ্যে প্রচারকেরা প্রায় সময়ে সেই সমস্ত কনভার্টহীন লোকেদের দ্বারা দুর্বল চিত্ত এবং ভীতি প্রদর্শন করা হয়। লক্ষণীয় ভাবেই, আজকে পালকেরা অনুভব করতে পারেন না কেন তাদের মন্ডলীতে নিশ্চিত কিছু লোক তাদের বিরুদ্ধাচারণ করে। আমি বিশ্বাস করি ঈশ্বর ভয়শীল পালকেরা সব থেকে বৃহত্তর যে সমস্যার সম্মুখীন হোন, যা মন্ডলীর মধ্যে সৃষ্টি করা হয় তাদের দ্বারাই যারা খ্রীষ্টের বংশের থেকে বরং সর্পের বংশ তাই। মন্ডলীর হারিয়ে যাওয়া সদস্যরা ক্রমাগত ভাবে সমস্যার সৃষ্টি করেন।

এই যে দ্বন্দ্ব তা এমন কি কার্য্য স্থলে পর্যন্ত প্রবাহিত হয়। কার্য্য স্থলে কোন একজন খ্রীষ্টীয়ানকে প্রায় একাকী বোধ করতে হয় এবং প্রায় সমালোচনা ও দোষারোপের মধ্যে পড়তে হয়। এমনকি সামান্য বিষয়েও। আপনি যদি কার্‍্য্য স্থলে কার্‍্য্য করছেন তবে আপনি জানেন আমার কথা র অর্থ কি! আর এই বিষয়ে আমি আপনাকে বলছি বলে আপনি ভাববেন না যে আমাদের মধ্যে কোন ভুল রয়েছে। ইহা হল সেই একমাত্র ক্রুশ যা প্রতিটি খ্রীষ্টিয়ানকে বহ্ন করে নিয়ে যেতে হবে।

খ্রীষ্টমাস বা বড়দিন বিষয়টি তাহলে কি? সমস্ত কিছুর উপরে এই উপদেশের যে শিরোনাম তা হল, ‘বড়দিনের নীতিগত বিরোধ’। আর সেটাতো ভালোই একটা শিরোনাম কেন না আজকে বড়দিন বা খ্রীষ্টমাসকে কেন্দ্র করে বহু নীতিগত বিরোধ বয়ে চলেছে। সংবাদ ভাষ্যকারী বিল ও. রিলি ইহাকে বলেন, ‘বড়দিনের দ্বন্দ্ব বা যুদ্ধ’।পূর্ব রাজ্যের যে সরকার রয়েছেন তিনি রাজ্যের সেই গাছটিকে ‘খ্রীষ্টমাসের গাছ’ বলতে প্রত্যাখান করেন। তিনি ইহাকে ‘ছুটির দিনের গাছ’ বলে অভিহীত করেন। এই বিষয়ে সেখানে বহু কিছুই বলার আছে।

বিলি গ্রাহামের চলতি সময়ের ‘ডিসিশান(সিদ্ধান্ত)’ (ডিসেম্বর,২০১২) নামক ম্যাগাজিনে একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন যার নাম ‘সমাজ যখন খ্রীষ্টের সমালোচনায় মগ্ন তখন রুখে দাঁড়ান’। সেই প্রতিবেদন একজন মায়ের বিষয়ে বলে যিনি অনেক আরো অনেক মায়েদের স্থানীয় স্কুল চত্বরে আসতে দেখেন, তারা সেখানে বিভিন্ন প্রকার ছুটির বিষয়ে মতামত পোষণ করেন যেমন ধরুন, ধর্ম এবং সংস্কৃতি। তাকে যখন বলা হল তিনি যদি সেই একই বিষয় খ্রীষ্টের জন্য করেন তখন তিনি বললেন, “হ্যাঁ”। ঠিক অন্যান্য মায়েদের মতোই তিনি একটি বই থেকে সেই ছুটির ভিত্তি সম্বন্ধে ব্যাখা করতে চাইলেন। যাই হোক না কেন, তার বই, সেটা ছিল বাইবেল। তিনি যখন সেই বইটা বের করলেন, তখন আপনি হয়তো ভাবছিলেন যে তিনি কোন বোমে আগুন লাগাতে যাচ্ছিলেন। তখন শিক্ষক অতি সত্বর বলে উঠলেন, আরে, না,না। তোমাকে তো সেটা দূরে রাখতে হবে। ইহা ছিল যেন অস্বস্তিকর। পক্ষান্তরে অন্যান্য বই এবং ধর্ম তেমন নয়; সমস্ত কিছুকেই অনুমোদন দেওয়া হয় কিন্তু বাইবেল নয়। এই সমস্ত কিছু ঘটেছিল সমস্ত বাচ্চাদের সামনে। (Decision, 12, 2012, p. 4).

ফ্লোরিডার উইনটার পার্কের প্রবীণ নাগরিকদের সাম্প্রতিক সময়ে তাদের নিজেদের বাড়িতেও খ্রীষ্টমাসের কীর্তন করাতে বাধা দেওয়া হয়েছে। নিউ ইয়র্ক নগরীতে এন-ওয়াই-সি’ পরিবেশ সুরক্ষা সমিতি তাদের কর্মচারীদের অনুমতি প্রদান করেছেন যেন তাদের হানুকা পতাকা নিয়ে ভারতীয় দিপাবলী উৎসব উদযাপন করে যার মধ্যে ছিল লাল ও সবুজের সজ্জা এবং খ্রীষ্টমাস ট্রী। প্লেনো, টেক্সাসের এক স্কুলের অফিসাররা শিশুদের কাছে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন এই শব্দে, ‘যীশুই হলেন এই মরশুমের অন্যতম কারন’। লিখিত পেন্সিলের ছাপ যেন তাদের হাতে না ওঠে। স্কুলের একজন অফিসার এমন কি শিশুদের এই বিষয় লেখাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যেন তারা ‘মেরি খ্রিস্টমাস’ ইরাকের সৈন্যদের প্রতি না লেখে। নিউ ইয়র্ক নগরীর এক পিতা কোন একটি স্কুলে প্রদর্শনেও বাধা দিয়েছেন, যেখানে অন্তর্ভুক্ত আছে মুসলমানদের তারা ও অর্দ্ধ-চন্দ্র, কিন্তু জাতীয় বিষয়ের প্রতি নিষেধাজ্ঞা। কেন্দ্রীয় সরকারের জেলা সমর্থন কারী কোর্ট ও আবেদনকারী কোর্ট উভয়ে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যেন জাতীয় করণ দৃশ্যে জন বহুল স্কুলে ছুটির সময়ে কোন প্রদর্শন না হয়। পক্ষান্তরে মুসলমানদের তারা ও চন্দ্র/চাঁদ সেখানেই থাকবে কেননা কোর্ট অনুযায়ী ‘ইহুদী জীবন বা ইসলামের সমর্থন অনুমোদনে ছাত্ররা ইহাতে প্রত্যক্ষ জ্ঞান প্রদর্শন করতে পারবে না’। ‘ডিসিশান’ প্রতিবেদন বলে, দুর্ভাগ্য বশতঃ এই প্রকার ধর্মীয় বিবেচনা সর্ব্বদাই খ্রীষ্টমাসের সময়ে অতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। আর আপনি এটাও জানেন যে অনেক জায়গাতে আপনি আবার কোন দিন ‘মেরি খ্রীষ্টমাস’ বলতে পারবেন না। এখন এটা সব সময়েই বলতে হবে ‘শুভ ছুটির দিন’। যে কোন সময়ে যে কেউ এই কথা আমাকে বলে তখন আমি সব সময়ই উত্তর দিই ‘মেরি খ্রীষ্টমাস’। কিন্তু ইহা অত্যন্ত ভাবেই পরিষ্কার যে সর্পের বংশ খ্রীষ্টের জন্মদিন পালন করাটাতে যেন ঘৃণা বোধ করে আর তাই তারা সেই সমস্ত খ্রীষ্টিয়ানদের আক্রমণ করে যারা খ্রীষ্টমাসকে এক খ্রীষ্টিয়ান ছুটির দিন বলে ধরে রাখে।

আমাকে মারাত্মক ভাবে আক্রমণ করা হয় যখন আমি যুবক যুবতীদের বলি তারা যেন বড়দিনের সন্ধ্যা এবং নতুন বৎসরের সন্ধ্যায় মন্ডলীতে উপস্থিত থাকে। এইভাবে তাদের আমি এই কথা বলি বলে তারা আমাকে স্বেচ্ছাচারী বলে কারণ তারা বলে তাদের এই সময়ে কোন নাচের হলে বা মদ্যপান করার পার্টিতে থাকা দরকার। এখন আপনি বুঝতেই পারছেন এই প্রকার কথা কোথা থেকে আসে? ঈশ্বর বলেছেন, ‘আমি তোমার বংশে ও নারীর বংশে শত্রুতা জন্মাইব এবং তোমার বংশ ও তার বংশের মধ্যে ....’ সর্পের বংশ সর্ব্বদাই খ্রীষ্টের বংশের বিরুদ্ধাচারণ করে। এই বিষয়ে নতুন কোন কিছুই আর নেই! সর্পের বংশের লোকেরা চায় না যেন আপনি খ্রীষ্টমাসের সন্ধ্যা ও নতুন বৎসরের সন্ধ্যায় মন্ডলীতে থাকেন!আমি নিশ্চিত ভাবেই আশা করবো আপনি তাদের কথা শুনবেন না। তাই খ্রীষ্টমাস এবং নতুন বৎসরের সন্ধ্যায় আমাদের সঙ্গে যোগদান করুন।

এখন, কিভাবে আপনি এই বড়দিনের অনুষ্ঠান উদযাপন করবেন? আপনি কি সেই সমস্ত ব্যাক্তিদের সঙ্গে থাকবেন যারা কি’না সর্পের বংশ? অথবা আপনি এখানে আমাদের সঙ্গে মন্ডলীতে সময় কাটাবেন ? আর সেটাই হল ‘বড়দিনের বা খ্রীষ্টমাসের নীতিগত বিরোধ’। সেই ইডেন উদ্যানের সময় থেকেই কোন কিছুর পরিবর্তন হয় নি। ‘আমি তোমার বংশে ও নারীর বংশে শত্রুতা জন্মাইব এবং তোমার বংশ ও তার বংশের প্রতি....’ । নারীর বংশ ও সর্পের বংশের মধ্যে নীতিগত এক বিরোধ ও দ্বন্দ্ব বয়েই চলেছে। কিন্ত সেখানে আরোও একটা বিষয় রয়েছে।

৩. তৃতীয়, খ্রীষ্টই যুদ্ধে জয়ী হবেন।

পাঠ্যাংশ এই কথা বলার দ্বারা সমাপ্ত হচ্ছে, ‘... সে তোমার মস্তক চূর্ণ করিবে এবং তুমি তাহার পাদমূল চূর্ণ করিবে’ (আদি পুস্তক ৩ঃ১৫)

আর সেটাই হবে নীতিগত বিরোধের নিষ্পত্তি। শয়তান, যে এই জগতে মন্দতার সমস্ত শক্তিকে পরিচালিত করে, সব শেষে সে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করবে। কিন্তু শেষে, খ্রীষ্ট, যিনি হলেন নারীর বংশজাত, তিনিই শয়তানের মস্তককে চূর্ণ করবেন। আর সেটাই হবে মরণশীল আঘাত। ইহা সম্পন্ন হয়েছে যখন প্রভু যীশু ক্রুশের উপরে মৃত্যুবরণ করেন, কেননা এইভাবে মৃত্যুবরণের মধ্য দিয়ে তিনি ব্যাবস্থার সম্মান করলেন, পাপকে দূর করলেন, মৃত্যুকে বিনাশ করলেন এবং নরককে পরাজিত করলেন। আর খ্রীষ্ট যখন মৃত্যু থেকে উঠলেন, যার বিষয়ে স্পারজিওন বলেন, ‘তিনি সমাধির কব্জাকে দূর করলেন এবং ইহাকে দূর করলেন, ঠিক যেমনটি স্যামসন গাজার গেট সকল টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন, খুঁটি ও থাম এবং সমস্ত কিছু; তিনি তখন স্বর্গের দরজা খুলে দিলেন এবং বন্দীদিগকে মুক্ত করে দিলেন। আর এইভাবেই ড্রাগনের মস্তক চূর্ণ বিচূর্ণ হয়েছিল। নারীর বংশ শত্রুর শক্তিকে ভগ্ন করে দিয়েছে। হাল্লেলুইয়া! হাল্লেলুইয়া! তিনি অন্ধকারের রাজপুত্রকে সেই উচ্চস্থান থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন! তিনি কি নিজেই এই কথা বলেন নি! ‘শয়তানকে আমি বিদ্যুতের ন্যায় স্বর্গ থেকে পতিত হতে দেখিলাম’। তিনি সর্পের মস্তককে চূর্ণ করেছেন।

মন্দতার মস্তকের এই চূর্ণভাব তার কাছে এক মরণশীল আঘাত। তাকে যদি লেজে বা ঘাড়ে চূর্ণ করা হতো তবে সে হয়তো বাঁচতে পারতো কিন্তু প্রভু সম্পূর্ণ ভাবেই শয়তানকে চূর্ণ করলেন, তার রাজ্যে আঘাত হানলেন এবং খ্রীষ্ট নিজে তার শক্তিকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিলেন, নারীর বংশ পুণরায় দ্বিতীয়বার আসতে চলেছেন, আর তিনি এই পৃথিবীতে রাজত্ব করিবেন আর তাঁর দক্ষিণ হস্ত তাঁর লোকেদের উন্নত করবে। তার পা তার শত্রুদের পদদলিত করবে। তাই আমি ও আপনি তাঁর সেই আনন্দময় সমাবেশে সামিল হব যেন নারীর বংশকে, তাঁর দ্বিতীয় আগমনে স্বাগত জানাতে পারি (তিনি তখন স্বর্গ থেকে নেমে আসবেন এই পৃথিবীতে রাজত্ব করার জন্য)। নারীর সেই বংশে পরমদেশ আমাদের কাছে উন্মোচিত হয়েছে আর মিথ্যার সমস্ত কিছুই এখন পতিত ও ধরাশায়ী হয়েছে...”। (C. H. Spurgeon, “The Serpent’s Sentence,” The Metropolitan Tabernacle Pulpit, Pilgrim Publications, 1974 reprint, volume XXXVI, pp. 527, 528).

এখন আমি আপনাকে বলতে চাই আপনি এখন কোন দিকে রয়েছেন? আপনি কি সর্পের বংশের সঙ্গে না কি আপনি নারীর বংশে, যিনি হলেন খ্রীষ্ট? ইহা কেবলমাত্র একজন বা অন্যজন। কোনটি আপনার জন্য? আপনার হৃদয় মধ্যে আপনি কোন দিকে রয়েছেন? আপনি কি খ্রীষ্টের সঙ্গে না কি আপনি সর্পের লোকেদের দিকে? আজকে সকলে যতজন রয়েছেন তাদের সকলকেই একটা দিক নিতে হবে। আমি প্রার্থনা করি আপনি যেন সর্পের রাজত্ব ছেড়ে দেন এবং এখানে যীশু ও তাঁর লোকেদের সঙ্গ নিন। যীশু আপনার পাপের ক্ষমা দান করে আপনাকে অনন্ত জীবন দান করবেন। যীশুর দিক হল বিজয়ের দিক। তাঁর কাছে আসুন। তাঁকে নির্ভর করুন। তাঁর পাপরোহিত রক্তে পরিত্রাণ আপনারই হবে। আর আপনি যদি আপনার জীবনে পরিত্রাণ লাভ করার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান তাহলে অনুগ্রহ করে আপনার জায়গা ছেড়ে পেছনের দিকে যে কক্ষটি রয়েছে সেখানে চলে আসুন। মিঃ লি অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনায় এগিয়ে নিয়ে চলুন।

বক্তৃতার সমাপ্তি
ইন্টারনেটে www.realconversion.com. প্রতি সপ্তাহে আপনি ডাঃ হাইমারের বক্তৃতা
পড়িতে পারেন। ক্লিক করুন “বাংলায় বক্তৃতা”

You may email Dr. Hymers at rlhymersjr@sbcglobal.net, (Click Here) – or you may
write to him at P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015. Or phone him at (818)352-0452.

সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন ডাঃ ক্রিঘটন এল.চানঃ ১-ম যোহান ৩ঃ১০-১৩
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথ ঃ
“Who is on the Lord’s Side?” (by Frances R. Havergal, 1836-1879).


খসড়া চিত্র

বড়দিনের নীতিগত বিরোধ

৬৬ নং সংখ্যার উপদেশ- আদি পুস্তকের উপরে
THE CHRISTMAS CONFLICT
(SERMON #66 ON THE BOOK OF GENESIS)
(Bengali)

লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি.
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

“পরে সদা প্রভু ঈশ্বর সম্পর্কে কহিলেন, তুমি এই কর্ম করিয়াছ, এই জন্য গ্রাম্য ও বন্য পশুগণের মধ্যে তুমি সর্ব্বাপেক্ষা অধিক শাপগ্রস্ত; তুমি বুকে হাঁটিবে এবং যাবজ্জীবন ধুলি ভোজন করিবে। আর আমি তোমাতে ও নারীতে এবং তোমার বংশে ও তাহার বংশে পরস্পর শত্রুতা জন্মাইব; সে তোমার মস্তক চূর্ণ করিবে এবং তুমি তাহার পাদ মূল চূর্ণ করিবে” (আদি পুস্তক ৩ঃ১৪-১৫)

১. প্রথম,নারীর বংশ খ্রীষ্টের প্রতি নির্দেশ প্রদান করে।
লিউক ১ঃ৩৫; আদিপুস্তক ৩ঃ১৫

২. দ্বিতীয়, সেখানে নারীর ও সর্পের বংশের মধ্যে সীমাহীন দ্বন্দ্ব চলবে।
আদি পুস্তক ৩ঃ১৫এ; যোহান ৮ঃ৪৪; ১-ম যোহান ৩ঃ১০,১২;
 যোহান১৫ঃ১৮-১৯

৩. তৃতীয়, খ্রীষ্টই যুদ্ধে জয়ী হবেন।
আদি পুস্তক ৩ঃ১৫বি