এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
মৃত্যুর সঙ্গে আপনার সাক্ষাৎ YOUR APPOINTMENT WITH DEATH লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি. ১২—ই নভেম্বর,২০১২ সালে প্রভাতকালীন মুহুর্তে সদাপ্রভুর দিনে লস
“আর যেমন মনুষ্যের নিমিত্ত একবার মৃত্যু, তৎপরে বিচার নিরুপিত আছে” |
এই মুহুর্তে সব থেকে মহত্বপূর্ণ যে প্রয়োজন তা হল সুসমাচার মূলক প্রচার। আমি যখন বালক ছিলাম, তখন আপনি ইহা সব জায়গাতেই শুনতে পেতেন। একজন ব্যাক্তি সুসমাচার প্রচার করছে এই বিষয় শোনাটা যেন জগতের মধ্যে সব থেকে একটা স্বাভাবিক বিষয় ছিল। কিন্তু এটা এখন আর সত্য নয়। আজকে বাইবেলের শিক্ষার জন্য এক বিরাট মোকাবিলার বিষয়হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকে ‘মিউজিক’ এবং ‘আরাধনার’ জন্যও এক বিরাট মোকাবিলার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু মন্ডলী রয়েছে যেখানে আমোদ প্রমোদের জন্যও এক বিরাট আদান প্রদান চলছে। কিন্তু আমাদের প্রচার বেদী থেকে সুসমাচার মূলক প্রচার খুব কম সময়েই প্রচারিত হয়। এর জন্য সেখানে বহু কারণ রয়েছে কিন্তু আজকের সকালে সেই সমস্ত বিষয়ে আমি যাবো না। সুসমাচার মূলক উপদেশে আমি কি দিতে চলেছি ইহার বিষয়ে বলাটাই যথেষ্ঠ। আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি নুতন জন্মপ্রাপ্ত খ্রীষ্টিয়ানের প্রয়োজন রয়েছে সুসমাচার মূলক প্রচার শোনার এবং সেই প্রকার প্রচারও প্রায় সময়ে শোনা দরকার। কেন আমি এই কথা বলছি ? কেননা সুসমাচার মূলক প্রচার জীবন ও মৃত্যুর মতো বৃহৎ বিচার্্য্য বিষয় গুলোর সম্মুখীন হতে সাহায্য করে। ইহা আবার এমন প্রচার যা আমাদের সুসমাচারের নির্যাস সম্বন্ধে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। এবং আমাদের প্রত্যেককেই সুসমাচারের মধ্য দিয়ে জীবন ও মৃত্যুর বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সুসমাচারের প্রচার শোনাটা আমাদের খ্রীষ্টের কাছে রাখতে সাহায্য করে। যারা হারিয়ে গিয়েছে তাদেরও সুসমাচার শোনার প্রয়োজন রয়েছে। “ব্যাখামূলক যে প্রচার” প্রায় ক্ষেত্রে হারিয়ে যাওয়া লোকেদের তাদের পাপ সম্বন্ধে নিশ্চিত করে না। এই পাপ পূর্ণ যুগে যে বিচার ঈশ্বর প্রেরণ করছেন তা হল সুসমাচার প্রচারের দুর্ভিক্ষ। আমায় ভাববাদী ঈশ্বরের কাছে উদ্ধৃতি করে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘প্রভু সদাপ্রভু কহেন, দেখ এমন দিন আসিতেছে, যে দিন আমি এই দেশে দুর্ভিক্ষ প্রেরণ করিব, তাহা অন্নের দুর্ভিক্ষ বা জলের পিপাসা নয় কিন্তু সদা প্রভুর বাক্য শ্রবণের’ (আমোস ৮ঃ১১)। তিনি এইভাবে বলেন নি যে কেবল মাত্র বাক্যের দুর্ভিক্ষ, কিন্তু তা হল সদাপ্রভুর বাক্য ‘শ্রবণ’ করার দুর্ভিক্ষ’। ম্যাথিও হেনরী বলেছেন, ‘তাদের কাছে লিখিত বাক্য থাকবে, পড়ার বাইবেল থাকবে কিন্তু পরিচর্যা করার লোক থাকবে না, তাদের প্রতি প্রয়োগ করবেনা’। ইহা কেবল মাত্র সুসমাচার মূলক প্রচারের দ্বারা সুসমচারের বাক্য মানুষের হৃদয় ও মনের মধ্যে প্রয়োগ করা হবে। স্বাভাবিক ভাবে কেবল মাত্র বাইবেলের প্রচার তা করতে পারবে না। কেবল মাত্র সুসমাচার মূলক প্রচারই তা করতে সক্ষম হবে। সুমাচার মূলক প্রচার হারিয়ে যাওয়া ব্যাক্তিদের মনোযোগকে আকর্ষণ করে আর সদাপ্রভুর বাক্য শোনার জন্য তাদের তৈরী করে। আর অজ্ঞানে সেই প্রকার প্রচারের এক বিরাট দুর্ভিক্ষ হয়ে চলেছে। আমাদের জাতি ও দেশ এবং সেই সঙ্গে জগতের উপরে ইহা যেন ঈশ্বরের এক অভিশাপের ন্যায়। ঠিক যেমন ভাবে সমস্ত সুসমাচার মূলক প্রচার অত্যন্ত সাধারণ ঠিক সেই ভাবে এই উপদেশ বা সংবাদও অত্যন্ত সাধারণ ও সাবলীল। প্রসঙ্গত এই উপদেশটি সংগৃহীত হয়েছে “সব থেকে পুরাতন ধর্মের অতি সাধারণ উপদেশ” থেকে, যার লেখক হলেন ডাঃ ডব্ল্যুউ. হারশেল ফোর্ড (Zondervan, 1972 edition, pp. 105-112) । ইহা হল মৃত্যুর উপরে অতি সাধারণ এক সংবাদ, আর আজকে সকালে যারা আমার কথা শুনছেন সেইএকই মৃত্যু যার সম্মুখীন সকলকেই হতে হবে। এখানের পাঠাংশ বলে, “আর যেমন মনুষ্যের নিমিত্ত একবার মৃত্যু,তৎপরে বিচার নিরুপিত আছে” (হিব্রুজ ৯ঃ২৭) গত শুক্রবার দিনে আমি স্যানফ্র্যান্সিসকোতে ছিলাম। সেখানে আমি আমার এক প্রিয় বন্ধুর অন্ত্যেষ্টি যাত্রায় যোগদান করতে গিয়েছিলাম। বেশ কিছুদিন আগেই তিনি ক্যনসার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। আমি যখন তার বাক্সের কাছে এগিয়ে গেলাম, তখন আমি লক্ষ্য করমাল যে অন্ত্যেষ্টির পরিচালক তার মুখটিকে প্রসাধন দিয়ে সাজিয়েছেন, ইহার মধ্যে জীবন দায়ী এক আবেগ তাতে ফুটিয়ে তুলেছেন। তারা তার শরীরটাকে চকচকে মসৃণ বাক্সের মধ্যে শায়িত করেছে। তার চারপাশে তারা সুন্দর সুন্দর ফুল দিয়ে সাজিয়েছে। তাদের উত্তম যা কিছু করার তা তারা করেছেন, কিন্তু সেই মৃত্যু কোন সময়েই সুন্দর হয় না। ইহা সর্ব্বদাই ভয়াবহ। ইহার বিষয়ে কেউ যেন আপনাকে না বলে তাই নয় কি ? এই মৃত্যু হল মানুষের শত্রু। বাইবেল এই মৃত্যুকে “ শেষ শত্রু বলে আখ্যা দেয়” ( ১-ম করিন্থিয়ান্স ১৫ঃ২৬)। তথাপি ইহা হল শত্রু যার সম্মুখীন আপনাকে হতেই হবে কেননা, ‘ইহা নির্বাচিত করা হয়েছে যেন মানুষ মৃত্যু বরণ করে আর তৎপরেই বিচার নিরুপিত’। (হিব্রুজ ৮ঃ১১)। যেহেতু আপনি মৃত্যু বরণ করতে চলেছেন তাই বাইবেল মৃত্যু সম্বন্ধে কি বলে তা জানার প্রয়োজন রয়েছে। ১. প্রথম,বাইবেল আমাদের মৃত্যুর উৎপত্তি সম্বন্ধে বলে। ইডেন উদ্যানটি ছিল অতি সুন্দর ও মনোরম, মানুষের বসবাস করার উপযুক্ত জায়গা। পাপ ও মৃত্যু কোনদিন সেখানে প্রবেশ করতে পারে নি। এরপরে ঈশ্বর আদমকে বললেন, “আর সদাপ্রভু ঈশ্বর আদমকে আজ্ঞা দিলেন, তুমি এই উদ্যানের সমস্ত ফল স্বচ্ছন্দে ভোজন করিও; কিন্তু সৎ-অসৎ জ্ঞানদায়ক যে বৃক্ষ, তাহার ফল কখনও ভোজন করিও না, কেননা যেদিন তাহার ফল খাইবে, সেই দিন মরিবেই মরিবে”। (আদি পুস্তক ২ঃ১৬-১৭) কিন্তু আদম ও ইভ ঈশ্বরের অবাধ্য হলেন। তারা সেই নিষিদ্ধ ফলটিকে খেলেনার সেই মুহুর্তেই আত্মিক ভাবে মারা গেলেন। শারিরীক মৃত্যু তাদের দেহের মধ্যে কার্্য্য শুরু করলো। পরবর্তী সময়ে ঈশ্বর নয় জন ব্যাক্তির নাম তালিকা ভুক্ত করলেন আদম থেকে নোয়াহ পর্যন্ত। ইনোক স্বর্গে গৃহীত হলেন। কিন্তু অন্যান্যদের বিষয়ে বাইবেল কি বলে ? “তিনি মৃত্যু বরণ করলেন”, “মৃত্যু বরণ করলেন”, “মৃত্যু বরণ করলেন”, “তিনি মৃত্যু বরণ করলেন”। তিনি যখন এই কথা বললেন তখন তাঁর বলার অর্থ হল ঈশ্বর আমাদের বলছেন, ‘তুমি অবশ্যই মারা পড়বে’। এরপরে ইজ্রায়েল ও যিহুদার রাজাদের ইতিহাস পড়ুন। ‘তারা বসবাস করলেন, তারা রাজত্ব করলেন’। ঈশ্বর মোজেস’কে বললেন, ‘দেখ, তোমার মৃত্যুদিন আসন্ন’ (দ্বিতীয় বিবরণ ৩১ঃ১৪)। ঈশ্বর জিজিকিয়া রাজাকে বললেন, ‘কেননা তোমার মৃত্যু হইবে’। (ঈশা ৩৮ঃ১)। যীশুও প্রায় সময়ে এই মৃত্যুর বিষয়ে বলেন। তিনি সেই ধনী ব্যাক্তিদের বিষয়ে বলেছিলেন, যিনি মৃত্যু বরণ করে নরকে গিয়েছিলেন (লিউক ১৬ঃ১৯-৩১)। তিনি আরো একজন ধনবান ব্যাক্তির বিষয়ে বলেছিছেন, যিনি নিদ্রা গিয়ে মৃত্যু বরণ করেন। (লিউক ১২ঃ১৩-২১)। ফারিশীদের তিনি বলেছিলেন, যে তারা তাদের পাপেই মৃত্যু বরণ করবে (যোহান ৮ঃ২০)। বাইবেল আমাদের বলে যে পাপের জন্যই মৃত্যু আসে। প্রথম ব্যাক্তি যখন পাপ করলো তার প্রতিফল সমুদয় বংশপরম্পরায় তা ছড়িয়ে পড়লো। ইতিমধ্যেই আমার ও আপনার মধ্যে পাপের সেই বীজ আমাদের দেহের মধ্যে রয়েছে। দাঁতের ক্ষয় হয়। মাথার চুল পড়তে শুরু করে। আর ইহার পরে তা ধূসর রঙে পরিণত হয়। আমাদের চক্ষু দুর্ব্বল হয়ে পড়ে। কারো কারো মধ্যে ক্যানসারের সেল দেহের মধ্যে গঠিত হতে থাকে, অন্যদের আবার হৃদপিন্ডের ও শরীরের পেশী সকল সংকুচিত হতে থাকে, রক্তের চাপ উচ্চ হতে শুরু করে। ছোট শিশুদের পর্যন্ত ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়ে এবং লিওকিমিয়া ও অন্যান্য রোগে মৃত্যু বরণ করতে দেখেছি। আপনি যে কোন ব্যাক্তি হোন না কেন মৃত্যু আপনার দিকে এগিয়ে আসছে। ‘আর মনুষ্যের নিমিত্ত যেমন একবার মৃত্যু তৎপরে বিচার নিরুপিত আছে’। (হিব্রুজ ৯ঃ২৭)। ফুলের বেশীর ভাগ ব্যাবসা মৃতবর্গদের ফুলে সাজিয়ে তোলার জন্যই বিদ্যমান রয়েছে। জীবন বিমার পলিসি বিক্রেতারা তাদের পলিসি বিক্রি করে প্রমাণ করতে চায় যে আমরা মারা যাবো। বড় রাস্তা পার হওয়ার সময়ে কতো ব্যাক্তি দূর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে তাও ইহাকে বয়ান করে। বিভিন্ন প্রকার দুর্ঘটনায় কতো হাজার সংখ্যক লোকই না মারা যাচ্ছে প্রতি বৎসর। আরো বহু হাজার সংখ্যক ব্যাক্তি আত্মহত্যা করে। প্রাচীন কালের স্থাপত্য শিল্পীরা এই নয়মকে অনুসরণ করতেন, ‘যাতে কফিনটি ভালো ভাবে প্রবেশ করতে পারে তার জন্য সমস্ত দরজাকে যথেষ্ঠ বড় রাখতে হবে’। কিন্তু আপনি হয়তো বলবেন, ‘এই সমস্ত ঘটনা আমাকে সন্ত্রস্ত করে না’। সেগুলো আমাকে পর্যন্ত সন্ত্রস্ত করেনা কেননা আমি আমার প্রত্যাশাকে খ্রীষ্টের মধ্যে স্থাপন করেছি যিনি মৃত্যুকে জয় করেছেন। কিন্তু আপনি যদি এখন পর্যন্ত ন্তুন জন্মপ্রাপ্ত খ্রীষ্টিয়ান না হয়েছেন, তাহলে সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠার যথেষ্ঠ ভীতি আপনার মধ্যে থাকবে। পরিত্রাণ পাওয়ার প্রতি মৃত্যুই আপনার সমস্ত সু্যোগকে ছিনিয়ে নেবে। আর এই কথা মনে রাখবেন, মৃত্যু খুব শীঘ্রই আপনার জীবনে আসতে চলেছে। আপনার রুপটি চকচকে কফিন হয়তো এই মুহুর্তে কবরের বৈঠকখানাতে অপেক্ষা করছে। আমি এক যুবক ব্যাক্তিকে জানতাম যে আমার এই উপদেশে হাসতো। সে মন্ডলীর শেষে বসে সভার সময়ে কমিক পড়তো। আমার প্রচারের সময়ে বড় বাইবেলে লুকানো কমকটি বের করে আনতো। এক বা দুদিন পরেই, তার শরীরকে নিথর ঠান্ডা অবস্থায় শায়িত হতে দেখেছিলাম। ‘আর মনুষ্যের নিমিত্ত যেমন একবার মৃত্যু, তৎপরে বিচার নিরুপিত আছে’। (হিব্রুজ ৯ঃ২৭)। পুরাতন একটি গীত ইহাকে আরো ভালো ভাবে ব্যাক্ত করে, সময় দ্রুততর ভাবে এগিয়ে চলেছে, মুহুর্ত অতিবাহিত হচ্ছে ২.দ্বিতীয়, মৃত্যুর পরে কি হবে বাইবেল আমাদের তা বলে। একজন নতুন জন্মপ্রাপ্ত খ্রীষ্টিয়ানের মৃত্যুর সময়ে কি ঘটে ? প্রেরিত পল বলেন, ‘দেহ হইতে দূরে প্রবাস হল প্রভুর কাছে নিবাস করা’ (২-য় করিন্থিয়ান্স ৫ঃ৮)। একজন খ্রীষ্টিয়ান যখন মৃত্যু বরণ করে, তখন তার শরীর কবরে শায়িত রাখা হয়, কিন্তু তার আত্মা প্রভুর কাছে নিবাস করতে চলে যায়। যীশু সেই মৃত্যুমুখী দস্যুকে বলেছিলেন, যে পরিত্রাণ লাভ করেছিল। ‘অদ্যই তুমি আমার সহিত পরম দেশে উপনীত হবে’। (মথি ২৩ঃ৪৬)। আর তাই মৃত্যু নতুন জন্মপ্রাপ্ত খ্রীষ্টিয়াঙ্কে সন্ত্রস্ত করতে পারে না। গত শুক্রবার দিনে, আমি যে মহিলার কবরে যোগদান করেছিলাম তিনি জানতেন তিনি ক্যানসারে মারা যেতে চলেছেন, তাকে আমার স্ত্রী ও আমি দুজনে মিলে কয়েক সপ্তাহ আগেই পরিদর্শন করে এসেছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের সংগে হেসেছিলেন ও প্রচন্ড ভাবে মজা করেছিলেন। যেহেতু তিনি একজন প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ান ছিলেন তাই তার মধ্যে আমরা শান্তি দেখতে পেয়েছিলাম। তার স্মৃতি সভাতে তার জীবন কাহিনীর বিষয়ে স্মৃতিচারণ করাটা আমার কাছে একতা সুযোগ ছিল। গত শুক্রবার সন্ধ্যবেলা কয়েক শত লোকেদের সঙ্গে আমরা সেখানে ছিলাম। কিন্তু যে ব্যাক্তি কনভার্ট হোন নি সেই ব্যাক্তির মৃত্যুতে কি ঘটে ? লিউওক লিখিত সুসমাচারের ষষ্ঠ অধ্য্যে আমরা পড়ি, ‘পরে সেই ধনবানও মরিল এবং কবর প্রাপ্ত হইল, আর পাতালে যাতনার মধ্যে, সে চক্ষু তুলিয়া যন্ত্রণায় চেঁচাইতে লাগিল’ (লিউক ১৬ঃ২২-২৩)। যারা খ্রীষ্টতে প্রত্যাখান করে, তারা বিবেক যমত্রণায় কষ্ট পায়। তাদের শরীর কবরে যায়, কিন্তু তাদের আত্মা অনন্তকালীন অগ্নিতে যন্ত্রণা ভোগ করতে থাকে। যীশু বলেছেন, ‘ইহারা অনন্ত দন্ড ভোগ করিবে’। (মথি ২৫ঃ৪৬)। ‘তাদের সমস্ত কিছুর অংশ অগ্নি ও গন্ধকে ও প্রজ্জ্বলিত হ্রদে হবে’ (প্রকাশিত বাক্য ২১ঃ৮)। ‘তাদের আতনার ধুম্র যুগপর্যায়ের যুগে যুগে ওঠে..... তাহারা দিবা বা রাত্রি কখনও বিশ্রাম পায় না’ (প্রকাশিত বাক্য ১৪ঃ১১)। মৃত্যুর পরে সেখানে কি আরো একটি সুযোগ রয়েছে ? বাইবেল পরিষ্কার ভাবে জোর দিয়ে বলে “না”। অ্যাব্রাহাম নরকের সেই ব্যাক্তিকে বলেছিলেন, “আর এসকল ছাড়া আমাদের ও তোমাদের মধ্যে বৃহৎ এক শূন্যস্থলীস্থির রহিয়াছে, যেন এখান হইতে যাহারা তোমার কাছে যাইতে চাহে, তাহারা না পারে, আবার ওখান হতে আমাদের কাছে কেহ পার হইয়া আসিতে না পারে” (লিউক ১৬ঃ২৬) সেই হারিয়ে যাওয়া ব্যাক্তি স্বর্গ ও নরকের শূণ্যস্থলীর ভুল জায়গাটিতে চিরকাল সেখানে থাকবে। খ্রীষ্ট এই মুহুর্তে তাঁর কাছে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছেন। বাইবেল অনুযায়ী মৃত্যুর পরে সেখানে অন্য আর একটি সুযোগ থাকবে না। ৩. তৃতীয়,অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর বিষয়ে বাইবেল সতর্ক করে দেয়। আজ পর্যন্ত যত মৃত্যু ঘটেছে তার বেশির ভাগই অরত্যাশিত ভাবে। যেমন ধরুন, যন্ত্রচালিত যান বা মেশিনে মৃত্যু, হত্যা, আত্মহত্যা, যুদ্ধ এবং হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। এদের মধ্যে সব থেকে বেশির ভাগ লোক যারা এই ভাবে মারা যায় তাদের মনপরিবর্তন এবং খ্রীষ্টের উপরে নির্ভর করার কোন সময়ই থাকে না। তারা এই জীবন থেকে বেরিয়ে গিয়ে অপ্রত্যাশিত সেই জায়য়াগাতে ঈশ্বরের সম্মুখীন হোন। বাইবেল বলে, “যে পুণঃ পুণঃ অনুরক্ত হইয়াও ঘাড় শক্ত করে,সে হঠাৎ ভাঙিয়া পড়িবে, তাহার প্রতিকার হইবে না” (হিতোপদেশ ২৯ঃ১) প্রায় ৫৫-বৎসর হয়েছে আমি প্রচার করছি। এইভাবে বৎসরের পর বৎসর বার বার আমি লোকেদের হঠাৎ করে মৃত্যু বরণ করতে দেখেছি যারা ঈশ্বরের মুখোমুখি হওয়ার জন্য অপ্রস্তুত ছিল। বার বার, যে ব্যাক্তিরা পরিত্রাণ পায় নি, তাদের কবর দেওয়ার জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে। এই প্রকার বিয়োগান্তক সময়ে সেই সমস্ত পরিবার বর্গদের ও আত্মীয়দের কোন আশার বাণী সঞ্চার করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আমি যেতা করতে পারি তা হল যারা জীবন্ত তাদের কাছে কেবল মাত্র সুসমাচার প্রদান করতে পারি। সামনে দিনের কোন এক সময়ে আপনাকে যদি মারা যেতে হয় তাহলে আপনার প্রতি কি ঘটবে ? আপনি কি প্রেরিত পলের সাথে বলতে সক্ষম হবেন, ‘কেননা আমার পক্ষে জীবন খ্রীষ্ট এবং মরণ লাভ দায়ক’। (ফিলিপিয় ১ঃ২১)। না কি খ্রীষ্টের মধ্যে যে আশা রয়েছে তা না গ্রহণ করে আপনি চিরকাল বাইরে থেকে কষ্ট পাবেন ? আপনার জন্য কি ইহা স্বর্গ না নরক স্থান হবে ? এটা সেই গম্ভীর এক প্রশ্ন, এই প্রকার গম্ভীর প্রশ্নের সম্মুখীন হয়তো আপনাকে হতে হবে না, ‘আর যেমন মনুষ্যের নিমিত্ত একবার মৃত্যু, তৎপরে বিচার নিরুপিত আছে’। (হিব্রুজ ৯ঃ২৭)। যীশু ক্রুশের উপরে আপনার জন্য মৃত্যু বরণ করেছেন যেন পাপের সমস্ত দন্ড (শাস্তি) মিটিয়ে দেন। তিনি তাঁর রক্ত প্রদান করেছেন যেন তিনি আপনাকে পাপ থেকে পরিষ্কার করে পবিত্র করতে পারেন। অনন্ত জীবন প্রদান করার জন্য তিনি শারিরীক ভাবে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন। কিন্তু আপনাকে অতি অবশ্যই আপনার পাপ সম্বন্ধে অনুশোচনা করে খ্রীষ্টকে আপনার জীবনে অনুভব করতে হবে। আপনাকে অতি অবশ্যই পাপপূর্ন এবং স্বার্থপর জীবন থেকে মন পরিবর্তন করতে হবে। জীবন পরিবর্তনকারী এক কথোপকথনে খ্রীষ্টের সম্মুখীন আপনাকে অবশ্যই হতে হবে। ইহা যদি আপনার মধ্যে ঘটে তবে সেখানে আশা আছে। যদি তা না হয় তবে আপনার কোন আশা নেই, কোন মতেই নেই। তাই আপনি আপনাকে সাবধান করে দিই, রবিবার সকাল ও সন্ধ্যাবেলায় যে সভা অনুষ্ঠিত হয় সেখানে আপনি উপস্থিত থাকলে শুভসংবাদ শোনার জন্য, যেন খ্রীষ্টিয়ান লোকেরা আপনার জন্য প্রার্থনা করে, মন্ডলীতে সহভাগিতার মধ্যে প্রবেশ করুন, খ্রীষ্টের মধ্যে প্রকৃত সম্পর্কের মধ্যে ও মন্ডলীর মধ্যে প্রবেশ করুন। বাইবেল বলে, “খ্রীষ্ট যীশু পাপীদের পরিত্রাণ করিবার জন্য জগতে আসিয়াছেন” (১-ম টিমোথি ১ঃ১৫) আমরা যেভাবে প্রার্থনা করি যাদের মতো আপনিও একজন হয়ে উঠবেন যাদের যীশুর আশাহীন জীবন ও আশাহীন মৃত্যু থেকে পরিত্রাণ করেন। আমেন। আপনি যদি নিশ্চিত নয় যে আপনি উদ্ধার ও পরিত্রাণ লাভ করেছেন তবে আমি আপনাকে অনুরোধ করছি আপনারা এখানে এই প্রচার বেদীর কাছে সামনে এসে দাঁড়ান। আপনি এলে পরে ডাঃ চেন আপনাদের আরো একটি কক্ষে নিয়ে যাবেন ও পড়ার জন্য আপনাকে বেশ কিছু বই দেবেন। আপনার গান বইএর পাতার সাত নম্বর গানটির প্রতি ফিরুন। আমরা যখন গান গাই তখন আপনি নিজের চেয়ার থেকে বেরিয়ে আসুন ও সামনে এই বেদীর কাছে এসে দাঁড়ান, অতি সত্ত্বর চলে আসুন। নরম ও কোমল স্বরে ডাকেন যীশু ডাঃ চান, আজকের সকালে যারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তাদের উদ্দেশে প্রার্থনা করার জন্য দয়া করে এগিয়ে আসবেন (প্রার্থনা)। বক্তৃতার সমাপ্তি You may email Dr. Hymers at rlhymersjr@sbcglobal.net, (Click Here) – or you may সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ কিউ ডঙ লী; হিব্রুজ ৯ঃ২৪-২৮ |
সংবাদের খসড়া চিত্র মৃত্যুর সঙ্গে আপনার সাক্ষাৎ লেখকঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনি. “আর যেমন মনুষ্যের নিমিত্ত একবার মৃত্যু, তৎপরে বিচার নিরুপিত আছে” (আমোস৮ঃ১১; ১-ম করিন্থিয়ান্স ১৫ঃ২৬) ১. প্রথম,বাইবেল আমাদের মৃত্যুর উৎপত্তি সম্বন্ধে বলে। ২. দ্বিতীয়, মৃত্যুর পরে কি হবে বাইবেল আমাদের তা বলে। ৩. তৃতীয়,অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর বিষয়ে বাইবেল সতর্ক করে দেয়। |