এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
চূর্ণ মনা হৃদয় THE BROKEN HEART by Dr. R. L. Hymers, Jr. 29-শে জুলাই,২০১২ সালে সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তে সদা প্রভুর দিনে ব্যপটিস্ট “ঈশ্বরের বলিদান হল তার ভগ্ন আত্মা; হে ঈশ্বর তুমি ভগ্নচূর্ণ অন্ত:করণ তুচ্ছ করিবে না”। (গীতা সংহিতা ৫১:১৭) |
আমি এই সংবাদটা গ্রহণ করেছি এক জনের কাছ থেকে যা রবার্ট মারে ম্যাকচীয়েনের (১৮১৩-১৮৪৩) দ্বারা দেওয়া হযেছিল। যদিও তিনি তার ত্রিশতম জন্মদিনের আগেই মৃত্যু বরণ করেছেন, তথাপি ম্যাকচীন বৃহত্তর ভাবেই তার স্ব্দেশ স্কটল্যান্ডের নবোদয়ের কারণে ব্যবহৃত হয়েছেন।তিনি ছিলেন পূর্ব প্রত্যাশিত ব্যক্তি যিনি বিশ্বাস করতেন যে ইহুদী লোকেদের নিজেদের দেশ পুণরোদ্ধার হবে এবং এই যুগের শেষে তা রূপান্তরীকৃত হবে। তিনি বলেছেন ‘পুণরুথ্থানশীল ইজরায়েল সদা প্রভুর কাছ থেকে প্রাপ্ত শিশিরের ন্যায় হবে’। এই যুবক পালকের বিষয়ে ডংকান ম্যাথেসন বলেছেন ‘তিনি সজোরে অনন্তকালীন বিষয়ে প্রচার করতেন, যা তার উজ্জ্বল কপোলে লেখা ছিল’। এখন আমি আপনাদের কাছে ম্যাক চীয়েনের এক সর্বসময়ের সংবাদ উত্সর্গ করছি আর আমি আশা করি আপনাদের মধ্যে তাহা এমন কাউকে চালনা করবে সেই প্রেম ও শান্তি অনুভব করতে যা যীশু সেই সমস্ত ব্যক্তিদের প্রতি উত্সর্গ করেন যারা “চূর্ণমনা এবং ভগ্নহৃদয় যুক্ত”। “ঈশ্বরের বলিদান হল তার ভগ্ন আত্মা; হে ঈশ্বর তুমি ভগ্নচূর্ণ অন্ত:করণ তুচ্ছ করিবে না”। (গীতা সংহিতা ৫১:১৭) হিব্রীয় শব্দকে এখানে অনুবাদ করা হয়েছে ‘ভগ্ন হৃদয়’ অর্থাত্ চূর্ণ বা বিধ্বস্ত হওয়া। ডেভিড ‘এক ভগ্ন এবং চূর্ণমনা হৃদয়’ সম্বন্ধে বলেন। ম্যাকচীন বলেছেন কোন গীতই ততোটা চূড়ান্ত ভাবে বিশ্বাসকারী মনের এক অনুশোচনার অভিজ্ঞতা ব্যাপ্ত করে না; পাপ সম্বন্ধে তার নত মন্ত্রমনা স্বীকার উক্তি (৩,৪,৫ পদ), খৃষ্টের রক্তের মধ্যে দিয়ে ক্ষমা লাভের জন্য তার ঐকান্তিক ইচ্ছা (৭ পদ); বিশুদ্ধ অন্ত:করণের জন্য তার আন্তরিক বাসনা (১০ পদ); তার সমস্ত উপকারিতার জন্য ঈশ্বরের প্রতি কিছু প্রদর্শন করার ইচ্ছা .... তিনি (ঈশ্বরকে) এক ভগ্ন আত্মা প্রদান করেন (১৬,১৭ পদ)। ঠিক যেমন ভাবে বহু বছর পূর্বে ধন্যবাদের প্রতিদান স্বরুপ তারা মেষের বলিদান উত্সর্গ করতেন আর তাই তিনি বলেছেন তিনিও ঈশ্বরের প্রতি ভগ্ন চূর্ণ হৃদয় ও বলিদান উত্সর্গ করবেন। আমি প্রার্থনা করি আপনিও যেন সি একই প্রকার সংকল্প করেন আর আজকের রাত্রে ঈশ্বরের সম্মুখে এক ভগ্নমনা হৃদয়কে উত্সর্গ করেন। নূতন নিয়ম বা চুক্তির মধ্যে আমাদের বলা হয়েছে,‘তোমরা জান, অনন্ত জীবন কোন নরঘাতকের অন্তরে অবস্থিতি করে না’। (১ যোহান ৩:১৫)।ডেভিড হত্যা করেছিলেন। অতএব আমার এই মতামত যে, আমাদের এই বর্তমান যুগের প্রচলিত ধর্মে ইহা দেখাটাই সব থেকে উত্তম যেন নূতন নিয়মের কথোপকথনের আলোকে সেই গীতা সংহিতার মধ্যে ডেভিডের প্রতি কী হযেছিল! আমাদের আজকের পাঠের বিষয়টিকে আমরা এই ভাবে দেখবো।. “ঈশ্বরের বলিদান হল তার ভগ্ন আত্মা; হে ঈশ্বর তুমি ভগ্নচূর্ণ অন্ত:করণ তুচ্ছ করিবে না”। (গীতা সংহিতা ৫১:১৭) ১. প্রথমত: স্বভাব সিদ্ধ সেই হৃদয় নিরবিচ্ছিন্ন কোন কিছুই মানুষের স্বভাবসিদ্ধ হৃদয়কে ভগ্ন করতে পারে না। তিনি অনুকম্পা, যন্ত্রণা এবং ভগ্নচূর্ণ হৃদয় ছাড়াই এমন কী মৃত্যু পর্যন্ত অনুভব করতে পারেন, এমন এক হৃদয় যা কোমল এবং ঈশ্বরের কাছে নিবেদন যোগ্য। এর জন্য সবথেকে প্রচণ্ড বাইবেল ভিত্তিক যে উদাহরণ, তা হল যাত্রা পুস্তক বইয়ে বর্ণিত ফারাও এর পাথরীভূত হৃদয়। যদিও একটার পর আরোও একটা বিচার তার ওপরে উপনীত হচ্ছিল, তবুও সে বারংবার মোজেস ও আরোনের সংবাদকে প্রত্যাখান করে চলেছিল। (যাত্রা পুস্তক ৮:১৫)। এমনকি ঈশ্বরের বিচারে তার প্রথম পুরুষ সন্তান মৃত্যু বরণ করলেও ফারাও এর হৃদয় এক অনুভুতিশূণ্য ও নির্মম হয়ে উঠেছিল। আমরা দেখতে পাই যে সেই ধনী ব্যাক্তি নরকে পতিত হয়েও এক অনুভুতিশূণ্য ও নির্মম হৃদয় বহন করছিল। আর তার হৃদয় এতটাই নির্মম হয়ে উঠেছিল যে তিনি এমন কী এব্রাহামের সাথেও বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। (লিউক ১৬:৩০)। মৃত্যু এবং নরক নিজে থেকে তার হৃদয়কে কোমল ও শিক্ষণীয় করে নি! পাপপূর্ণ, ঈশ্বরবিহীন যে জীবন তিনি যাপন করেছেন তার জন্য তিনি কোন অনুশোচনাই করেন নি। খ্রিস্ট যখন শুকনো হাত বিশিষ্ট লোকটিকে সুস্থ করেন তখন তিনি “লোকেদের অন্ত:করণে ‘কাঠিন্যের জন্যে দু:খিত হয়েছিলেন”! (মার্ক ৩:৫)। যদিও তারা এই অলৌকিক কাজকে দেখা সত্ত্বেও তাদের হৃদয় চূর্ণমনা ও অনুতপ্ত হয় নি! প্রেরিত পৌল তাদের কথা বলেন যারা ঈশ্বরের মংগলতার ভাব শুনেও অবজ্ঞা করে ও অনুশোচনাহীণ অবস্থায় থাকে।(রোমানস ২:৫)। সেই নিয়ম, সেই সুসমাচারের অনুগ্রহ, দুর্দশা, মৃত্যু আর এমন কী নরক পর্যন্ত অপরিবর্তনশীল মানুষের স্বভাবিক হৃদয়কে চূর্ণ করতে পারে নি। তাদের হৃদয় সকল পাথরের থেকেও কঠিনভূত! এই জগতে এমন কিছুই নেই যা অপরিবর্তনশীল মানুষের হৃদয়ের থেকেও কঠিন। জেরেমিশ বলেছেন ‘তারা আপন মুখ পাথর হইতেও কঠিন করিল” (জেরেমিশ ৫:৩) অপরিবর্তনশীল মানুষের হৃদয় কেন এতটা কঠিনীভূত? বাইবেল আমাদের বলে যে তাহাদের হৃদয়ের উপরে এক আবরণ রয়েছে। বাইবেল বলে “ তাদের হৃদয়ের উপরে আবরণ থাকে”।(২ কোরিনথিয়ন্স ৩:১৫)। স্বভাবিক যে হৃদয় বাইবেলে বিশ্বাস করে না, তারা নিয়মের যে কড়াকড়ি তাতেও বিশ্বাস করে না, যে অভিশাপ আসতে চলেছে তাতেও বিশ্বাস করে না। একটি অবরণ বা পর্দা তাদের চোখের উপরে রয়েছে যাতে তারা সত্যকে দেখতে না পায়। দ্বিতীয়ত, শয়তান তাদের হৃদয়কে অধিকার করে রেখেছে। সে হল “সেই আত্মা যা এখন অবাধ্যতার সংতাংদের সাথে কাজ করছে”।(এফিশীয়ন্স ২:২)। “শয়তান তাদের হৃদয় থেকে শব্দ সমূহকে হরণ করে নিয়ে যায়”। (লিউক ৮:১২)। তৃতীয়ত,“তারা সীমা অতিক্রম করার অপরাধ এবং অন্য পাপে মৃত ছিল”। (এফিশীয়ন্স ২:১)। যা প্রচার করা হচ্ছে, তা মৃত আত্মা কোন দিন শুনতে পায় না। মৃত আত্মা পাপ সম্বন্ধে সচেতনা লাভ করতে চায় না। মৃত আত্মারা “চিত্তে অন্ধীভুত হয়ে থাকে”।(এফিশীয়ন্স ৪:১৮)।“তারা অসাড় হয়ে পড়েছে”।(এফিশীয়ন্স ৪:১৯)। চতুর্থত, তারা অলীকতাকে আপনার আশ্রয় করিয়াছে। মহাত্মা ঈশা বলেছেন “আমরা অলীকতাকে আমাদের আশ্রয় করিয়াছি ও মিথ্যা ছলের আড়ালে লুকাইয়াছি” (ঈশা ২৮:১৫)।বাইবেলের মতবাদে বিশ্বাস করিয়া তারা নিরাপত্তা ও আশ্রয় লাভের প্রত্যাশা করে, তারা প্রার্থনা করে, মণ্ডলীতে অর্থ প্রদান করে, তারা ব্যাপটাইজড হয়, আবার কখনও বা অন্য কোন প্রকার মিথ্যাতে আশ্রয় গ্রহণ করে। আপনাকে মৃত্যুর অভিশাপ, নিরবিচ্ছিন্ন হৃদয় থেকে রক্ষা করার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন কারণ আপনি পিচ্ছিল মাটিতে দাড়িয়ে রয়েছেন। ইহা খুব শীঘ্রই ধুয়ে যাবে। আর তাই, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি যীশুর কাছে আসছেন, ততক্ষণ আপনার মধ্যে প্রকৃত কোন আশা নেই। ২. দ্বিতীয়ত: সচেতন হৃদয় যন্ত্রণা গ্রস্ত , কিন্তু ভগ্ন নয়। “ঈশ্বরের বলিদান হল তার ভগ্ন আত্মা; হে ঈশ্বর তুমি ভগ্নচূর্ণ অন্ত:করণ তুচ্ছ করিবে না”। (গীতা সংহিতা ৫১:১৭) একটি সচেতন হৃদয় থাকা খুবই ভালো, এক হৃদয় যা আঘাতপ্রাপ্ত বা যন্ত্রণাগ্রস্ত, কিন্তু সেটাই যথেষ্ঠ নহে। আপনার হৃদয়কে অতি অবশ্যই ভগ্ন হতে হবে। আর সচেতনশীল হৃদয়ের যে চেতনা বা উপলব্ধি তাকে ভগ্ন করার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। কী ভাবে সেই প্রকার সচেতনশীল চেতনা বা উপলব্ধি আসতে পারে ? প্রথম ক্ষতটা নিয়মের মধ্যে দিয়েই তৈরী হয়। ঈশ্বর যখন কোন এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে চলেছেন, তখন তিনি সেই ব্যক্তিকে সেই পাপ সম্বন্ধে চিন্তা করার জন্য কারণ দর্শাতে থাকেন যা তিনি তার নিয়ম ভঙ্গ করার দরুণ করেছেন। বাইবেল বলে “যে কেহ, ব্যবস্থা গ্রন্থে লিখিত সমস্ত কথা পালন করিবার জন্য তাহাতে স্থির না থাকে, সে শাপগ্রস্ত”। (গালাতীয় ৩:১০) আপনার জীবনের ও হৃদয়ের যে পাপ, তা জঘন্য বলে মনে হয়, যখন ঈশ্বরের আত্মা আপনার হৃদয়কে আঘাত করে। তখন পাপী সচেতনশীল হয়ে ওঠে, যে তিনি এক মোহন ও পবিত্র ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করেছেন। আপনাকে বলতে হবে, “তোমার বিরুদ্ধে কেবল তোমারই বিরুদ্ধে আমি পাপ করিয়াছি, তোমার দৃষ্টিতে যাহা কুত্সিত, তাহাই করিয়াছি”। (গীতা সংহিতা ৫১:৪) তৃতীয় ক্ষত তখনই আসে, যখন আপনি নিজেকে উত্তম বা ভাল করতে চান ও নিজের আশাহীন অবস্থা সম্বন্ধে সচেতনতা লাভ করেন। আপনার হৃদয় তখনও পর্যন্ত ভগ্ন-চূর্ণ নহে। তার নিয়মের কঠিনতা হেতুই আপনার হৃদয় ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কোলে যায়, কেননা আপনি খৃষ্টের মধ্যে বিশ্বাস জন্মাতে পারেন না তাই। আপনাকে দু:খদায়ক অবস্থাতে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আপনি ঈশ্বরের প্রতি ক্রূদ্ধ হয়ে ওঠেন। এটা দেখার যে আপনার হৃদয় এখন পর্যন্ত ভগ্নমনা হয় নি। আপনি নিজের জন্য দু:খ পান আর ঈশ্বর আপনাকে সাহায্য করেন নি বলে বিচলিত হয়ে পড়েন। তাই শিখুন, যে এইভাবে উপলব্ধি করাটা একটা বিষয় আর উদ্ধারলাভ করাটা হল অন্য প্রকার। আপনার পাপের উপলব্ধিতে বিশ্রাম নেবেন না! আপনি এখনও পর্যন্ত রুপান্তরীকৃত হোন নি! ৩. তৃতীয়ত: বিপ্রতীপ উক্তিতে হৃদয় দুই দিক দিয়া ভঙ্গুর হয়ে যায় প্রথম, ইহার নিজের ধার্মিকতা থেকে আপনার হৃদয় ভঙ্গুর হয়ে যাবে। পবিত্র আত্মা যখন আপনাকে ক্রুশারোপিত যীশুর প্রতি আকর্ষণ করে, তখন আপনি যা কিছু করেন তার দ্বারা পরিত্রাণ অন্বেষণ করা থেকে আপনার হৃদয় আকমকই ভঙ্গুর হয়ে পড়বে।তখন আপনি দেখবেন যে আপনি কেবল মাত্র যীশুর দ্বারাই পরিত্রাণ লাভ করতে পারেন। আপনিও ডেভিড ব্রেইনর্ডের সাথে সাথে বলবেন “আমি বিস্মিত হয়ে পড়ি কেন আমি পরিত্রাণের জন্য অন্য পন্থার বিষয়ে চিন্তা করি”। তাহলেই যীশুর অনুগ্রহকে অদ্ভুত বলে মনে হবে।আপনার মধ্যে কী এই প্রকার ভগ্ন হৃদয় রয়েছে – যা এই চিন্তা ধারার দ্বারা ভঙ্গুর যে যীশু ক্রুশের উপরে মৃত্যু বরণ করছেন আপনার পাপের মূল্য চুকিয়ে দিয়ে তার ধার্মিকতা’কে আপনার জন্য প্রদান করার জন্য? পরিত্রাণের যে নিশ্চয়তা তার প্রতি আপনি আর তাকিয়ে থাকবেন না! এখন আপনি কেবল যীশুর প্রতিই থাকবেন। ইহা হল এমন এক দৃষ্টিপাত, যেখানে যীশুর প্রেম পূর্ণ হৃদয়ের প্রতি তাকিয়ে থাকা যা তার নিজের ধার্মিকতার প্রতি হৃদয়কে বিগ্ন করে তোলে। আহা, তাই সেই প্রকার ভগ্ন হৃদয়ের জন্য প্রার্থনা করুন ! শ্লাঘা তখন দূর হয়ে যাবে। আপনি বলতে থাকবেন “মেষ শাবক যিনি হত হইয়াছিলেন তিনিই আমার কাছে পরাক্রম পাওয়ার যোগ্য মেষ” (প্রকাশিত কথা ৫:১২) ঈশ্বর এখন পর্যন্ত আহ্বান করছেন! আমি থাকতে পারি না; আবার,দ্বিতীয়ত, পাপের প্রতি যে বাসনা তা থেকে আপনার হৃদয় চূর্ণ হয়ে উঠবে। আপনি যখন সত্য সত্যই যীশুতে নির্ভর করেন, তখন আপনি পাপকে ঘৃণা করতে শিখবেন। আপনি তখন পপ এই জন্য ঘৃণা করবেন কেননা ইহা আপনাকে ঈশ্বর থেকে বিচ্ছিন্ন করে তোলে। আপনি তখন পাপ ঘৃণা করবেন কেননা ইহা যীশুকে ক্রুশারোপিত করে, তার আত্মকে ভারাক্রান্ত করে তোলে, ঘামকে রক্তাক্ত করে তোলে। রক্ত ঝরায় আর মৃত্যু মুখে ঠেলে দেয়। আপনি তখন পাপকে ঘৃণা করবেন, অপনি অনুভব করবেন যে ইহা অপনাকে কিছুই দেয় না কিন্তু অসুখী করে তোলে। আপনার পাপের জন্য আপনি বিলাপ করবেন। কেন না, ইহা যীশুর প্রেমের বিরুদ্ধে অপরাধ করা হচ্ছে। ৪. চতুর্থত : ভগ্ন হৃদয়ের সুবিধা এবং সুযোগ “ঈশ্বরের বলিদান হল তার ভগ্ন আত্মা; হে ঈশ্বর তুমি ভগ্নচূর্ণ অন্ত:করণ তুচ্ছ করিবে না”। (গীতা সংহিতা ৫১:১৭) ক্রুশের প্রচার এক ভগ্ন চূর্ণ অন্ত:করণকে অপরাধ বা অন্যায় কাজ করা থেকে বিরত রাখে। অপরিবর্তনশীল এক হৃদয় সেই প্রকার প্রচারের দ্বারা বিঘ্ন পায়। অনেক লোক রয়েছে যারা ইহাকে ঘৃণা করে। অন্য বহুজন মনে করে ইহা মূর্খামি ছাড়া কোন কিছুই নয়। কেবল মাত্র ক্রুশের মধ্য দিয়েই যে পরিত্রাণ লাভ করা যায় এই প্রচারের বিঘ্ন পেয়ে অনেক লোক এমন কি মণ্ডলী পর্যন্ত ত্যাগ করে। বাইবেল বলে, “সেই ক্রুশের বাণী যা অজ্ঞানতা চিরদিনের মতো সরিয়ে দেয়” (১ কোরিনথিয়ন্স ১:১৮)। আবার, বাইবেল বলে, “তাহারাই খৃষ্টের ক্রুশের শত্রু” (ফিলিপিয় ৩:১৮) । কিন্তু ভগ্ন চূর্ণ মনা এক হৃদয়, ক্রুশের প্রচারের দ্বারা কোন দিনই বিঘ্ন পায় না। একটি ভগ্ন চূর্ণ মনা হৃদয়ের মধ্যে সেটাই চিরকালের জন্যে আসীন হয়ে বাজতে থাকবে যে কার্য্য ছাড়াই ধার্মিকতা লাভ হয়, ক্রুশের উপরে খৃষ্টের বিকল্পভাবে মৃত্যু বরণ করার দ্বারাই! ভগ্ন চূর্ণ মনা এক হৃদয় সেটাই শুনতে পছন্দ করে। মানুষের তৈরী ধার্মিকতা পদদলিত হয়ে ধূলিতেই পরিণত হবে! আর তখন থেকেই ভগ্ন চূর্ণ মনা এক হৃদয় যীশুতে বিশ্রাম করতে থাকে। অপরিবর্তনশীল হৃদয়ের মধ্যে কোন সময়েই বিশ্রাম থাকে না, কেন না, “দুষ্টেরা হল বিঘ্ন আলোড়িত সেই সমুদ্রের মতো, যাহা কখনও স্থির ভাব পায় না, যার জল সর্ব্বদাই ফুলে ওঠে পাক আর কর্দমে” (ঈশা ৫৭:২০) সচেতনশীল হৃদয় কোন সময়েই বিশ্রাম নেয় না। দু:খ ও যন্ত্রণা তাদের মধ্যে সর্ব্বদাই বিরাজমান, যারা পাপের অপরাধে অপরাধী; কিন্তু যীশুতে নির্ভর করাটা তারা প্রত্যাখান করে। কিন্তু প্রকৃত ভাবে ভগ্ন চূর্ণ মনা হৃদয় নিজে থেকেই নিজেকে যীশুর কাছে সমর্পণ করে। আর যীশুর ধার্মিকটা তাদের অন্তরে অবস্থান করার ফলে সমস্ত ভয়কে দূর করে দেয়। যীশুর এই প্রেম “ভয়কে দূর করে দেয়”। (যোহান ৪:১৮)। ভগ্ন চূর্ণ মনা এক হৃদয় সম্পূর্ণ ভাবেই যীশুতে পরিতৃপ্ততা লাভ করে। তাদের জন্য তিনিই যথেষ্ঠ। আপনি কি যীশুর সঙ্গে সম্পূর্ণ ভাবে পরিতৃপ্ত? কেবল মাত্র তার কাছে এসে তাকে নির্ভর করার প্রতি আপনার হৃদয় কি যথেষ্ঠ ভাবে ভগ্ন চূর্ণ হয়েছে? না কি এখন পর্যন্ত নিশ্চয়তা খুজে পাওয়াতে ছন্দ অনুভব করছেন না বা তা শিখতে অসুবিধা পাচ্ছেন? আমি প্রার্থনা করি আপনি যেন সেই সমস্ত দ্ব্ন্দ্বগুলোকে ত্যাগ করেন আর যীশু ও কেবল মাত্র যীশুতেই নির্ভর করেন! এখন অনুগ্রহ করে উঠে দাড়িয়ে আপনার গানের পাতাতে, আট নম্বর গানটি একসঙ্গে গান। অনুগ্রহ করে উঠে দাড়িয়ে সেই গানটি গান। আপনি যদি এখনও পর্যন্ত পরিত্রাণ না লাভ করে থাকেন, ও আপনি ড: কাগন ও আমার সঙ্গে সেই কথা বলতে চান, তবে অনুগ্রহ করে আমরা যখন গান গাইছি, তখন এই ঘরের পেছনে কোলে আসুন। আমরা অন্য আরেকটি ঘরে আপনাকে নিয়ে যাব, যেখানে আপনার জন্যে আমরা প্রার্থনা করবো ও উপদেশ বিতরণ করবো। পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোকের আসুন, বক্তৃতার সমাপ্তি You may email Dr. Hymers at rlhymersjr@sbcglobal.net, (Click Here) – or you may সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পড়া হয়েছে তা পাঠ করেছেন ডাঃ ক্রীঘটন এল.চানঃ |
খসড়া চিত্র চূর্ণ মনা হৃদয় THE BROKEN HEART ড: আর এল হাইমার, জুনিয়র “ঈশ্বরের বলিদান হল তার ভগ্ন আত্মা; হে ঈশ্বর তুমি ভগ্নচূর্ণ অন্ত:করণ তুচ্ছ করিবে না”। (গীতা সংহিতা ৫১:১৭) (১ জোহান ৩:১৫) ১. প্রথমত, স্বভাব সিদ্ধ সেই হৃদয় নিরবিছিন্ন (যাত্রা পুস্তক ৮:১৫; ২. দ্বিতীয়ত, সচেতন হৃদয় যন্ত্রণাগ্রস্ত কিন্তু ভগ্ন মনা নহে। ৩. তৃতীয়ত, বিপ্রতীপ উক্তিতে হৃদয় দুই দিক দিয়া ভঙ্গুর হয়ে যায় ৪॰ চতুর্থত, ভগ্ন হৃদয়ের প্রয়োজনীয়তা (১ কোরিনথিয়ন্স ১:১৮; |