Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




খৃষ্টানদের মহান সংগ্রাম

THE CHRISTIAN’S GREATEST BATTLE
(Bengali)

লেখকঃ ডাঃ আর এল হাইমার্স, (জুনি)
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

১৯-শে আগষ্ট ২০১২ সালে প্রভুর দিনের সকালে ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারনাকালের
লস এঞ্জেলসে এই সংবাদ প্রচারিত হইয়াছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, August 19, 2012

“সর্ববিধ প্রার্থনা ও বিনতি সহকারে সর্বসময়ে আত্মাতে প্রার্থনা কর এবং ইহার নিমিত্ত সম্পূর্ণ অভিনিবেশ ও জাগিয়া থাক, সমস্ত পবিত্র লোকের জন্যে” (এফেসিয়ান্স ৬ঃ১৮)


এফেসিয়ান্স ৬ঃ১২-১৭ পদের উপরে যুদ্ধকারীর অস্ত্রশস্ত্রের বিষয়ে আমি অনেক সংবাদই শুনেছি। কিন্তু শাস্ত্রের এই অংশে প্রেরিত পল যে বিষয়টি বলেছেন সেটাকে সম্পুর্ণ আয়ত্ব করার উপরে সেই প্রকার কিছু শুনেছি বলে আমি স্মরণ করতে পারছি না। এই অনুচ্ছেদটি সম্পুর্ণ ভাবে বুঝে ওঠার জন্য আমাদের দেখার প্রয়োজন রয়েছে যে একটি নির্দিষ্ট কারণে আমাদের যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্রগুলো আমরা পরিধান করি--‘যেন শয়তানের নানাবিধ চাতুরীর সম্মুখে দাঁড়াতে পারি’। (এফেসিয়ান্স ৬ঃ১১)। এফেসিয়ান্স ৬ঃ১১ এবং ১২ পদে “বিরুদ্ধে” শব্দটি পাঁচ বার ব্যাবহৃত হয়েছে। আমাদের এই পাঠ্যাংশ থেকে প্রার্থনার বিষয়ে আমরা তিনটি মহান সত্যতার বিষয়ে জানতে পারি, যা আমাদের শত্রু, শয়তানকে প্রতিরোধ করবে।

১. প্রথমত, যেহেতু শয়তান সেখানে রয়েছে, তাই নিয়ত ও প্রতিনিয়ত প্রার্থনার প্রয়োজন রয়েছে।

“শয়তানের বিরুদ্ধে” দাঁড়াবার জন্য আমাদের বলা হয়েছে। আমাদের এটাও বলা হয়েছে আমরা রক্ত মাংসের সহিত মল্ল যুদ্ধ করছি না। আমরা যুদ্ধ করছি আধিপত্য সকলের বিরুদ্ধে, কতৃত্ব সকলের বিরুদ্ধে, এই অন্ধকার জগতের জগৎপতিদের বিরুদ্ধে, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার বিরুদ্ধে। এই রুপ নানাবিধ শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয় সম্ভব কেবল মাত্র প্রার্থনার দ্বারা। ডাঃ যে ভার্নন ম্যাকগী, এফেসিয়ান্স ৬ঃ ১২ পদের সম্বন্ধে বিচার জানাতে গিয়ে বলেছেন,

      আমরা এক আত্মিক যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে রয়াছি। শয়তান তার যুদ্ধক্ষেত্রকে সজ্জিত করেছে তার দলের লোকেদের সৈন্যদের ন্যায় সাজানো দ্বারা। মন্দতার মধ্যে আত্মিক যে শক্তি রয়েছে এই পদটি হাতে হাতে আক্রমণ করার বিষয়েই বলেছে। আমাদের চারপাশে এক মন্দ শক্তির জগৎ রয়েছে। আর ইহা বর্তমান সময়ে তা প্রকাশ করছে। আমাদের মধ্যে যে শত্রু রয়েছে, তার নির্দিষত করে অবস্থান নির্দেশ করা হয়েছে। সেই শত্রু হল আত্মিক। ইহা হল সেই শয়তান, যে তার মন্দ শক্তিকে চালিত করে। এখন আমাদের অনুমান করতে হবে যে এই যুদ্ধটা কোথায় হচ্ছে। আমার মনে হয় আত্মিক যুদ্ধের বিষয়ে মন্ডলী ইতিমধ্যেই তার দৃষ্টিকে হারিয়েছে। (জে.ভার্নন ম্যাকগী, Th.D., Thru the Bible, Thomas Nelson Publishers, 1983, volume V, pp. 279-280; note on Ephesians 6:12).

আপনি ইহা জানুন বা না জানুন, আমরা শয়তান ও তার বিরাট মন্দশক্তির দুষ্টদের সাথে এক বিরাট যুদ্ধ বা সংগ্রামের মধ্যে সংযুক্ত রয়েছি। আমাদের নিজেদের শক্তিতে আমরা যে এই সংগ্রামে জয়ী হতে পারবো সেই বিষয়ে কোন স্থিরতা নেই। তাই বিশ্বাসের সঙ্গেই, ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা আমাদের পরিধান করতে হবে-- আর তাহার পরেই বাহিরে গিয়া, শয়াতান ও মন্দশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুন। ইহা জাগরণ কারী মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬) শয়তানের বিষয়ে অনেক কিছুই বলেছেন। লুথার তাঁর জনপ্রিয় সংগীত বইয়ে শয়তান সম্বন্ধে যা বলেছেন তার কিছু লাইন আমি এখানে তুলে ধরতে চাই,

কেননা এখন পর্যন্ত আমাদের প্রাচীন শত্রু,
   আমাদের দূর্দশা তৈরীর চেষ্টা করে;
তার চাতুরী ও শক্তি প্রচন্ড,
   আর নিষ্ঠুর ঘৃণা লয়ে সে সজ্জিত,
এই পৃথিবীতে তার সমান আর কেউ নেই।

আর সমুদয় পৃথিবীতে শয়তানে পূর্ণ,
   আমাদের ধ্বংস করার জন্যে সদাই ভয় দেখায়,
আমরা ভীত হব না, কেননা ঈশ্বর তাই দৃঢ ভাবে চান,
   তার সত্যতা আমাদের মধ্য দিয়া জয়ী হবে।
(“A Mighty Fortress Is Our God” by Martin Luther, 1483-1546).

কিন্তু কি ভাবে আমরা শয়তান ও তার মন্দ দলবলের বিরুদ্ধে বিজয় পাব? কেবল মাত্র প্রার্থনার শক্তি ছাড়া সেখানে আর কোন শক্তিই নেই ! প্রার্থনাই হল সংগ্রাম। প্রার্থনার মধ্য দিয়েই আমরা শয়তান ও তার মন্দ শক্তির সহিত যুদ্ধ করি।

“ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধ সজ্জা পরিধান কর, যেন শয়তানের নানাবিধ চাতুরীর সম্মুখীন হইতে পার” (এফেসিয়ান্স ৬ঃ১১)

“সর্ববিধ প্রার্থনা ও বিনতি সহকারে সর্বসময়ে আত্মাতে প্রার্থনা কর এবং ইহার নিমিত্ত সম্পূর্ণ অভিনিবেশ ও জাগিয়া থাক, সমস্ত পবিত্র লোকের জন্যে” (এফেসিয়ান্স ৬ঃ১৮)

শত্রু হইল শয়তান ও মন্দ শক্তি। আমরা তার বিরুদ্ধাচরণ করতে পারি প্রার্থনার সহিত। প্রার্থনা হল এক সংগ্রাম !

আমায় প্রার্থনা করতে শেখাও প্রভু, আমায় প্রার্থনা করতে শেখাও
   দিন প্রতিদিন এটাই আমার হৃদয়ের ক্রন্দন,
তোমার ইচ্ছা ও পন্থা জানার জন্য আমি আছি অপেক্ষায়,
   আমায় প্রার্থনা করতে শেখাও প্রভু, আমায় প্রার্থনা করতে শেখাও
(“Teach Me to Pray” by Albert S. Reitz, 1879-1966).

তাই আমরা দেখতে পাই সামঞ্জস্য পূর্ণ ও নাছোড়বান্দা প্রার্থনার প্রয়োজনীয়তা কেননা শয়তান সেখানে রয়েছে। শয়তান হল শক্তিশালী আর কোন সময়ে সে বিশ্রাম নেয় না। আমরা যদি নিয়মিত প্রার্থনাকে অবহেলা করি, তবে হারিয়ে যাওয়াদের জয় করা থেকে শয়তান আমাদের বিরত করতে জয়ী হয়ে যাবে। এবং আমাদের মন্ডলীতে ফিরে যাওয়া থেকে দূরে রাখবে। সেতাই হল প্রথম বিষয়। নিয়মিত প্রার্থনার প্রয়োজন রয়েছে, নতুবা, আমাদের সুসমাচার প্রচার মন্ডলীতে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তনকারী রুপে উৎপন্ন করতে পারবে না।

২. দ্বিতীয়ত, আমাদের যা প্রয়োজন তা পাওয়ার প্রতি একমাত্র পন্থা হল অবিরত এবং নাছোড়বান্দা ভাবে প্রার্থনা করার

জেমস তাঁর প্রেরিত বানীতে এই কথাটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন যখন তিনি বলেন,

“তোমরা তা পাও নি, কারণ তোমরা তা চাও নি”।
       (জেমস ৪ঃ২)

এই বাক্য দেখাচ্ছে যে কেন আমাদের সুসামচার প্রচার কেবল মাত্র সামান্যই প্রকৃত পরিবর্তনকারী উৎপাদন করে যারা মন্ডলীতে থাকে। কেন কেবলমাত্র ইহা আজ সামান্য কয়েকজনকে পরিবর্তন করে? ‘তোমরা অভিলাষ করিতেছ, কিন্তু প্রাপ্ত হও না’। অবিরত ও নাছোড়বান্দা প্রার্থনা অবহেলা করার কারণে আপনি বেশী পরিবর্তিত সদস্য পাচ্ছেন না, যারা আমাদের মন্ডলীতে থাকতে পারে।

প্রেরিতবর্গ তাদের সেবাকার্যে প্রার্থনা উৎসর্গ করেছেন এক গুরুত্বপূর্ণ অংশকে। তাদের মধ্যে মন্ডলীতে যখন, প্রতিদিনের কাজের দায়িত্ব বেশী হয়ে উঠেছিল তখন প্রেরিতরা বলেছিলেন,

“কিন্তু আমরা প্রার্থনায় ও বাক্যের পরিচর্যায় নিবিষ্ট থাকিব”
      (প্রেরিত ৬ঃ৪)

“আমরা ক্রমাগত ভাবে নিজেদের প্রার্থনায় লিপ্ত রাখবো”। প্রেরিত পল বলেছিলেন, যে তার বেশির ভাগ সময় প্রার্থনায় কেটে যায়। তিনি বলেছিলেন, তিনি থিস্লোনিকার মন্ডলীর জন্যে ‘রাত দিন তিনি অতিশয় প্রার্থনা করেছিলেন’ তাদের জন্য। । তিনি টিমোথিকে বলেছিলেন ‘আমি বিনতিতে সতত তোমাদের স্মরণ করেছি’।

তাঁর অবিরাম ও নাছোড় প্রার্থনার অভ্যাস প্রেরিত পলকে যীশুর পথ অবলম্বন করতে শিখিয়েছিল। তিনি আমাদের জানান যে যীশু

“.পরে তিনি প্রত্যুষে রাত্রি পোহাইবার অনেক পূর্বে, তিনি উঠিয়া বাহিরে গেলেন এবং নির্জন স্থানে গিয়া প্রার্থনা করিলেন।“

পুণরায় আমাদের বলা হয়েছে যে যীশু,

“.. তিনি একদা প্রার্থনা করিতে বাহির হইয়া পর্বতে গেলেন আর ঈশ্বরের নিকটে প্রার্থনা করিতে করিতে সমস্ত রাত্রি যাপন করিলেন”। (লিউক ৬ঃ১২)

প্রার্থনা ও প্রার্থনা করা শব্দ দুটি চারটে সুসমাচারে খৃষ্টের জীবনের সামান্য নথিতে প্রায় ২৫-বার ইল্লেখ করা হয়েছে। আর তার প্রার্থনা আরো অন্যান্য জায়গায় বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে প্রার্থনা বা প্রার্থনা করা শব্দটি ব্যভৃত হয় নি। যীশু তার জীবনের বেশী ক্ষেত্রেই প্রার্থনার মধ্যেই সময় ব্যায় করেছেন। কোন এক পুরুষ বা মহিলা যারা প্রার্থনায় সময় ব্যায় না করে, তারা যীশু ও প্রেরিত বর্গের উদাহরণকে অনুসরণ করছেন না।

যীশুখৃষ্ট স্বর্গে পিতার দক্ষিণে উন্নিত হওয়ার পরে, সেখানেও তিনি আমাদের জন্য প্রার্থনার মহান কাজকে আরম্ভ করেছেন। আমাদের এই ভাবে বলা হয়েছে,

“...এইজন্য যাহারা ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হয়, তাহাদিগকে তিনি সম্পুর্ণ রুপে পরিত্রাণ করিতে পারেন, কারণ তাহাদের নিমিত্ত অনুরোধ করিতে তিনি সতত জীবিত আছেন” (হিব্রুজ ৭ঃ২৫)

খৃষ্ট আমাদের উদ্ধার করিতে সমর্থ, তিনি যে কেবল ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছেন বলেই নয়, তিনি স্বর্গে বাসও করেছেন ও আমাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন। আমাদের কারণে প্রার্থনা করা জন্য তিনি জীবিত রয়েছেন, ‘আমাদের পক্ষ লয়ে মধ্যস্থতা করার জন্য’। প্রেরিত পল বলেছেন যে, ‘আর দক্ষিণে আছেন, আবার আমাদের হয়ে অনুরোধও করছেন’। (রোমানস ৮ঃ৩৪)

যদি আপনি ও আমি খৃষ্টের সাথে সহযোগীতা করতে চাই, তবে আমাদেরও প্রার্থনায় যথেষ্ঠ সময় কাটাতে হবে। খৃষ্ট যদি আমাদের জন্য প্রার্থনা না করতেন, তবে আমি নিশ্চিত যে, খৃষ্টানিটি বহু আগেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতো। ১৯৫০ সালের শুরুতে যখন সাম্যবাদের দল মিশনারীদের চীন থেকে চলে যেতে বলেন, সেই সময় সেখানে দশ লক্ষ খৃষ্টিয়ান ছিল। কিন্তু আজকে চীনে সব থেকে বেশি করে হলেও ধ কোটি খৃষ্টিয়ান রয়েছে। যে প্রকার সন্ত্রাস ও তাড়না সাম্যবাদীর দল খৃষ্টিয়ান্দের প্রতি প্রয়োগ করেছে তাদের বের করে দেবার জন্য সেখানে গত ষাট বৎসরে ১০ হাজার শতাংশ খৃষ্টিয়ান চীন দেশে বৃদ্ধি লাভ করেছে। এটা কোন দিনই সম্ভব হতো না যদি খৃষ্ট স্বর্গে বিরাজিত না থাকতেন আর ‘তাদের জন্য মধ্যস্থতা করাতেন’। (হিব্রুজ ৭ঃ২৫)। আমাদের কাছে এই সংবাদ রয়েছে যা বলছে ইতিহাসের মধ্যে এক বৃহত্তর সংখ্যায় মুসলমানেরাও এখন খৃষীয়ানে পরিবর্তিত হচ্ছে। তারা যখন যীশুর প্রতি নির্ভর করেন, তখন আগেকার মুসলমানেরা তাদের প্রতি তাড়না করতে থাকে এবং তাদের এই বিশ্বাসের জন্য তাদের হত্যাও করে। তারা তাড়নার মধ্যেই ক্রমান্বয়ে ভীতির মধ্যে জীবন যাপন করে তথাপি হাজারে হাজারে তারা খৃষ্টের কাছে আসছে। ‘তাদের জন্যে মধ্যস্থতা করার প্রতি’ খৃষ্ট যদি স্বর্গে জীবিত না থাকতেন তবে তা সম্ভবত কোনদিনই সম্ভব হতো না। (হিব্রুজ ৭ঃ২৫)

চীন দেশে ও মুসলমান জগতে যা ঘটেছে তা হল খৃষ্টের প্রার্থনার ফল। সেই সঙ্গে যুক্ত ও স্বাধীন দেশে হাজার হাজার খৃষ্টিয়ানের প্রার্থনার ফল। তাই ঈশ্বর আমাদের আহবান করছেন যেন আমরা খৃষ্টের সহযোগীতায় যোগদান করি এবং প্রতিটি জায়গাতে প্রার্থনার যোদ্ধা নিয়োগ করি। যেন সেবা কার্য্যের মধ্যে দিয়েও প্রার্থনায় মধ্যস্থতা করি। আমরা যদি আরোও যুবক যুবতীর মন পরিবর্তন বা বেশী করে কনভার্ট এবং সেই সাথে আমাদের মন্ডলীতে বেশী ভাবে তাদের সংযুক্ত হওয়া দেখতে চাই তবে একাকী ঈশ্বরের কাছে গিয়ে প্রার্থনা করার দরকার আছে। যাদের আমরা ভিতিরে নিইয়ে আসছি, তাদের রুপান্তর সাধনের প্রতি আমাদের অতি অবশ্যই প্রার্থনার অভ্যাস চালিয়ে যেতে হবে। প্রার্থনা করুন ঈশ্বর আপনাকে যেন প্রার্থনার এক যোদ্ধা তৈরী করেন। যারা প্রার্থনায় যথেষ্ঠ সময় ব্যায় করে হারানো লোকেদের মন্ডলীতে ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন। ইতিহাসে সমস্ত মহান আত্মা জয় কারীরা প্রার্থনার নর ও নারী ছিলেন। বহু দিক দিয়ে তারা একে অপরের সঙ্গে আলাদা ছিলেন। কিন্তু তারা সকলেই এই এক পথ দিয়েই গমনাগমন করেছেন, তারা সকলেই হারানোদের পরিত্রাণ বা উদ্ধার করার জন্য এমন স্ত্রী ও পুরুষ ছিলেন যারা প্রার্থনায় সময় ব্যাতীত করেছিলেন।

“ সর্ববিধ প্রার্থনা ও বিনতি সহকারে সর্বসময়ে আত্মাতে প্রার্থনা কর এবং ইহার নিমিত্ত সম্পূর্ণ অভিনিবেশ ও জাগিয়া থাক, সমস্ত পবিত্র লোকের জন্যে” (এফেসিয়ান্স ৬ঃ১৮)

প্রার্থনায় শক্তি, প্রভু , প্রার্থনায় শক্তি,
   পাপ, দুঃখ ও উদ্বেগে এখানের এই পৃথিবীর মন,
মানুষ হারাচ্ছে ও মৃত হচ্ছে, আত্মা হতাশা হত,
   আহা, আমাকে তাই শক্তি দাও, প্রার্থনার শক্তি!

গাও সকলে !

প্রার্থনায় শক্তি, প্রভু , প্রার্থনায় শক্তি,
   পাপ, দুঃখ ও উদ্বেগে এখানের এই পৃথিবীর মন,
মানুষ হারাচ্ছে ও মৃত হচ্ছে, আত্মা হতাশা হত,
   আহা, আমাকে তাই শক্তি দাও, প্রার্থনার শক্তি!

৩. তৃতীয়ত, অবিরত ও নাছোড়বান্দা প্রার্থনার প্রয়োজন কেননা দরকারের সময়ে আমাদের সাহায্যের জন্যে ইহা দয়া ও অনুগ্রহ লাভের এক পন্থা

হিব্রুজ ৪ঃ১৬ পদে প্রেরিত যে বাক্য তা আমাদের দেখায় যে, আমাদের সুস্মাচার কার্য্যের সময়ে সাহায্য করার জন্য কি ভাবে দয়া ও অনুগ্রহ লাভ করতে হয়।

“অতএব আইস আমরা সাহস পূর্ব্বক অনুগ্রহ সিঙ্ঘাসনের নিকটে উপস্থিত হোই যেন দয়া লাভ করি এবং সময়ের উপযোগী উপকারার্থে অনুগ্রহ লাভ করি”। (হিব্রুজ ৪ঃ১৬)

সেই পদটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ আমি চাই যে আপনারা এর প্রতি দৃষ্টি দিন। ইহা হল হিব্রুজ ৪ঃ১৬। ইহা রয়েছে নতুন নিয়মের ১২৯৪ নম্বর পাতায়। অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে ইহা পাঠ করুন।

“অতএব আইস আমরা সাহস পূর্ব্বক অনুগ্রহ সিংহাসনের নিকটে উপস্থিত হোই যেন দয়া লাভ করি এবং সময়ের উপযোগী উপকারার্থে অনুগ্রহ লাভ করি”। (হিব্রুজ ৪ঃ১৬)

আপনারা এখন বসতে পারেন।

‘সময়ের উপযোগী উপকারার্থে’ দয়া ও অনুগ্রহ লাভ করার প্রতি কিভাবে তা গ্রহণ করতে হয় এই পদটি তা আমাদের দেখায়। আমাদের মন্ডলীর মধ্যে এটা অবশ্যই ‘আমাদের প্রয়োজনের সময়’। এখন আমরা যেতাতে প্রবেশ করতে চলেছি তাকে আমরা বলি ‘ শষ্য ছেদনের সময়’। আমরা যখন ঝরা শষ্য ক্ষেত্রে প্রবেশ করছি, তখন আমাওরা আমাদের সুসমাচার প্রচারকারী প্রচেষ্টা থেকে আমরা সব সময়ই বৃহৎ সংখ্যায় অনেক যুবক যুবতীদের মন্ডলীতে নিয়ে আসবো।কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা আমাদের সঙ্গে মন্ডলীতে আসে তার পরিত্রাণ লাভ করে না বা আমাদের মন্ডলীতে আসে না। সেতা খুবই দুঃখ জনক ঘটনা। ইহার বিষয়ে আমরা চিন্তা করতে চাই না। কিন্তু বৎসরের পর বৎসর ইহাই ঘটে চলেছে। যখন শষ্য ছেদনের কার্য্য সম্পন্ন হয়, কেবল মাত্র অল্প সংখ্যকই আমাদের সঙ্গে থেকে যায়। যদি বিষয় গুলি স্বাভাবিক ভাবে চলতে থাকে, তখন কেবল মাত্র কয়েক জনই খৃষ্টমাসের সময় আমাদের সঙ্গে থাকে। স্মরণে রাখবেন, খৃষ্টমাসের উৎসব অতি শীঘ্র আসছে। এতো শীঘ্র যে আপনি তার বিষয়ে চিন্তা করতে পারেন। খৃষ্টমাসের উৎসব কাল কেবল ১৭-সপ্তাহের মধ্যেই আরম্ভ হবে। সেই কয়েকটি সপ্তাহ অতি দ্রুত নিষ্পন্ন হয়ে যাবে যেটা মনে হবে, যেন ইহা কেবল মাত্র কয়েকটি দিন মাত্র। আপনি ইহা বিশ্বাস করুন বা না করুন, খৃষ্টমাস প্রায় এখানে এসে উপস্থিত। নতুন লোকেদের মন্ডলীতে নিয়ে আসার জন্য আমাদের কাছে মাত্র কয়েকটা দিন রয়েছে। কেবল মাত্র কয়েকটা সপ্তাহ পরেই, এই শষ্য ছেদন পর্ব শেষ হয়ে যাবে। যাদের আমরা ভিতরে নিয়ে আসছি আমরা কি তাদের হারিয়ে ফেলবো? আমরা প্রায় সময়েই তাই করি। এই বৎসরেও কি ইহা সেই প্রকার হবে? শয়তানের পথ যদি সেই ভাবে থাকে, তাবে তাহাই হবে। শয়তান চায় না আপনি যেন সতর্ক ও জাগরিত থাকেন। শয়তান চায় না আপনি যেন সব সময়ে সংশ্লিষ্ট হয়ে থাকেন। শয়তান চায় আপনি যেন নিদ্রিত ও অনুভুতি হীন হোন। যাতে শষ্য ছেদনের সময় আমরা যাদের নিয়ে আসি তাদের সে কেড়ে নিতে পারে। কিন্তু ঈশ্বর আপনাকে আহবান জানাচ্ছেন, যেন আপনি জেগে থাকেন। ঈশ্বর আপনার সাবধান ও সতর্ক হওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছেন। ঈশ্বর আপনাকে আহবান জানাচ্ছেন ঐকান্তিক, সামঞ্জস্যপূর্ন ও নাছোড়বান্দা প্রার্থনায় সেই সমস্ত যুবক যুবতীর জন্য সংযুক্ত হয়ে থাকেন। শয়াতানকে পরাজিত করার জন্য আমাদের শাস্ত্রের সেই পদটির প্রতি বাধ্য থাকতে হবে।

“অতএব আইস আমরা সাহস পূর্ব্বক অনুগ্রহ সিংহাসনের নিকটে উপস্থিত হোই যেন দয়া লাভ করি এবং সময়ের উপযোগী উপকারার্থে অনুগ্রহ লাভ করি”। (হিব্রুজ ৪ঃ১৬)

সারা বৎসরের মধ্যে আমাদের মন্ডলীর জন্য এটাই হল সবথেকে গুরুত্ব পূর্ণ সময়। এটাই হল আমাদের ‘প্রয়োজনের সময়’। এটাই হল সেই সময় যেখানে আমাদের ঈশ্বরের অনুগ্রহ ও দয়ার প্রয়োজন। এটাই হল সেই সময়, যেখানে আমাদের ঈশ্বরের সাহায্য প্রয়োজন। তাই হারিয়ে যাওয়াদের জন্য গভীর ভাবে ক্রমাগত নাছোড়বান্দা প্রার্থনায়, ‘অতএব আইস, আমরা সাহসপূর্ব্বক অনুগ্রহ সিংহাসনের সম্মুখে উপস্থিত হোই’। শয়াতানকে এই যুদ্ধক্ষেত্রে জয়ী হতে দেবেন না। আমাদের সাথে এই যুদ্ধে যোগদান করুন, ‘সর্ব্ববিধ প্রার্থনা ও বিনতি সহকারে সর্ব সময়ে আত্মাতে প্রার্থনা করুন এবং ইহার নিমিত্ত সম্পুর্ণ অভিনিবেশ ও বিনতি সহ জাগিয়া থাকুন সমস্ত পবিত্র লোকের জনা’।

এই কয়েকটি সপ্তাহে যাদের আমরা ভিতোরে নিয়ে আসছি তাদের জন্য আমি চাই আপনারা যেন অত্যন্ত শক্তিমত্ত এবং অভিপ্রায় মূলক ভাবে প্রার্থনা করেন। আমি আপনাকে বলতে চাই, আমাকে অবশ্যই প্রার্থনা করতে হবে, প্রার্থনা, প্রার্থনা। আমি অতি অবশ্যই সমস্ত শক্তি ও হৃদয় দিয়ে প্রার্থনা করবো। আমি যা কিছু করি না কেন, আমাকে অবশ্যই প্রার্থনা করতে হবে। আমি চাই আপনি যেন প্রতিদিন, কম পক্ষে ১৫-মিনিট প্রার্থনায় সময় ব্যায় করেন। প্রতিদিন হারিয়ে যাওয়াদের জন্য ১৫-মিনিট প্রার্থনা করার জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।

প্রার্থনায় শক্তি, প্রভু , প্রার্থনায় শক্তি,
   পাপ, দুঃখ ও উদ্বেগে এখানের এই পৃথিবীর মন,
মানুষ হারাচ্ছে ও মৃত হচ্ছে, আত্মা হতাশা হত,
   আহা, আমাকে তাই শক্তি দাও, প্রার্থনার শক্তি!

হারিয়ে যাওয়াদের জন্য যে সমস্ত ব্যাক্তিরা প্রতিদিন আমার সঞগে প্রার্থনায় যোগ দিতে চান, এই শষ্যছেদন কালীন সময়ে, আত্রা অনুগ্রহ করে এখনই সামনের দিকে চলে আসুন, আর মিঃ লী এবং মীঃ বিবট আসবেন আপনাদের জন্য প্রার্থনা করতে, আপনারা সেই প্রতিজ্ঞাকে ধরে রাখবেন। প্রতিদিন ১৫-মিনিট প্রার্থনাকরার জন্য। আমরা যখন গানের এই স্তবকটি এক সাথে গাই, সেই কুহুর্তে এখানে এগিয়ে আসুন!

প্রার্থনায় শক্তি, প্রভু , প্রার্থনায় শক্তি,
   পাপ, দুঃখ ও উদ্বেগে এখানের এই পৃথিবীর মন,
মানুষ হারাচ্ছে ও মৃত হচ্ছে, আত্মা হতাশা হত,
   আহা, আমাকে তাই শক্তি দাও, প্রার্থনার শক্তি!

(প্রার্থনা) আপনারা এবার বসতে পারেন।.

যারা আমাদের মন্ডলীতে নতুন তাদের জন্যে আমার কাছে আরোও একটি বিষয় রয়েছে বলার জন্য। আমাদের পাপের দন্ড চুকিয়ে দেওয়ার জন্য খৃষ্ট ক্রুশের উপর মৃত্যু বরণ করেছেন। শারিরীকভাবে তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছেন আর আপনাদের জন্য প্রার্থনা করার জন্য স্বর্গে উন্নীত হয়েছেন। তাই বিশ্বাসে যিশুর কাছে আসুন আর তিনি আর তিনি আপনাদের পাপের ক্ষমা দান করে আপনাকে অনন্ত জীবন দান করবেন। আর যা কিছুই আপনি করুন না কেন, নিশ্চিত থাকুন যেন পরবর্তী রবিবার দিন পুণরায় ফিরে আসেন! ঈশ্বর আপনাকে আশির্বাদ করুন। আমেন!! .

বক্তৃতার সমাপ্তি
ইন্টারনেটে www.realconversion.com. প্রতি সপ্তাহে আপনি ডাঃ হাইমারের বক্তৃতা
পড়িতে পারেন। ক্লিক করুন “বাংলায় বক্তৃতা”

You may email Dr. Hymers at rlhymersjr@sbcglobal.net, (Click Here) – or you may
write to him at P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015. Or phone him at (818)352-0452.

সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশটি পাঠ করা হয়েছে, সেটি পাঠ করেছেন ডাঃ
ক্রেইগটন এল চান ঃ এফেসিয়ান্স ৬ঃ১০-১৮
একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিঙ্কেইড গ্রিফিথঃ
”প্রার্থনা করতে আমাকে শেখাও” (by Albert S. Reitz, 1879-1966).


খসড়া চিত্র

খৃষ্টানদের মহান সংগ্রাম

THE CHRISTIAN’S GREATEST BATTLE

ডাঃ আর এল হাইমার্স, জুনি
Dr. R. L. Hymers, Jr.

“সর্ববিধ প্রার্থনা ও বিনতি সহকারে সর্বসময়ে আত্মাতে প্রার্থনা কর এবং ইহার নিমিত্ত সম্পূর্ণ অভিনিবেশ ও জাগিয়া থাক, সমস্ত পবিত্র লোকের জন্যে” (এফেসিয়ান্স ৬ঃ১৮)

১.  প্রথম, যেহেতু শয়তান সেখানে রয়েছে, তাই নিয়ত ও অবিরত প্রার্থনার প্রয়োজন
আছে। (এফেসিয়ান্স ৬ঃ১১-১৮)

২.  দ্বিতীয়, আমাদের যা প্রয়োজন তা পাওয়ার প্রতি ইহা একমাত্র পন্থা হয়ার জন্য
অবিরত ও নাছোড়বান্দা প্রার্থনার প্রয়োজন আছে। (জেমস ৪ঃ২,
প্রেরিত ৬ঃ৪, ১ থিসালোনিয়ানস ৩ঃ১০, টমোথি ১ঃ৩, মার্ক ১ঃ৩৫,
লিউক ৬ঃ১২, হিব্রুজ ৭ঃ২৫, রোমানস ৮ঃ৩৪)

৩.  তৃতীয়, অবিরত ও নাছোড়বান্দা প্রার্থনার প্রয়োজন কেননা
প্রয়োজনের সময়ে আমাদের সাহায্যের জন্য ইহা দয়া ও অনুগ্রহ
লাভের এক পন্থা। (হিব্রুজ ৪ঃ১৬)