এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
তিনি সংবাদ শুণেছিলেন কিন্তু উদ্ধার লাভ করেন নি! HE HEARD THE SERMONS BUT WAS NEVER SAVED! লেখকঃ ডাঃ আর এল হাইমার্স, জুনি. ২-রা ডিসেম্বর ২০১২ সালে, সদাপ্রভুর একটি দিনে সান্ধ্যকালীন মুহুর্তে লস এঞ্জেলেসের “যোহান যে একজন ঈশ্বর ভক্ত ও পবিত্র লোক হেরোদ তা জানতেন, তাই তিনি যোহানকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতেন; যোহানের কথা শুনবার সময় মনে খুব অস্বস্তি বোধ করলেও হেরোদ তার কথা শুনতে ভালোবাসতেন” (মার্ক ৬ঃ২০) |
হেরোদ আন্তিপাস ছিলেন সম্রাট হেরোদের এক পুত্র; যীশু যখন জন্ম গ্রহণ করেছিলেন, সেই সময় তিনি ছিলেন সেখানের শাসনকর্তা। গালীলের লোকেদের দ্বারা হেরোদ আন্তিপাসকে বলা হতো ‘চতুর্যোজী হেরোদ’। তিনি হেরোদিয়াকে বিবাহ করেন যে ছিল তার ভাই ফিলিপের স্ত্রী। ইজ্রায়েলের এক শাসন কর্তা যে এই প্রকার জঘন্য কাজ করতে পারে সেই বিষয়ে যোহান ব্যাপ্টাইজ স্তম্ভিত হয়ে পড়েন। এই জন্য তিনি হেরোদকে কঠোর ভাবে ধমক দেন। হেরোদ যোহানকে কারাগারে নিক্ষেপ করেন, কেননা তার স্ত্রী হেরোদিয়া সেটাই চেয়েছিলেন। তাদের বিবাহের বিরুদ্ধে তিনি হেরোদের কাছে কথা বলার জন্য তিনি যোহান ব্যাপ্তাইজকে ঘৃণা করতে থাকেন। আর তাই তিনি তাকে ‘শৃগাল’ বলে ডাকতেন (লিউক ১৩ঃ৩২)। তাই হেরোদের মনে যে চতুর প্রবঞ্চনাময় আচরণ রয়েছে সেই বিষয়ে যীশু তার নিজের আপত্তি জ্ঞাপন করেন। হেরোদ আন্তিপাস ছিলেন অত্যন্ত অন্ধ বিশ্বাসী, ভীরু এবং দ্বিমনা ব্যাক্তি। তাই হেরোদিয়া যোহান ব্যাপ্তিস্মদাতার বিরুদ্ধে কলহ করতেন এবং তাকে হত্যা করতে চাইছিলেন; কিন্তু তিনি তা পারছিলেন না। (যোহান ৬ঃ১৯)। “যোহান যে একজন ঈশ্বর ভক্ত ও পবিত্র লোক হেরোদ তা জানতেন, তাই তিনি যোহানকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতেন; যোহানের কথা শুনবার সময় মনে খুব অস্বস্তি বোধ করলেও হেরোদ তার কথা শুনতে ভালোবাসতেন” (মার্ক ৬ঃ২০) এই অনুচ্ছেদে আমরা দেখি যে হেরোদ যোহান বা ব্যাপ্তিস্মদাতাকে সম্মান করতেন, তার কথা আনন্দের সঙ্গে শুনতেন, যোহান যা করার জন্য বলেছিলেন তার অনেক কিছুই করেন তথাপি তিনি অনন্তকালের জন্য বিনষ্ট হয়ে যান। বেশ কিছু সপ্তাহ আগে আমি ফেলিক্সে প্রচার করছিলাম, সেই রোমীয় সম্রাট যার কাছে প্রেরিত ২৪ অধ্যায় বর্ণিত রয়েছে যে পল সেখানে প্রচার করেছিলেন। পল যখন কথা বলছিলেন, তখন ফেলিক্স উত্তেজিত হয়ে পড়তেন কিন্তু তিনি অনুতপ্ত হয়ে খ্রীষ্টের উপরে নির্ভর করেন নি। তিনি পলকে বার বার ডেকে নিয়ে আসতেন এবং ‘তার সঙ্গে কথোপকথন করতেন’। (প্রেরিত ২৪ঃ২৬)। কিন্তু তিনি কনভার্ট হন নি। আমি বলেছি নতুন নিয়মে অন্য আর কোন ব্যাক্তির বিষয়ে চিন্তা করতে পারি না যিনি পরিত্রাণ লাভ না করেও চতুর্যোজী হেরোদ সম্বন্ধে স্মরণ করিয়ে দেয় যার বিষয়ে আমাদের এই পাঠ্যাংশে বলা হয়েছে। “যোহান যে একজন ঈশ্বর ভক্ত ও পবিত্র লোক হেরোদ তা জানতেন, তাই তিনি যোহানকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতেন; যোহানের কথা শুনবার সময় মনে খুব অস্বস্তি বোধ করলেও হেরোদ তার কথা শুনতে ভালোবাসতেন” (মার্ক ৬ঃ২০) তাই,এখানেও যারা মন্ডলীতে আসেন এবং সংবাদকে আনন্দের সঙ্গে শোনেন তারা হল সেই মত প্রতিকৃত বাক্তির ন্যায় যারা তাদের জীবনে কিছু কিছু বিষয়কে পরিবর্ত্তন করে কিন্তু তারা অনুতাপ করে খ্রীষ্টের উপরে নির্ভর করে না। আপনি যদি মন্ডলীতে আসছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কনভার্ট হোন নি তবে হেরোদের জীবনে যে সমস্ত বিষয়গুলি ছিল তার কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তা করুন আর সেগুলোকে আপনার সঙ্গে তুলনা করুন। ১.প্রথম, হেরোদ যোহানকে শ্রদ্ধা করতেন। “যোহান যে একজন ঈশ্বর ভক্ত ও পবিত্র লোক হেরোদ তা জানতেন, তাই তিনি যোহানকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতেন; যোহানের কথা শুনবার সময় মনে খুব অস্বস্তি বোধ করলেও হেরোদ তার কথা শুনতে ভালোবাসতেন” (মার্ক ৬ঃ২০) ম্যাথু হেনরী বলেন, ‘এটা খুবই সম্ভব মানুষের হয়তো ভালো পরিচর্যাকারীদের উপরে বিরাট শ্রদ্ধা রয়েছে ..... কিন্তু তথাপি তিনি খারাপ ব্যাক্তিত্ব হতে পারেন’। (তিনি নিজে) আপনি হয়তো প্রচারককে শ্রদ্ধা করতে পারেন। আপনি হয়তো এই কথাও বলতে পারেন যে তিনি ‘ন্যায়বান ও পবিত্র লোক’ – আর তথাপি হয়তো পরিত্রাণ লাভ করতে না’ও পারেন। আমি স্মরণ করতে পারি একজন ব্যাক্তির কথা কেননা আমি যখন চাইনিজ ব্যাপটিস্ট মন্ডলীতে ছিলাম তখন তিনি সেখানে আসতেন। তিনি প্যাস্টরকে বলেছিলেন, ডাঃ লিন হলেন একজন মহান ব্যাক্তি; নিশ্চিত ভাবে তিনি তো মহান ছিলেন। এই ব্যাক্তি মনে করেছিলেন ডাঃ লিন এতোই বিজ্ঞ ও পবিত্র বাইবেল শিক্ষক তাই তিনি চাইছিলেন যেন তার পুরো পরিবার অন্য একটা ব্যাপটিস্ট মন্ডলী থেকে স্থানান্তরিত হয়ে প্রতি রবিবার ডাঃ লিনের ভাষণ শোনার জন্য উপস্থিত থাকতে পারে। আপনি যতবার তার সঙ্গে কথা বলেন তখন তিনি প্রায় সময়ে ডাঃ লিনের কথাই উল্লেখ করতেন। কিন্তু বেশ কিছু বৎসর পরে তিনি জ্যাকব বোহমে (১৫৭৫-১৬২৪) নামে এক জার্মান রহস্যকাহিনীকারের পৌরাণিক কাহিনী পড়তে আরম্ভ করেন। বেহমে ছিলেন অদ্ভুত প্রকার পরম্পরা বহির্ভুত লেখন যিনি শাস্ত্রের বহুপ্রকার রুপক কথায় এবং অদ্ভুত অনুবাদের ভঙ্গিমায় তার লেখা ব্যক্ত করেন। এই ব্যাক্তি বেহমের উদ্ধৃতি ডাঃ লিনের কাছে উল্লেখ করতে থাকেন আর তা এমন কি প্রার্থনা সভায় দাঁড়িয়ে তার লেখ্য বিষয়গুলো পাঠ করে উদ্ধৃত করতে থাকেন। সেই সমস্ত বিষয়গুলো চিন্তা করে আমার মনে সন্দেহ থেকে যায় যে এই ব্যাক্তি সত্যই কনভার্ট হয়েছেন কিনা! তিনি ডাঃ লিনকে সম্মান ও ভক্তি করতেন। কিন্তু পরিশেষে ঠিক হেরোদ আন্তিপাসের মতোই তিনি পালককে প্রত্যাখান করেন, যেমনভাবে হেরোদও পরিশেষে ব্যাপ্তিস্মদাতা যোহানকে অগ্রাহ্য করেছিলেন। কোন কোন ক্ষেত্রে কোন এক ব্যক্তিকে প্রচারকেরও উর্দ্ধে গিয়ে যেন খ্রীষ্টকেই দেখতে সক্ষম হোন। একজন প্রচারক লোকেদের নির্দেশ প্রদান করেন যেন তারা মন পরিবর্ত্তন করে এবং খ্রীষ্ট যীশুর জ্ঞানের উপরে নির্ভর করতে পারে (দেখুন ২-য় টিমোথি ২ঃ২৫)। হেরোদ কোন সময়েই ব্যাপ্তিস্মদাতা যোহানকে বিস্মিতময় ও শ্রদ্ধার চোখে দেখেন নি। তিনি কোন সময়েই যীশুর কাছে আসেন নি এবং পরিত্রাণও লাভ করেন নি। তাই স্পারজিওন বলেছেন, যদিও হেরোদ যোহানকে ভালোবাসতেন, যোহানের প্রভুর প্রতি তিনি কোন সময়েই তাকান নি। যোহান কোন সময়েই চান নি যেন অন্য কেউ তাঁর শিষ্য হয় কিন্তু তিনি চিৎকার করে বলেছিলেন, ‘ঐ দেখ ঈশ্বরের সেই মেষ’। হেরোদ অল্প সময়ের জন্য যোহানের অনুসারী হয়েছিলেন কিন্তু কোন সময়েই তিনি যীশুর অনুগামী হোন নি। তাই কোন প্রচারকের কথা শুনে তাকে প্রেম ও শ্রদ্ধা করা খুবই সহজ তথাপি প্রচারকের যে প্রভু রয়েছেন তিনি হয়তো আপনার কাছে অজানা হয়ে থাকতে পারেন। তাই হে আমার প্রিয় বন্ধুরা, আমি প্রার্থনা করি; এই প্রকার বিষয় যেন আপনাদের কারোও না হয়....ইহা কেবল মাত্র সেই খ্রীষ্ট যার কাছে আপনার যাওয়া প্রয়োজন; আমাদের পরিচর্যা কার্য্যের সমস্ত শেষ বিষয় হলো খ্রীষ্ট যীশু। তাই আমরা চাই যেন আপনারা সরাসরি তাঁর কাছে যান, তাঁর কাছে গিয়ে ক্ষমা চান, তাঁর কাছেই রয়েছে মুক্তি, তিনিই নিয়ে আনেন হৃদয়ের পরিবর্ত্তন। তাঁর কাছ থেকেই আসে এক নতুন জীবন, তাই আপনার কাছে সেই বিষয়টা বৃথাই হয়ে যাবে যদি আপনি কেবলমাত্র বিশ্বস্ত প্রচারকের কথাই শোনেন আর প্রচারকের যিনি প্রভু তাঁর কথা না শোনেন ও তাঁর বাধ্য হয়ে না চলেন। অতএব, অনুগ্রহ যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনাকে যীশুর প্রতি পরিচালিত করছে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি হেরোদের থেকে অন্য কিছুই নন। (C. H. Spurgeon, “John and Herod,” The Metropolitan Tabernacle Pulpit, Volume XXVI, Pilgrim Publications, 1972, p. 404). ২.দ্বিতীয়, যোহানের প্রচার শোনার পরে হেরোদ অনেক কিছু করেন। “যোহান যে একজন ঈশ্বর ভক্ত ও পবিত্র লোক হেরোদ তা জানতেন, তাই তিনি যোহানকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতেন; যোহানের কথা শুনবার সময় মনে খুব অস্বস্তি বোধ করলেও হেরোদ তার কথা শুনতে ভালোবাসতেন” (মার্ক ৬ঃ২০) যোহানের প্রচার শুনে হেরোদ অনেক কিছুই করেন। কিন্তু তিনি হেরোদিয়াকে ত্যাগ করেন নি। তিনি ছিলেন তার নিজের বোনঝি আর তার ভাইয়ের বিবাহিত স্ত্রী। তিনি ছিলেন তার নিজের ভাইয়ের সন্তানের মা। তথাপি হেরোদ তার নিজের প্রথম স্ত্রী’কে ত্যাগ করেন। যিনি বহু বৎসর কাল তার প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন, আর তাকে ছেড়ে দিয়ে তিনি এই মন্দ, ঈশ্বর ভয়হীন মহিলাকে সঙ্গে নেন; তার স্ত্রী’র জায়গা হেরোদিয়াকে দেন। হেরোদ তার সঙ্গে অজাচার জীবনে লিপ্ত হোন। এই মহিলার যে প্রভাব তা তার কাছে অভিশাপ ও ধ্বংস ডেকে নিয়ে আসে। বহু নর ও নারী রয়েছে যারা সেই সমস্ত কনভার্টহীন লোকেদের সঙ্গে সহচর্য্য স্থাপন করে প্রায় ধ্বংস ও ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছেন। বাইবেল বলে, “তোমরা অবিশ্বাসীর সঙ্গে এক জোয়ালে কাঁধ দিয় না” (২-য় করিন্থিয়ান্স ৬ঃ১৪) বাইবেল বলে, “এই জন্য তোমরা অবিশ্বাসীদের মধ্য থেকে বের হয়ে এস ও আলাদা হও” (২-য় করিন্থিয়ান্স ৬ঃ১৭) বাইবেল বলে, “অবিশ্বাসী লোকেরা!তোমরা কি জানো না জগতের বন্ধু হওয়া মানে ঈশ্বরের বন্ধু হওয়া” (জেমস ৪ঃ৪) আমরা যুবক যুবতীদের এমনি কঠোর ও কঠিন হতে দেখেছি যারা হারিয়ে যাওয়া বন্ধু বান্ধবদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে আর তারা সেই ব্যাক্তিদের হারিয়ে খ্রীষ্টের কাছে আসতে চায় না। স্পারজিওন বলেছেন, ‘যারা কনভার্ট হন নি, সেই প্রকার ব্যাক্তিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়াটা সবসময়ই বিপজ্জনক বিষয় আর এই বিষয়ে তারা যতোই নৈতিক হোন না কেন .... এর উর্দ্ধে উঠে আসার জন্য ঈশ্বর আপনাকে সাহায্য করুন (তা না হলে) আপনিও হেরোদের মতোই সমাপ্ত করবেন আর এর থেকে বেশি কিছু নয়’। ( ইবিড পৃ ৪০৬)। হেরোদ ‘অনেক কিছু করেছেন’, তিনি ব্যাপ্তিস্মদাতা যোহানের প্রচার ও কথা শুনেছিলেন, কিন্তু তিনি তার ঘৃণ্য জঘন্য মহিলাকে ত্যাগ করেন নি। ব্যাপ্তিস্মদাতা যোহান তাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, ‘ আপনার ভাইয়ের স্ত্রী’কে আপনার বিয়ে করা উচিত নয়’ (মার্ক ৬ঃ১৮)। তিনি যদি মন পরিবর্ত্তন করে তাকে ত্যাগ করতেন এবং যীশুকে নির্ভর করতেন তাহলে হেরোদ পরিত্রাণ লাভ করতেন। ‘কিন্তু’ কোন একজন হয়তো বলতে পারেন ‘সেই কাজটা করা তার কাছে কঠিন বিষয় হতো’। হ্যাঁ, তা কঠিন হতো তা আমি জানি, কেন না হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের বা স্নেহ ভাজন পাপকে ত্যাগ করা সব সময়েই ‘কঠিন’ বিষয় বলে মনে হয়। কিন্তু সেই প্রকার পাপের প্রতি ঝুলে থাকার পরিণাম শেষে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কেননা পরিশেষে হেরোদিয়া হেরোদের সঙ্গে চালাকির খেলা করলেন, সেই প্রচাওরককে হত্যা করলেন যাকে তিনি এক সময়ে শ্রদ্ধা করতেন। হেরোদ পরিশষে আদেশ পাঠালেন যেন ব্যাপ্তিস্মদাতা যোহানের শিরচ্ছেদ করে আর তিনি তার মাথাটিকে একটি বড় থালায় করে লজ্জাকর অবস্থায় ঘৃণ্য মহিলার কাছে নিয়ে আসেন, যেটাকে তিনি খ্রীষ্টেরও অতিরিক্ত চাইছিলেন। স্পারজিওন বলেছেন, ‘আশাজনক এই প্রকার বহু শ্রোতাদের জীবনে ঘটেছে, একটা সময় যখন তারা তাদের সামনে কম্পমান হতো এবং যতদূর পর্যন্ত না তারা তাদের হাতকে উঠিয়ে নিচ্ছেন তাদের কাছে সেই সমস্ত প্রচারকেরা অপবাদিত ও নির্যাতিত হয়েছে। কিছু সময় পরেই তাদের অপছন্দতা ধমকানিতে পরিণত হয়েছে, আর তাদের অপছন্দের ভাব নিয়ে ততদূর পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে যেখানে তারা সম্মান শ্রদ্ধা জানাতো সেখানে তাদের তারা তাদের টিটকারির কারণ হয়েছে.... তাই খুব সাবধান! আমি আপনার জন্য সতর্ক থাকার জন্য প্রার্থনা করি! কেননা পাপের যে পন্থা তা উত্তোরত্তোর খারাপের দিকে অগ্রগামী। একজন ব্যাক্তি হয় সুসমাচার মূলক হতে পারে কিন্তু তথাপি তাকে যদি বেশ কিছু সর্তের মধ্যে স্থাপন করা হয়, তবে তিনি হয়তো ঘৃণ্য হয়ে উঠতে পারেন এবং যে সততা তিনি এড়িয়ে চলতেন সেই বিষয়েউত্যক্ত হয়ে উঠতে পারেন’।( ইবিড; পৃ ৪০৭)।“ আপনি হয়তো যে ভাবে জানেন, যারা দুর্দান্ত ভাবেই এই মন্ডলীকে ঘৃণা করতেন তাদের কেউ কেউ, অত্যন্ত কুৎসিত ভাবেই আমাদের আক্রমণ করবে, তারাই এক সময়ে আমাদের বন্ধু ছিলেন, যারা আমাদের সঙ্গে প্রার্থনা করেছেন এবং এমনও বলেছেন যে তারা আমাদের ভাল বাসেন। যে ঘটনার মধ্যে তাদের এই ঘৃণ্যতা মনোভাব বদ্ধমূল হয়েছে তা হল তারা পাপকে ভালোবাসেন আর তার কারণেই এই ঘৃণ্যভাব অনুমোদিত হয়েছে। যীশু বলেছেন, “যদি তোমরা এই জগতের হোতে, তবে জগৎ তার নিজের বলে তোমাদের ভালোবাসতো; কিন্তু তোমরা এই জগতের নও, বরং আমি তোমাদের এই জগতের মধ্য থেকে বেছে নিয়েছি বলে জগৎ তোমাদের ঘৃণা করে” (যোহান ১৫:১৯) ৩.তৃতীয়, হেরোদের চেতনা বোধ তাকে বিশ্রাম দেবে না। সংবাদের আগে ডাঃ চান শাস্ত্রের যে অংশটা পড়েছেন, তা এই শব্দের দ্বারা আরম্ভ হয়, “যীশুর সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল বলে রাজা হেরোদ যীশুর কথা শুনতে পেয়েছিলেন। কোন কোন লোক বলেছিল, ‘উনিই সেই ব্যাপ্তিস্মদাতা যোহান’। তিনি মৃত্যু থেকে বেঁচে উঠেছেন বলে এই সব আশ্চর্য্য কাজ করছেন”। (মার্ক ৬ঃ১৪) ম্যাথিউ হেনরী বলেছেন,‘তিনি (হেরোদ) যখন বসবাস করেন তখন তিনি যোহানকে ভয় করতেন আর তাই এখন, তিনি যখন ভাবলেন তিনি তার কাছে লাঞ্ছিত হয়েছেন তখন তিনি যখন মৃত অবস্থায় ছিলেন তার থেকে তাকে দশ গুণ ভয় করতে শুরু করলেন। এই প্রকার ঘৃণার শিহরণে অভিযোগ পুর্ন চেতনা নিয়ে কোন একজন হয়তো এইভাবে ভুত ও ক্রোধের বশবর্তী হয়ে বিভীষিকার সৃষ্টি করছে’। পরিশেষে, হেরোদের কোন চতুরতা এবং রাজনীতি তাকে উদ্ধার বা পরিত্রাণ দিতে পারে নি। রাজা আরেতাস, নব্যাটিয়ান শাসক, যার কন্যা ছিলেন হেরোদের প্রথম স্ত্রী, যাকে হেরোদিয়ার জন্য তিনি ত্যাগ করেন তিনি তার কন্যার বদলা নেওয়ার জন্য হেরোদের বিরুদ্ধে সেনাদল প্রেরণ করেন। এটাই হেরোদ আন্তিপাসকে একেবারে নীচে নামিয়ে দেই। সম্রাট তখন তার সমস্ত সম্পদ নিয়ে নেন এবং তাকে ফ্রান্সের অজ্ঞাতপূর্ণ স্থানে নির্বাসিত করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি স্পেনে নির্বাসিত হোন যেখানে দারিদ্রতার মধ্যে মৃত্যু বরণ করেন। আর এই ভাবেই তার জাগতিক জীবনের অবসান হয়, ‘আর নরকে তিনি তার চক্ষুকে উপরের দিকে ওঠান এবং সেখানে যাতনা সহ্য করেন’। (লিউক ১৬ঃ২৩)। ব্যাপ্তিস্মদাতা যোহানের প্রচার হেরোদ শুনেছিলেন, আর তিনি যখন তার কথা শোনেন তখন তার মনে অস্বস্তি বোধ হলেও হেরোদ তার কথা শুনতে ভালো বাসতেন। কিন্তু তিনি কোন সময়েই মন পরিবর্ত্তন করেন নি এবং তিনি কোন সময়েই যীশুর ওপরে নির্ভর করেন নি। যোহান যীশুকে তার কাছে প্রচার করেছিলেন কিন্তু তিনি কোন সময়েই সেই পরিত্রাতায় নির্ভর করেন নি। আজকে সন্ধ্যাকালীন সময়ে আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ রয়েছেন যারা আমাদের মন্ডলীতে এই প্রচার শুনতে এসেছেন। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিতে চাইছি আপনার সমাপ্তিও হেরোদ আন্তিপাসের থেকে ভালো হবে না। আপনি হয়তো অনেক কিছু করেছেন।আপনি হয়তো মণ্ডলীকে সজ্জিভুত করেছেন। আপনি হয়তো সঙ্গে করে স্কোফিল্ড বাইবেল বহন করে নিয়ে আসছেন। আপনি হয়তো গানে অংশ গ্রহণ করছেন আর এমনকি আপনি সুসমাচার প্রচার কার্য্যে যাচ্ছেন। হ্যাঁ, এই প্রকার বহু কিছু আপনি হয়তো করছেন—আর হেরোদও তাই করেছিলেন। কিন্তু যীশুর বিষয়ে আপনি কি করছেন ? যদিও হেরোদ খুব সংক্ষেপে যীশুকে একবার দেখেছিলেন তা হল ঠিক পরিত্রাতা যখন ক্রুশারোপিত হোন তার আগে। কিন্তু হেরোদ দ্বন্দ্বের মানুষ হয়ে..... তাঁকে বিদ্রুপ করেন... আর পুণরায় তাঁকে পাইলেটের কাছে ফিরে পাঠান, যিনি ছিলেন রোমের রাজ্যপাল। (লিউক ২৩ঃ১১)। এই সময়ের মধ্যে হেরোদের হৃদয় পাপে এতটাই কঠিন হয়ে উঠেছিল, যার জন্য তিনি ঈশ্বরের পুত্রকে মুখের উপরে বিদ্রুপ করেন! আর আপনার প্রতিও সেই একই বিষয় ঘটতে পারে, আপনি যদি কেবলমাত্র উপদেশ ও সংবাদ শুনতেই থাকেন কিন্তু যীশুর প্রতি নির্ভর করাতে প্রত্যাখান করেন। যদিও আমাদের পাপের মৃত্যু চুকিয়ে দেওয়ার জন্য ক্রুশের উপরে তিনি মৃত্যু বরণ করেছিলেন এবং আমাদের ধার্মিক গণিত করার জন্য মৃত্যু থেকে পুণরায় জীবিত হয়ে ছিলেন, তবুও একদিন আপনার সেই কঠিন মনা হৃদয়কে ত্যাগ করতেই হবে আর ঠিক ঠিক হেরোদ আন্তিপাসের মতোই অনন্তকালীন নরকে যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। তিনি সংবাদ শুণেছিলেন, কিন্তু তিনি পরিত্রাণ লাভ করেন নি। আহা, আপনাদের শেষ যেন সেই মতো অসুখী না হয়! আমেন! বক্তৃতার সমাপ্তি You may email Dr. Hymers at rlhymersjr@sbcglobal.net, (Click Here) – or you may সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন ডাঃ ক্রিঘটন এল.চানঃ মার্ক ৬ঃ ১৪-২০ |
সংবাদের খসড়া চিত্র তিনি সংবাদ শুনেছিলেন, কিন্তু উদ্ধার লাভ করেন নি লেখক ঃ ডাঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনি. “যোহান যে একজন ঈশ্বর ভক্ত ও পবিত্র লোক হেরোদ তা জানতেন, তাই তিনি যোহানকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতেন; যোহানের কথা শুনবার সময় মনে খুব অস্বস্তি বোধ করলেও হেরোদ তার কথা শুনতে ভালোবাসতেন” (মার্ক ৬ঃ২০) (লিউক ১৩ঃ৩২; মার্ক ৬ঃ১৯; প্রেরিত ২৪ঃ২৬) ১. প্রথম, হেরোদ যোহানকে শ্রদ্ধা করতেন ২. দ্বিতীয়, যোহানের প্রচার শোনার পরে হেরোদ অনেক কিছু করেন। ৩. তৃতীয়, হেরোদের চেতনা বোধ তাকে বিশ্রাম দেবে না। |