এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
বিপুল ভাবে বেড়ে ওঠা এক মন্ডলী! AN EXPLODING CHURCH! লেখকঃ ডাঃ আর এল হাইমার্স, জুনি ৯-ই সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে, প্রভাতকালীন মুহূর্তে সদাপ্রভুর দিনে লস এঞ্জেলেসের “তখন তিনি আপন শিষ্যদিগকে কহিলেন ‘শস্য প্রচুর’ বটে কিন্তু কার্যকারীর লোক অল্প, অতএব শস্যক্ষেত্রের স্বামীর নিকটে প্রার্থনা কর যেন তিনি নিজ শস্য ক্ষেত্রে কার্যকারী লোক পাঠাইয়া দেন”। (ম্যাথুজ ৯ঃ৩৭, ৩৮) |
এই শব্দের মধ্যে, প্রচারক বাস্তবে চিন্তা করছেন যে খ্রীষ্ট আমাদের বলছেন যে প্রার্থনা করুন যেন ঈশ্বর মন্ডলীর সদস্যদের আন্দোলিত করেন, যেন তারা আত্মা জয়কারী হয়ে উঠতে পারে। সম্পূর্ণ ভাবে সেটা কিন্তু ভুল নয় কিন্তু ইহা যেভাবে অনুবাদ করা হয়েছে তার থেকে বেশি বিষয়বস্তুতা হল তার প্রয়োগ। হ্যাঁ, আমরা বলতে পারি যে এটা খ্রীষ্টিয়ানদের প্রার্থনার বিষয়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে যেন আমরা চারপাশের আত্মাদের জয় করে নিতে পারি। কিন্তু খ্রীষ্ট তাঁর শিষ্যদের সেই কথা প্রকৃত অর্থে বলতে চাইছেন না। যীশু তাঁর শিষ্যদের প্রার্থনা করতে বলছিলেন যেন ঈশ্বর সরাসরি ভাবে, তৎক্ষণাৎ ; তারা সব থেকে ভালো ভাবে প্রশিক্ষণ লাভ করার আগেই, এমনকি অনেকে পরিত্রাণ লাভ করার আগেই ঈশ্বর যেন নতুন লোকেদের শষ্যক্ষেত্রে পাঠিয়ে দেন! এই সমস্ত কিছুর পরেও, যীশু যখন সেই কথা বলছিলেন তখন খুব অল্প সংখ্যক ব্যাক্তি খ্রীষ্টিয়ান ছিলেন। শিষ্যরা নিজেই তখন পর্যন্ত প্রশিক্ষণ লাভ করেন নি, আর কম পক্ষে কেউ কেউ তখন পর্যন্ত কনভার্টও হোন নি। ডাঃ ম্যাক গী বলেছেন, যীশু যতক্ষণ পর্যন্ত না মৃত্যু থেকে বেঁচে উঠলেন ততক্ষণ কেউই নতুন জন্ম পর্যন্ত প্রাপ্ত হোন নাই, তাই ইহা পরিষ্কার যে জুডাস পর্যন্ত উদ্ধার লাভ করেন নি। থমাস তখনও পর্যন্ত সু সমাচারে বিশ্বাস করেন নি কেননা আমরা জানি যে যীশু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন তাও তিনি বিশ্বাস করতেন না। পীটার যীশুর ক্রুশারোপণকে অস্বীকার করেন আর তার এই অনমনীয় অ-বিশ্বাসের জন্য যীশুর কাছ থেকে ধমক খান। তথাপি এই লোকেরাই পরবর্তী অধ্যায়ে (ম্যাথু ১০) আত্মা জয় করার প্রতি প্রেরিত হয়েছিলেন। তাই খ্রীষ্ট তাদের প্রার্থনা করতে বললেন যেন শষ্য ক্ষেত্র থেকে আত্মা জয় করে আনার জন্য অন্যান্য নূতন লোকেদের ঈশ্বর যেন পাঠান। আজকে আমাদের জন্য ইহার অর্থ কি? ইহার অর্থ এমন কেন যারা মন্ডলীতে নূতন, সেই লোকেদের বাইরে প্রেরণ করবে যেন তারা সত্বর আত্মা জয় করে। ইহার অর্থ আর কি হতে পারে? তাই আসুন “নতুন” চোখ নিয়ে আমরা ইহার প্রতি দৃষ্টিপাত করি, আর আজকে আমাদের মন্ডলীতে যীশু আমাদের দ্বারা কি করাতে চান তা দেখি। আজকে সকালে আপনি এখানে যদি প্রথম বার এসেছেন, তবে আমরা আপনার জন্যে প্রার্থনা করি শষ্যক্ষেত্রে কার্য্য করার জন্য। এই মুহুর্তে আমাদের সঙ্গে আসুন, আমাদের মন্ডলীতে হারানো লোকেদের নিয়ে আসি সুসমাচার শোনার জন্য। আলোর প্রভায় পাঠ্যাংশটা এখানেই পুণরায় দেখি। ““তখন তিনি আপন শিষ্যদিগকে কহিলেন ‘শস্য প্রচুর’ বটে কিন্তু কার্যকারীর লোক অল্প, অতএব শস্যক্ষেত্রের স্বামীর নিকটে প্রার্থনা কর যেন তিনি নিজ শস্য ক্ষেত্রে কার্যকারী লোক পাঠাইয়া দেন”। ম্যাথুজ ৯ঃ৩৭, ৩৮) সেই একই বিষয় আমরা আপনাদের বলছি। ভিতরে আসার জন্য আমরা আপনাদের জন্য প্রার্থনা করছি আর অন্যদের মন্ডলীতে নিয়ে আসার জন্য আমাদের সাহায্য করুন যেন সু সমাচার শুনে পরিত্রাণ লাভ করে। দুটি ভিন্ন দিক দিয়ে এটা যে প্রকৃত সত্য তা আমরা শিখেছি। ১.প্রথম, যীশু প্রকৃত শিষ্যদের আহবান জানান যেন অবিলম্বে আত্মা জয় করে। অনুগ্রহ করে ম্যাথুজ ৪ঃ১৮-২০ খুলবেন। দয়া করে উঠে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে পড়বেন। “একদা যীশু গালীল সমুদ্রের তীর দিয়ে বেড়াইতে বেড়াইতে দেখিলেন, দুই ভ্রাতা, সাইমন যাহাকে পিটার বলা হয় ও তাঁর ভ্রাতা এ্যান্ড্রু—সমুদ্রে জাল ফেলিতেছে। কারণ তাহারা মৎসজীবি ছিলেন। তিনি তাহাদিগকে কহিলেন আমার পশ্চাতে আইস। আমি তোমাদিগকে মনুষ্য ধরিবার মৎসজীবি করিব। আর তখনই তাহারা জাল পরিত্যাগ করিয়া তাঁহার পশ্চাৎগামী হইলেন”। (ম্যাথুজ ৪ঃ১৮-২০) সেটাই ছিল সর্ব প্রথম বিষয় যা যীশু তাদের বলেছিলেন; “আমার পশ্চাৎ আইস, আমি তোমাদিগকে মনুষ্য ধরিবার মৎসজীবি করিব”। (ম্যাথুজ ৪ঃ১৯)। সেখানে একটি কোরাস রয়েছে যা এটাকে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেয়, আমি তোমাদিগকে মনুষ্য ধরিবার মৎসজীবি করিব, আপনারা এখন বসতে পারেন। মনুষ্য ধরিবার মৎসজীবি হিসাবে বাইরে গিয়ে অন্যদের ভিতরে নিয়ে আসা বলার আগে যীশু তাদের ভিতরে নিয়ে এসে বেশ কিছু বৎসর বাইবেলের শিক্ষা তিনি তাদের দেন নি। তিনি তাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তরও প্রদান করেন নি ও তাদের ধর্মতত্ত্ব ও রুপক কাহিনী ও খ্রীষ্টিয়ান ইতিহাস তাদের শিক্ষা দেন নি। বাইরে অন্যদের কাছে গিয়ে তাদের ভিতরে নিয়ে আসার জন্য আগে থেকে তিনি কয়েক মাস যাবৎ সানডে স্কুলের ক্লাসের মধ্যেও তাদের নিয়ে আসেন নি। এমন কি কি ভাবে সু-সমাচার ব্যাখ্যা করতে হয় সেই বিষয়েও শিক্ষা দেন নি। না! অন্যদের ভিতরে নিয়ে আসার জন্য তাদের তিনি কেবল্মাত্র বাইরে প্রেরণ করেন যেন অন্যদের “মৎস” হিসাবে ধরতে পারে। সব থেকে প্রথম যে বিষয়টা তিনি তাদের বলেছিলেন তা ছিল ‘আমার পশ্চাৎ আইস, আমি তোমাকে মনুষ্য ধরিবার মৎসজীবি করিব’। আপনাকে অন্য কোন কিছু বলার প্রতি ইহা যে সম্পূর্ণভাবে সৎ এটা আমি মনে করি না। আমার মনে হয় আমরা যেন খ্রীষ্টের উদাহরণ অনুসরণ করে চলি। আমার মনে হয় এই মুহুর্তে আমরা যেন বলি প্রথমেই যে মুহুর্তে আপনি মন্ডলীতে আসেন তখন খ্রীষ্ট আপনাকে কি করাবার চেষ্টা করেন। খ্রীষ্ট বলার চেষ্টা করেন আপনি যেন বাইরে গিয়ে অন্যদের সংগ্রহ করে তাদের ভিতরে নিয়ে আসেন। খ্রীষ্ট চান আপনি যেন বাইরে গিয়ে অন্য কাউকে নিয়ে আসেন—এই মুহুর্তে, এখনই, হতে পারে আজ রাত্রেই! বাইরে গিয়ে কারোর সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে আপনার সঙ্গে ভিতরে নিয়ে আসুন। পুণরায় উঠে দাঁড়িয়ে আবার ইহা গান আমি তোমাদিগকে মনুষ্য ধরিবার মৎসজীবি করিব, হ্যাঁ, একেবারে শুরুতেই, তখনই, খ্রীষ্ট প্রথম শিষ্যদের ডাকলেন, মনুষ্য ধরিবার মৎসজীবি হওয়ার জন্য—শষ্যক্ষেত্রে কার্যকারী হওয়ার জন্য – অন্যদের তখনই নিয়ে আসার জন্য—ঈশ্বর! আমেন! আমেন! ২.দ্বিতীয়,অবিলম্বে আত্মা জয় করার জন্য যীশু নুতন অন্য লোকেদের প্রেরণ করলেন যোহান সু-সমাচারের প্রথম অধ্যায়েই আমরা দেখতে পাই। যোহান ব্যাপটিস্ট-এর দুই শিষ্য যীশুর অনুসরণ করে তাঁর বাসস্থানে গেলেন। তাদের দুজনের মধ্যে একজন ছিলেন পীটারের ভাই আঁন্দ্রে। আঁন্দ্রে অবিলম্বে বাইরে গিয়ে পীটারকে এই কথা বললেন, ‘আমরা মেসাই’এর দেখা পেয়েছি, আর তাকে তিনি যীশুর কাছে নিয়ে এলেন। (যোজান ১ঃ৪১,৪২)। পরের দিনে যীশু ফিলিপকে বললেন,‘আমার পশ্চাৎগামী হও’(যোহান ১ঃ৪৩)। ফিলিপ অবিলম্বে ন্যাথেনিয়েলের দেখা পেলেন আর তাকে বললেন যে তিনি মেসাই-এর সন্ধান পেয়েছেন। ন্যাথেনিয়েল সন্দেহ করে ভাবলেন এটা কি সত্য। ফিলিপ তার উদ্দেহস্যে বললেন, “এস ও দেখ ”(যোহান ১ঃ৪৬)। এরপরে ফিলিপ ন্যাথেনিয়েল যীশুর কাছে নিয়ে এলেন আর ন্যাথেনিয়েল অবিলম্বে যীশুর শিষ্য হয়ে উঠলেন। আন্দ্রেঁ পীটারকে অবিলম্বে যীশুর কাছে নিয়ে এলেন। ফিলিপ ন্যাথেনিয়েলকে অবিলম্বে যীশুর কাছে আনলেন। এই সদ্যজাত শিষ্যরা অবিলম্বে, তৎক্ষণাৎ আত্মা জয়কারী শিষ্য হয়ে উঠলেন। আত্মা জয় করার জন্য অপেক্ষা করলেন না শিক্ষা লাভ করা জন্য। তারা কোন রকম ভাবে অপেক্ষা না করেই বাইরে গিয়ে অন্যদের যীশুর কাছে নিয়ে এলেন। তারা এটাই বলেছিল “এস ও দেখ”। যোহানের চতুর্থ অধ্যায়ে আরো একটি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে ডাঃ জন আর রাইস বলেন, যোহান ৪-অধ্যায়ে, আমরা শিখি যে, সামারিটান মহিলা যখন জানতে পারলেন যে যীশুই মশিহা তখন তিনি তার জলের কলসী কুয়োর পাশে ফেলে দিয়ে রেখে, শহরে গেলেন লোকেদের এই কথা শোনানোর জন্য, ‘এস, একটি লোককে দেখ, আমি যা কিছু করেছি তিনি তার সমস্ত কিছু আমাকে বলে দিলেন’, তিনি কি তবে সেই খ্রীষ্ট নন ? (যোহান৪ঃ২৯) তার সাক্ষ্যে কেউ কেউ উদ্ধার লাভ করেছিল, পক্ষান্তরে অন্যরা নিজে থেকে সেখানে তা দেখতে এসে উদ্ধার লাভ করে ছিল! হ্যাঁ, নতুন কনভার্ট’রাও আত্মা জয় করতে পারে। (জন আর.রাইস, ডি.ডি., The Son of God: A Verse-by-Verse Commentary on the Gospel According to John, Sword of the Lord Publishers, ১৯৭৬, পৃষ্ঠা ৪০). এই উদাহরণের প্রতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ডাঃ রাইস বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আত্মা জয় করার মুখ্য বিষয় হল তাদের কাছে যাওয়া। ব্যাক্তিগত প্রভাব এতটাই গুরুত্বপূর্ণ, এর জন্য হয়তো সুদৃঢ কোন সংবাদ বা দীর্ঘ সময়ের কোন ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই; আপনি যদি লোকেদের বুঝতে সাহায্য করেন যে পাপীদের জন্য এখানেই সেই পরিত্রাতা রয়েছেন তাহলে তারা হয়তো তাকে গ্রহণ করতে পারেন। আর তাই ‘আঁন্দ্রে, পীটারকে যিশুর কাছে এনেছিলেন’।(ইবিড)। আর সেইএকই ভাবে অবিলম্বে কুয়োর সামনে সেই মহিলা অনেক সামারিটান মহিলাদেরকে যীশুর কাছে এনেছিলেন। সেই একই দিনে তিনি আত্মা জয়কারী মহিলা হয়ে উঠলেন ও তিনি নিজেও যীশুর উপরে বিশ্বাস করলেন। “সেই শহরের সামারিটানরা অনেকে সেই স্ত্রী লোকটি যে সাক্ষ্য দিয়েছিল, আমি যাহা কিছু করিয়াছি, তিনি আমাকে সকলই বলিয়া দিলেন, তাহার এই কথা প্রযুক্ত, তাহাতে বিশ্বাস করিলঃ তাহাতে তিনি দুই দিবস সেখানে অবস্থিতি করেছিলেন। তখন আরও অনেক লোক তাঁহার বাক্য প্রযুক্ত বিশ্বাস করিল” যোহান ৪ঃ৩৯-৪১) যীশু গালীল সমুদ্রের অপর পাড়ে গাদারা অঞ্চলে পৌঁছান। যেখানে তিনি এক জন ভুত গ্রস্ত লোকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তার মধ্যে যে ভুতেরা ছিল তা বের করে দেন এবং সেই লোকটি সুস্থ হয়ে ওঠে। পরে এই লোকটি যীশুর সাথে যেতে চাইলে তখন পরিত্রাতা তাকে বলেন, “তুমি তোমার গৃহে ফিরিয়া যাও এবং তোমার নিমিত্ত ঈশ্বর যে যে মহৎ কার্য্য করিয়াছেন তাহার বৃত্তান্ত বল। তাহাতে সে চলিয়া গিয়া, যীশু তাহার জন্য যে যে মহৎ কার্য্য করিয়াছেন তা নগরের সর্বত্র প্রচার করিতে লাগিল” (লিউক ৮ঃ৩৯) অবিলম্বে এই লোকটি আত্মা জয় কারী হয়ে উঠলেন, তখনই লোকেদের বলতে আরম্ভ করলেন যে যীশু কিভাবে তাকে উদ্ধের করলেন! যীশু যখন জেরুজালেমে অগ্রসর হচ্ছিল্লেন তখন তিনি দশ ব্যাক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যারা কুষ্ঠ রোগগ্রস্ত ছিল। তারা চিৎকার করে বলছিল, ‘যীশু নাথ, আমাদের প্রতি দয়া কর’। (লিউক ১৭ঃ১৩) যীশু তাদের কহিলেন, ‘তোমরা মন্দিরে গিয়ে যাজকদের দেখাও’। তখন এমন হল, ‘তারা যেতে যেতে নিবারিত হতে থাকলেন’। (লিউক ১৭ঃ১৪)। তাদের মধ্যে একজন যীশুর কাছে ফিরে এলেন তাঁকে ধন্যবাদ দেবার জন্য। কিন্তু তাদের সকলকেই সাক্ষ্য দেবার জন্য মন্দিরে যাজকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। (প্রেরিত ৬ঃ৭)। এই যাজকেরা সন্দেহহীন ভাবেই কনভার্ট হয়েছিলেন, কমপক্ষে কিছু যারা কুষ্ঠ রোগীদের সাক্ষ্য শুনেছিলেন, যাদের যীশু প্রেরণ করেছিলেন। যখনই তারা যীশুর দ্বারা সুস্থতা লাভ করলেন, তখনই সেই কুষ্ঠ রোগীরা আত্মা জয়কারী ব্যাক্তি হয়ে উঠলেন। পেণ্টেকোস্টের দিনে তারা যখন পীটারের সু-সমাচার প্রচার শুনলেন, সেই দিনে তিন হাজার লোক পরিত্রাণ লাভ করেছিল। আমাদের বলা হয়েছে এই নতুন খ্রীষ্টিয়ানেরা ঈশ্বরের প্রশংসা করতো এবং সমস্ত লোকের প্রীতির পাত্র হয়েছিল। আরা যারা পরিত্রাণ পাচ্ছিল প্রভু দিনের পর দিন তাদের সঙ্গে অন্যদের সংযুক্ত করতেন। (প্রেরিত ২ঃ৪৭)। ডাঃ জন আর এস রাইস বলেছেন, ‘হাজার হজার সদস্যদের সঙ্গে জেরুজালেমের মন্ডলী প্রতিদিন নতুন কনভার্টদের মন্ডলীতে সংযুক্ত হতে দেখেছিলেন! আত্মা জয় করা কেবল মাত্র গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়ই নয়, নতুন নিয়মের খ্রীষ্টিয়ান ও জেরুজালেমের প্রান্ত পর্যন্ত ইহা ছিল প্রায় একমাত্র উদ্দেশ্য। (John R. Rice, D.D., Filled With the Spirit: A Verse-by-Verse Commentary on the Acts of the Apostles, Sword of the Lord Publishers, ১৯৮০ সংকলন, পৃষ্ঠা ১০৪)। জেরুজালেম মন্ডলীতে লোকেরা যখন পরিত্রাণ লাভ করেছিল তখন তারা অবিলম্বে তাদের বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের কাছে গিয়েছিল ও তাদের ভিতরে নিয়ে এসেছিল, আরা তাই, ‘প্রভু দিনের পর দিন তাদের সঙ্গে লোকেদের সংযুক্ত করতেন’। (প্রেরিত ২ঃ৪৭)। প্রেরিত পল ৫৩-খৃষ্টাব্দে থেসালোনিকা নগরে আসেন। সেখানে আমাদের বলা হয়েছিল সেখাঙ্কার বেশ কিছু ইহুদী লোক যীশুতে বিশ্বাস করছিলেন আর ভক্ত গ্রীকদের মধ্যে অনেকে পরিত্রাণ লাভ করেছিলেন (প্রেরিত ১৭ঃ৪)। এই নতুন খ্রীষ্টিয়ানদের নিয়ে প্রেরিত পল মন্ডলী সংগঠন করেছিলেন। এর পরে এক বৎসর উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। এখন ৫৪-খৃষ্টাব্দে উপনীত হয়েছেন। এখন পল করিন্থ নগরে রয়েছেন। এখান থেকে তিনি থেসালোনিকা মন্ডলীতে একটি চিঠি প্রেরণ করেন যেটাকে নতুন নিয়মে বলা হয় ‘ প্রথম থেসালনিয়ান’। সেই মন্ডলীতে যত লোক রয়েছেন তারা এক বৎসর বা তার থেকেও কম সময়ের মধ্যে খ্রীষ্টিয়ান হয়েছেন। তথাপি পল বলেন, “তোমাদের হইতে প্রভুর বাক্য ধ্বনিত হইয়াছে, তা কেবল মাত্র ম্যাসিডনিয়া এবং আছাইয়া-তে নয়, কিন্তু ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের যে বিশ্বাস, তাঁহার বার্তা সর্ব্বত্র ব্যাপ্ত হইয়াছে এই জন্য আমাদের কিছু বলিবার প্রয়োজন নাই” (১-ম থেসালনিয়ান্স ১ঃ৮) নতুন মন্ডলীর মধ্যে লোকেদের ম্যাসিডনিয়া এবং আছাইয়া–তে এক জাতীয় সু-সমাচার প্রচারের কাজ ছিল। তারা শত শত আত্মাদের জয় করছিলেন আর তাদের মধ্যে প্রায় কেউই বারো মাসের বেশী খ্রীষ্টিয়ান ছিলেন না! এটাই হল সবথেকে সাধারণ একটি সংবাদ যেতা তাঁরা ব্যাবহার করে ছিলেন। তারা কেবল মাত্র তাদের বন্ধু বান্ধব ও প্রতিবেশীদের বলে ছিলেন ‘এস ও দেখ’। তারপর তাদের তারা সভাতে নিয়ে এসেছিলেন। এই এক প্রকার পদ্ধতি তারা সেই সাম্যবাদীদের দেশ চীনে ব্যাবহার করেছিলেন, যেখানে মন্ডলী বহুল ভাবে ব্যাপৃত হয়ে চলেছে। এই সেই পদ্ধতি যা তারা মুসলমান ভূমিতে ব্যাবহৃত করেছেন যেখানে কাজ করছে আর ইহা এখানেও কাজ করবে। তাই যান, গিয়ে কণ একজনকে বলুন, ‘এস ও দেখ’। ইহা খুবই সাধারন ও ইহা কাজ করে। তাহলে এটা পরিষ্কার ভাবেই নতুন নিয়মের খ্রীষ্টিয়ানদের পদ্ধতি। আমরা বারংবার এই ভাবে পড়ি যে যারাই খ্রীস্টিয়ান হয়েছেন তারাই দৃষ্টান্তমূলক ভাবে আত্মা জয়কারী হয়ে উঠেছেন, তারা এক বিরাট সংখ্যায় বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয়দের মন্ডলীর মধ্যে নিয়ে এসেছেন। প্রতিটি মন্ডলী ছিল বৃদ্ধিদায়ী মন্ডলী! ঈশ্বর যেন আপনার হৃদয়ে কথা বলেন। আপনি অনুগ্রহ করে আমাদের মন্ডলীতে আমার সংগে সংগে আপনার বন্ধু বান্ধব ও পরিবারকে সু-সমাচার শোনাবার জন্য নিয়ে আসুন আর আমাদের সংগে সান্ধ্যকালীন খাবারে অংশগ্রহণ করুন! আসুন, ও আমাদের সাহায্য করুন যেন এই মন্ডলী বৃদ্ধিদায়ী এক মন্ডলী হয়ে ওঠে। মনুষ্যধারী ব্যাক্তিরা, উঠে দাঁড়ান ও গানে অংশ গ্রহণ করুন। আমি তোমাদিগকে মনুষ্য ধরিবার মৎসজীবি করিব, তাই যখন কারো সাথে মিলিত হন যেন আপনার সংগে তিনিও মন্ডলীতে আসেন। আমারা সর্ব্বদাই তাদের সংগে মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজ করতে চাই। তাদের জন্য সব সময়েই আমরা জন্মদিনের উৎসব পালন করি। লস এ্যাঞ্জেলেসের অন্য যে কোন জায়গার থেকে আমাদের এখানে অনেক বেশী মজা ও কৌতুক হয়। লস এ্যাঞ্জেলেসে এই মন্ডলী হল সবথেকে সুখী ও আনন্দদায়ী স্থান। পরবর্তী সময়ে আপনি যখন আসেন তখন কোন একজনকে সঙ্গে করে নিয়ে আসুন। ইহার বিষয়ে সেখানে জটিল কিছুই নেই। তাদের কেবল মাত্র বলুন ‘আমার সঙ্গে মন্ডলীতে আসবেন’? এটাই সমস্ত কিছু! এটাই সহজ লভ্য! ইহা করুন। পরবর্তী সময়ে আপনি যখন আসেন, তখন কোন একজনকে সঙ্গে করে নিয়ে আসুন! আপনারা এখন বসতে পারেন। সর্বপ্রথমেই যীশু তাঁর শিষ্যদের যেটা শিখিয়েছিলেন সেই প্রথম বিষয়টাই আমরা আপনাদের দেখাতে চাই। আজকের সকালে যীশু আপনাদের বলেছেন, “আমার পশ্চাতে আইস,আমি তোমাদিগকে মনুষ্য ধরিবার উপযুক্ত মৎসজীবি করিব” (ম্যাথুজ ৪ঃ১৯) আপনাদের মধ্যে কয়েকজন এখানে কেবল মাত্র প্রথমবারের জন্য এসেছেন। যীশু আপনাকে বলছেন, ‘আমার পশ্চাতে আইস, আমি তোমাদিগকে মনুষ্য ধরিবার উপযুক্ত মৎসজীবি করিব”। আজকে সকালে কেউ যদি আপনাকে এখানে নিয়ে এসেছেন, তবে, সর্বপ্রথমে যীশু যে কাজটা আপনাকে করাতে চান তা হল, ‘মনুষ্য ধরিবার উপযুক্ত মৎসজীবি হয়ে ওঠা’। পরবর্তী রবিবারে কোন একজনকে সঙ্গে করে মন্ডলীতে নিয়ে আসুন! ইহা খুবই সহজ, ইহা করুন। সেই কোরাসটি আবার গান। আমি তোমাদিগকে মনুষ্য ধরিবার মৎসজীবি করিব, বেশ কিছু সপ্তাহ আগে এক বালিকা এই মন্ডলীতে এসেছিল। সে ইতিমধ্যেই ‘মনুষ্য ধরিবার নিমিত্ত মৎসজীবি’ হয়ে উঠেছিল। সে ইতিমধ্যেই আরো তিনটি বালিকাকে মন্ডলীতে নিয়ে এসেছে। আপনিও সেই প্রকার কাজ করিতে পারেন। তাই যান, কারো সঙ্গে মিলিত হয়ে তাদেরো আপনার সঙ্গে মন্ডলীতে নিয়ে আসুন। ইহা করুন, ইহাকে করুন। কোন একজনকে আপনার সঙ্গে নিয়ে আসুন। আমরা একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজ করবো। আমরা সকলে কৌতুকপ্রদ পুরাতন একটি চলচ্চিত্র দেখবো। জন্মদিনের এক উৎসব আমাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের মধ্যে আরো কৌতুক হবে, যা বানরের পিপের থেকেও বেশী। এখানে এই মন্ডলীতে জন্মদিনের উৎসবের জন্য বাইরে যান ও কোন একজনকে সঙ্গে করে নিয়ে আসুন। কোন একজনকে এই অনুষ্ঠানে নিয়ে আসুন। সেই কোরাসটি পুণরায় গাই, আমি তোমাদিগকে মনুষ্য ধরিবার মৎসজীবি করিব, আপনাদের মধ্যে কতজন বলবেন ‘ আমি ইহা করবো’। আমি সঙ্গে করে কোন একজনকে মন্ডলীতে সু-সমাচার শোনাবার জন্য নিয়ে আসবো ও আমাদের সঙ্গে কৌতুকে অংশগ্রহণ করাবো। অনুগ্রহ করে আপনার হাত ওঠান। ডাঃ চেন এখানে এসে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবেন যাতে আপনি তা করতে পারেন! (প্রার্থনা) আজকে সকালে আপনি উপস্থিত হয়েছেন আর আপনি যদি নতুন জন্ম লাভ করেন নি তবে, অনুগ্রহ করে সতর্কতার সাথে শুনুন। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট স্বর্গ থেকে এই ধরণিতে অবতীর্ণ হয়েছেন ও ক্রুশে পেরেক বিদ্ধ হইয়েছেন, যেখানে আমাদের পাপের মূল্য চুকিয়ে দেওয়ার জন্য মৃত্যু বরণ করেছেন। তারা তাঁর শরীরকে একটি কবরের মধ্যে রাখেন ও ইহাকে মুদ্রাঙ্কিত করে দেন এবং ইহাকে সুরক্ষা করিবার জন্য রোমীয় সৈন্যদের সেখানে রাখেন। কিন্তু প্রভু যীশুখ্রীষ্ট শারিরীক ভাবে মৃত্যু থেকে জীবিত হন। মৃত্যুর তিন দিনে তিনি মৃত্যু থেকে পুণর্জীবিত হয়ে উঠলেন এবং জীবন্ত ব্যাক্তি হিসাবেই কবর থেকে বের হয়ে আসেন। পুণরুত্থিত খ্রীষ্ট তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে চল্লিশ দিন সময় ব্যাতিত করেন। তারা তাঁকে স্পর্শ করেন ও দেখেন যে তিনি কোন আত্মা নন। পরিশেষে যীশু স্বররগে উন্নীত হোন, ও একটি আলাদা রুপে সেখানে তিনি পিতা ঈশ্বরের দক্ষিণে বিরাজ করেন। আপনি যখন আপনার পাপ পূর্ণ জীবন ধারা থেকে মন ফেরান ও যীশুর ওপরে নির্ভর করেন, তখন তাঁর মহা মূল্যবান রক্ত আপনাকে সমস্ত পাপ থেকে পরিষ্কার করে ও তিনি আপনাকে অনন্ত জীবন প্রদান করেন। আমরা প্রার্থনা করছি আপনি যেন যীশুর কাছে এসে তাঁর উপরে নির্ভর করেন আর তখনই পরিত্রাণ লাভ করেন। আপনি যাই করুন না কেন পরের রবিবার এখানে এই মন্ডলীতে আবার আসবেন। আপনি যখন যাচ্ছেন তখন কারো সংগে মিলিত হয়ে পরবর্তী রবিবার সঙ্গে করে কাউকে মন্ডলীতে নিয়ে আসুন! তাই যান ও ইহা করুন। আমি তোমাদিগকে মনুষ্য ধরিবার মৎসজীবি করিব, k">হে ঈশ্বর, তুমি তাহাদের সাহায্য করো, ইহা করার জন্য। আমেন !! বক্তৃতার সমাপ্তি You may email Dr. Hymers at rlhymersjr@sbcglobal.net, (Click Here) – or you may সংবাদের আগে শাস্ত্রের অংশ পাঠ করা হয়েছে ডাঃ ক্রিগটন এল. চানের দ্বারা ম্যাথুজ ৪ঃ১৮-২০ |
খসড়া চিত্র লেখক ঃ ডাঃ আর এল হাইমার্স, জুনি ““তখন তিনি আপন শিষ্যদিগকে কহিলেন ‘শস্য প্রচুর’ বটে কিন্তু কার্যকারীর লোক অল্প, অতএব শস্যক্ষেত্রের স্বামীর নিকটে প্রার্থনা কর যেন তিনি নিজ শস্য ক্ষেত্রে কার্যকারী লোক পাঠাইয়া দেন”। (ম্যাথুজ ৯ঃ৩৭, ৩৮) ১. প্রথম, যীশু প্রকৃত শিষ্যদের আহবান জানান যেন অবিলম্বে আত্মা জয় করে। ২. দ্বিতীয়,অবিলম্বে আত্মা জয় করার জন্য যীশু নুতন অন্য লোকেদের প্রেরণ করলেন |