এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
যে প্রচার আমাদের প্রয়োজন THE PREACHING WE NEED লেখক ঃ ডাঃ আর এল হাইমার্স, জুনি. ২৩-শে সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে সন্ধ্যাকালে সদাপ্রভুর একটি দিনে “কারণ, ঈশ্বরের জ্ঞানক্রমে যখন জগৎ নিজ জ্ঞানের দ্বারা ঈশ্বরকে জানিতে পাইয় নাই, তখন প্রচারের মূর্খতা দ্বারা বিশ্বাসকারীদের পরিত্রাণ করিতে ঈশ্বরের সুবাসনা হইল” (১-ম-করিন্থিয়ান ১ঃ২১) |
প্রসংগের শুরুতেই বলা হচ্ছে ‘ঈশ্বরের জ্ঞানক্রমে যখন জগৎ নিজ জ্ঞানের দ্বারা ঈশ্বরকে জানিতে পাইয় নাই, তখন প্রচারের মূর্খতা দ্বারা বিশ্বাসকারীদের পরিত্রাণ করিতে ঈশ্বরের সুবাসনা হইল’ জ্ঞান কি প্রকার সেই বিষয়ে এই জগতের এক চিন্তাধারা রয়েছে। জগৎ যেভাবে চিন্তা করে এই বিষয়ে বেঞ্জামিন যা বলেছেন তা ঠিকই, যখন পিতা মাতারা তাদের সন্তানদের নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে রাখে না। সেতাই হল জগতের জ্ঞান। জগৎ মনে করে হত্যার জন্য রাজদন্ড প্রদান করা খারাপ কেননা হত্যাকারীকে প্রাণদণ্ডে দন্ডিত করার থেকে পুণরায় সুযোগ দেওয়া দরকার। সেটাই হল জগতের জ্ঞান। এই জগৎ মনে করে যে মহিলার গর্ভে সন্তান রয়েছে তাকে মারার অধিকার তার রয়েছে আর তা এমনকি নয় মাসের শিশুকে পর্যন্ত। সেতাই তো জগতের জ্ঞান। জগৎ মনে করে আমরা মুসলমান সম্প্রদায়ের সেই সমস্ত নেতাদের সামনে নতজানু হয়ে থাকবো যারা আমাদের মন্ডলীগুলিকে পুড়িয়ে দিচ্ছে এবং সারা বিশ্বে আমাদের ভাই ও বোনেদের হত্যা করছে। সেটাই তো জগতের জ্ঞান। জগৎ মনে করে একজন ব্যাক্তিকে দুজন বিবাহ করতে পারে! সেটাই তো জগতের জ্ঞান। কিন্তু সেই সমস্ত বিষয়ের কোনটাই আমাদের সাহায্য করে নি অথবা আমাদের ঈশ্বরের কাছে নিয়ে আসেনি। এর কোনটাই আমাদের মন্ডলীকে শক্তিশালী করে নি ব আমাদের যুবক যুবতীদের ঈশ্বর বিষয়ক জ্ঞান প্রদান করে নি। “কারণ, ঈশ্বরের জ্ঞানক্রমে যখন জগৎ নিজ জ্ঞানের দ্বারা ঈশ্বরকে জানিতে পাইয় নাই, তখন প্রচারের মূর্খতা দ্বারা বিশ্বাসকারীদের পরিত্রাণ করিতে ঈশ্বরের সুবাসনা হইল” (১-ম-করিন্থিয়ান ১ঃ২১) হ্যাঁ, আমি জানি বর্তমান দিনে প্রচারটা কোন ধরন নয়। আমি জানি লোকেরা আমাকে বলছেন, এটা হল দূরদর্শন আর ইন্টারনেটের যুগ। অতএব, আমরা আর সেইভাবে বেশি দিন প্রচার করতে পারি না—কোন মতেই ‘শহরে চিৎকার করে সুসমাচারের ঘোষণা’ করতে পারবো না, যেটাকে গ্রীক ভাষায় ‘প্রচার’ শব্দের অর্থ সেই ভাবেই ব্যাক্ত হয়। তারা বলে ‘আর কোন প্রচার নয়’। ‘চিৎকার কারী কোন একজন লোককে তারা পুল পিটে (বেদী/ মঞ্চে) তুলবে না’। জগৎ সেই প্রকার কথাই বলে। আর সেতাই হল জগতের জ্ঞান। তারা বলেন ‘ বাইবেলের শিক্ষা কেবলমাত্র পদ অনুযায়ী দাও’, ‘আপনার গলার স্বরকে তীব্র করবেন না, লোকেদের লক্ষ্য করতে দিন’। তারা যে কিছু একটা শিখছে সেই বিষয়ে লোকদের চিন্তা করার প্রতি সেটাই হল সুগ্রথিত এক কৌশল। বাস্তবে ইহা তাদের আত্মিক অপরিপক্কতার শিশু অবস্থায় রাখে কিন্তু প্রায় লোকেরা সেতাকে চিহ্নিত করতে পারে না। প্রায় লোকেরা ইহা চিন্তাই করে না যে বাইবেলের মধ্যে বিশ্বাসের বীর সমূহের কোন একজনও সেইভাবে পরিলক্ষিত হয় নি! ‘তাদের প্রতি চিৎকার করবেন না। সর্ব্বদাই সুমিষ্ট ভাব রাখ’। সেটাই তো এই জগতের জ্ঞান! কিন্তু ইহা ঈশ্বরের কোন জ্ঞান নয়! “প্রচারের মূর্খতা দ্বারা বিশ্বাসকারীদের পরিত্রাণ করিতে ঈশ্বরের সুবাসনা হইল” (১-ম-করিন্থিয়ান ১ঃ২১) হারিয়ে যাওয়া ও মাংসাশী লোকেদের কাছে এই প্রচার হয়তো মূর্খতা। প্রচার মনে হয় যেন বোকা লোকের মুর্খামী। জগৎ সেই ভাবেই চিন্তা করে! কিন্তু ঈশ্বর সেটাকে ভিন্ন ভাবে চিন্তা করেন! ঈশ্বর মনে করেন একজন প্রচারক যিনি বাইবেল ধরে থাকেন এবং এমনি জ্বলন্ত ভাবাবেগে কথা বলেন, সেটাই হল সারা বিশ্বে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। প্রচারের স্থান কোন কিছুর দ্বারাই পুরণ করা যায় না। আমাদের মন্ডলী গুলিতে প্রচারের অভাব রয়েছে। খ্রীষ্টীয়ানিটি জীবন ফিরে পায়তখনই যখন প্রচারে জীবন থাকে। সাধুবর্গের যে প্রার্থনা তার মধ্যে রয়েছে জীবন আর পাপীরা মৃত্যু থেকে জীবনের পথে পাড়ি দেয় যখন তখন যখন প্রচারের মধ্যে জীবন থাকে।কিন্তু যখন একজন ভীত লোক, যিনি তাদের মন্ডলীর সেই সমস্ত মহিলাদের জয় গান তখন তার এক সুরুচি সম্পন্ন শিরোনাম দেন, ‘ব্যাখামূলক উপদেশ’ তখনি যেন আলো নিভে যায় আর মন্ডলীও অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। কেন ? কেননা, “প্রচারের মূর্খতা দ্বারা বিশ্বাসকারীদের পরিত্রাণ করিতে ঈশ্বরের সুবাসনা হইল” (১-ম-করিন্থিয়ান ১ঃ২১) উপদেশ দান করার উদ্দেশ্য কি ? উপদেশ প্রদান করার যে উদ্দেশ্য তা আমাদের পাঠ্যাংশে দেওয়া হয়েছেঃ “প্রচারের মূর্খতা দ্বারা বিশ্বাসকারীদের পরিত্রাণ করিতে ঈশ্বরের সুবাসনা হইল” (১-ম-করিন্থিয়ান ১ঃ২১) এটাই হল প্রচারের অর্থ—‘ যারা বিশ্বাস করে তাদের উদ্ধার করা’, প্রতিটি উপদেশের লক্ষ্য হবে উদ্ধার করার, ‘তাদের যারা বিশ্বাস করে’, প্রার্থনার উপরে প্রতিটি উপদেশ, চালনাকারী তার উপরে প্রতিটি উপদেশ, মতবাদ মূলক প্রতিটি উপদেশ, প্রতিটি প্রার্থনা সভার উপদেশ—প্রতিটি উপদেশ আলোকপাত করবে এমন কিছুর ওপরে যা হল যারা বিশ্বাস করে তাদের উদ্ধার করা। আমি প্রায় কারো কাছে এমন উপদেশ, এমন কোন জায়গাতে প্রচার করিনি ‘যারা বিশ্বাস করে তাদের উদ্ধার করা’ বিষয়ে প্রচার করা ছাড়া। ইহা হতে পারে এমন উপদেশ যা আপনাকে বলছে উদ্ধার লাভ কর। ইহা হয়তো এমন উপদেশ যা অন্য ধরনের; কিন্তু যে সমস্ত উপদেশ আমি প্রচার করি তার মুখ্য বিষয় হল ‘যারা বিশ্বাস করে তাদের উদ্ধার করা’। “প্রচারের মূর্খতা দ্বারা বিশ্বাসকারীদের পরিত্রাণ করিতে ঈশ্বরের সুবাসনা হইল” (১-ম-করিন্থিয়ান ১ঃ২১) যেহেতু প্রচার বিষয়টি এতটা গুরুত্বপূর্ণ তাই আপনার জানা দরকার কি প্রকার প্রচার লোকেরা চাইছে। বাইবেল প্রচারের বিষয়ে কি বলছে তা আমাদের জানা দরকার। মানুষকে কি প্রচার করতে হবে এই বিষয়ে বাইবেল কি বলে? ১.প্রথম, বাইবেল বলে আমরা যেন পাপের বিপক্ষে প্রচার করি প্রেরিত পল বলেছেন, ‘ তুমি বাক্য প্রচার কর..... কার্য অনুরক্ত হও। সম্পুর্ণ সহিষ্ণুতা ও শিক্ষাদান পূর্বক অনুযোগ কর, ভর্ৎসনা কর, চেতনা দাও’ (২-য় টিমোথি ৪ঃ২)। বাইবেলে লোকেরা যেভাবে প্রচার করেছেন আর তা যদি প্রকৃত প্রচার হয় তবে সেখানে শাস্ত্র সংগত ভর্ৎসনা এবং পাপ থেকে চেতনা লাভ করার সংবাদ থাকতে হবে। মহা প্লাবনের আগেই সেই ইনোকের প্রতি ফিরে যান। ইনোক কি প্রচার করেছিলেন? জুডাসের বই-এতে আমাদের বলা হয়েছে যে তিনি কি প্রচার করেছিলেন। এই প্রকার বিষয় ইনোক প্রচার করেছিলেন। “দেখ প্রভু আপন অযুত অযুত পবিত্র লোকের সহিত আসিলেন, যেন সকলের বিচার করেন;আর ভক্তিহীন সকলে আপনাদের যে সকল্ভক্তি বিরুদ্ধ কর্ম দ্বারা ভক্তিহীনতা দেখাইয়েছে, এবং ভক্তিহীন পাপীগণ তাঁহার বিরুদ্ধে যে সকল কঠোর বাক্য কহিয়াছে, তৎপ্রযুক্ত তাহাদিগকে যেন ভর্ৎসনা করেন” (জুডাস ১৪-১৫) ইনোক খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের বিষয়ে প্রচার করেছিলেন, পরিত্রাণ বিহীন পাপীদের শেষ বিচার সম্বন্ধে প্রচার করেছিলেন। তিনি অধার্মিক লোকেদের পাপের বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন যেতা তারা নিজেরা করেছে। তিনি পাপীদের নোংরামী কথার বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন। মন্দলোকেরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যে কথা বলেছিল সেই পাপপূর্ন বিষয়ের বিরুধে তিনি প্রচার করেছিলেন। ইনোক, আদম থেকে সপ্তম ব্যাক্তি তিনি তার প্রজন্মের সময়ে পাপ থেকে ভর্ৎসনা ও তিরস্কারের এক কঠিন প্রচার ও শক্তিশালী উপদেশ প্রদান করেছিলেন। সেই প্রকার প্রচারই আজ আমাদের প্রয়োজন। তা হলে ঈশার ভাববাদীর প্রচারের বিষয়ে চিন্তা করুন, তিনি বলেছেন, “মুক্ত কণ্ঠে ঘোষণা কর, রব সংযত করিও না, তুরীর ন্যায় উচ্চধ্বনি কর; আমার প্রজাদিগকে তাদের অধর্ম, জেকবের কুলকে পাপ সকল জানাও” ( ঈশা ৫৮ঃ১) কোন একটা সময়ে ঈশার বই এর বেশ কিছু অধ্যায় পড়ুন। তিনি তাদের কপটতার বিরুদ্ধে প্রচার করেন। তিনি বলেন তাদের হাত রক্তে পরিপূর্ণ। ঈশ্বরের বিরুদ্ধে তাদের যে বিদ্রোহতার বিষয়ে তিনি ধিক্কার জানান।তিনি প্রচার করেন যে তাদের নেতারা বিধবা এবং অনাথদের সুরক্ষা করে নি। তিনি প্রচার করেন যে তাদের নগরী অগ্নিতে পুড়ে যাবে, তাদের দেশ অপরিচিত লোকের দ্বারা গ্রাস করা হবে। সেই প্রকার প্রচারই আজকে আমাদের প্রয়োজন রয়েছে। “প্রচারের মূর্খতা দ্বারা বিশ্বাসকারীদের পরিত্রাণ করিতে ঈশ্বরের সুবাসনা হইল” (১-ম-করিন্থিয়ান ১ঃ২১) যোহান ব্যাপ্টিস্টের বিষয়ে কি মনে হয়? তিনি কি প্রচার করেছিলেন? তিনি প্রচার করেছিলেন, “হে সর্পের বংশেরা, আগামী কোপ হইতে পলায়ন করিতে তোমাদিগকে কে চেতনা দিল? অতএব মন পরিবর্তনের উপযোগো ফলে ফলবান হও” ( ম্যাথুজ ৩ঃ৭-৮) তাদের তিনি সাপের বংশ বলে অভিহীত করেন, যাকে নরকের আগুনে ছুঁড়ে ফেলা হবে। তাদের তিনি মন পরিবর্তনের আহবান জানান। যীশু কি ভাবে পাপের বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন তা চিন্তা করুন। তিনি অবিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রচার করেন। তিনি ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তাদের মধ্যে প্রচন্ডতার ভাব রয়েছে তার বিরুদ্ধে তিনি প্রচার করেন, তিনি বলেন তারা যদি অন্যদের মান না করেন তবে তাদের স্বর্গস্থ পিতাও তাদের ক্ষমা করবেন না। তিনি ফরিশী ও স্ক্রাইবদের (পন্ডিত লোক) প্রতি প্রচার করেন; ‘তোমরা আপনাদের পিতা শয়তানের এবং তোমাদের পিতার অভিলাষ সকল পালন করাই তোমাদের ইচ্ছা’ (যোহান ৮ঃ৪৪)। লোকেরা যিশুকে ঘৃণা করতে থাকেন কেননা তিনি তাদের পাপের বিরুদ্ধে প্রচার করেন। তাদের পাপের বিরুদ্ধে প্রচার করার ফলে লোকেরা তাঁকে ক্রুশারোপিত করে! প্রতিটি প্রচারক যারা যীশুর উদাহরণের প্রতি প্রকৃত বাস্তব তারাও যেন কোন কোন সময়ে লোকেদের পাপের বিরুদ্ধে প্রচার করে তাদের ক্ষুব্ধ করে তোলেন, ঠিক যেমন ভাবে যিশু করেছিলেন। প্রেরিত পীটার বলেছিলেন, ‘খ্রীষ্ট তোমাদের জন্য এক আদর্শ রাখিয়া গিয়াছেন, যেন তোমরা তাহার পদচিহ্নের অনুগমন কর’ (১-ম পিটার ২ঃ২১)। নিশ্চিত ভাবেই খ্রীষ্টের মতোপ্রতিটি খ্রীষ্টিয়ান তাদের প্রচার বেদী থেকে লোকেদের পাপের জন্য ভর্ৎসনা প্রচার করেন, ঠিক যেম্ন ভাবে যীশু করেছিলেন! ডাঃ জন আর.রাইস যুব প্রচারক গণকে বলেছিলেন, তুমি কি এর দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছো না যে যারা তোমাকে ভয় করে তারা তোমার মণ্ডলীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করবে না। তুমি তোমার স্ত্রী’র সনির্বন্ধ অনুরোশে বেশী করে সন্তুষ্ট হবে না যে তমাকে ভয় দেখায় যে তোমার বেতন কমে যাবে বা তোমাকে কাজ থেকে বের করে দিলে, তুমি কর্মহীন হয়ে পড়লে তোমার আর কোথাও যাওয়ার থাকবে না। খ্রীষ্টের প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন তাহলে খ্রীষ্টও আপনার প্রতি বিশ্বস্ত থাকিবেন... এটা ঠিকই প্রচারক যেন প্রেম সহকারে তথা অনুকম্পা ও চোখের জলের দ্বারা প্রচার করে। কিন্তু তা সেই ঘটনা পরিবর্তন করে না যেন আমরা আজ্ঞার সরলতায় তিরস্কার এবং ভর্ৎসনা করি এবং নির্দিষ্ট পাপের বিরুদ্ধে বাক্য প্রচার করি। (জন আর.রাইস, ডি.ডি., Great Truths for Soul Winners, Sword of the Lord, ১৯৬৪, পৃষ্ঠা ১৩৭) ক্যালিফর্ণিয়ার উত্তর প্রান্তের সাউথ ব্যাপটিস্ট মন্ডলীতে আমি যখন প্রচার করছিলাম তখন আমি যুবকদের সেই সমস্ত পাপের বিষয়ে নির্দেশ করছিলাম অসৎ কাজ, অশ্লীল কাজ মন্ডলীতে না আসা ইত্যাদি। আমি বলেছিলাম তারা যেন কোন মতেই নীতি বিসর্জন কারী শিক্ষক যেমন বিশপ পাইকের কথা না শোনে, যিনি সেই সময়ে সানফ্রাসসিস্কোর এপিস্কোপাল মন্ডলীর প্রধান ছিলেন। আমার উপদেশের পরে পালক আমাকে তার অফিসে নিয়ে গিয়ে বলেছিলেন আমি যেন সেই ভাবে কথা না বলি ও প্রচার করি, তা না হলে সমস্যায় পড়তে হবে। অদ্ভুত ভাবেই পরবর্তী সময়ে এই পালক তার মন্ডলীর ভর্ৎসনার শিকার হোন আর যে মন্ডলী আমি শুরু করেছিলাম সেই শাখা মন্ডলীতে পালকত্বের কাজের সমাপ্তি করেন। যে সেমিনারীতে আমি যোগদান করেছিলাম সেখানে আমাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল যেন সেখানে ধর্ম তত্ত্ব বিষয়ে কোন ভুল ভ্রান্তি নিয়ে প্রচার না করি। কিন্তু যারা আমাকে সতর্ক করেছিলেন পরবর্তী সময়ে সেমিনারী থেকে তাদের ধমক দেওয়া হয়েছিল ও তাদের বরখাস্ত করা হয়েছিল। তারা চলে যাওয়ার পরে আমি সেই একই সেমিনারীতে অডিটরিয়ামে প্রচার করি। পাপের বিরুদ্ধে প্রচার করা থেকে আমি কোন ভাবেই বিরত থাকি নি, আর আজকের সন্ধ্যাবেলায় আমি এখানে এক আশ্চর্য্য মন্ডলীর আকাঙ্খিত লোকেদের সামনে উপস্থিত। ডাঃ রাইস তো এই বিষয়ে ঠিকই ছিলেন ‘ খ্রীষ্টের প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন তা’হলে খ্রীষ্টও আপনার প্রতি বিশ্বস্ত থাকবেন। আমেন! “প্রচারের মূর্খতা দ্বারা বিশ্বাসকারীদের পরিত্রাণ করিতে ঈশ্বরের সুবাসনা হইল” (১-ম-করিন্থিয়ান ১ঃ২১) কোন একজন অভিযোগ করেছিলেন আমি যেন আপনাদের উচ্চকণ্ঠে সমর্থন জানাই। তা’হলে কি হবে? হে সমুদয় জাতি, করতালি দাও, আনন্দ রবে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে জয়ধ্বনি কর’ (গীত সংহিতা ৪৭-১)। এর মধ্যে ভুলটা কোথায়? ইহা তো বাইবেলের কথা, তাই নয় কি? যখন যুবক ব্যাক্তিরা ফুটবল খেলতে যায় অথবা রক জাতীয় কনসার্টে তারা যোগদান করে এমন ভাবে চেঁচামেচির দ্বারা সমর্থন জানান যেন স্টেডিয়াম কেঁপে উঠে! কিন্তু এই সন্ধ্যা বেলায় যে সতর্কতা আমি আপনাদের দিচ্ছি তা হল একটি ফুটবল খেলার থেকেও হাজারগুণ গুরুত্বপূর্ণ এবং জাস্টিন বাইবার বা লেডি গ্যাগা’র রক কনসার্টের যে চিৎকার ধ্বনি তার থেকেও কয়েক লক্ষ গুণ গুরুত্বপূর্ণ। মন পরিবর্তন কর, কেন না স্বর্গ রাজ্য নিকটবর্তী। “প্রচারের মূর্খতা দ্বারা বিশ্বাসকারীদের পরিত্রাণ করিতে ঈশ্বরের সুবাসনা হইল” (১-ম-করিন্থিয়ান ১ঃ২১) ২. দ্বিতীয়, বাইবেল বলে, নরকের বিষয়ে প্রচার করার’ও প্রয়োজন আমাদের রয়েছে। বাইবেলের সব প্রচারকেরাই বিচার ও নরকের বিষয়ে প্রচার করেছেন এবং সেই সঙ্গে পাপের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের অভিশাপ সম্বন্ধেও বলেছেন। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট অবিরাম নরকের বিষয়ে প্রচার করেছিলেন, পাপীদের সাবধান করেছিলেন ঈশ্বরের অভিশাপ থেকে পলায়ন করতে! খ্রীষ্ট বলেছেন,’যে কেহ বলে “রে মুঢ”সে অগ্নিময় নরকের দায়ে পড়িবে’। (ম্যাথুজ ৫ঃ২২) খ্রীষ্ট বলেছেন, ‘এইরুপ যুগান্তে হইবে; দূতগণ আসিয়া ধার্মিকদের মধ্য হইতে দুষ্ট দিগকে পৃথক করিবেন, এবং তাহাদিগকে অগ্নিকুন্ডে ফেলিয়া দিবেন; সেই স্থানে রোদন ও দন্ত ঘর্ষণ হইবে। (ম্যাথুজ ১৩ঃ৪৯-৫০)। খ্রীষ্ট বলেছেন,যে তিনি একদিন বাম দিকে স্থিত লোক দিগকেও বলিবেন, ‘ওহে শাপগ্রস্থ সকল আমার নিকট হইতে দূর হও, তোমাদের জন্য যে অনন্ত অগ্নি প্রস্তুত করা গিয়াছে তাহার মধ্যে যাও’। (ম্যাথুজ ২৫ঃ৪১) খ্রীষ্ট বলেছেন, ‘ইহারা অনন্ত দন্ডে কিন্তু ধার্মিকেরা অনন্ত জীবনে প্রবেশ করিবে’। (ম্যাথুজ ২৫ঃ৪৬) যে পালক নরকের বিষয়ে প্রচার করে না তিনি যীশুর উদাহরণকে অনুসরন করেন আন, যিনি আমাদের কাছে এক উদাহরণ ছেড়ে গিয়েছেন ‘যেন আমরা তাঁর পদাঙ্ক অনুসরন করি’। (১-ম পিটার ২ঃ২১)। ডাঃ জন আর রাইস বলেছেন, অতি সহজ এক উপদেশ যা অন্য কোন ব্যাক্তির ভয়কে নাড়াচাড়া না করে, চোখের অশ্রু নিয়ে না আসে ও মানুষকে অনুতাপের প্রতি পরিচালিত না করে! যাই হোক না কেন এই প্রকার প্রচার যা পাপীদের তাদের পাপের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় রাখে, অনুদ্বিগ্ন অবস্থায় রাখে এবং আত্ম পরিতৃপ্তির মধ্যে রাখে। হে ঈশ্বর আমাদের তুমি এমন ধরনের প্রচার দাও যেন যখন তারা নরক ও আগামী দিনের বিচার সম্বন্ধে চিন্তা করে তখন তা লোকেদের কাঁপিয়ে তুলতে সাহায্য করবে! (ইবিড, পৃষ্ঠা ১৪০) “প্রচারের মূর্খতা দ্বারা বিশ্বাসকারীদের পরিত্রাণ করিতে ঈশ্বরের সুবাসনা হইল” (১-ম-করিন্থিয়ান ১ঃ২১) ৩.তৃতীয়, বাইবেল বলে, খ্রীষ্টের রক্তের দ্বারা পরিত্রাণের উপরে প্রচার করা প্রয়োজন আমাদের রয়েছে। বাইবেল শিক্ষা দেয় যে জগতের প্রতিটি নর ও নারী পাপী। ইহা বলে, ‘ কারণ সকলেই পাপ করিয়াছে এবং ঈশ্বরের গৌরব বিহীন হইয়া পড়িয়াছে’ (রোমানস ৩ঃ২৩)। বাইবেল বলে ‘সেখানে এমন কোন ব্যাক্তি নেই যে পাপ করে না’ ( ১-ম রাজা ৮ঃ৪৬)। বাইবেল বলে, ‘এই পৃথিবীতে ধার্মিক ব্যাক্তি একজনও নেই যারা ভালো কাজ করে, পাপ করে না (উপদেশক ৭ঃ২০) “কিন্তু” – তুমি বল, ‘আমার পাপের বিষয়ে ঈশ্বর কিছুই জানেন না। এমন কি আমার মা প্ররযন্ত আমার পাপ সম্বন্ধে অবগত নয়। সেগুলি গুপ্ত রয়েছে।‘ আপনার মা হয়তো আপনার পাপের বিষয়ে জানেন না কিন্তু ঈশ্বর সেই সমস্ত বিষয়ের সব কিছুই জানেন। বিবেল বলে, ‘সদা প্রভুর চক্ষু সর্ব্বস্থানেই আছে, তাহা অধম ও উত্তমদের প্রতি দৃষ্টি রাখে। (হিতপদেশ ১৫ঃ৩)। আপনার পাপ সকল ঈশ্বরের কাছে গুপ্ত নয়! বাইবেল বলে,’কারণ ঈশ্বরের সমস্ত কর্ম এবং ভালো হউক কি মন্দ হউক, সমস্ত গুপ্ত বিষয় বিচারে আনিবেন’ (উপদেশক ১২ঃ১৪)।বাইবেল শিক্ষা দেয়, যে কোন পাপ আপনি যা কিছু করেছেন তা ঈশ্বরের জীবন পুস্তকে লেখা রয়েছে (প্রকাশিত বাক্য ২০ঃ১২)। শেষ বিচারের সময় আপনাকে সর্ব শক্তিমান ঈশ্বরের সামনে দাঁড়াতে হবে। তিনি তাঁর জীবন পুস্তক থেকে আপনার সমস্ত পাপের তালিকা গুলো পড়বেন আর তখন ‘আপনাকে অনন্ত কালীন অগ্নিতে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে’। (প্রকাশিত বাক্য ২০ঃ১৫)। ভীষণ যন্ত্রণা দায়ক সেই বিচারের হাত থেকে পলায়ন করার জন্য কেবলমাত্র একটি মাত্র পথ রয়েছে। ঈশ্বরের সেই বই থেকে আপনার নাম’কে চিরকালের জন্য মুছে ফেলতে হবে। আর এই কারণেই প্রভু যীশুখ্রীষ্ট ক্রুশে গিয়েছিলেন। ক্রুশের উপরে খ্রীষ্ট মৃত্যুবরণ করলেন, যেন আপনার পাপের সমস্ত মুল্য মিটিয়ে দেন। বাইবেল বলে, “কিন্তু ঈশ্বর আমাদের প্রতি তাঁর নিজের প্রেম প্রদর্শন করিতেছেন; কারণ আমরা যখন পাপী ছিলাম, তখনও খ্রীষ্ট আমাদের নিমিত্ত প্রাণ দিলেন। সুতরাং তাঁহার রক্তে যখন ধার্মিক গণিত হইয়াছি, তখন আমরা কত অধিক নিশ্চয় তাঁহার দ্বারা ঈশ্বরের ক্রোধ হইতে পরিত্রাণ পাইব” (রোমানস ৫ঃ ৮-৯) রোমানস ৫ঃ৯ বলে,‘রক্তের মধ্য দিয়ে ধার্মিক গণিত হওয়া’যে কোন পাপ আপনি করেছেন তার জন্য খ্রীষ্টের রক্ত আপনাকে আপনার সমস্ত পাপ থেকে শুচি করতে পারে কেন না আমরা ১-ম-যোহান ১ঃ৭ পদে এই ভাবে পড়ি, ‘ তাঁহার পুত্র যীশুর রক্ত আমাদিগকে সমস্ত পাপ হইতে শুচি করে’। খ্রীষ্টের রক্তের উপরে প্রচার করার প্রয়োজন আমাদের রয়েছে। ইহা হল একনাত্র বিষয় যা আমাদের পাপ থেকে শুচি করে। “প্রচারের মূর্খতা দ্বারা বিশ্বাসকারীদের পরিত্রাণ করিতে ঈশ্বরের সুবাসনা হইল” (১-ম-করিন্থিয়ান ১ঃ২১) বর্তমান দিনে কিছু প্রচারক বলেন যে সেখানে কোন রক্ত আর নেই। কি ভাবে তারা ইহা বলেন আমি জানি না কেননা, বাইবেল এই বিষয়টিকে পরিষ্কার করে দেয় যে যীশু আমাদের ‘ভালো বাসলেন এবং টাঁর নিজের রক্ত দিয়ে আমাদের পাপ থেকে ধৌত করলেন’ (প্রকাশিত বাক্য ১ঃ৫)। যে সমস্ত প্রচারকেরা যীশুর রক্তকে দাবিয়ে রাখে, সেই প্রকার বাইবেলের শিক্ষক ও প্রচারককে কোন সময়ে বিশ্বাস করবেন না! বাইবেল বলে, ‘ধিক তাহাদিগকে কেন না তাহারা কেইনের পথে চলিয়া গিয়াছে’ (জুডাস ১১)। ঠিক কেইনের মতোই তারা বাইবেলকে প্রত্যাখান করেছে। কোনদিন তাহাদের কথা শুনবেন না! কেইনের শিক্ষা থেকে সাবধানে থাকবেন! খ্রীষ্টের রক্ত ছাড়া সেখানে পরিত্রাণ নেই! কোন কিছুতেই নেই! আমাদের পূর্ব পুরুষদের সেই উত্তম সংগীতটি সব সময়ে মনে রাখবেন; কি মোর পাপ পারে ধুতে ? আজ রাত্রে আপনি কি পরিত্রাণ লাভ করতে চান? আপনি কি চান যে আপনার সমস্ত পাপ ধুয়ে যাক, ঈশ্বরের সেই বিচার পুস্তক হতে যিশুর রক্তের দ্বারা? তাই আমরা যখন সেই গানতা আবার গাই তখন আপনার চেইয়ার ছেড়ে বেরিয়ে আসুন ও পিছনে যে ঘরটি রয়েছে সেখানে যান। ডাঃ কাগান আপনাকে শান্ত জায়গাতে নিয়ে যাবে যেখানে আমরা আপনার সঙ্গে পরামর্শ সহকারে আপনার জন্য প্রার্থনা করতে পারবো। আমরা যখন গাইছি আপনি সেখানে যান। কি মোর পাপ পারে ধুতে ? বক্তৃতার সমাপ্তি You may email Dr. Hymers at rlhymersjr@sbcglobal.net, (Click Here) – or you may সংবাদের আগে শাস্ত্রের অংশ পাঠ করা হয়েছে ডাঃ ক্রিগটন এল. চানের দ্বারা (১-ম-করিন্থিয়ান ১ঃ১৮-২১) |
খসড়া চিত্র যে প্রচার আমাদের প্রয়োজন লেখক ঃ ডাঃ আর এল হাইমার্স, জুনি “কারণ, ঈশ্বরের জ্ঞানক্রমে যখন জগৎ নিজ জ্ঞানের দ্বারা ঈশ্বরকে জানিতে পাইয় নাই, তখন প্রচারের মূর্খতা দ্বারা বিশ্বাসকারীদের পরিত্রাণ করিতে ঈশ্বরের সুবাসনা হইল” (১-ম-করিন্থিয়ান ১ঃ২১) ১. প্রথম, বাইবেল বলে আমরা যেন পাপের বিপক্ষে প্রচার করি ২. দ্বিতীয়, বাইবেল বলে, নরকের বিষয়ে প্রচার করার’ও প্রয়োজন ৩. তৃতীয়, বাইবেল বলে, খ্রীষ্টের রক্তের দ্বারা পরিত্রাণের উপরে প্রচার করা
|